দুপুরে কেন্টিনের পচা তেলাপিয়ার মাছের ফ্রাই চুবানো ঝোল দিয়ে ভাতের গেরাসটা নিয়ে যখন মোচড়ামুচড়ি করছিল ঠিক সেই সময়ে সরফরাজের বাম পকেটের মোবাইলটা ক্যাঁক ক্যাঁক করে আর্তনাদ করতে শুরু করলো।
ক্যান্টিনের টিনের চালের গরম, সাথের রান্নাঘরের চুলার আশটে ধোঁয়া, বাটিতে রাখা পচা মাছের তরকারি, কাঁকর মিশানো ময়লা রঙের ভাত, পেটের ত্রাহি খিদা সবকিছু মিলেমিশে একটা ঝাঁজালো ধরনের বিরক্তির তেজ তৈরি করে রেখেছিল সরফারাজের মগজে। ফোনের শব্দটা সেই বিরক্তিকে চুড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেলে 'এই সময়ে কোন খানকির ছেলে আবার ফোন করলো' বলে প্যান্টের উপর দিয়েই বামহাতে ফোনের প্রত্যাখ্যান বোতাম টিপ দিয়ে আবারো ভাত মাখাতে ব্যস্ত হলো সে।
লাঞ্চ টাইমে ফোন ধরে না সরফরাজ।
কোনমতে খাওয়াটা শেষ করে বেসিনের নোনা পানিতে হাত ধুয়ে কুলি না করেই টেবিলে ফিরে আসলো। তারপর ধীরে সুস্থে একটা পান মুখে দিয়ে পকেট থেকে মোবাইলটা বের করলো।
নাম্বারটা দেখেই মাথা চক্কর দিল। তিনদিন ধরে এই নাম্বারের ফোনের জন্য অপেক্ষা করছিল। শালা বানচোত কেন ফোন করছে না সেটা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল সে। প্রতিবার ঈদের দুদিন আগে ফোনটা আসে। সর্বশেষ ব্যাংকিং দিবসে। ফোনে বিশেষ কোন কথা থাকে না। শুধু বলা হয়, স্যার আপনার ব্যাংক একাউন্টটা চেক করেন।
ফোনটা পেলে সে মনে মনে 'শুয়োরের বাচ্চা' বলে গালি দিয়ে আহ্লাদ করে। আনন্দের সাথে কাউকে গালি দেবার নজীর আর আছে কিনা সরফরাজ জানে না। কিন্তু তার মতো পদবীর কাউকে স্যার বলার নজির কেবল একটাই। এই শুয়োরের বাচ্চাই স্যার ডাকে। কোন কারণ ছাড়াই মনে মনে কাউকে গালি দিয়ে গোপন আনন্দ পায় সরফরাজ।
অগাধ টাকার মালিক এই শুয়োরের বাচ্চা। কাড়ি কাড়ি টাকা। বাড়ি গাড়ি কাড়ি উপচে পড়ছে তার চারপাশে। তার মতো দুই টাকার কেরাণীকে সে হাতের ময়লা করে রাখতে পারতো যদি না তার ফাইলের কাজ এই টেবিলে না থাকতো।
সরফরাজ ঘুষ খায় না। এই সুনাম পুরো ডিপার্টমেন্টে ছাড়িয়ে তার শহরের ক্ষুদ্র একটা অংশেও ছড়িয়েছে। সততার নজীর হিসেবে তাকে সবসময় ময়লা পুরোনো শার্ট পরে অফিসে আসতে হয়। এভাবে না আসলেও চলে। সাড়ে বারো হাজার টাকা বৈধ বেতন পেয়ে বছরে একটা ভালো শার্ট কেনা অসম্ভব নয়। তাকে উপহার উপঢৌকন হিসেবেও দেয়া হয় জামা কাপড়। কিন্তু তার বহুকালের অভ্যেস অফিসে পুরোনো শার্ট পরা।
সরফরাজ ঘুষ খায় না কিন্তু উপহার নিতে আপত্তি করে না। তার কাছে গোপন উপহার পাঠায় ওই ফোনের মালিক এবং আরো কেউ কেউ। শুয়োরের বাচ্চারা তাকে 'স্যার' ডাকে ঠেকায় পড়ে।
ফোন নাম্বারটা কিছুক্ষণ দেখে খানিক পুলকিত চিত্তে মোবাইলটা রেখে দিল সরফরাজ। কলব্যাক করলো না। উপহার দাতা নিজে যেচে ফোন করবে এটাই নিয়ম। তার অনিচ্ছাতেই একাউন্টে টাকা জমা হয়ে যাবে এটাই রীতি। এই রীতির কোন লংঘন দেখলে মাথায় আগুন ধরে যায়।
সরফরাজ ভ্রু কুঁচকে ফোনের দিকে তাকায়। মুখের পান শেষ হয়ে আরো আধ ঘন্টা পেরিয়ে গেছে। কষালো সুপারির টুকরাগুলো দাঁত দিয়ে পিষতে থাকে ভাবতে ভাবতে। এতক্ষণে তো আবার ফোন আসার কথা।
কলব্যাক করার অর্থ হলো প্রয়োজনটা আমার। টাকার চাহিদা প্রকাশ করা অসভ্যতা। অনিচ্ছা প্রকাশই ভদ্রতা। যখন ওই ফোন থেকে জানানো হয় - স্যার, ব্যাংকে টাকা জমা পড়েছে, তখন সে খুব বিরক্তির সাথে বলে, 'দেখেন এসব আর করবেন না, এসব একদম নাপছন্দ আমার। আপনাদের কাজ করে দেই বলে আমাকে মাসোহারা দেবেন, সেই গোলামী সরফরাজ করে না। খবরদার এই শেষবার বলে দিলাম।'
এই সতর্কতা নতুন না। বহুবছরের। প্রতিবারই একই নাটকের পুনরাবৃত্তি। সরফরাজ আর ফোনের মালিক দুজনেই জানে সরফরাজের এই 'না' কতখানি আগ্রাসী সম্মতি।
ফোন আসছে না দেখে সরফরাজের মেজাজ চড়তে শুরু করে আবার।
শালা বানচোত! একবার ফোন করেই রেখে দিবি? তোর বাপের টাকা? তোর পুটকি দিয়ে বের করবো হারামজাদা।
এখন বাজে দুপুর দুটো। আর এক ঘন্টা মাত্র ব্যাংকিং আওয়ার। এর মধ্যে টাকা জমা না হলে মাথায় খুন চড়ে যাবে, কিন্তু সে কাউকে কিছু বলতে পারবে না।
কেন ফোন করেছিল? হয়তো টাকা জমা দিয়েছে, সেটাই জানাতে চেয়েছিল। অথবা এবার দিতে পারছে না, সেটা জানাতে চেয়েছিল। দুটোই হতে পারে। দ্বিতীয়টা হবার সম্ভাবনা কম। তবু সরফরাজ ওটার প্রতিষেধকও তৈরী করে রাখে মনে মনে। ফাইলটা ঠেসে দেবো সেরকম কিছু হলে।
সরফরাজের সততা অনিশ্চয়তার আগুনে পুড়তে থাকে। ব্যাংকে গিয়ে চেক করার সময় নাই। রাস্তায় প্রচণ্ড জ্যাম। আসতে যেতে তিন ঘন্টা। হাতে কাজ রয়ে গেছে।
সাড়ে তিনটার দিকে ফোনটা বাজলো আবার। ক্রোধ আর আনন্দের মিশালি অনুভুতিতে ফোনটা ধরলো সে। খানিক আগের গালিগালাজগুলো মুছে গিয়ে গলায় সুমধুর আওয়াজ ভর করলো- 'হেলো স্লামালেকুম'।
-স্যার, একটা দুঃসংবাদ। ব্যাংকে টাকা জমা করতে গিয়ে শুনলাম আপনার একাউন্ট ফ্রিজ করতে বলেছে দুদক। কোন লেনদেন সম্ভব না আজ। আপনি এখনো অফিসে থাকলে জলদি সরে যান। খবর পেয়েছি দুদকের লোক যে কোন সময় অফিসে যেতে পারে।
বাজ পড়লেও কম হতো সরফরাজের মাথায়। ফোনটা রেখে কাউকে কিছু না বলে, স্খলিত পদক্ষেপে অফিস ছেড়ে বেরিয়ে পড়লো সে। তার 'সততা'র উপর কার নজর পড়েছিল ভাবতে ভাবতে হাঁটতে শুরু করলো বাড়ির দিকে। ঈদে গরু কেনার এক লাখ টাকাটা নগদে দিলেও পারতো শুয়োরের বাচ্চা! দাঁতে দাঁত কিড়মিড় করে আসন্ন বিপদ আর অসহায়ত্বের মধ্যেকার দ্বন্দ্বটাকে চাপা দেবার চেষ্টা করলো।
গলিতে ঢুকতেই চোখে পড়লো পুলিশ ভ্যানটা। বাড়ির সামনেই দাঁড়ানো। এতটা ভাবেনি সরফরাজ! মুখে আরেকটা চাপা খিস্তি করে সে ঘুরে হাঁটতে শুরু করলো। অন্য কোথাও সরে যেতে হবে। একটা সিএনজি ডেকে উঠে পড়লো। মোবাইলটা বন্ধ করে দিল। ঘরে বউ ছেলেমেয়ে আছে, তাদের খবর দিতে গেলে ট্র্যাক করে ফেলবে। আজকাল টেকনোলজি অনেক এগিয়ে গেছে। ডেমরায় তার এক ফুপাতো ভাই থাকে ওখানে আশ্রয় নিতে হবে। তারপর অবস্থা বুঝে ঢাকা ছাড়বে। ধরা পড়লে রক্ষা নাই।
সন্ধ্যার দিকে ফোনের দোকানে গিয়ে বউয়ের মোবাইলে কল দিল। ফোন ধরছে না সে। দশবার করার পরও ফোন ধরলো না সে। অচেনা নাম্বার না ধরার জন্য সরফরাজই কড়াকড়িভাবে নিষেধ করেছিল একটা অনাহুত ঘটনার পর। মাঝে মাঝে নিজের আইনের প্যাচে নিজেকেই পড়তে হয়।
হঠাৎ বুদ্ধি এলো। সরফরাজ একটা রিকশা নিয়ে শনির আখড়ার দিকে মাইল দুয়েক গিয়ে ফোনটা খুললো। কথা বলে ফোন বন্ধ করে ফিরে আসবে ডেমরায়। তাহলে তাকে ধরতে পারবেনা মোবাইল ট্র্যাকার।
-হ্যালো!
-কি ব্যাপার তুমি কোথায়? অফিস থেকে ফিরতে এত দেরী কেন?
-আস্তে হালিমা, খুব বড় ঝামেলা হয়ে গেল। এতক্ষণে জানো নিশ্চয়ই। পুলিশ কি বললো? ওরা কি আছে এখনো?
-কিসের পুলিশ?
-দুপুরে বাসায় পুলিশ আসছিল না?
-কেন পুলিশ আসবে কেন?
-বাড়ির সামনে একটা পুলিশের গাড়ি দেখলাম
-সে তো দোতলার ভাবীর ছোটভাই তারেককে নিয়ে এসেছিল দুপুরে। সে পুরান ঢাকার একটা থানায় ট্রান্সফার হয়ে এসেছে। কিছুদিন বোনের বাসায় থাকবে সেটা বলতে এসেছিল। শুনে ভাবী খুব খুশী।
নিজেকে কেমন বোকামতন লাগলো সরফরাজের। খবরটা ভালো, তবু আপাততঃ সুসংবাদে মনোযোগ দিতে পারছে না সে অনাগত বিপদাশংকায়। পালিয়েও খুব বেশীদূর যাওয়া যাবে না পরিবার ছেড়ে। তার চেয়ে আগামীকাল অফিসে গিয়ে স্বেচ্ছায় জালে আটকা পড়ার সিদ্ধান্ত নিল।
মন্তব্য
গল্প ভালো লেগেছে। শেষের টুইস্ট জমেনি যদিও।
আজ লাঞ্চ আওয়ারে অলস মস্তিষ্কে লেখা গল্প। গল্প হয়ে উঠেছে কিনা সন্দেহ আছে। তবে টুইস্ট ছিল না কিন্তু। বদভ্যাস হয়ে যাচ্ছিল গল্পে টুইস্ট দেবার। তাই একটা টুইস্ট তৈরী করেও বাদ দিয়ে সাদামাটা সমাপ্তি দিলাম।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
অনেক দিন পর আপনার লেখা পড়লাম। কেন জানি মনে হল, লেখাটিতে আপনার শক্তিমত্তার পুরোপুরি প্রয়োগ ঘটেনি। হয়তোবা, আপনার কাছে আমার প্রত্যাশার সূচক অনেক বেশি উর্ধ্বমুখী হয়েছে। মোহিত হবার প্রত্যাশায় থাকলাম।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আপনাকেও অনেকদিন পড়লাম। আপনার প্রত্যাশার সূচকটা ঈষৎ লজ্জিত করলো আমাকে। তবু এটি ব্যবহার করে আগামীতে আরেকটা ভালো গল্প লেখা যায় যদি, তাও খারাপ কি
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
টুইষ্ট বাদ দিলে চলবে? আও টুইষ্ট ক্যরে...!
সামনে কঠিন টুইষ্ট আসবে একটা
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
গল্প যেমনই হোক, গালাগালিগুলো একটুও ভালো লাগলো না
বাস্তবজীবন তো গালাগালিবিহীন নয়, তাই গল্পেও চলে আসে মাঝে মাঝে। তা নইলে তো কেবল রূপকথা লিখে যেতে হবে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ব্যাটা কিপ্টা। ব্যাঙ্কে কুটি কুটি টেকা রাইখা কেন্টিনে কাঁকর মিশানো ময়লা ভাত দিয়া পচা তিলাপিয়া ফ্রাই খায়
..................................................................
#Banshibir.
সে অফিসের কেন্টিনে খায়, ব্যাংকের টাকায় খায় না
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
এগুচ্ছিলোতো ভালো। থামিয়ে দিলেন যে
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
কে কারে কয়! আপনার লেখায় সেই মন্তব্যটা কপি করে দিয়ে এলাম।
লাফাংকথা সত্য। কিন্তু লিখতে লিখতে এমন ঘুম পেয়ে গেল হঠাৎ.......
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
গল্পের চল যেমন আপনার লেখায় হওয়ার কথা - চমৎকার। টুইস্ট না থাকাটাও কোন সমস্যা না। খামখা টুইস্ট না এনে স্বাভাবিক পরিণতির গল্প আপনার দক্ষ হাতে একটুও কম জমত না। কিন্তু ঐ যে, ফাঁকিবাজি করলে যা হয় আর কি, ঘ্যাচাং করে গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ফাঁকিবাজির ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু আধঘন্টা সময় বাজেট করে, কীবোর্ডের উপর গল্পের লাগাম ছেড়ে দিয়ে কিছুক্ষণ পর এমুন ভাতঘুম পেয়ে গেল.....
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
শুধু দুই ঈদের সময় আসে কেন? রহস্যটা কি?
কেননা একটা ঘুষ না। উপহার। বছরে দুবারে পুষিয়ে দেয় সারাবছরের পাওনা
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
সাবলীল।
ভালো লাগা।
শুভকামনা। অনিঃশেষ।
দীপংকর চন্দ
পড়ার জন্য ধন্যবাদ দীপংকর চন্দ
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আশেপাশে কুটিকুটি তারেক, কোনডার কথা কইবার চান?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
কী কইবার চান, খুলে কন
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আমি আবার কি খুলুম?
উদাস'দা ঐদিকে নন্দ-গুষ্টির ধুতি খুইলা লইতেছে।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
এই গপ্প বাস্তব সম্মত নয় , কারণ এই যুগের এই দেশের সারফরাজ সাহেব রা এতটা বোকা মানুষ হন না। তিনারা কোন না কোন দলের সেবক হয়ে থাকেন। আর সেই সূত্রধরে তাহারা সকল দুর্নীতির উর্ধে থাকেন , দুদক তাহাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে কিছুই পান না কোন কালে !
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
ভাল্লাগছে নীড়ু'দা। আরো গপ্প দেন পড়ি ।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
আমমমমমমমমম
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
নতুন মন্তব্য করুন