ভূমিকা
জাপানে থাকি বেশ কয়েক বছর। এখানে জাপানি ভাষায় বৈজ্ঞানিক গবেষণামূলক সাময়িকি (সায়েন্টেফিক জার্নাল) দেখে আমি বিমোহিত হয়েছিলাম প্রথমে। এরপর আশ্চর্য হয়েছিলাম আমার প্রফেসরের শেলফের বইগুলো দেখে। চারিদিকে জাপানি বইয়ের সমারোহে কয়েকটা ইংরেজি বই দেখে কৌতুহলী হয়ে বই খুলে দেখি ভেতরে সব জাপানি ভাষায়, অথচ বইয়ের বাইরের মলাট ইংরেজিতে। পরবর্তীতে বাঙালী বড় ভাইদের কাছ থেকে জানতে পারলাম যে, যে কোন ভাল পাঠ্যবই বের হওয়ামাত্র এখানকার অনুবাদকগণ সেগুলো নিজভাষায় অনুবাদ করে ফেলেন। ফলশ্রুতিতে ভাল ইংরেজি না জানা সত্ত্বেও সাধারণ ছাত্ররা এবং যে কোন আগ্রহী ব্যক্তি মূল জ্ঞান থেকে বঞ্চিত হয় না।
বাংলায় বিজ্ঞান চর্চার প্রাসঙ্গিকতা
অপরপক্ষে বাংলাদেশের কথা চিন্তা করুন। আমাদের উচ্চশিক্ষার সমস্ত উপকরণ ইংরেজিতে হওয়ায় শুধুমাত্র ইংরেজি জানা ছাত্ররাই এতে ভাল করতে পারে। লাভের দিক হচ্ছে আমাদের দেশের উচ্চতর ডিগ্রীধারীগণ মোটামুটি ভাল ইংরেজি জানেন। উল্টাভাবে বলতে গেলে, ভাল বা মোটামুটি ভাল ইংরেজি না জানলে বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষালাভ করা দুরূহ।
বাংলাদেশে ইংরেজি জানা আরও বেশি দরকার। কোন বিষয় সম্পর্কে ভালভাবে জানতে চাইলেও ঐ তথ্যসমৃদ্ধ বাংলা বই খুঁজে পাবেন না, কিন্তু ইংরেজি বই পাবেন বেশ অনেকগুলো। ইদানিং অবশ্য কম্পিউটারের প্রায়োগিক বিষয়ের উপর বেশ কিছু বাংলা বই এবং সাময়িকি বাজারে এসেছে। এই বইগুলো থাকাতে অনেক লোক উপকৃত হয়েছেন। বইগুলো ইংরেজিতে হলে কিন্তু এ্যাত লোক উপকৃত হতেন না। অনেকের আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও ইংরেজি দেখে পিছিয়ে যেতেন। আর কোন বিষয়ে জানতে জ্ঞানের বিকল্প নাই। বই পড়াটা তাই এ্যাত জরুরী। তাই দেশের সামগ্রীক উন্নতির জন্য আমাদের দরকার বেশি বেশি প্রযুক্তিগত বই অনুবাদ করা।
কে হতে পারেন একজন ভাল অনুবাদক
একটা ব্যাপার মনে রাখা দরকার, যে কেউ কিন্তু সুন্দর অনুবাদ করতে পারেন না। অনুবাদ করতে হলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সম্যক জ্ঞান থাকা দরকার, তাছাড়া ভাষাগত প্রকাশভঙ্গিটা সহজবোধ্য হওয়া জরুরী। তা' না হলে অনুবাদ করতে গিয়ে মূল অর্থ পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া অনেক শব্দের আভিধানিক অর্থের চেয়ে প্রায়োগিক অর্থ বেশি উপযুক্ত, যেটা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একজন দক্ষ বা অভিজ্ঞ ব্যক্তি ভাল জানেন। সুতরাং বিভিন্ন বিষয়ে পেশাদার ব্যক্তি যদি সংশ্লিষ্ট বিষয়ের কোন বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ অনুবাদ করেন তাহলে তা হবে সবচেয়ে ভাল এবং অপরের জন্য উপকারী। সবচেয়ে ভাল হয় যদি মূল প্রবন্ধকার তার ইংরেজি প্রবন্ধ থেকে বাংলায় অনুবাদ করে দেন। কিন্তু এখানে একটু চিন্তার ব্যাপার আছে।
যারা সাধারণত এই বৈজ্ঞানিক গবেষনামূলক প্রবন্ধ লেখেন ও পড়েন তাঁরা ঐ বিষয়ে সম্যক জ্ঞান রাখেন। আর এই সম্যক জ্ঞান এসেছে ঐ বিষয়ে প্রচুর লেখাপড়া এবং অভিজ্ঞতা থেকে। কাজেই একজন শিখতে আগ্রহী ব্যক্তি চাইলেই ঐ প্রবন্ধ পড়ে সবকিছু বুঝতে না ও পারতে পারেন। কারণ ঐ বিষয় বোঝার জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি পড়ার সুযোগ হয়নি। দূঃখের ব্যাপার হল, ঐ বিষয়ভিত্তিক বইগুলিও ইংরেজিতে।
কাজেই অনুবাদ করতে চাইলে একেবারে মূল পাঠ্যবই থেকে অনুবাদ করে আসতে হবে। পাঠ্যবই অনুবাদের কাজটা ছাত্রগণ করতে পারবে অনায়াসে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আগ্রহী ছাত্রগণ মিলে একজন শিক্ষকের তত্বাবধানে ইংরেজি বইগুলি অনুবাদ করতে পারেন। এই বইগুলো যদি ইন্টারনেটে থাকে তাহলে অনেক আগ্রহী ব্যক্তি এটা পড়ে উপকৃত হবেন। আর ইংরেজিতে দূর্বল ছাত্রগণ বিষয়টা আরও ভালভাবে হৃদয়াঙ্গম করতে পারবেন।
প্রস্তাবনাসমূহ
আরেকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নিজ ভাষায় বিজ্ঞান চর্চা। বিজ্ঞান চর্চা মানে শুধু বাংলায় বিভিন্ন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত বই পড়া নয়। আমাদেরকে বাংলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সভা বা আলোচনামূলক অনুষ্ঠান আয়োজন করতে হবে। এতে আন্তর্জাতিক সভাসমিতিতে অংশগ্রহনের জন্য বিষয়গুলি ঝালাই/চর্চা করে নেয়া যাবে, তাছাড়া নিজ ভাষায় ব্যপারগুলি বুঝার ফলে, ইংরেজিতে আন্তর্জাতিক সেমিনারেও অনেক বক্তব্য দ্রুত অনুধাবন করা সহজ হবে।
পাশাপাশি বাংলায় গবেষনামূলক প্রবন্ধের পত্রিকা বা সাময়িকি প্রচার করতে হবে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণামূলক বিষয়ের ক্ষেত্রে তাদের সনদ দেয়ার পূর্বশর্ত হিসেবে এই রকম বৈজ্ঞানিক সাময়িকিতে বাংলা অথবা ইংরেজিতে প্রবন্ধ প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে।
বাংলায় বিজ্ঞান সাময়িকি
এই মুহুর্তে বাংলায় তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক পত্রিকা আছে কিন্তু কোন বৈজ্ঞানিক সাময়িকি নেই। আর বর্তমানে অন্যান্য ভাষার মত একটি সম্পুর্ন এবং বিষয়ভিত্তিক বিজ্ঞান সাময়িকি প্রকাশ করা সম্ভব নয়। কারণ আমাদের দেশে বিজ্ঞান সাময়িকি ভরিয়ে দেয়ার মত যথেষ্ট পরিমান মৌলিক গবেষণা হচ্ছে না। আর অপরপক্ষে ঐ সাময়িকিতে প্রকাশযোগ্য প্রবন্ধ হৃদয়াঙ্গম করার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞানেরও দরকার আছে। তাই সাময়িকির গড়নটা এমন হওয়া উচিৎ যেন এতে মৌলিক গবেষণার পাশাপাশি অন্যান্য সাধারণ জ্ঞানমূলক প্রবন্ধ থাকে। তাহলে একেবারে সাধারণ থেকে অগ্রবর্তী সবশ্রেণীর পাঠকের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে। অর্থাৎ বিষয়বস্তুর বিভিন্নতা হওয়া উচিৎ ইংরেজি ভাষার জনপ্রিয় বিজ্ঞান সাময়িকি সায়েন্স বা নেচার এর মত।
প্রথমদিকে হয়ত সাধারণ তথ্যমূলক প্রবন্ধ বেশী আসবে আর মৌলিক গবেষণামূলক প্রবন্ধ থাকবে অনেক কম। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে মৌলিক গবেষণার পরিমান বাড়বে এবং এমন সময় আসবে যে হয়ত, বিষয়ভিত্তিক প্রবন্ধের জন্য আলাদা শাখা বা সাময়িকি বের করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেবে। তবে এ ধরনের একটি সাময়িকি বের করার জন্য সর্বপ্রথমে একটি প্রবন্ধ প্রকাশের বা লিখার নির্দিষ্ট একটা ছক বা ধরন নির্ধারণ করা প্রয়োজন। যেমন, লেখকের নাম কিভাবে দেয়া হবে, তার প্রাতিষ্ঠানিক সংযুক্তি, ইমেইল ঠিকানা, প্রবন্ধের মুখবন্ধ, ভুমিকা, মূল অংশ, চিত্র, চিত্রের নামকরণ, ছকের নামকরণ, সংখ্যামূলক তথ্যছকের ধরন, উপসংহার, কৃতজ্ঞতা এবং তথ্যসূত্র লেখার ধরন কেমন হবে তা পূর্বনির্ধারিত ছক বা ফরমেট মেনে লিখতে হবে। তাছাড়া বিভিন্ন ইংরেজি শব্দের যথাযথ বাংলা অনুবাদের জন্য একটি নীতিমালা এবং বৈজ্ঞানিক পরিভাষা বা অভিধান প্রনয়নেরও দরকার রয়েছে।
তাছাড়া লেখার মানদন্ড নির্ধারন করার জন্য লেখাগুলিকে উক্ত বিষয়ের বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। দেশে এবং বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাঙালি শিক্ষক এবং খ্যাতনামা গবেষকগণ এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারেন। এতে করে দেশে থাকা প্রযুক্তিবিদগণ, প্রবাসী বাঙালি গবেষক ও প্রযুক্তিবিদগণের সাথে আরও কার্যকর ভাবে যুক্ত হতে পারবেন। দেশের মেধা দেশের কাজে লাগার একটা চমৎকার ক্ষেত্র সৃষ্টি হবে।
(সর্বপ্রথম ০১- ফেব্রুয়ারী-২০০৭ইং তারিখে বিজ্ঞানী.কমে প্রকাশিত হয়েছিলো)
মন্তব্য
বিষয়টা অসাধারণ!সবার পড়ার সুবিধার্থে এই পোস্টটা কিছুদিন নীড়পাতায় টাঙিয়ে দেওয়া যাইতে পারে।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
বুঝলাম।
এবার আসেন শুরু করি।
দশ জন দশটা পছন্দের বই হাতে লন।
অনুবাদ শুরু করেন। একটু একটু করে ব্লগে দেবেন।
তারপর নিজের পকেট থেকে ইয়েন, ডলার, পাউন্ড দেবেন খরচা।
বইটা প্রকাশ করি বাংলাদেশে। নিজেরাই প্রকাশনা সংস্থা খোলা যায়।
সৃষ্টিশীল কাজের আনন্দ পাবেন।
ভিক্ষা দেয়ার চেয়ে টাকাটা ভালো কাজে লাগলো।
দেশের দীর্ঘস্থায়ী উপকারে আসলেন।
রাজি থাকলে মেইল দেন।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
বস্ আপনি বই অনুবাদ না করে বরং জার্নাল পেপার আর নিজের থিসিসটা অনুবাদ করতে পারেন। আমার ডিফেন্স ২রা আগস্ট। এরপর ওটা আর পাবলিশড পেপারগুলো অনুবাদে হাত দেব।
তবে, ফিল্ড লেভেলে যাঁরা কাজ করেন, বিশেষত সাধারণ ডিগ্রী পাশ করা ছেলেপেলে, ওদের জন্য ইন্টারমিডিয়েট কিছু লাগবে। আমার নিজের বিষয়ে ঐ কাজটা ইতিমধ্যে আগায় রাখছি। (আমার পরিবেশ প্রকৌশলীর ব্লগের আর্সেনিক সিরিজটা।)
তাছাড়া প্রবন্ধ অনুবাদ করছি একটা (বৈশ্বিক উষ্ণায়ন)। আরো দুইটা নামায় রাখছি। তবে সেগুলো হুবুহু অনুবাদ না করে, দেশের আবহাওয়া উপযোগী বিষয়সমূহ যোগ করে মৌলিক প্রবন্ধ নামাবো।
এরপর অনুবাদ করবো কয়েকটা রিভিউ পেপার। পাঠ্যবই অনুবাদের কাজটার জন্য আরো লোক পাওয়া যাবে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
প্রকাশনার জন্য জার্নাল বা সাময়িকি। বই হতে পারে সিলেক্টেড পেপার সহ। এজন্য প্রাথমিক আলাপ করছি বিজ্ঞানীর মশিউর ভাইয়ের সাথে। কাজেই শুরু করলেই হয়।
আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্য প্রযুক্তিবিষয়ক আলাপের জন্য একটা ফোরাম আসছে শিগগিরিই। ইতিমধ্যেই কাজ অনেক এগিয়ে গেছে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
জনাব শামীম,
আপনার লেখাটা সুখপাঠ্যই শুধু নয়,চিন্তার দুয়ারও খুলে দেয়। এরকম একটা বিষয় নিয়ে সুন্দর করে লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। জাপানের মত অনুবাদে জ্ঞানে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠা হয়তো দুয়েক বছরে সম্ভব নয়, এটা হবে এক মহাযজ্ঞ। তবে বৈজ্ঞানিক/প্রযুক্তিক/একাডেমিক গবেষণা প্রবন্ধ বা বই অনুবাদ করার কাজটা একটা সুদুরপ্রথিত পরিকল্পনা নিয়ে গোছানোভাবে যদি করার উদ্যোগ নেয়া হয়, সেটা হবে সবদিক থেকে ভাল ।
এ ব্যাপারে আমার প্রস্তাবনা হলো, আমরা যারা বিভিন্ন দেশে পড়াশোনা বা গবেষণা কাজে লিপ্ত আছি তাদেরই প্রথমে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হবে । আসুন যে যার নিজের বিষয়টাকেই না হয় বাংলায় প্রকাশ করি। আমি কাজ করি optimization এর উপর। নিজেরই দুঃখ লাগছে যখন অপটিমাইজেশনের ভাল কোনো বাংলা প্রতিশব্দ পাচ্ছি না খুঁজে, এর উপর বাংলায় কোনো বই বা গবেষণা প্রবন্ধ খুঁজে পাওয়া তো দূরের কথা। কি ছাতার কাজ করি যার উপর বাংলা ভাষায় এক পাতাও কোনো রচনা নেই! এই দুঃখ শুধু আমার না, অনেকেরই জানি হবে। আসুন, তাই নিজের বিষয় দিয়েই শুরু করি। এসএম৩ যেমন লিখেছেন রিসার্চের প্যাচাল(যদিও সরাসরি কোন অনুবাদ নয়, তবে জ্ঞানের অনুবাদ তো বটেই), আরো একটু স্পেসিফিক হয়ে একটা দুটো জার্নাল অনুবাদ করা যায়, অবসরে প্রায়শই যে বইটা নাড়াচাড়া করেন তার একটা দুটো চ্যাপ্টার অনুবাদ করা যায়, আরো অনেক কিছুই কিন্তু করা যায়। আমি ভাবছি শুরু করবো নিজের জার্নাল দিয়েই, অন্ততপখেখ নিজের যা অবদান সেটার তো অনুবাদ নিজের ভাষায় থাকা উচিত, হোক না হয় নিজের ঢোল নিজে পিটানো!
আপনিও শুরু করুন,ব্যাপারটা কিন্তু দারুণ!
-----------------------
এই বেশ ভাল আছি
সহমত। ইতিমধ্যেই নিজের বিষয়গুলোতে বাংলা পাঠ্যবস্তু বাড়ানোর কাজ করছি। আমার ব্লগস্পটের পরিবেশ প্রকৌশলীর প্যাচাল - সেগুলো সংগ্রহে রাখার জন্যই।
আর আমার বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদপত্রের বাংলা খবরগুলো সংগ্রহ করে রাখছি যতদুর পারি - ইয়াহু ৩৬০ ব্লগে।
প্রাথমিকভাবে ব্লগস্পটে গ্রুপ ব্লগিং করা যায় এ বিষয়ে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
মন্তব্য করার ফাকে দেখি একই আইডিয়া আমার আগেই এসে পড়েছে। good good. মিলে যাওয়ায় ভাল লাগছে। বিশেষ করে জনাব শামীম , আপনি যা করছেন ঠিক সে কথাটাই আমি বলতে চেয়েছি।
-----------------------
এই বেশ ভাল আছি
ইংরেজী অনেক শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ নেই । যেগুলো আছে সেগুলোর অবস্থা এমন যে সেগুলো পড়ে বোঝার চাইতে সরাসরি ইংরেজীতে পড়াই ভালো । এসব কারনে যে বই শিক্ষকরাই অনুবাদ করতে পারে না সেবই ছাত্রগণ কিভাবে অনুবাদ করবে সেটা ভেবে পেলাম না । আর অনুবাদ করলেই হয় না । অনুবাদিত বিশেষ শব্দগুলো (বাংলা জানি না । ইংরেজীতে এটাকে jargon বলে ) স্টান্ডার্ডাইজড করারও দরকার আছে । এ কাজটি করবে কে ? এ পর্যন্ত যেসব বাংলা হয়েছে বেশীরভাগই পড়ে আমি বুঝতে পারি না জিনিসটা আসলে কি । কিন্তু এটাই স্টান্ডার্ড হিসেবে দাড়িয়ে গেছে । এর থেকে বের হবার উপায় কি ?
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
জার্গনগুলো অনুবাদ করার জন্য উইকির পদ্ধতি হতে পারে। অর্থাৎ যা আছে তাই। কারণ, তাহলে পাঠকের একই বিষয়ের জন্য বাংলা আর ইংরেজিতে আলাদা দুইটা টার্ম শিখে সময়/মেধা অপচয় করতে হবে না।
জাপানে এটা সমস্যা। সবকিছুই তাঁরা নিজেদের টার্ম বের করেছে। Who will be a millionaire-টাইপের একটা অনুষ্ঠানে প্রশ্ন ছিল তেরেবি-র (টেলিভিশনের) পুরা নাম কী? ... বেচারা পারে নাই! এরকম পরিস্থিতি দেখতে চাইনা।
আর স্ট্যান্ডার্ড তৈরী কে করবে এই আশায় বসে থাকলে তো সমস্যা। আমরাই দেশের চালিকাশক্তি। স্ট্যান্ডার্ড আমরাই তৈরী করবো। যখনই কোন পরিভাষা ব্যবহার করি, সেটা সাথে সাথে বাংলা উইকির পরিভাষাভাণ্ডারে যুক্ত করে দিলেই হবে। কারণ ওখানেও ওটা পরিবর্ধিত হবে।
প্রত্যেকে অপরের প্রবন্ধ বাংলায় পড়ে, প্রথমেই এটা উন্নয়নকল্পে পরষ্পরকে পরামর্শ দিব। সেটা অনেকটা এডিটোরিয়াল বোর্ডের মত -- তারপর সেটাকে সম্পাদনা বোর্ডের মাধ্যমে ঠিক করতে হবে। আর সম্পাদনা বোর্ড কিভাবে হবে তা - প্রস্তাবনার মত।
বিষয়টা আকর্ষনীয় মনে হলে এ বিষয়ে একটা আলাপের থ্রেড করা যায়। প্রযুক্তি ফোরামটা চালু হলে এটাতে আরো সুবিধা হবে (কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে)।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
ইংরেজির বাংলা প্রতিশব্দ একটা বড় সমস্যা। বিশেষ করে টেকনিক্যাল ব্যাপারে। আমার মতে এখনও যে সব শব্দের প্রতিশব্দ বাংলা ভাষায় নেই তা আর জোড় করে ঢুকানেরো প্রয়োজন নেই। ইংরেজিটাই থাকুক, নইলে অনেক সময়ই প্রতিশব্দ করার আসল উদ্দেশ্যই মাঠে মারা যায়, বিশেষত ভুল প্রতিশব্দ করলে।
তবে এখেত্রে ওই শব্দটাকে ভালোভাবে সংজ্ঞায়িত করতে হবে।
-----------------------
এই বেশ ভাল আছি
সহমত।
আর সংজ্ঞায়িত করার জন্য তো উইকি আছেই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
ঐ শামীম ভাই, আপনে আমার মন্তব্যগুলান মুইছা দেন। মাইনষে মনে করবো আমি আপনের চোথা মারতেছি/নকল করতেছি। প্রতিবারই যেই মন্তব্য লিখি, দেখি সেই কথাটাই আপনি আমার দুই সেকেন্ড আগে বইলা ফেলেন। টাইপিং স্পিড বেশি দেইখাই কি গরিবের উপর মায়া দয়া নাই নাকি!
-----------------------
এই বেশ ভাল আছি
এমনিতেই বাঁশের উপরে আছি। গতকাল আর আজকে নিজে নিজেই ছুটি নিয়ে রাখছি। আর নাই আমি এখন ... ...
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।@ শামীম
-----------------------
এই বেশ ভাল আছি
বাংলা ভাসায় অনুবাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা শব্দ।বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে যেটা দেখা যায় তা হলো অপ্রতুল শব্দ ভান্ডার।সেই ক্ষেত্রে অনুবাদের সবচেয়ে বেশী সময় ব্যায় হবে একেকটা শব্দ বাছাইয়ে বা সৃষ্টিতে।সেই শব্দ গুলোর মাধুর্য থাকাটা ও জরুরি।পদার্থ বিদ্যার একজন বেশ কয়েকটা অনুবাদ করেছিলেন,বেশ ভাল অনুবাদ, কিন্তু শব্দ গুলো এতো কঠিন!!!তার চেয়ে তখন ইংরেজী পড়া বেশি স হজ মনে হয়।
আমি আছি। এই চিন্তা/আফসোস মাথায় ঘুরছে অনেক দিন ধরেই। বিড়ালের গলায় ঘন্টাটা পরানোর জন্য ধন্যবাদ। আমি একই ধরণের চিন্তা করতাম, তবে সেটা মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্য নিয়ে। আমার মনে হয় না আমার যোগ্যতা আছে ভার্সিটি লেভেলের কিছু নিয়ে লেখার। তবে এখন মনে হচ্ছে, ব্রুট ফোর্সের কাজটুকু আমার মত লোকেরা এগিয়ে দিতে পারে। পরে নাহয় বড় কেউ খুঁটিনাটি দেখে দিলেন।
খুবই ভাল প্রস্তাব। বিশেষ করে 'কে হতে পারে ভাল অনুবাদক'সেকশনটা খুবই প্রাসঙিক।
গ্লোবাল ভয়েসেসের বাংলা পেজের অনুবাদের কাজটা আমার জন্যে অনেকটা অনুরোধে ঢেকি গেলার মতই হয়েছে। এখন বুঝতে পারছি যে ব্যাপারটি এত সহজ নয়।
অনুবাদের ক্ষেত্রে দুই ভাষারই উপর দখল থাকা উচিৎ। জার্গন গুলোর জন্যে ডিকশনারী বা মুল লেখকের শরনাপন্ন হওয়া প্রয়োজন এবং আক্ষরিক অনুবাদের থেকে সরল ভাষায় ব্যাপারটি বুঝিয়ে বলাই লক্ষ্য থাকা উচিৎ।
শোমচৌ ভাই আমিও আছি (যতক্ষন দিনটাকে আরও লম্বা করতে পারি)।
××××××××××××××××××××××××××××××××××
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
ইদানীং জি আর ই পরীক্ষা দিতে গিয়া যুক্তির অবতারণায় খুঁত ধরার একটা অভ্যাস তৈরি হইসে। তা থেকে বলি, জাপানের উদাহরণটার মতোই ভারতের উদাহরণটাও সত্য এবং ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের দিক দিয়া ঐটা বাংলাদেশের বেশি নিকটবর্তী। তাদের মতোই আমাদের যেহেতু ইংরেজি শিক্ষার একটা কাঠামো বর্তমান তারে একটু পোক্ত কইরা তোলাই আমার কাসে বেশি প্রায়োগিক মনে হয়। বিশেষ কইরা, নুথের বই এর মতো কিসু বিজ্ঞানের বই এর অনুবাদ সম্ভব বইলা আমি মনে করি না। আবেগীয় কারণে প্রয়োজন মনে করলেও আসলেই আমাদের সীমিত সম্পদ এই রকম বিরাট কর্মযজ্ঞে বিনিয়োগ করা কি তার সর্বোত্তম ব্যবহার? সাথে গ্রন্থসত্ত্বের ব্যপারটা কি ভাবসেন কেউ?
মানসিক দারিদ্রতা।
যদি কোন বিপদ না ঘটে আগামী দুই মাস পরে আমি নিজেও সর্বোচ্চ ডিগ্রীধারী হব। এটাকে সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করি। আর এই সম্পদটুকু ব্যবহার না করে ফেলে রাখলে সেটাই অপচয়, যা আমরা অহরহ করছি।
যা কিছু লিখছি সবই ইংরেজিতে। আর এই গবেষণা দিয়ে নাকি দেশ উপকৃত হবে - স্কলারশীপের শর্ত ছিল এটাই। জাপান সরকার ক্রেডিট নেবে যে, ওদেশের উন্নয়নে আমরা ভূমিকা রাখছি --- তো সবই যদি ইংরেজিতে হয় তবে উপকার/উন্নয়নটা কিভাবে অভাবী লোকগুলোর কাছে পৌছাবে?
ইংরেজি শিক্ষার কাঠামো পোক্ত করার ব্যাপারে আমি কোন আপত্তি জানাই নাই। বরং আমরা ব্যক্তিগত লেভেলে যেটা অর্জন করলাম সেটাকে সামগ্রিক লেভেলে কাজে লাগানোর মত উপযোগী ফরম্যাটে আনার উপায় বলছি।
এ ধরণের জ্ঞানচর্চা দেশের ভাষায় হয় না বলেই, কোন মন্ত্রীর কয় বউ, কয় গাড়ী, কত গয়না - এসব পড়েই দিন কাটায় মানুষ অবসর সময়ে - ব্যক্তি ও দেশের উন্নয়নে যার অবদান শূন্যের চেয়েও কম, কারণ এতে নিজেও ওরকম দূর্নীতি করার পদ্ধতি চর্চা করতে উৎসাহি হয়।
মানুষের শুভবুদ্ধির উপর আমার আস্থাও প্রচন্ড রকম বেশি। কিন্তু সেই শুভবুদ্ধি লালনপালনের জন্য ক্ষেত্র প্রস্তুত করার দায়িত্ব সকলেরই।
যে লেখাগুলো অনুবাদ করছি, সেটা অবসর সময়ে দুই/একটা মুভি দেখার বদলে সময়টা কাজে লাগিয়ে করছি। আর প্রকাশ হচ্ছে ইন্টারনেটে। কাজেই সম্পদ অপচয়ের কিছু দেখছি না। এই রিসোর্স বেস থেকে পর্যায়ক্রমে প্রত্যন্ত গ্রামেও উপকার পৌছাবে, এটা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি।
ধরুন, আমার ছোটভাইয়ের কথা। গাছ লাগানোর ব্যাপারে ওর উৎসাহ প্রচণ্ড, কিন্তু লিটারেচারের বড়ই অভাব। অনেক চষে, ঢাকার নিউমার্কেটে আদা চাষের উপরে বই পেল, দাম ৫০০ টাকা। অথচ আমার ধারণা ইংলিশে এমন রচনা ইন্টারনেটে পাওয়া যাবে। এটা যদি অবসরে কেউ অনুবাদ করে রাখেন তবে সেটা কাজে লাগবে।
শেষ পয়েন্ট হলো কপিরাইট। উইকির বিষয় অনুবাদ করলে কপিরাইট ভঙ্গ হবে না। নিজের গবেষণার বিষয় অনুবাদ করলে কপিরাইট ভঙ্গ হবে না। আর যেটা পড়ে বুঝে বিষয়ভিত্তিক এ্যাসাইনমেন্ট লেখা যায়, সেটা বাংলায় লিখলেও কপিরাইট ভঙ্গ হবে না। তাছাড়া কপিরাইট সাধারণত সময়ভিত্তিক। প্রথম প্রকাশের পর থেকে নবায়ন না করা হলে নির্দিষ্ট সময় পর সেটার কপিরাইট থাকে না। সুতরাং উপায়ের অভাব নাই।
বই হুবহু অনুবাদ করতে হলে প্রকাশকের অনুমতি লাগবে। সেটাও হবে, তবে পর্যায়ক্রমে। হুট করে বই অনুবাদ করে লাভ নেই। বরং বই অনুবাদ করার চাহিদা সৃষ্টি হবে এরকম জ্ঞানচর্চার বিষয়গুলির বাংলায় ব্যাপক প্রসার হলেই। কাজেই ক্ষেত্র তৈরী হউক।
প্রতিটি কাজেরই নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। স্টেপ বাই স্টেপ। এই মুহূর্তে কাজ হল ক্ষেত্র প্রস্তুত করা। তারপর বীজ বপন, ফসল, মহীরূহ সবই হবে।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
বস্, যথারীতি চমৎকার টপিক।
টার্মসগুলোর স্ট্যান্ডার্ডাইজেশনের জন্য ইউনিভার্সিটি প্রফেসর লেভেলের একটা কমিটি থাকা দরকার ... ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি টার্মগুলোকে ইংরেজিতেই রাখা যায় ... এসিডকে অম্লজান বলতে ভাল লাগেনা
তবে বস্, অনুবাদ বিষয়টা বিজ্ঞানের মতোই সমান গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য ডিসিপ্লিনে ... বিশেষ করে হিউম্যানিটিজে ... এত এত পড়ার জিনিস আছে ...অথচ ভাষার কারণে আমাদের দেশে এগুলোর প্রসার হয়না ...ইন ফ্যাক্ট সায়েন্সের বই ফিগার-টিগার দেখে তাও কিছুটা বোঝা যায়, আর্টসের খালি হরফ দেখে অনেকেই উৎসাহ হারায়।
এই পোস্টটা আসলেই স্টিকি হবার মতো।
৫০০০০
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
হুম... ... দর্শনও একটা ক্ষেত্র। ব্যবসা-বানিজ্য, অর্থনীতি, রাজনীতি, উন্নয়নের পরিকল্পনা ও তাতে সাধারণের অংশগ্রহণ ইত্যাদি প্রচুর বিষয় আছে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
অন্যের বই ধরে ধরে অনুবাদ করার চেয়ে নিজে যা নিয়ে কাজ করছি, সেটা গুছিয়ে লেখা যায়। ব্যক্তিগত ছোঁয়াচ থাকে বলে লেখাগুলো আর সহজবোধ্য হবার সম্ভাবনা থাকে। জ্বিনের বাদশা, মাহবুব মুর্শেদ, মিয়াভাই, শোমচৌ এর আগে এমন পোস্ট দিয়েছেন।
অনুবাদ সবসময় পাঠকের কাছে গ্রহণযোগ্য না-ও হতে পারে। কোন কিছু সম্পর্কে বাংলায় পড়ে জানার আগ্রহ জাগিয়ে তোলাও এখন একটা বড় চ্যালেঞ্জ।
গল্পের মধ্যেও কিন্তু বিজ্ঞানের কোন তত্ত্ব সম্পর্কে বলা যায়, বরং আরো বুঝিয়ে। সমীকরণ সাজানোর অভ্যাস হয়ে গেছে আমাদের পাঠ্যপুস্তকে, বরং পাঠকের মনে সমীকরণ নিজে সাজিয়ে নেবার তাগিদটা জাগিয়ে তোলা জরুরি মনে হয় আমার কাছে।
ভালো কিছু কাজ হয়ে গেলে সংকলনের পর চাইলে ই-বুক হিসেবেও তা প্রসার করা যেতে পারে। কী বলেন?
হুমম... ... গল্পের একটা সমস্যা হল ওটাকে রেফারেন্স করা যায় না, আর টেকনোলজি ট্রান্সফার করার জন্য ম্যানুয়াল টাইপের লেখা দরকার(জাপানিদের মত মুখে তুলে, চিবিয়ে, গিলিয়ে দেয়ার মত ডিটেইলিং সহ)।
ই-বুকটা আপাতত মনের মধ্যে টার্গেট হিসেবে আছে। যার দরকার নামায় প্রিন্ট করে/সিডি/মেমরিতে ভরিয়ে নেবে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
সবার মন্তব্য পড়লাম। এমন চমৎকার একটি পোস্টের জন্য শামীম ভাইকে ধন্যবাদ দেই। কিন্তু বাস্তবতার বিচারে এমন সুন্দর একটি প্রস্তাবকে আমার কাছে তেমন একটা গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে না। কেন মনে হচ্ছে না, সেটা বলতেই এই বা' হাত ঢুকানো মন্তব্য
উন্নত দেশ থেকে উন্নত আইডিয়া কপিপেস্টের একটা বড় দুর্বলতা হলো, অনেক সময়ই সেই আইডিয়াটাকে আমাদের প্রেক্ষিতে অ্যাডাপ্ট করা হয় না। ফলে তাতে শেষ পর্যন্ত লাভের গুঁড়ে বালিই থাকে। মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকে গ্রেডিং সিস্টেম চালু করা এরকম ব্যর্থতার একটা উদাহরণ। তবে বিশেষ করে ইউনিভার্সিটিতে 'মাতৃভাষায় বিজ্ঞান চর্চার' আবেগ দেখাতে গেলে তা আরো বড় ব্যর্থতায় পর্যবসিত হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। কেন?
কারণ, বাংলাদেশ জাপান নয়, বাংলাদেশ জার্মানীও নয়। আমাদের অর্থনৈতিক কাঠামো এমনই অশক্ত যে, আমাদের বিজ্ঞান চর্চার প্রয়োগ হয় শেষ পর্যন্ত উন্নত বিশ্বের তৈরি ক্ষেত্রগুলোতে। জাপান বা জার্মানীর কেউ মাতৃভাষায় বিজ্ঞান চর্চা করে সেটাকে দেশেই প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে প্রয়োগ করতে পারে, আমাদের পক্ষে সেটা অসম্ভব। আন্তর্জাতিক ফিলড ছাড়া আমাদের উপায় নেই। এবং সেজন্যই আন্তর্জাতিক ভাষা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
অনেকে বলতে পারেন, বাংলা-ইংরেজি দুই মাধ্যমেই তাহলে ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা বিজ্ঞান পড়ুক। না। কারণ, সেটা অপ্রয়োজনীয়। ডুপ্লিকেট কাজ করে নষ্ট করার মত সময় খুব বেশি মানুষের থাকার কথা না।
মাতৃভাষায় বিজ্ঞান চর্চাটা বড়জোর স্কুল পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকতে পারে। যদিও টেকনিক্যাল টার্মগুলোর জন্য অদ্ভূত অদ্ভূত বাংলা শব্দ খোঁজার কোনো দরকার নেই। কারণ, সেগুলো পরবর্তীতে ছাত্রদের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।
বিজ্ঞান-শিল্প-সাহিত্য সবকিছুই আলটিমেটলি অর্থনীতির সাথে সম্পৃক্ত। অর্থনীতি যদি বলে, বাংলায় বিজ্ঞান চর্চা করলে আমাদের লাভ, তবে তাই হোক। আর অর্থনীতি যদি বলে সেটা অপ্রয়োজনীয়, তাহলে সেটা যত বড় মহৎই দেখাক না কেন, শেষ পর্যন্ত মার খাবে। আমার ক্ষুদ্র বুদ্ধিমতে যা বুঝি, অন্তত এই মুহূর্তে বাংলাভাষায় বিজ্ঞান চর্চার লাভের চাইতে লোকসানের পাল্লাটাই বেশি ভারি।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
কিছু ব্যাপারে আমার দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়ার প্রয়োজন মনে হলো।
প্রথমত: আমি যে বিষয়ে কাজ করছিলাম সেটা হলো আর্সেনিক দূরীকরণের প্রায়োগিক বিষয়। প্রতিবার ফিল্ডে গিয়ে দেখতাম কিছু একটা সমস্যা হয়েছে ... যেটা ফিল্ডে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের বোঝার ভুলে। ছেলেগুলো হয় ডিগ্রী পাশ অথবা ডিগ্রী পরীক্ষা দিচ্ছে (কয়েকবার)। প্রতিবারই তাঁদেরকে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় ব্যাখ্যা করে বুঝাতে হত।
অথচ এই সাধারণ বিষয়গুলো ইঞ্জিনিয়ারিঙের পাঠ্য বইয়ে বিস্তারিত আছে। মজার ব্যাপার হলো সেই বই বাংলাদেশের দুই জন প্রফেসরের রচনা, তাই বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতেই সমস্ত বিষয়। ওদেরকে ঐ বই থেকে ব্যাখ্যামূলক ছবিগুলো দেখায় বুঝাতাম, এবং দেশের লোকদের বুঝার ক্ষমতা আমার কাছে যথেষ্ট ভালো মনে হয়েছে। কিন্তু ঐ বই-এর ব্যাপারগুলো ঐ ফিল্ডের পোলাপান কেন, অফিসের কর্মীগণও পড়তো না ইংলিশ বলে (এর মধ্যে মাস্টার্স পাশ লোকজনও আছে!)। ইদানিং বইটির বাংলা ভার্সান বের হয়েছে। ওটার কপিও কিনে দিয়েছি ওখানে। এখন অফিসের সমস্ত কার্যসহকারী সেটা পড়ে এবং কাজে লাগাচ্ছে।
এই বিষয়গুলো সহজ বাংলাভাষায় থাকলে, টেকনোলজি ট্রান্সফার করা আরো সহজ হতো আমার জন্য। সেই তাগিদ থেকেই বাংলায় লেখা শুরু।
দ্বিতীয়ত: ইউনিভার্সিটিতে মাতৃভাষায় বিজ্ঞানচর্চার বা লেখাপড়ার কথা আমি কিন্তু কোথাও বলিনি। বলছি যে, ইংরেজি বইয়ের পাশাপাশি যদি বাংলাতেও বিষয়গুলি থাকে তাহলে বিষয়গুলি ইংরেজিতে দূর্বল ছাত্রদের বুঝতে সুবিধা হবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই। তবে হ্যাঁ, অনুবাদ বা ব্যাখ্যাগুলো বিষয়গুলিকে সহজ করার বদলে কঠিন করে ফেললে সেটা হিতে বিপরীত হবে। --- ---- Horizon কথাটার বাংলা দিকচক্রবাল ... এটা পড়ে বেচারা ××বন্ধুর কোন উপকার হয়নি সেই সময়ে। প্রয়োজন ছিল ব্যাখ্যাটা বাংলায়।
তৃতীয়ত: একটা ঘটনা বলি। আমাদের বাসায় একটা ছেলে কাজ করতো (বাকীরা কি তাহলে অকাজ করতো .. এই প্রশ্নে আপাতত না যাই) .. সে পরবর্তীতে গাড়ীর মেকানিকের কাজ শিখে এস.ও.এস শিশু পল্লীর সেন্টারে এবং এখন মেনোকা মটর্সে কাজ করছে। কিছুটা ইংরেজি শিখেছিলো সে বাসাতে। তাই গাড়ীর/ইঞ্জিনের ম্যানুয়াল দেখে সে নিজেই অনেক কিছু ঠিক করতে পারতো, যেটা তার সহপাঠীরা ইংরেজি না জানার কারণে পারতো না। যদি ম্যানুয়ালটা বাংলায় অনুবাদ করা থাকতো তবে কি তার এবং বাকীদের কাছ থেকে আরো ভালো আউটপুট পাওয়া যাবে - এটা আশা করা যায় না? সেটা কি অর্থনীতিতে ধনাত্নক ভূমিকা রাখবে না?
অর্থাৎ আমার লেখার টার্গেট জনগোষ্ঠি ছাত্ররা নয়। মূল লেখাতে বলেছি সেটা। টার্গেট জনগোষ্ঠি হল সাধারণ মানুষ যারা বাংলায় এসকল থাকলে পড়ে উপকৃত হত।
আমার কথা ধরুন। কম্পিউটারে আমার দক্ষতা সাধারণ। কিন্তু আমি টানা দুই বছর কম্পিউটার জগৎ পত্রিকা রাখতাম ও পড়তাম। তাই, সাধারণ এবং ঐ বিষয়ের ছাত্র না হয়েও অনেক সমস্যা নিজে সমাধান করতে পারছি -- বাংলায় না হলে হয়তো, ঐসব বিষয় পড়ারও আগ্রহ পেতাম না। কিন্তু নিজের পেশাগত বিষয় সব ইংরেজিতেই পড়েছি।
আবার বলছি: টার্গেট হলো টেকনোলজি ট্রান্সফার। কিন্তু সেটা অবশ্যই চোখ বন্ধ করে নয়।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
শামীম ভাই, পরিধি সম্পর্কে আপনি যেটা বললেন, ওই ক্ষেত্রগুলোতে বাংলায় ম্যানুয়াল থাকাটা অবশ্যই লাভজনক হবে। আসলে এসব বিষয়ের বাংলা গাইড অনেক ক্ষেত্রেই ইতোমধ্যে বিদ্যমান। সেই 'বিদ্যমান' হওয়াটাকে আরো উন্নত করার চেষ্টা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার।
কিন্তু এটা মনে হয় ঠিক 'বিজ্ঞান চর্চা' নয়। বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের ব্যবহারিক প্রয়োগমাত্র। যে প্রয়োগগুলো - যেমনটা আপনি আর্সেনিক সম্পর্কে বলেছেন - আমাদের নিজস্ব, সেগুলোতে বাংলায় নির্দেশনা থাকা অবশ্যই কাজের।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ম্যানুয়াল একটা প্রাথমিক ক্ষেত্র বা প্রাথমিক ধাপ বলা যায়। ম্যানুয়ালে সাধারণত <কী করিলে কী হইবে> বা <ইহা কিভাবে করবেন> -- এই ধরণের ব্যাখ্যা থাকে। কিন্তু সেই অপশনগুলো কেন সেরকম, সেটার থিউরিটিক্যাল ব্যাখ্যা থাকে না।
সুতরাং পরবর্তী ধাপে, সেই থিউরিটিক্যাল ব্যাখ্যাগুলো দরকার হবে একজন কৌতুহলী কিংবা শিখতে আগ্রহীর কাছে। আর এই ব্যাখ্যাগুলো আছে পাঠ্য বইয়ে -- সুতরাং পরবর্তী ধাপে বইগুলোর অনুবাদ কিংবা সহজবোধ্য এবং দেশের উপযোগী করে (কাস্টোমাইজ) থাকা দরকার।
আর বইগুলো থাকলে, সর্বশেষ অগ্রগতি বা গবেষনার ফলাফলের সংকলন বা সাময়িকিতে প্রকাশিত প্রবন্ধ/রিপোর্ট বুঝতেও সুবিধা হবে - পাশাপাশি প্রয়োগ করতে সুবিধা হবে।
হ্যাঁ প্রাথমিক ভাবে এটা বিজ্ঞানচর্চাকে বুঝায় না। কিন্তু বিজ্ঞানকে প্রায়োগিকভাবে সকলের কাছে নিয়ে যাবে।
------
জাপান/জার্মানীর মডেল অনুসরন করতে বলছি না। কিন্তু এখানে সাধারণ একজন ব্যবহারকারীও ম্যানুয়াল দেখে বা রিডিং ম্যাটেরিয়াল পড়ে যে কোন যন্ত্রপাতির বা বিষয়ে বেশি সচেতন থাকে এবং সেইমত ব্যবস্থা নেয়।
ধরুন, আমি সামনে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উপর একটা প্রবন্ধ নামাচ্ছি বাংলায়। আশা করছি এটা পড়লে যে কোন ব্যক্তিই যেখানে সেখানে ময়লা ফেলার আগে আরেকবার ভাববেন।
ময়লাটা কিভাবে পচে, সেখান থেকে কিভাবে অন্য পদার্থ উৎপন্ন হয় এবং অবশেষে কিভাবে সেটা একটা প্রকৃতিবান্ধব মাটিতে পরিনত হয় সেটা জানি দেখে জাপানে এসে যখন বলা হল ময়লা বেছে (sort করে) ফেলতে হবে, আমি আপত্তি করি নাই। বরং আমার কমিউনিটিতে যে সকল জাপানি থাকে তাদের চেয়ে বেশিই বুঝি - কারণ এটা আমার পেশাগত বিষয়ের অন্তর্গত। ওরা একটা ময়লা ফেলার সময় যখন পেছনে এর স্টীকারের লেখা নির্দেশাবলী পড়ে দেখে যে কোন জায়গায় যাবে - বার্নাবল, নন-বার্নাবল নাকি প্লাস্টিক - তখন আমি এমনিতেই বুঝতে পারি। এই বুঝতে পারাটা আমাকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেয় না।
তাই এরকম বিষয়ে প্রবন্ধের দরকার আছে দেশে। আর এটা বিজ্ঞানচর্চার একটা রূপ তো বটেই।
আবার খাওয়ার আগে পরিষ্কার করে হাত ধুতে হবে .... তা নাহলে রোগজীবানু পেটে গিয়ে অসুখ বাঁধাবে - মোটামুটি সকলে জানে। --- এটাও কিন্তু বিজ্ঞানের একটা জ্ঞানকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ। এটাকে মাতৃভাষায় প্রচার করা হয়েছে বলেই এটার সুফল ভোগ করছে সকলে।
বিজ্ঞানের সকল ক্ষেত্রের বিষয়গুলিই এভাবে মাতৃভাষায় দরকার -- সেখান থেকে সামগ্রীকভাবে সকলেই উপকৃত হবে --- এটাই লক্ষ্য।
একেবারে সেই কথাটাই। ব্যবহারিক প্রয়োগ। চর্চাটা সকলে করবে ।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
সম্ভবত লেখাটি ভালো হয়নি। অনেকেই কিছু ব্যাপার গুলিয়ে ফেলছেন। যারা ছাত্র তারা তো ইংরেজিতে পড়ছেই, পরীক্ষা দিচ্ছেই।
কিন্তু অছাত্র একজন যদি সেটা করতে চায় -- ধরুন বাসায় একজন বায়োগ্যাস প্লান্ট বানাতে চায় -- সেক্ষেত্রে ইংরেজিতে দক্ষ ব্যক্তি ছাড়া কেউ পারবেন না। কিন্তু যদি বিষয়টা বাংলাতে সহজবোধ্য করে এবং ম্যানুয়াল আকারে থাকে তবে কিন্তু ব্যাপারটা অন্যরকম হবে। --- এখানেই অনুবাদের প্রয়োজনীয়তা।
সেই সকল লোকজন (নন-টেকনিকাল) - তাঁদের জন্য অনুবাদ। আর, যারা দেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা রিপোর্ট দিচ্ছেন -- সেটা শুধু ফান্ড প্রদানকারীর বোধগম্য করেই দিচ্ছেন (ইংলিশে): সাধারণের বোধগম্য করে বাংলায় দেয়াটাও জরুরী বলে মনে করি। তাহলেই সামগ্রীকভাবে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। আর সচেতনতা উন্নতির জন্য জরুরী।
অনেক সময় মানুষজনকে ভুল ভাল বুঝিয়ে অনেক দুই নম্বরী কম্পানী ব্যবসা করছে। কিন্তু টেকনিক্যাল বিষয়গুলি বাংলায় থাকলে যে কেউ সেটা পড়ে নিজেদেরকে ঠকবাজদের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
'সেই সকল লোকজন (নন-টেকনিকাল) - তাঁদের জন্য অনুবাদ।'
একমত আপনার সাথে।
আর যেই শিক্ষা ব্যবস্থায় স্নাতক আর স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ছাত্রদের ইংরেজি জ্ঞানের এই অবস্থা(যারা ন্যূনতম ১২ বছর ইংরেজি পড়েছে) সেই শিক্ষা ব্যবস্থার আগাপাশতলা সংস্কারটাও জরুরি। কারণ ব্যাপারটা শুধু ভাষার না আমার মতে,সামগ্রিক শিক্ষা-সংস্কৃতিরই।
হুম... আগেকালের পঞ্চম শ্রেণী পাশ দাদুর সাথে এখনকার মাস্টার্স পাশ (ইংরেজি মাধ্যমে লেখাপড়া করে) ইংরেজিতে পারেনা।
আমি যেখানে গবেষণার কাজ করি সেখানে এরকম স্যাম্পল দেখি -- ওদের ইংরেজি দেখলে লজ্জায় লুকাতে ইচ্ছা করে।
আমার একার পক্ষে শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কার করা অসম্ভব চিন্তা। তবে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচার চালানো যেতে পারে। বাংলায় লেখালেখি করে ব্যক্তিগত অর্জিত জ্ঞানের লাভটুকু সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেয়াটা বাস্তবসম্মত সামর্থের মধ্যেই।
মূল-পোস্টের সম্পুরক মন্তব্য:
পাঠ্যপুস্তক বাংলায় করার কথা আসছে ছাত্রদের জন্য নয়। ইংরেজি বাদ দিয়ে নয় বরং পাশাপাশি সহায়িকা হিসেবে থাকার জন্য। এটা দূর্বল ছাত্রদেরকে আরও ভালোভাবে বুঝার সুবিধার্থে -- অনেকটা চোথা বা নোটের মত (অপপ্রয়োগের সুযোগ আছে, তবে যেহেতু ইংলিশ মিডিয়ামে লেখাপড়া চলবেই, কাজেই অপপ্রয়োগের সেই সুযোগও কম)। আর মূল কাজে লাগবে, টেকনোলজি ট্রান্সফারে ... যারা প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া না করেও পড়ে শিখতে চায় তাদের জন্য।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
বই বা জার্নাল বাংলায় করার চেষ্টাকে স্বাগত জানাই, নিজে শরীক হতে পারলে আরও ভাল লাগবে। অনেক ইংরেজীর বাংলার চেয়ে ইংরেজিই ভাল যেমন বলা যায় অক্সিজেনের বাংলা অম্লজান না বলে অক্সিজেন বলাই মনে হয় ভাল হবে।
কিন্তু একটা বিষয় আমার জানা নাই। যখন কোন বই বা জার্নাল বাংলায় অনুবাদ করতে যাবেন তখন কপিরাইটের কি হবে? আর জার্নালের কপিরাইট আরও ঝামেলাযুক্ত বলে আমার মনে হয়।
এই বিষয়ে কারো জানা থাকলে আওয়াজ দিয়েন।
বিজ্ঞান সাময়িকিটা মৌলিক হবে। জার্নাল পেপার অনুবাদ করা সম্ভব নয়। তবে, অনেক পুরানো কিছু রিভিউ পেপার করা সম্ভব হবে বলে মনে হয় -- কারণ কপিরাইটের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। আর দেশে প্রয়োগ করার মত গবেষণারিপোর্টগুলো এক করে যদি সংকলন করে লেখা হয় (রিভিউ পেপারের মত) তাহলে সমস্যা হওয়ার কথা না। সংকলন/অনুবাদের মধ্যে সঠিকভাবে মূল লেখাকে কৃতজ্ঞতা জানাতে হবে(প্রোপার সাইটেশন)। এই ব্যাপারে সাময়িকির সম্পাদকমণ্ডলী ভূমিকা রাখবেন। -- কপিরাইট বিষয়ে অভিজ্ঞদের মন্তব্য আশা করছি। রাগিব কী বলে?(উইকিতে তো প্রচুর তথ্যমূলক লেখা সংকলিত হচ্ছে; কিভাবে?)
আমার ধারণা বাঙালী গবেষক আছেন যথেস্ট। সমস্যা বাংলায় ভীতি/অনীহা কিংবা উদ্যোগের অভাব। তবে একটা উদ্যোগ দাড়িয়ে গেলে গুটি গুটি পায়ে অনেকেই এগিয়ে আসবেন। দেশি গবেষকগণের অনেকেই এটাকে দেশের সেবার একটা উপায় হিসেবে নিজেদের পেপারগুলোকেই উপযুক্ত ভাবে পরিবর্ধিত করে দিবেন। অনেকে নিজে করতে না পারলেও অনুবাদক টীমকে অনুরোধ করবেন -- এটুকু বিশ্বাস করি।
বই অনুবাদেও কপিরাইটের সমস্যা আছে। ভালো হয় মুক্ত সোর্স ব্যবহার করা। ইন্টারমিডিয়েটে পড়া সকল বইই অনুবাদ মনে হয়েছে। তবে হুবহু নয় ... এ পদ্ধতি হতে পারে। আর যখন বাংলা বইয়ের ডিমান্ড সৃষ্টি হবে তখন অনুমতি নিয়ে প্রকাশ করা যাবে। তবে এই ডিমান্ড/চাহিদা তৈরী হওয়ার জন্য নিজেদের গবেষণাগুলো বাংলায় প্রকাশ জরুরী। আগ্রহী পাঠকগোষ্ঠী তখন সেই গবেষণাপত্রের বেসিক/মূল জ্ঞান আরও ভালভাবে বুঝতে চাইবে, তখন বইগুলোর দরকার হবে।
মাসদেড়েক পরে একটা নামাবো এক্সপেরিমেন্টাল বেসিসে। কারণ উদাহরণ সৃষ্টি করাটাই অনেক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেবে। লেখাটার টার্গেট নন-প্রফেশনাল পাঠক, অর্থাৎ লেখার ধরণটা গবেষণামূলক হবে না বরং হবে তথ্যমূলক। কারণ প্রফেশনালগণতো ইংরেজিতে জানছেনই।
তাছাড়া এরকম আলোচনাগুলো খুব দামী। এখান থেকে বিভিন্ন খুটিনাটি বিষয় বের হয়ে আসছে যা একটা বাস্তবসম্মত কার্যপন্থা ঠিক করতে ভালো ভূমিকা রাখবে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
কত পুরানা পোস্ট রে!
আত্মসমালোচনার সময় হয়েছে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
নতুন মন্তব্য করুন