(বাঁচতে হলে জানতে হবে টাইপ কথাবার্তা আছে ভেতরে ... বেশি ছোটরা না পড়াই ভাল)
আমার বিবাহিত জীবন প্রায় ছয় বছর ছুঁই ছুঁই করছে। বাচ্চা কাচ্চা নেয়ার কোন রকম অবকাশ পাই নাই এর মধ্যে। যখন বিয়ে করি তখন বউয়ের বুয়েট লাইফের ৩য় বর্ষ ... ২১তম বিসিএস-এর কল্যানে আমি কেবল গণপূর্ততে যোগদান করেছি আর ওদিকে পি.এইচ.ডি করার জন্য জাপান সরকারের বৃত্তি হবে হবে করছে। মাত্র চার মাস চাকুরী করেই একা জাপান চলে গেলাম। জাপান থাকাকালীন সময়েও গবেষণার নমুনা সংগ্রহের জন্য গড়ে প্রতি ৩ মাসে একবার করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে আমার প্রফেসর .... কাজেই দৌড়ের উপরেই ছিলাম। বাংলাদেশে ঘন ঘন আসার ফলে হোম সিকনেস কেটে যেত - এই সুবিধা থাকলেও ঘন ঘন আসার ফলে জাপানে জীবন ধারণ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে জটিলতা দেখা দিত -- একবার তো লম্বা ভ্রমনের কারণে ঠিক সময়মত স্বাক্ষর করতে পারিনি বলে এক মাসের বৃত্তিই পাইনি।
যা হোক, জাপানে আমার বয়স দেড় বছরের মাথায় আমার স্ত্রী তাঁর বুয়েটের ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েই চলে এল ... এর আগেও দুই সেমিস্টারের মাঝের বন্ধগুলোতে ৪৫ দিন করে দুইবার বেড়িয়ে গিয়েছিলো। বাকী আড়াই বছরেও বাচ্চা কাচ্চা নেয়ার চিন্তা করি নাই, কারণ আমার পি.এইচ.ডি.'র ঐ ক্রিটিকাল সময়ে এ সংক্রান্ত বিষয়ে সাপোর্ট দিতে তো পারতামই না বরং আমারই অতিরিক্ত সাপোর্ট দরকার ছিল।
দেশে ফেরার পর স্ত্রী আড়াই বছর পড়ালেখাবিহীন কাটানোর পর এখানে বুয়েটেই মাস্টার্স করতে ভর্তি হল। সমস্ত থিওরী কোর্স শেষ .... থিসিসও শেষ হওয়ার পথে। জন্ম নিয়ন্ত্রন বড়ি খেলে বা অন্য কোন ব্যবস্থা নিলে সেটার রাসায়নিক প্রভাব স্ত্রীর দেহে পড়ে তাই, উভয়ের সম্মতিতেই আমার বউ কোনরকম জন্ম নিয়ন্ত্রন পদ্ধতি নেয়নি .... ইন্টারনেটের কল্যানে স্বাভাবিক নিয়ম আর আমার দিক থেকে প্রোটেকশন নেয়া হয়েছে। এদিকে পরিচিত আত্মীয় স্বজন সবাই কথা বার্তায় ডাক্তার দেখানো, বিভিন্ন জটিলতার কথা বলা শুরু করে দিয়েছে। আড়ালে হয়তো, আমাদের দুইজনের মধ্যে কে সন্তান নিতে অক্ষম সেই বিষয়েও ফিসফাস আলোচনা চলে!
বউয়ের মাস্টার্স শেষের পথে, চাকুরী করে না .... তাই অনেকটা সামাজিক চাপে বাধ্য হয়েই বাচ্চা নেব বলে ঠিক করলাম কিছুদিন আগে। পরের মাসেই বউএর স্বাভাবিক জীবন ব্যহত হল। স্টিক টেস্টে গর্ভাবস্থা নিশ্চিত হওয়ার পরপরই বমি ইত্যাদি হয়ে একেবারে শয্যাশায়ী হয়ে পড়লো। কাজেই নিজের বাসা ছেড়ে মাসাধিককাল যাবৎ শ্বশুর মহাশয়ের অন্ন ধ্বংস করে চলেছি । অবস্থা এ্যাত বেশি খারাপ হল যে, পানি খেলেও এক মিনিটের মধ্যে বমি হয়ে বেরিয়ে আসছিলো। শরীরে পানির অভাবে প্রশ্রাব লালচে হয়ে গেল। ডাক্তার দেখাতে নিয়ে গেলাম। এদিকে নিজ বাসার বাইরে থাকার কারণে আমার ঘুম এবং টয়লেট ব্যহত হচ্ছে .... অনুভুতিটা সুখকর নয় .... কিন্তু বাচ্চার জন্য তো সারা জীবনেই কত কিছু ত্যাগ করতে হবে - এই চিন্তায় ওসব পাত্তা দেই না, শ্বশুর বাড়িতে আছি - এই আনন্দে মনটাকে ভরানোর চেষ্টা করি।
সারারাত আর দিন আমি বউয়ের দেখাশোনা করি, সন্ধ্যায় অফিসে যাই (বিকাল ৬টা থেকে ১০টা আমার ক্লাস নিতে হয়) ... ঐ সময় শুধু শাশুড়ি দেখাশোনা করেন। চোখের সামনে বউয়ের অমানুষিক কষ্ট দেখতেও খারাপ লাগে।
খালা শাশুড়ি ঢাকা মেডিকেলের ডাক্তার, নিজের ক্লিনিকও আছে .... উনি পরামর্শ দিলেন যে গ্রীনরোডের সেন্ট্রাল হাসপাতালে প্রফেসর (ঢাকা মেডিকেল কলেজ) ফারহানা দেওয়ানকে দেখাতে। দেখালাম ... রক্ত পরীক্ষা এবং আলট্রাসনোগ্রাম করালেন। তারপর অতিরিক্ত বমির জন্য একটা ট্যাবলেট আর স্বাভাবিক ফলিক এসিডের জন্য আরেকটা ট্যাবলেটের ব্যবস্থাপত্র দিলেন। ১৪ মি.মি. বাচ্চার ছবি দেখে আমরা খুশি হই ... রিপোর্ট বলে ৬-৮ সপ্তাহের গর্ভাবস্থা, বাচ্চার হার্টবিট নাই; আমাদের হিসেবে যখন টেস্ট করা হয়েছে তখন বাচ্চার ভ্রুণের বয়স সর্বোচ্চ ৪ সপ্তাহ (স্বাভাবিক জন্ম নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলাম বলে ফার্টাইল পিরিওড সম্পর্কে ঠিক ঠাকভাবেই জানি)। ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী সব করলেও অবস্থা একটু ভাল হয়ে আবার খারাপ হতে থাকলো। বউ বারবার বলছে যে তাঁরটা স্পেশাল কেস যেখানে অবস্থা বেশি খারাপ থাকে এবং স্যালাইন নিতে হয়। আমরা (আমি, শাশুড়ি, শ্বশুর ইত্যাদি) এসবে পাত্তা দেই না ... কারণ এ্যাত বড় একজন প্রফেসরকে দেখিয়ে এনেছি ... পরবর্তীতে আরো দুইবার রিপোর্ট করেছি -- এরপরে কথা থাকা উচিত না ... যে ভোগে সে তো সহানুভুতি পাওয়ার জন্য অনেক কথাই বলে।
একমাসে অবস্থা আরো খারাপ হল ... প্রফেসর বললেন যে আরেকবার আল্ট্রাসনোগ্রাম করাতে, বাচ্চার হার্টবিট এসেছে কি না সেটা নিশ্চিত হতে হবে -- এটাই বড় চিন্তার বিষয়। ওর খালা মেডিসিন থেকে পাশ করলেও স্পেশালাইজেশন হল মানসিক/মাদকাসক্ত চিকিৎসায় -- তাই নিজে আগ বাড়িয়ে মন্তব্য করেন না; কিন্তু ভাগ্নির অবস্থা এবং রিপোর্ট দেখে একটু ভ্রু কুঞ্চিত করলেন। তারপর বললেন যে তুমি একটু গ্লুকোজ খাও ... আর তোমাকে আমার ক্লিনিকের পাশেই আরেকটা ক্লিনিকে গাইনোকোলজিস্ট আছেন তাঁর সাথে পরামর্শ করি, তোমাকে একটু সেখানেও দেখাই। ইস্কাটনের সেই ক্লিনিকে দেখাতে নিয়ে গেল আমার শ্বশুর-শাশুড়ি এবং খালা শাশুড়ি .... উনি (ডাক্তার) দেখেই হলি ফ্যামিলিতে ভর্তি করাতে বললেন। কারণ উনি মূলত হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজ/হাসপাতালের ডাক্তার এবং ঐ ক্লিনিকটা রাস্তার উপরে হওয়াতে শব্দ বেশি।
ক্লাস নেয়া শেষ করে আমি সোজা হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে এসে দেখি হাতে স্যালাইন লাগিয়ে ওকে শুইয়ে রেখেছে, কয়েকটা ইঞ্জেকশনও দিয়েছে স্যালাইনের ঐ পথে (ক্যানোলা)। অবাক হয়ে দেখলাম, ওর সেই অস্বস্তিগুলো নেই। গত কয়েকদিনে রক্ত, প্রস্রাব ইত্যাদি পরীক্ষা নিরীক্ষায় জানা গেল যে, ওর শরীরে গ্লুকোজ, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি মারাত্নক রকম কমে গেছে। বাচ্চা ঠিক আছে ... সাইজে আরেকটু বড় হয়েছে (১৭ মি.মি.) আর হার্টবিট এসেছে।
এখানে যেই জিনিষটি অবাক লাগলো যে, প্রথমবার টেস্টেই কিন্তু ওর রক্তে গ্লুকোজ কম ধরা পড়েছিল। ওটার বিরূদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় আস্তে আস্তে অবস্থা আরো খারাপ হয়েছে। আমার বউয়ের ঐ কথাটাই ঠিক ছিল .... আসলেই ওর স্পেশাল কেস ... এই অবস্থাটার নাম হাইপারেমেসিস(সম্ভবত এরকমই কিছু খটমটে নাম) আর কারণ সম্ভবত:হাইপোগ্লাইসিমিয়া, পরিসংখ্যানগত ভাবে যেটা হাজারে ৫ জন গর্ভবতীর হয়ে থাকে। এই ব্যাপারটা কেন এ্যাত বড় প্রফেসরের চোখ এড়িয়ে গেল সেটাই খালাশাশুড়িকে চিন্তিত করে তুলেছে। মামা শ্বশুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক - মামী শাশুড়ির সূত্রে ওনার ঐ অধ্যাপকের বাসায় পরিচিতি আছে, উনি বললেন সম্ভবত প্রফেসরের বাসায় কিছু ঝামেলা চলছে, তাই একটু অমনোযোগী। আমি খারাপ মানুষ তাই খারাপ চিন্তাটাই আগে মাথায় আসে .... প্রফেসর সাহেব হয়তো চেয়েছিল যে আমার বউয়ের অবস্থা খারাপ হউক... তারপর নিজেরাই সুড়সুড় করে গিয়ে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি হব। কে জানে আসলে কী জন্য এমন করলো! এদিকে হলি ফ্যামিলিতে বেশ ভাল যত্ন নিচ্ছে .... এটা কী খালা শাশুড়ির পরিচয়ের সুবাদে, নাকি কেবিনে থাকি বলে ... নাকি হাসপাতালের গুনে সেটা বুঝতে পারি না।
সেন্ট্রাল হাসপাতালে খালা শাশুড়ির পরিচয়ের সূত্র ব্যবহার করি নাই। আর এখানকার সম্পর্কে ধারণাটা এমনিতেই ভাল না -- ব্যস্ত সড়কের উপরে অবস্থিত বলে আর সন্ধ্যায় কনসালটেন্সি রোগী/মেডিকেল প্রমোশন অফিসারদের ভীড়ে এটার যতদুর দেখেছি সেটা বাজারের মত সরগরম মনে হয়েছে। এছাড়া শাশুড়ির কলিগের আত্মীয়ের কাহিনীটাও সুখকর নয়। ঐ কলিগ (যার ছেলে বুয়েটে আমার রুমমেট/ক্লাসমেট ছিল ... ওর সূত্রেই শ্বশুরপক্ষের সাথে আমার পরিচয় ঘটেছিল) এর আত্মীয়ের ছেলের একটা ফোঁড়া হয়েছিল। হাউ কাউ করে ছেলেকে সেন্ট্রাল হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলো। ওখানে ফোঁড়া গালিয়ে দিয়ে ব্যান্ডেজ করে দিয়েছে .. তারপর ঐ হাতটাকে গলার সাথে ঝুলিয়ে দিয়েছে (হাঁড় ভাঙ্গা রোগীদের যেমন দেয়) ---- এই পর্যন্ত কাহিনীতে কোন সমস্যা ছিল না .... কিন্তু এই কাজের জন্য ১২০০০ টাকা বিলটাই সব কেমন জানি করে দিল (হ্যাঁ ভাই, I repeat: বার হাজার টাকা!!)।
বর্তমানে গত রাত বাদ দিলে (আজ শুক্রবার বলে রাতে শাশুড়ি ছিলেন) চার রাত ধরে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালটাই আমার বাড়ি ঘর। এখানেই থাকি, খাই, ঘুমাই, গোছল করি ... এখান থেকেই সন্ধ্যায় অফিসে যাই (তখন শ্বশুর/শাশুড়ি পাহারা দেয়), অফিস শেষে এখানেই ফেরৎ আসি। বউ-এর রক্তের সমস্ত প্যারামিটারগুলো স্বাভাবিক হয়ে এসেছে .... তারপরেও কিছুটা অসুস্থ আছে। আগামী আরো দুই/এক মাস এমন যাবে, তারপর স্বাভাবিকভাবেই শরীরের হরমোন লেভেল এডজাস্ট হয়ে ঠিক হয়ে যাবে। এখন শরীরের অভাবগুলো স্যালাইন দিয়ে মিটিয়ে দিচ্ছে .... এ অবস্থায় বাসায় গেলে সমস্ত যত্নের মধ্যেও আবার এরকম হবে ... ১০/১২ দিন পর আবার এসে স্যালাইন নিতে হবে --- পরিচিতের মধ্যে দেশে/বিদেশে যারা এইরকম লক্ষণের মধ্য দিয়ে গেছেন, তাঁদের অভিজ্ঞতা তাই বলে। ব্যাপারটা অনেকটা ব্যাটারি চার্জ করার মত। একবার রক্তে পুষ্টির চার্জ দিলে এতে ১০/১২ দিন যায়।
বাবা হওয়ার পথটা মোটেও সুখকর নয় .... না জানি সামনে আরো কী কী সইতে হবে।
(এই লেখাটা গতকাল কেনা HP mini 1001TU নেটবুক কম্পিউটার ব্যবহার করে হাসপাতালে বসে লেখা। ৬ই-মার্চ-২০০৯, শুক্রবার দুপুর আড়াইটা)
মন্তব্য
আগাম অভিনন্দন!
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
অভিনন্দন জানাই, মা ও শিশু দুজনেই ভালো থাকুন।
স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে মানুষের অভিজ্ঞতাগুলো ব্লগে উঠে আসা প্রয়োজন। ইংল্যান্ডে শুনেছি জেনারেল প্র্যাকটিশনারদের রেটিং হয়। বাংলাদেশে কী হয়, জানি না। কিন্তু মানুষের অভিজ্ঞতাগুলো এইভাবে ক্রমযোজিত হলে যারা স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে, তাদের সম্পর্কে একটা চিত্র পরিষ্কার হয়।
ওয়াও, ভাইয়া বাবা হতে যাচ্ছেন কনগ্র্যাটস দোয়া করি ভাবী তারাতারি সুস্থ হয়ে যাবেন। আপনাদের ১৭মিমি বেবির জন্য অনেক দোয়া রইল
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
আগাম অভিনন্দন।
তবে খারাপ লাগল অভিজ্ঞতাগুলো শুনে।
আমাদের বেলায়, প্রথম যখন ডাক্তারের কাছে যাই, খুবই বিস্মিত হয়েছিলাম, ওয়েটিং রুমে বসেছিলাম, একটু পরে ডাক্তার ফাইল হাতে করে এসে নাম ধরে ডাকছে দেখে। বাংলাদেশে না, অস্ট্রেলিয়াতে। আজ, প্রায় ৭বছর পরও সেই একই ডাক্তারের কাছে যাই, মেয়েকে নিয়ে। বমি না হবার ওষুধ দিয়েছিল যে ডাক্তার সে এখন আমার মেয়েকে দেখে, মাঝে মাঝে হালকা রসিকতাও করে।
এমন পেশাদারী মনোভাব যে আমাদের দেশে কবে হবে?
ঢাকায় কতগুলো ক্লিনিকের কথা শুনলে তাদেরকে কসাইখানা উপাধি দেওয়া ছাড়া আর কোনও বিশেষণ পাইনা। যাই হোক হলি ফ্যামিলির চিকিৎসা সেবায় আমার বেশ ভরসা আছে। ভাবী এবং আপনাকে অভিনন্দন জানাই। আর সবরকম ঝামেলার মেঘ যেন ভবিষ্যতে আপনাদের মাথার উপর থেকে কেটে যায় সেই কামনাই করছি।
---------------------------------------
--------------------------------------------------------
আগাম অভিনন্দন শামীম ভাই। আশা করি ভাবী আর পিচ্চি দুইজনেই সুস্থ থাকবে।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
অভিনন্দন শামীম ভাই। বাবু এবং বাবুর মা যেন সুস্থ থাকেন। আমরা চাচা হচ্ছি।
অভিনন্দন । আশা করি মা ও অনাগত শিশু দুজনেই ইনশাল্লাহ সুস্থ থাকবে।
অভিনন্দন শামীম ভাই।
আল্লাহ মা ও সন্তান দুজনেই সুস্থ রাখুন।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
অনেক অনেক অভিনন্দন শামিম ভাই... দোয়া রইল মা ও শিশুর জন্ন্য...
কুয়াশা...
মিয়াভাই,
টেনশন কইরেন না...আশা করি, সব ঠিকঠাক মতোই হবে। ভাবী, পুচকি এবং আপনার জন্য শুভকামনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
অভিনন্দন । আশা করি মা ও অনাগত শিশু দুজনেই ইনশাল্লাহ সুস্থ থাকবে। তবে সাধু সাবধান। প্রসূতিবিদ এর সাথে সাথে বারডেমের কারো সাথেও কথা বলে রাখুন।
অভিনন্দন , তবে সাবধান। পবিত্র পরিবারেও মারাত্মক অমনোযোগিতা দেখবেন। আমার এক আত্মীয়াকে বাচচা, শরীরের নিম্নভাগের চেতনা, স্বামী, সব হারাতে হয়।
- প্রফেশনালিজম! বোধহয় এই জিনিষটার অভাব আছে আমাদের খুবই প্রকটভাবে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আগে ভাল খবরটার জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন। বাকিটার বেলায় সাবধান আপনি নিজেই থাকবেন, তাই বললাম না। বাংলাদেশ, বুঝেনই তো।
আমাকে একবার ভুল রিপোর্টে ব্লাড ক্যান্সারের রুগী বানিয়ে দিয়েছিল। তায় আবার বড় ডাক্তার নিজের হাতে টেস্ট করতে গিয়ে!
ইশতিয়াক ভাইয়ের মত আমাকেও ডাক্তার একবার একটা খুব বাজে ধরনের রোগী বানিয়ে দিয়েছিলো।
বাংলাদেশে আমাদের চিকিৎসা সেবা নিয়ে অভিজ্ঞতাগুলি জোড়া লাগালে বোধকরি ভালোর চেয়ে খারাপ দিকটাই বড় হয়ে যাবে।
তবে এসব হতাশার কথা থাক। অনাগত সন্তান এবং মা-এর সুস্থতা কামনা করছি, সেই সাথে শুভকামনা শামীম ভাইকে।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আগাম শুভ কামান... আপনেরা তিনজনেই সুস্থ্য থাকেন এই দোয়া করি...
_______________
এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
Lina Fardows
অনেক অনেক অভিনন্দন। তাও ভাল আপনি অন্তত ভাবীর কষ্ট ফিল করছেন, কিন্ত অনেক লোককে দেখেছি তাদের সামান্যতম সহানুভুতি এসময়ে থাকে না। ব্যাথায় আওয়াজ্ করলেও নাকি স্বামী বিরক্ত হয়। ভাবতেও অবাক লাগে সবই মনে হয় মেয়েদের দায়িত্ব।
Lina Fardows
অভিনন্দন। আপনাদের জন্য অনেক শুভকামনা থাকল, শামীম ভাই।
অভিনন্দন।
হলি ফ্যামিলির উপর আমি ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতার কারণে আস্থা রাখছি, তবে এর আগে যা বললেন- দুঃখজনক। আমাদের দেশের ডাক্তারী পেশার লোকেদের উপর এ জন্যেই সাধারণের আস্থা কমে যাচ্ছে...
আপনার অনাগত সন্তানের জন্যে সমৃদ্ধি কামনায়...।
(শব্দশিল্পী)
হা হা হা ! চাচা হবার জন্য কোন্ মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে শামীম ভাই ? দেরি সইছে না !
নতুন অভিজ্ঞতার জগতে আপনাকে স্বাগতম ! বাচ্চা চার বছর পূর্ণ হবার আগ পর্যন্ত আরো কতো কিছু যে সইতে হবে, এর মানসিক প্রস্তুতি এখনই নিয়ে নেন। তয় প্রাকৃতিক নিয়মেই সময় যাবে এবং যেতে থাকবে, দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
আগাম অভিনন্দন অনাগত মুখ এবং তার বাবা-মাকে। সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
অভিনন্দন। অনাগত বেবির এবং মায়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
অভিনন্দন
অভিনন্দন । তবে সামনে আছে জোর লড়াই , প্রস্তুত হোন ।
আমার অভিজ্ঞতা আরো ভয়ংকর । বউ ইন্টারনেট ঘেটে দুইদিনেই নিজেই গাইনী ডাক্তারের মা হয়ে বসলো । কোথায় জানি লেখা আছে , এই সময়ে মহিলাদের হরমোনের ব্যালেন্স নষ্ট হয়ে যায় , তাই তাদের মাথা ঠিক থাকে না । সেই দোহাই দিয়ে এই ৯ মাস সে দিব্যি আমাকে গালাগালি করে চললো , আমি কিছু বলতেও পারলাম না ।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
এ তো মন্দ না!
আপনি ডরাইলেন দেখে আমি আগাম খুশি হইসি!
কখনো কখনো আরো ভয়ংকর অবস্থা হয়, শ্বাসকষ্টও হতে পারে। অবশ্য সে সময় এখনো যায়নি।
অভিনন্দন আপনাকে মিয়াভাই।
সব ঠিকাছে, শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ইত্যাদি । কিন্ত লেখাটার বিষয়ে একটা কথা না বলে পারছি না । লেকাটার মূল বক্তব্য একজন ডাক্তারের মুর্খতাকে তুলে ধরা । কিন্ত সেটা করতে গিয়ে যে প্রকৃয়ায় সেলফ্ এক্সপোজার ঘটেছে তাতে ভয়ানক বিরক্তির উদ্রেক করে । আমাদের এই যুগে এই সংস্কৃতি পরিত্যায্য ।
আমার কাছে তা একদমই মনে হয় নাই। তাই দয়া করে 'মূল বক্তব্য', 'সেলফ এক্সপোজার' এবং 'আমাদের এই যুগ'য়ের সংজ্ঞাটা দিয়ে গেলেও বাধিত হতাম। আমি আগাগোড়াই লেখাটা উপভোগ করেছি এবং কোথায়ো নুন্যতম বিরক্তিরও উদ্রেক ঘটে নাই।
লেখককে অসংখ্য অভিনন্দন, মা ও অনাগত শিশুর সুস্থতা কামনা করছি। কবে যে ব্লগাচ্চু (ব্লগচাচ্চু ) হবার শুভ খবরটা পাবো!
*********************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
তরকারী খেতে মজা, কিন্তু সাথে রুটি/ভাত/ইত্যাদির ফিলার না থাকলে ঠিক তৃপ্তি হয় না .... এই আর কি।
ব্লগটা তো সংবাদপত্রের রিপোর্ট না, জার্নাল পেপারও না। এজন্য দিনপঞ্জী হিসেবে উল্লেখ করেছি। সেলফ এক্সপোজারের ব্যাপারটায় একমত। আপনি ছাড়াও আরো কারো বিরক্তি উদ্রেক করতেই পারে .... এজন্য ক্ষমাপ্রার্থী। আশা করি, সামনা সামনি বা ব্লগ/ফোরামে অনেকদিন ধরে যাদেরকে চিনি তাঁদের তেমন লাগবে না - কারণ এই বান্দা সম্পর্কে এগুলোর বেশিরভাগই তাঁদের জানা কথা।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
অভিনন্দন।
মা-শিশুর সুস্থতা কামনা করছি।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
অভিনন্দন, শামীম ভাই! মা, শিশু সুস্থ থাকুক।
---------------------------------------------------------------------------
If your father is a poor man, it's not your fault ; but If your father-in-Law is a poor man, it's definitely your fault.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
শুভকামনার জন্য সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ। পরামর্শগুলোও মনে থাকবে আশা করছি।
একটা তথ্য কিছুটা ভুল ছিল। রোগটার নাম হাইপারেমেসিস - অতিরিক্ত বমিভাব; তবে কারণ হিসেবে লেখার তথ্যটা ঠিক আছে বলেই মনে হয়।
এই তথ্যটুকু পোস্টে যোগ করে দিচ্ছি।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
অনেক অভিনন্দন আপনাদেরকে....
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
বাচ্চার খবর আসার কয়দিন পর থেকেই শুরু হলো নানান ভেজাল। নূপুরের শরীরে বন্যা হয়ে গেলো। পানির তোড়ে ফুলতে শুরু করলো সে। তারপর ডাক্তার বললো প্লাসেন্টা লোয়ার এবডোমেনে... তাই তার সবকিছুতে রেস্ট্রিকশন, এটা করা যাবে না, ওটা করা যাবে না। তার ওজন ৫৫ কেজি থেকে ৯২ কেজিতে গিয়ে ঠেকলো।
উত্তরা থেকে ধানমন্ডি পর্যন্ত নানান ঘাটে তিন তিনজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে চলতে লাগলো চিকিৎসা। বাচ্চা হওয়ার আগেই তারে হাসপাতালে নিতে হইলো তিনবার।
সে তো গৃহবন্দি হইলো, কিন্তু আমি কী করি? আমি বাইরে গেলে সে একলা একলা বাড়িতে তার সময় যেন কাটেনা। কান্নাকাটি করে। তাই আমি পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়া গৃহবাসী হইলাম। ঘরে বসে বসে নাটক লেখি আর বেচি। খালি টাকা আন্তে বাইরই বাড়ি থেকে। বাকি পুরা সময় দুজনে দুজনার।
তার মধ্যে তার নানান জায়গায় ঘুরতে যাইতে মঞ্চায়। যখন ডাক্তার তারে পারলে হসপিটালেও যাইতে নিষেধ করছে তখন তার যাইতে মন চাইলো ব্যাঙ্কক। নিতেই হইবো। কতো কষ্টে যে থামাইছি।
অবশ্য মাঝে মাঝেই সে বাপের বাড়িতে গিয়া থাকতো কিছুদিন। সেই কয়দিন ছিলো আমার ইচ্ছামতো কাটানোর। আহ্...
আমার বাচ্চা ধানমন্ডির একটা ক্লিনিকে হইলেও নানান সমস্যায় তারে নিয়অ যাইতে হইলো সেন্ট্রালে।
মোটের উপরে লাখের উপরে নেমে যায়... নিশ্চিন্ত থাকেন...
তবে সেই ভোরটা আমি কখনো ভুলবোনা। ভোরে ডাক্তার সিদ্ধান্ত চাইলো অপারেশন করবে কি না। আমি বললাম যা থাকে কপালে... কইরাফালান। তারপর আমার অপেক্ষার পালা। ভোরের স্নিগ্ধ আলোয় তখন বৃষ্টি পড়ছে ঝিরি ঝিরি। অপারেশন থিয়েটারের পাশের বারান্দায় আমি বসে বসে বৃষ্টি দেখছি। এসময় নার্স এলো বাচ্চা নিয়ে। সেই বাচ্চার দিকে আমি বেকুবের মতো তাকায়া থাকলাম।
তারপর দুনিয়ার লোকরে ফোন করা শুরু করলাম। তখন যে সবে ভোরবেলা, লোকে যে ঘুমাইতেছে সেই খেয়াল আমার নাই। সবাইরে ঘুম থিকা তুইলা তুইলা খবর জানাইলাম।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
যে অবস্থা দাড়াইছে, আমারও নাটক লিক্খা বেচতে মঞ্চায় ... ... ...
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
সেন্ট্রালে পয়সা নিলেও সেবা ভালো। মেয়েকে নিয়ে ছিলাম ২০০৩এ। তখন এ্যাপোলো বা স্কয়ার ছিলো না।
শামীম ভাই, সবার কিন্তু বাবা - মা হওয়ার প্রসিডিউরটা সুখকর হয় না। আমি খুব আশা রাখছি আপনাদেরটা যেনো আনন্দময় হয়।
বাচ্চার সাথে নোটবুকের জন্যও অভিনন্দন রইলো
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আগাম অভিনন্দন। আপনাদের জন্য অনেক শুভকামনা থাকল, শামীম ভাই।
শামীম ভাই আর ভাবীকে অভিনন্দন, এবং শুভকামনা নিরন্তর। নিশ্চয়ই সব ভালোয় ভালোয় হবে সামনে।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আগাম অভিনন্দন বাবা হবার।
আপনার এই লিখাটা খুবই প্রয়োজনীয় নতুন বাবা-মা দের।
বাঁচতে হলে আসলেই জানতে হবে......
নতুন মন্তব্য করুন