আমাদের সবাইকে তাজ্জব করে প্রফুল্ল আমার কানের উপর বিশাল একটা থাবড়া মেরে বসলো। আমি কখনো ভাবিনি এই জায়গায় আমাকে কখনো থাবড়া খেতে হবে। কুংফু কারাতের সকল প্রতিরক্ষা ব্যর্থ হয়ে আমি গড়িয়ে পড়লাম ৯ নম্বর মাঠের কোনায়।
হারামীটাকে আমি একটু আগেই আইসক্রিম কিনে খাওয়ালাম। আইসক্রিমের ঝোল এখনো তার ঠোঁটের কোনায় লেগে আছে। তবু সে এভাবে মারতে পারলো?
প্রফুল্লের শরীরটা সাইজে আমার দ্বিগুন। একই ক্লাসে পড়লেও আমরা তাকে ভয় করি। সে হরদম মার দেয় সহপাঠিদের। এটাই তার বন্ধুতার অন্যতম নিদর্শন। তবে ঘনিষ্ট বন্ধু ছাড়া অন্যদের সে তেমন মারপিট করে না। কোন কুক্ষণে যে আমরা তার ঘনিষ্ট বন্ধু হতে গেছিলাম।
কয়েক মাস আগ থেকে আমরা কয়েকজন কারাতে শিখতে শুরু করি গোপনে। তাকে জানতে দেই না যে তার মার খাওয়া থেকে বাঁচতে অথবা তাকে একদিন যুতমতো শিক্ষা দিতেই আমরা কারাতে শিখছি। আমাদের সাথে ছিল পড়ুয়া নাজমুলও। সে চশমা পরে কোমরে হলুদ বেল্ট পরে ক্লাব ঘরে যখন তার টিঙটিঙে শরীরকে নাচায় তখন আমাদের ওস্তাদ মাসুদ ভাই পর্যন্ত হেসে ফেলে। ভাগ্যিস প্রফুল্লের থাবড়াটা তার কানে পড়ে নাই নইলে মাঠ পেরিয়ে রাস্তায় গিয়ে পড়তো সে।
আসলে প্রফুল্লের দোষ কি। আমরা কারাতে শেখার পর ড্যাম কেয়ার ভাব ধরে চলতে ফিরতে শুরু করি কলোনীতে। প্রফুল্ল আড্ডা মারতে ডাকলেও পাত্তা দেই না। মাসুদ ভাই বলেছে আর কদিন গেলে আমাকে কমলা বেল্ট দেবে। কমলার পর আসবে নীল, নীলের পর সবুজ। তারপর সোজা ব্ল্যাক বেল্ট। কতদূর গেলে প্রফুল্লকে সাইজ করা যাবে সেটা আমরা বুঝতে পারছিলাম না। তবে ব্লেকব্যাল্ট পেলে আমরা ব্রুস লীর কাছাকাছি পৌঁছে যাবো তাতে কোন সন্দেহ নেই (নাজমুলের ধারণা)। যাই হোক, আমাদের টার্গেট আপাততঃ কমলা। ওই পর্যন্ত গেলে প্রফুল্লকে অন্ততঃ ঠেকানো যাবে।
গিয়াস একটা হারামজাদা। পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছে ক্লাস ফাইভেই। কিন্তু বন্ধু হিসেবে ঝুলে আছে এই মেট্রিক পর্যন্ত। কাজকর্ম কিছু করে না। সারাদিন গুলতানি মারে, টাংকিবাজি করে আর ফুক ফুক করে বিড়ি টানে। আমরা জানি সিগারেট খাওয়া খারাপ তাই শত লোভ দেখালেও আমরা সেই পথ মাড়াই না। মাসুদ ভাই বলছে কুংফু কারাতের আসল জিনিস হলো দম, বিড়ি সিগ্রেট দম নষ্ট করে। সুতরাং গিয়াস আমাদের বিপথে নিতে পারে না।
গিয়াসের সাথে প্রফুল্লের কোন একটা ভালোরকম বোঝাবুঝি আছে। প্রফুল্ল ডাক দিলে গিয়াস যে কোন কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আবার গিয়াস ডাক দিলেও প্রফুল্ল তাই করে। আমাদের সাথে প্রফুল্লের কোন সমস্যা নাই, অতিরিক্ত খাতিরও নাই। তবু গিয়াসের সাথে প্রফুল্লকে আমাদের অসহ্য লাগে। প্রফুল্ল বড়লোকের সন্তান। খান্দানে সৈয়দ। তার পূর্বপুরুষ আফগানিস্থানের কোন এক প্রদেশ থেকে আগত। তবু সে গিয়াসের মতো বাউণ্ডুলে ছেলের সাথে এত খাতির রাখে। আমাদের পেটে পেটে আরো ঈর্ষা জমা হতে থাকে। আমরা মনে মনে প্রফুল্লকে গিয়াসের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে দেবার পরিকল্পনা করি। গিয়াসই একমাত্র বন্ধু যে তার মার খায় না।
পরিকল্পনা মাফিক আমরা প্রফুল্লের আড্ডার আহবানে সাড়া দেই। আমরা চারজন। আমি, মোখতার, রুবেল আর নাজমুল। পাঁচজনে চারটা আইসক্রিম নিয়ে বসে পড়ি। মোখতারের পেটে অসুখ সে আইসক্রিম খাবে না। প্রফুল্লকে আইসক্রিম খাওয়াতে খাওয়াতে আমরা ঘটনাটা বলতে শুরু করি।
আমি না, প্রথমে শুরু করে মোখতার। তারপর রুবেল, তারপর নাজমুল।
গিয়াসকে গতকাল সন্ধ্যায় সিজিও বিল্ডিং এর কোনায় একটা জঘন্য খারাপ কাজে দেখা গেছে।
মোখতার বললো, সে একটা খারাপ মেয়ের পেছনে পেছনে হাঁটছিল।
রুবেল বললো, সময়টা সন্ধ্যা, ওই মেয়েরা ওই সময়ে বের হয়।
নাজমুল বললো, মেয়েটা খুব সাজগোজ করা, যেরকম করে ওই মেয়েগুলো।
আমি তখনো চুপ। প্রফুল্লও চুপ।
মোখতার বললো, তোকেও খারাপ করে ফেলতে পারে। মেয়েমানুষ নিয়েই যত খারাপ কারবার।
রুবেল বললো, সাবধান দোস্ত। গিয়াসের খাসলত ক্লাস ফাইভেই খারাপ ছিল। পলিকে নিয়ে টানাটানি করছিল স্কুলে, মনে নেই?
নাজমুল বললো, ওকে আর বিশ্বাস করা যায় না।
আমি এখনো চুপ। প্রফুল্ল ভাবছে।
আসলে গিয়াসকে দূর থেকে সন্ধ্যের সময় একটা মেয়ের পেছনে পেছনে যেতে দেখেছিলাম আমিই। অতদূর থেকে নীল রঙের একটা চকচকে কামিজ বাদে আর কিছুই বোঝা যায়নি। বাকীটা আমরা মশলাপাতি দিয়ে রান্না করে প্রফুল্লের মুখে তুলে দিয়েছি, কারণ সে নারী সংক্রান্ত কোন কেলেংকারীকে ভয় পায়।
এবার মুখ খুললো প্রফুল্ল। তার আইসক্রিম খাওয়া প্রায় শেষ। কাঠি চুষতে চুষতে জিজ্ঞেস করলো-
-কোন দিন দেখলি?
প্রশ্নটা আমাকে উদ্দেশ্য করে নয়। কিন্তু যেহেতু পরিকল্পনা আমার তাই আর কেউ জবাব দেবার আগে আমিই খপ করে ধরে নিলাম প্রশ্নটা।
-গতকাল
-গতকাল?
-হ্যাঁ
-কটায়?
-সন্ধ্যে সাড়ে ছটায়
-সাড়ে ছটায়?
-মসজিদে তখন আজান হচ্ছিল
-সিজিও বিল্ডিং এর কোন গেটে বললি?
-পশ্চিমের গেটে। কলোনীর সোজাসুজি যে গেট।
-মেয়েটা নীল রঙের কামিজে ছিল?
-হ রে দোস্ত। একদম চকচকে মাল। গিয়াইস্যা খবিস হলেও জিনিস চিনতে ভুল করে নাই।
এই কথা শেষ হবার সাথে সাথে আমার কানের উপর আধমনী থাবড়াটা এসে পড়েছিল।
আমার মাথাটা এখনো ঘুরছে। মাঠে শুয়ে সর্ষেফুল আর আকাশ দেখছি। বাকী তিনজন হতভম্ব।
ঘটনা কি বুঝতে পারছি না আমরা কেউ।
হিতে কেন বিপরীত হলো?
গিয়াসকে সে এত পছন্দ করে আমাদের কথা বিশ্বাসই করলো না?
কিন্তু তাই বলে এত ক্ষেপে যাবার কি আছে?
মুখ দিয়ে যেন আগুন ঝরছে তার। আমি মার ঠেকানো দূরে থাক, কথা বলার, প্রতিবাদ করার সমস্ত শক্তি সাহস হারিয়ে ফেললাম। তবু এক নাজমুলই অনেক সাহস সঞ্চয় করে মিন মিন স্বরে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুরে জানতে চাইল
-দোস্ত, তাহলে কি আমরা ভুল দেখেছিলাম?
আগুনমুখো প্রফুল্ল এবার চোখ লাল করে দাঁতে দাঁত চেপে ফ্যাসফ্যাসে কন্ঠে বললো,
-শুয়োরের বাচ্চারা! ওই মেয়েটা আমার আপা!! কালকে আপার সাথে বাসায় ফেরার পথে আমি লাকী প্লাজার ওখানে গিয়াসকে পেয়ে বলছিলাম আপাকে একটু এগিয়ে দিতে। আমি বাজার করে পরে যাবো। আর তোরা কিনা........!!
এরপর ......আমাদের চোখে হাজার হাজার সর্ষেফুলের নাচন। প্রফুল্লের না দেয়া চড়গুলো আমাদের গালে গালে নেচে নেচে থাবড়া মেরেই চললো। ইচ্ছে হলো ৯ নম্বর মাঠের ঘাস মাটি ভেদ করে পাতালে চলে যাই।
মন্তব্য
দারুণ!!!!
অনেক অনেকক
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
এক নিঃশ্বাসে পড়লাম। চমৎকার লিখেছেন।
অনেক নিঃশ্বাসের ধন্যবাদ
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ইসসসসসসসস সিজিএস কলোনি,৯ নামবার মাঠটা কোনটা?ভুলে গেছি,মসজিদের সামনেরটা না হাসপাতালের সামনেরটা
হাসপাতালের সামনেরটা
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
____________________________
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
হেহেহে সেরকম ঘটনাই বটে!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
এহ, আমাদের স্কুলে একবার এমন ঘটেছিল, ক্লাসের ডাকাবুকো ছেলে এসে বলল- কিবে, আমার বোনকে নিয়ে কি বুলছিস তুরা!
facebook
পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
বর্ণনার ভঙ্গী বেশ গোছানো, পড়ে আনন্দ পাওয়া যায়।
র.নাহিয়েন
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
সাক্ষী রইলেন
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
সুন্দর ছিমছাম
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
নেন ধন্যাপাতা
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
চমৎকার।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ধন্যবাদ কবি
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
হা হা হা হা, অনেক্ষণ ধরে মন খারাপ ছিল লেখাটা পড়ে মন ভাল হয় গেল
ইসরাত
কেউ মার খাচ্ছে দেখে আপনার হাসি পেলো?
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
গ্রামারে মিসটেক হইছে দুইটা
পয়লাটা ঘটনায়; কার সামনে কার কথা কইতে না নাই সেইখানে
আর দ্বিতীয়টা গল্পের নামে
এইটা 'চড়' না 'চটকনা'
চড় একটা পুতুপুতু মার্কা জিনিস। আর কানপট্টি লালা করে যা দেয়া হয় তা চটকনা
আসলে যেইটা মারছে সেটারে চটকনা বললেও কম হয়ে যায় কিন্তু হাতের তালু ব্যবহার করছে বলে আর শক্ত কিছু দিতে পারলাম না।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
দারুন
খান
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
হু... দূর থেকে আলো আঁধারীতে মেয়ে দেখলেই আমাদের হয়ে যায়, নিজের বোন বন্ধুর বোন কাউকে আলাদা করতে পারি না
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কথা সত্য
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ছিমছাম। ভালো লাগল
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
পড়ার জন্য ধন্যবাদ রিশাদ
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
মজারু
মাইরও মজারু?
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
গল্পের মূল সুতোটা দামী। গল্প বলার স্টাইল-ও খুব ঝরঝরে।
- একলহমা
গল্প পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ একলহমা
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
উত্তম ঝাঝা!
হা হা হা
-নিয়াজ
চমৎকার লাগলো নীড়দা।
আমি হইলে কইষা আর ও কয়েকটা থাবড়া দিতাম ।
আমিও
অনেক মজা লাগল। দারুণ লিখেছেন।
এরপর ......আমাদের চোখে হাজার হাজার সর্ষেফুলের নাচন। প্রফুল্লের না দেয়া চড়গুলো আমাদের গালে গালে নেচে নেচে থাবড়া মেরেই চললো। ইচ্ছে হলো ৯ নম্বর মাঠের ঘাস মাটি ভেদ করে পাতালে চলে যাই।
সব শেষের এই লাইন কটি পড়ে বেশি ভাল লাগল প্রফুল্লের বন্ধুদের অনুতপ্ত মুখগুলি কল্পনায় দেখতে পেয়ে। অপরাধ হয়ে গেলে অনুতপ্ত হওয়াই বাঞ্ছনীয়। সবার মধ্যে এই উপলব্ধি থাকে না। ওদের মধ্যে ছিল।
চমৎকার একটি গল্প উপহার দেয়ার জন্য লেখক অবশ্যই ধন্যবাদ পাবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা। ভাল থাকবেন আর বেশি বেশি স্বপ্ন দেখবেন। স্বপ্নই সম্ভাবনা।
ভালো লাগলো।
অনেক ধন্যবাদ জানবেন।
--------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
নতুন মন্তব্য করুন