ব্রিটিশ বুদ্ধি শব্দটি হয়তো অনেকের চেনা। ঋণাত্মক অর্থেই তা ব্যবহৃত হয়। বিলেত আসার আগে ভাবতাম ব্রিটিশদের প্রতি ঘৃণা থেকেই হয়তো তাদের ওপর আমাদের এই দোষ চাপানোর প্রচেষ্টা। বিলেত এসে বুঝলাম যা রটে তা অনেকটাই বটে। বাঙালের ব্রিটিশ বুদ্ধি নামের এই জার্নালে ধারাবাহিকভাবে আমি সেসব বুদ্ধি-শুদ্ধির প্রমাণ সরবরাহ করবো। আপাতত: আশা তাই। পাঠকরা মনে করিয়ে দিলে আরো বেশি স্মরণে থাকবে।
ব্রিটিশ বুদ্ধি শব্দটির সাথে আমার প্রথম পরিচয় ফুটবল মাঠে। পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্
শেষ বলে কোনো কথা নেই
ফিরে যেতে পারি চাইলেই
ভালবাসা দিলে আছি
না দিলে নেই।
চলে যাবো তুমি বললেই।
সোনার শেকলে কিইবা ফলে
যে যাবার যে যাবেই।
ভালবাসা দিলে আছি
না দিলে নেই।
চলে যাবো তুমি বললেই।
লাশ যেন বসে আছে মঞ্চে
গানও গাইছে সুরে সঠিক
তোমাকে আমি শিল্পী বলিনা
মৌসুমি ভৌমিক
গান শুধু যন্ত্রণার নাট্যরূপ নয়
গলা চিরে বেরম্নবে গোঙানি
ফুটপাতের পঙ্গু ভিখারির
চিৎকারের বাহানা
তাকে আমি গান বলিনা
যতই মজুক তাতে বেভুল পথিক
তোমাকে আমি শিল্পী বলিনা
মৌসুমি ভৌমিক।
প্রেম নিয়ে আমার বিভ্রাট গেলো না
দিনরাত ভেবে যাকে সময় কাটে
তার ভাব মেলে না
যার সাথে নেই কোনো হৃদয়ের লেন-দেন
জীবনের পথে-ঘাটে তার নিত্য আনাগোণা
প্রিয় যেজন কাছে আসে,
পাশে বসে, মৃদু হাসে
কথায় কথায় শোনায় হরেক শান্তনা
রহস্যের জাল ছড়ায় হিসাব মেলে না।
কার হাতে তুমি রাখো হাত
কার কাঁধে রাখো মাথা
কার সাথে তুমি রাত্রি জেগে
দেখবে নতুন ভোর
দেখে নেবো আমি, দেখে নেবো
তোমার জেদের জোর
স্বপ্নগুলো আমাদের হতো
মুঠোয় ভরা কাঁচপোকার মত
সুখের পায়রা বাকবাকুম স্বরে
উষ্ণতা দিয়ে যেত অবিরত
যদি না তুমি, দিন রাত্রি
সকল কাজেই আমার ত্রুটি
খুঁজতে নিরন্তর।
দেখে নেবো আমি, দেখে নেবো
তোমার জেদের জোর।।
কার হাতে তুমি রাখো হাত
কার কাঁধে রাখো মাথা
কার সাথে তুমি রাত্রি জেগে
নাইবা দিলাম আকাশ থেকে মিটমিটে লাল তারা পেড়ে
বৃষ্টি থেকে রামধনু আর গভীর জলের পদ্মফুল
নাই দেখালাম মগ্ন চোখে অলীক স্বপ্ন বর্ষাধারা
কল্পকথার রাজরাণী আর স্বর্ণমুকুট চক্ষুকাড়া
নাইবা দিলাম ভবিষ্যতের ফুলকথার সব প্রতিশ্রম্নতি
দিচ্ছি তোমায় বর্তমানের মুঠোয় ধরা অনুভূতি
সত্য নেয়ার ভয়ে তুমি তাই কি এত জড়োসড়ো
তোমার কাছে সত্যের চেয়ে মিথ্যে স্বপ্ন অনেক বড়ো?
দিলাম বাড়িয়ে তোমার দিকে হাতের ডগায় আলিঙ্গন
কপোল, ওষ্ঠে, তিলক দিলাম প্রেম-মদির সুখ
পার হয়ে গেল আরেকটি বছর। ইংরেজি এই নতুন বছর কাটলো লন্ডনে। ঠান্ডা ছিল যথেষ্ট। তবু বের হলাম। আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রেনের ড্রাইভাররা আজ ধর্মঘটে। তাই চড়ে বসলাম বাসে। মেয়র কেন লিভিংস্টোনের শুভেচ্ছায় আজ কোনো টিকেট লাগবে না। গন্তব্য লন্ডন আই। বৃষ্টি পড়ছিল টিপ টিপ। টেমসের ওপরে যতগুলো সেতু আছে সবক'টি জনারণ্য হয়ে গেছে। আমরা যখন মিলেনিয়াম ব্রিজে জায়গা করে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি আতশবাজি দেখবো বলে তখন আমাদের আশে পাশে অনেকে শ্যাম্পেনের বোতল খুলছে। প্রথম আতশবাজির শব্দ শুনলাম। যেখানটায় আমরা দাঁড়িয়ে আছি তার সামনেই একটা বিতিকিচ্ছিরি বিলিডং। সুতরাং দেখা যাচ্ছে না কিছুই। সুতরাং সেখান থেকে নেমে ছুটলাম টেমসের পাড় ধরে। যত কাছাকাছি যাওয়া যায় আতশবাজির। অবশ্য একটু হাঁটতেই
প্রেমচিহ্নয় এক তীর বিঁধেছিল
মেয়েটির চোখে মুখে ভালবাসা ছিল
পাহাড়ের উঁচু থেকে প্রেমিক ছেলেটি তাই
গভীরতা না বুঝে ঝাঁপ দিয়েছিল
এটুক গল্প জানা আছে সবার
এর পর খবর কে রাখে কার
কোন ঘরে প্রেম আছে বিবাদ কোন ঘরে
মানুষে জানবে কি জানে না ঈশ্বরে
স্মৃতির অতীতে তো সবকিছু ছিল
শীর্ষসুখের পরও বুকে আকুলতা ছিল
পাহাড়ের উঁচু থেকে প্রেমিক ছেলেটি তাই
গভীরতা না বুঝে ঝাঁপ দিয়েছিল
ঘরের চারদিকে দেয়াল আছে
আকাশের দিকে আছে বাঁধানো ছাদ
খাঁচাটি আপন বড় ভাবে ছেলেটি
পাখি হয়ে উড়বার তার ছিল সাধ
বন্ধনে ছিল মুক্তির আশ্বাস
কে প্রশ্ন তোলে কে করে অবিশ্বাস
শুরম্নতে তো সব সুর ঠিক ঠাক ছিল
পাহাড়ের উঁচু থেকে প্রেমিক ছেলেটি
বিলাত সাত সাগর পাড়ের দেশ হলেও শাসক আর শাসিতের সম্পর্কেআমার তো তেমন দূরের কিছু নয়। পিতামহ বা মাতামহরা তো রাণীর শাসনেই মানুষ। তবু জাহাজ চেপে রাণী অব্দি তারা পেঁৗছাতে পারেননি। হাজার হোক তাদের সূত্র তো আমি অস্বীকার করতে পারিনা। তাদের আশাকেও অসম্পূর্ণ রাখতে পারি না। সুতরাং উড়াল জাহাজে সওয়ার হয়ে আমি একদিন হাজির হয়ে গেলাম দাদা-নানার স্বপ্নশহর লন্ডনে।
ঐতিহ্যের ইঁট গাঁথা শহরে হাঁটি। মনে কোনো জোর পাই না। প্রাক্তন প্রভুদের বংশধররা এখনও যে পুড়িয়ে ছাই করে দেবো চোখে তাকায় - তা আমাশয় ঘটিয়ে দেয়ার মত। কিন্তু লন্ডন এসে জানতে পারলাম আমিই একমাত্র লস্কর নই। আরো আগে সত্যিকার লস্কররা এসেছিল এই দেশে। তাদের রক্তে এদেশের মাটিও ভিজেছে। আমাদের ইতিহাস থেকে আমরা এম