লিনাক্স পুরা ফালতু - ব্যবহার করে দিনকে দিন হতাশ হচ্ছি

শামীম এর ছবি
লিখেছেন শামীম (তারিখ: রবি, ৩১/০৫/২০০৯ - ১০:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

উইন্ডোজে খেলার জন্য নিড ফর স্পীড বলে একটা গেম আছে। কঠিন লড়াই করে গাড়ীর দৌড় প্রতিযোগীতায় জিততে হয়। ওটা খেলতে কঠিন মজা পেতাম। প্রতিটা চ্যালেঞ্জ জিততে দারুন মজা। কয়েকদিন পরেই কম্পিউটারের প্রতিযোগীগুলো কোনক্রমেই পেরে উঠতো না। বন্ধু বান্ধবের যারা খেলতো তারা তো কম্পিউটারের সাথেই পারে না। আমার সাথে পেরে ওঠার প্রশ্নই ওঠে না ... ... তাই ওদের সাথে খেললে মজা নষ্ট হয়ে যায়। আমার ছোট দুই ভাইও কঠিন গেমার ছিল ... ওদের সাথে তাই জমতো। এছাড়া কল অব ডিউটি বা সিমসিটি টাইপের স্ট্রাটেজি গেমগুলোও চরম আকর্ষনীয় ছিল। সবসময়ই টানটান উত্তেজনা আর চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জ না থাকলে যে কোনো গেমই ম্যাড়ম্যাড়ে হয়ে যায়।

লিনাক্স ব্যবহার শুরু করে ভেবেছিলাম কঠিন একটা বিষয় আয়ত্তে আনছি ... চ্যালেঞ্জ জয় করছি .... কঠিন ভাব নেয়া যাবে। লোকজন ইমপ্রেস হবে। আজ এটা সমস্যা, কাল ওটা সমস্যা .... রাতে চিন্তায় ঘুম হবে না, চোখের নিচে কালি পড়বে। এই করতে হবে, সেই করতে হবে .. ... দুশ্চিন্তায় ডায়বেটিস হয়ে যাবে, হার্টের সমস্যা দেখা দিবে, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাবে ..... .... লোকজন জিজ্ঞেস করলে মুখ ঝামটা দিয়ে বলা যাবে ... "ধুর মিয়া অফ যান - জানেন নাতো কী রকম দৌড়ানীর উপরে আছি"। আহ .... কী চরম চ্যালেঞ্জ আর উত্তেজনা।

আমার সে আশায় গুড়ে বালি। লিনাক্সে কোন চ্যালেঞ্জই নাই। একেই তো বিনামূল্যে দেয় সেজন্য জুয়া খেলে টাকা হারাবার মত উত্তেজনা নাই, তার উপর চৌর্যবৃত্তির দারুন থ্রীল পুরাটাই মিস ....... অথচ পাইরেটেড উইন্ডোজে কত্ত উত্তেজনা; আজকে জেনুইনিটি টেস্ট কালকে ম্যালওয়্যার, পরশু ভাইরাস .... চ্যালেঞ্জের পর চ্যালেঞ্জ ... কখনই ম্যাড়মেড়ে ভাব নাই।

জেনুইনিটি টেস্টের সেই উইজেটটা নিউট্রাল করা দারুন উত্তেজনাকর .... বিল কাকুর মাইক্রোসফটকে টেক্কা দেয়া বলে কথা! ইন্টারনেট ঘেটে পদ্ধতি বের করে তারপর প্রসেস বন্ধ করতে হয়, ফাইল মুছতে হয়, রেজিস্ট্রি এন্ট্রি মুছতে হয় .... এজন্য ব্যাকআপ নিতে হয় কারণ ভুল ভাল হয়ে গেলে মেশিন বসে যাবে ---- ওয়াও!! এরকম টান টান উত্তেজনা না থাকলে জীবন চলে! অবশ্য, অরিজিনাল উইন্ডোজ ব্যবহার করলে এইসব করা লাগবে না - অন্তত তাই হওয়ার কথা। অবশ্য চুপি চুপি জানিয়ে রাখি, অরিজিনাল উইন্ডোজ ব্যবহারকারীগণ হতাশ হবেন না ... ... বিল কাকুর এই উইজেট আপনাদের জীবনেও উত্তেজনার আনন্দ দিতে পারে ... অনেক অরিজিনাল / জেনুইন ব্যবহারকারীকেও এই উইজেট পাইরেটেড বলেছে বলে শোনা যায় --- অবশ্য এতে উত্তেজিত হয়ে কারো হার্ট এ্যাটাক হয়েছে বলে শুনিনি।

তারপর ধরুন নতুন নতুন উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমগুলো হাইফাই হার্ডওয়্যার ছাড়া চলে না। অনেক ড়্যাম, অনেক বড় হার্ডডিস্ক, উচ্চমার্গীয় প্রসেসর এই সব লাগেই। এ্যাতসব হাইফাই হার্ডওয়্যার কিনলে কত ভাব নেয়া যায়, বলা যায় যে ঐসব বড় বড় হার্ডওয়্যার কম্পানিকে আমরা বাঁচিয়ে রেখেছি -- অথচ ব্যাটা ফাউল লিনাক্স, কম শক্তির পিসিতেও নাকি অনায়েসে চলে। শালার ... টাকা খরচের উপায়ই নাই।

তারপর ধরেন, ভাইরাস ভাইদের কথা। সবসময় কত উত্তেজনার মধ্যে রাখে - এই মারলো রে তো সেই মারলো করে সবসময় হৈ হুল্লোরের মধ্যে থাকা যায়। একবার দেখা গেল সকলের স্ক্রীনে ছোট ব্যানারে কী জানি হ্যাক ডে লেখা দুইটা আস্তে আস্তে ইতস্তত ঘুরাঘুরি করছে। যত ক্লিক করা হয় তত বংশ বৃদ্ধি করতে থাকে। ইন্টারনেট ঘেটে ঐটা দুর করার পদ্ধতি দেখে খুঁজে খুঁজে ওগুলো মোছা হল .... .... বলেন তো, একঘেয়ে জীবনের মধ্যে এমন ব্যতিক্রম না থাকলে ভাল লাগে! অথচ আমার কম্পিউটারে এমন কিছুই নাই। ভাইরাস নাকি বানানোরও কোন রাস্তা খোলা রাখে নাই।

আগে লিনাক্সে ভাল কোনো গেম ছিল না। তাই বড় হয়ে গিয়েছি এমন একটা ভাব আসতো। কিন্তু দেখেন কারবার, এখন দূর্দান্ত থ্রী-ডি গেমও চলে এসেছে। বড় বড় ভাব নেয়ার উপায় নাই।

আগে দেখতাম বড় ভাইরা কালো স্ক্রিনে কাজ করে ভাব নিত... ডসের মত কালো স্ক্রীনে কী কী হিজিবিজি লেখা উঠতো সেগুলো দেখে বিজ্ঞের মত মাথা নাড়াতো। ভাবলাম লিনাক্স ব্যবহার করলে তেমন ভাব নেয়ার সুযোগ হবে। কিন্তু সেই আশাও পুরা হওয়ার কোনো উপায় নাই। লিনাক্সে গ্রাফিকালি ক্লিক করেই সব করা যায় - ধ্যা-এ্যা-ত্ ।

অনেক আগে ১০ গ্রাম ঘুরে একজন মেট্রিক পাশ লোক পাওয়া যেত। একনামে সকলেই তাদেরকে চিনতো। কিন্তু এখন সেইরকম অবস্থা নাই। আমার ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার বলেছিল তাঁদের সমস্ত গ্রাহকদের মধ্যে আমি আর একজন - এই দুইজনই শুধু লিনাক্স ব্যবহার করে। তাই আলাদা ভাবে আমাদের কথা মনে থাকে। কিন্তু ইদানিং যে দ্রুত হারে ব্যবহারকারী বাড়ছে ... তাতে সেই রেয়ার স্পিশিজ বলে ভাব নেয়ারও উপায় দুর হয়ে যাচ্ছে --- নাহ্ লিনাক্সটা আসলেই যাচ্ছেতাই হয়ে গেল।

"জানিস আমার পিসি না হ্যাক হয়ে গিয়েছিলো ... যখন বুঝতে পারলাম তখন তো সাথে সাথে ইন্টারনেট ডিসকানেক্ট করলাম। তারপর সব রিইনস্টল দিয়ে ফায়ারওয়াল দিয়ে কত কি করে আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসলাম।" ইত্যাদি ইত্যাদি কত গল্প করার বিষয় তৈরী হয় যেগুলো লিনাক্সে হওয়ার সুযোগই নাই --- হতচ্ছাড়া লিনাক্সের কারণে বন্ধু বান্ধবের সাথে আলাপ করার বিষয়বস্তু কমে যাচ্ছে।

সুতরাং হে রক্ত গরম যুবা, চ্যালেঞ্জিং জীবন চাইলে সেনাবাহিনীতে যোগ দিন, সেটা সম্ভব না হলে পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার করুন; ভুলেও লিনাক্স চালানোর কথা ভাববেন না।


মন্তব্য

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

হা হা।
মজা পেলাম গড়াগড়ি দিয়া হাসি

অনিকেত এর ছবি

হা হা হা --

রাসেল [অতিথি] এর ছবি

জটিল লিখেছেন শামীম ভাই! দেঁতো হাসি

শামীম এর ছবি

মু-হা-হা-হা ... মু-হা-হা-হা .....

লিনাক্সরে গুল্লি করবো।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

সবজান্তা এর ছবি

০১

আগে দেখতাম বড় ভাইরা কালো স্ক্রিনে কাজ করে ভাব নিত... ডসের মত কালো স্ক্রীনে কী কী হিজিবিজি লেখা উঠতো সেগুলো দেখে বিজ্ঞের মত মাথা নাড়াতো। ভাবলাম লিনাক্স ব্যবহার করলে তেমন ভাব নেয়ার সুযোগ হবে। কিন্তু সেই আশাও পুরা হওয়ার কোনো উপায় নাই।লিনাক্সে গ্রাফিকালি ক্লিক করেই সব করা যায় - ধ্যা-এ্যা-ত্ ।

হা হা হা...

এই প্যারা পড়ে হাসতে হাসতে...

আমিও একই কাজ করতাম কম বয়সে। ২০০১/০২ যখন কলেজে পড়ি, প্রথম স্ল্যাকওয়্যার ইন্সটল করি পিসিতে ( নিজের করার সাহস/ক্ষমতা ছিলো না, আমার এক কাজিন, বর্তমানে নেটওয়ার্ক দিকপাল একজন, ওই করে দিয়েছিলো)। সেই সময় বন্ধুদের কাছে যে ভাব নিতাম। ব্ল্যাক স্ক্রিনে কমান্ড লিখছি, কিংবা মাঝে মাঝে GUI কে দয়া করে শেলে StartX লিখছি...

রেডহ্যাটে যখন আসলাম ততোদিনে নিজেই বড় পাকনা হয়ে গিয়েছি। নিজেই ইনস্টল করলাম পিসিতে, ভাব নেওয়া আরো বাড়লো। এর পর হার্ড ডিস্ক ক্র্যাশে লিনাক্সটা ফেলে দিতে হলো। বহুদিন পর যখন আবার লিনাক্সে এলাম, ততোদিনে উবুন্টু লিনাক্স ব্যাপারটা এমন ডালভাত করে ফেলেছে যে, ছ্যাঃ...

০২

লেখাটা অসাধারণ হয়েছে শামীম ভাই। আপত্তি না থাকলে ফেসবুকে লিঙ্ক শেয়ার করতে চাই।


অলমিতি বিস্তারেণ

শামীম এর ছবি

শেয়ার করেন ... যুব সমাজকে ভাল পরামর্শ জানানো দরকার।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

মজার হইছে। তবে আমার ঘরে বস্তা নিয়ে কোন থ্রিল নাই। এক বছরের বেশী সময় আগে ইনস্টল করা, সেই আগের মতই দৌড়ায়। মাঝে মাঝে আপডেট দেয়া লাগে অবশ্য। প্রতিদিন এভিজি'র ভাইরাস-ব্যাকটিরিয়া গার্ডটাকে আপডেট না দিলে অবশ্য থ্রিল হয়তো কিছুটা পেতাম। কি জানি জানিনা তো। বাসার মেশিনগুলোতে সবই বিল কাগুর জিনিস দিয়ে ভরা। দু:খজনক বিষয় হলো চুরি করা না বলেই বোধহয় থ্রিল পাইনা।

চুপিচুপি বলে রাখি কালো স্ক্রীনেও আমি কাজ করি। আমার ভিপিএসগুলো সবই ফ্রিনাক্সে চলে হাসি তবে ঘরের কাজে বস্তাই ভরসা। বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে।

শামীম এর ছবি

এ মা-আ .... .... আপনিও কালো স্ক্রীনে কাজ করেন! ইশ্ আমি যে কবে পারবো মন খারাপ --- আপাতত স্ক্রীনে কালো রং দিয়ে রাখি শুধু।

BTW: বস্তা নামটা বিষ্ঠার চেয়ে ভালো। চলুক
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনার লেখাটা ব্যাপক হিট করবে। যেখানে সেখানে এটাকে ছড়িয়ে দেয়া দরকার।

দ্রোহী এর ছবি

হ কথা সত্য। ভুলেও লিনাক্স ব্যবহার কইরেন না। তাহলে দেশের সব গোপন তথ্য পাচার হয়ে দেশের ভাবমুর্তির ইয়ে মারা দিয়ে দেবে। দেঁতো হাসি

জি.এম.তানিম এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

Farhan এর ছবি

জটিল লিখেছেন ভাই.....

নিবিড় এর ছবি

হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আমি ইহজীবনে লিনাক্স-উবুন্টু হাতিয়ে দেখিনি। এই ব্যাপারে কোন ধারণাই নেই আমার। এ'নিয়ে আপনার বেশ কয়েকটা লেখা পড়েছি। প্রতিবারই কিছু প্রশ্ন আমার মাথায় ঘুরেছে। এ'বার তার থেকে কিছু প্রশ্ন করছিঃ

আমাদের অফিসে কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে গত ১৫ বৎসর ধরে। এই সময়ে ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট, অ্যাকসেস ইত্যাদি সব প্যাকেজে কয়েক হাজার ফাইল তৈরি করা হয়েছে। এই ফাইলগুলো ছাড়া অফিস অচল। এখন আমাদের অফিসের সিস্টেম যদি লিনাক্সে পরিবর্তন করা হয় তাহলে এই ফাইলগুলোর কী হবে? লিনাক্স থেকেও কি সেগুলো ব্যবহার করা যাবে?

আমাদের কয়েকশ' কাস্টোমার, কন্ট্রাকটর, সার্ভিস প্রভাইডর এবং সাপ্লায়ারের কেউ লিনাক্স ব্যবহার করেন না। লিনাক্সে গেলে তাদের সাথে আমাদের যোগাযোগ এবং ফাইল চালাচালি কীভাবে করা যাবে?

ইনভেন্টরি, অ্যাকাউন্টস, সিকিউরিটি, প্রোডাক্ট ডিজাইন ইত্যাদি সব কাজে বাজার থেকে কেনা বা হাতে বানানো যে সব সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় লিনাক্সে গেলে সেগুলোর গতি কী হবে?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

শামীম এর ছবি

(অফটপিক)
ওপেনঅফিস.অর্গ নামক যে অফিস সফটওয়্যার বেশিরভাগ লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশনে ডিফল্ট দেয়া আছে তা দিয়ে এম.এস. ওয়র্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট, অ্যাকসেস -- সবগুলোর পুরাতন ফাইল খোলা এবং নতুন ও পুরাতন ফাইলে কাজ করে সেভ করা যায়। (ওপেনঅফিস.অর্গ এর ফ্রী উইন্ডোজ ভার্সানও আছে - ওটা ব্যবহার করে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যেতে পারে)

যেহেতু লিনাক্সে এই সব করে এম.এস.ওয়র্ড ফরম্যাটে সংরক্ষণ করা যায়, তাই অনলাইন চালাচালিতে অসম্ভব হবে না। তবে, ফাইলের কিছু জিনিষ পরিবর্তন হতে পারে - যেটা ওয়র্ড এক্স.পি. তে থিসিস লিখে নিলক্ষেতে প্রিন্ট দিতে গেলে ওয়র্ড ৯৮ করে - সেই ধরণের। তবে এর সমাধান হিসেবে নিজের অফিসে পিডিএফ ব্যবহার করি (পিডিএফ বানানোর সুবিধাটা ওপেন অফিসে বিল্ট ইন)।

পাশাপাশি wine নামক একটা প্রোগ্রামের সাহায্যে সরাসরি অনেক উইন্ডোজ বেজড সফটওয়্যার চালানো যায়। আর, ভার্চুয়াল মেশিনের সুবিধাটাও ব্যবহার করা যায়। যদি অফিসে সবকিছু লাইসেন্সড বস্তু কিনে ব্যবহার করা হয় তবে কেন আর কষ্ট করে লিনাক্সের মত ফালতু একটা জিনিষে আসবেন! ভার্চুয়াল বক্স নামক প্রোগ্রাম দিয়ে লিনাক্সের মধ্যেই উইন্ডোজ এবং এর সফটওয়্যারগুলো চালাতে পারবেন -- অবশ্য মেশিনে ড়্যাম একটু বেশি লাগবে।

ইমেইলের জন্য তো ঐসব কিছুর দরকার নাই। আর, কম গুরুত্বপূর্ণ ফাইল চালাচালি করতে হলে গুগল ডকস ব্যবহার করে শেয়ার করি।

আপাতত হালকা ধারণা পাওয়ার জন্য লিনাক্স ইনস্টল না করে বরং এর লাইভ সিডি চালিয়ে চেখে দেখতে পারেন।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

হাসিব এর ছবি

আমাদের অফিসে কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে গত ১৫ বৎসর ধরে। এই সময়ে ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট, অ্যাকসেস ইত্যাদি সব প্যাকেজে কয়েক হাজার ফাইল তৈরি করা হয়েছে। এই ফাইলগুলো ছাড়া অফিস অচল। এখন আমাদের অফিসের সিস্টেম যদি লিনাক্সে পরিবর্তন করা হয় তাহলে এই ফাইলগুলোর কী হবে? লিনাক্স থেকেও কি সেগুলো ব্যবহার করা যাবে?

এমএসঅফিসে যদি ম্যাক্রো ব্যবহার না করে থাকেন তাহলে কোন সমস্যা হবে না । ম্যাক্রো, পিভোট টেবিল ইত্যাদিতে ঝামেলায় পড়তে পারেন । আরেকটা সমস্যা হতে পারে পুরনো ফাইলগুলো মেকাপ গেটাপ ভেঙে যেতে পারে ওপেন অফিসে । তবে সেটা খুব জটিল সমস্যা না । সহজেই ঠিক করে নিতে পারবেন ।

ইনভেন্টরি, অ্যাকাউন্টস, সিকিউরিটি, প্রোডাক্ট ডিজাইন ইত্যাদি সব কাজে বাজার থেকে কেনা বা হাতে বানানো যে সব সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় লিনাক্সে গেলে সেগুলোর গতি কী হবে?

সাধারণভাবে বলতে গেলে এধরনের সফটওয়্যার লিনাক্সেও আছে । তবে সেজন্য ইউজারদের নতুন করে ট্রেইনড আপ করতে হবে । খুব বেশি স্পেশিয়ালাইজড সফটওয়্যার যেগুলো শুধু কর্পোরেট ঘরানায় ব্যবহৃত হয় সেগুলো লিনাক্সে নাও থাকতে পারে ।

আপনার জন্য আমার পরামর্শ হবে এরকম -

আগে নিজে একটা পিসিতে চালিয়ে দেখুন সব কিছু করা যায় কিনা । তারপর নিজেই সিদ্ধান্ত নিন ।
লিনাক্সে একটা যেই বেশ ভালো সুবিধাটা পাবেন আপনি সেটা হলো এর নিরাপত্তা । লিনাক্স ব্যবহার করে কম্পিউটার সফটওয়্যার কেনা আর তার মেইনটেনান্সের খরচ মিনিমাম পর্যায়ে নামিয়ে আনা সম্ভব ।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

নো গেইন উইদাউট পেইন। কনভার্সনে পেইন হতে পারে, হবে। তবে লাভ হবে এরকম:
১। পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার করছেন না সেই অনুভূতির আনন্দ।
২। যদি কেন সফটওয়্যার কেনা হয়ে থাকে তাহলে তো কষ্টটা কাজে লাগবে, কারণ লিনাক্সের জিনিস সবই ফ্রি। বছর বছর আপডেট করতে টাকা দিতে হবেনা।
৩। ভাইরাসের ঝামেলা থেকে পুরাপুরি মুক্ত থাকতে পারবেন (বাংলাদেশে এটা বিশাল একটা ব্যাপার অবশ্য)

তবে শুরুতে ইনস্টলেশন, ট্রাবলশুটিং, এবং ট্রেইনিংএ কিন্তু সময় (ও টাকা) যেতে পারে। সেই সাথে প্রিন্টার বিষয়ক জটিলতা থাকার সমূহ সম্ভাবনা আছে। আপনাকে ভয় দেখাচ্ছিনা, যা বাস্তব সেটাই বলছি।

১৯৯৮ থেকে লিনাক্স গুতাগুতি করা শুরু..তার আলোকে বলছি: সেসময় মডেম, প্রিন্টার এই দুটা জিনিস ব্যাপক ভোগাতো। লিনাক্স এখন অনেকটাই "উইন্ডোজের মতো" হয় গেছে। যদিও উইন্ডোজকে যারা উঠতে বসতে গালি দেন, তারা এ বিষয় নিয়ে খুব একটা কথা বলতে নারাজ। কিছু কিছু লেজার প্রিন্টার এখনো লিনাক্সে চলেনা। কারণ সেগুলো উইন্ডোজকে টার্গেট করেই তৈরী করা। রিয়েল মডেম (সফটমডেম নয়) এবং রিয়েল প্রিন্টার হলে তা অবশ্যই লিনাক্সে চলবে)

লেনিন [অতিথি] এর ছবি

আমারও ইচ্ছা করছে আবার চ্যালেঞ্জিং জীবনে ফিরে যেতে... উবুন্তুটা কেমন পানসে এক্কেবারেই বৈচিত্র্য নাই.. দেঁতো হাসি
ক'দিন আগে এধরণের একটি লিখেছিলাম চোখ টিপি http://www.somewhereinblog.net/blog/ninel/28955999

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

মুহা-হা-হা-হা... দেঁতো হাসি

সুহৃদ [অতিথি] এর ছবি

চমৎকার!

লিনাক্সে কী র‌্যাম লেখা যায়? চোখ টিপি

শামীম এর ছবি

লেখা যায় ... দেখা যায় না। র‌্যাম লিখলাম কিন্তু রেন্ডার হইতেছে না। র‌্যাম টাইপ করার সময় র আর য-ফলার মাঝখানে একটা NZWJ দিতে হয়। এর চাইতে ড়্যাম-ই ভালো।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

হাসিব এর ছবি

আগে দেখতাম বড় ভাইরা কালো স্ক্রিনে কাজ করে ভাব নিত... ডসের মত কালো স্ক্রীনে কী কী হিজিবিজি লেখা উঠতো সেগুলো দেখে বিজ্ঞের মত মাথা নাড়াতো।

ইয়ে ... এইখানে কয়েকটটা লাইন বাদ গেছে মনে হয় ।

স্কৃনের ইকড়ি মিকড়িগুলো নিয়ে বড়ভাইদের কিছু জিজ্ঞেস করলে পোকামাকড় দেখছে এরকম একটা দৃষ্টিতে তাকাতো আর তারপর বলতো "বড় হও দাদাঠাকুর ... " । ঝাড়ির পর সেখান থেকে সরে এসে আমরা মনে মনে বলতাম "দেখিস একদিন আমরাও ... " । কিন্তু "আমাদের দেখা হয়নি কিছুই"!

সালাহউদদীন তপু এর ছবি

অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে আমি অজ্ঞ না হলেও নামগুলোর চেয়ে বেশি কিছু জানি না। জানার আগ্রহ আছে কিন্তু সুযোগ হয়ে উঠছে না, তবে যেদিন থেকে আমি লিনাক্স সম্পর্কে জানি সেদিন থেকে আমার মনে একটা প্রশ্ন জাগ্রত হয়েছে- মানুষ কেন উইন্ডোজ ব্যবহার করে?

আপনারা কেউ কি অনুগ্রহ করে আমাকে উইন্ডোজের বিশেষত্ব সম্পর্কে বলতে পারেন?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনার লেখা পইড়া এখন তো লিনাক্সাইতে ইচ্ছা করতেছে। সবজান্তার কান্ধে চড়ে এখন লিনাক্স শিখতে হবে মনে হচ্ছে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শামীম এর ছবি

পরবর্তীতে এক্সাইটমেন্ট নাই-জনিত হতাশায় ভুগলে তার দায়ভার আমি নিতে পারবোনা - বলে রাখলাম কিন্তু ...
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

জটিল লেখা!!!
ফেচবুকে শেয়ারে দিলাম
-------------
উদ্ভ্রান্ত পথিক

শিপলু এর ছবি

আগে কেউ যখন কোন ফোরাম, লিস্টে সমস্যা নিয়ে আসত, সমাধান দিতে গিয়ে একগাদা কমান্ড লিখতাম। যেকোন লিনাক্সেই সেই কমান্ডগুলো হয়ত কাজ করবে। বেশি চিন্তা করতে হত না। এখন উবুন্তুর অনেক প্রসার হয়েছে। তাই কেউ কোন সমস্যার সমাধান চাইলে, অপেক্ষা করি। দেখা যায় কেউ না কেউ একেবারে গ্রাফিকাল সমাধান দিয়ে দিচ্ছে। এই ফাঁকে আমার গ্রাফিকাল উপায়টাও শেখা হয়ে যায়। হা হা।

ইদানিং গ্রাফিকাল উবুন্তু ইউজার হয়ে গেছি বলা যায়। তারপরও মাঝে মাঝে কনসোলে গেলে কিছু এডিট করতে করতে গেলে নিজের অজান্তে ভি এডিটর অপেন করি। এপ্ট দিয়েই ইনস্টল করে ফেলি।

শিক্ষানবিস এর ছবি

লিনাক্স বস।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

জটিল লেখা!

পরিবর্তনশীল এর ছবি

ফেসবুকে লেখার শিরোনাম দেখে রাগ লাগছিল। লিনাক্সরে কেউ খারাপ কইলে মেজাজ গরম হয়ে যায়।
কিন্তু লেখা পড়ে পদে পদে শান্তি পাইছি। মনে হইতেছিল কেউ আমার বউয়ের সুনাম করতেছে। হাসি

লিনাক্স ব্যবহার করার পর থেকে উইন্ডোজ দেখলেই আমার হাসি আসে এবং একইসাথে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।

একটাই প্রশ্ন মনে আসে- "মানুষ কেন উইন্ডোজ ইউজ করে?"

জয় লিনাক্স।

এণ্ড ইস্পিশালি জয় উবুন্তু ৮.১০ হাসি

যদিও চ্যালেঞ্জ নাই কোন মন খারাপ
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

স্পর্শ এর ছবি

মনে হইতেছিল কেউ আমার বউয়ের সুনাম করতেছে। হাসি

বুঝছি। তোমার বউ নাই।
তাইলে অন্য কেউ সুনাম করলে ভালো লাগতো না। চিন্তিত


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

গৌতম এর ছবি

আপনি বোধহয় আমার ফেসবুকেই মন্তব্য করেছিলেন, তাই না?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

স্পর্শ এর ছবি

দুর্দান্ত!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সিরাত এর ছবি

সেরকম সারক্যাস্টিক লেখা! চলুক

তবুও বলবো, গেমে কিন্তু লিনাক্স এখনো বেশ পিছিয়ে আছে। কোম্পানী অফ হিরোজ থেকে শুরু করে অবলিভিয়ন, আ্যাসাসিনস ক্রিড থেকে শুরু করে কল অফ ডিউটি-৪ একটাও মনে হয় আরামে চালানো যায় না। মন খারাপ (যদি ভুল প্রমাণিত হই, বেশ খুশি হবো।)

গেমারদের জন্য উইন্ডোজের বিকল্প আছে বলে মনে হয় না।

শামীম এর ছবি

গেমার অস্তিত্বটা অনেক আগেই মৃত। আমার মেশিনের মডেস্ট হার্ডওয়্যারগুলো সেই অনুযায়ীই কেনা -- শুধু নীরস কিছু সফটওয়্যার চলার উপযুক্ত। তা না হলে হয়তো একটা যুতসই উত্তর দেয়া যেত। গেমের জন্য cedega নামক একটা সফট আছে, যাতে সব উইন্ডোজ গেমই চলবে বলে মনে হয়।

তবে মুশকিল হল টিপিকাল উইন্ডোজ মানসিকতা। গেমগুলো বিভিন্ন কোম্পানি বানায়, বিল কাকু নহে। কাজেই ঐ কম্পানি যদি লিনাক্সের জন্য গেম না বানায় তবে সেটার দায় লিনাক্সের না।

স্বেচ্ছাসেবকগণ যেইসব গেম ইতিমধ্যেই ফ্রীতে লিনাক্সে দিয়েছে সেগুলো যথেষ্ট ভাল। গুগলে এ সংক্রান্ত সার্চ দিলেই কী আছে জানতে পারবেন।
উইকিপিডিয়াতে লিনাক্সে গেমের তালিকা
আরেকটি তালিকা যেখানে ক্যাটেগরি অনুযায়ী খুঁজতে পারবেন
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

সিরাত এর ছবি

তা বুঝলাম, কিন্তু সমস্যা হল গেমিং এত rational প্রক্রিয়ায় ঠিক জুত হয় না আরকি। সাধারণত আগে গেম খেলে মজা পেয়ে তারপরই কিন্তু আমরা গেম পছন্দ করি। আর হ্যাঁ, গেমিং ইন্ডাস্ট্রির ধরণেও লিনাক্সের কিছু ইনহেরেন্ট অসুবিধা রয়ে গেছে। বিল কাকু তো আর অত বোকা না। চোখ টিপি

শামীম এর ছবি

উইন্ডোজে যদি আইনসঙ্গত উপায়ে গেমগুলো ক্রয় করে খেলা হত তাহলে লিনাক্সের গেমগুলোকেই বেশি যুইতের মনে হত -- অন্ততপক্ষে সাধারণ বাঙ্গালির কাছে।

বিল কাকুর জিনিষ পয়সা ছাড়াই মানুষ ব্যবহার করছে ... ভাইরাস ভাইরা উৎসব করতেছে - এন্টিভাইরাস কোম্পানিগুলো আনন্দে বগল বাজাচ্ছে -- মানুষ কষ্টার্জিত পয়সা দিয়ে কিনেও স্বস্তি পাচ্ছে না ... আবার এন্টিভাইরাস, আবার হ্যান-ত্যান।

উত্তেজনা আর থ্রীলের অবিরত সরবরাহ নিশ্চিত করে নিঃসন্দেহে বিল কাকু চিকন বুদ্ধির পরিচয় দিয়েছেন।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

এনকিদু এর ছবি

একটা ব্যাপার কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না । উইন্ডোজ একটি পন্য । এর নির্মাতারা বানিজ্যিক চিন্তা করেন এবং সেভাবেই কাজ করেন ।

লিনাক্স একটি শখের জিনিস, কেউ একজন শখ করে শুরু করেছিলেন, পরে আরো অনেক লোকে এতে হাত লাগিয়েছে । এবং যখন যার যেটা প্রয়োজন হয়েছে নিজেই বানিয়ে নিয়েছে বা পূর্বজনের বানানো কাজের উপর আরো নতুন কিছু যোগ করেছে বা ঘষামাজা করেছে ।

গেম যাদের প্রধান বিনোদন বা আরো বেশি কিছু, গেম না খেললে মারা যাব - এইরকম মানসিকতার কেউ বা একদল লোক যেদিন লিনাক্সে গেমিং কে সহজ করার কাজে হাত দেবেন তখনি লিনাক্সে গেম ভাল চলা শুরু করবে । লিনাক্সের ডেভেলপাররা কিন্তু "কোড না লিখতে পারলে মারা যাব" মানসিকতার লোক । যারা এসব করছেন বা করেছেন, এটাকে তাদের প্রধান বিনোদন বা তারও বেশি কিছু হিসেবেই কিন্তু করেছেন ।

এখানেও শামীম ভাইয়ের সেই চ্যালেঞ্জের কথা এসে যায় । একটা নতুন হার্ডওয়্যার এসেছে, তার জন্য ড্রাইভার লিখে ফেলি । একটা নতুন নেটওয়ার্ক প্রটোকল এল, তার জন্য আমার OS এর একটা বা দুইটা লেয়ারে কিছু পরিবর্তন পরিবর্ধন করি । এরকম আর কি ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

লীন এর ছবি

হা হা হা হা... অনেকদিন পর একটা মজার ব্লগ পাইলাম।
আফসোস, রেটিং করতে পারলাম নাহ, এখনও আমি অতিথি সচল। ড্যাম!

______________________________________
কি জানি কিসের লাগি প্রাণ করে হায় হায়

______________________________________
লীন

তানজিনা রহমান এর ছবি

খুব মজা পেলাম আপনার ব্লগ দেখে।

এনকিদু এর ছবি

সিরাম হইছে বড় ভাই !

ভাইরাস ব্যপারটা আমাদের এদিকে আজকাল আসলেই বেশ বিরক্তিকর একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে । অনেকেই সাধারন ব্যবহারকারী, মানে শুধুমাত্র নিজের দরকারী কাজটুকু কম্পিউটারে করবেন - এমন । ভাইরাস কোথায় কোন চিপায় লুকিয়ে থাকে, কী করে না করে তাকে তাড়ান লাগে এসব বুঝে উঠতে পারেননা বা তাল রাখতে পারেননা । ভাইরাসের কথা চিন্তা করে হলেও আমার মনে হয় সবার উচিত অন্তত একবার হলেও, বন্ধুর কম্পিউটারে গিয়েও লিনাক্সে হাত দিয়ে দেখা উচিত । একবার যদি বুঝে ফেলেন যে ভাইরাস আপনার একটা পশমও ছিঁড়তে পারছেনা, আপনি সিরিয়াসলি লিনাক্সে সুইচ করার চিন্তা করতে বাধ্য ।

যেমন ধরেন আমাদের শুদ্ধস্বরের টুটুল ভাই । যেদিনই তার সাথে দেখা হয় শুনি আজকে অমুক ভাইরাসের ঠেলায় অমুক বইয়ের কাজ শেষ করতে পারছেন না । একেবারে নগদ ক্ষতি । টুটুল ভাইয়ের অফিসে তিনটা পিসিতে যদি এত ঘন ঘন ভাইরাসের আক্রমন না ঘটত, নিশ্চিত ভাবে তিনি অনেকগুলো কাজ সহজে এবং শান্তিতে শেষ করে দিতে পারতেন ।

আরেকটা উদাহরন দিই । কালকে রাতেও আমি নজু ভাইয়ের দুইটা ক্যামেরার মেমোরি কার্ড থেকে ভাইরাস দূর করলাম লিনাক্সে ঢুকে । আজগুবি এক ভাইরাস, আমি কোন অ্যান্টি ভাইরাস দিয়েও জিনিসটা পরিষ্কার করতে পারিনি । শেষে ঠিক করলাম লিনাক্সে নিয়ে ম্যানুয়ালি একে ঘাড় ধাক্কা দিব । শেষ পর্যন্ত এই বুদ্ধিতেই কাজ হল ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

রিং এর ছবি

শামীম লিখেছেন:
লেখা যায় ... দেখা যায় না। র‌্যাম লিখলাম কিন্তু রেন্ডার হইতেছে না। র‌্যাম টাইপ করার সময় র আর য-ফলার মাঝখানে একটা NZWJ দিতে হয়। এর চাইতে ড়্যাম-ই ভালো।

ভাই আমি 'মেমোরি' লিখি। আপনার লেখাটা আজকে সহ মোট পনেরো বার পড়লাম। মন্তব্য কি লেখা উচিত বুঝে উঠতে পারছি না। তাই শুধুই টেকনাফ টু তেঁতুলিয়া সাইজের ধন্যবাদ।

রণদীপম বসু এর ছবি

এই পোস্ট আমি আগেও পড়ছি। কিন্তু কোন মন্তব্য করি নাই ক্যান ! ভাবতে ভাবতেই হয়রান হইয়া যাইতেছি !

শেষে মনে হইলো, হে হে, মিন্টু আমি আগে লিনাক্সের কোন্ কচুটা বুঝতাম ! খুব বজ্জাত একটা অপারেটিং সিস্টেম ! একবার ধরলে আর ছাড়তেই চায় না ! কঠিন প্রেম !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

গেমার এর ছবি

আচ্ছা, লিন্যাক্সে কি আমি ফিফা ১০ সহ সেরকম কনফিগারেশনের অন্য গেম খেলতে পারবো?

শামীম এর ছবি

দেড় বছরে অনেক পরিবর্তন হয়েছে সবকিছু। এটা ফালতু থেকে ফালতুতর হচ্ছে দিনকে দিন ... ...

লিনাক্সের যে কোন বিষয়ে জানতে বাংলায় লিনাক্স বিষয়ক ফোরামে ঢু মারতে পারেন:
http://forum.linux.org.bd
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

মিনহাজুল হক শাওন এর ছবি

জটিল হইসে!!! ইশ! আমার বাংলালায়ন টা যদি লিনাক্স এ নিত!! ফেসবুকে শেয়ার মারলাম!! চখাম লিখা লিখে ফেলেছেন। আর আপনার সাইন দেখে মজা পাইসি।

লিনাক্স রে ... করমু

হাহাহহাহাহা!

Mahmud Rezon এর ছবি

ভাই যা লিখসেন,............................হাসতে হাসতে পেটে বেথা হয়া গেলো।জটিল....................

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।