আমার ছোটচাচা কুড়িগ্রামে থাকেন। ঢাকায় এসেছেন কয়েকদিনের জন্য। ওনার সাথে এসেছে এই লেখাটি। লিখেছেন আমাদের গ্রামেরই একজন মানুষ। লেখাটা বেশ ভাল (ইন্টারেস্টিং) লাগায় সচল পাঠকদের জন্য তুলে দিলাম। (চাচা অনুমতি দিয়েছেন .... মূল লেখকও সানন্দে অনাপত্তি জানাবেন বলেই জানি।)
আমি কেউ না
লিখেছেন: মো: মিজানুর রহমান।
মানুষ দ্বিপদ জীব। তিন হাত ও তিন চোখ বিশিষ্ট সর্বোচ্চ বুদ্ধি সম্পন্ন প্রাণী। ডান হাত ও বাম হাতের সাথে তৃতীয় হাত 'অজুহাত' প্রতিনিয়ত তাকে যুক্তিতর্কের মাধ্যমে দ্বিধান্বিত রাখে। অন্যদিকে ডান ও বাম চোখের পাশাপাশি তৃতীয় চোখ তাকে দেয় দিব্যদৃষ্টি; কাছের ও দূরের দৃশ্যমান ও অদৃশ্য বস্তু দেখার ক্ষমতা।
সাপ, কুকুর, বাঘ, শুকর প্রভৃতি হিংস্র বন্য প্রাণীর স্বভাবযুক্ত মানুষ ক্ষেপে গেলে যাচ্ছেতাই কারবার করতে পারে। অন্যদিকে অসীম মানবীয় ও ঐশ্বরিক গুণাবলী তাকে দেয় সৃষ্টির সেরা জীবের মর্যাদা। গুণসমূহকে লালনপূর্বক সে হয়ে ওঠে প্রকৃতির রাজা। অন্যদিকে কুস্বভাবগুলোকে প্রশ্রয় দেয়ার মাধ্যমে সে হয় ধ্বংস ও বিশৃঙ্খলার হোতা।
এমন কোন খাদ্য/অখাদ্য নেই যে, মানুষ নামের জীব ভক্ষণ করে না। এ সকল জীবের মধ্যে নগণ্য সংখ্যক জীব পরের মুখে ঝাল খেতে থাকে। অর্থাৎ বিদ্যা নামক অখাদ্য মনে প্রাণে খেতে থাকে এবং নির্দিষ্ট সময় পর পর পন্ডিত নামক বিশেষ শ্রেণীর জীবের তত্ত্বাবধানে বমি করতে থাকে। সেই সাথে বিভিন্ন ধাপের/মর্যাদার সনদ পত্র নামক কাগজ লাভ করে। যে সকল জীব অগণিতবার সঠিক ভাবে বমি করার ফলে বড় মাপের সনদ পত্র লাভ করে, মানুষ নামের বাকি জীবগুলো তাকে সমীহের চোখে দেখে। ঐ সনদপত্র নামক কাগজ প্রাপ্তদের পোশাক, চাল-চলন, বলন ইত্যাদি সবকিছু বদলে যায়। ঐ সকল জীবের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ নামক জীব ধরাকে সরা জ্ঞান করে। সৃষ্টিকর্তাকে ভুলে নিজকে সৃষ্টিকর্তা ভাবতে শুরু করে এবং খুব খারাপ ভাবে নিজকে এ দুনিয়ার স্থায়ী সদস্য মনে করতে থাকে। সেই লক্ষ্যে তিন হাতে যে কোন ভাবেই হোক না কেন, টাকা নামক শয়তানের বিচি সংগ্রহে ব্যতিব্যস্ত থাকে। মানুষ নামের এ জীবগুলোর বৈশিষ্ট হল, তারা এক শ্রেণীর গিরগিটির ন্যায় অবিরত রঙ বদলাতে পারে এবং তারা এত পিচ্ছিল যে, কোন ভাবেই ধরে রাখা যায় না। নিরলস প্রচেষ্টার পর এদের কাউকে ধরে যদি দেখানো যায় যে, "আমি কেউ না" - তখন তাদের মাথা নষ্ট হয়ে "পাগল" নামক দূরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হয়।
মন্তব্য
ইন্টারেস্টিং-ই বটে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
ভালো
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
এই লেখা কেমন লাগল সেটা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আমার ছোটভাই প্রথমে বিরাট একখান সায়েন্স ফিকশনের গল্প বলল ... (ধান ভানতে শিবের গীত) ....
তারপর বলল: মনে হল যে ভিনগ্রহ থেকে কোন পরিব্রাজক এসে মানুষ সম্পর্কে একটা পর্যবেক্ষনমূলক পর্যালোচনা লিখেছেন।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
শামীম ভাই লেখাটা ভাল লাগছে...
কিন্তু লেখকের মানুষ সম্পর্কে এমন ধারনা কেন হল...? বুঝতে পারলাম না...
মাথা কামানোর সময় হইলে .... ... কত কিছুই তো মনে হয়!
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
নতুন মন্তব্য করুন