টার্গেট পুলিশ না বাংলাদেশ?

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: সোম, ১৯/১১/২০১২ - ১০:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আপাততঃ জামাত শিবিরের প্রধান প্রতিপক্ষ পুলিশ। বাংলাদেশে পুলিশ বাহিনী বরাবরই একটু বিশৃংখল আর ঢিলেঢালা। এদেশে পুলিশের অন্যতম একটা ধর্ম হলো এরা দুর্বলের প্রতি হিংস্র সবলের কাছে নতজানু। এরা দুর্নীতিতে প্রথম শ্রেণীর, কিন্তু রাজনৈতিকভাবে ব্যবহৃত হয় পণ্যের মতো। সরকারের মেয়াদ এখন শেষদিকে এবং জনপ্রিয়তায় ব্যাপক ধ্বস। জনতার কাছে পুলিশ হলো সরকারের অংশ বিশেষ। তাই পুলিশ পেটালে, পুলিশের গাড়ি পোড়ালে জনতার একাংশ খুশী হয়। পুলিশ পেটানো মানে সরকার পেটানো। এই সুযোগে জামাত শিবির এক ঢিলে তিন পাখি মারছে-

১. পুলিশের মধ্যে আতংক সৃষ্টি করা যাতে তারা শিবিরের বিরুদ্ধে বেশী বাড়াবাড়ি না করে (রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ কিন্তু পেঁদিয়ে শোধ নিতে পারে)
২. যুদ্ধাপরাধীর রায় হবার পর দেশে হিংস্রতা ছড়াবার আগাম প্রস্তুতি (এটা সরকারের জন্য সতর্ক সংকেত)
৩. সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির চেয়ে নিজেদের অধিক শক্তিমান প্রমান করা। (এটা বিএনপির জন্য দুঃসংবাদ)

কেউ কেউ বলছে পুলিশের প্রতি শিবিরের এই আক্রমন সরকারের সাথে লড়াই করার প্রাথমিক মহড়া। পুলিশের উপর হাত পাকানোর পর অন্য বাহিনীর দিকে নজর দেবে। ওদের প্রতিপক্ষ শুধু পুলিশ না। ওদের প্রতিপক্ষ সমগ্র বাংলাদেশ।

প্রতিপক্ষ যদি সমগ্র বাংলাদেশ হয় তাহলে জামাত-শিবিরকে গনতন্ত্রের নামে বুকে জায়গা দেয়া রাজনীতিবিদদের একটু ভাবতে হবে। তারা জানে না, তাদের বুকে লাথি মেরেই শিবির ডিগবাজি দেবে। সংখ্যায় শিবির খুব বেশী না। কিন্তু দুষ্টলোকেরা সংখ্যায় কম থেকেও ব্যাপক অনিষ্ট করতে পারে। শিবিরের সাথে অন্য দুষ্টদের পার্থক্য হলো, শিবির আল্লাহর নাম নিয়ে দুষ্টামি করে ফলে তাদের দুষ্টামিকে হালাল বলে ধরে নেয় বিএনপির মতো দলগুলো। এই প্রশ্রয় তাদেরকে সমগ্র বাংলাদেশে দুষ্টামি করার সাহস যোগায়।

শিবিরের বর্তমানের ঝটিকা আক্রমন কৌশল এক রকমের যুদ্ধ কৌশল। এটা সেনাবাহিনীতে শেখানো হয়। আক্রমনের সাথে একধরনের প্রপাগাণ্ডাও বাজারে ছড়ানো হয় নিজেদের শক্তি সম্পর্কে কয়েকগুন বাড়িয়ে বলে। বর্তমান মিডিয়া তাদের এই কৌশলের সহায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে অজান্তেই।

শিবিরের সাম্প্রতিক গুজবের মধ্যে অন্যতম হলো ওদের দুই লাখ ক্যাডার তৈরী আছে সমগ্র বাংলাদেশে। গতকালের একটা পত্রিকায় পড়লাম। আসল কথা হলো শিবির তাদের অভ্যন্তরীণ তথ্যগুলো খুব গোপনে সংরক্ষণ করে। যাতে তাদের শক্তি সম্পর্কে সাধারণ মনে একটা ধোঁয়াশা থেকে যায় সবসময়। ওরা সেসব তথ্যই শুধু ছাড়ে যা ওদের সম্পর্কে জনমনে আতংক সৃষ্টি করে । মজার ব্যাপার হলো এ তথ্যগুলো ছড়ানো হয় তাদের বিপক্ষ কোন দলের মুখপাত্র দিয়ে। জামাত শিবিরের মূল শক্তি হলো সাংগঠনিক দক্ষতা, ঐক্য আর হিংস্রতা। যেটা জনগনের মধ্যে একেবারেই নেই। এমনকি বাকী সব রাজনৈতিক দলের কারোরই নেই।

বাংলাদেশের আগামী দিনগুলো জামাত শিবির আরো বিশৃংখল করে দেবে। আরো হিংস্রতা ছড়াবে। আমাদের মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। যদি প্রতিরোধ করতে চাই, তবে ন্যুনতম ঐক্য থাকতে হবে শিবির বিরোধী স্বাধীনতা পক্ষের সবগুলো দলের মধ্যে। আশির দশকের শেষভাগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে 'সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য' দিয়ে আমরা শিবির মোকাবেলা করেছিলাম। তখন বিএনপিও এই ঐক্যের অংশ ছিল। এখন স্বাধীনতা পক্ষের দল হিসেবে বিএনপিকেও সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কোন পক্ষে যাবে? বিএনপির সবচেয়ে বড় দুর্বলতা সাংগঠনিক পঙ্গুত্ব, ফলে জামাত শিবিরকে ছাড়া এদের কোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চলছে না গত কয়েক বছর ধরে। তাদের প্রশ্রয়েই বেড়ে উঠেছে আজকের ঢাকা শহরের জামাত শিবির। এখনকার একটা ভুল সিদ্ধান্তে দশ বছর পরে হয়ত চরম খেসারত দিতে হবে বিএনপিকে।

সবশেষে আশার কথা। জামাত শিবির হলো বাংলাদেশের পরাজিত শক্তি। এরা হিংস্রতা ছড়াতে পারবে, চরম অনিষ্ট করতে পারবে কিন্তু বিজয়ী হতে পারবে না। বিজয় আমাদের। বিজয় বাংলাদেশের!! একাত্তরেও, এখনও!!


মন্তব্য

স্যাম এর ছবি

সংখ্যায় শিবির খুব বেশী না। কিন্তু দুষ্টলোকেরা সংখ্যায় কম থেকেও ব্যাপক অনিষ্ট করতে পারে। শিবিরের সাথে অন্য দুষ্টদের পার্থক্য হলো, শিবির আল্লাহর নাম নিয়ে দুষ্টামি করে ফলে তাদের দুষ্টামিকে হালাল বলে ধরে নেয় বিএনপির মতো দলগুলো। এই প্রশ্রয় তাদেরকে সমগ্র বাংলাদেশে দুষ্টামি করার সাহস যোগায়।

চলুক চলুক

দারুন লাগল

সবশেষে আশার কথা। জামাত শিবির হলো বাংলাদেশের পরাজিত শক্তি। এরা হিংস্রতা ছড়াতে পারবে, চরম অনিষ্ট করতে পারবে কিন্তু বিজয়ী হতে পারবে না। বিজয় আমাদের। বিজয় বাংলাদেশের!! একাত্তরেও, এখনও!!

গুরু গুরু

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

নীল আকাশ এর ছবি

সহমত চলুক

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

অতিথি লেখক এর ছবি

জামাত শিবির নিপাত ‌যাক।

সবশেষে আশার কথা। জামাত শিবির হলো বাংলাদেশের পরাজিত শক্তি। এরা হিংস্রতা ছড়াতে পারবে, চরম অনিষ্ট করতে পারবে কিন্তু বিজয়ী হতে পারবে না। বিজয় আমাদের। বিজয় বাংলাদেশের!! একাত্তরেও, এখনও!

গুরু গুরু

তাহসিন রেজা

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

তাদের প্রশ্রয়েই বেড়ে উঠেছে আজকের ঢাকা শহরের জামাত শিবির। এখনকার একটা ভুল সিদ্ধান্তে দশ বছর পরে হয়ত চরম খেসারত দিতে হবে বিএনপিকে।

- এই খেসারত বিএনপি বহুদিন ধরে দিয়ে আসছে, তবু তাদের হুঁশ হয় না।

নব্বইয়ের দশকের প্রথমার্ধে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির খেদানো/পেটানো কর্মকাণ্ডে দেখতাম জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা দূরে সরে থাকতো। তাদেরকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তারা শিবির করা গণতান্ত্রিক অধিকার, তাদের খেদানো/পেটানো মানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানো ইত্যাদি সুসমাচার শোনাতো। তারপর একবার রাজশাহীতে শিবির ছাত্রদলের তিন জনকে খুন করলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা জেহাদী জোশে শিবিরদের রুম ভাঙচুর করে। তাদের জোশ ঐদিন রাতেই ঠাণ্ডা হয়ে যায়। এরপর আর কোনদিন তাদের সেই জোশ দেখতে পাইনি, তাদের মুখে কেবল পুরনো সুসমাচারই শোনা গেছে।

এক কালে প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্যে শিবির করারা (বর্তমানে প্রকাশ্য কোন রাজনীতি না করা) আজকাল নিজেদের পরিচয় দেবার কালে বলে, "আমি ছাত্রজীবনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল করতাম। কিন্তু এখন দেখি যে সত্যিকারের সৎ নেতা কেবল জামায়াতে ইসলামীতেই আছে। কেউ তাদের বিরুদ্ধে কোন দুর্নীতির অভিযোগ আনতে পারবে না"। বিএনপি বা ছাত্রদলের রন্ধ্রে রন্ধ্রে জামায়াত-শিবির বসে আছে। তাদের নতুন করে সর্বনাশ হবার কিছু নেই।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

এক কালে প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্যে শিবির করারা (বর্তমানে প্রকাশ্য কোন রাজনীতি না করা) আজকাল নিজেদের পরিচয় দেবার কালে বলে, "আমি ছাত্রজীবনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল করতাম।

আবার বিএনপি সমর্থক অনেককেই দেখেছি দলের নাম বলতে লজ্জা পায় কেন যেন। তারা বলে আমরা কোন দল করি না, আমরা নিরপেক্ষ।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

তানিম এহসান এর ছবি

বিএনপি বা ছাত্রদলের রন্ধ্রে রন্ধ্রে জামায়াত-শিবির বসে আছে। তাদের নতুন করে সর্বনাশ হবার কিছু নেই। সহমত।

অতিথি লেখক এর ছবি

বিএনপি বা ছাত্রদলের রন্ধ্রে রন্ধ্রে জামায়াত-শিবির বসে আছে।

জামাত-শিবির বাতিলের সুফল শুধু এই কারণেই পাওয়া যাবে না।

-- জ্যোতিস্কর দাদু

তীরন্দাজ এর ছবি

বিজয় আমাদের। বিজয় বাংলাদেশের!! একাত্তরেও, এখনও!!

এই বিশ্বাস করতেই সাহস হয় না আজকাল। জামাত শিবির তো স্বাধীনতার বিরুদ্ধ শক্তি বটেই, কিন্তু এর বাইরে দলমত নির্বিশেষে যে রাজনৈতিক দুর্নিতির জাতাকলে পিষ্ট হয়ে চলেছি, তাতে ভালো কিছু ভাবারই সাহস হারিয়ে ফেলেছি আমরা।

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

নীড় সন্ধানী এর ছবি

বিশ্বাস জিইয়ে রাখতেই হবে ভাইডি!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

অতিথি লেখক এর ছবি

জামাত যা করছে তা মরিয়া হয়ে করছে। কারণ তাঁদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। খুবই আশংকার কথা এটা বাড়তে বাড়তে কোথায় যায়। যখন দেখি এক পুলিশকে জামাত শিবির পেটাচ্ছে আর অন্য পুলিশ অফিসাররা চেয়ে চেয়ে দেখছে, তখন খুব একটা ভরসা পাই না।

রসিক সুজন

নীড় সন্ধানী এর ছবি

মার খাচ্ছে সরকারের মার খাবো পলিসির কারনে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

ঘুমকুমার এর ছবি

সবশেষে আশার কথা। জামাত শিবির হলো বাংলাদেশের পরাজিত শক্তি। এরা হিংস্রতা ছড়াতে পারবে, চরম অনিষ্ট করতে পারবে কিন্তু বিজয়ী হতে পারবে না। বিজয় আমাদের। বিজয় বাংলাদেশের!! একাত্তরেও, এখনও!!

এতটা আশাবাদী হতে পারি না আর। গতকাল প্রথম আলোর শিবিরের হামলা বিষয়ক সংবাদের নিচের কমেন্ট দেখে মনে হচ্ছিল - শুধু কি শিবিরের লোকজনই প্রথম আলো পড়ে?!

নীড় সন্ধানী এর ছবি

প্রথম আলোর ইন্টারনেট ঘটিত সবকিছু মনে হয় জামাতের হাতে। ইনক্লুডিং প্রথম আলোব্লগ।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

অরফিয়াস এর ছবি

ঠোলাদের প্যাদিয়ে লাল করে দিচ্ছে, কিন্তু ঠোলারা দেখি গান্ধীবাদী হয়ে উঠেছে হঠাৎ করে !! ক্ষীণকায় ছাত্র-ছাত্রী পিটিয়ে এমনিতেই অনেকদিন ধরে কঠিন ম্যাচের প্রস্তুতি নেই তার উপরে বিপুল ভুড়ি নিয়ে দৌড়াতেও সমস্যা, বন্দুকে নেই কার্তুজ, বেচারা। ওদিকে বিএনপির মুখপাত্র থেকে প্রতিনিয়ত ছাগলের ম্যাতকার শোনা যাচ্ছে। বেশ ভালোই টুয়েন্টি-টুয়েন্টি খেলছে জামাত-শিবির। তবে আমি আসল টেস্ট ম্যাচের অপেক্ষায়, তখন বোঝা যাবে কার কতো জোর !!

তবে বিজয় নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। বিজয় অর্জন আর তাকে টিকিয়ে রাখা দুটো অন্য জিনিস। উগ্রপন্থী সন্ত্রাসী সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কাছে আমরা অনেক আগেই পরাজিত, নতুন কিছু নেই। এখন সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থানে আমরা কতোটা অসহায় সেটাই দেখার বিষয়।

অন্য কোন দেশে কোন উগ্রপন্থী সন্ত্রাসীদল আইনমন্ত্রীর গাড়িতে হামলা করে, পুলিশ মেরে, বোমাবাজি করে নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়া থেকে বেঁচে যেত বলে মনে হয়না। কিন্তু সব সম্ভবের দেশ বাংলাদেশে তাও সম্ভব।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

নীড় সন্ধানী এর ছবি

শিবির সংগঠিত। সংগঠনের জোরে মারামারিতে জেতা যায়। মানুষের মন জয় করা যায় না। সাধারণ মানুষের মধ্যে শিবিরের প্রতি সহানুভুতিশীল মানুষের সংখ্যা খুবই নগন্য। কয়েকটা পুলিশ পিটিয়ে তাদের অবস্থার উন্নতি হবার কোন কারণ নেই।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

স্বপ্নহারা এর ছবি

আশাবাদী হওয়ার মত আজকাল আর কিছু খুঁজে পাই না মন খারাপ

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

নীড় সন্ধানী এর ছবি

স্বপ্নহারার উপযুক্ত মন্তব্য মনে হলো। কিন্তু আশাই আমাদের শক্তির উৎস। এ ছাড়া উপায় নাই।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

অতিথি লেখক এর ছবি

একটা জিনিস ভেবে খুব অবাক হয়ে যাচ্ছি। পুলিশ গাল বাড়িয়ে দিয়ে চড় খেয়ে যাচ্ছে কেন? গতকালকে ষোলশহরে কর্তব্যরত পুলিশ ভাইয়েরা তাদের গাড়ি খুব সুন্দর করে খালি করে দিয়ে গেলো যাতে শিবিরের জানোয়ারগুলো মনের সুখে প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলতে পারে; আর উনারা ভাবলেশহীন মুখে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এবং তাড়িয়ে তাড়িয়ে তাড়ি খাওয়ার মতো করে তা উপভোগ করলেন। ঘটনা কি? আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা থেকে মানবাধিকার (মতান্তরে ছাগু-অধিকার) সংস্থায় রুপান্তর ঘটলো নাকি?

শিবিরের সাম্প্রতিক গুজবের মধ্যে অন্যতম হলো ওদের দুই লাখ ক্যাডার তৈরী আছে সমগ্র বাংলাদেশে। গতকালের একটা পত্রিকায় পড়লাম। আসল কথা হলো শিবির তাদের অভ্যন্তরীণ তথ্যগুলো খুব গোপনে সংরক্ষণ করে। যাতে তাদের শক্তি সম্পর্কে সাধারণ মনে একটা ধোঁয়াশা থেকে যায় সবসময়। ওরা সেসব তথ্যই শুধু ছাড়ে যা ওদের সম্পর্কে জনমনে আতংক সৃষ্টি করে ।

চলুক

আমার অফিসের সহকর্মী একজন প্রাক্তন শিবির ক্যাডার বর্তমানের নীরব সমর্থকের মুখে আজ শুনলাম সাড়ে পাঁচ হাজার শিবির কর্মী নাকি জেলে যাবার জন্য স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নাম নিবন্ধন করেছে। সত্য বা মিথ্যা জানিনা, কিন্তু এই ধরণের প্রচারণায় সাধারণ মানুষের মধ্যে শিবির সম্পর্কে আতঙ্ক বাড়তেই থাকে।

ফারাসাত

নীড় সন্ধানী এর ছবি

শিবির জানে না এই আতংক ওদের বিষধর সাপের ইমেজ তৈরী করেছে বাংলাদেশে। সাপ দেখলে মানুষ ভয় পায়। কিন্তু হাতে লাঠি থাকলে পিটিয়ে সাপের বাপের নাম ভুলিয়ে দেয় পাবলিক, এটাও মনে রাখতে হবে। পাকিস্তান পালাবার রাস্তাও পাবে না চারপাশে ইন্ডিয়ার বর্ডার।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

অতিথি লেখক এর ছবি

শিবিরের এই সহিংসতায় রীতিমত হতাশ। এখনই এই উই পোকা নিধনে ব্যবস্থা নিতে হবে তা নাহলে আস্তে আস্তে সবকিছু ছিঁড়ে ফেলবে!

তারপরও নীড় দা'র শেষের লাইনটাই ভরসা ।

বিজয় আমাদের। বিজয় বাংলাদেশের!! একাত্তরেও, এখনও!! চলুক

অমি_বন্যা

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

সবশেষে আশার কথা। জামাত শিবির হলো বাংলাদেশের পরাজিত শক্তি। এরা হিংস্রতা ছড়াতে পারবে, চরম অনিষ্ট করতে পারবে কিন্তু বিজয়ী হতে পারবে না। বিজয় আমাদের। বিজয় বাংলাদেশের!! একাত্তরেও, এখনও!! চলুক


_____________________
Give Her Freedom!

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

শিবির যে সব সময় খুব সংঘবদ্ধ সেটা পাবলিক যেমন জানে সরকার নিশ্চয়ই তার চেয়ে বেশি জানে। সামনে ই কঠিন চ্যালেঞ্জ আসছে। এই সময়কে সামনে রেখে সরকার কী করতে চাচ্ছে ? এভাবে পুলিশকে মার খেতে দিচ্ছেই বা কেন? কারো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা ও তো পাচ্ছি না। এখুনি শিবিরকে টাইট দিতে না পারলে তো রায় ঘোষনার সময় বিরাট ঝামেলায় পড়বে।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

একাত্তরের বিজয়, সেই চেতনা, সে সব কি আমরা ধরে রাখতে পেরেছি ? বিজয়ের রাতেই দেখেছি নিজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা আর এক রূপ ! সে রাতে অবাঙালিদের বাড়িতে লুটের মহড়া লেগেছিলো এবং এর নেতৃত্বে ছিল স্থানিয় নেতারাই। যারা দুদিন আগেও সর্বস্ব ত্যাগ করতেও প্রস্তুত ছিল। অস্বাভাবিক এই স্খলন ! আমিও এর দায়ভাগী।
তবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অবশ্যই হতে হবে। এবং সেটা এ জীবনে দেখে যেতে চাই।

হিমু এর ছবি

একাত্তর সালের ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বরের মাঝের সময়টা আপনি কোথায় ছিলেন?

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

অল্পকিছুকাল ভারতে। অধিকাংশ সময় যশোর জেলার বেনাপোলের কাছে সীমান্ত সংলগ্ন গ্রাম বাহাদুরপুরের মুক্তিযোদ্ধা ট্রামজিট ক্যাম্পে। যেটা ছিল, দক্ষিণবঙ্গের বিএলএফের (মুজিব বাহিনী) প্রধান ঘাঁটি। ( মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস এই গ্রামটি মুক্ত এলাকা হিসাবে চিহ্নিত ছিল।) আর অল্পকিছুকাল চট্টগ্রামে। ১৬ ডিসেম্বর আমি চট্টগ্রামে ছিলাম।

হিমু এর ছবি

আপনাকে এই সময়টা নিয়ে কখনোই কিছু লিখতে দেখিনি।

তানিম এহসান এর ছবি

গুরু গুরু

ভাইয়া আমি প্রচুর মুক্তিযোদ্ধা’কে দেখেছি যারা দেশের এইরকম পরিবর্তন দেখতে দেখতে চুপ হয়ে গেছেন। আপনার লেখায় একটা অকপট সারল্য আছে। আপনি লিখুন সেই সময়টা নিযে। দাবী জানিয়ে গেলাম।

তানিম এহসান এর ছবি

এই আতংক কিন্তু শিবিরের কিংবা জামাতের নিজস্ব আতংক। থলের বেড়াল নিয়ে এদের আতংক আজকে নতুন কিছু না, নিজের আতংক মানুষের উপর চাপিয়ে দিয়ে তাই দিয়ে টিকে থাকার এদের এই চেষ্টাও নতুন কিছু না। পত্রিকায় দেখলাম যারা পুলিশের উপর হামলা চালাচ্ছে তাদের বয়সসীমা ১৮-২৫ এর মধ্যে, তারমানে একদম নতুন একদল রোবট’কে মাঠে নামিয়ে দেয়া হয়েছে। ধাপে ধাপে আরও কিছু হবে। রাষ্ট্রযন্ত্র এখন ঠিক থাকলে হয়।

একটা বিষয় খেয়াল করলাম, শিবির একটা কিছু করার পর বড় বড় কর্তারা বলেন যে তারা নতুন করে ব্যবস্থা নিচ্ছেন, রিয়েকটিভ হয়ে এই সমস্যার সমাধান করা যাবেনা। পুলিশের ভেতর প্রচুর জামাতি আছে।

লেখাটা খুব প্রেরণাদায়ক।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

লাশ চায় শিবির

জামায়াত শিবিরের ইতরামি আচমকা ঘটে যাওয়া কোন ঘটনা নয়!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অতিথি লেখক এর ছবি

http://icsforum.org/mediarchive/2012/11/21/shibir-wants-dead-body/
পুরো ডিসেম্বার, জানুয়ারি মাস পার হয়ে গেল তবু সরকার কঠোরভাবে জামাত-শিবির কে প্রতিহত করেনি কেন?

দ্রুতবিচার করে গত এক সপ্তাহে কানসাট থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত যারা সহিংসতা করেছে তাদের এখনই সাজা দিতে হবে।

-- জ্যোতিস্কর দাদু

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।