অস্ট্রেলিয়ার সাথে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট ম্যাচ চলছে। মাত্র দুই/তিনদিন আগে একজন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার বললেন যে বাংলাদেশ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট না খেলাই ভালো। অথচ ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্টে দারুন লড়ছে ... বলা যায় না হয়তো হার এড়াতে লড়তে হবে অস্ট্রেলিয়াকেই ...। অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ড হল ক্রিকেটে সবচেয়ে প্রফেশনাল এবং হারামি দল, সাথে সাউথ আফ্রিকাকেও যোগ করা যায়। কোনো দেশ ওদের সাথে খেলতে যাওয়ার আগেই মিডিয়াতে বিভিন্ন অকথা, কুকথা বলে আলোড়ন তোলা হয় ... অমুক প্লেয়ারকে ঠেকানোর কৌশল আবিষ্কার করেছি, ওরা তো খেলাই পারেনা ইত্যাদি। এছাড়া বোলিং এ্যাকশন নিয়ে বিভিন্ন সময়ে উঠতি ভালো বোলারদেরকে হেনস্থা করতে এদের জুড়ি মেলা ভার ... ...।
ভদ্রলোকের খেলা ক্রিকেটে নোংরা কথা বলা কিন্তু প্রফেশনালিজম। স্লেজিং-ও এরকম একটা টেকনিক। ওগুলো বলে তাদের নিজেদের সরাসরি কোনো লাভ না হলেও প্রতিপক্ষের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ ওদের উদ্দেশ্য থাকে প্রতিপক্ষের মনে একটা খুঁতখুঁত বা সন্দেহ ঢুকিয়ে দিয়ে মানসিকভাবে একটু দূর্বল করে দেয়া যেন খেলার সময় ওরা ওদের স্বাভাবিক নৈপূন্য দেখাতে না পারে। এই ধরণের মনের খেলা মোকাবেলা করার জন্য আবার প্রতি দলেই সাইকোথেরাপিস্ট রাখা হয়।
সোজা সাপ্টা কথায়, কাউকে কাবু করতে চাইলে সেটা মনকে কাবু করা দিয়ে শুরু করতে হয়। খেয়াল করে দেখুন: ধার্মীক লোকজনের সামনে আমরা মাথা নিচু করে কথা বলি, দ্বীনের দাওয়াত দিতে আসলে অনিচ্ছা থাকলেও তাদের মুখের উপর না বলতে পারি না ... মাথা নিচু করে পালানোর চেষ্টায় থাকি। কারণ ছোটবেলা থেকেই কৌশলে মনে মধ্যে গেঁথে দেয়া হয়েছে যে ধর্মের রীতিনীতিগুলো পালন করা ভালো, না করা খারাপ/পাপ ... কাজেই পাপবোধটা মনকে হীনমন্য করে তোলে। আর এই হীনমন্যতার সুযোগ নিয়ে কত অযোগ্য বদমাইশ লোক আমাদের উপর কর্তৃত্ব করে বা করার চেষ্টায় রত থাকে।
এই ব্যাপারটা শোষক শ্রেণীর লোকজন সবচেয়ে ভালো বুঝে এবং নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে। তাই শোষিতদেরকে ভালো শিক্ষা/সংস্কৃতি চর্চা থেকে বিরত রাখতে তাদের চেষ্টার ত্রুটি হয় না ... কারণ শিক্ষা আর সংস্কৃতির চর্চা মানুষের মনকে উৎফুল্ল করে, তাদেরকে একতাবদ্ধ করে, তাঁদের নিজেদের সম্পর্কে গর্ব করতে শেখায়। মানসিকভাবে উঁচু থাকলে তাঁর উপরে সহজে অন্যায় চাপিয়ে দেয়া যায় না, শোষন করা কষ্টকর হয়ে যায়। এজন্যই দেখা যায় সৎ অফিসার চোখ না নামিয়ে উঁচুপদের ঘুষখোর অফিসারের সাথে কথা বলতে পারেন, আর উপরের লেভেলে থাকা অসৎ বা হীনমন্যতায় ভোগা লোকটি সেটার মুখোমুখি হতে পারে না বলে বিভিন্ন কৌশলের আশ্রয় নেয়ার চেষ্টায় রত থাকে। আবার আগের সময়ে দেখা যেত, শোষক জমিদার প্রজাদের লেখাপড়া শেখার সুযোগ তৈরী করতে বড়ই অনাগ্রহী, বরং তাঁদেরকে অশিক্ষিত এবং আত্মমর্যাদাহীন করতে খুবই আগ্রহী। কোনো সৎ লোককে কাবু করতে চাইলে তাঁর উপর বিভিন্ন রকম অপবাদ চাপিয়ে দিয়ে তাকে হীনমন্যতায় ফেলার চেষ্টা করা হয়। একজনকে কাবু করার মত কোনো কিছু না পেলে তাঁর আশেপাশের আপনজনকে অপমান করার চেষ্টায় থাকে .... তোর ভাই তো আলকাতরার মত কালো, তোর অমুক তো আগে ডাকাত ছিলো ... ইত্যাদি অপবাদ দিয়ে হীনমন্যতা ঢুকানোর প্রানান্ত চেষ্টা চলতে থাকে। আবার এ-ও দেখা যায় অভাব অনটনের অমানুষিক কষ্ট হাসিমুখে সহ্য করলেও অপমান সহ্য করতে না পেরে অনেকে জীবন বিসর্জন দেয়।
হীনমন্য লোকগুলো শুভ্র সত্যবাহীদের সামনে চোখ তুলে তাকাতে পারে না, তাই পেছন থেকে কামড়ানোর জন্য কুটচাল চালতে থাকে। একই গোত্রের হীনমন্য আরো কাউকে পেলে আঁকড়ে ধরে দলে ভারী হওয়ার চেষ্টায় থাকে; নিজেরা নিজেদেরকে শান্তনা দেয়ার চেষ্টা করে ... ঠিক যেন অন্ধকারে ভয় পেলে যেমন আমরা ভয় তাড়ানোর জন্য অদরকারী কথাবার্তাও খুব জোরে জোরে বলি; অথবা, নার্ভাস হলে অতিরিক্ত হাসি বা ফুর্তি দেখানোর চেষ্টা করি; কিংবা, কাকের মত খড়ের গাঁদায় মাথা ঢুকিয়ে ভাবি আমাকে কেউ দেখছে না ... ... ... কিন্তু ভয়ের জড়তা কি আর কাটে!
কাজেই হীনমন্যতার ব্যাপারটি মোটেও অগ্রাহ্য করার নয়। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় কারণ এটা মানুষকে ভীষনভাবে আক্রান্ত করে - তাই যেন কোনোভাবেই নিজের অজান্তে হীনমন্যতায় ভুগতে হয় এমন পরিস্থিতির শিকার না হই সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। বিভিন্ন বিষয়ের কারণে মনের গভীরে এই ক্ষতিকর হীনমন্যতা জটা পাকিয়ে আছে। চেষ্টা করি সেগুলোকে মূলসহ উপড়ে ফেলে সামনের দিকে আত্মবিশ্বাসের সাথে এগিয়ে যেতে। এইরকম একটা সুযোগ পেয়েছি ওপেনসোর্স সফটওয়্যারের কল্যানে; পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহারে মনের গভীরে একটা গ্লানি ও হীনমন্যতা কাজ করতো ... এইটা থেকে বের হওয়ার উপায় পাওয়া মাত্র তাই লুফে নেই ... হাসি মুখে সংশ্লিষ্ট কিছু অসুবিধা মেনে নিয়েও।
চমৎকার বিকল্প থাকা সত্বেও আমরা কি জেনেশুনে পাইরেসী করেই যাবো (এবং মাথা নিচু করে চলবো) নাকি মুক্ত সফটওয়্যার ব্যবহার করবো - এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভারটা নিজেকেই নিতে হবে।
মন্তব্য
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৯৩০ সাল থেকে টেস্ট খেলা শুরু করার পর থেকে এ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার সাথে ১০৭টা টেস্ট খেলেছে যার মাঝে ৩২টাতে জিতেছে আর হেরেছে ৫১টা তে, ১টা টাই ম্যাচ সহ ড্র ২২টা। পাশাপাশি ইংল্যান্ডের সাথে হওয়া ১৪৫টা ম্যাচের ৫৩টাতে জিতেছে হেরেছে ৪৩টাতে, ভারতের সাথে ৮২টা টেস্টের ৩০টাতে জেতা আর ১১টাতে হার, নিউজিল্যান্ডের সাথে ১০টা জেতা আর ৯টা হার। এখন ওদের কথা শুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টেস্ট থেকে বিরত রাখতে গেলে ইংল্যান্ড, ভারত আর নিউজিল্যান্ডের কী হবে?
ভালো কথা ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ পর্যন্ত মোট ৪৬১টি টেস্ট খেলেছে যার মাঝে জিতেছে ১৫২ আর হেরেছে ১৫১টি টেস্টে
.........................................
I think what I think because that's how I am. You think what you think because that's how you are.
...........................
Every Picture Tells a Story
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
চলতি টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে অস্ট্রেলিয়ান কোচ খুব গর্বের সাথে বলেছিলো, তারা ইনিংস ব্যবধানে জিতার চেষ্টা করবে (যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে ৪৮১ রান করেছিলো)। এখন চতুর্থ দিন শেষে ম্যাচ বাঁচাতেই তাদের কুত্তাপাগোল অবস্থা। অস্ট্রেলিয়ান টীম এখন প্রচন্ড নড়বড়ে। এই টেস্টেই আম্পায়ারদের অবদান প্রায় শ'দুয়েক রান (ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের আউট আর অস্ট্রেলিয়ানদের নন-আউট মিলায়া), তারপরেও এরা এই চিপায়। লাস্ট ডে তে ৩০০ রান তাড়া করতে আম্পায়ারদেরকে সর্বস্ব উজাড় করে দিয়ে লাজ-লজ্জা একদম বিসর্জন দিয়ে খেলতে হবে।
রিভিউ সিস্টেম আবার এদের গোঁদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো। এতোদিন আম্পায়াররা ইচ্ছামতো আঙুল তুলতো, ক্রিকেটকে ভদ্রলোকের খেলার ট্যাগ লাগাইয়া আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হিসেবে দেখাইয়া সব সুবিধা নিজেরা নিতো। রিভিউ সিস্টেমকে ইন্ট্রোডিউস করতে দেয়ার বিপক্ষে এরা অনেক আউফাউ প্যাচাল পাড়ছে। ইনফ্যাক্ট রিভিউ সিস্টেমের যে ভার্সনটা এখন চালু আছে, তাও ফিলড আম্পায়ারকে অনেক ক্ষমতা দেয়। একটা গ্রে এরিয়া রাখা হয়েছে, যেখানে 'ফিলড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বহাল' রাখার ব্যবস্থা আছে। তার মানে, একই রকম রিভিউতে একজন আউট হলেও অন্যজন ননআউট হতে পারে!
কিছু হাই প্রোফাইল ক্রিকেট বোদ্ধা আবার ফিলড আম্পায়ারদেরকে এমন দেবতার আসনে বসাতে চায়, যেন আম্পায়াররা পুরা নবী-রসূল। তারা ভুল বলুক, ঠিক বলুক, তাই সই; টেকনোলজির সুবিধা নিলে আম্পায়াদের অপমান হবে! এই কাম করতে গিয়া অবশ্য আম্পায়ারদের সার্কাসের ভাঁড় বানিয়ে ফেলে। অশোকা, হার্পাররা ইচ্ছামতো ভুল সিদ্ধান্ত দিয়ে আঙুল তুলবে আর এই টিভির যুগে পাবলিক সেইটা খাবে এবং খেতেই ঠাকবে - এই ধারণা যে চলে না, তা তারাও বুঝে, তবুও শেষ চেষ্টা করে যায়। পাবলিক তো আম্পায়ারদের তেলেসমাতি দেখতে পয়সা দেয় না!
আম্পায়ারের কাজ যেখানে সঠিক সিদ্ধান্ত দেয়া, সেখানে টেকনোলজির ব্যবহারই কাম্য। একজন স্মার্ট আম্পায়ার সবসময়ই টেকনোলজির ব্যবহারকে স্বাগত জানাবে; কারণ, এটা তার কাজকে সহজ করে দেয়। সন্দেহ থাকলেই সে টেকনোলজির দারস্থ হতে পার, ভুল সিদ্ধান্তের অপবাদে তাকে পড়তে হয় না। থার্ড/টিভি আম্পায়ার বিষয়টা এজন্যই এসেছে। রিভিউ সিস্টেমটা জাস্ট তারই এক্সটেনশন, যেখানে এক ইনিংসে মাত্র দুইবার (বিফল হলে) টিভি আম্পায়ারকে সিদ্ধান্ত চেক করানোর সুযোগ পায়। স্পষ্টই আম্পায়াররা ফেয়ার হলে এর দরকার পড়ে না। যেহেতু আম্পায়াররা ফেয়ার না, তারা আত্মবিশ্বাসের সাথেই উলটা-পালটা সিদ্ধান্ত দেয়, সেহেতু ন্যায়বিচারের স্বার্থে রিভিউ সিস্টেম একটা অবশ্য প্রয়োজন। তবে বিপক্ষকে আম্পায়ারদের সাহায্যে নাস্তানাবুদ করতে চাইলে রিভিউ দরকার নেই। যেমন, রিভিউ সিস্টেম বাদ দিয়ে সাম্প্রতিক টেস্ট সিরিজে ইন্ডিয়া ইচ্ছেমতো ঘোল খাইয়েছে শ্রীলংকাকে।
ক্রিকেটকে ফুটবলের মতো বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় করার পথে সবচেয়ে বড়ো বাধা আইসিসির নীতিনির্ধারক বোর্ডগুলি। বর্তমানে বিসিসিআই টপ ফর্মে, তারা যা চায়, সেটাই আইসিসির আইন হয়। এর সাথে ব্রিটিশ আর অস্ট্রেলিয়ান বোর্ড আছে ডিফল্ট কালপ্রিট হিসেবে। গত এক দশকে বাংলাদেশ ছাড়া আর বলার মতো কোনো দেশই ক্রিকেটে এগোয়নি, অন্যদিকে জিম্বাবুয়ে, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটের দফারফা হয়েছে। কেনিয়ান ক্রিকেট এখন অলমোস্ট ডেড। নেপালটাইপ সম্ভাবনাময় দেশগুলোর কোনো চোখে পড়ার মতো অগ্রগতি নাই।
ক্রিকেটের বিশ্বায়নে টি২০ কাজ করতে পারতো। কারণ, অনেক দেশই বেশি সময় লাগে অজুহাতে ক্রিকেট খেলতে চায় না। কিন্তু আইসিসি টি২০ কে নোতুন ক্রিকেটিং নেশন তৈরিতে কাজে না লাগিয়ে বরং মূল ক্রিকেটিং নেশনগুলোকেই সারাবছর ব্যস্ত রাখে টি২০র মতো হাফ-ক্রিকেট দিয়ে। ক্রিকের পিচগুলোও এখন জার্মানির হাইওয়ে, চোখ বন্ধ করে পিটালেই রান। ব্যাটসম্যান হতে গেলে টেকনিক জানা লাগে না, বল করতে গেলে অ্যাটাকিং হওয়া যায় না, কোনোমতে রান চেক দিয়ে জান বাঁচাতে পারলেই বোলাররা খুশি হয়। উদ্দেশ্য, টেস্ট ক্রিকেটকে বোরিং প্রমাণ করা।
অস্ট্রেলিয়াকে চাপের মুখে রাখা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এজন্য ধন্যবাদ জানাতেই হয়। বাংলাদেশের কাছে হোয়াইট ওয়াশ হওয়া কেমার রোচ, সামি, ডাওলিনরা এখন অস্ট্রেলিয়ার মতো 'অভিজাত' দলকেও নাকানি-চুবানি খাওয়ায়।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
সহমত।
______________________________________
লীনলিপি
______________________________________
লীন
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
চেষ্টা করছি পাইরেসিকে না করার। কিন্তু সব বিকল্প আসলে এখনও হাতে আসে নি। যেমন- আমাকে স্ট্যাটা ও এসপিএসএস সফটওয়্যার দুটো ব্যবহার করতেই হয়। ওগুলোর লিনাক্স ভার্সন আমার কাছে নাই। এর বিকল্প যা আছে লিনাক্সে, সেগুলো খুব একটা শক্তিশালী নয়। আবার ব্লগের বাইরে পত্রিকায় লেখালেখি জন্য বিজয় ব্যবহার করতেই হয়। এই দুটা ছাড়া বাকি কাজে উইন্ডোজে তেমন যাওয়াই হয় না- একান্ত বাধ্য না হলে।
তবে পাইরেসিকে না বলতেই হবে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
বিজয়ের লাইসেন্সতো যতদুর জানি ৫০টাকা।
বাকী দুইটার দাম জানিনা। আর লাইসেন্স করা জানালাতো ল্যাপটপের সাথে বান্ডেল আকারেই থাকে - কাজেই পাইরেসি থেকে দুরে থাকা খুব দুরে নয়।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
stata লিনাক্স ভার্সন আছে। তবে সেটা পাইরেটেড হয় না উইন্ডোজ ভার্সনের মত।
http://www.stata.com/products/unix.html
SPSS এর ওপেনসোর্স অল্টারনেটিভ হচ্ছে PSPP: http://www.gnu.org/software/pspp/pspp.html
তবে, পরিসংখ্যানের জন্য এখন সবচেয়ে ভাল হচ্ছে R - http://www.r-project.org/
১. লাইসেন্স করা জানালা সব ল্যাপটপে দেয় না। আমি যখন কিনেছিলাম, তখন আমাকেও দেয় নাই। সুতরাং যে জানালা ব্যবহার করছি, সেটা পাইরেটেড। বিজয়টা অবশ্য বৈধ। বৈধভাবে সিডি কিনেই ব্যবহার করছি। কিন্তু বৈধ বিজয়ের জন্য অবৈধ জানালা ব্যবহার করতে হচ্ছে। সুতরাং পাইরেসির কাছ থেকে দূরে থাকা খুব একটা সহজও নয়।
২. স্ট্যাটা ও এসপিএসএস দুটোরই লিনাক্স ভার্সন আছে। কিন্তু কেনার সামর্থ্য নেই বলে এগুলো আমার কাছে নেই। ওপেনসোর্সে এর বিকল্প সার্চ দিতে গিয়ে পিএসপিপি পেয়েছি অনেক আগেই, কিন্তু এটি এসপিএসএস-এর ফিচারগুলোর চেয়ে অনেক দুর্বল। স্ট্যাটিসটিকসের সাধারণ কাজ পিএসপিপিতে চলে যায়, কিন্তু একটু আপার লেভেলে গেলেই এসপিএসএস-এ ফেরত আসতে হয়। আর R শিখতে আর ইচ্ছে করে না। প্রথমে এসপিএসএস ও পরে স্ট্যাটা শিখে ক্লান্ত। R-এ তো কমান্ড ব্যবহার করে লিখতে হয়, ওটুকু মাথা ঘামাতে এখন আর ইচ্ছে করে না।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আমি মুক্ত সফটোয়ারে যেতে চাই, কিন্তু আমার কাজগুলো চলবে কী না বুঝতে পারতেছি না। নিজে এই বিষয়ে গাধার থেকেও কম জানি, পরামর্শকও পাইতেছিনা।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বস্ আপনি কম্পিউটারে কী কী কাজ করেন এবং সেজন্য কোন কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করেন সেটা লিস্ট করে ফেলেন ... তারপর সেই লিস্ট জায়গামত পাঠালে পরামর্শ পাওয়া যাবে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
কম্পিউটারে প্রধান যে কাজ করি তা হলো লেখালেখি। এমএসওয়ার্ডে বিজয় ফন্টে। ইউনিকোডে লেখা যেতো, কিন্তু এই লেখাগুলো যেহেতু অনেককে পাঠাতে হয়, তাদের অনেকেই ইউনিকোডে অভ্যস্ত না। এটা একটা সমস্যা...
দ্বিতীয়ত কিছু গ্রাফিক্সে কাজ করি, ফটোশপ আর ইলাস্ট্রেটর ভরসা...
এছাড়া ইন্টারনেট ঘাঁটাঘাটিঁ, গান শোনা, সিনেমা দেখা এসব তো আছেই... এবার পরামর্শ দেন...
আমি সত্যিই চাই চুরিবিদ্যা ত্যাগ করতে।
ডেস্কটপে কিছুদিন পরীক্ষামূলক চালাবো? কিন্তু তা করতেও আমাকে কী করতে হবে তাই জানি না।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
লেখালেখি: ওপেন অফিস। এটা উইন্ডোজেই একটু চেখে দেখতে পারেন।
বিজয়ের মত ইউনিজয় এখন উবুন্টুতে বিল্ট-ইন আছে (উবুন্টুতে অভ্রও আছে )। তবে অন্যদেরকে পাঠাতে হলে অবশ্য কনভার্ট করে এনালগ থুক্কু আসকি(নন ইউনিকোড) করে পাঠাতে হবে। এজন্য একটা কনভার্টার আছে বলে জানি তবে ডিটেইল মনে নাই।
ফটোশপের বিকল্প গিম্প (GIMP): মেনুগুলো প্রায় একই। তবে অতি উচ্চমার্গীয় কাজের জন্য ফটোশপের বিকল্প নাই বলেই জানি। GIMP এর উইন্ডোজ ভার্সানটা একটু দেখতে পারেন: ডাউনলোড লিংক।
ইলাস্ট্রেটরের বিকল্প scribus। Inkscape নামে আরেকটা সফটওয়্যারও আমার বেশ সুন্দর লেগেছিলো। কিন্তু এই লাইনে কাজ করিনা জন্য তুলনাটা করতে পারছি না।
ইন্টারনেট, গানশোনা, সিনেমা দেখা ... এগুলোতো কোনো ব্যাপারই না ...
==
আপনি চাইলে আপনার ডেস্কটপে ডুয়াল বুট হিসেবে ইনস্টল করে দিয়ে আসতে পারবো (আগামী সপ্তাহে)।
এছাড়া লিনাক্সে ওপেন অফিস বা গিম্প ইনস্টল ছাড়াই লাইভ ইউ.এস.বি থেকেই চালিয়ে দেখতে পারেন।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
ডুয়াল বুট হিসেবে কয়দিন চালায়ে হাত মকশো করে নেই তাইলে... ফোন দিবোনে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
প্রয়োজনে আমাকেও বলতে পারেন। এ বিষয়ে শামীম ভাইয়ের মতো এক্সপার্ট না, তবে দুবছর লিনাক্স ব্যবহারের অভিজ্ঞতা থাকায় ছোটখাটো কাজগুলো চালিয়ে নিতে পারি। আর বাকি উত্তর তো শামীম ভাই-ই দিয়ে দিয়েছেন।
ইউনিকোড থেকে আসকিতে কনভার্ট করতে চাইলে এটা দেখুন। তবে আপনি যে ধরনের কাজ করেন, বিজয় লাগবেই। বিজয়কে পুরোপুরি বাদ দিতে পারবেন না।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
খাইছে রে ... আমারে এক্সপার্ট বানায় দিলো ....
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
যদ্দূর বুঝি, বাংলাদেশে FOSS নিয়ে একটা নড়াচড়া শুরু হয়েছে, কিন্তু সেটা খুব সামান্য, এতই সামান্য যে খালিচোখে নড়াচড়াটা দেখা যায়না অনুভবও করা যায় না। FOSS কে জনপ্রিয় করতে সবারই অংশগ্রহন দরকার। ২০১৩ তে আমাদের দেশের সফটওয়্যার পাইরেসি আইনি ভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে। সে সময়ে আমাদের মত গরীব দেশের জনগন পড়বে মহা ঝামেলায়, একদিক দিয়ে সস্তায় পাইরেটেড উইন্ডোজ পাওয়াটা দুষ্কর হয়ে যাবে, অন্যদিকে বিশাল মূল্যে এতদিনের অভ্যাস এমএসঅফিস বা ফটোশপের মত দামী সফটওয়্যারগুলো কিনতে পারবেনা। সেজন্য আমাদের আসলে এখনই পদক্ষেপ নেয়াটা জরুরী। "আমাদের প্রযুক্তি" ফোরামে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে FOSS কে কিভাবে জনপ্রিয় করা যায় সেটা নিয়ে একটা আলোচনা চলছে। এ নিয়ে যদি কারো কোন মতামত থাকে তাহলে এইখান থেকে একটু ঘুরে আসুন। সেই সাথে অবশ্যই আপনার মূল্যবান মতামত দিবেন।
দারুন একটা লেখা। ভাল লাগল শামীম ভাই।
--------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------
নতুন মন্তব্য করুন