চা-রঙ্গ

নৈষাদ এর ছবি
লিখেছেন নৈষাদ (তারিখ: বুধ, ০৫/০৮/২০০৯ - ১১:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাংলাদেশের চা বাগান গুলো যেন দেশের মধ্যে আলাদা একেকটা সাম্রাজ্যের মত। সেখানে আমার বেশ কিছু মজার কিন্তু সত্যি ঘটনা দেখার বা শুনার সুযোগ হয়েছে। ঘটনা গুলো আপাত হাস্য কৌতুককের সৃষ্টি করে বা মনে হয় কিছুটা অবাস্তব, কিন্তু এর নেপথ্যে হয়ত লুকিয়ে আছে এই শিল্প-সাম্রাজ্যের অনেক অব্যক্ত কথা, বিশ্বাস, আচরণ বা যন্ত্রণা। এমনই কিছু বাস্তব ঘটনা নিয়ে এই 'চা-রঙ্গ' পর্ব। ইচ্ছাকৃত ভাবেই কুশীলবদের নাম ব্যবহার করলাম না।

চা বাগানের পরিবেশটা বুঝার জন্য স্ট্রাকচারটা একটু বলি। কন্টিনামের একদিকে আছে 'ব্যবস্থাপনা স্টাফ'। ব্যবস্থাপক বা 'বড় সাব' দের ক্ষমতা বুঝানোর জন্য আমি সেই বিখ্যাত লাইনটা ব্যবহার করছি -'আই অ্যাম দ্যা মনার্ক অভ অল আই সার্ভে'। তাঁর সাম্রাজ্যে তাঁর কথাই শেষ কথা। তার সাথে ২/৩ জন সহকারী ব্যবস্থাপক বা 'ছোটা সাব' থাকে । অন্যদিকে আছে শ্রমিকরা। সাধারন অবস্থায় ব্যবস্থাপনা স্টাফের সাথে চোখ তুলে কথা বলবার অধিকার রাখে না। এমন কী সামনের গেট দিয়ে বাংলোতে ঢোকাও অপরাধ এবং বাংলোর বারান্দায় উঠারও অধিকার রাখে না। মধ্যভাগে আছে শুধু 'স্টাফ'। না পারে ব্যবস্থাপনা স্টাফের সাথে মিশতে, না পারে শ্রমিকদের সাথেও মিশতে।

ন্যায্য বিচার

শুরু করছি একটা কঠিন ঘটনা দিয়ে। সিক্স বা সেভেনে পড়ি তখন। বাবার সাথে আরেকটি বাগানে তাঁর সমসাময়িক একজন খুবই সিনিয়র ব্যবস্থাপকের অফিসে গিয়েছি, বসে আছি তার রুমে। হঠাথ দেখা গেল গাড়ী রেখে হন্তদন্ত হয়ে ঢুকছে একজন ছোটা সাব, যিনি মাস ছয়েক বাগানে শুরু করেছেন সহকারী ব্যবস্থাপক হিসাবে। কিছুক্ষনের মধ্যেই ভীষন উত্তেজিত শ্রমিকরা অফিস ঘেরাও করল। জানা গেল তিনি ইচ্ছাকৃত ভাবে গাড়ী দিয়ে একটা গরুর পা ভেঙ্গে দিয়েছেন।

সহকারী ব্যবস্থাপককে নিজের কক্ষে রেখে ব্যবস্থাপক সাহেব উত্তেজিত শ্রমিকদের মুখোমুখি হয়ে শান্তভাবে কথা শুনলেন এবং বললেন - 'শুনলাম। এখন গরুর চিত্‌কিসা দরকার প্রথমে। টাকা পয়সা যা লাগে দিচ্ছি, দরকারে বাগানের ট্রাক দিয়ে উপজেলা অফিসের ভেটেনারী ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাও। গরুর মালিককে পাঠাও, দেখি কী করা যায়'। টাকা পয়সার দরকার নেই, উত্তেজিত শ্রমিকদের একটাই দাবী, ন্যায্য বিচার। একটিই দাবী, 'ছোটা সাবকে বের করে দিন। ঐ শালার ঠেং ভেঙ্গে দিব, তারপর চাঁন্দা তুলে 'ওয়ার চিকিত্‌সার খরচ দিয়ে দেব। ঐ শালাকে যতক্ষন আমাদের হাতে তুলে না দিচ্ছেন, আমরা যাব না'।

খালাতো বোন

অনেক পরের ঘটনা। ফিনলে, শাওয়ালেস বা ডানকানের বাগান গুলিতে সহকারী ব্যবস্থাপক হিসাবে যারা যোগ দিতেন তাদের কঠিন নিয়ম কানুনের মধ্য দিয়ে যেতে হত (হয়ত এখনো)। যেমন বাগান বা নিজের গাড়ী বা মোটর সাইকেল ছাড়া রিক্সা বা অন্য কোন ধরনের 'পাবলিক ট্রান্সপোর্টে' উঠা যাবে না, স্থানীয় রেস্তোরায় বসে চা বা অন্য কিছু খাওয়ার প্রশ্নই উঠে না, ব্যবস্থাপনা স্টাফ ছাড়া কারো সাথে আড্ড দেওয়ার প্রশ্নই নাই, ইত্যাদি ইত্যাদি। এরকই একটা শর্ত ছিল দু'বছরের মধ্যে বিয়ে করা যাবে না (বিয়ে করলে কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়)। তো এরকম একজন খুব ভাল সহকারী ব্যবস্থাপক (সম্ভবত বুয়েটের) এক বছরের মাথায় বাড়িতে গিয়ে বিয়ে করে ফেলেল। জানাজানি হলে স্রেফ চাকরী চলে যাবে। উনার বস আবার অসাধারন একজন ব্যাক্তি। বাধ্য হয়ে সহকারী গিয়ে সব কথা স্বীকার করল - আর তো পারি না স্যার। শেষে তিনি সমাধান দিলেন, মাঝে মাঝে আনতে পার, কেউ জানতে চাইলে বলবে 'এতিম খালাতো বোন'। আর ভাই বলে যেন ডাকে তোমাকে। 'এমন কিছু' করনা যাতে লোক জনের সন্দেহ হয়।

গালাগাল

গালাগালেও বৈচিত্র থাকতে পারে। ছোট বেলায় আমি যে বাংলোতে থাকতাম তারই বাগানের মালির সাথে ঝগড়া করছে আরেকজন শ্রমিক যে আবার অসাধারন বাশের বাঁশি বাজাতে পারত। উত্তেজিত বাঁশিওয়ালা - 'শালা তোর হাড্ডি দিয়ে যদি আমি বাঁশি বানায়ে না বাজায়ছি তো হামার নাম... না'। মালির উত্তর - 'আরে দূর দূর, তোর বুড়া হাড্ডির গুড়া দিয়ে তো আমি বাগানে সারও নায় দিব, শালা'।

একটা গালি আছে খুব ব্যবহার করা হয়। কিছুটা অশ্লীল। এর বাংলা ভারসান টা সচলায়তনে বেশ কয়েকবার দেখেছি এই ভরসায় অর্ধেক টা দিয়ে দিলাম। সম্ভবত ভজপুরী হিন্দীতে গালিটা। বাংলাটা বললাম না, ক্লুও দিলাম না বা পুরোটা বললাম না। যেমন একজন বলছে - 'যাইচ তেরো লম্বর লাইনে, ঠেং ভেঙ্গে হাতে ধরায় দিব'। উত্তরে, হ্যাঁ... (তাছিল্য ভরা লম্বা টান), 'ঝাঁ... উখাড়বা'।

ঘন্টা ঘন্টা

ঘন্টা বাজানো বাগানে একটা গুরুত্বপুর্ন ব্যাপার। যারা বাগানে বেড়াতে গেছেন তারা খেয়াল করলে দেখবেন সন্ধ্যা ছ'টা থেকে সকাল ছ'টা পর্য্যন্ত প্রতি ঘন্টায় সময় সংকেত হিসাবে ঘন্টা বাজানো হয়। তিন ধরনের ঘন্টা বাজানো হয় বাগানে। প্রথমটা সময় সংকেতের জন্য এবং এটা হয় জোড়ায় জোড়ায়। বেজোড় সংখ্যার জন্য একটা ঘন্টা। যেমন ৭টার ঘন্টা হবে তিন জোড়া এবং একটা। দ্বিতীয়টা 'কামজারির' - সকালে প্রলম্বিত ধীর লয়ের ঘন্টা, কাজে আসবার আহ্ববান। শুধু অফিসের ঘন্টা বাজানো হয়। তৃতীয় এবং গুরুত্বপুর্নটা 'পাগলা ঘন্টা' - প্রলম্বিত এবং দ্রুত লয়ের। কোন এক জায়গার পাগলা ঘন্টা বাজালে দ্রুত অন্যান্য জায়গার বাজানো শুরু হয়। এর অর্থ কোথাও বিপদ হয়েছে। সবাই অস্ত্র নিয়ে ছুটে আসবে। খুবই কার্যকরী একটা ব্যবস্থা।

ঘন্টা বাজানো নিয়ে একটা ছোট ঘটনা। কয়েক জন ব্যবস্থাপক শীতের এক সন্ধ্যায় লনে বসে চা খেয়ে খেয়ে আড্ডা মারছে। ছ'টা বাজে। চৌকিদার গিয়ে ঘন্টা বাজালো এবং কোন এক কারনে ছটার বদলে সাতটার ঘন্টা বাজিয়ে দিল। আড্ডায় খাকলেও ব্যবস্থাপকের অভিজ্ঞ কানে ব্যাপারটা ধরা পড়ল। রেগে গিয়ে চৌকিদারকে বলল, 'এই কয়টা মারলি'। থতমত খাওয়া চৌকিদার উত্তর দিল, 'সাতটা সাব'। 'এখন ছয়টা বাজে, সাতটা মারলি কেন?' নিরুত্তর ভীত চৌকিদার। হঠাত কী মনে করে আরেকটা ঘন্টা বাজাল। 'এইটা কী হল রে?' - ব্যবস্থাপক অবাক। চৌকিদারের উত্তর, 'মারে করে একটা গিড়ায় দিলাম'। (মেরে একটা ফেলে দিলাম বা কমিয়ে দিলাম)

ব্যবস্থাপনা

চা বাগানে কোথাও কোথাও ব্যবস্থাপনা স্টাফের খুব কড়া বা শক্ত ধাঁচের থাকতে হবে এমন একটা বিষয়কে সবসময় প্রমোট করা হত। (অন্তত পক্ষে ভান করতে হত)। কোন একটা কারনে একটি বিদেশী কোম্পানীর বাগানে দু'জন সহকারী ব্যবস্থাপকের সাথে তিন দিন থাকতে হল। দুজনেই প্রকৌশলী। প্রথমজন বুয়েট থেকে পাশ করা এবং ৩/৪ বছর থেকে আছে, এবং সিস্টেমের সাথে পুরাপুরি অভ্যস্ত হয়ে গেছে। দ্বিতীয় জন, মাত্র কয় মাস হয় যোগ দিয়েছে, অসাধারন একটা ছেলে, কিন্তু 'সমস্যা' আছে। বেশী ভদ্র, শ্রমিকদের সাথে আপনি করে কথা বলে, মার কথা মনে হওয়ার মন খারাপ করে, কবিতা টবিতা জাতীয় জিনিসের প্রতি আকর্ষন আছে। প্রথমজন দ্বিতীয় জনের, যাকে বলে 'মেন্টর'। প্রথমজন আমাকে বলল 'একে দিয়ে হবে না'। এক দিন এক বিষণ্ন শীতের সন্ধ্যায় লনে বসে চা খাচ্ছি, প্রথম জন আমাকে বুঝাচ্ছে, '... ভিসুয়ালাইজ করতে চেষ্টা করুন, পাত্রটা প্রচন্ড জ়োড়ে ঘুরছে, সেন্ট্রিফিউগাল একশনে পাত্রের গায়ের ফুটো দিয়ে...'। দ্বিতীয় জন আনমনা হয়ে শুন্য চোখে তাকিয়ে আছে দিগন্তে । আমি যখন 'ভিসুয়ালাইজ' করতে চেষ্টা করছি, তখন সে সহসাই আমার কাছে জানতে চাইল, আচ্ছা সুমন ভাই, অমিত কেন লাবন্যকে বিয়ে করল না। বড়ো এখানে কী বুঝাতে চাইল। কয়েক সেকেন্ড লাগল আমার বুঝতে। আজ দুপুর থেকে দ্বিতীয় জন শেষের কবিতা দ্বিতীয় বারের মত পড়ছে।

আর যায় কোথায়। প্রথম জন ধরল, বলেছিলাম না। তুমি এই লাবন্য ছাবন্য না ছাড়লে...। দু'বছর পর দ্বিতীয় জনের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। ব্যাঙ্কে চাকরী করছে। ভাল আছে।

ফুলের বাগান

চৌকশ একটা ছেলে, পড়াশুনা করেছে চিটাগাং বিশ্ববিদ্যালয়ে। খেলাধুলা, সাহিত্য, নাটক, প্রেম সবকিছুর সাথেই যোগ ছিল। আড্ডাতেও অসাধারন। কেমন করে জানি ব্রিটিশ কোম্পানীর চা বাগানে সহকারী ব্যবস্থাপকের চাকরীতে চলে এসেছে। প্রায় দু'বছর পর দেখা হয়েছিল। বাংলোর বারান্দায় অনেক ফুলের গাছ। দেখে বললাম 'বাহ্‌। ব্যচেলার বাংলোতে এত সাজানো গোছানো ফুলের বাগান'। রহস্য করে বলল - ভাবীর জন্য। চোখ ছোট করলাম, কিছু মিস করছি মনে হয়? নারে ভাই, বসের বউয়ের ঝাঁড়ির চোটে মনে হয়েছিল লুঙ্গীতে 'কাছা' মেরে কোদাল নিয়ে নিজেই নেমে যাই। ওপস্‌! লুঙ্গীতো নিষেধ। বলে কিনা সাধারন সৌন্দর্য্য বোধ নেই। আচ্ছা বলেন তো এই ফুলের নাম কী? কেন, গাঁদা। অবাক দৃষ্টি দেখে বললাম সিলেটে গেঁন্দা ফুলও বলে, কেন, এটাতো খুব কমন ফুল। দুঃখ করে বলল, ভাইরে, চিটাগাং ফুটলে নাম হয় গাঁদা ফুল, এখানে ফুটলে হয় ম্যারীগোল্ড।

ট্রেন

শুনা গল্প। তখনো ইন্টারসিটি ট্রেন চালু হয়নি। দু'জন সিনিয়র ব্যবস্থাপকের জন্য শ্রীমঙ্গল থেকে ট্রেনের একটা বগি রিজার্ভেশন করা হয়েছে। শীতের রাতে ট্রেনে উঠে শুনে ছাড়তে লেট হবে। বাগান থেকে আসা বেয়ারারের করা বিছানায় লেপ গায়ে দিয়ে দু’জন ঘুম দিয়েছে, গাড়ী চালককে বলেছে ট্রেন ছাড়লে যেতে। সকালে উঠে জানতে চাইল ট্রেন এখন কোথায়? জানা গেল শ্রীমঙ্গলে, রাতে ট্রেন ছাড়েইনি। গাড়ী চালক ও বেয়ারার 'সাব'দের জন্য গাড়ীতে অপেক্ষা করছে।

ট্রান্সফর্মার পরিবর্তন

আবার একটা কঠিন গল্প দিয়ে শেষ করছি। কোন এক বাগানে ইলেক্ট্রিসিটি বিল বকেয়া রয়ে গেছে। ব্যবস্থাপকের সাথে অথরিটির কথা হয়েছে পরের সপ্তাহে অর্ধেক এবং মাসের শেষে বাকী অর্ধেক পরিশোধ করা হবে। এর মধ্যে এক নতুন আসা প্রকৌশলী এসে হয়ত টাকা পয়সা চেয়েছে। ব্যবস্থাপক বলেছে ভাই আমি তো টাকা দিতে পারব না। প্রকৌশলী সিদ্ধান্ত নিল ট্রান্সফর্মার খুলে নিয়ে যাবে। আনেক অনুরোধের পরেও সিদ্ধান্ত অটল। শেষে ব্যবস্থাপক হাল ছেড়ে বলল তাহলে তো আমার কিছু করার নাই। ট্রান্সফর্মার খুলে ফেলেন। আবার শ্রমিকদেরকে জানিয়ে দিল যাতে খুলে না নিয়ে যেতে পারে।

ট্রান্সফর্মারের নিচে শ্রমিকরা দাঁড়িয়ে দেখছে। এক সময় পিকাপের চালককে বলল, ট্রান্সফর্মার খুলে ফেলেন কিন্তু ঐ শালাকে (প্রকৌশলী) ট্রান্সফর্মারের ওখানে লাগিয়ে দিব। তারপর প্রকৌশলীর ভিতর দিয়ে কিভাবে ইলেক্ট্রিসিটি যাবে এসব বিভিন্ন বিষয়ে হাস্য কৌতুক শুরু করল। প্রকৌশলী বেচারা এই এলাকায় নতুন, তার তো অবস্থা খারাপ। শেষে ব্যবস্থাপক এসে সমাধান করল। প্রকৌশলী বেচারা বেজায় খুশি প্রান রক্ষার (!) জন্য।


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

মজা লাগলো।

বিটিআরআইতে দীর্ঘদিন বিভিন্ন মেয়াদের ছুটি কাটিয়েছি। চা-বাগান এক অদ্ভুত মোহময় জায়গা। শেষ গিয়েছিলাম পেশাগত কাজে, বাহুবলের এক চা-বাগানে। দারুণ সুন্দর এক নদী আছে ওখানে, কোরঙ্গি।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

নৈষাদ এর ছবি

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আসলেই এক অদ্ভুত মোহময় জায়গা। বছর দশেক সেখানে কাটানোর পর এই মোহ ছেড়ে আসা কঠিন হয়ে যায়। আবার ছেড়ে আসতে পারলেও বার বার অতীতে ফিরে যেতে হয়।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

অনেক কিছু জানা হলো। ব্যবস্থাপক-শ্রমিকের সম্পর্ক নিয়ে ভাল রকমের অস্বস্তি বোধ হলো।

নৈষাদ এর ছবি

ধন্যবাদ। আমার অস্বস্তি হচ্ছে এই ভেবে যে হাস্য কৌতুককের ছলে একটা নেগেটিভ চিত্র আঁকা হয়ে গেল কিনা। দেখুন হাস্য কৌতুককের ছলে আমি কয়েকটি এক্সট্রিম ঘটনার কথা লিখেছি। সার্বিকভাবে কোন ছবি আঁকতে চেষ্টা করিনি। ভাল থাকুন।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

বেশ উইটি লাগলো। ধন্যবাদ কিছুটা আলোকপাতের জন্য। এমন আরো পেলে আরো খুশ লাগবে ।

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

নৈষাদ এর ছবি

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। চেষ্টা থাকবে।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

ভালো ভালো গল্পের সুন্দর গোছানো সঙ্কলন, বেশ লাগলো।

নৈষাদ এর ছবি

প্রশংসাবাক্যের জন্যে ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

স্বপ্নহারা এর ছবি

জীবনেও চা-বাগানে যাওয়া হয় নাই...মন খারাপ
লেখা পড়ে অনেক কিছু জানলাম...ভাল লাগল খুব!

-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

নৈষাদ এর ছবি

ধন্যবাদ। দেশে আসলে যেতে চেষ্টা করুন, ভাল লাগবে।

অমিত আহমেদ এর ছবি

ভিন্ন বাতাবরণের গল্প। দারুন লাগলো। চা বাগানে আমি দুই বার ক'দিনের জন্য ছিলাম। বাবার বন্ধু ম্যানেজার ছিলেন। হিমু ভাই যেমন বললেন, মহুয়ার মতোই মোহময় জায়গা!

বিয়ে, পোষাক, এসব নিয়ম কোম্পানি থেকে বেঁধে দেয়াটা খুবই কটু ব্যাপার। আর ওখানে ব্যবস্থাপক-শ্রমিকদের-কর্মচারিদের যে রাজা-প্রজার সম্পর্ক সেটা আগেও দেখেছি।

ভাই আপনি এই সিরিজটা চালিয়ে যান।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল

নৈষাদ এর ছবি

প্রশংসাবাক্যের জন্যে অশেষ ধন্যবাদ। বিয়ে, পোষাক, এসব নিয়ম কোম্পানি থেকে বেঁধে দেয়াটা খুবই কটু ব্যাপার - অবশ্যই সহমত। কিন্তু এই 'রুলিং কাস্ট' তৈরী করবার জন্য এধরনের চেষ্টা তো অনেক আগের। 'সি,এস,পি' অফিসার তৈরীর সাথে এসবের অনেক কিছু জড়িত ছিল।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।