• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

আমিন বকশীর তিন অপছন্দ

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: শনি, ১১/১২/২০১০ - ৩:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি একজন অসাধারণ মানুষ। আমার কোন তুলনা হয় না। আমার কোন প্রতিপক্ষ নাই। আমি নিজেই নিজের প্রতিপক্ষ। নিজেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু আমি নিজেকে তীব্ররকমের অপছন্দ করি।
.
প্রথম অপছন্দ...... আমার নামটা। আমার গভীর বিশ্বাস জন্মকালে আমার নামকরনের ব্যাপারটা একটা ষড়যন্ত্র কিংবা অবহেলার ফসল।
.
প্রত্যেক পরিবারে সন্তানের নাম রাখে পিতামাতা। কিন্তু আমার নাম রেখেছিল আমার মেজফুপা। মেজফুপার সাথে বাবার সাপ নেউলের মতো একটা ভালোবাসা ছিল বলে এই নামকরনের ব্যাপারটা আমাকে সন্দিহান করে তোলে। আমি বিশ্বাস করি, শত্রুতা করেই আমার নাম রাখা হয়েছে আমিন বকশী। দরিদ্র পিতামাতা ধনী ফুপার প্রস্তাবের বিরোধিতা করতে পারেনি বলেই নিমরাজী হয়েছিল বলে মনে করি। ত্রিশের দশকে জন্ম হলে না হয় মেনে নিতাম নামটা। কিন্তু সত্তর দশকের শেষভাগে জন্মেও এরকম একটা নাম বহন করার ভার যে কতো কঠিন সেটা একজন ভুক্তভোগীই জানবে।
.
নাম মানুষকে বড় করে না, মানুষই নামকে জাগিয়ে তোলে। কথা সত্য। কিন্তু এই নামের কারণে আমাকে কতো জায়গায় ভুগতে হয়েছে!! বাল্যকাল থেকে আমাকে শোনানো হয়েছে আদিমযুগে আমার নামে একজন পূণ্যবান ব্যক্তি ছিল এই এলাকায়। তার নামে নামটা রাখা হয়েছিল আমার। আমি বিশ্বাস করি ওটা ডাহা মিছা কথা।
.
আমার নামের দুইটা অংশ। দুই অংশেই আমি কোন ভালো জিনিস পাইনি। এই নামের যত লোক দেখেছি তাদের সব ছাপোষা কেরানী নয়তো পিয়ন দারোয়ান চৌকিদার। তাই ছেলেবেলা থেকেই নাম নিয়ে একটা হীনমন্যতায় ভুগতে ভুগতে বড় হয়েছি। কেউ নাম জিজ্ঞেস করলে চুপ থাকতে পছন্দ করতাম। ইচ্ছে হতো নামটা বদলে অন্য কিছু রাখি। আমার এক কাজিন মেট্রিক পাশ করার পর নাম বদলে ফেলে। তার নাম ছিল আবদুল কুদ্দুস, বয়স ষোলতে পৌঁছে সে হয়ে যায় 'আকাশ আবেদ'। নিজেই নিজের নাম পাল্টে দিয়েছে। সে কারণ দেখায়, কবিদের সুন্দর নাম থাকতে হয় এবং আকিকা ছাড়াই নাম বদলে রাখার সুযোগ আছে কবিতার স্বার্থে। জগতে কেউ সেটার বিরোধিতা করে না।
.
কিন্তু আমি কবিতা লিখতাম না। ফলে আমার নাম বদলানোর সুযোগও ছিল না। জন্মমাত্র ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছে আমাকে। ছাত্রজীবনে কোন মেয়ে প্রেম করতে আসেনি এই নামের কারনেই। এমনকি মেয়ে ক্লাসমেটরাও তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতো নামটাকে। ফলে অনেকটা গুটিশুটি মেরে ভার্সিটি পার করি। পাশ করার পর যা হবার ছিল তাই হয়েছে। একটা সদাগরী অফিসের কেরানীর চাকরীই জুটলো যদিও রেজাল্ট একেবারে খারাপ ছিল না। কিন্তু বকশী নামের কারনেই বোধহয় ভালো কোন কোম্পানী নিল না আমাকে।
.
আমার দ্বিতীয় অপছন্দ........আমার হাসিটা। আয়নায় আমি নিজের হাসি দেখলে চমকে উঠি। বিধাতা এ কি হাসি দিয়ে পাঠিয়েছে আমাকে? দেখতে তো আমি নেহাত খারাপ না। চেহারাটা ফর্সা গোলগালই। মাথায় ঘনকালো চুল। নিয়মিত প্যারাসুট নারিকেল তেল দেই। কিন্তু যেই আমার হাসি পায়, আমার দুই ঠোট এবং দাঁতের মধ্যেকার দুরত্বটা কেমন যেন বেফাঁস বেড়ে গিয়ে দাঁতের পাটি, মাড়ি আর দুই ঠোঁটের একটা বহুমাত্রিক বিষমভুজ তৈরী হয় যা প্রায় অবিশ্বাস্য একটা বিভৎসতা তৈরী করে মুখমন্ডলে।
.
একবার একটা মেয়ে মুখ ফুটে বলেই দিয়েছিল, "আপনি হাসবেন না বকশী ভাই, হাসলে আপনাকে হনুমানের চেয়েও জঘন্য লাগে। তবে গম্ভীর মুখে আপনি শাহরুখ খানও হতে পারেন।"
.
বুকে পাথর চেপে মেনে নিয়েছি এবং দ্বিতীয় বাক্যটা শান্ত্বনা বলেই ধরে নিয়েছি। সেই থেকে আমি হাসি ঠাট্টার আসর এড়িয়ে চলি এবং রুমাল বহন করি পকেটে।
.
আমার তৃতীয় অপছন্দ......আমার হাঁটা। আমি যখন হাঁটি আমার সাথে সাথে যেন পৃথিবীটা দুলে। এটা আমার কথা না, ছেলেবেলায় এক বন্ধু বলেছিল। সে আমার ঠ্যাং দুটো পরীক্ষা করে বলেছে, ওগুলোর হাড্ডি নাকি ঈষৎ গোলাকারে বাঁকানো। ফলে আমি দুধার কাঁপিয়ে হাঁটি, সাথে সাথে দুনিয়াও নাকি এপাশ ওপাশ করে। ব্যাপারটাকে আমি সম্মানিত ভেবে অনেকদিন কাটিয়েছি। ফুটপাতে লোকজন আমাকে দেখলে সসম্মানে রাস্তায় নেমে যেত। ধরে নিতাম ওরা আমাকে কেউকেটা ভাবছে। মার্কেটের আয়নায় নিজের হাঁটা গম্ভীর ভাবে পরখ করতাম গোপনে। বাহ, দুই হাতের সাথে দুই পায়ের ছন্দে একটা মিল। খান্দানী লাগে বুঝি। নিজের গোপন প্রশংসায় আপ্লুত।
.
একদিন সেই খান্দান ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে গেল যখন ভার্সিটিতে সহপাঠি তানভীর বললো, "তোর হাঁটাটা বদলানো দরকার দোস্ত, তোরে একদম নাদানের মতো লাগে। দুই হাত ওরকম দুলিয়ে দুলিয়ে হাঁটিস কেন?"
.
আমার মাথায় যেন বাজ পড়লো। তাকে বারবার জিজ্ঞেস করা হলো ঠাট্টা করছিস, নাকি সত্যি বলছিস? সে একই উত্তর দিল। তারপর রাকিবকে স্বাক্ষী করে, আরো পাঁচজনের আড্ডায় স্বীকার করা হলো আমার হাঁটাটা নিতান্ত হাদারামের হাঁটা। কোন ভদ্র শিক্ষিত ছেলে এভাবে দুহাত দুলিয়ে হাঁটেনা। এটা বদলানো উচিত।
.
সেদিন থেকে হাঁটাহাঁটি চরম অপছন্দ হয়ে গেল আমার। পারতপক্ষে হাঁটিনা। মাইলের পর মাইল হাঁটা মানুষ এখন রিকশায় উঠে যায় একশো হাত যাবার জন্যও। নিউমার্কেটে আয়নাওয়ালা দোকান আছে প্রচুর। আয়না দেখে দেখে আলগোছে চেষ্টা করেছি নিজেকে শুদ্ধ করতে। কিন্তু আমিন বকশীর হাত পা মাথা নোয়াবার নয়। তার হাত দুটো হাঁটার ছন্দে দুলতেই থাকে। পা দুটো নাচতেই থাকে। চুপি চুপি ভাবতে থাকি, অন্যরা হাঁটার সময় তাদের হাত দুটো কোথায় রাখে? ঝুলিয়ে হাঁটে নাকি সুতলিতে বেঁধে রাখে? আর পা দুটো?
.
নিজেরে নিয়ে এই তিন অপছন্দের ভেতরে বিব্রত জীবন যাপন করি। আর ভাবি, এখনকার কোন কবি কেন বলে না, আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতেও কেউ কেউ এই ধরনীতে আসিয়াছে।


মন্তব্য

আব্দুল্লাহ এ এম এর ছবি

যাহ্, শেষ পর্যন্ত মুগ্ধতার তালিকা থেকে শিল্পমন্ডিত হন্টন কর্মটিও বাদ? দুঃখ করবেন না, আপাততঃ এতে কতিপয় গরীব রিকসাওয়ালা উপকারভোগী হচ্ছে, ভবিষ্যতেও অনেকদিন ধরে হবে, কারন যে বিবরন শুনলাম, সহসা আপনি একখান গাড়ীর মালিক বনে যাবেন, এমন ভরসা পাই না। আপনার বেতাল হন্টনশিল্পের উছিলায় কিছু দুস্থ মানুষের গ্রাসাচ্ছাদন হচ্ছে, এই বা কম কিসে?

তবে মুগ্ধ হওয়ার মত আরও একখানি বিষয় আছে বলে মনে হয়, আপনার লেখনি, ভালই লেগেছে।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

হা হা, কাকে বললেন, লেখককে না আমিন বকশীকে? :)
লেখনি ভালো পাওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে!

‍‌
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

বাউলিয়ানা এর ছবি

আপনি হাসবেন না বকশী ভাই, হাসলে আপনাকে হনুমানের চেয়েও জঘন্য লাগে। তবে গম্ভীর মুখে আপনি শাহরুখ খানও হতে পারেন।

ভাবছি, সেই শাহরুখ খান আসলে দেখতে কেমন যে হাসলে হনুমানের মত দেখায় :))

গল্পের গঠনটা একটু নতুন লাগল বস্‌। তবে তিন অপছন্দ নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করা মি. বকশীকে বোধহয় আমরা সবাই চিনি ;)

নীড় সন্ধানী এর ছবি

‍‌আপনি বকশীকে চিনলে আমাকে পরিচয় করিয়ে দেবেন প্লীজ ;)

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

পাগল মন এর ছবি

মজা পেলাম গল্পটা পড়ে।
এরকম হয়তো অনেকে আছেন যারা নিজেদের কিছু না কিছু অপছন্দ করেন, কেউইতো পরিপূর্ণ না আসলে। আর নাম নিয়েও অনেকের মধ্যে হীনমন্যতা আছে।
_________________________________________________
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

‍‌মানুষ মাত্রেই অসম্পূর্ণ। বাই ডিফল্ট। মজা পেয়েছেন শুনে উৎসাহিত হলাম।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

দিগন্ত বাহার [অতিথি] এর ছবি

বাউলিয়ানার সাথে সহমত - 'তিন অপছন্দ নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করা মি. বকশীকে বোধহয় আমরা সবাই চিনি'...
লেখনি ভালো লেগেছে। :)

নীড় সন্ধানী এর ছবি

‍‌আপনিও চিনে ফেলেছেন বকশীকে? খাইসে......আসলে আমাদের সবার ভেতর খানিকটা বকশী বাস করে বোধহয় :)

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

নাম বিষয়ক অপছন্দটা বেশী ভালো হয়েছে। লেখাটা গতকাল পড়েছিলাম কিন্তু সেই মেশিনে লগিন না থাকায় মন্তব্য করা হয়নি।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

‍‌ধন্যবাদ পিপিদা। অনেকদিন পর, কেমন আছেন?

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

অতিথি লেখক এর ছবি

নাম আর হাসির কথা জানি না। তবে আমার হাঁটা যে হাঁসের মত এটা কম করে হলেও হাজারখানেকবার মনে করিয়েছেন আমার জননী। জায়াও এখন একই দলে যোগ দিয়েছেন। তাতে আমার থোড়াই কেয়ার। আমি আর আমার আড়াই বছরের কন্যা খুশী মনে হেসেহেসে হাঁসাহাঁসী হাটাহাটি করি। মনে বেশী দূঃখ রেখেন না।

অমিত্রাক্ষর
অমিত্রাক্ষর@জিমেইল ডট কম

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাললেখা!! মনে হচ্ছে আমিই যেন সেই বকশী ামার ভেতর এই তিনটা গুণই আছে !
তবে এনিয়ে কোন ভাবনা নাই ! হোকনা যা হবার !
নামটা পাল্টিয়েছি বাকি ২টা সম্ভব না হাহাহাহা !
গুল্লা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।