অফিসের গেট থেকে সিকিউরিটি ফোন করে জানালো জামান নামের একজন আমার সাথে দেখা করতে চায়।
জামান। আমি দুই সেকেন্ড চুপ থাকলাম নামটা শুনে। বিরক্ত হবো কিনা ভাবছি। দুই সেকেন্ডে আমার মস্তিস্কের কোষগুলো যেন কয়েকশতবার স্মৃতিভ্রমন করে এলো। ওকে অফিসে আসতে দেয়া ঠিক হবে কিনা বুঝতে পারছিলাম না। বললাম- আমি আসছি।
জামান একটা জীবন্ত উপন্যাসের ট্র্যাজিক হিরো কিংবা ভিলেনের নাম। ঔপন্যাসিকের চোখে ...
তুমি না এলে কী এমন ক্ষতি হতো?
.
এসেই জাগিয়ে দিলে অযুত নিযুত দিবারাত্রির হাহাকার। যে হাহাকার লুকিয়ে রেখেই বেঁচে ছিলাম। অন্য কোন সবুজ পৃথিবীর আশ্বাস ছিল না, তবু তোমাকে ছাড়াও চলতো আমার।
.
তুমি আসলে, পাশে বসলে, আমার দুচোখের ভেতরে তোমার দুচোখ ডোবালে। আমার অবাধ্য মন সাঁতার দিল অগম্য সাগরে। আজন্ম সাধ তোমাকে ছুঁয়ে দেখার, তবু সসংকোচ হাতটা বাড়িয়েও পিছিয়ে গেলাম।
.
গোটানো হাত পাখা মেলার আগ...
দানু মিয়ার পড়াশোনার দৌড় আন্ডার মেট্রিক হলেও আক্কেলের জোরে আর ভাগ্যের ফেরে এখন সে বিশাল কোটিপতি। তবে লোকটা লৌহকেপ্পন। হিসেবের এক পয়সা এদিক সেদিক হলে পিটিয়ে আড়তের কর্মচারীর পিঠের ছাল তুলে ফেলে। সকালে দুইটা টোষ্ট চায়ে ভিজিয়ে নাস্তা করে দানু মিয়া। যদি কখনো দুপুরে দাওয়াত থাকে, শুধু একখান টোষ্ট দিয়েই নাস্তা সেরে বসে থাকবে সেই দুপুর পর্যন্ত। ধুতে বেশী সাবান লাগার ভয়ে প্যান্ট না পর...
ছেলেবেলা থেকেই ক্যামেরাবাজির খুব শখ ছিল। ক্লাস এইটে পড়ার সময় বাবা একবার বিদেশ থেকে আসার সময় একটা ক্যামেরা নিয়ে আসে। জীবনে প্রথম হাতে নেয়া সেই ক্যামেরাটা ছিল একটা Yashica Electro35. সেই বয়সেই তাক লাগিয়ে দিয়েছিলাম বেশ কিছু চমকদার শট তুলে। বাবা তার ছেলের প্রতিভায় মুগ্ধ হলেও ক্যামেরাবাজির কারনে পড়াশোনা গোল্লায় যাবার অজুহাতে ক্যামেরাটা বিক্রি করে দিয়েছিলেন নিউমার্কেটের চারতলার ইলেক্ট্র...
যারা অপরূপা রাতের সেন্টমার্টিনকে দেখেননি তাদের জন্য এই পর্ব উৎসর্গ করা হলো
বৃষ্টি থেমে গেছে। আঁধার নামেনি তখনো। আমরা কটেজ থেকে বেরিয়ে ভেজা বালির উপর দিয়ে খালি পায়ে হেঁটে দ্বীপের পশ্চিম প্রান্তের দিকে রওনা দিলাম। সামনে তাকালে সোজা ধূধূ ভারত মহাসাগর। বঙ্গোপসাগর তো ভারত মহাসাগরেরই অংশ। তবে একটা মহাসাগরের তীরে দাঁড়িয়ে আছি ভাবতেই বেশী ...
নৌকা থেকে নেমেই প্রথম সংলাপটা ছিল ইকবালের। প্রচন্ড তিক্ত, বিরক্ত, বিধ্বস্ত, লাইফ জ্যাকেটের ফিতাবদ্ধ ইকবালের মুখ দিয়ে যেটা বেরুলো-
'দুশশালা! এ কী জায়গা? এই বালি দেখতে এত ফাইটিং করে এখানে আসতে হইছে? কী আছে এখানে ঘোড়ার ডিম! আগে জানলে আমি আসতামই না। তবে আগামী এক সপ্তাহেও ফিরতেছি না আমি। সমুদ্র শান্ত না হওয়া পর্যন্ত ফিরে যাওয়ার কোন ইচ্ছে নে...
[url=http://www.sachalayatan.com/guest_writer/23495 ]তৃতীয় পর্ব এখানে[/url]
পাগলা ঢেউয়ের দাপাদাপি
নৌকা ছাড়ার আগ মুহুর্তে কাঁধে ক্যামেরা ব্যাগ ঝুলিয়ে এক ভদ্রলোককে উঠে আসতে দেখলাম। আরে, ইনি তো রুমী ভাই। এলাকার সিনিয়র ভাই। টেকনাফে একটা মেরিন গবেষনা প্রতিষ্টানে চাকরী করেন। আমাদের দেখে রুমী ভাই তাজ্জব। বললেন উনি সেন্টমার্টিন যাচ্ছেন অফিসিয়াল কাজে কিছু সামুদ্রিক উদ্ভিদ ও প্রানীর ছবি তুলতে। ইকবাল সমুদ্রে বিপদে...
হোটেল নিরিবিলি
অবশেষে একটা সুনির্দিষ্ট গন্তব্য পেলাম যাবার জন্য। শহরে ফেরার পথে একটা ঝুপড়ি দোকান থেকে কলা-বিস্কুট-চা খেয়ে খিদেটা চাপা দিলাম। হোটেল নিরিবিলি খুঁজে বের করতে সময় লাগলো না। হোটেলটা নামকরন সার্থক করে শহরের একটু বাইরে চমৎকার নিরিবিলি জায়গায়ই দাঁড়িয়ে আছে। তখনকার দিনে টেকনাফের সবচেয়ে ভালো হোটেল। সামনে জাতিসংঘের একটা জীপ দাঁড়া...
[তিনহাজার শব্দের পেটমোটা ২য় পর্বটা দুইদিন আগেই দিয়েছিলাম, সচল সার্ভারে লেখাটা পৌঁছেছে বা বদহজম হয়েছে কিনা জানিনা, ছোট আকারে আবারো দিলাম তাই।]
টেকনাফে বেপথু হাঁটা
টেকনাফ তো নামলাম। এবার? বাবলু ভাইরে কই পাই? শুরু হলো খোঁজ। অত সোজা না। মোবাইল যুগ হলে মাঝপথেই ফট করে মোবাইল করে দিতাম- "আমরা পেরায় আইসা পড়ছি ভাইজান, আপনে অ্যাটাচ বাথের তিনটা ডাবল রুম, ড...
ভনিতা
পাঠকঃ সেন্টমার্টিনের গল্প শুনাইবেন? দুরো মিয়া, মার কাছে মাসীর গল্প করেন! কত কত বার গেছি। কোন ব্যাপারস হইলো? টেকনাফ গিয়া 'কেয়ারী সিন্দবাদ' বা 'কুতুবদিয়া' জাহাজে চইড়া বসেন, এক ঘন্টার যাত্রায় ঝাঁ কইরা পৌঁছায়া যাইবেন প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। তীরে নাইমা হাত বাড়াইলেই নাওয়া-খাওয়া-শোয়ার জায়গা। সেন্টমার্টিনে এখন ভুরি ভুরি হোটেল রেষ্টুরেন্ট। বুকিং তো ঢাকায় বইসাই দেয়া যায়।
ল...