ডাঃ শামশের উদ্দিন(ছদ্মনাম) দেশের নামকরা একটা মেডিক্যাল কলেজের বিভাগীয় প্রধান ও অধ্যাপক। প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখেন সন্ধ্যা ছটা থেকে। এক সন্ধ্যায় সিরিয়াল নিয়ে গেলাম চেম্বারে। ঘনিষ্ঠ একজনের বিরল একটা রোগ নিয়ে অনুসন্ধান উদ্দেশ্যে। রোগটি খুব বেশী পরিচিত নয় বলে আমি নিজে ইন্টারনেট ঘেঁটে কিছু তথ্য যোগাড় করি। তাই নিয়ে আলাপ করার জন্যই যাই। উনি জানালেন এখানে ওই রোগ সম্পর্কে খুব বেশী ডাক্তার পড়াশোনা করেনি। তবু পরদিন মেডিক্যাল কলেজে যেতে বললেন অন্য সব সিনিয়র ডাক্তারের সাথে আলাপ করে যতটা সম্ভব সাহায্য করবেন।
ডাক্তারের এই মহানুভবতায় আমি মুগ্ধ। পরদিন মেডিক্যালে গেলে আমার সংগৃহিত তথ্যগুলো দেখতে লাগলেন মনযোগ দিয়ে। সেই ফাঁকে আমি ওই রোগ সম্পর্কে এবং চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে যা জেনেছি তা নিয়ে ছোটখাট একটা লেকচার দিলাম। নিতান্ত সাধারণ জ্ঞানই বলা যায়। কিন্তু উনি আমার সেই সাধারণ জ্ঞানকে অসাধারণ গুরুত্বের সাথে নিয়ে বললেন, আপনি একটু বসেন আমি অন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদেরও ডাকছি।
খানিক পরেই আধডজনের মতো সহকারী আর সহযোগী অধ্যাপক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এসে হাজির হলেন প্রফেসর শামশেরের সাথে।
সবাইকে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে আমাকে বললেন, আবার বলেন তো একটু আগে যা যা বলেছেন। আপনারা একটু নোট করে নেন কষ্ট করে। সবার জানা দরকার ব্যাপারটা।
বলে কী? আমি লেকচার দেবো এত এত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের উদ্দেশ্যে? উইকি আর গুগল গুঁতিয়ে যে ক'পাতা পড়েছি তা নিয়ে এই সুখ্যাত মেডিক্যালের বাঘা প্রফেসরদের উদ্দেশ্যে আমি একটা রোগ নিয়ে বক্তৃতা দেবো? ধরনীকে দ্বিধা হতে বলতে পারতাম। কিন্তু অধ্যাপক সাহেবের তাড়ায় আমার পাঁচ মিনিটের সেই লেকচারটা রিপিট করতে হলো।
লেকচার শেষে উপস্থিত এক ডাক্তার পাশের আলমিরা থেকে মোটা একটা বই নামিয়ে আমার সামনে এনে পাতা খুলে দেখালো সেই রোগ সম্পর্কে যা যা লেখা আছে। দেখলাম ওই রোগ সম্পর্কে বিশ বছর আগে প্রকাশিত সেই বইটিতে মাত্র দশ লাইনের একটা প্যারা আছে। বুঝলাম এর বাইরে আর কিছু পড়া হয়নি এদের, তাই আমার সংগৃহিত বাইশ পৃষ্টার সাধারণ জ্ঞান ওদের কাছে মহাভারত মনে হচ্ছে।
এবার অধ্যাপক সাহেব জানতে চাইলেন এত মূল্যবান তথ্য কি করে খুঁজে পেলাম । আমি বললাম, "খুব সহজ। গুগল করেই তো এসব জানা যায়।"
উনি জিজ্ঞেস করলেন, গুগল কি?
তারপরই মজার কথোপকথন পর্ব।
ওনার পাশে দাঁড়ানো অপেক্ষাকৃত তরুণ একজন জবাব দিলেন, ওটা স্যার ইন্টারনেটে পাওয়া যায়।
- আমাদেরও তো ইন্টারনেট আছে, আমরা পাইনা কেন?
- আমরা ইন্টারনেটে ঢুকি না বলে।
- আমরা ঢুকি না কেন?
- পাসওয়ার্ড লাগে ঢুকতে
- পাসওয়ার্ড নাই আমাদের?
- আছে। আপনার ডায়েরীতে লেখা আছে। সেদিন আইএসপির লোকটা লিখে দিয়েছিল।
- আমার ডায়েরীতে আছে? আপনি আগে বলবেন না?
- স্যার..... আমি তো ভেবেছি আপনি জানেন।
- আমি তো জানিই, কিন্তু আমার কি এতসব মনে থাকে?
- তা ঠিক স্যার। এত কিছু মনে থাকে না।
- এখন ইন্টারনেটে ঢুকে দেখেন তো কিভাবে কি পাওয়া যায়।
- স্যার ....আমি আসলে .....আগে কখনো ঢুকিনি। তবে মনে আছে ডায়াল করে ঢুকতে হয়।
- আপনারা এত কিছু জানেন, ইন্টারনেটে কেমনে ঢুকে জানেন না?
- জী....জানি স্যার, পাসওয়ার্ডটা একটু বের করেন, আমি ক্লিক করে দেখি।
(দুই ডাক্তারের বাক্যলাপ শুনে আমার পেটে খিল ধরে যাচ্ছিল হাসির ধাক্কায়। চেপে রাখলাম তবু। অধ্যাপকের চেয়ারের পেছনে একটা ডেক্সটপ সাজানো আছে। দীর্ঘদিন কেউ বসেনি মনে হচ্ছে। মডেমের উপর একরাশ ধুলো। তরুণ সহকারী কয়েকবার চেষ্টা করার পর ডায়াল আপ কানেকশানে সংযুক্ত হলো পিসিটা)
সহকারী বললেন, ঢুকেছি স্যার।
-কোথায় ঢুকলেন?
-ইন্টারনেটে
-বাহ। এত সহজে? এবার দেখে বলেন তো এগুলো কোথায় লেখা আছে?
-এগুলা তো স্যার ওই ওয়েবসাইটের তথ্য।
-আপনি এতক্ষণ বললেন ইন্টারনেটে সব আছে, এখন আবার ওয়েবসাইটের কথা বলেন কেন?
-স্যার ওয়েবসাইট হলো ইন্টারনেটের অংশবিশেষ
-ও আচ্ছা! পুরো ইন্টারনেটই আছে আমার পিসিতে, ওখানে ওয়েবসাইট খুঁজে পান না?
-না মানে ওয়েবসাইটের ঠিকানা লিখতে হবে তো। তারপর খুলবে.....
-ঠিকানা লিখেন, মানা করেছে কেউ?
-জী না.......কিন্তু কোথায় লিখবো?
-কেন ইন্টারনেটে লিখবেন
-ইন্টারনেটে তো লেখার জায়গা নাই
-কী বলেন এত বড় ইন্টারনেট, লেখার জায়গা থাকবে না কেন? কই দেখি তো আমাকে দেখান, ইন্টারনেট কোনটা?
-এই যে স্যার এখানে, ছোট ছোট দুটো টেলিভিশনের মধ্যে একটা তার দেখা যায়, এটাই ইন্টারনেটের চিহ্ন।
ডাক্তারের উপর মাষ্টারি করার বিপদ সম্পর্কে আমি জানি। তাই বেদম কঠিন অট্টহাসি পেলেও চেপে রেখে দেখছিলাম প্রফেসারদের কান্ড। ওরা ডায়াল-আপ কানেকশানে ইউজার আর পাসওয়ার্ড লিখে কানেক্ট করেছে ঠিকই। কিন্তু ব্রাউজারটা খোলেনি। নীচে ডায়াল আপ কানেকশানের চিহ্নটাকেই বলছেন ছোট ছোট দুইটা টেলিভিশন। ডাক্তার সাহেব এর পরের ধাপটা ভুলে গেছেন হয়তো ক্লাস কিংবা রোগী দেখার চাপে। ইন্টারনেট কানেকশান পাবার পর যে ব্রাউজার ওপেন করতে হয় সেটা মনে পড়ছে না।
কয়েক মিনিট পর আমি অধৈর্য হয়ে মাউসটা হাত বাড়িয়ে নিয়ে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারে ক্লিক করে ওয়েবসাইটটা টাইপ করে খুলে দিলাম। অধ্যাপক শামশের মুগ্ধ হয়ে আমার দিকে তাকালেন যেন আমি এক বিমূর্ত তথ্য যাদুকর।
আমি বুঝে গেছি আমার কাজ শেষ। বললাম, এবার আমি যাই।
উনি বললেন, আপনি চা না খেয়ে যাবেন না। তবে চিন্তা করবেন না। আমরা আরো কিছু স্টাডি করে তারপর আপনার সমস্যার সমাধান বের করবো।
আমি বললাম, জী।
আসলে আমার আগ্রহ অনেক আগেই শেষ। আমি যে কাজে গিয়েছিলাম তার কিছুই এখানে হবার কথা নয়। মন খারাপ হতে পারতো। কিন্তু জীবনে প্রথমবারের মতো ডাক্তারের উপর মাষ্টারি করার তৃপ্তিতে মন খারাপ হলো না।
মন্তব্য
এটা সত্যি ঘটনা? আসলেই সত্যি?
অবিশ্বাস্য মনে হলেও দোষের কিছু নেই। কিন্তু ঘটনাটা সত্যি। বেশ কয়েক বছর আগের।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
অবাক হবো কিনা ভাবছি। খুব ভালো রম্য।
নির্দ্বিধায় অবাক হতে পারেন। অবাক না হওয়াটাই আশ্চর্যের। ধন্যবাদ আপনাকে
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আসলেও অবস্থা অনেকটা এরকমই। সমস্যা হল এরা কি জানেনা তা তারা নিজেরাও জানেনা। তাই নিজেদেরকে মহাপন্ডিত মনে করে। আর অজ্ঞানতাসম্ভূত আত্মঅহঙ্কার এদেরকে রীতিমত দানব করে তোলে।
আমি যে ডাক্তারের কথা লিখেছি ওনার মধ্যে অহংকারের লেশমাত্র দেখিনি। বরং এত বিনয় দেখে আমি অবাক হয়েছি।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
হে হে হে... আমরা যাই জানি না কেন এরা আমাদের boss মানে
ভাই, আপনি এমন কিছু তথ্য উপাত্ত নিয়ে উনাদের সামনে হাজির হয়েছিলেন যেগুলো দেখে উনারা এতটাই বিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন যে বাহ্যজ্ঞানশূণ্য হয়ে স্বমহিমায় আবির্ভূত হতেও ভুলে গিয়েছিলেন। আপনি যদি কোন রোগী দেখিয়ে রোগ বা ওষুধ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইতেন (যেটা রোগীকে জানানো WHOর গাইডলাইন অনুযায়ী ডাক্তারের অবশ্যকর্তব্য) তাহলে আর দেখতে হতনা। অবশ্য এভাবে সবাইকে generalize করাটা অবশ্যই ঠিক না; ভাল মন্দ সব পেশাতেই আছে। আপনার সাথে সাক্ষাত হওয়া ডাক্তাররা নিছক ভালমানুষও হয়ে থাকতে পারেন। আমি নিজে ডাক্তার (infact আমার পরিবারের সবাই ডাক্তার); ইন্টার্ন করার সময় অর্থোপেডিক আউটডোরে এক বয়োজ্যেষ্ঠ রোগীকে শুধু তাঁর কি হয়েছে সেটা জানতে চাওয়ার অপরাধে নির্মম অপমান করে গলাধাক্কা দেয়া হয়। রোগীদের নিজেদের অধিকারের ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধির আমি একজন উগ্র সমর্থক বলতে পারেন।
গল্পে মজা পাইলাম
অনেকদিন ISP তে কাজ করার সুবাদে এমন বা এরচেয়েও মহাজ্ঞানী লোকদের দেখা পেয়েছি, বিশেষ করে আমাদের দেশের C.E.O. রা। ইনারা আমার দেখা সবচেয়ে অলস ও কমজানা লোক। তাদের local area connection 100Mbps মানে ইন্টারনেটের স্পিডও 100Mbps হওয়া লাগবে। kb আর kB যে কি জিনিস তা আপনি সারা জীবনেও এদের বোঝাতে পারবেন না।
এটি গল্প নয়
আরেকটা ঘটনা মনে পড়লো আপনার মন্তব্যে। সাত আট বছর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বল্প চেনা এক উপ-পরিচালকের কাছে একটা কাজে গিয়েছিলাম। আলাপ সেরে তাকে আমার কার্ড দেবার পর তিনি কার্ডে আমার ইমেইল এড্রেসে আমার_নাম@কোম্পানী.কম দেখে প্রায় চিৎকার করে ওঠেন। আশেপাশের কলিগদের ডেকে বলেন, এই যে দেখেন কি ভাগ্যবান মানুষ। ওনার একদম নিজের নামে ইন্টারনেট আছে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
হায়!
হ তাই
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
সেইরকম অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
এই ঘটনা থেকে কিন্তু দারুন একটা বিষয় উঠে এসেছে --- ইন্টারনেট আমাদের হাতের মুঠায় কী রকম ক্ষমতা (জ্ঞান) এনে দিয়েছে! আমার বাবু হওয়ার আগে ওর মা দারুন অসুস্থ হয়ে পড়লো। হয়তো আনকমন (০.৩ ~ ২ %) লক্ষণ বলে ঢাকার সবচেয়ে নামী গাইনোকোলজিস্ট ধরতেই পারেনি। তবে অন্যখানে আরেকজন লক্ষন দেখেই ঠিকভাবে চিকিৎসা দিয়েছিলো। আমরাও রোগের নাম জেনে ভাল ভাবে লেখাপড়া করে নিলাম - thanks to internet -- এতে রোগীর উপযুক্ত যত্ন নিতে সুবিধা হয়েছিলো।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
এই কাজটা আমিও প্রায় করি। বাসার কাউকে ডাক্তার ওষুধ দেবার পর খাওয়ার আগে একবার গুগল করি। তারপর বৃত্তান্ত জেনে খেতে বলি। অনেক ডাক্তার ডোজ নিয়ে গন্ডগোল করেন। তাই ডোজ আর পাশ্বপ্রতিক্রিয়ার অংশটা পড়ে নেয়া ভালো।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
শামীম ভাই ঠিক বলেছেন। ইন্টারনেট আমাদের হাতে একটি যাদুকাঠি ধরিয়ে দিয়েছে। আমিও অসুখ বিসুখে- ডাক্তারের পরামর্শের পাশাপাশি ইন্টারনেট থেকে রোগের বৃত্তান্ত জেনে এ বিষয়ে নিজের ধারণা একটু পরিস্কার করে নেয়ার চেষ্টা করি। এতে রোগীর যত্ন নিতে সুবিধা হয়।
লেখার জন্য নীড় সন্ধানীকে ধন্যবাদ। অনেক হেসেছি।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
হয়ত জেনারালাইজেশান হবে, কিন্তু তারপরেও আমার অভিজ্ঞতা বলে ডাক্তারদের এমনকি তরুণ প্রজন্মের ডাক্তারদেরও প্রযুক্তি বিশেষ করে ইন্টারনেট ব্যবহারে দুর্বলতা আছে। নিজেদের প্রয়োজনেই এই দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠা দরকার।
কাহিনী মজারু
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
কেবল ডাক্তারের কথা বললে একপেশে হয়ে যাবে। আসলে বাংলাদেশে সরকারী চাকুরেদের অধিকাংশই ইন্টারনেট বিষয়ে ব্যাপক অনভিজ্ঞ। এই জগতটা তাদের জন্য প্রায় এলিয়েন জগত। এমনকি কম্পিউটার নিয়ে দুই যুগ কাজ করেছেন সেরকম আইটি বিশেষজ্ঞেরও ব্যপক হাস্যকর কীর্তি আছে। আমাদের মোস্তফা জব্বার তার উদাহরণ হতে পারে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
মোস্তফা জব্বার তো খুবি ভালু লুক ... বিজয় না থাকলে যে কি হইত
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
মজা পাইলাম
তাইতো বলি ফেসবুকে ডাক্তার বন্ধুগুলারে খুঁজে পায়না কেন ???
আমি যে সময়টাতে মেডিকেলে পড়তাম (২০০১-২০০৬), আমার মেডিকেলে আমিই ছিলাম একমাত্র ফেসবুক ব্যাবহারকারী (পরে অবশ্য এক বা দু'জন যোগ হয়ে থাকবে)। সন্ধ্যায় যখন শহরের একমাত্র সাইবার ক্যাফেতে যেতাম; ফেরার পথে মেডিকেলের বন্ধুরা (এবং বান্ধবীরাও, তবে মুখ লুকিয়ে) হাসাহাসি করত। তাদের কাছে ইন্টারনেট মানেই ছিল পর্নোগ্রাফি। পুরো মেডিকেল কলেজ হোস্টেলে কম্পিউটার ছিল তিনটি (প্রথমে একটিই ছিল; পরে আমি আর আরেকজন কম্পিউটার নিয়ে যায় হোস্টেলে)। এখন অবশ্য পরিস্থিতি অনেক বদলেছে। কুপমন্ডুকতা থেকে বের হয়ে আসা প্রয়োজন।
হা, অবস্থার পরিবর্তন হবে আশা করা যায়
আর আমাদের সুপরিচিত মেহদী হাসান তো একজন ডাক্তারই, তাঁর ও আরো অনেকের কল্যানে আমরা সহজেই বাংলায় টাইপ করতে পারি
২০০৬সালে বাংলাদেশ থিকা ফেইসবুকে রেজিস্ট্রেশন করা যাইতো?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ফেসবুক কি ডাক্তারবান্ধব না?
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
কি জানি, কলেজের অনেক বন্ধু মেডিকেল থেকে পাশ করেছে কিন্তু ফেসবুকে বা ফেসবুকে কলেজের গ্রুপে যেখানে হাজার খানেক সদস্য আছে তাদের খুঁজে পাই না
চমকপ্রদ। কী বলব! একজন হবু ডাক্তার হয়েও বলছি- আমাদের পারিপার্শ্বিক দিকগুলোতে আরও নজর দেয়া দরকার। অনেক ক্ষেত্রে সময় আর সুযোগও কম।
- চাঁদনী আহমেদ
সময় সুযোগ আর নতুন কিছু শেখার ভয়, সব মিলিয়েই হয়তো........মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আমার দেখামতে অধিকাংশ পঞ্চাশোর্ধ ডাক্তারগণ ইন্টারনেট ব্যবহারে অসমর্থ। তাঁদের হাসপাতাল ডিউটি আর প্রাইভেট প্র্যাকটিসের মাঝে পরিবারকে দেবার মতই সময় নেই। তো ইন্টারনেট ঘাঁটার সময় কই! তাছাড়া একধরনের অজ্ঞতাও তাঁদের ইন্টারনেট বিমুখতার কারন।
ধন্যবাদ, একটি প্রয়োজনীয় প্রসঙ্গ তুলে আনার জন্য।
সময় একটা কারণ, ইচ্ছেও একটা কারণ।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
''ডাক্তারে উপর মাস্টারি করার বিপদ আমি জানি''
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
চমৎকার ভাবে উঠে এসেছে ডাক্তারদের প্রযুক্তি বিমুখতার পাশপাশি নিজ জ্ঞান/তথ্য ভান্ডার হালনাগাদ রাখতে ব্যার্থতার কথা।আপনার ঘটনাটি বেশ কয়েকবছর আগে হলেও অবস্হা খুব বেশী বদলেছে বলে মনে হয়না।আমার বন্ধুদের অনেকরই ইমেইল আছে,তবে মেইল করার পর নাসিরুদ্দিন হোজ্জার মত(পায়ে ব্যাথা তাই চিঠি লিখতে পারবোনা) সাক্ষাৎএ/মোবাইলে বলে দিতে হয় মেইল চেক করার কথা।আর ইন্টারনেট ঘাটাঘাটি করে নিজকে আপটুডেট রাখা তো আরএকটু দূরের কথা।
তবে যারা থিসিসের জন্য কাজ করেন(এমডি,এমফিল,এফসিপিএস,এমপিএইচ)তাদেরকে কিন্তু যথেষ্ট ঘাটাঘাটি করতে হয়। নতুন প্রজন্মের ডাক্তাররা হয়তো আরও একটু এগিয়েছে সত্য(ফেসবুকFB
(স্বীকার করছি খোমাখাতায় গ্রুপে অংশগ্রহনই প্রযুক্তিমুখীনতা নয়।)
একটু অতি সরলীকরন হয়ে গেছে।সমস্ত বংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চিন্তা করে দেখুন,আমাদের অবস্হা কিন্তু আসলে সেই ভদ্রলোকের মত,যিনি তার একটি গুরুত্বপূর্ণ কাগজ ফ্যাক্স করে বন্ধুর কাছে পাঠানোর সময় বন্ধুকে ফোন করে বলেছিলেন,কাজ শেষ হলে কাগজটা আবার ফেরত পাঠিও,কপি একটাই আছে......।শুধু ডাক্তারদেরকে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে আলাদা কিছু আশা করাটা বোধহয় অন্যায় হবে।
একটা কথা না বললেই না..গোগল থেকে জ্ঞান আহরণ করে চিকিৎসা করতে গেলে কিন্ত বিপদ হতে পারে...কারণ ডাক্তারিবিদ্যা শুধুমাত্র পূঁথিগত বিদ্যা নয়।
আপনার লিখা পড়ে আনন্দ পেয়েছি।
মারাত্মক হইছে এটা
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ওনারা শিখতে আগ্রহী মনে হলো। স্রেফ ইন্টারনেট বিষয়ক প্রাথমিক জ্ঞানের অভাব। আরেকটু ভালোভাবে দেখিয়েই দিতেন সব...
বিভিন্ন শ্রেণীর টার্গেট অডিয়েন্সকে লক্ষ্য করে ইন্টারনেটে তথ্য প্রাপ্তি বিষয়ক প্রাথমিক জ্ঞানের কিছু ভিডিও তৈরি করা দরকার মনে হচ্ছে। অবশ্য সেটাও ইন্টারনেটে রেখে দিলে চলবে না। টিভিতে সম্প্রচার করতে হবে। দেশে জ্ঞান-বিজ্ঞান নিয়ে ভালো কোনো অনুষ্ঠান কোন কোন চ্যানেলে হয় জানা দরকার। এতশত শত এয়ারটাইম টকশোতে ব্যয় হয়। কিছু কাজের জিনিশ দেখালে পারে... আমি নিশ্চিত সৃষ্টিশীল উপস্থাপন করতে পারলে দর্শক প্রিয়তাও বেশিই পাবে...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
এই কাজের জন্য বিটিভি সবচেয়ে উপযুক্ত। 'আপনার স্বাস্থ্য' অনুষ্ঠানের মতো 'আপনার ইন্টারনেট' বানানো যেতে পারে। কিন্তু সেখানে কাগু চেয়ার দখল করে বসে থাকবে বলে আশংকা করি
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
হয়তো বড় বেশি জেনারালাইজেশন হয়ে গেছে লেখাটা। কষ্ট পেলাম খুবই.......
শুধু চিকিৎসক নন আমাদের অন্যান্য পেশাজীবীদের অবস্থাও অনেকট একই। প্রযুক্তি বিমুখতা নয় ঠিক তবে সময়াভাব এবং ভয় সম্ভবত কাজ করে। আর কম্পিউটার যন্ত্রটার যন্ত্রণাও কিন্তু কম নয়। হ্যাং হওয়া আর ভাইরাসে ধরার কারণে শান্তিতে কিছু করার জো কোথায়! নানা ফ্যাকড়া। ধরুন বুট প্রায়োরিটিতে সিডিরম নির্বাচন করা আছে। তো আপনি জানেনই না। এদিকে ছোট ভাইটি হয়তো গেম খেলার সিডিটি ঢুকিয়ে রেখেছে ড্রাইভে। এবার আপনি পিসি স্টার্ট দিয়েছেন কিন্তু ঘাম বের হয়ে গেলেও পিসি ব্যাটা চালু হবে না! সবার পক্ষে তো টেকস্যাভি হওয়ার উপায় নেই।
অভ্রের ডেভেলপার মেহেদি তো একজন চিকিৎসকই, না? তাঁর মতামত কী এ সম্পর্কে??
এটা পোষ্টদাতার একটা বিচ্ছিন্ন অভিজ্ঞতা। সব ডাক্তারের কথা বলা হয়নি এখানে। সুতরাং জেনারেলাইজেশানের সুযোগ নেই। নানান কারণে অনেক বিজ্ঞ মানুষও ইন্টারনেট থেকে দূরে। তবে আগ্রহটা একটা গুরুত্বপূর্ন নিয়ামক।
আপনি কষ্ট পেয়েছেন বলে আমি দুঃখিত।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতো বিষয় যেখানে প্রতিদিন কিছু না কিছু তথ্য যোগ হচ্ছে সেখানে আমাদের 'বড় বড়' প্রফেসররা ইন্টারনেট বস্তুটি কি সেটাই বোঝেননা -- এটা একটা ভয়ংকর দুঃসংবাদ বৈকি।আমজনতা বা রোগীর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা যখন গুগল বা উইকির সাহায্য নেবেন, এঁদের নিতে হবে পাবমেড বা টেক্সটবুক নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের।প্রতিটা টেক্সটবুক-এরই ওয়েবসাইটে নিয়মিত তথ্য আপডেট করা হয়, যেগুলো রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। টেক্সটবুক-এর নতুন এডিশন আসার আগেই অনেক তথ্য পুনর্বিবেচনার দাবী রাখতে পারে।ইন্টারনেটের মাধ্যমে এছাড়া সুযোগ রয়েছে জার্নাল, জার্নাল স্পেসিফিক ব্লগ, পডকাস্ট, এমনকি ফেসবুক বা বিষয়ভিত্তিক ফোরাম থেকে জ্ঞানাহরণের এবং মত আদানপ্রদানের।
আমার একজন সফল, মেধাবী বিশেষজ্ঞ বন্ধুকেই দেখেছি ইন্টারনেট ভীতিতে ভুগতে।অথচ সে সংবেদনশীল মানুষ, সুচিকিৎসক।ইন্টারনেট সংক্রান্ত জড়তা কাটাতে একটু সচেতনতাই শুধু প্রয়োজন। নতুন প্রজন্মের চিকিৎসকেরা নিশ্চয়ই আপডেটেড হবার সুযোগ হারাতে চাইবেননা। পাশাপাশি মেডিকেল কলেজগুলোতে উচ্চগতির ইন্টারনেট সুলভ করে তোলা উচিত (জানিনা কতটা সুযোগ তৈরী হয়েছে এতদিনে, ৯০-২০০০ এর দিকে তো নিশ্চয়ই ছিলোনা)।
বাংলাদেশে চিকিৎসা বা স্বাস্হ্যসংক্রান্ত একটি বাংলাভাষী ব্লগ গড়ে তুলেছেন নবীন চিকিৎসক এবং সংশ্লিষ্টরা মিলে, এমন দিন কি আসতে পারেনা? তৌফিক জোয়ার্দার, বিষয়টি ভেবে দেখতে পারেন। আপনি আগ্রহী হলে যোগাযোগ করতে পারেন, আলোচনা করা যেতে পারে।
আপনার চমৎকার মন্তব্যটা ভাবার মতো।
আমাদের ডাক্তারদের ক্ষেত্রে একটা সমস্যা দেখেছি কেউই রোগীর কাছ থেকে জ্ঞানের কথা শুনতে চান না। কিছু একটা ডাক্তার হয়তো পরিষ্কার জানে না। কিন্তু রোগী অন্য কোন রেফারেন্সের সুত্রে সেটা জেনে গেছে, এটাকে পাত্তা দেয়াকে পেশার প্রতি অবমাননা বলে মনে করেন বোধহয়। আমি উপরোক্ত ডাক্তার বাদে বাকী আর কোন ডাক্তারের কাছে জ্ঞানের কথা বলে সুফল পাইনি। হাত নেড়েই উড়িয়ে দেয়া হয়েছে আমাকে। সেরকম একজন ডাক্তার চট্টগ্রামের শেভরনে দেখেছি আ.ক. আদ্যাক্ষরে ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ সাইনবোর্ড নিয়ে আছে। কিন্তু আচরণে মনে হবে গরুর দালাল।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
নীড়সন্ধানী,
আমারো তাই অভিজ্ঞতা, অন্তত টেবিলে রোগীর উল্টোদিকে বসা লোকগুলোর একজন যখন আমি বা আমার কলিগরা। কিন্তু রোগীর কথা অত্যন্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে আমার কাছে বারবার মনে হয়েছে। যেমন ধরুন, একজন ডায়াবেটিক পেশেন্ট, যিনি কিনা ১৫-২০ বছর ধরে রোগটির সংগে একটি জীবনই কাটিয়ে চলেছেন, তাঁর রোগ-সম্পর্কিত উপলব্ধি টেক্সট বইয়ের যত দূর দিয়েই যাক না কেন আমাকে রোগীর সংগে ইন্টারএকশনের সফলতার কথা ভেবে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতেই হবে (মানবিক অনুভূতিকে শ্রদ্ধা করার প্রসংগটি তো আছেই)।
দেখেছি, ডাক্তারেরা রোগীর চেয়েও বেশি ভালনারেবল। তাঁদের মর্জি বুঝে যদি রোগীকে চলতে বা বলতে হয় তাহলে তো মুশকিল।ছাত্রাবস্থায় বা অল্পবয়সে সবাই বেশ সেনসিটিভ থাকে আসলে, কিন্তু যত সময় যেতে থাকে নানান অসুস্থ প্রতিযোগিতায় পেশার আসল উদ্দেশ্য থেকে বিচ্যুত হতে দেখেছি বহু লোককে। হতাশপ্রাণে পেশা ছেড়ে দিয়েছেন, এমন লোকের সংখ্যাও কম নয়।মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিচরণ করলেই বোঝা যাবে, যাঁরা রোগী বা মানুষকে ভালোবাসায় ব্রতী হওয়ায় বিশ্বাসী তাঁদের কেউই নবীনদের হিরো নন, হিরো তাঁরাই যাঁরা একবারে পিজি এন্ট্রান্স বা এফসিপিএস ক্লিয়ার করেছেন বা তুমুল প্র্যাকটিস করছেন বা স্পেসিফিক স্কিল অর্জন করেছন ঈর্ষনীয়ভাবে। ফলে যা হবার তাই হচ্ছে, চিকিৎসকেরা যেন অন্য সমাজের বাসিন্দা হয়ে পড়েছেন।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের ছাত্ররা তাদের একাডেমিক চাপের কারণে ধীরে ধীরে সমাজ থেকে কেমন বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে বাধ্য হয়। এমবিবিএস এর ৫-৭ বছর ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েশয়েন লড়াইয়ের অমানুষিক আরো ৫-৭ বছর সে পার করছে একটা ঘোরের মধ্যে, এই ধাপগুলো পেরুলে এতদিনের না পাওয়া পুষিয়ে নিতে টাকা বানানোর মেশিন বানিয়ে ফেলা নিজেকে (যদিও এই 'ভাগ্যবান' শ্রেণীর লোকসংখ্যাও বেশি নয়)।
নবীন বয়সে মানুষের মনে যখন কমিটমেন্ট তৈরী করা সম্ভব, তখন একজন সুবিধাবাদী মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার সব উপাদানই একজন মেডিকেল ছাত্রের সামনে থিকথিক করে।অবশ্য পুরো সমাজ যদি এরকম হয়, তাহলে আলাদা করে চিকিৎসক সমাজকে দুষেই বা কি হবে। একজন দুজন ভালো ডাক্তারকে প্রাণভরে শ্রদ্ধা করবো তাঁদের কাজের জন্যে, একজন দুজন উল্টোমাপের ডাক্তারদের নাম তুলে শ্রাদ্ধ করবো।অন এভারেজ, সমাজ যে তিমিরে সে তিমিরেই।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, চিকিৎসাবিজ্ঞান কারিকুলামে সাহিত্য আর ম্যানেজমেন্ট থাকা উচিত।এমনিতে এতগুলো সাবজেক্টের চাপ, তার উপর এসব বাড়তি বিষয় এদের আরো ভারাক্রান্ত করে তুলবে কি না যেটা বিবেচনায় রেখে এগুনো উচিত।কম্পিউটার বা নেট (পড়ুন প্রযুক্তি) সম্পর্কে আপডেটেড থাকা যতটা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে, একজন পরিপূর্ণ মানুষের জন্যে (মানবসেবার মতো পেশায় যাঁরা সরাসরি নিবেদিত তাঁদের জন্যে তো বটেই) মানবিক অনুভূতিগুলোর উৎকর্ষসাধন ঢের বেশি অপরিহার্য। কারণ সেগুলোর অর্জন তাঁদের কর্মকাণ্ডকে আরো দ্বায়িত্বশীল করে তুলবে।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
চরম অইছে। এই হইল অবস্থা ? সারছে...
তবে ডাক্তারের উপর মাস্টারি ভালো অইছে
ডাকঘর | ছবিঘর
আপনাকে
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আর পারছি না - পেট ফেটে যাবে
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আস্তে.....পেট ফাটুক কিন্তু ক্যামেরা যেন না ফাটে
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
মজাও পেলাম আবার কষ্টও পেলাম
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
পড়ার মাঝে আবারও ট্যাগ চেক কর্লাম, না দিনপঞ্জি তো দেখা যাচ্ছে!!
হাহাপগে!!
love the life you live. live the life you love.
হ দিনপঞ্জিই বটে
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
যতটা হাসলাম, তার চেয়ে বেশী অবাক হলাম। তার চেয়েও ঢের বেশী উদ্বিগ্ন। এই তাহলে চিকিৎসার অবস্থা!
আমার মনে হয় চিকিৎসার অবস্থা খারাপ হবার পেছনে নেটবিমূখতা যতটা দায়ী তারচেয়ে বেশী দায়ী আন্তরিকতা, পেশার প্রতি দায়বদ্ধতা।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
অভিজ্ঞতা আছে। তাই জানি। ভাইরে বড়ই লজ্জা লাগে!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
লজ্জার কিছু নেই। একই অবস্থা সরকারী উচ্চপদস্থ কর্তাদের, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক অধ্যাপকেরও।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
দারুন!
ঘটনা আমার কাছে পুরাই বিশ্বাস যোগ্য,আমি নিজেও প্রায় একই পরিস্থিতিতে পড়েছি, গুগল করে আমি যা জানতাম ডোজ দিতে গিয়ে বই পত্র ঘেটে তাও না পেয়ে অন্য চিকিৎসকের সাহায্যের অপেক্ষায় রইলেন। উনি অব্শ্য আপনার চিকিৎসকের মত এতটা বিনয়ী ছিলেন না,আমি বলাতে সে আমার উপর মহাবিরক্তির বিষ দৃষ্টি নিক্ষেপ করলেন। আমি আর কিছু বলার সাহস পেলাম না। বরং ডাক্তার পরিবর্তন করাটাই সহজ পন্থা মনে হল।
আমিও এরকম জ্ঞান ফলাতে গিয়ে বেশীরভাগ সময়ে ঠান্ডা ঝাড়ি খেয়েছি।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ডাক্তার সাহেবের আমি সব জানি মনোভাবের পরিবর্তে নতুন রোগ এবং ইন্টারনেট সম্পর্কে শেখার আগ্রহ খুবই ইতিবাচক। আমার প্ররিচিত অনেক ডাক্তার-ই এক্ষেত্রে "আমনে আমাত্তে বেশী বুঝেন?" বলে আপনাকে ঘাড় ধরে বের করে দিত
"আমনে আমাত্তে বেশী বুঝেন" এই মনোভাব কিন্তু প্রায় সকল পেশাজীবির
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আমাদের ৬ ভাইয়ের মাঝে ৫ জনই ফেসবুক ব্যবহার করি। ১ জন করেন না। বলাবাহুল্য উনি ডাক্তার
ফেসবুক ব্যবহার না করাই ভালো ডাক্তারদের জন্য। তবে নেট সম্পর্কে ধারণা থাকা উচিত। নেটে কানেক্টেড হওয়া জরুরি যে কোন পেশাজীবির জন্যই।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ডাকতারি তে কমপিউটার আর আইটি সাবজেকট দরকার। নাই। আমি নিজে বাংলা টাইপ জানি না বলে বেশি লিখতে পারতেছি না।আমি ডাকতার।
কম্পিউটার আজকাল বেসিক এডুকেশান সিস্টেমেই আছে। ডাক্তারিতে আলাদা সাবজেক্ট হিসেবে আনার দরকার দেখি না। আমাদের ভার্সিটির পড়াতে কোনদিন কম্পিউটার ছিল না। তবু নিজের দরকারেই শিখতে হয়েছে। ঠেকায় না পড়লে কেউ কিছু শেখে না। আমরা যেরকম ঠেকায় থাকি, ডাক্তারেরার সবাই হয়তো সেরকম ঠেকায় থাকে না তাই অনেকে শেখে না।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আমি পাস করেছি ২০০৯ এ. আমাদের একজন শ্রদ্ধেয় প্রফেসর এর email address খুলে দিয়েছি ইন্টার্ন করবার সময় (২০১০) এ... এটা খুব অস্বাভাবিক ও মনে হয় নি আমার কাছে, উনি প্রায় আমার বাবার বয়েসী...
তবে যেটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে সেটা হলো রোগের ব্যাপার এ না জানা... আমার চেনা প্রায় সকল ডাক্তার ই ডাক্তারি (পাঠ্য) বইয়ের সর্বশেষ প্রকাশিত সংখ্যা সংগ্রহ করেন, religiously...
তবে আমাদের দেশের ডাক্তারদের মধ্যে যেটির অভাব নিশ্চিতভাবেই আছে সেটা হলো গবেষণার... এজায়গায় মনে হয় পুস্তক এ কুলোয় না...
স্বাস্থ্যসেবা কিংবা ঔষধ বিষয়ক এদেশীয় website আছে একাধিক.. বেশ কয়েকটি ডাক্তার পরিচালিত... তবে তৌফিক ভাই কিংবা নুপুর কান্তি ভালো জানবেন, ব্লগ লেখার সময় পাবেন এরকম ডাক্তার খুব বেশি নেই... (খুব শখ করে শুরু করেছিলাম, পারিনি চালাতে...) সে অনেক কথা... মাখনলাল এম.বি.বি.এস নামে বন্ধুবর শুভাশিস চয়ন এর একটা লেখা ছিল, FB তে পাবেন, পরে দেখতে পারেন... (লিঙ্ক টা এইমূহুর্তএ খুজে পাচ্ছি না বলে দুঃখিত).
issue টা উঠিয়ে আনার জন্যে ধন্যবাদ.
লিঙ্ক টা পেয়েছি...
সঞ্জয়
সঞ্জয় কুমার চৌধুরী: আপনি সচলায়তনে চোখ রাখেন দেখছি। এর আগে পরীক্ষামূলক ওষুধ নিয়ে ষষ্ঠ পাণ্ডবদার পোস্টে আপনার একটা চমৎকার মন্তব্য দেখেছি। সময় পেলে চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে বা আপনার মনমত বিষয়ে ব্লগ পোস্ট দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ধন্যবাদ ফাহিম হাসান.
লিখতে চাই.. registration ও করেছিলাম, 'পূর্ণরূপ সচল' হয়ে ওঠা হয়নি সময়ের অভাবে... হব নিশ্চয় কোনো একদিন...
অফটপিকঃ সঞ্জয় কি নটরডেম কলেজ, ১০৩১***?
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
হুম! কষ্ট করে একটা email করবে(ন) ? (ID এর শেষ ৩ টি সংখ্যা না হয় ওখানেই বলি? )
ফেসবুক নোটসটা পড়লাম। খুবই মর্মস্পর্শী লেখা। কিন্তু বেশ কিছু জায়গায় দ্বিমত আছে। ৩০ বছর বয়সে অন্য পেশার লোকজন গাড়ি বাড়ির মালিক বনে যাচ্ছে, এটা নিতান্তই আকাশকুসুম কল্পনা। আর সেরকম দুর্দশাগ্রস্থ ডাক্তার সমাজে খুব বেশী আছে বলে মনে হয় না। নোটে বর্নিত একজন মাখনলালও বাস্তবে খুঁজে পাওয়াও কঠিন। বিস্তারিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
দুর্দশাগ্রস্থ ডাক্তার খুঁজে না পাবার কারণ: ধারণা করছি আপনার কাছের কেউ গত ৮-১০ বছর এ ডাক্তারি পড়ে নি, ভুল হলে জানাবেন.
বাস্তবে একজন মাখনলাল ও খুঁজে পাচ্ছেন না ? চিনে রাখুন আমাকে. আমি নিজে এক কথায় হাতিরপুল এর এক ক্লিনিক এর চাকরি ছাড়তে পেরেছি, ভালো লাগেনি তাই (আমাকে বলা হয়েছিল রোগীকে MRI করতে দিতে - যা আমার কাছে প্রয়োজন মনে হয় নি) - কারণ আমি বাপের হোটেল এ খেতাম. আমার অনেক বন্ধুকেই ৮ ঘন্টায় ৭০০ টাকা বেতনের ওইরকম চাকরি করতে হয় পেট চালাতে... টানা ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত, যাতে সপ্তাহের বাকি ৫ দিন বিনা বেতন এ কাজ করা যায় সরকারী হাসপাতাল এ - এভাবেই চলে MBBS পাস করা ডাক্তারদের পরবর্তী ৪-৫ বছর.. কতজন চাই আপনার ?
অন্য পেশার লোক এর বেতন নিয়ে আমার আগ্রহ কম, তবে এটা জানি অন্য কেউই ৬ বছর পড়ে পাস করে ডিগ্রী নিয়ে ৪ বছর বিনা বেতন এ মাসে ৩০ দিন চাকরি করে না. আমরা এসব জেনে বুঝেও এ পেশায় আসি, থাকি এবং থাকব. না হলে ৩/৪ টা post-graduate degree করা ডাক্তার এর সেবা ৫০০ টাকা সম্মানী তে আর কোন দেশে আপনারা পাবেন বলুন ?
কারও মনে আঘাত দিয়ে থাকলে আন্তরিকভাবে দুঃখিত, কিন্তু এসব তথ্য আপনাদের জানা উচিত. বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিবর্তন ছাড়া সেবার মানোন্নয়ন অসম্ভব প্রায়.
আসলেও অসংখ্য উদাহরণ আছে। এসব পরিস্থিতিও ডাক্তারদেরকে অসহিষ্ণু করে তোলে; যার অনেকটাই হয়ত inferiority complex induced. বিষয়গুলো নিয়ে এতকিছু লেখার আছে যে overwhelmed হয়ে কিছুই লেখা হয়না। তার চেয়ে বড় কথা ডাক্তাররা এসব কথা সহজে নিতেও পারেনা। ডাক্তার পরিচয় না দিয়ে অনেক কথা বলতে গিয়ে অনেকসময়ই ডাক্তারদের সঙ্ঘবদ্ধ আক্রমণের শীকার হয়েছি। ডাক্তার পরিচয় দিলেই অবশ্য পরিস্থিতি বদলে যায় বেশিরভাগ সময়। কিন্তু সেটা কেন হবে? ডাক্তারদের মাঝে এক ধরণের professional cult গড়ে তোলা হয় শিক্ষা জীবন থেকেই। সমাজের অতিভক্তি, ছেলেমেয়েকে ডাক্তার বানানোর ব্যাপারে অতিরীক্ত আগ্রহ- এসব আগুনে ঘি ঢালে। কিন্তু পাশ করার পর ডাক্তারদের প্রত্যাশার সাথে যখনি প্রাপ্তির gap টা বিশাল থেকে বিশালতর হতে থাকে তখনি তাদের আচরণে দেখা দেয় বিকৃতি, reactionary দুর্ব্যবহার। এর প্রতিক্রিয়ায় সাধারণ মানুষও ডাক্তারদের প্রতি হয়ে ওঠে অনেক বেশি অসহিষ্ণু। কারণ তারাও যে ডাক্তারের কাছ থেকে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির সমীকরণটা মেলাতে পারেনা।
আমাদের দেশে স্বাস্থ্য বিষয়টাই কুক্ষিগত হয়ে আছে চিকিৎসকদের মাঝে। অথচ স্বাস্থ্যের বিরাট অংশ নির্ভর করে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের আন্ত:মিথস্ক্রিয়ার ওপর। অথচ এবিষয়ে সাধারণ মানুষের যেমন understanding/acceptance নেই, তেমনি ডাক্তারদেরও রয়েছে এই domain এ মনোপলি ত্যাগ না করার দুর্মর প্রতিজ্ঞা। তাই সঞ্জয়, তুমি যে বলেছো স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিবর্তন দরকার, সে পরিবর্তন করবে কে? ডাক্তার? ডাক্তারদেরকে কি মেডিকেল কলেজে এ শিক্ষা দেয়া হয়? আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ এখনো মনে করে স্বাস্থ্যমন্ত্রি হতে হবে একজন ডাক্তার। এটা কেউ ভাবেনা ভাঙ্গা হাড় জোড়া লাগানো আর ভাঙ্গা স্বাস্থ্যব্যবস্থা জোড়া লাগানো এক বিদ্যা দিয়ে সম্ভব না। এর জন্য পৃথক বিদ্যা আছে। সেসব বিদ্যায় অনেক বাংলাদেশি বিশ্বের শীর্ষ কিছু অবস্থানও অর্জন করেছে দেশে বিদেশে। জনস হপকিন্সের স্কুল অব পাবলিক হেলথের একমাত্র নন হোয়ইট ফুল প্রফেসর একজন বাংলাদেশি; আরো ভুরি ভুরি উদাহরণ আছে। অথচ আমাদের বিসিএস এ পাবলিক হেলথ প্রফেশনালদের জন্য কোন ক্যাডার নাই। মেডিকেল এ্যান্থ্রোপলজি doctor patient relation নিয়ে deal করে। আমাদের দেশের কয়েকজন top class medical anthropolgist আছেন; দেশে তাদের কোন মূল্যায়ন নেই বলে বাইরে কাজ করছেন। দেশে যিনি আছেন তার knowledge টাকেও দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় কাজে লাগানোর কোন formal channel নাই। আমি নিজে হেলথ সিস্টেমের ওপর পিএইচডি করছি; জানি আমারো কোন মূল্যায়ণ দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় হবেনা। আমার মতো আরো অনেকেই আছে। যাদের যে কাজ করার কথা তাদেরকে সে কাজের সুযোগটা না দিলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিবর্তনাটা আসবে কিভাবে; আনবে কে?
ধন্যবাদ সঞ্জয়। দেখব। অনেকদিন পর তোমার কমেন্ট চোখে পড়ল।
বিস্ময়কর বটে। আমি মেডিকেল শেষ বর্ষের ছাত্র। প্রচুর নেট ব্যবহার করি। স্যারদেরো দেখি করতে। তাই বিস্মিত হইলাম
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
কিছুটা বিস্ময়কর বটে। তব ঘটনাটা ৫/৬ আগের। তখনো ইন্টারনেট জিনিসটা তথ্যভান্ডার হিসেবে সবার কাছে পরিচিত হয়ে ওঠেনি বলেই হয়তো। তবে ইন্টারনেট অজ্ঞতা প্রায় সবগুলো সরকারী অফিসেই এই রকম ছিল। আমার ভাগ্যে ডাক্তারের অভিজ্ঞতাটাই পড়ে গেছে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ডাঃ হয়ে গুগল কি জানে না, ব্রাউজার ওপেন করতে পারেন না
ওরা মনে হয় ভিন্ন গ্রহের মানুষ
অবাক হতে হয়, তবু বলি যে সময়ের কথা লিখেছি সেসময় ইন্টারনেট অতটা সহজলভ্য আর জনপ্রিয়তা পায়নি। ওটাও একটা কারণ হতে পারে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
সময়ের অভাব!!
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
সময়ের অভাব, প্রযুক্তিভীতি দুটোই হতে পারে
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
লেখাটা সমর্থন করতে পারলাম না। একজন বা এক শ্রেণীর মানুষ একটা ব্যাপার নাই জানতে পারে, তাই বলে তাদেরকে নিয়ে ব্লগ লিখে হাসি-ঠাট্টা করা মোটেই উচিৎ নয়।
একই ব্যাপার কিন্তু আপনার জন্যও প্রযোজ্য, আপনি কম্পিউটারে উস্তাদ হইতে পারেন, কিন্তু রকেট সাইন্স নিয়া আপনার জানা-শোনা ঐ ডাক্তারের ইন্টারনেট জানার মতই হবে।
জী ভাইজান রকেট সায়েন্স নিয়া আমার জ্ঞানের অবস্থা ভয়ানক খারাপ। এমনকি রকেটে কয়টা চাকা থাকে, চাকাগুলো লোহার না রাবারের তাও জানি না আমি। আমি শুধু কম্পিউটারে বাংলা/ইংরেজী টাইপ করতেই শিখছি। এবার আপনি চাইলে রকেট সায়েন্সে আমার গন্ডমূর্খতা নিয়ে একটা হাসি ঠাট্টার পোষ্ট লিখে ফেলতে পারেন।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
লজ্জার কিছু নেই। একই অবস্থা সরকারী উচ্চপদস্থ কর্তাদের, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক অধ্যাপকেরও।
অতি সত্ত কথা।
কিছু পয়েন্ট যোগ করি।
বাংলাদেশে বয়স ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটা প্রভাব রাখে। ত্রিশ পেরনো লোকেদের মধ্যে ৭% লোক ফেইসবুক ব্যবহার করে। বাংলাদেশের ইনটারনেট ব্যবহারকারিদের মোটামুটি সবাই ফেইসবুক ব্যবহার করে থাকে। [সূত্র (নির্ভরযোগ্য কিনা জানিনা)]এই ৭% ব্যবহারকরণেওয়ালাদের বেশিরভাগই আমার ধারণা প্রযুক্তিশিক্ষিত অথবা বহির্বিশ্বে যোগাযোগ রাখতে হয় এরকম কোথাও কাজ করেন। ডাক্তার, কর্পোরেট চাকুরে এদের ইমেইলের বাইরে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন খুব কম।
ডাক্তাররা একমাত্র প্রযুক্তি বিমুখ কথাটা দাবি করাটা ঠিক হবে না। ঢাকা শহরের বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ইয়াঙ জেনারেশন ছাড়া বাকিদের অবস্থা একই রকম।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
নতুন মন্তব্য করুন