• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

আমরা তোমাদের ভুলে গেছি: নুরুল আলম, কমলদহ, মিরসরাই

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: বুধ, ২৫/০৩/২০১৫ - ৭:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[ওরা যুদ্ধ করেনি, ওদের সার্টিফিকেট নেই, ইতিহাসে ওদের কোন পদবী নেই। ওদের কেউ অন্ধকার রাতে টর্চলাইট হাতে মুক্তিযোদ্ধাদের পথ দেখিয়েছে, কেউ রাতে ঘরের দাওয়ায় আশ্রয় দিয়েছে, নিজের খাবার বাঁচিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের খাইয়েছে, তাঁদের অস্ত্র, তথ্য, সংবাদ পারাপার/পাচার করেছে দীর্ঘ নয়মাস ধরে। অতঃপর দেশ স্বাধীন হবার পর কৃতিত্ব দাবীদারের ডামাডোলে ওদের কথা ভুলে গেছি আমরা। সেই সব অনালোচিত, ভুলে যাওয়া অমুক্তিযোদ্ধা সাধারণ নাগরিকদের নিয়ে আমি একটি অনিয়মিত সিরিজ লেখার চেষ্টা করছি]
_______________________________________________________________________________________________

আকাশে যে পরিমাণ মেঘ আজ রাতে ঝড়-বাদল না হয়ে যায় না।

ঝড়-বাদলা কোন সমস্যা না আজ। সমস্যা অন্য। আবছা অন্ধকারে আছিয়া খাতুনের কপালে আপত্তির তীব্র ভাঁজ না দেখেও গলার ঝাঁঝ শুনে যা বোঝার বুঝে নিল। তবু নুরুল আলম গা করে না। আবার আছিয়া খাতুনের প্রতিবাদের স্বরও বাড়তে পারে না প্রতিবেশীদের কর্ণগোচর হবার ভয়ে।

'কুপিটা জ্বালো ভাত দাও'- নুরুল আলম যথাসম্ভব গলা নিচু করে বললো। কেরোসিনের অভাবে ওরা কুপিও জ্বালায় না খুব দরকার না হলে। প্রতি বর্ষায় শনের চাল ভেদ করে বৃষ্টির ফোঁটা পড়ে বিছানায়। একেকদিন একেক দিকে পড়ে ফোঁটা। সেই মতে চাটাই বিছানা সরিয়ে ঘুমায় প্রতিরাতে। এই বর্ষায়ও ঘরটা ঠিক করা গেল না। এই বর্ষাটা আগের চেয়ে অন্যরকম।

ঘরের চালের চেয়েও ভিন্ন দুশ্চিন্তায় দুজনে কাহিল। সেই কারণেই তাকে আজ রাতের ডিউটিতে যেতেই হবে। থানা রাজাকার কমান্ডারের হুকুম। মুক্তিযোদ্ধারা যেন রাস্তা কালভার্ট উড়িয়ে দিতে না পারে নিজ নিজ এলাকা নিজ দায়িত্বে পাহারা। গ্রামবাসীর প্রতি কড়া হুকুম পালা করে পাহারা চালু রাখতে হবে। আজ তার পালা।

নুরুল আলম বেগুনের ঝোল দিয়ে কয়েক নলা ভাত কোনমতে গলায় ঢেলে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। অন্ধকার ঘরে আছিয়া বেগম ঝিম ধরে বসে থাকে। সেও ঘুমাবে না সারারাত। ঘুম আসবেই না।

রাস্তায় নেমে সখিনার বাপের সাথে দেখা। নুরুল আলমকে দেখে ফিসফিস করে বললো, সাবধানে থাইকো মিয়া। মুক্তিরা লোক সুবিধার না। বাতাসের আগে বান মেরে চলে যায়। খুবই সাবধান।

সাবধানের গুষ্টি উদ্ধার করে নুরুল আলম বিরক্তির সাথে মহাসড়কের দিকে এগিয়ে যায়। সারারাত মশার কামড় খেতে হবে আজ। বদিআলম যে বিপদে ফেলে গেছে তাকে, সেই বিপদ থেকে উদ্ধার পেলেই হয়। কিন্তু বিপদ তো তার একার না, গোটা দেশই এখন বিপদগ্রস্ত। মনে মনে জ্বলে উঠলো একবার। নিজ হাতে সে হালচাষ করে বছরের খাবার নিজেই যোগাড় করে। নিজের কাজ করা মানে দেশেরও কাজ করা। সোজা হিসাব নুরুল আলমের।

নুরুল আলমের পরিচয় কি? গণি-মিয়ার মতো সেও একজন সাধারণ কৃষক। নিজের বা পরের জমি চাষ করে খায়। এটা তার জীবিকা। কিন্তু মানুষের আরো পরিচয় থাকে না? সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক। গত রাতের চেয়ে তার আজকের পরিচয়ের কোন পরিবর্তন হয়েছে? এটা তাকে বেশ খোঁচাতে থাকে। গত রাতেও তার উপায় ছিল না। আজ রাতেও উপায় নেই। গরীব বলেই কি এই মুশকিল? দেশকে ধ্বংস করছে কারা?

আজকে মিটিং এ মফজল কমান্ডার বললো, কাফের মুক্তিরাই যত নষ্টের মূল।

কিন্তু কাল রাতে বদি ভাইকে দেখে তো মনে হয়নি তারা দেশকে ধ্বংস করছে?

আজ তাহলে সে মুক্তি পাহারা দিতে আসলো কেন? এখন যদি মুক্তির লোক এসে তাকে গুলি করে মারে, সে মরবে রাজাকার হয়ে। কিন্তু পাহারা না দিলে তার ঘরের দিকে সন্দেহের নজর পড়ে যদি? তখন তো মুক্তিদেরই বিপদ।

নুরুল আলম পড়েছে উভয় সংকটে।

১৯৭১ এর আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহ। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে মীরসরাই থানার ছোট কমলদহ গ্রাম। মহাসড়কের কয়েকশো গজ দূরেই কৃষক নুরুল আলমের কুঁড়েঘর। সেদিন রাতে হঠাৎ করে তার ঘরে এসে হাজির বদিউল আলম। এলাকার সম্ভ্রান্ত ঘরের ছেলে। মুক্তিদের সাথে কাজ করে, এপার ওপার আসা যাওয়া করে। গেরিলা ট্রেনিং নিয়েছে। নুরুল আলম সব জানে, গোপনে ভক্তি করে তাকে। ভক্তি করে আরো দশজনে। কিন্তু নুরুল আলমকেই সে সবচেয়ে বেশী বিশ্বাস করে। বিশ্বস্ত এবং নিরাপদ মনে করে বলে মাঝরাতে এসে অস্ত্রের চালান এনে বলতে পারে -'এগুলো আজ রাতের মতো তোমার ঘরে রাখো, আমি খুব বিপদে আছি। কালকেই সরিয়ে নিয়ে যাবো। তুমি গরীব মানুষ, কারো সাত পাঁচে নাই, তোমাকে কেউ সন্দেহ করবে না'।

নুরুল আলম ভালো করেই জানে এই সময়ে সন্দেহের মধ্যে ধনী দরিদ্র ভেদাভেদ নাই। যাকে তাকে যে কেউ গুলি করে মেরে ফেলতে পারে। কিন্তু বদি ভাইকে সে খুব ভক্তি করে। তাছাড়া মুক্তিদের জন্য তার ভেতরে লুকোনো মমতা আছে। সে জান বাজি দিয়ে হলেও এই অস্ত্র লুকিয়ে রাখবে বলে সিদ্ধান্ত নিল। মাত্র একটা রাত।

রাত পেরুলো। ভোর হলো। দুপুর গেল। বদি ভাইয়ের খবর নাই। তার পরদিনও নাই, পরদিনও না। মহাসড়কে পাকবাহিনী আর রাজাকার বাহিনীর পাহারা হঠাৎ বেশ জোরদার। প্রতিটা গাড়িতে তল্লাসী। সন্দেহজনক অচেনা লোক দেখলেই আটক। বদি আলম হয়তো সেই কারণে আসতে পারছেন না। বদি আলম না আসাতে নুরুল আলম আর তার বউ আছিয়া পড়লো বিপাকে। এতগুলো অস্ত্র লুকিয়ে রাখা সহজ না। কেউ একটু আঁচ করতে পারলেই খতম। গুষ্টিশুদ্ধা গুলি করে মেরে ফেলবে। মহাসড়কের পাশে পাকবাহিনীর চলাচলের পথের এত নিকটে ভয়ংকর অস্ত্র লুকানো কেউ ভাবতেই পারেনা বলেই এখনো ধরা পড়েনি। এবং সেই কারণেই আজ রাতের রাজাকার ডিউটিতে আসার দরকার হয়েছে আরো বেশী করে।

রাতটা কোনমতে পার করে ঘরে ফিরে গেল নুরুল আলম।

আরো একদিন কেটে যাবার পর বদি ভাই না আসাতে মহা দুশ্চিন্তায় পড়লো নুরুল আলম। ঘরের ভেতর খড়ের গাদায় এতগুলো অস্ত্র রেখে কে ঘুমাতে পারবে? ঘুমাতে পারছে না নুরুল আলম আর আছিয়া খাতুন।

পরদিন রাতে দুজনে বস্তায় করে অস্ত্রগুলো কাছেই এক দীঘির পাড়ের ঝোপের আড়ালে রেখে আসলো। বমাল ধরা পড়ার সম্ভাবনা একটু কমানো গেল।

ভেজা বেড়ালের মতো দিন কাটায় নুরুল আলম। কাজে মন বসে না। বুকের মধ্যে অশান্তি, মাথার মধ্যে যন্ত্রণা। ঘুম নাই কয়েক রাত ধরে। তবু ভয়ের সাথে সাথে বুকের ভেতর বাজতে থাকে একটা বাক্য- মুক্তির কাজ দেশের কাজ!

আরো কদিন পর বদিউল আর সঙ্গী মুক্তিযোদ্ধারা একটা পিক আপ নিয়ে অস্ত্র নিতে আসলেন। বুকের ভেতরটা আনন্দে ভরে গেল তার। এবার মুক্তি। এই কটাদিন কী বিষম বিপদে পড়ে গিয়েছিল সে! অস্ত্রগুলো বস্তায় ভরতে ভরতেও চিনতে পারলো না নুরুল আলম এগুলা কি ধরণের কাজ করে। পাকিদের মারবে তাতেই খুশী সে। অস্ত্রগুলো ছালার বস্তায় মুখবন্ধ করে পিক আপে তোলা হলো। যাবে শহরে। তুললে কি হবে, যদি পথে কেউ চেক করে? এত কড়া পাহারা পেরিয়ে চট্টগ্রাম শহরে পৌঁছানো কঠিন ব্যাপার। তখনই আবার নুরুল আলমের বুদ্ধি মতে বাজার থেকে নানান জাতের সবজি বরবটি, লাউ, মুলা, বেগুন, ঝিংগা, চিচিংগা ইত্যাদি সবজি কিনে আনা হলো নগদ টাকায়। যেন শহরে সবজী পাঠানো হচ্ছে বিক্রি করার জন্য। শুধু তাই না, সবজির বস্তার উপর বসে শহরে যাবার জন্য তিনজন কামলাকেও নগদ পঞ্চাশ টাকায় রাজী করানো হলো।

নানান ঝক্কি ঝামেলা করে অস্ত্রগুলো নিরাপদে চট্টগ্রাম শহরে পৌঁছালো। সেখান থেকে অপারেশানস্থলে। মুক্তিযোদ্ধাদের দুনিয়া কাঁপানো অপারেশন সফল হলো।

কিন্তু নুরুল আলমের শেষ রক্ষা হলো না। সেই কামলারা শহরে মালামাল নামিয়ে ফিরে আসার পর কমলদহ বাজারের এক চায়ের দোকানে বসে এই আকালের সময়ে আজকের এই হঠাৎ ফাউ ইনকামের ঘটনাটা যখন রসিয়ে রসিয়ে বর্ণনা করছিল তখন আশেপাশে বসে থাকা রাজাকারদের দৃষ্টি আকর্ষিত হলো। তারপর যা হয়, তাই হলো। রাজাকারবাহিনী নুরুল আলমকে তুলে নিয়ে গেল পাকবাহিনীকে উপহার দেবার জন্য।

পাদটীকা

  • ১. [সমাপ্তি নোটঃ এই নুরুল আলমের আশ্রয়ে লুকোনো অস্ত্রগুলোই ‘অপারেশন জ্যাকপটে’ ১১টি পাকিস্তানী জাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছিল। এরকম হাজারো নুরুল আলম বাংলাদেশের আনাচে কানাচে লুকিয়ে থেকে পাকিস্তানী বাহিনীকে নাস্তানাবুদ করতে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করেছে। অর্থের মোহ নয়, খ্যাতির লোভ নয়, শুধু মাত্র একটি পতাকার জন্য, একটি আলাদা মানচিত্রের জন্য তাঁরা তাঁদের হাত প্রসারিত করেছিল।]

মন্তব্য

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

(মোম)

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

(মোম)

স্বয়ম

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আমাদের মুক্তিযুদ্ধে এই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীই অকাতরে জীবন দিয়েছিলো। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা!
লেখাটার জন্য ধন্যবাদ।

নজমুল আলবাব এর ছবি

এই গল্পগুলো যদি ছড়িয়ে দেওয়া হতো। তাহলে এই ৪৫ বছর পরে এসেও আমাদের ইতিহাসের পেছনে ছুটতে হতো না। আমাদের চেতনায় এমন ঘুনপোকা বাসা বানাতোনা।

সময় আছে এখনও। ছড়িয়ে দেবার এখনও আছে অনেক কথামালা।

(Y)

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ঠিক বলছেন! বাফ'র ঠিক্নাই! নয়তো দেশটা এমন হইতো না!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

এক লহমা এর ছবি

(মোম)
এই রকম কাহিনীগুলি উঠে আসুক স্মৃতির অতল থেকে আর ছড়িয়ে পড়ুক দশদিক আলো করে।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সুবোধ অবোধ এর ছবি
হাসান মোরশেদ এর ছবি

খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পদক আর স্বীকৃতির তালিকায় না আসা এইসব যোদ্ধাদের কাহিনী আর্কাইভ করার এখনই সময়। ব্লগে এবং সম্ভব হলে ছাপানো বই আকারে।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

(মোম)

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

ভুলবো কি? আমরা তো অনেকেই জানি না নুরুল আলমদের কথা! বিনম্র শ্রদ্ধা তাঁদের প্রতি।
পোস্টে পাঁচতারা।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

আয়নামতি এর ছবি

শ্রদ্ধা নুরুল আলমদের প্রতি। সাদিয়াপুর মত আমারও একই অবস্হা ভাইয়া :(

রানা মেহের এর ছবি

এই সিরিজ অনিয়মিত নয় নিয়মিত করার দাবী থাকলো।
বেশ কিছু হয়ে গেলে বই আকারে প্রকাশ হওয়া উচিত।

একটা সাজেশন। আমি ভুল হতে পারি, তবু ভেবে দেখবেন।
সত্যি কাহিনীকে গল্পের মতো না লিখে ইতিহাসের মতো নির্মোহভাবে লিখলে সেটা অথেন্টিক হয়।
লেখায় গল্পের মতো আবেগ দেয়ার চেষ্টা (যেটা আমি আমরা সবাই করি) ইতিহাসকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

লেখা চলুক।

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আপনার পয়েন্টটা বুঝতে পারছি। সত্যি বলতে ওটা গবেষকরাই ভালো পারবেন। আমরা যারা সাধারণ লেখিয়ে তাদের ক্ষেত্রে এরকম ঘটনাগুলো গল্পের লিখলে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আবেগটা তুলে ধরা যায়। যে আবেগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে সেটা নতুন প্রজন্মের জন্য যতটা সম্ভব ধরে রাখার চেষ্টা। তাই শুধু তথ্যপূর্ণ কিছু না লিখে এই গল্প ফরমেটে লেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যেখানে তথ্যগুলো অবশ্যই ঠিক থাকবে। আগামী প্রজন্মের কাছে চেতনার বিকাশের জন্য এই আবেগটা থাকা উচিত বলে মনে করি। আপনার পরামর্শের জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।