'হঠাৎ মুসলমান' বলে একটা কথা ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদাকে বিতর্কিত করেছিল সংসদে। জামাত শিবির নিয়ে লিখতে গিয়ে এই শব্দটা মাথায় এলো। আমি কঠিনভাবে বিশ্বাস করি বাংলাদেশে জামাতের প্রসারের অন্যতম কারন এই 'হঠাৎ মুসলমান'গন। নীচে দুটো সাধারন ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার উদাহরন দিলাম-
এক.
আমার প্রতিবেশী একটি পরিবার। জীবনে কোনদিন ধর্মের ধার দিয়েও ছিল না। আমোদ ফুর্তিতে দিনযাপন করতো। নারীপুরুষ নির্বিশেষে হৈ হুল্লোড়ে থৈ থৈ করতো যে কোন উৎসব পার্বনে। একদিন ওই বাসায় এক লজিং মাষ্টার প্রবেশ করলো। তার কদিন পর লজিং মাষ্টারের সুত্র ধরে এক বোরকাওয়ালীর প্রবেশ ঘটলো। এর কয়েকদিন পর ওই বাসা থেকে দুজন তিনজন করে বোরকাওয়ালী বের হতে লাগলো। একদিন পুরো বাসাটাই ঢেকে গেল বোরকায়। কারন কি? কারন ওই বাসায় যে লজিং মাস্টারের আগমন ঘটেছিল তিনি মওদুদীর ভাবশিষ্য। লজিং মাষ্টার ছাত্রছাত্রীদের মাথা খাবার পর বোরকাওয়ালীকে দিয়ে বাচ্চাদের মার মাথাও খেয়ে নিয়েছে অবলীলায়। ধর্মহীন ওই পরিবারে সেই মাষ্টারমশাই প্রথম ধর্মের বাতি জালিয়েছিলেন। এবং মওদুদীর জ্বালানীতেই সেই বাতি জ্বলেছিল। প্রতিবেশী পরিবার শীঘ্রই ইসলামের নামে মওদুদীবাদের ভক্ত হয়ে অতীত উচ্ছৃংখলতার পাপমোচনের চেষ্টা করে। কঠিন জামাতী পরিবারে পরিনত হয় শীঘ্রি। এই পরিবার থেকে জামাত শিবির বাদে অন্য কিছু বের হবার সম্ভাবনা কি আছে?
দুই.
আরেক ঘনিষ্ট এক বন্ধুর পরিবার। বন্ধু জামাত পছন্দ করে না। কিন্তু জিয়ার আদর্শের প্রতি দুর্বলতা আছে। তবে সরাসরি রাজনীতি করে না। পরিবারে রাজনীতির কোন ব্যাপার নেই। ভাইবোন সব আধুনিক। কিন্তু ২০০১ সালে জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর বন্ধুর বাসায় এক বোরকাওয়ালী প্রতিবেশিনীর আগমন ঘটে। বন্ধুকে আমি সাবধান করি। বোরকাওয়ালী জামাতী মহিলা। কিন্তু বন্ধু হাসে, বলে মহিলা রাজনীতি নিয়ে আলাপ করে না। মাকে ধর্ম নিয়ে পাঠ দেয়। কোরান শেখায়। আমি তবু আস্বস্ত হতে পারি না। কিছুদিন পর বন্ধুর আধুনিকা মাকে কালো বোরকায় চক্ষুকর্ন আচ্ছাদিত দেখে বুঝলাম রক্ষা হলো না। বন্ধু তরল কন্ঠে বললো 'বাসায় এখন ধর্মকর্ম ভালোই হয়। ওই খালাম্মা সবাইকে ট্রেনিং দিয়েছে। ভালো হয়ে যেতে পয়সা লাগে না। তোর বাসায়ও যাবে।'
আমি বন্ধুর কথা শুনে হিম হয়ে গেলাম। আমার বাসায়ও গিয়েছিল দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে। কিন্তু আমার বাসায় আগেই দ্বীনের বাপ বসা ছিল বলে সুবিধা করতে পারেনি। তবে আমার বাসায় না পারলে কি হবে। আর তিন বন্ধুর বাসায় সাফল্যের মুখ দেখলো জামাতি মহিলা। তবে ওই তিন বাসায় জামাতি মহিলা নিজে যায় নি। প্রথম বন্ধুর মাকে ট্রেনিং দিয়ে পাঠিয়ে কাজটা আরো সহজে করেছে। একটা লক্ষ্যনীয় ব্যাপার হলো ওই তিন বন্ধুর পরিবারও জিয়ার আদর্শে দুর্বল ছিল। ভোট দেয় ধানের শীষে। তখন জোট সরকার ক্ষমতায় বলে ওরা জামাতকে বাইরের মনে করতো না। এভাবেই দাড়িপাল্লা ধানের শীষের জায়গায় বসে গেল।
এরকম আরো অনেক উদাহরন আছে। বাংলাদেশে জামাত শিবিরের সম্প্রসারন হবার বহুল প্রচলিত পদ্ধতির অন্যতম এগুলো। জামাত বাংলাদেশে নানা রূপে নানা কায়দায় ছড়াচ্ছে। রাজনীতির ময়দানে জামাতের উচ্চকন্ঠ তেমন শোনা না গেলেও ঘরে ঘরে এই কাজগুলো করে যাচ্ছে নিরুপদ্রপভাবে। ওই তথাকথিত ধর্মভীরু(আসলে অধার্মিক/বকধার্মিক) মানুষগুলোর প্রশ্রয়ে গোকুলে বেড়ে উঠেছে ভাইরাস জামায়াত ও শিবির।
বাংলাদেশে আইন করে জামাতের মতো দলগুলোর সম্প্রসারন রোধ করা যাবে না। কারন এরা পরজীবি ও সংক্রামক। এদের প্রবৃদ্ধি রোধ করতে হলে, এদের নির্মূল করতে হলে মানুষকেই সচেতন হতে হবে। আমাদের দেশের সাধারন পরিবারগুলো যদি সচেতন হতো এই ভাইরাসগুলোর স্পর্শ বাচিয়ে চলতে পারতো। যদি বুঝতো জামাত ও ধর্ম দুটো জিনিস ভিন্ন। তাহলে বাংলাদেশের মাটি থেকে তাদের শেকড় উপড়ে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়া কোন ব্যাপার হতো না।
মন্তব্য
অসংখ্য ধন্যবাদ নীড় সন্ধানী। আমি আপনার বক্তব্যের সাথে সম্পূর্ন একমত।
মওদুদীবাদ মানবতার শত্রু, আমাদের জাতির জন্য এক বিরাট হুমকি । এর মূলোৎপাটন করতে না পারলে আমাদের অস্তিত্ব টেকানোই দুঃসাধ্য হয়ে যাবে।
সবচেয়ে ভয়ংকর হলো মওদুদীবাদকে ইসলাম হিসেবে চালিয়ে দেয়ার জন্য এরা খুব ছোট বাচ্চাদের ভেতর বীজটা বপন করে। একসময় ছিল ফুলকুঁড়ি আসর। কিন্তু ফুলকুঁড়ি জামাত শিবিরের প্রতিষ্ঠান বলে সাধারন মানুষ সাবধান হবার সুযোগ পেত। তাই পরবর্তীতে জামাতীরা নতুন ফন্দী বের করে। নতুন ফন্দীতে এরা পাড়ায় পাড়ায় কিন্ডারগার্টেন স্কুল প্রতিষ্ঠা করে সেই স্কুলে সুক্ষভাবে ধর্মশিক্ষার নামে মওদুদীবাদের আদর্শগুলো ঢুকিয়ে দেয় কচি কচি মাথাগুলোতে। তৈরী করে জামাতের প্রতি এক ধরনের কোমল মনোভাব। ব্যস, কাজ শেষ। সহজ হয়ে পড়ে পরবর্তী কাজ চুড়ান্ত মগজ ধোলাই।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
সহমত। আমরা যখন আরেকটু ছোট ছিলাম, এসএসসি দেয়ার সময়। ঐ সময় শিবির এই 'ফুলকুঁড়ি' টাইপ কথা বার্তা বলে, ফুটবল/ক্রিকেট টুর্নামেন্ট স্পন্সর করে - এলাকায় একটা ভাবধারা আনতে চাইসিলো। আমগো পোলাপাইন সতর্ক ছিলো, তাই কিছুদিন ঘাঁটায়া বিদায় নিসিলো সেইবার।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
রাজনীতির ময়দানে জামাতের উচ্চকন্ঠ তেমন শোনা না গেলেও ঘরে ঘরে এই কাজগুলো করে যাচ্ছে নিরুপদ্রপভাবে। ওই তথাকথিত ধর্মভীরু(আসলে অধার্মিক/বকধার্মিক) মানুষগুলোর প্রশ্রয়ে গোকুলে বেড়ে উঠেছে ভাইরাস জামায়াত ও শিবির।
আপনার এই কথার সাথে একমত । তবে বিএনপি দেশ থেকে শেষ না হলে জামাতের বীজ শেষ করতে পারবেন না। বিএনপি আর জামাতের মাঝে খুব বেশী পার্থক্য নেই। দেশে জামাত নির্মুলের বেশ কয়েকটি চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে এই বিএনপির কারণে।
বিএনপির সাথে জামাতের ক্রমহ্রাসমান দুরত্বটা একটা বড় সমস্যা। ২০০১ সাল থেকে যেটাকে চুড়ান্ত একীভুত হওয়ার পথে রয়েছে মনে হয়। আরো দশ বছর পর হয়তো জামাত আর বিএনপি আলাদা দল থাকবে না। দুটি মিলে নতুন মুসলিম লীগ হবার সম্ভাবনা প্রবল।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষদ্ধ ছাড়া আর কোনভাবেই জামাতকে প্রতিহত করা সম্ভব না।
কানা বাবা
নিষিদ্ধ করে প্রতিহত করার চেয়ে সামাজিক সচেতনতা, মওদুদীবাদ ও ইসলামের মধ্যে পার্থক্য ইত্যাদি প্রচারনায় বেশী কাজ হবে বলে আমার বিশ্বাস। আমি ব্যক্তি পর্যায়ে সেটা করি। রাষ্ট্রও যদি আমার সাথে থাকতো তাহলে মানুষকে প্রভাবিত করতে পারতো না। বিরাট সংখ্যক মানুষ জামাতের একাত্তরের ভুমিকায় আপত্তি করে, কিন্তু জামাতের মওদুদীবাদ নিয়ে আপত্তি করে না। ওটা জামাতের এতদুর আসতে পারার অন্যতম কারন।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ধন্যবাদ ভাইয়ে শিবিরের প্রচারণার বিষয়ে নিজের কিছু অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আমার এখনো গা শিউরে উঠে সেই জিনিসটি মনে করে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশে পাশের দেয়ালে এই লেখাটি দেখা যেতঃ " আমরা হব তালেবান, বাংলা হবে আফগান"। আমার কথা হচ্ছে জে এম বি, হিজবুত্তাওহীদ, শিবির সব এক এরা মৌলবাদী, এরা মানুষের ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে। ধর্ম মানুষের আত্মার শান্তির জন্য, সেটাতে জোর খাটেনা। আজকে থেকেই এদের এই গোপন আর চতুর প্রচারণার বিরুদ্ধে আমরা জোর প্রচারণা না চালালে একদিন এর জন্য সবাইকে ভুক্তভূগী হতে হবে।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আমরা হব তালেবান, বাংলা হবে আফগান - এই শ্লোগানে আমি শিউরে উঠার চেয়েও বেশী কিছু হয়ে যাই। কতটা কুপমন্ডুক হলে এরকম স্লোগানে আস্থা রাখা যায়। এই শ্লোগানে বিশ্বাস রাখা শিক্ষিত মানুষ যে এদেশে অনেক আছে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আইন করেই ধর্মের নামে অধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। মানুষ কবে সচেতন হবে সেই আশায় বসে থাকার কিছু নেই। পোস্টে ৫ তারা।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
সারা দুইন্নাজুড়া মানুষ ধর্ম নিয়া রাজনীতি করতেছে। আপনাদের বাপ,দাদারা ভাগই হইছিলেন ধর্মকে কেন্দ্র কইরা। উপমহাদেশের গত একশো বছরের ইতিহাসই যেখানে ধর্মভিত্তিক সেখানে জামাত-শিবির ধর্ম নিয়া রাজনীতি করলে আপনাগো গা জ্বলে ক্যান?
আপনি ক্লাসিক ...।
আমাদের বাপ দাদারা ভুল করেছে বলে আমদেরকেও করতে হবে?
পুরোপুরি সত্য না হলেও কথা ঠিক। এর এজন্যই আমরা পিছিয়ে আছি। এক ধর্মকে অন্য ধর্মের বিরুদ্ধে লাগিয়ে এই উপমহাদেশের ইতিহাস গড়ে উঠেছে। কিন্তু এটিত আমাদের জন্য ইতিবাচক নয় আর সেজন্যই গা জ্বলে।
এই কথাটি মানিনা। উদাহরন হিসেবে আপনিও খুব বেশী খুঁজে পাবেননা।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আরেফ সাহেব নিজের জামাতি বাপদাদা দিয়াই দুনিয়া মাপেন। সেই হযবরল-র উদোর ফিতার মতো অবস্থা, যা মাপে ছাব্বিশ ইঞ্চি হয়।
আরেফ সাহেব, আপনার কথা শুনে মনে হলো সারা দুনিয়াতে এইডস হলে আমাদেরও হতে হবে!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
তুমি কে হে ভাই ??
তুমার অটোগ্রাফ নিবার চাই ... ! ! !
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
ভাল লাগল...ধর্মের ব্যাপারে মানুষ বড় বেশি সংবেদনশীল, তাই ওটাকে পূঁজি করা খুব সহজ। এভাবেই এরা সূঁচ হয়ে ঢুকে বটগাছ হয়ে বের হয়! যেভাবে এই নব্যধার্মিকরা বেড়ে চলেছে...তাতে ভবিষ্যতে আমরা বাংলাকে আসলেই আফগানরূপে দেখতে পাব।
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
আমার ধারণা ছিলো অতিথিদের মন্তব্য মডারেটেড হয়। আরিফের এই মন্তব্য প্রকাশ হলো কীভাবে? বাকস্বাধীনতার নামে মৌলবাদের ধ্বজা উড়তে দেওয়ার দরকার সচলে আছে কি?
মন্তব্যে আপত্তি জানালাম।
আপত্তির কী আছে ? মত প্রকাশ করেছে মাত্র ।
আর শুনতে যতই খারাপ লাগুক, কিছু কথা ঠিক বলেছে । আমাদের (সম্পূর্ণ উপমহাদেশের সবার) বাপ-দাদারা খাইষ্টা ছিল, ধর্মের নাম করে কত রকম বাল ছিঁড়েছে সবাই জানে । আমরাও ছিঁড়ছি ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
লেখাটা খুব ভাল লাগল।
আপনি যে সমাধানের কথা বলেছেন---সেইটাতেও একমত।
কিন্তু প্রশ্ন--কীভাবে সম্ভব?
অনেকে বলেন দেশে শিক্ষার প্রসার ঘটালে মানুষ এত বেশি কূপমন্ডুক হয়ে থাকবে না। তার জ্ঞান-চক্ষুর উন্মীলন ঘটবে। সে ধর্মের ভেতরের অন্ধকার দিকগুলো বাদ দিয়ে আলোকময় দিকগুলো আপন করে নেবে।
মুস্কিল হল---এমন তো ঘটছে না। শিক্ষা পাওয়া মানেই যে একজন আধুনিক ও উদারমনস্ক মানুষে পরিনত হবেন---এমন আশা করা দূরাশা। বরং উলটো দেখা যায়---লেখা পড়া করে সে লোক জ্ঞান-পাপীতে পরিনত হয়েছে। তখন সে সর্বনাশ করে একজন সাধারণ অশিক্ষিত লোকের চেয়ে অনেক বেশি পরিমানে।
এর উদাহরণ এত বেশি যে আলাদা করে কিছু বলার প্রয়োজন দেখছি না। শুধু আমার খুব ক্ষেদের একটা জায়গা উল্লেখ করি। ডঃ শমসের আলী। ইনি আসলেই একজন তীক্ষ্মধী মানুষ। অনেক পড়াশোনা। একজন অসাধারণ বাগ্মী। কিন্তু প্রতিভাটা তিনি খরচ করলেন টিভিতে বিগ-ব্যাং এর 'ইসলামিক' ব্যাখ্যা দিতে দিতে।
এখন আমি যদি কাউকে কিছু বুঝাতে যাই---সে তো চট করে শমসের স্যারের উদাহরণ টেনে আনবে। বলবে, তুমি তার চেয়ে বেশি জানো মিয়া? এর একটা উত্তর হয়ত দেয়া যায়। কিন্তু আখেরে কোন লাভ নেই।
তাহলে উপায়টা কী?
'শিক্ষিত' করেও যদি মানুষ কে আঁধারের পথ থেকে সরানো না যায় তাহলে কী দিয়ে সরানো সম্ভব? আমার তো মনে হয় আজ থেকে পঞ্চাশ-ষাট বছর আগে গ্রামে আমার যে ধর্মপ্রাণ ফুফা থাকতেন--তিনি এখনকার যে কোন উচ্চশিক্ষিত 'ধার্মিক' লোকের চেয়ে মুক্তমনা ছিলেন, হাজার গুন অসাম্প্রদায়িক ছিলেন!!
আসলেই, তাহলে উপায় কী??
জ্ঞানপাপী দুরকমের। একদল হলো জেনে শুনে চাঁদকে সূর্য বলবে। আরেকদল আছে কালারব্লাইন্ড। যারা সবুজকে নীল দেখে, নীলকে সবুজ দেখে। শমশের আলীরা কালারব্লাইন্ড টাইপের। আমাদের দেশে শিক্ষিত মানুষের মধ্যে শমশের আলী টাইপ পাপীই বেশী। সময়ে অসময়ে এরাই তথাকথিত ইসলামী বিপ্লবের হাত শক্তিশালী করে। শমশের আলীদের বদলানো যাবে না। কিন্তু যারা বর্নান্ধ নয় তাদেরকে বিভ্রান্তির হাত থেকে রক্ষা করা যাবে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
খুব সুন্দর আর সময়োপযোগী লেখা, লেখায় , খুব ভালো লেগেছে, আশা করব আপনার মত আরো অনেকে এগিয়ে আসবেন এবং অন্যদের হুশিয়ার করবেন, কিভাবে এই নরপশুরা ধর্মের নামে মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাদের মগজ ধোলাই করে। আর সচলের সবাইকে আবারো বলব, তারা যেন এসে তাদের জানা ঘটনাগুলো শেয়ার করেন।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আপনার লেখাটা পড়ার পর থেকেই মাথায় অনেক ঘটনা ঘুরঘুর করছিল। খানিকটা দিলাম আজ।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
"যদি বুঝতো জামাত ও ধর্ম দুটো জিনিস ভিন্ন। তাহলে বাংলাদেশের মাটি থেকে তাদের শেকড় উপড়ে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়া কোন ব্যাপার হতো না। "
একদম খাঁটি কথা, জামাত ও ধর্ম দুটো ভিন্ন জিনিস ।
আমাদের দেশে যারা ধর্ম ভালবাসেন এবং জামাতকে ঘৃণা করেন (অর্থাত্ প্রায় সমগ্র বাংলাদেশ), দুঃখজনক হলেও তাদের অধিকাংশের ধর্মীয় তত্ত্বজ্ঞান সীমিত। এর মাঝে অনেক প্রচন্ড ধর্মপ্রাণ মানুষও পড়েন। সবাই বোঝেন জামাত ও ধর্ম দুটো আলাদা জিনিস, তারপরও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জামাতীদের তোপের মুখে তারা টিকে উঠতে পারেন না। অনেকে দ্বিমত পোষণ করতে পারেন, তবে আমি মনে করি জামাতকে হারানো সম্ভব একমাত্র তাদের খেলাতেই, ধর্ম সম্মন্ধে সচেতনতা অর্জনের মাধ্যমে ; অন্য যেকোন ধরণের প্রক্রিয়াতে তারা আরও শক্তিশালী হবে । ৯/১১ পর পশ্চিমা বিশ্বে বসবাসরত মুসলমান সমাজ কিছুটা আত্মানুসন্ধান আর কিছুটা প্রতিবেশি আর মিডিয়ার প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে ইসলাম সম্মন্ধে অনেক সচেতন হতে শুরু করেছে । লেখালেখি, বই পড়া, সেমিনার বেড়েছে শতগুন। দেশে এরকম হলে জামাতের বাজার হারাতে শুরু করবে, ধীরে ধীরে অপ্রাসঙ্গিক একটা সংগঠনে পরিণত হবে ।
মুখভেদে একই কথা ভিন্ন অর্থ নেয়। সাধারণ ধর্মভীরু মানুষের কাছে "জামাত ও ধর্ম দুটো জিনিস ভিন্ন" কে বলছেন -- একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ না একজন ধর্ম থেকে দূরে থাকা মানুষ -- সেটা প্রাথমিক বিবেচনায় আসে। দেখা যায় জামাতের বিপক্ষে সোচ্চার অনেকে ধর্ম থেকে দূরে থাকা মানুষ । এর মাঝে কেউ কেউ জামাত ও ধর্ম দু'টোর সমালোচনা করেন একই কাতারে । আর ব্যক্তিগতভাবে ধর্মেবিশ্বাসী না হয়ে যারা ধর্মের ব্যাপারে শ্রদ্ধাশীল তারাও অনেক সময় সম্পূর্ণ সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পার্থক্যগুলো গুলিয়ে ফেলেন । তাই জামাতের বিষয়ে তাদের অনেক সমালোচনা বস্তুনিষ্ঠ হয়েও পূর্ণ কাঙ্খিত ফল দেয় না, বরং জামাত সেগুলো তাদের প্রপাগান্ডাতে কাজে লাগায়। ঠিক একই কারণে সহমত হয়েও অনেক ধর্মীয় মানুষ জামাতবিরোধিতায় তাদের সাথে সুর মেলাতে দ্বিধাবোধ করেন।
খুবই সুন্দর বলেছেন।
এটা একটা বড় দুর্বলতা এবং এই দুর্বলতা ও এই অজ্ঞানতা জামাতের অন্যতম বড় শক্তি।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আমার একটা পর্যবেক্ষন আছে। সেটি হচ্ছে স্বাধীনতার পরে আমাদের দেশে পশ্চিম পাকিস্তানী উচ্চবিত্তরা চলে গেলে যে শূন্যতা তৈরী হয় সেখানে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের একটা অংশ দ্রুত জায়গা নিয়ে নেয়। বিশেষ করে গার্মেন্টস শিল্প থেকে উঠে আসা লোকগুলোর মাঝে গার্মেন্টস ও লিংকেজ প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের অনেকেই অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত । এই গ্রুপের অনেকেই আজ থেকে দশ বছর আগেও কোথাও দারোয়ান অথবা স্টোরকিপার জাতীয় চাকুরি করতো, কিন্তু এখন তাদের কাছে কোটী কোটী টাকা।
এরা সবসময়ই এক ধরনের অনিশ্চয়তায় ভুগে , এরা অনেকটাই নিয়তিবাদী। আগে এরা পীরদের দরবারে ধর্ণা দিত, কিন্তু এখন এরা জামাতিদের সহজ টার্গেটে পড়ছে। জামাতি সার্কেলে গেলে বানিজ্যিক সুবিধা হচ্ছে ইসলামী ব্যাংকের ঋণ, তাছাড়া সামাজিক ভাবে একটা পরিচিতি থাকে নিজেদের মাঝে। এই জিনিষগুলো তাদেরকে আকৃষ্ট করছে।
আমি ঢাকা শহরের অজস্ত্র নব্য বড়লোকদেরকে চিনি যারা প্রত্যেকে গ্রামে একটা করে এতিমখানা নয়তো মাদ্রাসা দিয়েছে, কিন্তু এমন খুবই কম মানুষের কথা শুনি যারা গ্রামে হাসপাতাল কিংবা স্কুল করেছে অথবা গ্রামের মানুষদেরকে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক কোন শিল্পে জড়িত করেছে।
গ্রামে মাদ্রাসা বা এতিমখানা দেয় যেসব নব্য ধনী তাদের ব্যাপারে আপনার অবজারভেশান ঠিক আছে। কিন্তু আমার অবজারভেশানে একটু ভিন্নতা আছে। যেসব নব্যধনী নিজের টাকায় গ্রামে এতিমখানা বা মাদ্রাসা দিচ্ছে, এরা সাধারনত অশিক্ষিত শ্রেনীর ধনিক। আমি যদ্দুর দেখেছি এ জাতীয় লোকগুলো জামাতের হাতে পড়ে কম। এটা অবশ্য আমি চট্টগ্রামের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।
এখানে দেখা গেছে একটু চতুর শ্রেনীর শিক্ষিত লোকেরা জামাতের শিকার হয় বেশী। জামাতীরা নিজেদের একটু এক্সট্রা শিক্ষিত মনে করে এবং সে কারনে তাকে সংগঠন থেকে যা গেলানো হয়েছে তার চেয়ে অন্য কিছু পড়তে চায় না। বাকী সব বেদাত।
যেসব মাদ্রাসা বা এতিমখানা জামাত সমর্থিত, তাদের ক্ষেত্রে দেখবেন সোর্স অব ফান্ড সবসময় অদৃশ্য বা রহস্যময় হয়। আমি গ্রামাঞ্চলে চকচকে কোন মসজিদ মাদ্রাসা দেখলে নিজ থেকে একটা গবেষনা করি। বের করার চেষ্টা করি অর্থটা কোথা থেকে এসেছে। বেশীরভাগে ক্ষেত্রে দেখেছি, মধ্যপ্রাচ্য। জঙ্গীবাদের চর্চাও হয় এই জাতীয় মাদ্রাসাগুলোতে। জামাতের নামে বদনাম থাকায় তারা এসব প্রতিষ্টানে কখনোই সরাসরি নামে জড়িত থাকে না। তাদের অনেকগুলো এলায়েন্স আছে নানারকম নাম দিয়ে। কোনটা সমাজসেবা, কোনটি চিকিৎসা সেবা, কোনটা এনজিও। আবার যেসব এলাকায় পীরবাদ জনপ্রিয়(যেমন সাতকানিয়া) সেখানে পীরবাদ পদ্ধতিতে।
মোদ্দাকথা ওরা খুব ভালো করে রপ্ত করেছে কোন বরশীতে কোন মাছ ধরতে হয়। আর আমাদের কাজ হবে জনগনকে বড়শীগুলো সম্পর্কে সাবধান করা।
আর কোথায় যাবো এতযুগ ধরে খোদ বায়তুল মোকাররম মসজিদ দখল করে রেখেছিল জঙ্গীসমর্থক গোষ্টীর খারেজী ইমামগন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শেষদিনে যার অবসান ঘটে এবং বায়তুল মোকাররমে জুতা মারামারির মহোৎসব করে খারেজী মাদ্রাসাগোষ্টী। ওইসব খারেজীগোষ্টী জামাতেরই ভিন্নরূপ। ওরা ইসলামী ফাউন্ডেশান খেয়েছে, বায়তুল মোকাররম খেয়েছে, কাকরাইল মসজিদতো তাবলিগের নামে ছদ্মজামাতের আস্তানা। আমাদের দেশের বহুমানুষ জানে না তাবলিগের ছদ্মবেশে জামাত কি পরিমান প্রসার লাভ করেছে। অথচ খোদ প্রধান মন্ত্রী পর্যন্ত তাবলীগের মহাসম্মেলন ইজতেমায় মোনাজাত করার জন্য কাড়াকাড়ি করে।
এভাবেই যে কোন সরকারকেও পকেটে ভরে রাখে জামাত কোন কোন সময়। বাধ্য করে নতজানু হতে। গনতন্ত্রের অন্যতম চরিত্র হলো সবাইকে খুশী রাখার চেষ্টা করা। জামাতীরা ভিন্ন ভিন্ন নামে গনতন্ত্রের নিরাপদ ছায়াতলেই বেড়ে ওঠেছে, উঠছে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
কথা সেটাই।
তবে আশার কথা হচ্ছে , জনগন তাদের চাইতে অনেক বেশি সচেতন।
আপনি পহেলা বৈশাখে ঢাকায় যে জোয়ার দেখেন , বা সারা বাংলাদেশেই ; এটা কিন্তু তেমন করে আমি দেখিনি আজ থেকে ১৫ বছর আগেও।
মানুষের মাঝে অসাম্প্রদায়িকতার চর্চাটা এখন অনেক বেশি গনমুখী বলে ভাবতেই আমি পছন্দ করি।
আর আপনি যেকথা বলেছেন যে বিএনপির প্রতি সফট লোকেরা জামাতের দিকে ঝুকে পড়ছে, সেক্ষেত্রে আমার কথা হচ্ছে ২০০১ সালের পরে জামাত বিএনপিকে অথবা বিএনপি জামাতকে খাবে; এমনটাই তো কথা ছিল।
দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কোন ব্যানার টিকে থাকে।
ভালো পোস্ট, এবং মন্তব্যগুলোও সুন্দর হচ্ছে। সবাইকে ধন্যবাদ। প্রবাসে যেহেতু আছি তাই রানা'র মন্তব্যে একমত জানাচ্ছি। ধর্মকে দূরে ঠেলে দিয়ে নয় বরং ধর্মীয় জ্ঞান প্রসারের মাধ্যেমই জামাতের ভন্ডামী ঠেকানো সম্ভব।
"বাংলাদেশে আইন করে জামাতের মতো দলগুলোর সম্প্রসারন রোধ করা যাবে না। কারন এরা পরজীবি ও সংক্রামক। এদের প্রবৃদ্ধি রোধ করতে হলে, এদের নির্মূল করতে হলে মানুষকেই সচেতন হতে হবে। আমাদের দেশের সাধারন পরিবারগুলো যদি সচেতন হতো এই ভাইরাসগুলোর স্পর্শ বাচিয়ে চলতে পারতো। যদি বুঝতো জামাত ও ধর্ম দুটো জিনিস ভিন্ন। তাহলে বাংলাদেশের মাটি থেকে তাদের শেকড় উপড়ে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়া কোন ব্যাপার হতো না।"
চরম সত্যি কথা । কথাগুলো আসলে একটা উপলব্ধি । এই উপলব্ধিটা ছড়িয়ে দিতে পারলেই জামাতী অগ্রগতি রুখে দেয়া যাবে ।
১০০ ভাগ সহমত!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
বেশ দেরিতে পড়লাম। আপনার মূল বক্তব্যের সাথে সহমত জানাই। ঘটনাগুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
দ্বীনের বাপ এর জন্য জামায়াত সুবিধা করতে পারেনি , শুনে ভালো লাগলো । এরকম বাপ থাকা ভালো । কিন্তু গল্পগুলো একটু সেকেলে মনে হলো । একজন লিখলেন - "ডঃ শমসের আলী আসলেই একজন তীক্ষ্মধী মানুষ। অনেক পড়াশোনা। একজন অসাধারণ বাগ্মী। কিন্তু প্রতিভাটা তিনি খরচ করলেন টিভিতে বিগ-ব্যাং এর 'ইসলামিক' ব্যাখ্যা দিতে দিতে"। এই লোকই ডঃ শমসেরের ব্যখ্যা না শুনলে বলতো - ইসলাম একটি ব্যাক ডেটেড ধর্ম । অনিকেত মন্তব্য করেছেন - "আপত্তিটা হল---বিজ্ঞানের 'ধর্মীকরণের' প্রক্রিয়ায়। বিজ্ঞানের জায়গায় বিজ্ঞানকে রাখা উচিত"। যারা ইসলামের জ্ঞান রাখেন তারা বিজ্ঞানেও সমপারদর্শী । ধর্ম ও ইসলাম ধর্ম দুটি ভিন্ন জিনিষ । অন্য ধর্মীয় গ্রন্হের সংগে বিজ্ঞানের অসংখ্য বিরোধ , সেখনে কোরআনের সামান্যতম বিরোধ নেই । নীড় সন্ধানী লিখেছেন - "তাবলিগের ছদ্মবেশে জামাত কি পরিমান প্রসার লাভ করেছে। অথচ খোদ প্রধান মন্ত্রী পর্যন্ত তাবলীগের মহাসম্মেলন ইজতেমায় মোনাজাত করার জন্য কাড়াকাড়ি করে"। এরকম ভুল তথ্য দিয়ে বাহবা পাওয়া যায় কিন্তু নিজের সংগে প্রতারনাই হয় । তাবলীগ পন্হীরা শুধু জামায়াত বিরোধি নয় , তারা রাজনীতি বিরোধি এমনকি অনেকে ভোট দিতেও অনাগ্রহি ।বিপরীতে জামায়াত তাবলীগের চিল্লা প্রথাকে সমর্থন না করলেও যেহেতু তারা নিরবে ধর্ম প্রচার করে , তাই বিরোধিতা করে না । ধর্মকে জানতে হলে কিংবা ধর্মের বিরোধিতা করতে হলে অবশ্যই পড়াশুনা ও ধর্মীয় জ্ঞানের প্রয়োজন । আরিফ জেবতিক জনিয়েছেন - "পহেলা বৈশাখে ঢাকায় যে জোয়ার দেখেন , বা সারা বাংলাদেশেই ; এটা কিন্তু তেমন করে আমি দেখিনি আজ থেকে ১৫ বছর আগেও"। জবাবে বলতে হয় ১৫ বৎসর আগেও ১ লা বৈশাখে সামান্য হলেও আমাদের সংস্কৃতি চালু ছিলো । এখন মূর্তি ও মংগল দ্বীপ সংস্কৃতি জায়গা করে নিয়েছে । বাংলাদেশের আলাদা ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ছিল , সেজন্য পশ্চিমবংগের সংগে মিশে যায়নি । তবে এখন সেই চেষ্টা করা হচ্ছে । রানা লিখেছেন - "জামাতকে হারানো সম্ভব একমাত্র তাদের খেলাতেই, ধর্ম সম্মন্ধে সচেতনতা অর্জনের মাধ্যমে ; অন্য যে কোন ধরণের প্রক্রিয়াতে তারা আরও শক্তিশালী হবে "। কথা যৌক্তিক । জামায়াত নিজেও চায় মানুষ সঠিক ভাবে ইসলামকে জানুক । অন্যের মুখে ঝাল না খেয়ে নিজে চেখে সমালোচনা করুক । মাওলানা মওদুদীও বলেছেন , জামায়াত করা কারো জন্য জরুরী নয় বরং ইসলামী আন্দোলন জরুরী । যিনি মন্তব্য করেন - শমশের আলীরা কালারব্লাইন্ড টাইপের , তার (নীড় সন্ধানী ) নিজের কলার জ্ঞান ও শিক্ষার জ্ঞান কতটুকু সেদিকেও দৃষ্টি দেয়া দরকার ।
এইসব বালছাল কথা পাইছেন কই?
এইটা জামাতি বাল ফালানোর জায়গা না।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
-
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
মহসিন রেজা ভাইয়ের সাথে সহমত পোষণ করছি।আর তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ধৈর্য্যের সাথে সুন্দর ভাষায় এসব কালার ব্লাইন্ডদের সদুত্তর দেয়ার জন্য!
এতদিন পর পিঠ চুল্কাচুল্কি করতে আসলেন ভাইজান?? আপনার জন্য ত্রিমাত্রিক কবি ভাইরেই আবার কোট করি।
নতুন মন্তব্য করুন