রবিশংকর ও জর্জ হ্যারিসনের 'কনসার্ট ফর বাংলাদেশ' এবং একজন জোয়ান বায়েজ

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: শনি, ১০/১২/২০১৬ - ১২:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাত্র ৯৯ মিনিট দৈর্ঘ্যের একটি ডকুমেন্টারি। শুরুর মিনিট থেকে শেষ মিনিট পর্যন্ত চোখের পাতা অপলক ছিল, হৃদস্পন্দনের গতি কত বেড়েছিল হিসেব রাখিনি, তবে নিঃশ্বাস প্রায়ই আটকে রাখতে চাইছিলাম তার নড়াচড়ায় যদি ওই সময়ের কোন দৃশ্য বা শব্দ বাদ পড়ে! যারা ওখানে গাইছেন, বাজাচ্ছেন তাদের প্রত্যেকটি শব্দ, প্রত্যেকটি বিচ্ছুরিত বাজনা বাংলাদেশে চলমান মুক্তিযুদ্ধের মাঠে ময়দানে ছুটে আসছিল। রবিশংকরের সেতারের ঝড় আমাদের দামাল যোদ্ধাদের মাথার উপর ছায়া হয়ে আশ্বাস দিয়ে বলছিল তোমরা একা নও, সারা পৃথিবীর মুক্তিকামী মানুষের ভালোবাসা তোমাদের সাথে আছে। রবিশংকর সেতারে ঝড় তোলার সময় আলী আকবর খানের সরোদে তুফান বইছিল, আল্লারাখার তবলায় অবিরাম শিলাবৃষ্টি আর কমলা চক্রবর্তীর তানপুরায় মুক্তির নিশানা স্পষ্ট হয়ে আসছিল। দেখছিলাম Concert for Bangladesh 1971

মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে বাংলাদেশ যেসব বিদেশী সমর্থন পেয়েছে Concert for Bangladesh এর উদ্যোগ তার মধ্যে অন্যতম সাফল্য। ১ আগষ্ট ১৯৭১ সালে নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ারে অনুষ্ঠিত কনসার্টটি আয়োজনে রবিশংকর এবং জর্জ হ্যারিসন অসাধ্য সাধন করেছেন। সেই অনুষ্ঠানের ১৯টি গান দিয়ে সাজানো এই ডকুমেন্টারি দেখতে গিয়ে আমি আমার প্রতিটি রোমকূপ দিয়ে অনুভব করতে পারছিলাম মুক্তিযুদ্ধের সময়কালে বয়ে যাওয়া বাতাসের ঘ্রাণ। কনসার্ট অব বাংলাদেশ আয়োজন নিয়ে বিস্তারিত সব ঘটনা অনেকবার লেখা হয়েছে বলে সবার জানা। সচলের এই পোস্টটি পড়ে নিতে পারেন।

রবিশংকর এবং জর্জ হ্যারিসন, এই নাম দুটির কাছে স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ চিরঋণী থেকে যাবে

সেদিন ওই মঞ্চে আরো যারা গেয়েছিলেন, তাদের কাছেও আমাদের ঋণ। এসব ঋণ অপরিশোধ্য, শুধু ইতিহাসের খাতায় তাদের নামগুলো জমা করে রাখা যায়। Concert for Bangladesh-এ যে গানগুলো গাওয়া হয়েছিল তার তালিকা বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন জায়গায় লেখা হলেও তাঁদের গাওয়া গান ও নাম একসাথে পাওয়া সহজ নয়। তাই কনসার্টের হোমপেজ, উইকিপেজ সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্যগুলো সংগ্রহ করে আর্কাইভ করা হলো। সেই কনসার্টে অংশগ্রহনকারী সব শিল্পীদের তালিকাটা দিয়ে আমাদের জন্য তাঁরা যা করেছেন তার ছোট্ট একটি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের চেষ্টা।

ম্যাডিসন স্কয়ারে সেদিন দুটো কনসার্ট হয়েছিল। প্রথম কনসার্ট দুপুর ২.৩০মিনিট, দ্বিতীয় কনসার্ট সন্ধ্যা ৮.০০।

প্রথম কনসার্ট ২.৩০মিনিট
এই কনসার্টে দুটো পর্ব ছিল। প্রথম পর্বে ভারতীয় সঙ্গীত বাজিয়েছেন চারজন-
Ravi Shankar — Sitar
Ustad Ali Akbar Khan — Sarod
Ustad Alla Rakha — Tabla
Kamala Chakravarty — Tanpura

দ্বিতীয় পর্বে পাশ্চাত্য সঙ্গীতে অংশ নিয়েছিলেন নীচের শিল্পীগন।
Wah-Wah - GEORGE HARRISON
Something - GEORGE HARRISON
That's The Way God Planned It - DON PRESTON
It Don't Come Easy - RINGO STARR
Beware Of Darkness - GEORGE HARRISON
While My Guitar Gently Weeps - GEORGE HARRISON & ERIC CLAPTON
Jumpin' Jack Flash - LEON RUSSELL
Young blood - LEON RUSSELL
Here Comes The Sun - GEORGE HARRISON
A Hard Rain's A-Gonna Fall - BOB DYLAN
Blowin' In The Wind - BOB DYLAN
It Takes A Lot To Laugh, It Takes a Train to Cry - BOB DYLAN
Just Like A Woman - BOB DYLAN
My Sweet Lord - GEORGE HARRISON
Bangla Desh - GEORGE HARRISON

দ্বিতীয় কনসার্ট রাত ৮.০০
প্রথম কনসার্টের চেয়ে দ্বিতীয় শো আরো বেশী জমজমাট ছিল। আরো বেশী লোক সমাগম হয়েছিল। গানও ছিল বেশী। সান্ধ্যকালীন দ্বিতীয় শো-তেও উপরের গানগুলো গাওয়া হয়। তার সাথে আরো চারটি গান যুক্ত হয়েছিল।

Awaiting On You All - GEORGE HARRISON
Love Minus Zero/No Limit - BOB DYLAN
Hear Me Lord - GEORGE HARRISON
Mr. Tambourine Man - BOB DYLAN

সেই মঞ্চে আরো দুটি ব্যান্ড এবং একটি ব্যাকিং ভোকাল টীম সাপোর্ট দিয়েছিল অনুষ্ঠানে। তাদের তালিকা-

The Band
Jesse Ed Davis, Tom Evans, Pete Ham, Mike Gibbins, Jim Keltner, Joey Molland, Don Preston, Carl Radle, Klaus Voormann

The Hollywood Horn
Jim Horn, Allan Beutler, Chuck Findley, Jackie Kelso, Lou McCreary, Ollie Mitchell

The Backing vocals
Don Nix, Jo Green, Jeanie Greene, Marlin Greene, Dolores Hall, Claudia .

সেদিন ওই আসরে মোট ১৯টি গান গাওয়া হয়েছিল যার মধ্যে জর্জ হ্যারিসন একাই ৯টি গান গেয়েছিলেন এবং বব ডিলান গেয়েছিলেন ৬টি।

কনসার্ট হলের বাইরে টাঙানো পোস্টার

'কনসার্ট ফর বাংলাদেশ' এর লাইভ প্রোগ্রামের গানগুলো দিয়ে একটা ডকুমেন্টারি বানানো হয়েছিল। যার বিক্রি ছিল আকাশচুম্বী। ওই টাকা থেকে শুধু বাংলাদেশ নয়, এশিয়া আফ্রিকার আরো দেশ মিলিয়ন ডলারের সাহায্য পেয়েছিল। তবে ওই ফিল্ম বা প্রোগ্রামের ভিডিও বাংলাদেশে খুব বেশী মানুষ দেখেছে বলে মনে হয় না। আগ্রহীদের জন্য লিংকটি দেয়া হলো। যদিও এই ডকুমেন্টারি দেখার আগেই এই লেখাটির সুত্রপাত, তবু ফিল্মটি দেখার পর লেখাটিকে গোছাতে অনেক সুবিধা হলো এবং আরো আগে দেখা হলো না বলে খানিক আক্ষেপও লেগেছে। যারা এখনো দেখেননি, তাদেরকে সময় করে দেখে ফেলার অনুরোধ করবো।

অ্যালবামের প্রচ্ছদ ছবি নিয়ে একটি আপত্তি
'কনসার্ট ফর বাংলাদেশ' অ্যালবামের ছবিটি নিয়ে কিছু প্রশ্ন জাগে। শূন্য থালা হাতে বসে থাকা একটি শিশুর ছবিটা ছবিটা একটি ভুল বার্তা বহন করেছে। এই ছবিটি যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ সম্পর্কে ধারণা দেয় না। এই কনসার্টটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের দিকে বিশ্বজনমতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা এবং সেই জনগোষ্ঠির জন্য সাহায্য। অথচ এই ছবিটি দেখে শুধু দুর্ভিক্ষ পীড়িত একটি জাতির চেহারাই ভেসে ওঠে। ছবির কাংখিত বার্তাটি হবার কথা 'বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধে সমর্থন চায়' কিন্তু হয়ে গেল 'অনাহারী বাংলাদেশ ভিক্ষা চায়'। এর জন্য দায়ী হয়তো নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল মিউজিকের অসতর্কতা কিংবা বিক্রি বাড়ানোর কৌশল।

জর্জ হ্যারিসনের Bangla Desh বনাম জোয়ান বায়েজের Song of Bangladesh

একটি তথ্য প্রায়ই গুলিয়ে যেতে দেখেছি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং ওয়েবসাইটে। জর্জ হ্যারিসন যেমন বাংলাদেশকে নিয়ে Bangla Desh গানটি লিখেছেন তেমনি জোয়ান বায়েজও বাংলাদেশকে নিয়ে লিখেছিলেন Song of Bangladesh. অনেক জায়গায় দেখা যায় জোয়ানের গানটি কনসার্ট অব বাংলাদেশের অংশ বলে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ম্যাডিসন স্কয়ারের ১ আগষ্ট ১৯৭১সালে 'কনসার্ট' অব বাংলাদেশে' জোয়ান বায়েজ ছিলেন না। তাঁকে রাখা হয়নি অজ্ঞাত কোন কারণে (এই লেখককে ব্যক্তিগত যোগাযোগের সুত্রে জোয়ান বলেছেন 'ভুলবশতঃ' তাঁকে রাখা হয়নি সেদিন)।

ম্যাডিসন স্কয়ারের কনসার্টে না গাইলেও জোয়ান বায়েজ নিজস্ব মানবিক বোধ জাগিয়ে যে গানটি লিখে, সুর দিয়ে, গেয়ে শুনিয়েছিলেন, তা এক কৃতিত্ব হিসেবে অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাজ। তাঁর এই কাজ দিয়ে আমাদের ঋণের বোঝাকে আরো ভারী করেছেন। বস্তুতঃপক্ষে জোয়ান বায়েজের গানটি জর্জ হ্যারিসনের গানটির চেয়ে অনেক বেশী প্রাণস্পর্শী সব দিক দিয়েই। একাত্তর নিয়ে যতগুলো গান কবিতা লেখা হয়েছে, আমার বিচারে ওই গানটি অন্যতম সেরা। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে জোয়ানের গানটি সেভাবে পরিচিতি বা স্বীকৃতি পায়নি।

তাঁর গান সম্পর্কে অভিজিত রায়ের এই লেখাটি সবচেয়ে সুন্দর। ইউটিউবে খুব সহজে গানটি মেলে। Story of Bangladesh নামে লেখা গানটি পরে তাঁর Come from the shadows অ্যালবামে Song of Bangladesh নামে রাখা হয়েছে।

এই গানটি সম্পর্কে ইউটিউবে এক ভিনদেশীর মন্তব্যটা বেশ ভালো লেগেছিল বলে টুকে রেখেছিলাম। তিনি এত আপ্লুত হয়েছেন যে বলেছেন, "I have no relation to bangladesh in any kind but i love this song of her..It is sung with pure emotion and gives me goosebump everytime."

কথাটা একবিন্দুও মিথ্যা নয়। এই গানটি যতবার শোনা হয়, চোখ ভিজে যায়। জোয়ান বায়েজ শুধু বাংলাদেশ নয়, ভিয়েতনাম, ইরাকসহ যেসব দেশে যুদ্ধ মহামারী হয়ে ছিল তাদের সবার পাশে গিয়ে দাঁড়াতে চেয়েছে সারাজীবন। তাঁর গানের সাথে তূল্য খুব কম মানবিক গানই শুনেছি। শান্তির আন্দোলন করতে সারা জীবনটাই বিসর্জন দিয়েছেন। কিন্তু নোবেল পুরস্কার তাঁকে চোখে দেখে না। কেননা তিনি নোবেল মুরব্বীদের বিপক্ষের শিবিরেই ছিলেন, আছেনও হয়তো। তাতে কিছু যায় আসে না। আমি শুধু বলবো প্রিয় জোয়ান, বাংলাদেশ ওই একটি গানের জন্য চিরকাল ঋনী থাকবে তোমার কাছে।

জোয়ান বায়েজ অনন্য একজন মানুষ। তাঁকে নিয়ে আরো লেখার বিষয় আছে। বব ডিলান এবং জোয়ান বায়েজকে নিয়ে লেখা পরবর্তী অন্য পর্বের জন্য রেখে দেয়া হলো।

৪৫ বছর পরের বর্তমান Concert of Bangladesh

বহু বছর পার হয়ে গেলেও Concert of Bangladesh নামটি এখনো সক্রিয়ভাবে টিকে আছে পরিবর্তিত নাম George Harrison Fund for UNICEF নিয়ে। কিন্তু তাদের ওয়েব সাইটের ঠিকানা এখনো বাংলাদেশের নাম নিয়েই দাঁড়িয়ে আছে। http://theconcertforbangladesh.com বাংলাদেশের পাশাপাশি তাঁদের সাহায্য তালিকায় আরো দরিদ্র দেশের নামও যুক্ত হয়েছে যাদের মধ্যে রয়েছে রোমানিয়া, এঙ্গোলা, ইথিওপিয়া, ব্রাজিল, ভারত ইত্যাদি। জর্জের স্ত্রী অলিভিয়া হ্যারিসন এর সাথে জড়িত আছেন। তিনি ইউনিসেফের হয়ে একবার বাংলাদেশে এসেছিলেন ২০১১ সালে।

১৯৭১ সালের ১ আগষ্ট ম্যাডিসন স্কয়ারের কনসার্টের পর যে ফাণ্ড যোগাড় হয়েছিল অ্যালবাম বিক্রি করে, তা প্রত্যাশার চাইতে বহুগুন বেশী ছিল। সেই টাকা শুধু বাংলাদেশ না, পৃথিবীর আরো অনেক দেশের দুস্থ মানুষকে বন্টন করা হয়েছে, হচ্ছে। বিলি বন্টনের কাজ করতে গিয়ে একটি প্রতিষ্ঠানই দাঁড়িয়ে যায়। বর্তমানে ওই ফাণ্ড পরিচালনা করে হ্যারিসন পরিবার এবং ইউনিসেফ।
কিন্তু একটা ব্যাপার দুর্ভাগ্যজনক। কনসার্টটি যে মানুষগুলোকে সাহায্য করার জন্য করা হয়েছিল সেটা এত সাফল্য লাভের পরও টাকাগুলো সেই মানুষগুলোর কাছে পৌঁছেনি। ফাণ্ডের টাকাটা বাংলাদেশে এসেছিল অনেক ঘাটের জল খেয়ে আরো তেরো বছর পর।

কত টাকা আয় হয়েছিল একদিনের একটি কনসার্টে? জর্জ হ্যারিসনকে কনসার্ট করার প্রস্তাব দেবার সময় রবিশংকরের ধারণা ছিল বিশ-ত্রিশ হাজার ডলার ফাণ্ড যোগাড় হবে। কিন্তু কনসার্টের সময় দেখা গেল প্রায় ৪০ হাজার টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে এবং কনসার্টের পরের সপ্তাহে আয়োজকরা নগদ বিক্রির মোট ২৪৩,৪১৮ ডলার হস্তান্তর করেছিল ইউনিসেফকে। ১৯৭১ এর ডিসেম্বরের মধ্যে Capitol Records নামের একটি রেকর্ড কোম্পানী কনসার্টের লাইভ অ্যালবাম বিক্রির অগ্রিম টাকা জমা দেয় ৩,৭৫০,০০০ ডলার।

কিন্তু টাকাটা তখন বাংলাদেশকে দেয়া যায়নি কনসার্টটি ইউনিসেফের অনুমোদনপ্রাপ্ত ছিল না বলে। প্রায় এক যুগ মার্কিন সরকারের রাজস্ব বিভাগ টাকাটা আটকে রাখে। যদিও আটকে রাখা, কর মওকুফ না করা ইত্যাদি বিষয় আইনের ব্যাপার, কিন্তু তবে ওই সময়কালে অ্যালবামের বিক্রিত অর্থের পরিমান আরো কয়েকগুন বৃদ্ধি পায়। সেই ফাণ্ড থেকে ১৯৮৫ সালে ইউনিসেফ ১২ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশের বন্যা দুর্গতদের জন্য দান করে।

নব্বই দশকে জর্জ হ্যারিসন বলেছিলেন ওই ফাণ্ডে ইতিমধ্যে প্রায় ৪৫ মিলিয়ন ডলার জমা হয়েছে এবং জাতিসংঘ তার দায়িত্ব নিয়েছে। বাংলাদেশ কনসার্টের নামে গড়ে তোলা সেই ফান্ডের নতুন নাম দেয়া হয় George Harrison Fund for UNICEF.

শেষ কথা:
এই লেখায় মাত্র কয়েকজন ভিনদেশী হিতাকংখীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাবার চেষ্টা ছিল। বিশেষ করে তিনজনের প্রতি। কিন্তু ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালে আরো অনেক বিদেশী বন্ধু আমাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তাঁদের সবার নাম পরিচয় আমরা পাইনি। যারা দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের তথ্য অনুসন্ধান করে আসছেন তাঁরা নিশ্চয়ই একদিন খুঁজে পাবেন সেই নামগুলো। তবু অজানা সেই সব বন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে যাই।

.......................................
তথ্যসুত্র:
১. http://theconcertforbangladesh.com
২. George Harrison – In His Own Words, superseventies.com
৩. Neal Alpert, "George Harrison's Concert for Bangladesh
৪. "Sweet Sounds", Time, 17 April 1972
৫. Living in the Material World, Klaus Voormann
৬. Wikipedia: The Concert for Bangladesh


মন্তব্য

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

এই কনসার্টের সাথে সম্পৃক্ত সকলের প্রতি এবং জোয়ান বায়েজের প্রতি এবং আপামর বাংলাদেশীদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশক এই লেখাটির জন্য আপনার প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

বব ডিলান, বিটলস, লেনন, ডেনভার,ক্লাপটন এলটন জন এদের চেনার অনেক আগে জোয়ান বায়েজকে চিনতাম। হাস্যমুখী গিটার হাতে এই সুদর্শনার ছবি দেখেই মুগ্ধ হই এবং তার গান শুনতে শুনতে মূলত ডিলানকে আবিষ্কার এবং এরপর আমার সামনে গানের এক অন্য জানালা খুলে যায়। অপেক্ষায় থাকলাম হাসি

রাসিক রেজা নাহিয়েন

সোহেল ইমাম এর ছবি

এই কনসার্টের কথা আগেও শুনেছি। এই তথ্য গুলো জেনে আরো ভালো লাগলো। একাত্তরের সেই দিন গুলোয় যখন সারা বিশ্বের প্রায় কেউই এগিয়ে আসেননি তখন এরা বাংলাদেশকে সবার সামনে তুলে ধরেছিলেন। এদের কাছে আমাদের ঋণ অপরিসীম। লেখককে ধন্যবাদ।

---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

রবিশঙ্কর এবং হ্যারিসনকে আরও একবার কৃতজ্ঞতা! তথ্যনির্ভর চমৎকার একটি লেখা পোষ্ট করার জন্য আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ।

বিবর্ণ এর ছবি

অসম্ভব সুন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ লেখার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনেকদিন ধরে দুইটা গান শুনার ইচ্ছা ছিল। ডকুমেন্টারি বা গান গুলো পাওয়া যাবে কখনও আসাও করিনাই। এজন্যে খুজেও দেখিনি। যাই হোক। চমৎকার লেখা। হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার তথ্যবহুল লেখা। জোয়ান বয়েজ সম্পর্কে খুবই কম জানতাম। লেখককে ধন্যবাদ এক লেখায় সবগুলো সংগ্রহ এক করার জন্য। ডকুমেন্টারিটা দেখা শুরু করলাম।

ফাহমিদুল হান্নান রূপক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।