কোন কিছু না জেনেই উপন্যাসটির দরোজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করেছিলাম। ভেবেছিলাম কয়েক পাতা উল্টে রেখে দেবো। পরে সময় নিয়ে পড়বো। এই লেখকের একটি ছোটগল্প ছাড়া আর কিছুই পড়িনি আগে। কিন্তু উপন্যাসটির প্রথম পাতা শেষ করার পর টের পেলাম ফেলে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। আমাকে এমন একটা জগতে নিয়ে যাচ্ছে যে জগতের ভেতরটা দেখার আগ্রহ ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে। সহজ সাবলীল ভাষা এবং ঘটনার ঘনঘটা দুটোর যোগফল আমাকে বইটার প্রথম অধ্যায়ের শেষে নিয়ে গেল। একই অবস্থা পরের অধ্যায়েও। কয়েকদিন টানা পড়ে শেষ অধ্যায়ে পৌঁছে গেলাম। পড়া শেষ করে আবিষ্কার করলাম চেনা জগতের মধ্যে অচেনা এক পৃথিবীকে।
নাইজেরিয়ান লেখক Chimamanda Ngozi Adichie রচিত Half of Yellow Sun আমাকে অর্ধেক সূর্যের এক বিড়ম্বিত পৃথিবীর সাথে পরিচয় করালো। একটি জাতির স্বাধীনতার স্বপ্নের অপমৃত্যুর উপখ্যান।
পৃথিবীতে অনেক স্বাধীন রাষ্ট্র যেমন আছে তেমনি আছে অনেক পরাধীন জাতি। কিন্তু স্বাধীনতার সূর্য উদিত হয়ে তিন বছরের মধ্যে আবারো অস্তমিত হয়েছে তেমন দেশ বোধহয় একটি। ষাটের দশকের দ্বিতীয়ভাগে আফ্রিকা মহাদেশে হুট করে জন্ম হয়েছিল বায়াফ্রা নামের একটি দেশের। আবার তিন বছর না যেতেই দেশটির স্বাধীনতার সূর্য ঢলে পড়েছিল অস্তাচলে।
শুধু জনসমর্থন থাকলে কিংবা লাখ লাখ মানুষ অকাতরে প্রাণ দিলেই দেশ স্বাধীন হয় না। উপযুক্ত নেতৃত্ব, যোগ্য সংগঠক, প্রয়োজনীয় যোগাযোগ, আঞ্চলিক ভৌগলিক রাজনীতির আনুকূল্যেরও প্রয়োজন। এই সত্যটি আবারো উপলব্ধি করলাম Half of Yellow Sun পড়ে। বায়াফ্রার স্বাধীনতার পটভূমিতে ঐতিহাসিক সত্য ঘটনা নিয়ে লেখা হয়েছে দীর্ঘ এই উপন্যাসটি। মাত্র পাঁচটি চরিত্রের মাধ্যমে রচিত আফ্রিকার বায়াফ্রা নামের একটি মৃত রাষ্ট্রের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও তার মর্মান্তিক পরিণতির একটি করুণ আলেখ্য। একটি কথিত গৃহযুদ্ধ, একটি অপূর্ণ স্বাধীনতার সংগ্রাম, একটি ব্যর্থ মানচিত্র, তিন বছর আয়ুষ্কালের একটি রাষ্ট্র নামের কংকাল, কয়েক মিলিয়ন মানুষের জীবনাবসানের মর্মস্পর্শী ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে উপন্যাসের প্রতিটি অধ্যায়ে যে চরিত্রগুলো দাঁড়িয়ে আছে, সেগুলো নেহায়েত কল্পজগতের মানুষ ছিল না। বাস্তবেও তাদের অস্তিত্ব আছে। উপন্যাসের কাঠামোতে তাদেরকে এমন সুনিপুনভাবে স্থাপন করা হয়েছে ভিন্ন ভাষা সংস্কৃতির মানুষের পক্ষেও তাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট।
ষাটের দশকে নাইজেরিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বায়াফ্রা নামের একটি একটি স্বাধীন দেশের জন্ম হতে হতেও হয়নি পৃথিবীর শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোর স্বার্থের আনুকূল্য ছিল না বলে। অথচ অকাতরে প্রাণ দিয়েছে লাখ লাখ মানুষ। যুদ্ধে পরাজিত হলে সেটা আর স্বাধীনতা সংগ্রাম থাকে না, গৃহযুদ্ধে পরিণত হয়। বায়াফ্রার স্বাধীনতা যুদ্ধ এখন নাইজেরিয়ার গৃহযুদ্ধ হিসেবে ইতিহাসে ঠাঁই করে নিয়েছে। স্বাধীনতা চাওয়ার অপরাধে অবরোধ করে আরোপিত দুর্ভিক্ষের সাজা দিয়ে তিন বছরে বিশ লাখ মানুষকে স্রেফ অনাহারে মৃত্যুবরণ করতে দিয়েছে বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো।
১৯৬০ এর অক্টোবরে বৃটিশ ঔপনিবেশিক শক্তির কাছ থেকে স্বাধীন হবার পর নতুন স্বাধীনতার স্বাদ নিতে শুরু করেছিল নাইজেরিয়ার সাধারণ মানুষ। কিন্তু তৃতীয় বিশ্বের রীতি অনুযায়ী সেই স্বাদ সবার জন্য সমান ছিল না। সংখ্যার বিচারে নাইজেরিয়ার অধিকাংশ মানুষ হাউসা (Hausa) গোত্রের হলেও শিক্ষাদীক্ষা এবং সার্বিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে প্রাধান্য ছিল সংখ্যালঘু ইবো (Igbo) জনগোষ্ঠীর। সংখ্যালঘু হলেও সামরিক বাহিনীতে ইবো জনগোষ্ঠির প্রাধান্য ছিল বেশী। শিক্ষাদীক্ষায় অগ্রসর থাকার কারণে সরকারের অধিকাংশ উচ্চপদে ইবো গোত্রেরই জয় জয়কার ছিল।
ইবো গোত্রের কর্তারা সন্তুষ্ট ছিল না তাদের চেয়ে অশিক্ষিত অযোগ্য হাউসা গোত্রের শাসনে। ফলে সদ্য স্বাধীন নাইজেরিয়া প্রথম ধাক্কা খায় ১৯৬৬ সালের এক সামরিক অভ্যূত্থানে দেশের রাষ্ট্রপ্রধানসহ শীর্ষ কর্মকর্তা নিহত হবার পর। ঘটনাক্রমে অভ্যূত্থানকারী মেজরেরা ছিল ইবো জনগোষ্ঠির। তখনো মানুষ এটাকে ইবো গোত্রের অভ্যূত্থান হিসেবে দেখেনি। জাতিগত দাঙ্গাও হয়নি লক্ষণীয় কোন মাত্রায়।
কিন্তু ইবো শাসক টিকতে পারলো না বেশীদিন। কয়েক মাস পরে পাল্টা অভ্যূত্থানে ক্ষমতা দখল করে হাউসা গোত্রের সেনা কর্মকর্তা ইয়াকুবু গোয়ান(Yakubu Gowon)। তারপরই ইবো গোত্রের উপর জাতিগত আক্রমন শুরু হয়। হাজার হাজার ইবো নিহত হয় হাউসা প্রধান অঞ্চলে। পালিয়ে পূর্ব দিকে চলে আসে অধিকাংশ ইবো। সেনাবাহিনীতে থাকা ইবো সৈন্যদের একের পর এক নিকেশ করা হতে থাকে। সেই সাথে মার খেতে থাকা ইবো গোত্রের মানুষদের একতাবদ্ধ করার জন্য ইবো গোত্রের পলাতক সেনাকর্তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল।
১৯৬৭ সালে ইবো গোত্রের সেনা কর্তা এমেকা ওজুকু(Emeka Ojukwu) ইবো জনগোষ্ঠি অধ্যূষিত পূর্বাঞ্চলকে নিয়ে একটি নতুন স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম ঘোষণা করে। সেই রাষ্ট্রের নাম বায়াফ্রা। কিন্তু নবগঠিত রাষ্ট্রটি বিশ্বের শক্তিধর কোন রাষ্ট্রের আনুকূল্য পেতে ব্যর্থ হয়। গ্যাবন, হাইতি, আইভরি কোস্ট, তানজানিয়া, জাম্বিয়া ছাড়া আর কোন দেশের স্বীকৃতি পায়নি। ফ্রান্স, স্পেন, পর্তুগাল দূরবর্তী সমর্থন দিলেও বৃটেন, রাশিয়া আমেরিকাসহ বিশ্বের সব ক্ষমতাধর রাষ্ট্র নাইজেরিয়ার পক্ষ সমর্থন করে।
আড়াই বছর ধরে চলা নাইজেরিয়ান গৃহযুদ্ধ নামে পরিচিত স্বাধীন বায়াফ্রার টিকে থাকার অসময় লড়াইয়ে নিহত হয় হাজার হাজার স্বল্প প্রশিক্ষিত অদক্ষ ইবো সৈন্য, যার বড় একটা অংশ ছিল নাবালক শিশু কিশোর, জোর করে যাদের যুদ্ধে নামতে বাধ্য করা হয়েছিল। সেই যুদ্ধে অস্ত্রের আঘাতের চেয়েও বহুগুন বেশী শক্তিশালী ছিল ক্ষুধার আঘাত। নাইজেরিয়ার সর্বাত্মক অবরোধে আড়াই বছরে মৃত্যুবরণ করেছিল আনুমানিক বিশ থেকে ত্রিশ লাখ মানুষ। পৃথিবীর কোন শক্তি এগিয়ে আসেনি অনাহারী মানুষকে বাঁচাতে। ভয়ানক দুর্ভিক্ষ এবং মর্মান্তিক যুদ্ধের উপখ্যানটির প্রতিটি খণ্ডের শিরোনাম তাই - The world was silent when we died.
এগিয়ে না আসার পেছনে প্রধান কারণ ছিল নাইজেরিয়ার তেল বাণিজ্য। বড় বড় সব পশ্চিমা কর্পোরেট শক্তি সেই তেল ব্যবসার অংশীদার। নাইজেরিয়াকে খুশী রাখতে না পারলে তেল ব্যবসা নিরুপদ্রপ থাকবে না। সত্তর দশকে নাইজেরিয়ার তেল নিয়ে পশ্চিমা শক্তিগুলোর আন্তর্জাতিক রাজনীতির খেলা এখন সারা পৃথিবী জানে। নাইজেরিয়ার তেল রপ্তানীর প্রধান বন্দরটি বায়াফ্রার অধীনে ছিল। বায়াফ্রা স্বাধীন দেশ হিসেবে আবির্ভূত হলে নাইজেরিয়ার তেল ব্যবসার বারোটা বাজবে। মানুষের জীবনের চেয়ে তেলের মূল্য নিঃসন্দেহে অনেক বেশী। দুই মিলিয়ন মানুষের মৃত্যুর সাথে বায়াফ্রা নামের রাষ্ট্রটির মৃত্যুও অনিবার্য ছিল।
তবে বায়াফ্রার স্বাধীনতা ব্যর্থ হবার পেছনে ইবো সেনা কর্তাদের ব্যর্থতাও কম নয়। উপন্যাসের বাস্তবতা যদি সত্য হয় তাহলে সেই দায় এড়িয়ে যেতে পারবে না সেই সময়ের স্বাধীন বায়াফ্রার কর্তাগণ।
প্রথমত, তারা মিথ্যে আশ্বাসে ভর দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছিল। তাদের শক্তি সামর্থ্য সম্পর্কে জনগণকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রলোভিত করেছিল কোন প্রস্তুতি ছাড়া একটা অসম যুদ্ধে নামার জন্য।
দ্বিতীয়ত, হত্যাকাণ্ড দিয়ে শুরু করে কখনো কোন স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা যায় না। কথিত অযোগ্য রাষ্ট্রপ্রধানকে হত্যা করে দেশকে পাল্টে দেবার চেষ্টা যে যুগে যুগে দেশে দেশে ব্যর্থ হয়েছে তার আরেকটি নজির নাইজেরিয়া।
তৃতীয়ত, যুদ্ধে সৈন্যদলের কোন নৈতিকতার বালাই থাকে না। কিন্তু নিজ দেশের মানুষের উপর নির্যাতন করে, নিজ দেশের নারীদের ধর্ষণ করে সে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে জেতা যায় না। বায়াফ্রান সৈন্যরা যখন যেখানে সুযোগ পেয়েছে নিজ গোত্রের নারীদের উপরও হামলে পড়েছে। জোর করে শিশু কিশোরদের বিনা অস্ত্রে যুদ্ধে যেতে বাধ্য করেছে।
বাংলাদেশের সাথে এখানে একটি তুলনা অবধারিতভাবে সামনে চলে আসে আসে। মরচে ধরা অস্ত্র হাতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অদক্ষ কৃষক শ্রমিক ছাত্র জনতার প্রশিক্ষণের সাথে বায়াফ্রার পরিস্থিতির বেশ মিল। এই প্রামাণ্য চিত্রটিতে তার কিছু ছাপ আছে। প্রশিক্ষণের চিত্র মিললেও নীতি নৈতিকতার মানদণ্ডে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা ছিল বায়াফ্রার তুলনায় আকাশসম উন্নত।
চিমামান্দার উপন্যাসটির সবচেয়ে শক্তিশালী বিষয় ভাষার সারল্য এবং সাবলীলতা। এত বড় আকারের একটা উপন্যাস পড়তে পাঠকের কোথাও ক্লান্তি আসবে না। মনেই হবে না ভিনদেশী ভাষায় ভিনদেশী ঘটনার চিত্রায়ন পড়ছে।
উগু নামের ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের সাথে। পরিচয় হবে ওগেনিবো নামের স্বাধীনতার স্বপ্নে বিভোর এক অধ্যাপকের সাথে। সেই কিশোরের দৃষ্টিতে বায়াফ্রার স্বাধীনতা যুদ্ধের আগপাশতলা ছাড়াও সমকালীন নাইজেরিয়ার সমাজ বাস্তবতা, পারিবারিক টানাপোড়েন, সম্পর্কের জটিলতা, জৈবিক জীবনের গল্প উপভোগ করার এক বিরল সুযোগ এক মলাটের ভেতরেই। নিজের অজান্তেই পাঠক অশ্রুসিক্ত হয়ে উঠবে কোন কোন পৃষ্ঠায়। পাঠকের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ ফেলবে ওলানা এবং কাইনিনে নামের নাইজেরিয়ার ধনবান পরিবারের দুই যমজ বোন যারা যুদ্ধের প্রাক্কালে বিদেশে পালিয়ে যাবার সুযোগ পায়ে ঠেলে নিজের দেশের বিরুদ্ধ বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড়াবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। অনাহারী মানুষের জন্য খাবার খুঁজতে পেরিয়ে চরম মূল্য দিতে হয়েছিল কাইনিনেকে। হবু বৃটিশ স্বামী রিচার্ডের মতো নিবিষ্ট পাঠকও অনেকদিন খুঁজে ফিরবে যুদ্ধে নিখোঁজ হওয়া কাইনিনেকে। তখন হঠাৎ করে মনে পড়ে যেতে পারে ৩০ জানুয়ারী ১৯৭২ সালে নিখোঁজ হওয়া জহির রায়হানের কথা।
উপন্যাসটির শেষ হবার পর পাঠকের জন্য অসংখ্য ভাবনার খোরাক রেখে যায়। আমার ভাবনার একটি ছিল তৃতীয় বিশ্বের ধূর্ত শাসকদের চরিত্র দেশকাল ভেদে এক। অন্যদিকে সরল বিশ্বাসী নির্বোধ জনগণের চরিত্রও প্রায় একই। তাদের মাথা বিক্রি করেই দেশে দেশে কালে কালে চলতে থাকবে এই দুষ্ট চক্রটি।
২০১৪ সালে Half of Yellow Sun নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছিল উপন্যাসটি অবলম্বনে । কিন্তু দেখা গেছে উপন্যাসের মাত্র কিয়দংশ ধারণ করতে পেরেছে সিনেমাটি। উপন্যাসের এত বৈচিত্রময় বিপুল ঘটনাবলী চলচ্চিত্রে ধারণ করা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। আবারো প্রমাণিত হয়েছে চলচ্চিত্রের চেয়ে বই অনেক বেশী শক্তিশালী।
মন্তব্য
বইটার একটা বাংলা নাম মাথায় খেলে গেলো, একটা ছাতামাথা প্রচ্ছদ বানালাম।
ইপাব ফাইল ফর্ম্যাট সম্পর্কে কিছু জানেন? এই ফর্ম্যাটে মাল্টিমিডিয়া বই বানানো বা পিডিয়েফ থেকে কনভার্ট করা সম্ভব? এর জন্য সবচেয়ে ভাল কিন্তু সহজে শেখা যায় এমন ফ্রি ও কমার্শিয়াল সফটওঅ্যাার কি হতে পারে?
****************************************
১। জানি।
২। সম্ভব (তবে আংরেজি আর বাংলার মধ্যে বর্ণসজ্জার পার্থক্যের কারণে প্রথমটা সহজ, দ্বিতীয়টা প্রায়শ কঠিন)।
৩। ম্যাকওএস ব্যবহার করলে পেইজেস, কয়েক টিপে কাজ শেষ। আর অন্তর্জালে অনেক মাগনা পরিষেবা আছে, আপনি .ডক তুলে দিলে তারা .ইপাবে পাল্টে দেবে।
ইপাব বা অন্য যে কোন ফরমেটে কনভার্ট করার জন্য এই সাইটটা দেখতে পারেন
https://www.zamzar.com/
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
বাহ এত সুন্দর বাংলা প্রচ্ছদ হয়ে গেল। নামের উচ্চারণটা তো জটিল লিখছেন। আমি বাংলা করতে সাহস পাইনি বলে ইংরেজিতেই দিছিলাম।
প্রচ্ছদটা এখনই লেখার সাথে জুড়ে দিচ্ছি।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
পড়তে আগ্রহ হচ্ছে, সিনেমাটা দেখা। তবে এত কষ্টের ইতিহাস নিয়ে পড়তে ইদানীং বেশি খারাপ লাগে। সমগ্র আফ্রিকার স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে প্রিয় লেখক-সাংবাদিক Ryszard Kapuscinskiর লেখা আলেখ্য The Shadow of the Sun পড়ে খুব মুগ্ধ হয়েছিলাম, কিন্তু সেখানে উল্লেখিত নাইজেরিয়ার ঘটনা মনে পড়ছে না। দেশে ফিরে বইটি আরেকবার পড়ে রিভিউ লিখব।
facebook
সিনেমাটা খুবই ছোট পরিসরে বানানো। অধিকাংশ ঘটনাই আসেনি। বায়াফ্রা নাইজেরিয়ার ইতিহাসের বিব্রতকর অধ্যায়, সে কারণে The Shadow of the Sun বইতে তিনি এড়িয়ে গেছেন কিনা কে জানে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আপনার লেখাটা দেখে কয়েকলাইন পড়েই রেখে দিয়েছিলাম। বইটা যোগাড় করে ঠিক করলাম আপনার এই লেখাটা আগে পড়বো তারপর বইটা শুরু করবো। এখন বইটা শুরু করতে যাচ্ছি, বইটার খোঁজ দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
পড়ে ফেলুন। নিঃসন্দেহে ভালো লাগবে ঝরঝরে বিবরণ ।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
নিদারুণ একটা সত্য
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
ওদের ঘটনা পড়ে নিজেদের দিকে তাকিয়ে ভালো করে টের পেলাম কী ভাগ্যবান জাতি আমরা। অথচ এখনকার লোকজন দেখলে মনে হয় ওটা খুব সাধারণ ব্যাপার, যে কেউ ঘটিয়ে দিতে পারে
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
বইটা পড়া হয়নি, রিভিউ পড়ে ইউট্যুবে কয়েকটা ডকুমেন্টারি দেখলাম বিয়াফ্রার উপর। বিষয়টা একেবারেই জানা ছিল না, ধন্যবাদ।
আমার এক কাছের বন্ধু নিজেরের বাসিন্দা, জাতে হাউসা। বিয়াফ্রা হবার আগে হাউসা ইবো মারামারির ব্যাপারে চমকিত হলাম, বন্ধুকে জিজ্ঞেস করতে হবে সে কী জানে না জানে তার পাশের দেশের এ বিষয়ে।
..................................................................
#Banshibir.
বইটা পড়ার আগে আমি শুধু বায়াফ্রা নামটাই জানতাম। আর কোন তথ্য জানা ছিল না। পড়তে গিয়ে দেখলাম কেঁচো খুঁড়তে কুমির।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
নতুন মন্তব্য করুন