কন্যাকে স্কুলে পাঠানোর উপযোগী করতে আমার স্ত্রী বছরখানেক ধরে গলদঘর্ম হচ্ছে 'অ আ ই' '১ ২ ৩' কিংবা 'A B C' ইত্যাদি শেখাতে। বিদ্যাশিক্ষার ব্যাপারে আমার অপটুতা ও অমনোযোগিতার কারনে আমার উপর বিস্তর অভিযোগ তার। কারন আমি বাসায় ফেরামাত্র কন্যার অনুসন্ধিৎসু চোখটা বই-খাতা-পেন্সিল ছেড়ে আমার হাতের মুঠোয়-পকেটে-ব্যাগে লুকানো কিছু আছে কিনা সেদিকেই ঘুরতে থাকে। প্রতিদিন কলিংবেল বাজা মাত্র ভেতর থেকে প্রথম যে তীব্র ধ্বনিটা শোনা যাবে সেটা হলো 'বাবা এসেছেএএএএএএএ' এবং প্রবেশমাত্র দ্বিতীয় বাক্যটা হবে, 'আমা-জন্ন কী এনেছো?'
তুচ্ছ কিছু হলেও আনবো ওর সেই বিশ্বাসটা এত গভীর যে কখনো কিছু আনতে ভুলে গেলেও সে আঁতিপাঁতি করে সবগুলো পকেট তল্লাশী করে কিছু না পেয়ে একটা গোল পয়সাও যদি খুঁজে পায় বলবে, 'বাবা এটা এনেছো আমার জন্ন'? আমি মিথ্যে হলেও বলি, 'হ্যাঁ। আমার যা আছে সব তোমার।' ওর মিষ্টি অশুদ্ধ উচ্চারনে 'জন্ন' শব্দটা আমার ভীষন প্রিয়। ওটা শোনার জন্য আমি নানান বাহানা করি। কেবল এটাই নয় ওর আধো বোলের ভুল উচ্চারনগুলো এত প্রিয় হয়ে গেছে যে ওর সাথে কথা বলার সময় নিজেও ওর মতো করে বলার চেষ্টা করি।
প্রত্যেক বাচ্চার নিজস্ব কতগুলো উচ্চারন থাকে। যা সে নিজ থেকেই আবিষ্কার করে এবং বেশ কিছুদিন মেতে থাকে ওই উচ্চারনে, একসময় আমরাও অভ্যস্ত হয়ে যাই সেই উল্টাপাল্টা উচ্চারনে, ভালোবাসতে শুরু করি সেগুলো। তবে আমরা অভ্যস্ত হতে হতে বাচ্চাটা একসময় সঠিক উচ্চারন শিখে ফেলে যা এতদিন গলদঘর্ম হয়েও শেখাতে পারানি। সঠিক উচ্চারন শিখে ফেলার পর পুরোনো ভুল উচ্চারনগুলো আর পারে না এবং মজার ব্যাপার হলো তখন ভুল উচ্চারনগুলো শোনার জন্যই মন কেমন করে।
দু বছর বয়স থেকেই কন্যা আমার কিছু কিছু শব্দ উল্টো করে উচ্চারন করতো। যে কোন শব্দের মাঝের অক্ষরটাকে নিপুনভাবে শেষে নিয়ে যেতো, শেষের অক্ষরটাকে মাঝখানে আনতো। নির্দিষ্ট কিছু বস্তুর উচ্চারন সেভাবেই করতো। যেমন ওর প্রথম রং চেনা হলো - গোলাপী কিন্তু উচ্চারন করতো 'গোপালী'। আমরা ওটা শুনতে শুনতে ওর সাথে বলতে বলতে এত অভ্যস্ত হয়ে পড়ি যে দোকানে কিছু কিনতে গেলে বলে বসতাম - ভাই ওই গোপালী জামাটা দেন তো? সেরকম আরো কটি শব্দ 'পটেক(পকেট)', 'জিবালা/ জিপালী(জিলাপী)', 'কলমা(কমলা)', আরো কত হাবিজাবি শব্দ।
গুটি গুটি পায়ে বড় হচ্ছে আমার মেয়ে, শুদ্ধ হচ্ছে উচ্চারন। গোপালী না বলে এখন শুদ্ধস্বরে বলে গোলাপী। আগামী বছর থেকে স্কুলেও যাবে হয়তো। আমার খুশী হবার কথা। কিন্তু আমার কানটা তৃষ্ণার্ত হয়ে থাকে ওর আধোবোলের অশুদ্ধ উচ্চারনগুলোর জন্য। বারবার শুনতে ইচ্ছে করে সেই উচ্চারন যা প্রতিদিন দ্রুততার সাথে ভুলিয়ে দিচ্ছে ওর মা দাদী ফুপুরা। কিরকম অদ্ভুত চাওয়া মানুষের!
মন্তব্য
এই যা বস... দিলেন মনটা বাউলা করে। একটু আগেই আমি মা মেয়েকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে এলাম, তারা আজকে নানাবাড়ি থাকবে। নিধিটা আমাকে ছাড়তেই চাচ্ছিলো না। কিন্তু কাজের চাপে ছেড়ে আসতে হলো, মনটা খুব খ্রাপ করে দিলেন।
এইবেলা নিধির মা নূপুরের কাছে কৃতজ্ঞতাটা জানিয়ে রাখি। নিধির এখন প্রায় তিন বছর। এর মধ্যেই সে স্বরবর্ণ, এবিসিডি, একদুইতিনচার শিখে ফেলেছে। ছোটদের ছড়া আর ছড়াগান সবগুলোই তার কণ্ঠস্থ। প্রায় প্রতি সন্ধাতেই তার সঙ্গে আমার ছড়াগানে নাচতে হয়।
আর এই মাস্টারি পুরোটাই নূপুরের... ধন্যবাদ নূপুর...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সেদিন নিধিকে আপনাদের সাথে মেলায় দেখে ঠিক এরকম মন খারাপ হয়েছিল আমারো। আমার কন্যাও সকালে বাসা থেকে বেরুবার পথে 'আমিও মেলায় যাবো, ঢাকা যাবো জুতো পরে রেডী আমি' বলে হাতটা চেপে ধরে লিফট পর্যন্ত এসেছিল। কিন্তু 'এই আসছি' বলে ফাঁকি মারতে হয়েছিল নিরুপায়। আসলে কন্যার বাপ হওয়া কম সৌভাগ্য না।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
সবারই দেখা যায় একই অভিজ্ঞতা আর অনুভূতি
...........................
Every Picture Tells a Story
এই রে! দিল রে আবার কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা।
নাহ্ "সুযোগ চাই প্যারেন্ট হবো" সংঘের কাজ শুরু করে দিতে হবে দেখছি।
আপনাকে বাধা দিয়েছে কেউ বলে তো মনে পড়ছে না! আর কিছুর অভাব থাকলে পোস্ট দেন, দেখি সেটাও যোগাড় করে দিতে সাহায্য করার চেষ্টা করি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সেন্ট মার্টিন অর্থাৎ সমুদ্র যাত্রার গল্পের মধ্য দিয়ে আপনার সাথে পরিচয় হয়েছিল। মাঝে কিছুটা বিরতি, তারপর আবারো ফিরে এসে সবার লেখাগুলো পড়ে বেশ আনন্দ হচ্ছে।
লেখা পড়ে ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ!
পিচ্চিদের এই ব্যাপারটায় খুব মজা পাই। এক পিচ্চি কাজিন ছিল, "বিস্কুট খাই" কে বলত "বুকিস তাই"। এটা শোনার জন্য সারাক্ষণ তাকে জ্বালাতাম। শুনেছি আমি ছোটবেলায় শব্দের মাঝে 'হ' থাকলে সেটা বলতে পারতাম না, 'গ' হয়ে যেত। পাহাড় > পাগাড়, শাহীন>শাগীন। ভাগ্যিস নিজের ভালো নামটা তখনও ঠিক হয় নি।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
(একদিন আমিও)
আপনার কন্যার জন্য অনেক শুভকামনা। লেখা ভাল লেগেছে। কিন্তু আরেকটু মোটাসোটা করলে আরো ভাল লাগতো।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
শিরোনামটাই কী দারুণ - আমাদের 'অতিপ্রিয় অশুদ্ধ উচ্চারণগুলো'! ঠিক
আমি বলতাম, চাকচ কতোও (সাহস কত)
------------------
শান্ত নদী
আমাদের সবার গল্পগুলোই মনে হয় এক। বাচ্চাদের অশুদ্ধ উচ্চারণের মত বিশুদ্ধ জিনিস আর এই দুনিয়ায় নেই।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আহারে আমার ভাগ্নিটা এখন আর নৌকাকে নৈকা বলে না
আগে স আর শ আলাদা করতে পারত না। আমরা ভেঙ্গালে মুখচোখ শক্ত করে বলত শশশাদা। ত আর ট নিয়েও সমস্যা ছিল। একদিন বিকালে বারান্দায় বসে আছি, বলে "কী ঠান্ডা বাটাস!" এখন অনেক খেয়াল করে বাতাস বলে। কিন্তু বাটাস টাই মনে হয় ভাল ছিল।
বাটাস......হাহাহা! সোওওও সুইইট!!
====================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
আমার মেয়েটাও আমার সাথে এরকম অশুদ্ধ উচ্চারণে কথা বলে। তখন কী যে ভালো লাগে! (হে হে, ভবিষ্যতের কথা বললাম আর কি!)
লেখা দারুণ হয়েছে। কন্যাকে আদর জানাবেন। বলবেন, ওর সাথে কখনও দেখা হলে ওর 'জন্ন' আঙ্কেল কিছু কিনে নিয়ে যাবে।
ভালো কথা- শিশুদের এই অশুদ্ধ উচ্চারণ, প্রকাশভঙ্গী ও এই সময়ের আচরণ নিয়ে বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত খাতেমন-আরা-বেগম ও ফেরদৌস হোসেনের একটা বই আছে। নাম 'শিশু'। পড়ে দেখতে পারেন। বোধহয় ভালো লাগবে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আমার ভাতিজার বোল এখনো ফোটে নাই ঠিক মত। দুর্বোধ্য কিছু আওয়াজ আর ঠাস ঠাস শব্দেই বহু আমোদ পাই
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
নীড় সন্ধানী ভাই, খুব ভাল লাগল আপনার লেখাটা। সবার জীবনেই মনে হয় বাচ্চাদের এই অশুদ্ধ উচ্চারনজনিত সুখস্মৃতি আছে।
আমার নাম যখনই কেউ 'কায়েস' উচ্চারণ করে, আমি তীব্র বাধা দিয়ে বলি, এটার উচ্চারন হবে 'কায়েশ'। বলতে বলতে মুখে ফেনা ফুটলেও থামি না, বলতেই থাকি। আমি খুবই সেনসিটিভ এই ব্যাপারে।
সেই আমাকে যখন আমার আড়াই বছরের ভাগ্নী 'কাইস' বলে ডাকে, তখন আমার সেনসিটিভ মনটা কই যায়? আমাকে তো উচ্চারনটা অনাবিল আনন্দ দেয়।
মানুষ আসলেই বিচিত্র জীব!!
====================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
আমার পিচ্চি বোনটা পানিকে বলতো 'মাম' আর অফিসকে 'আপ্পিশ'...
দারুণ লেগেছে লেখাটা!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আচ্ছা এটার রহস্য কি? আমি আগেও দেখেছি অনেক বাচ্চা পানিকে মাম বলে, আমার ভাগ্নিও বলত...
আসলেইইই, এই ব্যপারটা বাচ্চাদের ব্যপারে সার্বজনীন বলেই মনে হচ্ছে! আমার দেখা বেশিরভাগ বাচ্চাই পানিকে 'মাম' বলতো। এর পিছনে রহস্য কী?
---- মনজুর এলাহী ----
মেয়ের বয়স ৪, এখনো মোটামুটি শুদ্ধ উচ্চারনে বাংলা বলে, তবে অক্ষর প্রতিস্থাপন করে ফেলে অহরহ। যেমন সেদিন বলছে, "আমার চুলে কুকুর", আমি চোখ বড় করে তাকালাম, তখন আবার বলে, "ডাকা থেকে চুলে কুকুর এসেছে" আমি টাশকি খাই খাই অবস্থা, তখন বলে, "বাবি, মাথা চুক্কায় দাও"। তখন বুঝলাম, ঢাকায় গিয়ে কারো মাথায় উকুন দেখেছে, সেটার রেফারেন্স হিসাবে তার মাথায় কুকুর। আসলেও আমি আপনার মত কান পেতে বসে থাকি মেয়ের কথাগুলো শুনার জন্যে। তবে প্রচুর ভিডিও করতেছি ৪ বছর ধরে, আর এ সময় তো আর ফিরে আসবে না
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
উফ, উকুনের কথা আর বইলোনা!
================================================
পরদেশী বঁধু, ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।
যদি গো নিশিথ জেগে ঘুমাইয়া থাকি,
ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।।
কেনো? তোমার মাথায় উকুন আছে? তাহলে ইংলিশ সাবান মাখো
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
খুবই খারাপ লাগে এসব মনে পড়লে। ছোটবেলার পুরোটাই যদি ভিডিও করে রাখা যেতো!
অধিকাংশ বাচ্চারাই পানিকে বলে মাম। আমার মেয়ে বলতো এক উদ্ভট শব্দ-- "মাইখা" হা হা...
আমার এগারো মাসের মেয়ে বাবা -মায়ের পর প্রথম শব্দটা শিখলো কানাডা। কানাডা বলতে পারতো না, বলতো'কানানা'। সেই মেয়ে এখন কানানা শুনলে হেসে গড়াগড়ি যায়। বাংলা বলার আপ্রান চেষ্টা সত্যেও কিছু কিছু মজার ভুল করে --আমরা সেগুলো শোনার জন্যেই বারবার একই প্রশ্ন করে যাই...সেই সময়ের কথা ভেবে উদাস হয়ে যাই মাঝে মাঝেই যখন এই ভুলগুলো সে আর করবে না...বড় হয়ে যাবে।
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
আসলে বাচ্চাগুলা বড় হয়ে গেলে ওদের গুদুমগাদুম ছোটবেলা টা এত মনে পড়ে!! সেইদিন হসপিটাল থেকে নিয়ে আসা বাচ্চাটা আজ কত্ত পটপট করে!! আমার দুই মেয়ে কে দেখে দেখে আমার অবাক হওয়া শেষ হয়না।
================================================
পরদেশী বঁধু, ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।
যদি গো নিশিথ জেগে ঘুমাইয়া থাকি,
ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।।
বাচ্চাদের ব্যাপার-স্যাপারগুলোই অসাধারণ। ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
.
___________________________________________
ভাগ্যিস, আমার মনের ব্যাপারগুলো কেউ দেখতে পায় না!
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
বাচ্চাদের ব্যাপার-স্যাপারগুলোই অসাধারণ। ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
.
___________________________________________
ভাগ্যিস, আমার মনের ব্যাপারগুলো কেউ দেখতে পায় না!
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
আমি ভাবছি, আমার এই বয়েস ছিলেন কখনো আপনি, জানিনা বাবা হলে কত কত আনন্দ হয়। আমার ছোত্ত ভাগ্নি আমাকে যখন আল্লাদ করে মামা ডাকে আবদার করে, মা বক্লে আমার কাছে বিচার দেয় তখন বুঝি অবুঝ কারো ভালবাসা, স্নেহ কত গভির হতে পারে। আপনার ও আপনার কোন্যার জন্য দয়া করি। এরকম অনভুতি গুলো প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ।
প্রজাপুত্র
আমি ভাবছি, আমার এই বয়েস ছিলেন কখনো আপনি, জানিনা বাবা হলে কত কত আনন্দ হয়। আমার ছোত্ত ভাগ্নি আমাকে যখন আল্লাদ করে মামা ডাকে আবদার করে, মা বক্লে আমার কাছে বিচার দেয় তখন বুঝি অবুঝ কারো ভালবাসা, স্নেহ কত গভির হতে পারে। আপনার ও আপনার কোন্যার জন্য দোয়া করি। এরকম অনভুতি গুলো প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ।
প্রজাপুত্র
এখন থেকে আর এহেন অতিপ্রিয় 'অশুদ্ধ' উচ্চারণ করা যাবেনা। বাংলা একাডেমী আইন করতেছে। বাচ্চাকাচ্চাদের সাবধান করে দিবেন !
শাহ নেওয়াজ সুপ্রিম
ছোটবেলায় আমি "ভার" কে বলতাম "ধার" আর "জানালা" কে "জালানা"।
আমার এক খালার দুই বাচ্চা।
বড়টা একদম ছোটবেলায় "হরিণ"কে "উরিন", "সিংহ" কে "চিঙ্গু" বলত। "সুইচ" কে বলত "পিকিচ", "ব্যথা" কে বলত "পিকিতা"। এক, দুই গুণতে শেখার পর কোন এক বিচিত্র কারণে "ঊনত্রিশ" কে বলত "উন্তোগদ্দিশ"। ঐ উন্তোগদ্দিশ শোনার জন্যই আমরা বারে বারে ওকে এক, দুই শোনাতে বলতাম। সেটা বুঝে ও বুদ্ধি করে মাঝের অনেকগুলো সংখ্যা টপকে সোজা উন্তোগদ্দিশে চলে যেতঃ এক, দুই, তিন, চার, পাঁচ, উন্তোগদ্দিশ।
আর ছোটটি "রং" কে "লম" বলেঃ "লীল লম","হুলুট লম","গলাবি লম","সুবুজ লম","থাদা লম","বিগুনি লম"। ওর সম্মানে মাঝে মধ্যে আমরাও "লম" বলে ফেলিঃ "একটা লীল লমের দামা কেনা লাগবে।"
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আমার ছোট ভাইটার ছিলো আরেক ধরণের কীর্তি। মাঝে মাঝেই লেখাশেখার সময় সাধারণ অক্ষরগুলোকেও উলটো করে লেখতে থাকত। মাঝে মাঝে বাধা না দিলে লাইনের পর লাইন এমনভাবে লিখে যেত। এখন সবার বকা খেয়ে শুধরে গেছে। তবে আমি ওর সেই ভুলগুলোর কথা মনে করি এখনো, কী জানি- হয়ত কোনদিন ও এম্বিশিল্পি হয়ে উঠে আমাদের সবাইকে চমকে দেবে।
---- মনজুর এলাহী ----
_________________________________________
সেরিওজা
আমার ছোট্ট মামাতো বোনটা খুব রেগে গেলে বলতো 'সুশ সাতামাতা!' কত্তদিন শুনিনা...
-----------------------------------------------------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে আমার প্রাণের কাছে চলে আসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে; সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
নতুন মন্তব্য করুন