আগুন ঝরানো ফাগুন দিন পেরিয়ে আজ নাকি ভালোবাসা দিবস!! প্রিয়জনের সাথে ফুল প্রেম মিষ্টি উপহার বিনিময়ের মধুর সময়!! শুধু কি মধু? তেতো কিছু নেই? আছে। সেই তেতো কথা বলি। ১৯৮৩ সালের এই দিনে লেজেহোমো এরশাদের টিয়ার গ্যাস-রাইফেল-বন্দুকের ভালোবাসায় রক্তাক্ত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ। বলি হয়েছিল কমসে এক ডজন প্রাণ।
সেই কবিলুল বিশ্ববেহায়া হোমো এরশাদ এখনো জীবিত। প্রেম ভালোবাসায় কতোটা সক্রিয় না জানলেও রাজনীতির এক্কা দোক্কার কোলে চড়ে সক্রিয় আছে, ভালো আছে, সুখে আছে বলে জানি। সেই জানাটা বড় লজ্জার।
তবে এরশাদকে নিয়ে যারা নীতিহীন রাজনৈতিক ঐক্য গড়েছে তাদের লজ্জা নেই। যারা একসময় এরশাদকে থুথু দিয়েছিল তারাই গত বিশ বছরে এরশাদের সাথে একই মঞ্চে গলাগলি করেছে, করছে, করবে।
কেবল আমাদেরই লজ্জা। জাফর জয়নাল আমাদের দিকে তাকয়ে বিদ্রুপের হাসি হাসছে। আমাদের প্রতিশোধ নেয়া হয়নি। তাই আমরা সকল প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রসমাজ যুগে যুগে এরশাদকে থুথু দিয়ে আপ্যায়ন করে যাই।
ভালোবাসার দিনে গর্বিত প্রেমিক এরশাদের ফুল নেবার মতো কোন নারী অবশিষ্ট আছে কি? যদি থেকে থাকেন- হে অজানা অদেখা নারী, একটি আবেদন শুনুন। আপনি এরশাদের ফুল নিয়ে তাতে অন্ততঃ এক দলা থুথুতে ভরিয়ে দিন টবে সাজাবার আগে। ওই সামান্য ঘেন্নাটুকুতেও জাফর, জয়নাল, দীপালী সাহা সহ এরশাদের পেটোয়া বাহিনীর হাতে নিহত আমাদের সকল পূর্বসূরী ছাত্রদের আত্মা খানিকটা শান্তি পাবে।
মন্তব্য
সেইসব অকালপ্রয়াত শহীদ ছাত্র=ছাত্রীদের প্রতি
facebook
১৪ ই ফেব্রুয়ারির পরের দিনের ইত্তেফাক রিপোর্ট। স্মৃতির শহর লেখার সময়ে গুগল করে বের করেছিলাম। তখন সেন্সরশিপ ছিল প্রবল।
সরকারী প্রেসনোট হতো চূড়ান্ত মিথ্যাচার। আমার মেজভাই বের করেছিলেন - প্রেসনোটে যত ইনিয়ে বিনিয়ে বলা কথা থাকবে, পুলিশের ধৈর্য্যের কথা বলা থাকবে - আন্দোলনের পরিমাণ নাকি ততই বড় থাকে। সন্ধ্যায় বিবিসির খবর শোনা ছাড়া আমাদের উপায় ছিল না। তবে ওই দিন আম্মা শিক্ষাভবনে কর্মরত ছিলেন, ঘটনা নিজের চোখেই দেখেছেন।
এই সব বর্বরতা দেখেই আমি এবং আমার প্রজন্মের সবাই বড় হয়েছে।
ভালোবাসা দিবসে এরশাদের ফুল নিতে বা শয্যাসঙ্গীনি হওয়ার মতো নারীর অভাব নেই। তার পয়সার অভাব নেই। আর আমাদেরও আত্মসম্মান নেই। আমরা কারো শাস্তিতে বিশ্বাস করি না। আমরা ৭১ এর ঘাতকদেরও শাস্তি দিতে পারি নি। ক্ষমতার সমীকরণে এই শুয়োরের বাচ্চা এরশাদ এখন গদির কাছাকাছি। বেজন্মারা সবসময়েই ক্ষমতার কাছেই থাকে। আর আমরা এমনই এক জাতি, কোনো নিপীড়কদের শাস্তি দিতে পারি নি। না পেরেছি ৭১ এর ঘাতকদের, না পেরেছি কোনো স্বৈরশাসককে। আমরা সুবিচার কিভাবে প্রত্যাশা করি?
এরশাদের জন্য রইল একদলা থুথু।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বিশ্ববেহায়াকে থুতু আর ঘৃণা
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
_________________
[খোমাখাতা]
ইয়াক থু
ডাকঘর | ছবিঘর
দেখে ভালো লাগলো যে আমরা সবাই ইতিহাসকে ভুলে যাইনি।
তথাকথিত ভ্যালেন্টাইন দিবসে ( যা বিদেশী সংস্কৃতি থেকে আমদানীকৃত ) কি
ঘটেছিল তা মনে করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
নতুন মন্তব্য করুন