জ্বর ভালো লাগে

শামীম এর ছবি
লিখেছেন শামীম (তারিখ: সোম, ২৭/০৪/২০০৯ - ২:০২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গরমে কাহিল। সাথে শরীরে ঘাম শুকানোর কারণে যোগ হল জ্বর। টেলিভিশনে দেখলাম, এটা নাকি ভাইরাসের কারণে হয়। আসলে যা ভেবেছিলাম তার চেয়ে জ্বর বিষয়টা অনেক বেশি ভালো। আমার পর বউ জ্বরে পড়লো ... আর আজকে এক সহকর্মীর অভিজ্ঞতাও তাই। গ্রীষ্মকাল পুরাটা এরকম মৃদু জ্বর থাকলে খারাপ হতো না। সকলে গরমে হাঁসফাঁস আর জ্বরওয়ালার আবার কীসের গরম, বরং গায়ে কাঁথা .... .... বেশ মজা!

পত্রিকা, টেলিভিশন আর ব্লগে বিদ্যূৎ সমস্যা আর এর কারণ এবং এর থেকে পরিত্রানের বিভিন্ন উপায় নিয়ে বিস্তর আলোচনা হচ্ছে। গরম আর লোডশেডিং আর সেমিস্টার শেষের পরীক্ষার ফাঁপড়ে ব্লগে বসাই হয়ে উঠে না। এবার যখন লিখতেই (ড্রাফট) বসলাম তখন আরো কিছু মাথার পোকা নামিয়ে দেই।

এনার্জি সেভিং বাতিগুলো আমার খুব পছন্দের জিনিষ। কোনো এক সময় পড়েছিলাম যে টিউব লাইটের সাধারণ ম্যাগনেটিক ব্যালাস্টে নাকি সর্বক্ষণ প্রায় ১৫ ওয়াটের মত বিদ্যূৎ খরচ হতে থাকে যেটা এনার্জি সেভিং বাতিতে হয় না। আর ইনক্যান্ডেসেন্ট বাতি বা বাল্বের চেয়ে শক্তি সাশ্রয়ের অন্যতম একটা কারণ হল উপজাত হিসেবে তাপ উৎপাদিত হয়ে অপচয় হয় না। একটা বাল্বের শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ শক্তিই তাপশক্তি হিসেবে নষ্ট হয়, মাত্র ২০% শক্তি আলো উৎপাদন করে (আনুমানিক হিসাব)। এজন্যই ২০ ওয়াটের এনার্জি সেভিং বাতি থেকে ১০০ ওয়াটের বাল্বের সমান আলো দেয়।

প্রচলিত পদ্ধতিতে বিদ্যূৎ উৎপাদনে জীবাষ্ম জ্বালানী খরচ হয়। এই পদ্ধতিতেও কিন্তু উপজাত হিসেবে তাপ উৎপাদন হয়। এই তাপটুকু বাদ দিয়ে যদি এনার্জি সেভিং বাতির মত কোন উপায়ে বিদ্যূৎ উৎপাদন করা যেত তাহলেও হয়তো অনেক সাশ্রয় হত। একই ভাবে যদি কোনো উপায়ে গাড়ির ইঞ্জিনের উৎপাদিত তাপটুকু বাদ দিয়েই শুধুমাত্র গতিশক্তিটুকু পাওয়া যেত তাহলে কতই না শক্তি সাশ্রয় হত।

উপরের কল্পবিজ্ঞানের মত সাশ্রয়ের উপায় এখনও আবিষ্কৃত হয়েছে বলে শুনিনি .... তবে যতদুর জানি, ফুয়েল সেল টেকনোলজি সম্ভবত ঐ ধরণেরই। যা হোক এই রকম একটা তাপ অপচয় কমিয়ে সাশ্রয়ী উপায় থাকা সত্ত্বেও আমরা কেন জানি ঐ পথে ভুলেও যাই না। একটু ভেঙ্গেই বলি .. ... ....

সাধারণ প্রচলিত চূলাতে আগুনের শিখার তাপ অনেকটুকুই রান্নার কাজে না লেগে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। এই তাপ তথা জ্বালানী অপচয় রোধ করতে উন্নত চূলাগুলো এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যে রান্নার সময় চারপাশ দিয়ে তাপ বেরিয়ে যেতে দেয় না, ফলে অপচয় কমিয়ে দেয় এবং জ্বালানী সাশ্রয় হয়। এই সাশ্রয়ী চূলা ব্যবহারের ফলে একটা পরিবারের জ্বালানী/লাকড়ির খরচ অর্ধেকেরও বেশি কমে যায় (তথ্যসূত্রও আছে )। অথচ, চারিপাশে কত হাজার হাজার গ্যাসের চূলায় এইরকম তাপ সাশ্রয়ের কোন চেষ্টাই করা হয় না।

সাধারণ গ্যাস বার্নারগুলোকে ওরকম জ্বালানী সাশ্রয়ী উন্নত চূলার মত উন্নতকরণের কোন গবেষণা হয়েছে কি না জানিনা। তবে না হয়ে থাকলে এই বিষয়ে কিছুটা নিরীক্ষা করা যেতে পারে ... ... আন্ডারগ্রাজুয়েট থিসিস করানোর জন্য এটা ভালো বিষয় হতে পারে: আদৌ এটা সম্ভব কি না, হলে কতটুকু সম্ভব, এর ফলে সারাদেশে দৈনিক কতটুকু জ্বালানী সাশ্রয় করা সম্ভব - এগুলো থিসিসের লক্ষ্য হতে পারে। আরেকটা উপকার হবে যে, এটার সফলতা জানলে এই ধরণের চূলা বায়োগ্যাস উৎপাদন ইউনিটের সাথে ব্যবহার করলে বায়োগ্যাস প্লান্টের কার্যদক্ষতা আগে বলা পরিমাণের চেয়ে অনেক বেড়ে যাবে।

জ্বরের কাহিনী ফেঁদে (সত্য ঘটনা যদিও) এইসব খটমটে জিনিষ (ভিশনারি পোস্ট!) পড়ানোর জন্য সম্ভবত ক্ষমা চাওয়া দরকার ... ...


মন্তব্য

মাহ্‌দী এর ছবি

আগুন জ্বলতে অক্সিজেন না লাগলে হয়ত এভাবেই সবাই কাজ করত । বদ্ধ যায়গায় আগুন ভালো জ্বলে না দেখে হয়তো মানুষ খোলা পদ্ধতিতে চুলা বানানো শিখেছে । আর মানুষের অভ্যাস পরিবর্তন অনেক কঠিন কাজ ।

শামীম এর ছবি

লাকড়ির যে উন্নত চূলাগুলো আছে ওগুলো যেভাবে জ্বলে গ্যাস বার্নারে শুধু লাকড়ির পরিবর্তে গ্যাস জ্বলবে। দুটোতেই অক্সিজেন বা বাতাস দরকার হয়। এই অক্সিজেন বন্ধ করার কথা বলা হচ্ছে না। হাড়ির/কড়াইয়ের চারপাশ দিয়ে আগুনের শিখার সাথে অধিকাংশ তাপই যে বের হয়ে আশে পাশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করছে সেই বিষয়টার প্রতি মনোযোগ আকর্ষনের চেষ্টা করা হয়েছে।

একই রকম একটা ঘটনা কল্পনা করুন: প্রচন্ড গরমে এয়ার কুলার চালিয়েছেন ... কিন্তু ঘরের সমস্ত দরজা জানালা খোলা। তাহলে ঠান্ডা বাতাসের অধিকাংশই বাইরে চলে যাবে, ঘর ঠান্ডা করতে সামান্য অংশ রয়ে যাবে। গ্যাসের চূলার আগুনের তাপগুলো সেরকম ভাবেই অপচয় হয়।

সমীকরণ আকারে অনেকটা এরকম (আনুমানিক):
প্রযুক্ত তাপ (জ্বালানী পুড়িয়ে) = রান্নার রাসায়নিক পরিবর্তনে ব্যবহার (২০%)+ অপচয়/আশেপাশের স্থানীয় তাপমাত্রা বৃদ্ধি (৮০%)

অপচয়ের অংশটা ৮০ থেকে যদি ৩০ এ নামিয়ে আনা যায় তাহলে ৫০% জ্বালানী সাশ্রয় করা সম্ভব।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

জিজ্ঞাসু এর ছবি

জ্বর ভাল লাগে বলায় প্রথমে একটু বিস্মিত হয়েছি।
যাহোক, আপনি এখানে বেশ কাজের কথা বলেছেন। জ্বালানী বা শক্তির অপচয় রোধে অবশ্যই আপনার উল্লেখিত বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু খুঁটিনাটি এসব বিষয়ের দিকে গবেষকদেরই মনযোগ নেই সাধারণ ব্যবহারকারীদের মনযোগ কোথা থেকে আসবে। অভ্যাসের পরিবর্তন বা ডিসিপ্লিনড্ হওয়ার বিষয়টা টপ টু বটম পদ্ধতিতে কার্যকর। ডিসিপ্লিন অবশ্যই চাপিয়ে দেয়ার বিষয়। অর্থাৎ ডিসিপ্লিন আগে নির্ধারিত হতে হবে। তারপর সাবজেক্ট অর্থাৎ মানুষ সে ডিসিপ্লিন অনুযায়ী চলবে। তার জন্য প্রথমে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে তারপর আসবে গবেষণা, বাজারে নতুন প্রযুক্তির সহজলভ্যতা ইত্যাদি; অতপর মানুষ শক্তি সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহারে অভ্যস্ত হবে। গবেষণা ছাড়া কোন জাতির উন্নতি সম্ভব না। আমাদের তাই বেশি বেশি গবেষণার দিকে ঝুঁকতে হবে।

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

শামীম এর ছবি

আমি মাঝে মাঝে দ্রুত কাপড় শুকানোর জন্য (মোজা বা ইত্যাদি) ওগুলোকে টিভি বা কম্পিউটারের মনিটরের উপরে মেলে দেই। এই মেশিনগুলো চলার সময় উৎপন্ন তাপ গুলো আমার কাজে লাগে। হাসি

গরম বাতাসের বাষ্পধারণ ক্ষমতা বেশি বলে, ভেজা কাপড়ের পাশ দিয়ে ওগুলো যাওয়ার সময় দ্রুত জলীয় অংশ শুকিয়ে যায়।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

শামীম ভাই, আপনার প্রায় সব পোস্টই এরকম। এটার খুবই দরকার আছে। মাঝে মাঝে ভাবি নিজেদের প্রয়োজনে নিজেদেরকেই প্রযুক্তির উদ্ভাবন করতে হবে। নতুন করে চাকা আবিস্কার করতে হলে তা-ও, যদি সেটা দেশের সাথে খাপ খায়। দেশে এত রিসোর্সের অপচয় রোধ করতে পারলে সেটা থেকে যা সাশ্রয় হবে তা দিয়ে অন্য প্রয়োজন অনায়াসেই মেটানো যেতে পারে।

শামীম এর ছবি

গল্প কবিতা ... এসব আমার দ্বারা হয় না মন খারাপ .... কিন্তু সচলায়তনের সদস্য হিসেবে আর কতদিন ডুব দিয়ে থাকা যায় ... ... কিছু তো লিখতে হবে।

এখান থেকে কিছু ফীডব্যাক নিয়ে কয়েকজন ছাত্রকে এই বিষয়ে লাগিয়ে দেয়া যায় কি না ভাবছি .... চিন্তিত
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

বিপ্রতীপ এর ছবি

উপরের কল্পবিজ্ঞানের মত সাশ্রয়ের উপায় এখনও আবিষ্কৃত হয়েছে বলে শুনিনি .... তবে যতদুর জানি, ফুয়েল সেল টেকনোলজি সম্ভবত ঐ ধরণেরই।

ফুয়েল সেলে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনের বিক্রিয়ায় সরাসরি ডিসি বিদ্যুত এবং উপজাত হিসেবে পানি এবং তাপশক্তি উৎপন্ন হয়।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...

শামীম এর ছবি

বিপ্র ... কতটুকু তাপ উৎপন্ন হয়? খুব বেশি নাকি?

exothermic reaction এর সাথে কোনো endothermic reaction ঘটে এমন বিষয়কে জুড়ে দেয়া যায় না?
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

বিপ্রতীপ এর ছবি

This is particularly challenging as the 2H2 + O2 -> 2H2O reaction is highly exothermic, so a large quantity of heat is generated within the fuel cell. (Wikipedia)

কোন কোন ফুয়েল সেলের কর্মদক্ষতা খুব কম হয়। উৎপন্ন তাপশক্তি ঠিকঠাকমতো ব্যবহার করতে পারলে কর্মদক্ষতা ৬০% থেকে ৮০% এ উন্নীত করা সম্ভব [তথ্যসূত্র]

সুতরাং, বেশ ভালোই তাপ উৎপন্ন হয়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

লিখতে শুরু করেই নিশ্চয়ই জ্বর ভালো হয়ে গেছে? হাসি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

শামীম এর ছবি

জ্বর গেছে ... তাই গরম লাগছে মন খারাপ
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

উপযোগী পোস্ট চলুক

মাহ্‌দী এর ছবি

ফুয়েল সেলে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনের বিক্রিয়ায় সরাসরি ডিসি বিদ্যুত এবং উপজাত হিসেবে পানি এবং তাপশক্তি উৎপন্ন হয়।

এই হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন ভাংতে তো অনেক তাপ লাগবে । কারন বাতাসে H2 এর পরিমান মাত্র 0.000055% । আর যদি বলা হয় , পানি ভেঙ্গে হবে , তাহলে তো যা , তাই থাকলো । পানি ভাংতে সমপরিমান ( বেশি ই আসলে , ১০০% কর্মদক্ষতা বাস্তবে প্রায় অসম্ভব ) তাপশক্তি ও ডিসি বিদ্যুত লাগবে ।

শামীম এর ছবি

ফুয়েল সেল বা জ্বালানী কোষের বিক্রিয়াগুলো তাপোৎপাদী।
তথ্যসূত্র:
বাংলা উইকিপিডিয়া (বিপ্রতীপের সংক্ষিপ্ত লেখা)
ইংরেজি উইকিপিডিয়া
হাউ স্টাফ ওয়র্কস।
মোটামুটি ভাল ধারণা পাওয়ার জন্য আমাকেও এগুলো পড়তে হবে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

রণদীপম বসু এর ছবি

হুঁমমমম.....

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

শামীম এর ছবি

হুমম্ ...... জানুশিরাসন কর্তেছি ... ....
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

আপনার লেখাগুলো সর্বদাই চমৎকার লাগে! বিষয় নির্বাচনে আপনার পটুত্ব বরাবর আমাকে মুগ্ধ করে।
থিসিস এর আইডিয়াটা বেশ। কিন্তু বাস্তবে আমরা থিসিস করি এমন সব জটিল বিষয় নিয়ে যেগুলো দিয়ে দেশে কিছই হবার নয়; খালি বিদেশে স্কলারশিপের পথ সুগম করে হাসি
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

শামীম এর ছবি

যার যেটা ধান্দা ... ... বিষয় নির্বাচনও ধান্দা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকে। হাসি এছাড়া গরম আবহাওয়ায় গরমের জন্য দায়ী বিষয়গুলো যেন গরম না ছড়ায় এমন চিন্তাও মাথায় গুতায় .. ... ....

এখন পর্যন্ত আমার কাছে থিসিস করতে আসা ছাত্রগণ সবাই বয়স্ক, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার .. ... ... একটা গ্রুপকে এই পথে উদ্বুদ্ধ করা যাবে বলে মনে হচ্ছে (চাকুরী থেকে অবসর নেবেন এমন বৃদ্ধ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারও আছেন ঐ গ্রুপে!!)।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ইশ্... চারদিকে জ্বর। আমার মেয়েটারও। কাল রাতে ১০৫ পর্যন্ত উঠছিলো... মন খারাপ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

স্নিগ্ধা এর ছবি

ভাইরাল কিছু? এখন কেমন?

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

তাহলে তো অনেক জ্বর।
নিধিসোনা সুস্থ হয়ে উঠুক তাড়াতাড়ি।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

শামীম এর ছবি

যে সকল এলাকায় সিলিন্ডারের গ্যাস ক্রয় করে ব্যবহার করতে হয় সেসব এলাকার মানুষ সাশ্রয়ের জন্য প্রেশার কুকারে রান্না করেন /করতে পারেন। এতে প্রায় ২৫% জ্বালানী সাশ্রয় হয় (ভারতীয় টিভি বিজ্ঞাপনে এমনই বলে)। পাশাপাশি উন্নত তাপ অপচয়রোধী চূলা বানানো সম্ভব হলে আরো সাশ্রয় হবে। ফলে দেশের ক্ষয়িষ্ণু প্রাকৃতিক গ্যাস সাশ্রয় হবে ... ২০১১ সালে শেষ হওয়ার বদলে (এখন যেমনটি শোনা যায়) হয়তো এটা আরো দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যাবে। পাশাপাশি তাপ অপচয় কমলে দুইভাবে বৈশ্বিক উষ্ণায়ণ কমানোতে ভূমিকা রাখবে:

  • এতে তাপ ছড়িয়ে পড়বে না বলে উষ্ণায়ন কম হবে।
  • জ্বালানী কম পোড়ানোর ফলে কম কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস নির্গত হবে।

এর সাথে সাথে জৈব পদার্থ থেকে উৎপন্ন বায়োগ্যাস ব্যবহার বাড়ালে দুইভাবে উপকার হবে:

  • জীবাশ্ম জ্বালানীর মজুদের উপরে চাপ আরও কমে যাবে ... ফলে এটা আরও দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যাবে।
  • প্রাকৃতিক উপায়ে জৈব পদার্থগুলো পচনের ফলে যে মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হয় তা কার্বন ডাই-অক্সাইডের চেয়ে ৩০ গুণ বেশি বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ঘটায়। এগুলো ওভাবে পঁচতে না দিয়ে গ্যাস উৎপাদন করে সেই গ্যাস পুড়িয়ে ফেললে মিথেনের বদলে কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হবে, ফলে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী গ্যাস নিঃসরণ কমে যাবে।

অর্থাৎ, আমাদের যেই প্রযুক্তিগুলো দরকার তা হলো:

  • জ্বালানী সাশ্রয়ী / তাপ অপচয়রোধী চূলা
  • রান্নার জন্য প্রেশার কুকার ব্যবহার করা
  • অধিক হারে বায়োগ্যাস ব্যবহার করা

(সমৃদ্ধকরণের পরে পরিবেশ প্রকৌশলীর প্যাচালে প্রকাশ করা হলো)
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।