লরেন্সের মেইলটা পেয়ে লজ্জায় আমার কান কাটা গেল। নিজে ভালমত যাচাই করে লিংকটা পাঠানো উচিত ছিল। সে আমার কাছে জানতে চেয়েছিল বাংলাদেশে বিনিয়োগ সুবিধা কেমন? সে ছোটখাট একটা চামড়াজাত পন্যের কারখানা করতে আগ্রহী। এখানে বিদেশী বিনিয়োগের নিয়মকানুনগুলো তাকে দেয়া যায় কিনা। একসময় এই কাজগুলো আমি করেছি বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য। মাঝে বেশ কবছর বিরতির পর আবারো শুরু করতে যাচ্ছি। এর মাঝে কী কী পরিবর্তন ঘটেছে তা জানি না। তবে শুনেছি দেশে বিনিয়োগ বাড়ছে, বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকার খুব চমৎকার তথ্যসুবিধা রেখেছে ওয়েবসাইটগুলোতে। বিনিয়োগ বোর্ডকে ঢেলে সাজিয়ে নতুন নামকরণ করেছে BANGLADESH INVESTMENT DEVELOPMENT AUTHORITY (BIDA) এবং তাদের খুব তথ্যবহুল ওয়েবসাইট আছে, যেখানে ঢুকলে যে কোন বিনিয়োগকারী তার প্রয়োজনের সব তথ্য এক ঝলকে পেয়ে যাবে। আমি খুশীমনে ওয়েবসাইটের লিংকটা পাঠিয়ে দিলাম। কয়েকদিন পর লরেন্স দীর্ঘ একটা মেইল পাঠালো। সেখান থেকে কিছু অংশ কোট করলাম-
১.ডিয়ার রশীদ, আমি জানতাম তোমাদের দেশটা দক্ষিন এশিয়ায় বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত। কিন্তু তোমার দেয়া ওয়েব সাইট বলছে.... An ideal geographic location with enviable weather in the center of the Americas guarded by the Atlantic and Pacific Ocean....
২. শুধু তাই না তোমাদের টাইম জোন নাকি আমেরিকার সাথে একই। বলা হয়েছে We even have the same time zone as the U.S Central Standard Time .
৩. তুমি কি শিওর যে তুমি বাংলাদেশ থেকে লিখছো? কারণ ওখানে আরো বলা আছে We never stop working because of blizzards or heat waves. We’re even rarely heavily affected by tropical storms in the Caribbean. মাই ডিয়ার রশীদ, দক্ষিণ এশিয়ায় বসে তোমরা ক্যারিবিয়ান ঝড়ে আক্রান্ত হবে কোন দুঃখে?
অবিশ্বাস্য চোখে লরেন্সের মেইল পড়তে পড়তে আমি ওয়েবসাইটটা খুললাম এবং ভিরমি খেলাম। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট এতটা অবহেলার সাথে এতটা ভয়াবহ ভুল তথ্য দিয়ে তৈরী হতে পারে সব সম্ভবের দেশ বাংলাদেশেই। এই ওয়েবসাইট নির্মানের সাথে জড়িত লোকগুলোকে লাইন করে কানে কান ধরিয়ে শাহবাগের মোড়ে মানববন্ধন করানো উচিত। যেমন তথ্য, তেমন ভাষা, সেই মানের ইংরেজি। পড়ে মনে হবে ক্লাস এইটের ইংরেজিতে ১৩ পাওয়া ছাত্রের হাতে ওয়েবসাইটের ভাষা নির্মিত হয়েছে। যে টেবিলের উপর খোলা বই রেখে নকল করেও পাশ করতে ব্যর্থ। লরেন্স আরো যা বলেছে তা আর দিলাম না, আমি নিজে যা পেয়েছি তাতেই বিবমিষায় ভুগতে শুরু করেছি।
একটা সেকশান আছে। নাম Youth and Ambition. এর মানে কী খোদা মালুম। আমি বাংলা করতে ব্যর্থ হয়েছি বলে হুবহু তুলে দিলাম:-
Youth And Ambition
Unlike older industrialised societies with growing legions of ageing dependents,
Bangladesh has a very youthful demographic.
66 % of the population are economically active (15 years and over).
…………………………………………….
The country is young too, 47 years old.
এই অধ্যায় এইটুকুতেই শেষ। এর কোন মর্ম উদ্ধার করতে আমি ব্যর্থ হয়েছি। শেষ লাইনটা বুঝলাম বাংলাদেশ এখনো তরুণ কিন্তু বাংলাদেশ ৪৭ বছর বয়সী তরুণ হলে বিনিয়োগকারীরা কী বাড়তি সুবিধা পেতে পারে আমার কোন ধারণা নাই।
সবচেয়ে মজার অধ্যায়ের নাম WHY BANGLADESH এই অংশের প্রতিটা লিংকেই আপনি আকর্ষণীয় বিনোদনের খোরাক পাবেন।
এরপর একটা অধ্যায় আছে SETTLING-IN-BANGLADESH। বাংলাদেশে বাস করতে গেলে কী কী সুবিধা তার একটা ছক আছে। সেই ছকে যেসব তথ্য দেয়া আছে তাতেও আপনার পিলে চমকে যেতে পারে।
এদেশে ঘরের কাজের লোকের বেতন নাকি ১০০ ডলার থেকে ১২০০ ডলার পর্যন্ত!!
এখানে রেন্ট এ কারের মাসিক ভাড়া ১০,০০০ ডলার থেকে ৭৫০০০ ডলার পর্যন্ত!!!
WHY BANGLADESH অংশে একটা অধ্যায় আছে WE ARE THE BEST CHOICE IN THE REGION | FIND OUT WHY শিরোনাম দিয়ে। এখানে কী বলা হয়েছে দেখুন-
Gross Domestic Product
For almost two decades, Bangladesh has experienced a solid economic growth. A gradual structural transformation is primarily stirring the agricultural Gross Domestic Product (GDP) share, yet this trigger is also making an impact to the service sector and slightly to the industry sector.On one hand, there is a middle-class on the rise, and on the other hand, there is a working poor decline. This does not mean they are ahead of the rest of the South Asia region’s average. As they experience a weakness in both their environment of doing business and governance structures; in a similar stand, law enforcements have not been strengthen. As a result, Bangladesh faces a period of turmoil due to various trade union right violations.
এই ইংরেজি পড়া আমার সাধ্য নেই। আমি নিজস্ব অনুবাদে অন্তর্নিহিত বার্তা হিসেবে যা বুঝলাম - "এই দেশের অবস্থা বেশী ভালো না। আপনারা খামাকা এখানে আইসেন না বাপু"।
এবার আরেকটি ইন্টারেস্টিং অংশ শেয়ার করি। এটা হলো আমাদের খনিজ সম্পদ ইত্যাদির বিবরণ-
পড়তে অসুবিধা হতে পারে বলে আমি লিখে দিচ্ছি। আমাদের দেশের মূল্যবান খনিজ পদার্থগুলো হলো Natural gas, coal, lime, white clay, granite, glass sand ইত্যাদি। ভাবছেন এটা শিরোনামা মাত্র। বাকী অংশে বিস্তারিত। কিন্তু মোটেও তা নয়। খনিজ সম্পদের কাহিনী এই আধেক লাইনেই শেষ। সাথে ছবিগুলো যোগাড় করেছে সম্ভবত মোবাইল ফোনের ক্ষুদে ইমো থেকে।
আমাদের ফলমূল ফসল ইত্যাদির বিবরণও এক লাইনে Paddy, jute, wheat, tobacco, pulses, oil seeds, spices, vegetables, jack-fruit, banana, mango, coconut, pineapple etc, এটাও এখানেই শেষ। আর কিছু নাই। খনিজ পদার্থের মতো এটাও এক লাইনে শেষে। এটাতেও ইমো থেকে নেয়া ক্ষুদে ছবি। বিনিয়োগকারীগণ খেয়াল করে কোনটা কী বুঝে নেবেন। আক্কেল থাকলেই বুঝা যায়।
DOING BUSINESS অংশে ব্যবসার অনুমতি নেবার ৯টি মধ্যে টিআইএন নেবার ধাপটি হলো ৭, সেই ধাপে যখন আপনি দেখবেন Collect prescribed Application Form from the City Corporation/ Municipal Corporation/ Union Parishad’s Office, তখন আপনি হয়তো মুগ্ধ হয়ে যেতে পারেন। সিটি কর্পোরেশন কবে থেকে টিআইএন সার্টিফিকেট দেয়া শুরু করছে আমার জানা নেই।
পুরো ওয়েবসাইটের নাঙ্গাবাজি দেখাতে গেলে মহাকাব্য হয়ে যাবে, তাই এটুকু দিয়েই ক্ষান্ত হলাম। বাকীটা আপনারা ওয়েবসাইটে ঢুকে দেখলে পাবেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা আমরা অহরহ শুনি। এই যদি হয় শীর্ষ পর্যায়ের একটি সরকারী প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল চিত্র, তাহলে বাকী দেশের কী অবস্থা। আমাদের জাতীয় উন্নয়ন অগ্রগতি এসব নিয়ে আমরা যতই বানোয়াট মুখস্ত বুলি কপচাই না কেন দেশটা আসলে কিছু অশিক্ষিত কুপমণ্ডুকের হাতে জিম্মি। নইলে এরকম উদ্ভট বানোয়াট তথ্য এবং ছবিতে ভরপুর এই সাইটটি তৈরী হতে পারতো না। যতগুলো ছবি দেয়া হয়েছে তার সবগুলোই বিদেশী এবং নেট থেকে ধার করা। দেশের শিল্প বাণিজ্যে বিয়োগকারী তো কম না। তাদের ছবিছাবাও কম নয়। সেখান থেকি কিছু ছবি যোগাড় করতে পারলো না সাইট নির্মাতারা? ওই দপ্তরের কর্তারা সে ব্যাপারে আদৌ সচেতন কিনা অথবা সাইটের তথ্যগুলো যাচাই করার মতো লোকবল আছে কিনা, আমাদের জানা নেই। ওয়েবসাইট নির্মানের জন্য নিশ্চিতভাবে ভালো অংকের লেনদেন হয়েছে। কিন্তু তথ্যের লেনদেনটা এতই অবহেলিত হয়েছে যে আমরা লরেণ্সের মতো অনেক বিনিয়োগকারীকে হারাচ্ছি। এর চেয়ে চুড়ান্ত দায়িত্বহীনতার আর কোন উদাহরণ হতে পারে না।
আমি চাই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হোক। দেশটাকে অন্ততঃ ডিজিটাল অপমানের লজ্জার হাত থেকে বাঁচানো দরকার। সেই কারণেই এই লেখা।
পাদটীকা:
২০০২ সালের দিকে শুনতাম উন্নয়ন, বিদেশী বিনিয়োগ, রপ্তানী বাণিজ্য এইসবে ভিয়েতনাম যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশও সেই গতি ছুঁয়ে ফেলবে অচিরেই। সেই সময়ে একাধিকবার ভিয়েতনাম যাবার সুবাদে, ভিয়েতনামের শিল্পাঞ্চল পরিদর্শনের সুযোগে আমার মোটামুটি কিছু ধারণা হয়েছিল ভিয়েতনামের গতি সম্পর্কে। তখনো ওরা আমাদের চেয়ে দ্বিগুন ছিল রপ্তানী বাণিজ্যে (বাংলাদেশ ১৭ বিলিয়ন, ভিয়েতনাম ৩৫ বিলিয়ন)। ১৬ বছর পর আমরা দেখতে পাচ্ছি রপ্তানী বাণিজ্যে বাংলাদেশ এগিয়ে ৪১ বিলিয়নের ঘরে পৌঁছেছে। আর ভিয়েতনাম পৌঁছেছে চারগুন বেশী ২০৫ বিলিয়ন ডলার। গত বছর ভিয়েতনাম শুধু মোবাইল রপ্তানী করেছে ৪৫ বিলিয়ন ডলারের। প্রায় সকল খাতে আমাদের চেয়ে এগিয়ে গেছে দেশটা। তবু ওরা নিজেদের তৃপ্ত ভাবে না এখনো। অথচ উন্নয়ন বিষয়ে আমাদের কর্তাগণ যখন তখন বেশ আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তোলে সভা সমিতিতে। বাংলাদেশ নিশ্চয়ই তখন খুব বিব্রত বোধ করে।
মন্তব্য
এই ওয়েবসাইট কারা তৈরি করেছে এবং এইটার পিছনে করদাতাদের কত টাকা খরচ হয়েছে, সেইটা জানা গেলে ভাল হত।
আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার বিষয় ছিল কম্পুটার বিদ্যা, ওয়েব টেক নামে এক কষ্টের বিষয় পড়তে গিয়ে আবিষ্কার করলাম যে আমাদের সরকারী ওয়েব সাইটের অনেক ঝামেলা।
আপনার উদাহরণ দেখে মনে পড়ল থিসিসের সময় ডাটা ডাউনলোড করতে গিয়ে দেখি সার্ভারের লোকাল অ্যাড্রেস দিয়ে রাখা, হাসাহাসি তখন করলেও পরে দেখলাম সোচ্চার হয়ে জানানোর উপায় খুঁজে পাওয়া একটা মিনি ঝামেলা । তবে সত্যি বলতে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে, আমরা যারা টেকনিকাল বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেছি, আমরা কথা না বলতে থাকলে সরকারও হয়তো সেরকম জোর পদক্ষেপ নিবে না।
লোকমুখে শুনতে পাই এই সব সাইট গুলার জন্য নাকি আলাদা ফ্রেমওয়ার্ক বানানো হয়েছিল, নিরাপত্তার কথা বলে, আমি নিজে সাইবার ক্রাইম নিয়ে অল্প বিস্তর পড়াশোনা করেছি বলে সরকারের দূরদর্শিতার প্রশংসা করতে পারি, কিন্তু সত্যি বলতে যেই চোর ঠেকানোর জন্য ফ্রেমওয়ার্ক বানানো হয় , সেরকম বাকি সাইটও শক্ত হওয়া উচিত ছিল।
কতৃপক্ষ একটু কড়া নজর দিলে তাও জানা যাবে, কিন্তু সেটা প্রকাশ হবে বলে আশা করা যায় না।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
লরেন্সের চিঠির পয়েন্ট-১, এটা কোস্টা রিকান ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন এজেন্সির সাইট থেকে কপি পেস্ট করা। সূত্র
লরেন্সের চিঠির পয়েন্ট-২, এটাও কোস্টা রিকান ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন এজেন্সির সাইট থেকে কপি পেস্ট করা। সূত্র একই
লরেন্সের চিঠির পয়েন্ট-৩, এটাও কোস্টা রিকান ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন এজেন্সির সাইট থেকে কপি পেস্ট করা। সূত্র একই
বাকি যা কিছু বলেছেন সেগুলোর উৎস সন্ধান করে আর আমার নিজের ও পাবলিকের সময় নষ্ট করলাম না।
রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতিটি অংশে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা আছে বলে দাবি করা হয়। আশা করবো, বিডা কর্তৃপক্ষ এই ব্যাপারটি কী করে ঘটলো কোথাও না কোথাও সেটার ব্যাখ্যা দেবেন। রাষ্ট্রের নাগরিক হিসাবে এই ব্যাখ্যাটি আমাদের পাওনা হয়। একইসাথে রাষ্ট্রীয় একটি প্রতিষ্ঠান তথা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকারী এই ব্যাপারটির জন্য কারা দায়ী সেটা জানানো এবং তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা গ্রহন করা হলো সেটাও জানতে চাই।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অসমান্য উদঘাটন পাণ্ডবদা! অশেষ ধন্যবাদ মূল্যবান এই সংযোজনের জন্য। চেক করে দেখলাম তারা ছবিটবিও দিয়েছে কোস্টারিকার!! এত বেকুবও দেশে আছে?
বিডার এই সাইটটা ডেভেলাপ করেছে Business Automation Ltd, BDBL Bhaban, Level-9, Kawran Bazar, Dhaka-1215, Bangladesh. এদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত। চৌর্যবৃত্তি দিয়ে বাংলাদেশে প্রচুর কোম্পানী আইটি ব্যবসার সাথে জড়িত আছে। কিন্তু সেই চুরি করার ন্যূনতম যোগ্যতাও এদের নেই। অথচ দেখেন বিশাল ফ্লোর নিয়ে অফিস খুলে বসে আছে।
আমাদের সরকারী কর্তাদের বিরাট অংশ আইটি জাতীয় ব্যাপারে অজ্ঞ এবং দুর্বল। শীর্ষ কর্তা নিজে হয়তো কোনদিন ওয়েবসাইট খুলেও দেখেন না। ফলে ওসব অফিসে যারা আইটি বিষয় দেখাশোনা করে, তাদের পোয়াবারো। বসকে নানান হাইকোর্ট দেখিয়ে মোটা অংকের প্রজেক্ট বানিয়ে পকেট ভারী করা সহজ। এই ঘটনাগুলো তারই ফসল। এখানে একবিন্দু নজরদারী থাকলেও এমন একটি সাইট তৈরী হতে পারে না।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
এই লেখাটাকে 'যথাযথ কর্তৃপক্ষের' নজরে আনতে হবে। তাঁদের নিবাসও আবার কোস্টা রিকায় নয় তো?
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
কোস্টারিকা কতৃপক্ষ জানতে পারলে তো চুরির মামলায় পড়ে যাবে বাংলাদেশ
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
রাষ্ট্রীয় **plagiarism?
(**এই শব্দটির ভাল বাংলা কি?)
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
শব্দটার হুবহু বাংলা কী জানি না, তবে এই ঘটনাটি একটি অযোগ্য চৌর্যবৃত্তি তাতে সন্দেহ নেই। চুরিটা রাষ্ট্রযন্ত্র করেনি তবু তার দায় এসে পড়ে রাষ্ট্রের ঘাড়ে। সরকার লালিত এসব প্রতিষ্ঠানে যে নজরদারিত্ব কত নাজুক তা এসব ঘটনা থেকে বোঝা যায়। খোঁজ করলে এমন সমস্যা আরো অনেক প্রতিষ্ঠানে পাওয়া যাবে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ভালমন্দ জানি না, তবে এই শব্দটা আছে অভিধানে -
****************************************
প্লেইজারিস্টের আরেকটা "মিষ্টি" বাংলা আছে, চন্দ্ররেণু। প্লেইজারিযমকে মনে হয় "চন্দ্ররেণুতা" বলা চলে?
ওহো, তাই তো! কুম্ভীলক শব্দটা তো জানতাম, অনভ্যাসে বিদ্যা হ্রাস!
চন্দ্ররেণু শব্দটা বেশি মিষ্টি হয়ে যায়, অপরাধসুলভ লাগছে না!
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
লরেন্স বাংলাদেশ বাদ দিয়ে কোস্টারিকায় বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন হয়ত।
এসব ডিজিট্যাল ফাউলামি তদারকিতে কেউ থাকে না?
যেখানে বেড়ায় ক্ষেত খায় সেখানে তদারকী কারবার কমই থাকে
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
"কর্তৃপক্ষের" নজরে আনার জন্য কেউ কি কোন চেষ্টা করছেন? অন্তত কোন সংবাদপত্রের নজরে আনা গেলেও হতো!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কারো কিছু যাবে আসবে না। এমনটাই চলতে থাকবে।
ঠিক! আমাদের কোন কিছুতে কোন কিছু যায় আসে না। প্রতিনিয়ত আমরা অন্যায়-অবিচার-অনিয়ম-দুর্নীতি মুখ বুঁজে মেনে নিচ্ছি। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম তাদের অহেতুক দুর্ভাগ্যের জন্য আমাদেরকে ঘৃণা করবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
নতুন মন্তব্য করুন