অনেকদিন পর রোদ উঠলো আগামী দুকিস্তির চারদিন হরতালের সমর্থনে।
রিকশাওয়ালারা আগামী চারদিন হরতালে ভালোই কামাই করবে। বায়ুশোধনের পাশাপাশি হরতালের আরেকটা উপকার।
তবে আবুল হোসেনের কেবল একটু সমস্যা আছে। তাকে সুদূর কর্মক্ষেত্রে যেতেই হয়। অফিসে যেতে ১০ টাকা বাসভাড়ার বদলে তাকে রিকশাভাড়া গুনতে হবে প্রতি যাত্রায় ১৫০ টাকা করে।
যাবার সময়টা যাত্রাটা ব্যয়বহুল হলেও ফিরতি যাত্রায় কোন পয়সা খরচ হবে না। কারণ কোন রিকশাওয়ালা তাকে নেবে না। সারাদিন ভাড়া টেনে বিকেলে ওরা যথেষ্ট ক্লান্ত, পকেট তাদের আশাতিরিক্ত ভারী, এমনকি 'যাবেন নাকি ভাই' জিজ্ঞাসায়ও বিরক্তি ওদের। তাই হেঁটে বাড়ি ফিরতে হবে তাকে। হাঁটাহাঁটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
চারদিনের হরতালে তার প্রত্যক্ষ ক্ষয়ক্ষতির পরিমান- রিকশাভাড়া খরচ ৬০০ টাকা (এটা অবশ্য তার ৩০ দিনের বাসভাড়া)। পদব্রজে ভ্রমণ ৪৪ মাইল, দু'পায়ে ফোস্কা গোটা পাঁচেক।
১১ জুলাই সোমবার সন্ধ্যায় গিয়ে বিরোধী দল হরতাল সফল করার জন্য জনগনকে ধন্যবাদ দেবে, আর সরকার ধন্যবাদ দেবে হরতাল প্রত্যাখ্যানের জন্য।
জনগণ জানে না তারা হরতালে তারা কার উপকার করেছে। তবে শুক্রবারে বাজারে গিয়ে দেখবে ৩০ টাকার সবজী ৫০ টাকা, ২০০ টাকার মাছ ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
১০০০ টাকার একটা রঙিন নোট নিয়ে বাজারে গিয়ে আবুল হোসেন শূণ্য পকেট আর অর্ধেক থলে নিয়ে ফিরতে ফিরতে মনে মনে বিড়বিড় করবে, বাবার আমলে ১০০ টাকা নিয়ে বাজারে গিয়ে থলে ভর্তি করে আনার পরও নগদ পাঁচটাকা 'বাজার কমিশন' পকেটে থেকে যেতো।
শায়েস্তা খাঁর আমলটা আসলে খুব বেশী পেছনে না।
আর উজির-নাজিরগণ ছুটির আমেজে তাকিয়ায় হেলান দিয়ে ভাববে, হরতাল তেমন খারাপ না, তবে খুব নস্টালজিক করে।
মন্তব্য
আজকে সকালে বাজার করতে গিয়ে মাথায় হাত। সব্জির সর্বনিম্ন মূল্য ৪০ টাকা কেজি। কোনো একটা সব্জি পেলাম না যেটার কেজি ৪০ টাকার নিচে। গতসপ্তাহেই সর্বনিম্ন কিনেছি ৩০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহে প্রতি কেজিতে বাড়ছে ১০ টাকা!
আর ট্রান্সপোর্ট? হরতাল ছাড়াই সে এক ভীষণ ভয়াবহ। মহাখালি থেকে বাংলামোটর, মিটারে আসতে যেখানে ৫০ টাকার বেশি উঠবে না, সেখানে হরতাল ছাড়াই স্কুটার ভাড়া চায় ২৫০ টাকা!
চারদিনের হরতালে এই দাম আরো বাড়বে। সামনে রোজা... কী হবে? জানি না... প্রচণ্ড হতাশ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হাঁটা ভালো। কিন্তু হাঁটতে ভাল্লাগেনা।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য বেঁচে থাকাটাই অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে!
ইউনিভার্সিটি যাব বলে বেরিয়ে যে নাকালটা হতে হল আজ। হরতালের বেসরকারি ছুটিতে সবাই নাকি বাড়ি যাচ্ছে, তাই পাক্কা চল্লিশ মিনিট দাঁড়িয়ে থেকে একটাও রিকশা কি স্কুটার কিছুই পেলাম না। বাসে উঠে দেখি সেখানে সর্বাধিক লোক তোলার বিশ্ব রেকর্ড ভাঙ্গার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। শেষে এক লোক,'ঐ বেটা, তোর দোহাই লাগে, একটা চামুচ নিয়া আয়, আর ওইটা দিয়া আমাগো ঠাইসা ভর' বলে ষাঁড়ের মত চেঁচাতে শুরু করলেন আর সবাই উনাকে সমর্থন দিতে লাগলেন। এর মধ্যে চেপে এল বৃষ্টি, জানালা সব বন্ধ। গরমে, ঘামের গন্ধে দম বেড়িয়ে যাবার যোগাড়। কৃষি মার্কেট থেকে শিশুমেলা যেতে এক ঘণ্টা লাগলো। এই সব করে ভার্সিটি গিয়ে দেখি অফিসে সবাই 'লাঞ্চে গেছি' বলে ডেস্ক থেকে উধাও।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
বলার কিছু নাই, নিজের পুরানো একটা লেখার বিজ্ঞাপন করে যাই বরং ;)
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
আজ যখন বাসে করে সন্ধ্যার দিকে বাসায় ফিরছিলাম, উঠার আগে খুব ইত:স্তত বোধ হচ্ছিল, উঠার পরও তা কমে নি, কোন্ সময় কেউ এইবুঝি আগুন লাগিয়ে দেয়, বের হবার সময় পাবো কি না জানা নাই, জীবন এতটাই ইনসিকিউর্ড হয়ে গেছে আজকাল!!! আর দ্রব্য/সেবার মূল্যে এখন আর আগুন লাগে না, সে নিজেই জ্বলন্তাগ্নি হয়ে গেছে, আমাদের পুড়িয়েই যাচ্ছে............. :(
X(
হ।
বিদেশ বেকায়দা পজিশনে আছি, ঠিকঠাক মতে টাকা পয়সা পাঠাতে পারছি না । বাবা রিটায়ার্ড করেছেন, বোনটি বিবাহ যোগ্যা, আরেকটি বোন অটিস্টিক চাইল্ড। ঢাকা শহরে এতগুলা মানুষ কিভাবে যে বেঁচে আছে আল্লাহ ই জানেন। দোয়া করবেন আমি যেন এই অবস্থাটা খুব শীঘ্রই কাটিয়ে উঠতে পারি।
খাওয়াদাওয়া এমনিতেই কম করি।
যে দিন আসছে সামনে, পুরোপুরি না খেয়ে থাকতে হবে মনে হচ্ছে। :(
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
"দ্রব্যমুল্য" শব্দটা এরপর হরর মুভির সাউন্ডট্র্যাকে থাকবে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
গতকাল বিকেলে বনানী বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখি বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের কাফেলার থেকেও লম্বা লাইন সবগুলো পরিবহনের জন্যে। আমার দুই সহকর্মী আমার থেকে এক ঘন্টা আগে অফিস থেকে বিদায় নিলেও দেখি তারা তখনও বিআরটিসির লাইনে। শুনতে পেলাম আগামী হরতালের কারনে সম্ভাব্য ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগের আশংকায় খুবই অল্প সংখ্যক বাস চলছে বিকেল থেকে। অবশেষে শেরপুরের একটা বাসে উত্তরা পর্যন্ত ১৫ টাকার ভাড়া ৫০ টাকায় 'ভাও' করলাম। পোঁদ আমার কাল পেকে লাল হয়ে গেছে। পুরোটা রাস্তা ইঞ্জিন কভারে বসে এসেছি, আমি কিছু টের পাইনি কিন্তু টের পেয়েছে আমার পাছা।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
নতুন মন্তব্য করুন