তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে জানুন। তথ্য পেতে সরকারী ও এনজিও দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট আবেদন করুন। আরো জানতে দেখুন www.infocom.gov.bd
অভয় দিচ্ছি সিরিয়াস কোন রচনা নয়। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ারমাত্র। মোবাইলে এরকম একটা মেসেজের উৎপাত প্রায়ই দেখি। এ জাতীয় সরকারী মেসেজের কোন ফজিলত কখনো পাইনি বলে দেখামাত্র খতম করা অভ্যেস হয়ে গেছে। তবু আজ কেন যেন বিরক্ত হয়ে infocom.gov.bd তে ঢুকলাম কঠিন ধৈর্য নিয়ে। কী এমন তথ্য অধিকার আমি প্রতিদিন হেলায় হারাইতেছি আর প্রতিদিন আমাকে মনে করিয়ে দিচ্ছে সরকার জানা দরকার।
কেবল আমি না, মনে হয় আমার মতো দুই কোটি গ্রামীনের গ্রাহকের কাছে এই বার্তাটা সরকার দিয়ে থাকে গ্রামীণের মাধ্যমে। প্রশ্ন আসে, এই রকম স্বতঃপ্রণোদিত উপকার করছে কেন? বিনে পয়সায় কেউ কারো উপকার এই যুগে করে বলে আমার জানা নেই। এই ক্ষেত্রে মেসেজটি দুই কোটি মোবাইল গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে গ্রামীন কতো লাখ টাকা পেয়ে থাকে? আমি যদি এরকম ২ কোটি এসএমএস পাঠাতাম গ্রামীনকে দিতে হতো ৫০ পয়সা করে দৈনিক এক কোটি টাকা। ধরে নিচ্ছি গ্রামীন জনস্বার্থে এই সার্ভিসটার জন্য কোন চার্জ নিচ্ছে না(আসলে নিচ্ছে কিনা জানা সম্ভব?)। কিন্তু এই মেসেজগুলো কেন এত গুরুত্বপূর্ন হলো যে প্রতিদিন মোবাইলের স্পেস দখল করে থাকবে এবং প্রতিদিন বিরক্ত করবে?
আমি ওয়েবসাইট ঘুরে খুঁজলাম আমার মিস হয়ে যাওয়া অধিকারগুলো। কিন্তু তেমন কিছুই পেলাম না যেটা আমার বিগত বর্তমান কিংবা অনাগত জীবনে কোন কাজে আসবে। তথ্য কমিশন নামের এই সংস্থাটির প্রয়োজনীয়তা বুঝতেও অক্ষম হলাম তাদের অর্ধসমাপ্ত ওয়েবসাইট দেখে।
তবু এটার সবচেয়ে মজার অংশটা সবার সাথে শেয়ার করতে ইচ্ছে হলো। এই অংশের শিরোনাম কিছু জরুরী প্রসংগ। এবং এই অংশের সবচেয়ে দীর্ঘ তালিকাটা হলো-
কোন কোন তথ্য কর্তৃপক্ষ প্রকাশ বা প্রদান করতে বাধ্য নয় ?
কোন কর্তৃপক্ষ নাগরিককে নিম্নলিখিত তথ্যসমূহ প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবে না, যথাঃ
(ক) কোন তথ্য প্রকাশের ফলে বাংলাদেশের নিরাপত্তা, অখন্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি হতে পারে
(খ) পররাষ্ট্রনীতির কোন বিষয় যার দ্বারা বিদেশী রাষ্ট্রের অথবা আন্তর্জাতিক কোন সংস্থা বা আঞ্চলিক কোন জোট বা সংগঠনের সাথে বিদ্যমান সম্পর্ক ক্ষুন্ন হতে পারে
(গ) কোন বিদেশী সরকারের নিকট হতে প্রাপ্ত কোন গোপনীয় তথ্য
(ঘ) কোন তথ্য প্রকাশের ফলে কোন তৃতীয় পক্ষের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের অধিকার ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে এইরূপ বাণিজ্যিক বা ব্যবসায়িক অন্তর্নিহিত গোপনীয়তা বিষয়ক, কপিরাইট বা বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ (Intellectual Property Right)
(ঙ) কোন তথ্য প্রকাশের ফলে কোন বিশেষ ব্যক্তি বা সংস্থাকে লাভবান বা ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে, যথাঃ (অ) আয়কর, শুল্ক, ভ্যাট ও আবগারী আইন, বাজেট বা করহার পরিবর্তন সংক্রান্ত (আ) মুদ্রার বিনিময় ও সুদের হার পরিবর্তনজনিত (ই) ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিচালনা ও তদারকি সংক্রান্ত
(চ) কোন তথ্য প্রকাশের ফলে প্রচলিত আইনের প্রয়োগ বাধাগ্রস্থ হতে পারে বা অপরাধ বৃদ্ধি পেতে পারে
(ছ) কোন তথ্য প্রকাশের ফলে জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে বা বিচারাধীন মামলার সুষ্ঠু বিচার কার্য ব্যাহত হতে পারে
(জ) কোন তথ্য প্রকাশের ফলে কোন ব্যক্তির ব্যক্তিগত জীবনের গোপনীয়তা ক্ষুণ্ণ হতে পারে
(ঝ) কোন তথ্য প্রকাশের ফলে কোন ব্যক্তির জীবন বা শারীরিক নিরাপত্তা বিপদাপন্ন হতে পারে
(ঞ) আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তার জন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক গোপনে প্রদত্ত কোন তথ্য
(ট) আদালতে বিচারাধীন কোন বিষয় এবং যা প্রকাশে আদালত বা ট্রাইব্যুনালের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে অথবা যার প্রকাশ আদালত অবমাননার শামিল
(ঠ) তদন্তাধীন কোন বিষয় যার প্রকাশ তদন্তকাজে বিঘ্ন ঘটাতে পারে
(ড) কোন অপরাধের তদন্ত প্রক্রিয়া এবং অপরাধীর গ্রেফতার ও শাস্তিকে প্রভাবিত করতে পারে
(ঢ) আইন অনুসারে কেবল একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে
(ণ) কৌশলগত ও বাণিজ্যিক কারণে গোপন রাখা বাঞ্ছনীয় এইরূপ কারিগরী বা বৈজ্ঞানিক গবেষণালব্ধ
(ত) কোন ক্রয় কার্যক্রম সম্পূর্ণ হবার পূর্বে বা উক্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে সংশ্লিষ্ঠ ক্রয় বা তার কার্যক্রম সংক্রান্ত
(থ) জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিকার হানির কারণ হতে পারে
(দ) আইন দ্বারা সংরক্ষিত কোন ব্যক্তির গোপনীয় তথ্য
(ধ) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বা পরীক্ষায় প্রদত্ত নম্বর সম্পর্কিত আগাম তথ্য
(ন) মন্ত্রিপরিষদ বা, ক্ষেত্রমত, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উপস্থাপনীয় সার-সংক্ষেপসহ আনুষঙ্গিক দলিলাদি এবং উক্তরূপ বৈঠকের আলোচনা ও সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত কোন তথ্য (ধারা-৭)।
তবে মন্ত্রিপরিষদ বা উপদেষ্টা পরিষদ কর্তৃক কোন সিদ্ধান্ত গৃহীত হবার পর অনুরূপ সিদ্ধান্তের কারণ এবং যেসকল বিষয়ের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়েছে তা প্রকাশ করা যাবে। এই ধারার অধীন তথ্য প্রদান স্থগিত রাখবার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে তথ্য কমিশনের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করতে হবে (ধারা-৭ এর শর্ত)।
বোঝা গেছে? এই অংশটি বাদে তথ্যকমিশনের ওয়েবসাইটজুড়ে আর এমন কিছু নেই যা আমাকে আকর্ষণ করতে পেরেছে। তথ্য অধিকার নিয়ে সচেতন করছে ঠিকই, কিন্তু কোন কোন বিষয়ে আমার অধিকার আছে তার চেয়ে কোন কোন বিষয়ে নেই সেটি জানানোর উদ্যোগটা চমৎকার রিভার্স। খেয়াল করে দেখবেন কোথাও অধিকারের তালিকা দেয়া নেই। তবে নীচের এই প্যারাটিও কারো কারো মজা লাগতে পারে।
কমিশনের কার্যাবলী অংশে বলা হয়েছে, তথ্য অধিকার আইনের ৯ ধারা অনুযায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ২০ (বিশ) দিনের মধ্যে তথ্য প্রদান করতে হবে। তবে তথ্য প্রদানের সাথে একাধিক তথ্য প্রদান ইউনিট জড়িত থাকলে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে এবং চাহিত তথ্য কোন ব্যক্তির জীবন-মৃত্যু, গ্রেফতার এবং কারাগার হতে মুক্তি সম্পর্কিত হলে ২৪ (চবিবশ) ঘন্টার মধ্যে তথ্য সরবরাহ করতে হবে।
তথ্য প্রদানের ২০ দিনের ডেডলাইন এবং জীবন-মৃত্যুর ২৪ ঘন্টা সবচেয়ে ইন্টারেষ্টিং।
অতএব, তথ্য অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে নয়, বরং কোন কোন জিনিসের উপর আপনার তথ্য অধিকার নেই কিংবা অধিকার সীমিত, সেটা জানতে ঘুরে আসুন ইনফোকমগভবিডি।
মন্তব্য
আমি জানতে আগ্রহী, সরকার এই জনসংযোগ বাবদ গ্রামীণকে পয়সা দেয় কি না। দিলে কত দেয়, কী চুক্তিতে দেয়। সরকারের ব্যয় সম্পর্কে জানার অধিকার তো তথ্য অধিকারের মধ্যেই পড়ে, যেহেতু সরকারের টাকার মালিক জনগণ।
এটা জিপি'র Corporate social responsibility প্রোগ্রামের আওতায় হ্য়্ত। ওয়েবসাইটে সাফাই গাওয়া আছে দেখলাম।
সহমত। সবচে' মজার ব্যাপার তথ্য জানার অধিকার খুজতে গিয়ে কোন কোন ক্ষেত্রে আমাদের তথ্য জানার অধিকার নাই সে ব্যাপারে লম্বা লিস্ট দেখতে পাওয়া।
এই এসেমেসের যন্ত্রণায় অতিষ্ট। এখন বুঝলাম মাজেজা। কী কী আমাদের জানার অধিকার নাই সেটা যেন সবাই জানে এটাই হলো উদ্দেশ্য।
এই 'বিজ্ঞাপন' যন্ত্রণার বিনিময়ে গ্রামীণ ফোন এসএমএসে মানুষের তথ্য সংক্রান্ত প্রশ্ন সংগ্রহ করে নিজের গরজে এবং বিনামূল্যে উত্তর জোগাড় করে দিলে কেমন হয়? শুরু হতে পারে এই প্রশ্ন দিয়ে যে এই প্রোগ্রামে গ্রামীণ ফোনকে বিজ্ঞাপন করতে দেয়ার জন্যে সরকার কতো টাকা দেয়। আর যদি তাতে রাজি না হয়, এই অত্যাচারের বিনিময়ে আমাদের প্রাপ্তি শূন্য। ফলে তারা অফ যেতে পারে।
এটা উল্লেখযোগ্য যে ওয়েবসাইটটিতে স্পষ্ট করে বলা আছে কীভাবে তথ্য চাইতে হবে বা না পেলে করণীয় কী, ব্যবস্থা কীরূপ।
আপনি যে বলছেন
আপনি কী আশা করেছিলেন সেটা বোধগম্য হলো না। উল্লিখিত বিষয় বাদে আর যে-কোনো তথ্য আপনি জানতে চাইতে পারেন। এই অধিকারটা গণনাযোগ্য উপায়ে বর্ণনাযোগ্য সম্ভবত নয়। বরং ভালো যে কেবল ব্যতিক্রমগুলোই গণনাযোগ্য, একটা তালিকায় বর্ণনাযোগ্য। সংক্ষেপে এটা তথ্য অধিকার, যেটা সকলেরই বিগত বর্তমান কিংবা অনাগত জীবনে কাজে আসারই কথা বলে মনে হয়। এবং এই সেবা প্রদান তথ্য কমিশন নামের এই সংস্থাটির কাজ বলেই তো মনে হয়।
তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর বর্ণনা শুরু হয়েছে আমাদের সংবিধানে আমার সবচেয়ে প্রিয় অংশটির উল্লেখ দিয়ে, তাই সেটা এখানে দিচ্ছিঃ
অনেকের ধারণা নেই যে বাংলাদেশের নাগরিকের চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতার কোনোটা বিদ্যমান আছে বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে। বিষয়টা উত্থাপনের জন্য আপনার ধন্যবাদ প্রাপ্য।
আর অধিকার সংক্রান্ত বিস্তারিতই জানতে পারেন 'আইন ও বিধি' অংশে।
ফেইসবুক পেইজ। সেখানে মডারেটর মাঝে মাঝে কমেন্টের উত্তর দিয়ে উৎসাহিতও করেন দেখা যাচ্ছে। মুক্তভাবে দেখা যাচ্ছে Moses Mardi জানতে চেয়েছেন, "এই বুদ্ধি এতো দিন কোথায় ছিল"। অপেক্ষায় আছি মডারেটর কী বলেন।
ওয়েবসাইটটা মোটের উপর বেশ ভালো লেগেছে।
তথ্য কমিশন ফেইসবুক পেইজ যেসব পেইজে লাইক দিয়েছেন, তার মধ্যে আছে দেখতে পাচ্ছি
Grameenphone
Prothom Alo ও
Topu
তথ্য জানা আমার অধিকার আমি এটা জানি, তবু যা বছরে একবার মনে করিয়ে দিলেই চলে তার জন্য তথ্য কমিশনের মেসেজ দুদিন পরপর আমার মোবাইলে দেখতে চাই না। তথ্য জানা আমার অধিকার এটা জানাবার জন্য আস্ত একটা কমিশন অফিস খুলে বসতে হবে কেন তাও বোধগম্য নয়। তথ্য জানার অধিকার এবং এবং উপায় প্রত্যেক অফিসের পিআরও সাহেবের রুমে লটকে রাখলেই চলে। তথ্য কমিশনে নিশ্চয়ই লোকবল আছে বেতনধারী। এই অফিসে কি কাজ হয় আপনার কোন ধারণা আছে? আমার নেই বলেই প্রশ্ন তুলেছি। ওয়েবসাইটে সবগুলোর মধ্যে কমিশনের কার্যাবলী অংশ এবং জরুরী প্রসঙ্গ অংশটি আমার কাছে প্রহসন মনে হয়েছে। আমার কাছে এই দুটি চ্যাপটারই অসম্পূর্ন এবং অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে। মোটের উপর এই তথ্য কমিশনের নামে গ্রামীণ ফোনের এসএমএসে আমি নাগরিক হিসেবে বিরক্তি প্রকাশ করেছি এই পোষ্টে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
কার্যাবলী সেকশানে তো স্পষ্টই বলা আছে দেখছি তারা কি কাজ করে
এখানে আপনার আপত্তিটা কি এই যে অভিযোগ নিষ্পত্তি করার বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে তথ্য দিতে বাধ্য করার জন্য এরকম একটা সমন্বিত প্রতিষ্ঠান থাকার দরকার নেই? তথ্য অধিকারটা দরকার। সেটা নাগরিকের প্রাপ্তির সুবিধার জন্যে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য এমন কি ভারতেও এরকম কমিশন আছে, প্রায় একই ধরনের কার্যাবলী ও ব্যতিক্রম সহযোগে। এটা সেই মডেলেই করা। হয়তো সরাসরি পশ্চিমের মডেল অনুসরণ না করে আরো কার্যকর কিছু নিজেদের মতো করা যেতো এমন কিছু প্রস্তাব করছেন কি?
কার্যাবলী সেকশানে যাই থাকুক সত্যিকারের কাজকর্ম কতটুকু হয় তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। কারণ আমি তথ্য কমিশনে যোগাযোগ করারই যুতসই কোন উপায় দেখতে পাচ্ছিনা। একটা ইমেল এড্রেস দেয়া আছে যেটা জিমেইল একাউন্ট। এরকম একটা গুরুত্বপূর্ন সংস্থাকে ফ্রী মেইল একাউন্ট কেন ব্যবহার করতে হবে? তথ্য কমিশনের নিজের ডোমেন থাকলেও নিজেদের একটা ইমেল ঠিকানা খুলতে পারেনি তাতেই আঁচ করা যায় তথ্য কমিশনের কার্যক্রমের দৌড়।
এরপর আসি যোগাযোগ কর্মকর্তা অংশে। ওখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং আপীল কর্মকর্তা এই দুজনের শূন্যস্থান দেয়া আছে, কিন্তু পুরণ হবার কোন সম্ভাবনা আছে কিনা জানি না। তথ্য কমিশন নিজেদের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে হবেন তা নিশ্চিত করতে পারেনি, অন্যদের কি সাহায্য করবেন বুঝতে পারছি না। এই রকম একটা অসম্পূর্ন ওয়েবসাইটের ঠিকানা মোবাইল ফোনে দৈনিক পুশ করে পাঠাবার মাজেজা কি? ঘরে এক কেজি বাজার নেই, অথচ অতিথি দাওয়াত দিয়ে বসেছি হাজারখানেক, ব্যাপারটা সেরকম হয়ে যায়নি?
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
চমৎকার একটা পোস্ট, ধন্যবাদ
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
পোস্টটা ভালো লাগলো। সরকারী হৈচৈ সবকিছু, সবকিছুতে আড়ম্বর বড় বেশি, কাজ চলে ব্রিটিশ প্রেতাত্মার উপর ভর করে; কি করা যাবেনা তার আওতাতেই সব সম্ভাবনা শেষ - নষ্ট রাষ্টযন্ত্র..
এটি চমৎকার কাজ করে। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। ধারনা ছিলো, আর সবকিছুর মতো এটিও ফাঁকাবুলি। কিন্তু ওয়েবসাইটে যেভাবে বলা আছে, সেভাবে ফর্ম ডাউনলোড করে নির্দিষ্ট অফিসে জমা দিলে কাজ হয়।
সমস্যা আছে অন্য জায়গায়, যে অফিস থেকে আপনি তথ্য পেতে চান তাদেরকে বিষয়টি বুঝানো। প্রথমে ভালো করে বুঝিয়ে কাজ না হলে তথ্য কমিশনে অভিযোগ এবং আইনী বাধ্যবাধকতার ভয় দেখাতে হয়।
আমি সারি নদীতে বালু মহালের ইজারার তথ্য জানতে চেয়েছিলাম স্থানীয় সহকারী কমিশনার (ভূমি)'র কাছে। ওয়েব সাইট ফর্ম নামিয়ে নিয়মমতো। ভদ্রলোক প্রথমেই থতমত। বুঝানোর পর বল ঠেলে দিতে চাইলেন সহকারী জেলা প্রশাসক(রাজস্ব)'র কোর্টে। আমি তাকেই চেপে ধরলাম- আপনি লিখিত উত্তরে আমাকে জানান, আপনার কাছে নয় তথ্য আছে অমুকের কাছে।
শেষপর্যন্ত নির্দিষ্ট সময়ের ভেতরেই তথ্য পেয়ে গেছি।
এরপর আরো কয়েকটি বিষয়ে একই ফর্মুলায় কাজ হয়েছে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
এটা একটা সুখবর। সরকারী অফিসগুলোতে কোন অনুসন্ধানে নামলে কিরকম বাজে অভিজ্ঞতা হয় তার দুয়েকটা আমার কাছে আছে। তাই বিশ্বাস হচ্ছিল না এটা সত্যি কাজ করে।
আমি একটা মেইল দিয়েছি যোগাযোগের ঠিকানা বরাবর। ওটার রিপ্লাই পেতে কদিন লাগে দেখি। সরকারী অফিসের বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই যোগাযোগের ঠিকানা জাতীয় জিনিসগুলো কাজ করে না। এটার উত্তর পেলে বুঝবো সক্রিয়তার মাত্রা।
খেয়াল করে দেখবেন ওই সাইটে 'দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং আপীল কর্মকর্তা' এই দুজনের কলাম খালি। মানে কার সাথে যোগাযোগ করবেন আপনি তথ্য কমিশনে সেটাই দেয়া নেই। যোগাযোগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তার ঠিকানাই যদি না থাকে তাইলে মোবাইলে মেসেজ দিয়ে প্রতিদিন বিরক্ত করার অর্থ কি। এইরকমের বেহুদা CSR এর দরকারটা কি?
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
খেয়াল করেছেন কিনা কয়েকদিন আগের ছোট্ট একটা সংবাদ। কোন এক উপজেলা সদরের হাসপাতালে কেউ একজন তথ্য জানতে চেয়েছিলেন একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কতোজনকে স্বাস্থ্য সেবা দেয়া হয়েছে (কিংবা এরকম কিছু একটা)।
নির্ধারিত সময়ে তথ্য না পেয়ে তথ্য কমিশনে অভিযোগ করার পর, কমিশন দায়িত্বশীল স্বাস্থ্যকর্মকর্তাকে ডেকে পাঠিয়ে তথ্য প্রদানে বাধ্য করেছে।
এরকম সংবাদগুলো অবশ্য আমাদের সংবাদপত্রগুলোতে গ্ল্যামারহীণভাবেই ছাপা হয়।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
তথ্য কমিশনকে সাহায্যে বেশ আগ্রহী মনে হচ্ছে। আমরা ব্লগেই এর প্রচারণায় সাহায্য করতে পারি এই কমিশনের জন্য গণসংযোগ করে। গ্রামীণের উপর ছেড়ে দিলে হবে না। সবাই সেবাটা ব্যবহার করে কমিশনটার ক্রিয়াশীলতা চালু রাখাটা দরকার। আপনাকে ধন্যবাদ আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ। নাগরিকদেরকে ও বিষয়টা চর্চার মধ্যে আনতে হবে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
নতুন মন্তব্য করুন