বিচার মানি, তবে তালগাছ আমার

শামীম এর ছবি
লিখেছেন শামীম (তারিখ: মঙ্গল, ০৯/০৬/২০০৯ - ১:০৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঘটনা-১
পথ চলতে চলতে সন্ধ্যা নেমেছে। চারদিক অন্ধকার হয়ে আসছে। তাই পথ চলতি গেরুয়া বসনের, দাড়ি চুলের জটাধারী লোকটি একটা অবস্থাপন্ন গৃহস্থের বাসায় আশ্রয় প্রার্থনা করলেন। সদাশয় গৃহস্থ মুসাফিরকে ভেতরে ডাকলেন। রাতের খাওয়া দাওয়ার সময় কথাবার্তা থেকে বুঝতে পারলেন যে, অতিথি বিরাট বুজুর্গ লোক। তাই, বাড়ির সবচেয়ে ভাল ঘরটাতে ওনাকে থাকতে দিলেন।

পরদিন সকালে আতিথিয়েতার প্রশংসা করে বুজুর্গ বিদায় নিলেন; বাড়ির সকলেই রাস্তা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে ওনার যাত্রাপথের দিকে তাকিয়ে থাকলো। কিছুদুর গিয়েই হঠাৎ ঐ জটাধারী ফিরে আসলেন .... কোনো সমস্যা হল কি না ভেবে গৃহকর্তা একটু এগিয়ে গেলেন। জটাধারী গৃহকর্তার হাতে একটা খড়ের টুকরা দিয়ে বললেন .. ভুলক্রমে ওনার বাড়ির খড়-কুটা তাঁর দাড়ির সাথে চলে গিয়েছিল তাই ফেরত দিতে এসেছিলেন। হতভম্ব মুগ্ধ গৃহকর্তাকে ঐ অবস্থায় রেখেই লোকটি বিদায় নিলেন। আশেপাশে জড়ো হওয়া প্রতিবেশীরাও অতিথির এহেন বোকামীমার্কা সততায় অবাক হয়ে গিয়েছিলেন।

দুপুরে গৃহকর্তার বাড়িতে আবার গোলমাল শোনা গেল। ব্যাপার কিছুই না। অতিথি যে ঘরে ছিলেন সেই ঘর গোছাতে গিয়ে আবিষ্কার হল যে ঐ ঘরে সিন্দুক থেকে সমস্ত টাকাপয়সা হাওয়া হয়ে গিয়েছে। ............ জটার সাথে ভুলক্রমে চলে যাওয়া খড়কুটো ফেরত দেয়াটা একটা ইম্প্রেসিভ স্টান্টবাজি ছিল।

ঘটনা-২
আমার এক পরিচিত ব্যক্তির কাছে এক নেশাখোর একটা নোকিয়া ৩১১০ ক্লাসিক ফোনসেট ২০০ টাকায় বিক্রয় করতে চাইলো কিন্তু উনি সেটা নেননি। আমি খুব অবাক হলাম ..... প্রায় ৬ হাজার টাকার একটা সেট এ্যাত কমদামে পাচ্ছেন নেবেন না কেন? না হয় একটা চার্জার কিনে নিতে হবে, সেটার কতই বা আর দাম। তাছাড়া ঐ সেটটাতে কত সুবিধা একসাথে আছে .... দারুন রঙিন স্ক্রিন, ১.৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, ব্লুটুথ, ক্লাস ১০ এজ মডেম ইত্যাদি। প্রতিটিই দরকারী ফীচার - কোথাও বেড়াতে গেলেন, দারুন কিছু দেখলেন; সেটা পরিচিতদের সাথে পরে শেয়ার করার জন্য ক্যামেরাটা কত কাজে দিত। এছাড়া এজ মডেম দিয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট কত সহজে পাওয়া যায়, শুধু এজ মডেমের দামই কমপক্ষে ৪ হাজার টাকা। ব্লু-টুথ দিয়ে তারের ঝক্কি ঝামেলা ছাড়াই অন্য মোবাইল বা কম্পিউটারের সাথে ডেটা/ফাইল/ছবি আদান প্রদান করা যায় .... কত সুবিধা -- এই সুবিধাগুলোর কোনটাই ওনার কমদামী সেটে নাই; যেটাতে শুধু কল করা আর রিসিভ করা যায়। একবার আমার ঐ মডেলের ফোন ছিনতাই হয়েছিল, তাতে যত টাকার ক্ষতি হয়েছিল (তৎকালীন ক্রয়মূল্য ছিল ৮৮০০ টাকা) আপনার তার কিছুই হবে না, ছিনতাই/চুরি যদি হয়েও যায় তবুও ২০০ টাকায় এর চেয়ে অনেক বেশি ভোগ করে নিতে পারবেন। এ্যাত সুবিধার কথা বোঝানোর পরও ওনার এক কথা: নির্ঘাত ওটা চুরির/ছিনতাইয়ের মাল, তাই যত কমদামেই দিক, যত সুবিধাই থাক নেবেন না। এখন ছবি তোলার দরকার হলেও ওটা ছাড়াই চলা যাবে অতি দরকার হলে খেয়ে না-খেয়ে টাকা জমিয়ে তবেই কিনবো আর ঐসব সুবিধা ভোগ করবো।

বাঃ, ওনার বিবেক আর বিবেচনাবোধ দেখে আমি চমৎকৃত হলাম। সত্যই তো চুরির মাল যত লোভনীয় হউক না কেন সেটা পরিত্যাজ্য। আমার ধারণা এই লেখার পাঠকগণের বেশিরভাগই একই রকম মনোভাব পোষন করেন।

কিন্তু কয়েকদিন পরেই অন্য কিছু ঘটনায় আমার মনে হতে লাগলো যে আগের যেই আদর্শবাদীতা দেখেছিলাম ওটা মেকী ছিল ... শুধুই লোক দেখানো ছিল। কিংবা হতে পারে যেই আদর্শের কথা তখন আমাকে বলেছিল সেটার অর্থ ওনার উপলব্ধিতেই নাই ... শুধুই তোতাপাখির মত কপচানো বুলি। নাকি আগের গল্পের জটাধারী অতিথির মত সততা!

কারণটা আর কিছুই না। উনার বাসায় এবং অফিসে অনেক চোরাই মাল অবিশ্বাস্য কমদামে কিনে ব্যবহার করতে দেখলাম। ঐ মালগুলোর দাম ঐ চোরাই মোবাইলের চেয়ে অন্ততপক্ষে ২০গুণ বেশি। ওনাকে যখন বললাম কেন এই কাজ করছেন? অনেক কমদামে অন্য ব্রান্ডের আসল জিনিষ ব্যবহার করা যায় তখন তিনি পুরা ১৮০ ডিগ্রীর ঘুরে উল্টা যুক্তি দিতে থাকলেন ... যে ঐ ব্রান্ডে এই সুবিধা নাই সেইটা সহজে করা যায় না -- কথা বলছে যেন আগের ঘটনার খলনায়ক (আমি)।

ঘটনা ২.১
কি .... এখনও বুঝতে পারেন নাই? ঠিক আছে ..... সহজ হিসাব দিচ্ছি:

  • উইন্ডোজ: কমপক্ষে ৫০ ডলার
  • মাইক্রোসফট অফিস: কমপক্ষে ৪০০ ডলার
  • এন্টি ভাইরাস: বছরে কমপক্ষে ১০ ডলার
  • ফটোশপ: কমপক্ষে ২০০ ডলার
  • অটোক্যাড: কমপক্ষে ৯০০ ডলার
  • বাসার কম্পিউটারে থাকা গেমগুলোর দাম আপাতত বাদ দিলাম।

প্রতিটি কম্পিউটারে কমপক্ষে: ১৫৬০ ডলার। তাহলে অফিস ও বাসা মিলিয়ে ৩০০০ ডলারের বেশি (= প্রায় ২,১০,০০০ টাকার বেশি) দামের সফটওয়্যার ব্যবহার করছেন। বলাই বাহুল্য যে ওগুলো সবই চোরাই মাল। সবগুলো সিডি মিলিয়ে ২শ টাকার বেশি খরচ হয়নি। আগের আদর্শ গুলে খেয়ে সেগুলো কিন্তু ঠিকই ব্যবহার করছেন।

তাই ইদানিং যখনই কেউ বড় বড় আদর্শের বুলি কপচায় আর নিজেই লাখ লাখ টাকার চোরাই সফটওয়্যার ব্যবহার করে .... তখন মনের ভেতর থেকে কোনো মুগ্ধতা বের হয়ে আসে না - বরং হিপোক্রেসি দেখলে যেমন অনুভুতি হওয়ার কথা সেরকম মনে হয় (হে জটাধারী ভন্ড!)।

ঘটনা-২.২
একটু হিসাব করুন দেখি প্রতিটি কম্পিউটারে কত টাকার দূর্নীতি হচ্ছে? তাহলে একটা বাসায় কত টাকার দূর্নীতি হচ্ছে, একটা প্রতিষ্ঠানে শুধুমাত্র এই সফটওয়্যার/কম্পিউটার খাতে কত টাকার দূর্নীতি হচ্ছে? পরপর ৫ বার দেশ হিসেবে দূর্নীতিতে যখন চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম তখন কি এই খাত সহ হিসাব হয়েছিল? না হয়ে থাকলে এগুলো সহ হিসাব হউক -- দূর্নীতিতে আমাদের চ্যাম্পিয়নশীপ কোনদিন হুমকীর সম্মুখীন হবে না!

দেশের জন্য ক্রিকেটাররা কোন জয় আনতে না পারুক ... আমরা ঠিকই শুধু জয় না, চ্যাম্পিয়নশীপ ছিনিয়ে আনবোই আনবো!

ঘটনা-২.৩
নিজেকে বদলানোর কী দরকার?! বরং চ্যাম্পিয়নশীপ উপলক্ষে একটা থীম সং দরকার।

ঘটনা-৩
অল্টারনেটিভ অপশনটা কি জানেন? লিনাক্স .... ঐ সবগুলো সফটওয়্যারের কাছাকাছি বিকল্প সফটওয়্যার সহ বিনামূল্যেই পাওয়া যায়। বোনাস হিসেবে পাচ্ছেন সিকিউরিটি, কারণ লিনাক্সে ভাইরাসের বেইল নাই।

ঘটনা-৪
এসব বুঝাইতে গেলে বেশিরভাগ লোকই যুক্তি মেনে নেয়। আমাকে প্রচন্ড মাত্রায় সমর্থন ও উৎসাহ দেয় কিন্তু নিজের ক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত এই পোস্টের শিরোনাম বাস্তবায়িত করে।

অবশ্য, আমার প্রতিষ্ঠানের প্রধান বিচার মেনে তালগাছ ছেড়ে দিয়েছেন । সেই পত্রাঘাতের গল্প চাইলে আরেকদিন (... ... না চাইলেও জোর করে করবো .. হে হে চোখ টিপি ) । আপাতত অফ যাই।

ঘটনা-৫
যাওয়ার আগে কিছু সালিসের কথাবার্তা ....

তালগাছ বক্তাঃ আরে ... বিদেশি ওরা শত বছর ধরে আমাদের শোষন করেছে, এখন ওদের জিনিষ আমরা পয়সা না দিয়ে ব্যবহার করলে ঠিকই আছে।
বস্তিবাসীঃ বিল্ডিংএ থাকা সাহেবরা আমাদের পাওনা মেরে দিয়ে বড়লোক হৈছে ... তেনাগো বাসার জিনিষ চুরি করলে ঠিকই আছে।

তালগাছ বক্তাঃ ওদের জিনিষ ছিনিয়ে নেয়াই ঠিক পন্থা ... শালারা এই দেশটাকে চুষে খাচ্ছে।
ছিনতাইকারীঃ এই শালার বেটা তোর মোবাইল দে ...

তালগাছ বক্তাঃ আরে ভাই দেশে যেই ইনকাম তাতে তো কিনে সফটওয়্যার ব্যবহার করা যাবে না। পাইরেসী ছাড়া কোনো উপায় নাই ...
ছিচকে চোরঃ চারদিকে কাজ নাই। যেগুলো আছে সেগুলোতে আর কয়টাকা দেয়। তারচেয়ে সিগনালে দাঁড়ানো গাড়ির যাত্রীর ব্যাগ টান দিয়ে নিয়ে দৌড় দিয়ে রেলগাড়ীর সামনে দিয়ে লাইন পার হওয়া ছাড়া উপায় নাই।

তালগাছ বক্তাঃ ফ্রী সফটওয়্যারগুলো ভাল না। হ্যান করা যায় না ত্যান করা যায় না .... কমার্শিয়াল সফটওয়্যারের সুবিধা পেতে অনেক দুর যেতে হবে। তার চেয়ে পাইরেটেড সফটওয়্যার ভাল।
ঘুষখোর আমলার ছেলেঃ এই তোর বাবাটা যে কী ..... .... এ্যাত সততা দেখায় কী হবে... বাসায় একটা এসি লাগাতে পারে না ... এই গরমে এসি ছাড়া থাকা যায় ... ছিঃ ছিঃ

.... .... ....
... ... ...


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ছিঃ ছিঃ এসব কথা বলতে নেই।

দ্রোহী এর ছবি

খাইছে রে!!!!!!!!!

এই জন্যই আমি নীতিকথা বলি না। কোন ভালো কাজও করি না।

যদিও আমার বেশিরভাগ সফটঅয়্যারই আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য কিন্তু সিনেমা যা ডাউনলোড করে দেখি তার সবই মোটামুটি বেআইনি। সেকারণে প্যারামাউন্ট/ড্রিমওয়ার্ক স্টুডিও থেকে ঝাড়ি দেয়া ইমেইল পেয়েছিলাম ১০/১৫টা। একারণে টরেন্ট ব্যবহার করাই ছেড়ে দিয়েছি। মাসিক ৭ ইউরোতে আমার র‌‌্যাপিডশেয়ারের প্রিমিয়াম অ্যাকাউন্টই ভালো। দেঁতো হাসি

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

কস্কি মমীন (পোয়েটিক) ... টরেন্ট দিয়ে তো মনে হয় কয়েকশো ছবি নামাইছি এই পর্যন্ত, কোন মেইল তো পাইলাম না চিন্তিত
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এইসব মেইল টেইল পায় গভর্ণমেন্টের লোকেরা। আরও প্রিসাইজলি বললে লোকাল গভর্ণমেন্টের লোকেরা। আপনি কি লোকাল গভর্ণমেন্ট?

যাউকগা, আমি একবার চিঠিতে না, সরাসরি হুমকিই খাইছি। বলেন আলহামদুলিল্লাহ।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

যা ইচ্ছা তাই এর ছবি

আমার কোন নীতির বালাই নেই। অন্য কারো ক্ষতি না হলে, যা ইচ্ছা তা-ই করি। যুক্তিসংগত মনে হইলে অন্য কারো ক্ষতি হইলেও করি।
অন্যায় করতে বাধ্য হলে, কিংবা অন্যায় করতে খুব ইচ্ছা হলে বিবেককে বোঝানোর একটা না একটা যুক্তি বানিয়ে নেই।
নীতি আমার হিসাবে দুর্বলতা ঢাকার চমৎকার একটা অস্ত্র। পৃথিবীর নিয়ম হচ্ছে 'সেই টিকে থাকবে, যে যোগ্য', সে কেউ স্বীকার করুক চাই না করুক...

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

বস্, একটা কথা বলি, বেয়াদবী নিয়েননা।
উবুন্টুর মতো এরকম খাসা একটা জিনিস না থাকলে কি আজ এই কথাগুলো বলা যেতো?
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

কীর্তিনাশা এর ছবি

কঠিন কোশ্চেন !!

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

শামীম এর ছবি

একটা ব্যাপার হল, আসলেই নিরূপায় .... এবং বিকল্প উপায় আসলেই জানা নাই। আর এই পোস্টের প্রসঙ্গ হল জ্ঞানপাপীদের নিয়ে।

প্রথম সন্ধান পেয়েই, উবুন্টু ৬.১০ রিলিজ ক্যান্ডিডেট নামিয়েছিলাম .... তখন বুঝতামই না স্টেবল ভার্সান কী আর RC কী। যা হোক, যখনই বিকল্প উপায় পেয়েছি তখনই ঐ চক্র থেকে বের হয়ে গিয়েছি; উবুন্টু ৯.০৪ এর মত সুবিধা তখন ছিল না। আর তারও আগে থেকে কিনে সফটওয়্যার ব্যবহারের নিয়ত ছিল - সামর্থ্য ছিল না; তবে জাপানে গিয়ে ল্যাবে সমস্ত লাইসেন্সড সফটওয়্যার ব্যবহার করে মানসিকভাবে শান্তিতে ছিলাম।

উবুন্টু বা এরকম সহজ সমাধান আছে বলে এখন কথাটা বলা একটু বেশি সহজ হয়েছে। তবে, উবুন্টু/আধুনিক ডেস্কটপ লিনাক্স না থাকলেও সম্ভবত কথাটা বলা যেত। কারণ, আমি ছাত্রাবস্থাতেই বিদেশ থেকে আগত লোকজনকে অপরিচিত প্রোগ্রামে কালো স্ক্রীনে সাধারণ কাজ করতে দেখেছি .... ওরা পাইরেসী এড়াতেই এমন সুবিধা ত্যাগ করেছিল। আমি নিশ্চিত যে আমরা ওদের চেয়ে খুব কম মেধাবী না, তাই ওরা পারলে আমরা পারবো না/পারতাম না ... ওগুলো এই ধরণের হাতি ঘোড়া কিছু নিশ্চয়ই ছিল না।

আর বস্, উবুন্টু আসার পরেই না এইরকম পোস্ট দিলাম .... আগে দিসি?

=====

পোস্টে উইন্ডোজের জন্য প্রাপ্ত ওপেনসোর্স সফটওয়্যারগুলোর কথা বলা হয়নি। অনেক ল্যাপটপেই উইন্ডোজ বান্ডেল আকারে দেয়া থাকে -- অর্থাৎ আইনসঙ্গত কপি। সেখানে ব্যবহারের জন্য অনেক ওপেনসোর্স সফটওয়্যার আছে।

যেমন: আমার দরকারী কয়েকটা:
১. মাইক্রোসফট অফিসের বিকল্প: OpenOffice.org
২. অটোক্যাডের বিকল্প: ProgeCADএর ফ্রী ভার্সান।
৩. এসিডিসি এর বিকল্প: Irfanview
৪. ছোটোখাটো ছবি সম্পাদনার জন্য: GIMP
৫. বাংলা লেখার জন্য: http://ekushey.org থেকে কীবোর্ড।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি যখন প্রথম ফেডোরা কোর নিজের পিসিতে ইন্সটল করার চেষ্টা করলাম তখন উল্টাপাল্টা কিছু অপশনের কারণে পুরা হার্ড ডিস্ক-ই লিনাক্স ফরম্যাটে চলে গেল। মন খারাপ
লিনাক্স সব দিক দিয়েই ভাল কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে সমস্যায় পরে আসলে জানালায় আসতেই হয়।
যেমন ডট নেট-এ কাজ করার জন্যে লিনাক্সে ব্যবস্থা আছে কিন্ত ওটার আই ডি ই কোনো ভাবেই মাইক্রোস্ফটের ভিজুয়াল স্টুডিও -এর মত এত সুবিধা সম্পন্ন না। আর অভ্রতে লেখা পর একুশে লেখাটা বেশ কষ্টকর।
---------------
উদ্ভ্রান্ত পথিক

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

হ্যাঁ, শামীম ভাই, এটা মানি যে যারা প্রফেশনালি কম্পিউটারের সাথে জড়িত তাদের হয়তো এক্ষেত্রে নীতির কথাটা ভাবা উচিত ছিলো। নৈতিকতার প্রশ্নটা এখানে আসে।

একটা ব্যাপার নিশ্চিত হতে চাচ্ছি, পাইরেটেড সফটওয়ার কেনার জন্য কি কাউকে শাস্তি দেয়া হয়েছে এখনও? আমি জানি এর দোষ পুরোটাই বিক্রেতার, কারণ মার্কেটে পাওয়া গেলে পাবলিক কিনবেই।

যেমন বাংলাদেশের সিনারিওটা দেখেন ... মার্কেটে যত কম্পিউটার বিক্রী হয়, সবগুলোতে উইন্ডোজের বিল-গেটস ভার্সন চোখ টিপি, তার ওপর বিক্রেতা তার মনের মাধুরী মিশিয়ে একেক কম্পিউটারে একেক সংখ্যক সফটওয়ার, গেম ঢুকিয়ে দেয় ;)। এখন এখানে সাধারণ মানুষ আসলে খুব একটা নীতির কথা ভাববেনা, আসলে হয়তো জানেইনা কিভাবে এখানে সে জালিয়াতি করছে। ইন ফ্যাক্ট ৩০/৪০ হাজার টাকা পে করে কম্পিউটার কেনার পরও তাঁকে কেন দূর্নীতিবাজ বলা হবে -- এটাই তাঁকে বোঝানো দায় হয়ে পড়বে।
আরো ডাইরেক্ট করে বললে বাংলাদেশে তো মনে হয় পাইরেটেড সফট যত সহজলভ্য, আসল সফট ততটাই দূর্লভ ... এক কম্পিউটার জগতের দোকানটা ছাড়া (আরো দু'চারটা থাকতে পারে, আমি জানিনা) আইডিবির সব দোকানেই ইচ্ছামতো পাইরেটেড সফট বিক্রী হয় মনে হয়; ভেবে দেখেন, এখন উইন্ডোজ ভিস্তার অরিজিনাল সফট কিনতে হলে কোথায় যাওয়া লাগবে সেটাই হয়তো অধিকাংশ মানুষ জানেনা ... আমিও জানিনা চোখ টিপি

সেক্ষেত্রে আমার মতে বাংলাদেশের কম্পিউটার বিক্রেতাদের মধ্যে "উবুন্টুর প্রচলনের মাধ্যমে এই পাপকাজ থেকে বাঁচা যায়" -- এরকম ক্যাম্পেইন চালানো যায়। হয়তো আপনারা সেমিনার করছেনও, রাইট?
তবে ভারী ভারী গেম খেলুড়েদের মার্কেট তাতে পাওয়া হয়ত কঠিন হবে।

বটমলাইন কিন্তু বস্ মার্কেট ... মন খারাপ
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

শামীম এর ছবি

কাস্টমার না চাইলে তো ভেন্ডরগণ ঐপথে হাঁটতে আগ্রহী হবেন না। দেখা যাবে, একজন ভেন্ডর পিসিতে উবুন্টু/মিন্ট দিচ্ছে, উইন্ডোজ দিচ্ছে না .... ওনার দোকানে মাছিও ঢুকবে না।

প্রমোশনের এপ্রোচটা দুই দিক থেকেই প্রেশার দেয়ার মত হতে পারে। তবে সবার আগে ডিমান্ড তৈরী করতে হবে। পাইরেটেড সিডি বিক্রেতার কাছে গিয়ে যদি মাঝে মাঝেই ক্রেতা এসে উবুন্টুর সিডি/ডিভিডি কিনতে চায় .... তবেই না সে পরেরবার ওটা আনিয়ে রাখবে। আমি বসুন্ধরা শপিং সেন্টারে একটা দোকানে উবুন্টু ৮.১০ এর ডিভিডি দেখেছিলাম -- এটা ভালো লক্ষণ।

কোনো ভেন্ডর যদি দোকানের ভেতরে ব্যানার লাগিয়ে রাখে যে এখানে পিসি কিনলে ক্রেতার চাহিদা সাপেক্ষে লিনাক্স (উবুন্টু/মিন্ট) ইনস্টল করে দেয়া হয়। + পাইরেসী বিষয়ক কিছু কথাবার্তা তাহলে হয়তো সেটা আস্তে আস্তে মার্কেটে প্রভাব ফেলতে শুরু করবে। সমস্যা হল, এখনো পরিচিতের মধ্যে তেমন ভেন্ডর নাই যাকে গিয়েই ভেতরে লাগানোর জন্য একটা ব্যানার ধরিয়ে দেয়া যায় আর লিনাক্স ইনস্টল করা শিখিয়ে দেয়া যায়। আর, বনের মোষ তাড়ানোর জন্য সময়ই বা দেবে কতজন।

সুতরাং ব্যক্তিগত সামর্থ্যের মধ্যে যতটুকু করা সম্ভব সেটাই করছি .... স্বল্প পরিচিত লোক/ব্যবসায়ী হলেও তাকে সিডি/ডিভিডি দিচ্ছি, সময় নিয়ে কিছু মোটিভেশনাল কথাবার্তা বলছি। আমার অফিসে প্রসার ঘটানোর জন্য যতদুর সম্ভব কাজ করছি (কাহিনী আরেকদিন) আর আগ্রহী মানুষ বাড়ানোর জন্যও কাজ করছি (ব্লগ লেখাও একটা কাজ চোখ টিপি )
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

অবাঞ্ছিত এর ছবি

সেইরকম পোস্ট। মিউজিক পাইরেসি নিয়েও এমন ভণ্ডামি প্রায়ই দেখা যায়।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

আশাবাদী [অতিথি] এর ছবি

চাচা এতো প্যাঁচাণ কেনো?

কালাকে কালা বইলো না
কানাকে কানা বইলো না
খোঁড়াকে খোঁড়া বইলো না

একইভাবে
পাইরেসীকারীকে পাইরেট বইলো না

এতো নীতিকথা বললে সবাই পালায় যাবে, বিভিন্ন ওপেনসোর্স সফটওয়্যারের ফিচারগুলোও সমানভাবে তুলে ধরতে হবে।

শামীম এর ছবি

হুমম ....

ওপেনসোর্স সফটওয়্যারের যেটা বেশি ব্যবহার করি সেটার উপরে "অমুক করতে টিউটোরিয়াল" বা টিপস কম্পিউটার সংক্রান্ত কলাম/পত্রিকায় প্রকাশ করার ব্যবস্থা করতে হবে।

ইতিমধ্যেই সামান্য কিছু অগ্রগতি হয়েছে, তবে আরও করতে হবে। পত্রিকার সম্পাদক কি ঐ জিনিষ ছাপাতে আগ্রহী হবে? নাকি নিজ নামে মেরে দেবে চিন্তিত
===
ঐ ... চাচামিয়া কইলা কারে? দাঁড়াও তোমারে পাইয়া লই ...
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

... ...

আরিফুর রহমান এর ছবি

হম... চিন্তাযুক্ত হইলাম..

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

বাংলাদেশ TRIPS এগ্রিমেন্টে সই করেছিল এবং সে মোতাবেক তো এ ঘটনাকে চুরি বলা যায় না! যদিও এ ব্যাপারে আমার পড়াশোনা কম, একটু আলোকপাত করলে বিষয়টা পরিষ্কার হবে।

শামীম এর ছবি

TRIPS Agreement --- বাপরে কত বড় ডকুমেন্ট। পড়ি নাই, তবে দেখে তো মনে হচ্ছে উল্টা ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি রাইটের ব্যাপারে অধিকার কড়াকড়ি করার কথাই বলার কথা।

আরেকটু পড়া
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

হিমু এর ছবি

আমার মনে হয় আপনি বাংলাদেশে পরিস্থিতি পাল্টানোর জন্য ব্যবহারকারীদের "কনভার্ট" করতে চাইছেন। সেটা কতটা কার্যকরী হবে, তা নিয়ে আমি সন্দিহান। ল্যাপটপের কল্যাণে কিছু হালাল সফটওয়্যার আমি ব্যবহার করি, কিন্তু দেশে থাকতে তো সেই পাইকারি পাইরেটেড সফটওয়্যারই চালিয়েছি। আমাকে আপনি মিষ্টি কথায় চট করে উবুন্টু ধরাতে পারবেন না। অভ্র বাদ দিয়ে আমি এখন অন্য আরেকটা লেআউটে অভ্যস্ত হতে যাবো না চরম ঠ্যাকায় না পড়লে। এরকম আরো অনেক উদাহরণ দেয়া যেতে পারে।

পরিস্থিতি পাল্টানোর জন্য যা করা যেতে পারে, তা হচ্ছে একেবারেই নতুন ব্যবহারকারীদের লিনাক্স ধরানো। ধরা যাক বাপ চালায় চোরাই উইন্ডোজ, ছেলে চালানো শুরু করলো জায়েজ লিনাক্স। যদি প্রায় প্রত্যেকটা ঘরেই এমন শুরু করা যায়, তাহলে এক পর্যায়ে কমপ্যাটিবিলিটির খাতিরেই লোকে লিনাক্সের দিকে ঝুঁকতে বাধ্য হবে।

প্রায়ই খবরের কাগজে শোনা যায়, স্কুলে কম্পিউটার দান করা হবে, ইত্যাদি ইত্যাদি। যদি এ ধরনের উদ্যোগগুলোতে গায়ে পড়ে গিয়ে লিনাক্সীকরণ সম্ভব হয়, তাহলে নতুন ব্যবহারকারীদের একটা বড় অংশকে লিনাক্সের ছাতার নিচে আনা যাবে।

কেবল লিনাক্সের খুঁটিনাটি নিয়ে একটা ব্লগ শুরু করা যেতে পারে ওয়ার্ডপ্রেসে, যেখানে বাংলায় নানা ট্রাবলশ্যুটিং, আপগ্রেড, ইত্যাদির হদিশ থাকবে। সেটাকে লিনাক্স ব্যবহারকারীদের রাজধানী হিসেবে প্রচার করতে হবে।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

বেশ খানিকটা একমত। আমি নিজে কখনোই ল্যাপটপে লিনাক্স ইউজ করবোনা। কারণ আমি অলরেডি লাইসেন্স্ড সফট ব্যবহার করি, এবং যে যত কথাই বলুক, উইন্ডোজের গ্রাফিক্যাল ডিসপ্লে লিনাক্সের চেয়ে অনেক বেশি দৃষ্টি-সহনীয় (চোখে আরাম হয়), অন্তত আমার কাছে।

তবে এধরনের প্রচার চালাতে চালাতেই একসময় হয়তো কেউ কেউ ব্যবহার করা শুরু করবে। নতুনদের মাঝে লিনাক্সের প্রচলনের জন্য অনেকেই কাজ করছেন। এধরনের লেখা হয়তো নতুনদের উদ্বুদ্ধ করবে।

শামীম এর ছবি

ফ্রেশ স্টার্টের আইডিয়াটা খুবই ভালো। এজন্য পিসি বিক্রেতাদেরকে আগে "বদলে" (!?!) যেতে হবে। টেলিভিশন এবং পত্রিকাগুলোতে যদি প্রচার করা যায় বা তেনারা এগিয়ে আসেন তাহলে এটার দ্রুততা বেড়ে যাবে। প্রথম আলোর মত বদলে যাওয়ার ঢং করে নিজেরাই পাইরেসীর সাপোর্টে আর্টিকেল ছাপালে হবে না।

বাংলায় উবুন্টুর রাজধানী না হউক কিন্তু উবুন্টু-নগর কিন্তু একটা আছে .... এই টপিকটা দেখুন
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

অভ্রের ব্যপারে চরম্ভাবে একমত ... শুধু ফেইসবুকে বাংলায় লেখার জন্যই আমি উইন্ডোজ ইউজ করবো, যতদিন অভ্রের লিনাক্স ভার্সন না আসে ততদিন লিনাক্স শুধুই ভিএমওয়ারের মধ্যেই থাকবে ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

শামীম এর ছবি

এদিক দিয়ে আমি ভাগ্যবান নাকি ভাগ্যহত বুঝতারলামনা। আগে বিজয় কীবোর্ডে লিখতাম। পরে ইউনিজয়ে অভ্যস্থ হলাম।

কিন্তু প্রথম যখন লিনাক্স ইনস্টল করি তখন ইউনিজয়ের নাম জানতাম না। কষ্ট করে কয়েকমাস প্রভাত কী-বোর্ড দিয়েই লিখেছি (--- ইচ্ছাই শক্তি) ... মাঝে মাঝে মামু'র বিখ্যাত কনভার্টারে লিখতাম - তারপর কপি-পেস্ট করতাম। পরবর্তীতে অবশ্য অমি আজাদ ভাইয়ের টিউটোরিয়াল দেখে লিনাক্সেই ইউনিজয়ে লিখি।

ফায়ারফক্সের একটা প্লাগইন দিয়ে এর মধ্যে অভ্রর মত লেখা যায়, সাথে অন্য কীবোর্ডের সাপোর্টও আছে। এটা ফ্রী, বুয়েটের পোলাপানের তৈরী।ডাউনলোড পৃষ্ঠার লিংক
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

হিমু এর ছবি

আরেকটা কার্যকরী জিনিস হতে পারে, উইন্ডোজের জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশনগুলির লিনাক্স সংস্করণের নাম আর প্রাপ্তিস্থানের একটা তালিকা তৈরি করা। এতে জনতা আশ্বস্ত হবেন যে কোন না কোনভাবে কাজগুলি লিনাক্সে করা যাবে।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

শামীম ভাইয়ের পোস্ট আর হিমুর মন্তব্য পড়ে আজ একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম। যতই নীতিগতভাবে লিনাক্সের সমর্থন করিনা কেন, সে নীতির বাস্তবায়ন না করলে কোন কাজ হবেনা।

বাসার ডেস্কটপ মেশিনটাতে লাইসেন্সড উইন্ডোজ আছে, ওটা আমার মেয়ে ব্যবহার করে মূলতঃ অনলাইনে গেমস বা পাজল খেলার জন্য। ঠিক করলাম ওদের অনুপস্থিতিতে আজকেই ওটাকে পুরাপুরি লিনাক্সে নিয়ে নেব।

এখন থেকেই যদি লিনাক্সে কাজ না করে, মেয়ে তো উইন্ডোজেই অভ্যস্ত হয়ে যাবে। লিনাক্সে গেলে অন্তত মানিসকভাবে শান্তি পাবো এই ভেবে যে অন্যকে যা ব্যবহার করতে পরামর্শ দেই, নিজের মেয়েকেও সেটাই দিয়েছি।

উবুন্তুর উপর এডুবুন্তু লেয়ারটা ইনস্টল করে নিলেই তো হবে, তাইনা শামীম ভাই?

তানবীরা এর ছবি

লিনাক্সে, শামীম চাচার শেয়ার কতো আছে ??? চুখ টিপির ইমোশন ঃ)। মাগনা পাইলে পুইসা কিছুতেই দিমু না হ কইতাছি

---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

যতদূর মনে পড়ে ২০০০ সাল থেকে আমি লিনাক্স নিয়ে লেগে থাকতাম। কিন্তু ইদানিং অনুভব করি, লিনাক্স আর উইন্ডোজের মধ্যে ক্রমবর্ধমান দূরত্ব আসলে লিনাক্সের জয় ঘটতে দিবে না। প্রথম এবং প্রধান কারন হল এপ্লিকেশন।

উবুন্তু আশার পর আমার পুরোনো ল্যাপটপটায় ইনস্টল করলাম। কিন্তু বিভিন্ন এপ্লিকেশনের অভাব পদে পদে পীড়া দেয়। এখন দুটো ল্যাপটপের একটায় এক্সপি আরেকটায় উবুন্তু ব্যবহার করছি।

সফটওয়্যার ডেভলপার হিসেবে এখন পাইরেসী খুব গায়ে লাগে। দিনের পর দিন একটা প্রোডাক্টের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ফীচার কতভাবে ডেভলগ, বাগমুক্ত করি। বছরের পর বছর একটা কোম্পানী হাজার হাজার টাকা ঢেলে এই কাজগুলো করায়। সেটা কপি যায় বলেই কপি করে একজন ব্যবহার করে ফেলছে - ভাবলেই বিরক্ত লাগে।

তবে এটা প্রোপ্রায়েটরী সফটওয়ারের কথা। ফ্রি সফটওয়্যারের মার্কেট আর মডেল ভিন্ন।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই একাউন্টটি কোন মডারেটরের নয়। এই একাউন্ট থেকে মডারেশন করা হয়না, কিংবা এই একাউন্টের কর্মকান্ডের দায়ভার সচলায়তন নেবে না।

গৌতম এর ছবি

গত একবছর যাবত প্রাণপনে চেষ্টা করছি উবুন্টু ইউজ করার, যদিও আমার ল্যাপটপে উবুন্টু-উইন্ডোজ দুটোই আছে। একসময় ডিফল্ট অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে উইন্ডোজ থাকলেও এখন উবুন্টুটাই ডিফল্ট।

তারপরও কিছু কথা বলা দরকার যে, উইন্ডোজে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমি যে সুবিধা পাই, উবুন্টুতে সেটা একেবারেই পাওয়া যায় না। যেমন- স্ট্যাটিসটিক্যাল অ্যানালাইসিসের জন্য স্ট্যাটা বা এসপিএসএস ব্যবহার করতে হয়। উবুন্টুতে এগুলোর বিকল্প হিসেবে আর বা পিএসপিপি আছে। কিন্তু পিএসপিপিটা খুবই দুর্বল প্রোগ্রাম, একদম নতুনদের জন্য। অনেক অ্যাডভান্স ফিচার সেখানে নেই। অন্যদিকে আর শিখতে গেলে নতুন করে কমান্ড শিখতে হবে। এমনিতেই স্ট্যাটা আর এসপিএসএসে কমান্ড দিতে দিতে ক্লান্ত, নতুন করে আর কমান্ড শিখতে চাই না। আবার পেজমেকাপের জন্য কোরেল ড্র, কোয়ার্ক এক্সপ্রেসের মতো প্রোগ্রাম আমি খুঁজে পাই নি। এগুলো অবশ্যই উবুন্টুর দোষ না, কিন্তু উবুন্টুকে প্রমোট করার জন্য যারা এগিয়ে এসেছেন, তাদের এই বিকল্পগুলোর কথা আরও বেশি করে ভাবার দরকার ছিলো।

তাছাড়া নেটওয়ার্কেও একটা সমস্যা আছে। উইন্ডোজে আমি ল্যান ও ওয়্যারলেস ইন্টারনেট কানেকশন একসাথে পাই। যখন যেটা দরকার, সেটা ব্যবহার করি, বাকিটা ডিজেবল করে রাখি। এর জন্য আলাদা কোনো কনফিগারেশনের দরকার হয় না। কিন্তু উবুন্টুতে এই কাজ করতে গিয়ে যে পরিমাণ হ্যাপা পোহাতে হয়েছে, সেটা বোধহয় আর কোনো কাজ করতে গিয়ে করা হয় নি। কোনো মতেই উবুন্টুতে ল্যান আর ওয়্যারলেসকে একসাথে রাখা যায় নি। ল্যান রাখলে ওয়্যারলেস কাজ কর না, ওয়্যারলেস রাখলে ল্যান। উবুন্টুতে ওয়্যারলেসে আমি স্পিড পাই বেশি, আবার ল্যানটা রাখা দরকার অফিসে অন্য কম্পিউটারের সাথে কানেক্ট হওয়ার জন্য। এর জন্য একবার রাসেল জন ভাইয়ের সাথে দেখা করেছি। বিডিওএসএন-এ গিয়েছি। কিন্তু কোনো কাজই হয় নি।

প্রজন্ম ফোরাম, আমাদের প্রযুক্তি, গুগল- সবখানেই সার্চ দিয়েছে। যে যেভাবে করতে বলেছে, সেভাবেই কনফিগার করেছি। কিন্তু কোনো কাজই হয় নি। এমন কাউকে পাচ্ছি না, আবারও বলি কাউকেই না, এই বিষয়টা ঠিক করে দিতে পারে।

তারপরও যতোদূর সম্ভব উবুন্টুতেই থেকে যাবো। চুরির মাল আগের চেয়ে অনেক কম ব্যবহার করি, একসময় হয়তো আর করতেই হবে না- আমার জন্য এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কী হতে পারে!

জয় লিনাক্স!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

জলদস্যু এর ছবি

জ্ঞানী-গুনিদের ব্যাপক সম্মেলনে সোজাসাপ্টা কিছু কথা বলতে চাই। কেউ মাইন্ড খাইয়েন না:
১) ফ্রিতে বাংগালি আলকাতরাও খায়, সেইখানে ফ্রী সফটওয়্যার ফেলায় লিনাক্স ইউজ করবে এটা আমি বেহেশতি স্বপ্নেও দেখি না।
২)আমি নিজে নোকিয়া বাদে অন্যকোন মোবাইল সেট ইউজ করি না (জ্বর আইসা যায়)। সেইখানে বাংগালি ননটেকি আম-জনতা কেমনে কই থেকে লিনাক্স ব্যবহার করবে উইন্ডোজ বাদে?
৩) সোর্স ওপেন হোক আর ক্লোজ হোক, সস্তার তিন অবস্হা। তাই লিনাক্সের আ্যাপ্লিকেশনগুলোর কাছ থেকে সেইরকম পারফরম্যান্স আশা করাটা ঠিক না।

শামীম এর ছবি

১. বিল কাকুর সাথে খাতির থাকলে আপনে ফ্রী পাইতে পারেন। আর নাইলে ঐটা ফ্রী না ... ২০০ টাকার মোবাইলের মতই ব্যাপার। তাছাড়া আপনার হিসাব মতে বাঙালিতো মসজিদের সামনে থেকে ফ্রী জুতা-স্যান্ডেল জোগাড় করে, দোকান থেকে পয়সা দিয়ে কেনে না -- কী ঠিক বলেছি?

২. নোকিয়া দিয়ে লিনাক্সে (উবুন্টুতে) ইন্টারনেট ব্যবহার করতে কবে কিভাবে অসুবিধায় পড়েছেন? নাকি না জেনেই আন্দাজে গীবত করলেন? [আমি যতদুর জানি, উবুন্টুতে নোকিয়া লাগাইলেই নিজেই খুঁজে পায় ... তারপর ৩/৪টা ক্লিক করলেই ইন্টারনেট পায়। প্রথম ক্লিকে উইজার্ডে ফরোয়ার্য, তারপরের ক্লিকে বাংলাদেশ সিলেক্ট, তারপরের ক্লিকে আপনার প্রোভাইডার (গ্রামীন, বাংলালিংক, একটেল) সিলেক্ট করলেই কাজ শেষ।]

৩. সস্তা কথাটা প্রযোজ্য না। কারণ ওটা ফ্রী। যাদের দামী জিনিষ কেনার সামর্থ আছে তাঁদেরকে কখনই নিরুৎসাহিত করেছি বলে মনে পড়ে না। দামী জিনিষের গীবত করতেও যাইনি --- যেটা ব্যবহারের সামর্থ আমার নাই সেটাকে কিভাবে বিচার করবো! (একমাত্র যেটা কিনে ব্যবহার করছি সেটা নেটবুকের সাথে লাইসেন্সড এক্স.পি. -- এক কথায় পেইনফুল; পেনড্রাইভ লাগানোর আগে সেটাকে অজানা ফাইল=ভাইরাস আছে কি না সেটা লিনাক্স মেশিনে চেক করে আনতে হয়) কাজেই প্রসঙ্গটা কিভাবে আসলো সেটা খুব একটা বুঝতে পারলাম না। শুধুমাত্র চুরিতেই নিরুৎসাহিত করেছি -- চুরির পক্ষে কুটযুক্তিগুলোকে খন্ডাতে চেষ্টা করেছি। আর লিনাক্সের পারফরমেন্সের কথা বলার আগে চিন্তা করেন .... সারা পৃথিবীর লোকজন কত বোকা ... জেনেশুনেই এখনো বেশি দামে এন্টারপ্রাইজ লিনাক্স ব্যবহার করছে সার্ভারগুলোতে; টাইটানিকের স্পেশাল ইফেক্ট বানাচ্ছে। আর আরো কিছু বোকা লোক ঐ এন্টারপ্রাইজ লিনাক্সের সাপোর্ট ছাড়া ফ্রী-তে ব্যবহার করছে (রেডহ্যাটের বদলে সেন্ট ও.এস.)।
আপনার এই বক্তব্যটার সাথে কেন জানি আমার শেষ কথোপকথনের উদাহরণটার সুক্ষ্ন মিল খুঁজে পাই ... ... অবশ্য আপনার নামই জলদস্যূ ... ...

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

শামীম ভাই, উনি বোধহয় নকিয়া ব্যবহারের ব্যাপারটা টেকি-ননটেকি অর্থে বুঝিয়েছেন। মানে হলো উনি খুব বেশি টেকি নন, তাই নকিয়া ছাড়া অন্য কোন সেট কঠিন লাগে। সেরকমই দেশের মানুষ (তার ভাষায়) যেহেতু ননটেকি, ফলে লিনাক্স তাদের কাছে কঠিন লাগতে পারে। এরকমই মনে হয় বুঝিয়েছেন।

তবে আমার মত হলো, উবুন্তু আসলে অনেক সহজ। আগে লিনাক্স এতটা সহজ ছিলনা, সেটা সত্যি। ফলে লিনাক্স দিয়ে কেউ শুরু করলে তাদের 'নতুন' কোন সমস্যা হবে বলে মনে হয়না। মনে করে দেখুন উইন্ডোজ ৯৫ যখন এসেছিল তখন দিনে কতবার ওটা হ্যাং করতো। আজ ১৪ বছর পরে এসে না তারা স্ট্যাবল হয়েছে। সে তুলনায় লিনাক্সের ডেস্কটপ তো অনেক নবীন, এবং বয়সের তুলনায় অনেক বেশী স্ট্যাবল। ভাত খেতে অভ্যাস হয়ে গেলে রুটি একটু খারাপ লাগবেই, সেটা স্বাভাবিক। তবে রুটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, সেটা বিবেচনায় আনলে দেখা যাবে ভাত না খেয়েও বেঁচে থাকা যায়।

শামীম এর ছবি

আমি অবশ্য এরিকসন, ফিলিপস, নোকিয়া 1100, 3110C, 1208, 1202 সেটগুলো ব্যবহার করেছি ... কোনটাতেই বেশি বা কম সহজ মনে হয়নি। সপ্তাহখানেক পরে সব সেটের সিস্টেমই একই রকম সহজ হয়ে গিয়েছিল ... ....। তাই, নোকিয়ার ব্যাপারটা আসলেই আগে বুঝতে পারি নাই। বুঝিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

গৌতম এর ছবি

জনাব কি দস্যুগিরি ফলাতেই না জেনেবুঝে একটা মন্তব্য করে গেলেন? ভালো। ভালো।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সুজন এর ছবি

সুন্দর আলোচনা।
আমি উবুন্টু ব্যবহার করেত চাই। অন্যতম অন্তরায় ইন্টারেন্ট কানেকশন। আমার একটা মবিডেটা এজ মেডম আছে আর একটা মেটরোলা এল-৭ মোবাইল সেট আছে। কোনটাই উবুন্টু মডেম হিসাবে ডিটেক্ট করতে পারেনা।
এখন নতুন ডিভাইস কেনা সম্ভবনা। অতএব.....

শামীম এর ছবি

দুই/এক দিন আগে বিডিলাগ গ্রুপের মেইল থেকে জানতে পারলাম যে মবিডাটা এজ মডেমের সমস্যাটা আসলে একটা বাগ। এটা উবুন্টু ডিটেক্ট করতে পারে ... তবে কোডিং-এ ভুলের জন্য মডেলের নামের বানানে দুইটা অক্ষর ভুল হয়েছিল। ঐ বাগ সাবমিট করা হয়েছে ... অতি দ্রুত এটার সমাধান হয়ে যাবে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

একটা সময় লিনাক্সে চলে গিয়েছিলাম। সে-সময় ফেরত আসার কারণ ছিল MSN Messenger.

ওপেন-সোর্সের চেয়ে webcam-এর আকর্ষণ বড়।

আবার লিনাক্সে গিয়েছিলাম। সেবার ফেরত আসার কারণ ছিল Matlab.

ওপেন-সোর্সের চেয়ে পেট চালানোর মত প্রোগ্রামগুলো বড়।

লিনাক্সের ম্যাটল্যাব টরেন্ট থেকে চুরি করার পর (এটা প্রয়োজন-তাড়িত চুরি) আবারও গিয়েছিলাম।

উবুন্টুর নতুন ভার্সন আমার ল্যাপটপের ওয়াই-ফাই নিলো না। শুধু আমি নই, আরও অনেকের এই সমস্যা হয়। মাস খানেক চেষ্টার পরও কোন সমাধান পাইনি।

ওপেন-সোর্সের চেয়ে ওয়াই-ফাই বড়।

লিনাক্সের প্রতি অদম্য আকর্ষণ থেকে আবারও গেলাম। এবার ফেরত আসার কারণ আমার ল্যাপটপের সব ড্রাইভার না থাকা।

ওপেন-সোর্সের চেয়ে পয়সা দিয়ে ট্যাবলেট কিনে স্টাইলাস ব্যবহার করতে না পারার কষ্ট বড়।

আমি প্রচণ্ড ইচ্ছুক হওয়া সত্বেও কিছু না কিছুদিন পর ফেরত আসি উইন্ডোজেই। ভাল লাগে না এই ব্যাপারটা। সামনে হয়তো একেবারেই লিনাক্সে চলে যাবো। আগে যেসব কারণে ফেরত এসেছি, সেগুলো আর নেই। তবে, অনেক বড় আফসোস অভ্র নিয়ে।

লিনাক্সে অভ্র চাই!

শামীম এর ছবি

উবুন্টুতে অভ্র এসেছে মাসখানেক হল বোধহয় .... ... খবর এখানে

গুল্লি
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

গৌতম এর ছবি

ইশতিয়াক ভাই, আপনি যদি লিনাক্সে ইউনিজয় ব্যবহার করতে চান, সেই সিস্টেমও আছে কিন্তু।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।