সাধ সাধ্যের বর্ডার লাইনে যাদের বসবাস তাদের জন্য কোন শখই সহজপাচ্য থাকে না। বইকেনা ব্যাপারটাও আমার জন্য সহজ ছিল না।
সাধারণতঃ হাইস্কুল/ইন্টার বয়স থেকে বইপত্রের রোমাঞ্চকর জগত ব্যাকুল হয়ে ডাকতে থাকে স্থায়ী আসন গাড়ার জন্য। স্থায়ী আসন মানে বই কিনে একের পর এক ভাঁজ করে বুক শেলফে সাজিয়ে রাখা। হাইস্কুল থেকে বই পড়ার নেশা চাপলেও সংগ্রহে রাখার মতো বই সাজিয়ে রাখার শখটা আমাকে তীব্রভাবে ডাক দিতে শুরু করেছিল ভার্সিটির শুরুতে যখন পরিবারের সাধ আর সাধ্যের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধটা সবেমাত্র শুরু হয়েছিল। ফলে বাবা-মার হোটেলে অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান-শিক্ষা-চিকিৎসা সহ সব মৌলিক অধিকারের বন্দোবস্ত থাকলেও 'আউট বই' কেনার কোন বাজেট ছিল না। বই কেনার জন্য বিকল্প ব্যবস্থার উপর নির্ভর করতে হতো। যেভাবে দিন মজুরেরা এক দিনের আয় দিয়ে আজকের খাবারটুকু ম্যানেজ করে সেভাবে বই কেনার ব্যবস্থা হতো কয়েকদিনের রিকশা ভাড়া কিংবা বাজার খরচ থেকে বাঁচিয়ে।
১. হুমায়ূন আহমেদ আমার প্রিয় লেখক ছিলেন না। কিন্তু তাঁর সঙ্গে কেটেছে আমার তারুণ্যের বেশ কিছু আনন্দময় সময়। বইয়ের পাতায়, টিভি নাটকে। আমার সেই আনন্দের আত্মিক মূল্য অনেক। তাই তাঁকে যারা সাহিত্যিকের মর্যাদা দিতে কুন্ঠিত তাদের সাথে আমি কঠোর দ্বিমত পোষণ করি। আমার ধারণা হুমায়ূন আহমেদ না লিখলে বাংলাদেশের বিরাট সংখ্যক পাঠক কাশেম-বিন-আবু-বক্কর জাতীয় লেখকের পাঠক হয়ে থাকতো। বাংলাদেশের বিশাল সংখ্যার এই পাঠক উত্তরণে হুমায়ূন আহমেদের অবদান কেউ খাটো করে দেখলে সেটা তার সংকীর্ণতার সমস্যা।
১. রোজা আসছে। কসম খোদার, ভালো হয়ে যাবো এবার। একবেলা কম খেয়ে দুইবেলা বেশী খাবো।
২. বেশী কথায় বেশী পাপ। ফজুল বাতে সময় নষ্ট না করে ইবাদত করতে না পারার আক্ষেপে মন ভারী করে রাখবো।
৩. ঘুষ খাওয়া হারাম বলে রোজায় ড্রয়ার খুলে রাখবো। খোলা ড্রয়ারে কেউ খাম রেখে গেলে বিব্রত হলেও কাউকে না করতে পারি না।
যাচ্ছিলাম আম কিনতে। খবর পেয়েছি ফরমালিন মুক্ত আম এসেছে এক জায়গায়। যেতে যেতে ভয় পাচ্ছিলাম এতদিন বিষযুক্ত আম খেয়েছি, এখন বিষমুক্ত আম খেলে বদ হজম হবে কিনা। কিন্তু গিয়ে আমের দাম শুনে মস্তিষ্কে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া হলো। বিবেকের কাছ থেকে সমাধান এলো ওই দামের বিষমুক্ত আম খাওয়ার চেয়ে খানিকটা বিষ সয়ে নেয়া ভালো। শরীরের নাম মহাশয়, যতটুকু সওয়ানো যায়, ততটাই .....।
প্রিয় দেবযানী,
তোমাকে আমি দেবীর মতো ভক্তি করলেও রাজনীতি নিয়ে তোমার সাথে তর্কগুলো ঝগড়াতে পরিণত হয় বলে সেপথে আমি যাই না। তবু তুমি সেদিন খামাকা তর্ক করছিলে বলে আজকে আমি উইকিপিডিয়া ঘুরে জেনে আসলাম মরহুম প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৬ বছর বয়সে ইন্টার পাশ করেছিলেন। বিশ্বাস না হলে লিংক দেখো। উনি জন্মেছিলেন ১৯৩৬ সালে, কলেজ পাশ করেছেন ১৯৫২ সালে, কাকুলে জয়েন করেছে ৫৩তে। বিশ্বাস হয়?
তবে উইকি জীবনীটায় কিছু মজার তথ্য আছে। আছে কিছু মিথ্যা আর অসঙ্গতি। ইতিহাসের স্বার্থে কোন সদাশয় ব্যক্তি এগুলো শুদ্ধ করে দেবেন বলে আশা করছি। আমি সামান্য কয়েকটা তুলে ধরছি তোমার অবগতির জন্য।
নুরুল ইসলাম, ৪০, তাঁর স্ত্রী রাশিদা বেগম, ৩৫, পাঁচটি সন্তান সায়মা ১২, রেহানা ১০, তানিশা ৮, আবু ৪, আন্নি ২। রাশিদার বড় বোন আয়েশা ৪৫, আয়েশার স্বামী বশির ৫০, বশিরের বোন ফরিদা ৬০, ফরিদার ছেলে নাজিম ২০।
পড়তে বিরক্ত লাগছে এতগুলো নাম আর বয়স? লাগলেও আপনাকে দোষ দেবো না।
আপনি নিশ্চিন্তে অন্য জরুরী বা আকর্ষণীয় বিষয়ের দিকে চলে যেতে পারেন।
এমন দিনে-১
সারারাত ধরে বৃষ্টির গান। একই তালে, একই লয়ে। এতটুকু বিরক্তি আসে না। রাতের নিশ্ছিদ্র ঘুমের জন্য বর্ষা সঙ্গীতের চেয়ে ভালো কিছু নেই। বর্ষার গানে কিছু একটা আছে, কী যেন এক অপার্থিব সুর বাজতে বাজতে প্রবল ঘুম ডেকে আনে, চোখ মুদে আসে বালিশে মাথা রাখামাত্রই। ঘুমের অতলে ডুবে যেতে যেতেও সেই সুরের রেশ কাটে না।
কোন দেয়ালেই ছবিটা মানাচ্ছিল না। যেখানেই ঝোলাই মনে হয় ছবিটা টেরা চোখে তাকিয়ে আছে। ঘরের চারটা দেয়ালের একটাতেও ফিট করা গেল না। ছবিটাতে সবুজ ত্বকের একটা বাচ্চা ছেলে কেমন একটা অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ব্যাপারটা স্বাভাবিক লাগে না। অথচ যখন আর্ট গ্যালারীতে অনেক ছবির ভিড়ে সাজানো ছিল বোঝা যায়নি। এই একলা ঘরে ছবিটা সামনে রেখে বসতেও কেমন একটা অস্বস্তি লাগছে। ভুল করলাম কিছু?
ভুতে কিলায় নাই। সুখে কিলাইছে। তাই জনগণের পেটের ভেতর ট্যাকসোর হাত যতদূর ঢুকানো যায় তার চেয়েও একটু বেশী ঢুকিয়েও তারা হাসে। আরেকটু ভেতরে গেলে জনগণ বমি করে দিতে পারে কিংবা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। হইলেও কিছু করার নাই। সরকারকে সাবধান করা আমার কর্ম নয়, আপনারও না। আমরা বরং বাজেট নিয়ে কয়েকটা গতানুগতিক ঢেকুর তুলি সংক্ষেপে। বলা বাহুল্য এটা কোন বাজেটালুচনা নয়, তবে কেউ চাইলে এটিকে শুধুই আলু বলে বিবেচনা করত
সেদিন দুনিয়া কাঁপানো সাইরেনটা যারা শুনেছেন তাদের বলছি ছোট্ট ঘটনাটা।
লোকের কথায় কান না দিয়ে সে নিজেকে নিজেই বড় মনে করতে শুরু করলো। সময় হলে সে তার ল্যাপটপ নিয়ে বসে যায়, সাথে একটা অপটিক্যাল মাউস, ছোট্ট মোবাইল সেট, আর অতি অবশ্যই সানগ্লাস। ল্যাপটপ চালাতে সানগ্লাস কেন লাগে সেটা বুঝতে একটু সময় লাগতে পারে আপনার। আমার চোখে চশমা আছে বলে সহজে বুঝেছি ব্যাপার।