• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

ফিওনা- ২ (বাণিজ্যে অলক্ষী)

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: সোম, ১২/০৪/২০১০ - ৯:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথম পর্ব

আরিলের মাথায় তখন ব্যবসার ঘূর্ণি। সে রাতেই সুসিকে খুলে বললো ব্যাপারটা। সুসি ব্যবসা বোঝে না। সে স্কুলে চাকরি করে। তবু মতামত দিল এই ফুলের আবিষ্কারের কথাটা আপাততঃ গোপন রাখতে। চাষাবাদ করে রপ্তানিযোগ্য পরিমান উৎপাদন করার পরই জানান দেয়া হোক। এই ফুলের একচেটিয়া অধিকার তাদের।

ফুলটির নাম কি দেয়া যায়?

আরিল বললো, ফিওনার নামে দিলে কেমন হয়? সুসি রাজী। ঠিক হলো, ফুলটাকে 'ফিওনা' বলেই ডাকবে।

আরো এক বছর কেটে গেছে।

ফিওনার চাষ করা খুব সহজ। মাটিতে পুঁতে দিলেই হয় কোন একটা ডাল। সপ্তাহান্তেই ফুল। পুরো উপত্যকা ভরিয়ে ফেললো এই ফুল দিয়ে। সুগন্ধে মৌ মৌ সমস্ত উপত্যকা। আরিল ইতিমধ্যে তার আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়ে এই ফুলের মালিকানা নিয়ে নিয়েছে পেটেন্ট করে। পুরো লেই শহরে ফিওনার জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়লো। এই জনপ্রিয়তা পোর্ট মোর্সবি ছাড়িয়ে অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডেও ছড়িয়ে গেল। সারা দুনিয়া লেই শহরকে ফিওনা সিটি ডাকতে শুরু করেছে।

লেই শহর ১৯৩৭ সালের পর আর কখনো বিশ্বমিডিয়ায় এতটা খ্যাতি পায়নি। ১৯৩৭ সালে বিশ্বখ্যাত পাইলট এমেলিয়া ইয়ারহার্টের রহস্যময় নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছিল লেই এয়ারপোর্ট থেকে ওড়ার পরেই। আমেরিকান নাগরিক এমেলিয়া মহিলা পাইলটদের কিংবদন্তী। যিনি বিমানের সেই আদিম যুগে বিশ্বভ্রমণ করতে চেয়েছিলেন লকহিড কোম্পানীর তৈরী ছোট্ট একটা বিমান নিয়ে। ইনি প্রথম মহিলা বৈমানিক যিনি একা আটলান্টিক পাড়ি দিয়েছিল আকাশপথে। এমেলিয়া ছিল আরিলের নানীর প্রিয় বান্ধবী। লেই শহরে বসতি স্থাপন করার পেছনে আরিলের মায়ের মুখে শোনা এমেলিয়ার গল্পটাও কাজ করেছিল। এমেলিয়া নিখোঁজ রহস্য নিয়ে সে বেশ কিছুদিন গবেষণাও করেছিল। জাপানিদের কোন হাত ছিল কিনা সেটা খুঁজতে খুঁজতে এই খামারের জায়গাটা আবিষ্কার করে, সাথে কাঠের এই বাড়িটাও। পছন্দ হলো, আর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললো এখানে বপন করবে ছোট্ট একটা স্বপ্নের বীজ। এমেলিয়া রহস্য উদঘাটন করা না হলেও স্বপ্নের বাগানটা হলো।

কিন্তু সেই স্বপ্নটা যে এত বড় মহীরূহ হয়ে যাবে সেটা কল্পনাও করেনি। দুই বছরে আরিলের আয় দুই কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেল। বাগানে অন্য কোন জাতের ফুল নেই। কয়েকশো একর জায়গা জুড়ে কেবল ফিওনা আর ফিওনা। ফিওনার রাজত্ব উপত্যকা জুড়ে। যেন কেউ এক চিলতে স্বর্গের চাদরে ঢেকে দিয়েছে এলাকাটা। ফুল রপ্তানী করলেও ভুলেও সেই ফুলের চারা বা ডালপালা বেচে না কারো কাছে ব্যবসা হাতছাড়া হয়ে যাবে বলে।

দুবছর নির্বিঘ্নে যাবার পর তৃতীয় বছর ছোট্ট একটা ঘটনা ঘটলো। এক রাতে আরিল খামারবাড়ীর অন্ধকার বারান্দায় বসে দুরে বয়ে যাওয়া নদীর দিকে তাকিয়ে আনমনে পাইপ টানছিল। হঠাৎ খেয়াল করলো বাগান থেকে ক্ষুদে একটা আলোকরশ্মি সুতোর মতো আকাশের সাথে সেতু রচনা করেছে। বেগুনি রঙটা ঠিক যেন তার বাগানের ফুলের রঙ। এরকম অদ্ভুত ঘটনা আগে দেখেনি। আলোর উৎস খোঁজার জন্য বাগানে নামলো আরিল। ঢাল বেয়ে কাছাকাছি যেতেই আলোটা অদৃশ্য হয়ে গেল। যেখান থেকে আলোটা উৎসরিত হচ্ছিল সেই জায়গাটা চিহ্নিত করে রাখলো।

পরদিন সকালে সূর্য ওঠার সাথে সাথে আরিল বাগানে গেল। ওই জায়গায় গিয়ে কোন সুত্র পাওয়া যায় কিনা দেখলো। কিচ্ছু নেই। ফুলগুলি রক্তলাল হয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে হাসছে। আরিল ভাবলো রাতে ভুল দেখলো কিনা।

কয়েকদিন পর একই দৃশ্য আবারো। এইবার উত্তরপূর্ব কোনে। এবার একটি নয়, তিন চারটি আলোর সুতো আকাশ ছুঁয়েছে। আরিলের মাথায় ঢুকছে না ওই আলোর উৎস কী। ভুতপ্রেতে বিশ্বাসী নয় সে। এবারো কাছে যেতেই নিভে গেল সুতোগুলি। কাউকে বললো না ঘটনাটি। চেপে যাবার সিদ্ধান্ত নিল। কিন্তু চিহ্নিত করে রাখলো জায়গাটা।

মাসখানেক পর এক রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেল তার ফিসফিস শব্দে। ঝড়ো বাতাসের মতো হিসহসানি। বাইরে কি ঝড় হচ্ছে নাকি? জানালা খুললো আরিল। না সেরকম কিছু নেই। তাহলে শব্দের উৎস কী? হঠাৎ ডানদিকের জঙ্গলে চোখ যেতেই বুকটা ধ্বক করে উঠলো তার। ওখানে বিশাল ঘন এক জঙ্গল ছিল প্রাচীন সব বৃক্ষের মেলা। ওই বিশাল বিশাল গাছগুলো প্রচন্ড বেগে দুলছে। দুলতে দুলতে প্রায় মাটির সাথে শুয়ে পড়ছে। আবার উঠে দাঁড়াচ্ছে। অত মোটা গাছ কি করে নুইয়ে যায় এরকম। এবার সত্যি সত্যি ভয় পেল আরিল। সুসি আর ফিওনা শহরে। ফোন করে জাগালো সুসিকে। বললো ভয়ানক কিছু ঘটছে এখানে। দৃশ্যটির বর্ণনা দিয়ে ফোন কেটে দিল।

সুসি ফোনটা নামিয়ে রেখে চিন্তিত হয়ে ভাবছে কার কাছে বলা যায় ব্যাপারটা। ঘুমন্ত ফিওনার দিকে তাকালো। তারপর তাকালো ঘরের কোনে রাখা ফিওনা ফুলের টবের দিকে। আশ্চর্য! ফুলটা লাল হয়ে আছে কেন? এই সময় তো ওর কালচে খয়েরী থাকার কথা। ফিওনা টেলিফোন নিয়ে পরিচিত সিটি কাউন্সিলরের ফোন ডায়াল করলো। আশ্চর্য! ফোন যাচ্ছে না। মোবাইল ফোনে ধরলো। মোবাইলে দেখালো নেটওয়ার্ক বিজি। আসলে আরিল তখন ফোন রাখার আগেই লাইনটা কেটে গিয়েছিল। কথা বলতে বলতে হঠাৎ লাইনটা জ্যাম হয়ে গিয়েছিল। ওরা দুজনেই বোঝেনি জ্যাম হলো কেন।

ঘুমন্ত লেই শহরের কেউ জানলো না উপত্যকা থেকে লক্ষ কোটি আলোর সুতো মহাকাশের দিকে ছুটে যাচ্ছে। কয়েক হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় সবরকম যোগাযোগ বন্ধ ছিল বেশ কয়েক মিনিট। না মোবাইল, না টেলিভিশন, না রেডিও।

আরিল ঘরে ঢুকে আবারো ফোন করার চেষ্টা করলো অন্য বন্ধুবান্ধবকে। কিন্তু কিছুতেই গেল না ফোনটা। নেটওয়ার্কের এরকম সমস্যা আর কখনো হয়নি।

কখন ঘুমিয়ে পড়েছে মনে নেই। ভোরে পাখপাখালির ডাকে ঘুম ভাঙলো। দৌড়ে জানালার কাছে গেল। এই দৃশ্যের জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিল না সে।

সম্মুখের উপত্যকা জুড়ে ফিওনা ফুলের বাগান ছিল গতরাত পর্যন্তও। আজ একটা ফিওনা ফুলের অস্তিত্বও নেই। সমস্ত উপত্যকা ধবধবে সাদা। যেন তুষারে ঢেকে দিয়েছে কেউ। ভীত হয়ে আরিল ফোন করলো সুসিকে। রিং হচ্ছে কিন্তু কেউ ধরছে না।

ধরবে কি করে?
রাত ভোর হবার আগে সুসির ঘুম ভাঙলে সুসি দেখতে পায় ফিওনার টবটা যেখানে রাখা ছিল, সেখান থেকে বেগুনি সুতোর আলোক রশ্মি জানালা দিয়ে দুর আকাশে ছুটে যাচ্ছে। ওটা দেখেই সুসি যে জ্ঞান হারালো, এখনো ফেরেনি।

পাশের ঘরে ফিওনার ঘুম ভেঙ্গে গেল ফোনের শব্দে। গুটিগুটি পায়ে মার কাছে এসে ডাকলো, "মা ওঠো, বাবা ফোন করেছে"। মার ঘুম ভাঙছে না দেখে ফিওনা নিজেই মোবাইল হাতে নিয়ে বাবার সাথে কথা বললো।

"ফিওনা, তোমার মায়ের ঘরের কোনে যে ফুলের টবটা আছে ওটা ঠিক আছে কিনা দেখো তো?"
"বাবা, ফুলতো নাই, ওখানে সাদা পাউডার পড়ে আছে।"

আরিলের হাত থেকে ফোনটা পড়ে যাবার দশা হলো। বললো, "তোমার মাকে ডেকে তোলো তাড়াতাড়ি। ওই টবটা বাইরে ফেলে দিতে বলো এক্ষুনি।"

নার্ভাস আরিল মোবাইল ফোনটা রাখতে না রাখতে ঘরের কোনে রাখা ল্যান্ডফোনটা বাজতে শুরু করে। ভীত চোখে ফোনের দিকে তাকালো। সারা দুনিয়া থেকে আরিলের কাছে ফোন আসবে এখন। সবগুলো বিক্রিত ফুলই নিশ্চয়ই পাউডার হয়ে গেছে। যেখানে যেখানে এই ফুল রপ্তানী করা হয়েছে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, মধ্যপ্রাচ্য, আমেরিকা, ফ্রান্স, বৃটেন........সবগুলো ফুল নিশ্চয়ই এখন সাদা পাউডার।

ক্রেতারা টাকা ফেরত চাইতে আসবে, দেউলিয়া মামলা হবে, আরিল সর্বস্বান্ত হয়ে যাবে.....কল্পনা এগোলো না আর। বেলা বাড়তে বাড়তে এসব ঘটনার সূত্রপাত হতে শুরু করবে। তার আগেই পালাতে হবে। ছোট একটা ব্যাগে মূল্যবান সবকিছু ভরে নিয়ে বাইরে দাঁড়ানো জিপটাতে উঠে স্টার্ট দিয়ে শেষবারের মতো বাগানটার দিকে তাকালো।

গাড়ি চালাতে চালাতে সুসিকে ফোন দিল আবার। জ্ঞান ফিরেছে সুসির। কাঁদো কাঁদো কন্ঠে কি যেন বলতে চাইলে থামিয়ে দিয়ে সংক্ষেপে পুরো ব্যাপারটা বোঝালো। সবশেষে বললো, "কান্নাকাটি করার সময় অনেক পাবে। এখন ব্যাগট্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ো। ডমেস্টিক ফ্লাইটে চলে যাও পোর্ট মোর্সবি, তারপর ওখান থেকে পরদিন পার্থের ফ্লাইট ধরবে। কেউ খোঁজ শুরু করার আগেই। কাউকে কিচ্ছু বলবে না। আমি কোথায় যাচ্ছি জিজ্ঞেস করো না। কয়েকমাস দেখা হবে না আমাদের। পার্থে তোমার ভালো থাকবে।

মাথা ঠান্ডা করে সুসি পরিস্থিতি আন্দাজ করার চেষ্টা করলো। ওদের এত আদরের চাষ করা ফুল পাউডার হয়ে গেছে, ফুল থেকে বেগুনি রশ্মি বেরিয়ে আকাশের দিকে ছুটে গেছে ওই রহস্য উদঘাটন পরে হলেও চলবে। আগে পাওনাদারের আক্রমণ থেকে বাঁচতে হবে।

পিএনজি এয়ারলাইন্সের নাম্বারে ফোন করে দুটো টিকেটের বুকিং দিল লেই থেকে পোর্ট মোর্সবি পর্যন্ত। দুপুরের পর একটা ফ্লাইট আছে। প্রিয় ঘরটা আর ফিরে পাবে কিনা ভেবে কষ্ট লাগলেও চেপে রাখলো। ফিওনা আরো বেশী কষ্ট পাবে। এই শহরের সবকিছু প্রিয় তার। গাড়ী ছুটছে নাজ্জাব এয়ারপোর্টের দিকে।

আরিল গাড়িটা একটা নিকটস্থ আশ্রয়ে রেখে তার নিজস্ব বোটটি নিয়ে মারকাম নদীর উজানের দিকে রওনা দিল। ওখান থেকে ইউফিন নদী ধরে পুবদিকে দশ মাইল মতো গেলে পর্বতের মধ্যে তার একটা নিরাপদ হাইডআউট আছে। নির্জনে বসে পাখির গান শোনার জন্য বানিয়েছিল ঘরটি অনেকদিন আগে। ওখানে কেউ খুঁজে পাবে না তাকে। সভ্য জগত থেকে বিচ্ছিন্ন একটা জায়গা। মরোবি প্রদেশের সবচে ঘন জঙ্গলাকীর্ণ স্থান। এরকম দুর্দিনে কাজে লাগবে ভাবেনি।

[চলবে.........]


মন্তব্য

মৃত্তিকা এর ছবি

পড়লাম এই পর্বও। আগ্রহটা বাড়লো।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

টিউলিপ এর ছবি

শুরুর পর্বে রং বদলানো ফুলের কথায় সত্যজিতকে মনে পড়ে গিয়েছিলো। এই পর্ব বেশ ভালো লাগলো। পরের পর্বের প্রত্যাশায়।
___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

নীড় সন্ধানী এর ছবি

সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আগামী পর্বেও থাকুন।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

নাশতারান এর ছবি

ফুলের চারা বা ডালপালা বিক্রি না করলেও ফিওনার একচেটিয়া ব্যবসা ধরে রাখা কিন্তু কঠিন। এমন লোভনীয় চারা চুরি হওয়া খুবই স্বাভাবিক, যেহেতু খোলা জায়গাতেই চাষ হচ্ছে।

তবে গল্প এগোচ্ছে ভালো। পরিণতি এবং ব্যাখ্যা জানার কৌতূহল হচ্ছে।



টাইপোঃ জানের ফুল > জাতের ফুল
ন > ণঃ পরিমান > পরিমাণ, গবেষনা > গবেষণা, কোনে > কোণে, আক্রমন > আক্রমণ
উ-কার > ঊ-কারঃ ঘুর্ণি > ঘূর্ণি, দুরে > দূরে, ভুত > ভূত
ঈ-কার > ই-কারঃ বাড়ী > বাড়ি, রপ্তানী > রপ্তানি, গাড়ী > গাড়ি, পাখী > পাখি
বিদেশি বানানঃ (ষ, ঈ-কার হবে না)
ষ্টার্ট > স্টার্ট, ডোমেষ্টিক > ডমেস্টিক
লকহীড কোম্পানী > লকহিড কোম্পানি, জীপ > জিপ

বাদবাকিঃ
সর্বশান্ত > সর্বস্বান্ত
কি ওই আলোর উৎস > কী ওই আলোর উৎস
সেটা খুঁজতে খুঁজতে করতে গিয়ে > সেটা খুঁজতে গিয়ে / সেটা খুঁজতে খুঁজতে
আশ্চর্য ফোন যাচ্ছে না। > আশ্চর্য ! ফোন যাচ্ছে না।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

‍‌খামারটি মোটামুটি দুর্গম এলাকায়, চারপাশে প্রাকৃতিক সুরক্ষা ব্যবস্থা আছে। তাছাড়া ওখানে চৌর্যবৃত্তির প্রবণতা নেই বলেই ধরে নেয়া হয়েছে।

বানান কৃতজ্ঞতা আবারো। :)

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

নাশতারান এর ছবি

গল্পের স্বার্থে মেনে নিতে আপত্তি নেই। :)

বানানের ব্যাপারে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করবো।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

তিথীডোর এর ছবি

আগ্রহ নিয়ে পড়েছি...
পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা থাকবে!

[শিরোনাম:
বানিজ্যে ,অবানিজ্যিক > বাণিজ্যে , অবাণিজ্যিক]

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নীড় সন্ধানী এর ছবি

‍‌আগ্রহী পাঠক লেখনীর জন্য সুসংবাদ। বানান সুপারিশের জন্য ধন্যবাদ :)

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

কাকুল কায়েশ এর ছবি

এ পর্বটাকে অসাধারণ বললেও কম বলা হয়ে যায় মনে হচ্ছে! =dx দারুন মজা পেলাম।

যদিও এ পর্বের শুরুতে এমেলিয়ার রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া ও বাগানের সাথে আকাশের বেগুনী আলোকরশ্মির সেতুবন্ধন দেখে এদের মধ্যে একটা যোগসূত্র আছে ধরে নিয়ে মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। ভেবেছিলাম যে, বাহ, আমি কাহিনী ধরে ফেলেছি! :-P

কিন্তু আস্তে আস্তে কাহিনী যেদিকে মোড় নেয়া শুরু করল, খুবই মজা পাচ্ছি পড়ে। রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে ধীরে ধীরে! যদিও হয়ত পরের পর্বগুলোতে এমেলিয়ার আবির্ভাব হলেও হতে পারে, কিন্তু তাতে অসুবিধা নাই। কাহিনী ইতিমধ্যেই আমার কল্পনাশক্তির নিয়ন্ত্রন থেকে বহুত দূরে চলে গেছে!

পরের পর্ব তারাতাড়ি দিবেন আশা করছি!

=========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

নীড় সন্ধানী এর ছবি

‍‌আপনার মন্তব্য পড়ে খুশীর পাশাপাশি একটু ভয় ধরে গেল।
কারণ পরের পর্বে যদি আপনাকে হতাশ হতে হয়! :)

সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। দুদিন বিরতির পর ৩য় পর্ব আসবে আশা করছি।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

মর্ম এর ছবি

দেখা হবে তৃতীয় পর্বে :-)
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।