(ধারণাপ্রসূত পোস্ট, বাস্তবতার সাথে না মিললে সেটার দায় লেখকের)
কোনো ব্যক্তি পত্রিকার সম্পাদক শুনলেই তাঁর সম্পর্কে একটা শ্রদ্ধা শ্রদ্ধা ভাব চলে আসে। এই শ্রদ্ধা কেন আসে সেটার কারণ খুঁজতে গিয়ে মনে হল যে আমাদের অনেক প্রিয় ব্যক্তিত্ব বিভিন্ন পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। .... বলে ফেলেই তো বিপদে পড়লাম; পাঠক উদাহরণ জানতে চাইবেন ... ... আমি আবার রেফারেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে জেনেটিকালি কাঁচা। আচ্ছা ঠিক আছে .... একেবারেই নিরাশ করবো না, কয়েকটা নাম মনে পড়েছে; জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ধূমকেতু পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন, নবযুগ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন শেরে বাংলা এ.কে.ফজলুল হক। ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মানিক মিয়ার নামও মনে পড়ছে।
তাছাড়া সম্পাদকগণ সম্পাদকীয় লেখেন, যেখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লেখা হয়ে থাকে। এরকম ভারী কাজ যাঁরা করেন তাদেরকে শ্রদ্ধার চোখে দেখা সম্ভবত খারাপ কিছু নয়। সম্পাদকের কাজ কি শুধু সম্পাদকীয় লেখা? আমার তা মনে হয় না। বরং সম্পাদকীয় লেখাটা একটা অতিরিক্ত গুরুদায়িত্ব। গুরুদায়িত্ব তো গুরুজনদের উপরেই পড়ে। সম্পাদক নামটাই বলে দেয় যে এই পদবীধারী ব্যক্তির মূল কাজ হল সম্পাদনা করা। পত্রিকার লেখাগুলোকে ঘষামাজা করে প্রকাশযোগ্য করা, প্রয়োজনে লেখা বাছাই করা .... ইত্যাদি। জীবনে কখনো পত্রিকা সম্পাদনা তো দুরের কথা, পত্রিকাতে লেখা প্রকাশের চেষ্টা করিনি ... ... তাই আমার সব কথাই বিভিন্ন সাহিত্য/নাটক/সিনেমা/ব্লগ ইত্যাদি থেকে প্রাপ্ত ধারণার যোগফল।
তবে বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ সংকলন প্রকাশের সাথে জড়িত ছিলাম (কামলা খাটা)। এডিটেড বাই ... এর পরে যাদের নাম লেখা থাকতো/থাকে সেটা দেখেই বোঝা যায় সম্পাদনা করাটা কী ধরণের গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তাছাড়া বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ প্রকাশের ক্ষেত্রেও সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করতে হয়। তবে, সম্পাদক নিজে সমস্ত বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নয় বলে সেই প্রবন্ধগুলোকে উপযুক্ত বিশেষজ্ঞদের কাছে নিরীক্ষার জন্য পাঠায় (রিভিউয়ার)। রিভিউয়ার হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে মনে হয় যে, রিভিউয়ারগণ সম্পাদকেরই বর্ধিত অংশ হিসেবে কাজ করেন।
পত্রিকার বিষয়ে ফেরৎ আসি। যে বিষয়ে সম্পাদক সাহেব ভাল জানেন না, পত্রিকাতে যদি এমন কোনো প্রবন্ধ/লেখা ছাপানোর জন্য জমা দেয়া হয় তবে সেটা কি উপযুক্ত লোককে দিয়ে সঠিকতা যাচাই করানো হয়? আমার মনে হয়, করানো হয়। এই জায়গাটাতেই সম্ভবত ধরা খেয়ে গেছেন সম্মানিত কিছু সম্পাদক সাহেব। উপযুক্ত লোকের জায়গায় ভুলে হয়তো কোনো শাখামৃগকে নিয়োগ দিয়ে রেখেছেন; কিংবা জমা দেয়া লেখার লেখককেই সম্পুর্ন ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে বিশেষজ্ঞ ভেবে বসে আছেন। এরকম ভুল লোক নির্বাচন করে থাকলে সেটা শুদ্ধ করার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায় না, বরং ভুল থেকে শিক্ষা নেয়াটাই সঠিক পথ। কিন্তু সেটা না করলে এরকম আজেবাজে এবং ভুল তথ্যসমৃদ্ধ লেখা পত্রিকায় প্রকাশের পেছনে সম্পাদক সাহেব দায় অস্বীকার করতে পারবেন না। পত্রিকার কাছে পাঠকের দাবী অনেক, তাই পাঠককে ভুলপথে পরিচালিত করলে সম্পাদক সাহেবের প্রতি শ্রদ্ধাটা রাখতে কষ্ট হয়।
শিরোনামে প্রতিক্রিয়া পোস্ট দেখে ভাবছেন, এটা আবার কিসের প্রতিক্রিয়া? ... আরে ভাই, আই.টি. সেক্টর নিয়ে যখন বালছাল লেখা পত্রিকায় প্রকাশ পায় তখন মনে দূঃখে প্রতিক্রিয়া জানাতেই হয়।
এমনই লেখা যে, সেটার মধ্যে কিছু ভুল থাকলে শুদ্ধ করার সাজেশন দেয়া যেত ... .... এটাতে শুদ্ধ কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়াই কঠিন। লিখেছেন যে, সেই তথাকথিত বিশেষজ্ঞকে ডাক্তার তু-ষাড় লিখতে পছন্দ করেন অনেকে; আর আছে বিশেষ-অজ্ঞ কাগু।
এ প্রসঙ্গে এস.এম.মাহবুব মুর্শেদের পোস্ট
এ প্রসঙ্গে লেনিনের পোস্ট
মন্তব্য
গুরু ফাডায়লাইছেন গো, পুরাই
মিয়া, পারেনও আপনে,
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আপনি যে যুগের উদাহরণ দিলেন সে তো সত্যের যুগ। আর এখন ঘোর কলিকাল। সম্পাদক হতে হলে এখন অন্য গুন লাগে। তুলসী বনের বাঘ কি আর হরিণ শিকার করে? সে শাখামৃগের লেজ ধরার চেষ্টা করতে পারে বড়জোর।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
কী আর কমু? সবকিছু নষ্টদের অধিকারে চলে যাচ্ছে চোখের সামনে...
ধন্যবাদ আপনাদের মন্তব্যের জন্য।
পাগলের মত বিভিন্ন মিডিয়াতে এসব ম্যাৎকার দেখে মনে হচ্ছে অভ্র কাগুরে ভালোই ডলা দিয়েছে; সব জায়গাতেই এখন কাগুর দরজা বন্ধ হতে চলেছে। কারণ নতুন প্রজন্ম ঐ সব পুরাতন হাবিজাবি কীবোর্ড লেআউট মুখস্থ করার চেয়ে ফোনেটিকেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। তাই চাকুরীর সময়েও ওরা অভ্র ব্যবহারে আগ্রহী হয়।
আমি আমার অফিসের কয়েকটা জায়গায় A4 পাতায় অভ্র'র বিজ্ঞাপন লাগাবো ভাবছি। ভাষাটা হবে এমন:
মায়ের ভাষায় কম্পিউটারে লিখতে জানেন না? কীবোর্ড লেআউট দেখে ভয়ে পিছিয়ে যাচ্ছেন?
চিন্তা নাই, অভ্র আছে। এটাতে ইংরেজি অক্ষরে বাংলা উচ্চারন লিখলেই সেটা বাংলায় রূপান্তর করে দেবে। Ami vat khai টাইপ করলে হয়ে যাবে আমি ভাত খাই। এই ধরণের লেখার উপায়কে ফোনেটিক সিস্টেম বলে।
সুতরাং ভয় ঝেড়ে ফেলুন। অভ্র ব্যবহার করুন।
অভ্র একটি ফ্রি সফটওয়্যার। কাজেই লাইসেন্স নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কারণ নাই।
অভ্র উইন্ডোজের সব ভার্সানে কাজ করবে। এছাড়া লিনাক্সের জন্যও অভ্র আছে।
অভ্র ইউনিকোড অক্ষরবিন্যাসে লেখে। কাজেই কোনো নির্দিষ্ট বাংলা ফন্টের প্রতি আপনার নির্ভর করে থাকতে হবে না। জেনে রাখুন যে ইন্টারনেটে উইকিপিডিয়া, বিবিসি-বাংলা, ডয়েচে-ভেলে, রেডিও-তেহরান, প্রায় সমস্ত বাংলা ব্লগ ও অনলাইন ফোরাম, প্রথম আলো সহ বেশ কিছু পত্রিকা সবাই ইউনিকোড ব্যবহার করে।
আপনার মোবাইলে যদি বাংলা লিখতে পেরে থাকেন, সেটাও ইউনিকোড বাংলা।
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
ভালো বুদ্ধি।
______________________________________
ভাষা উন্মুক্ত হবেই | লিনলিপি
______________________________________
লীন
শামীম ভাই আবেগী পোস্ট। তবে, কম্পিউটার জগতের অনিমেষ বাইনের বিশ্লষণ পড়েছেন?
অনলাইনে লিখে কী হবে? আপামর জনসাধারণকে জানাতে হলে পত্রিকাতেই জানাতে হবে। আর তুষারের মতো সেলিব্রিটিদের কথাও যেহেতু সবাই বেশি শোনে বা বোঝে তাই তাদেরকে সম্মানও দিতে হবে।
প্যাটেন্ট আর কপিরাইট বিজয় লেআউটকে কতোটা প্রটেক্ট করছে?
বিজয় লেআউটই আল্টিমেট অপটিমাইজড লেআউট কিনা?
ইউনিজয়/ইউনিবিজয় লেআউট যদি আইনত অবৈধ হয় সেক্ষেত্রে ওগুলোর প্রয়োজনীয়তা কতোটুকু?
ফ্রিকোয়েন্সী নিয়ে গবেষণার কতো দূর?
ব্রাক ইউনিভার্সিটি খুব সম্ভব অনুদান পেয়েছিল বাংলা নিয়ে গবেষণার। তাদের গবেষণার ফলাফল কি?
এইসব প্রশ্ন জানার সময় এখন। আবেগে সময় নষ্ট করে কোনো লাভ নেই।
সম্মান টম্মান যে আবেগের ব্যাপার সেটা আমি জানি। জীবনে আবেগ সম্পুর্ন অপ্রয়োজনীয় মনে করি না আমি। করলে ঝামেলাজনক সংসার, মেয়ের কান্না এসব বাদ দিয়ে নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম; আমার ইনকাম দিয়ে ওদের খাওয়া পড়ার ব্যবস্থা করার কী-ই বা দরকার!
ইউনিজয়/ইউনিবিজয় যদি আইনত অবৈধ হয় .. এই প্রশ্ন করার আগেই আমি প্রশ্ন করতে চাই যে যদি কাগুর ক্লেইম অবৈধ হয় এবং ইউনিজয়/ইউনিবিজয় বৈধ হয় তবে ওনার প্রতিক্রিয়া কী হবে?
অভ্র থেকে ইউনিবিজয় বাদ দেয়ার প্রশ্ন তো পরে আসবে। আইনগতভাবে এটা সমাধান হওয়ার আগেই বাদ দিয়ে দেই টাইপের কথার প্রয়োজন দেখি না।
বিজয়কে প্রটেক্ট করার প্রশ্ন তখনই আসবে যখন ওটা অবাধে পাইরেটেড হবে। এবং, এটা ঘটছে সর্বত্র। নীলক্ষেতে যারা বিজয় দিয়ে টাইপ হাজার হাজার পৃষ্ঠা টাইপ করছে ওদেরকে বা অন্য সফটওয়্যারগুলো, যেগুলো সরাসরি বিজয় কীবোর্ড লেআউট ব্যবহার করছে বা করেছে, ওগুলোর বিরূদ্ধে নালিশ না করে ভিন্ন লেআউটযুক্ত অভ্রর দিকে তাকানোতে বোঝা যায় যে, কপিরাইট/প্যাটেন্ট কোনো বিষয় নয়। টাকা/বাণিজ্য হারানোটাই বিষয়। আমি ভাবছি যে, অভ্রতে যদি ইউনিবিজয় না থাকতো তবে কাগুর স্ট্রাটেজি কী হত? ওপেন সোর্স বা ফ্রী সফটওয়্যারের বিরূদ্ধেই তখন আবর্জনা ছড়াতেন। এখনই তো ফোনেটিকে লিখলে ভাষার জাত যাবে এমন বক্তব্য দিয়ে বেড়াচ্ছেন (ঐ হিসাবে জাপান, চায়না, রাশিয়া ইত্যাদির ভাষা তো শেষ!, ফোনেটিক কীবোর্ড দিয়ে গুগল করলেই এগুলো জানা যায় - এটা আপনিও জানেন)।
আপনার হয়তো মনে আছে যে প্রথম যুদ্ধের ডাক ছাড়ার সময়ে (সাইবার যুদ্ধে প্রথম পা) এবং এর আগের বিভিন্ন কলামে উনি সকলকে পাইরেটেড, এবং হ্যাকিং-এর জন্য অভ্র দায়ী টাইপের হাস্যকর বিশেষজ্ঞ বক্তব্য দিয়েছিলেন। তারপর উনার ভাষায় "ডিজিটাল গণপিটুনি" খাওয়ার পর পিছু হটে অপেক্ষাকৃত যুক্তিসংগত একটা দাবীতে স্থির হয়েছেন (বাকীটা আইনের হাতে)। আর এখন মাসল্ম্যান হায়ার করছেন ... ... তাও কিন্তু আইনের পথে না ... FUD করার জন্য। এ থেকে অনুমান করা কঠিন হয় না যে এটাই তার একমাত্র পথ মনে হয়েছে, কপিরাইট বা প্যাটেন্ট আইনে জেতার সম্ভাবনা থাকলে এসব ফালতু এবং আবেগী (হ্যাঁ ভাই, ওনারগুলো পুরাপুরি আবেগী লেখা) লেখায় সময় নষ্ট করতেন না।
প্যাটেন্টযুক্ত কীবোর্ড লেআউট ছাপিয়ে বিক্রি করুক, কোনো সমস্যা নাই, কিন্তু আমি কোন আঙ্গুল দিয়ে কোন কী চাপবো, এবং এতে কী আউটপুট দেখতে চাইবো সেটাতে কোনো স্বত্ব দিয়ে নাক গলাতে দিতে আগ্রহী নই। আমি কোন কী (key) ঠুকে কোন অক্ষর টাইপ করবো এটা সম্পুর্ন আমার অধিকার বলে আমি মনে করি।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
সাদাচোখে আমাদের কাছে ইউনিজয়/ইউনিবিজয় বৈধ মনে হলেও কাগু তার সরকারি প্রভাব খাটিয়ে আইনের মারপ্যাঁচে জিতে যেতে পারেন।
যুদ্ধে জেতার জন্য শত্রুকে দুর্বল ভাবার চেয়ে শত্রুকে স্মার্ট ভাবলে বেশি সুবিধা পাওয়া যায়। উনি হেরে গেলে কী করবেন তা ভাবার কোনোই প্রয়োজন নেই। উনারটা উনার জন্যই রেখে দিলাম। তখন উনি কী করে ডায়াবেটিকের ইনসুলিন কিনবেন সেটাও আমার মাথাব্যথা থাকবেনা।
বলেছি বাদ দিতে হলে কী হবে সেই কথা। যাহোক, আন্দাজ করেছিলাম বুঝতে পারবেন।
বিজয় লেআউটের কথা বলেছি। সফটওয়্যার নয়।
আপনি আবেগী হোন সমস্যা নেই। কাগু মামলায় জিতবেন না তা হলফ করে বলা যায়না। তাই আবেগী হতে নিষেধ করছি। শত ধর্ষণ করে যেখানে পার পেয়ে যায়, সেখানে কাগুর মতো আইটির সর্বেসর্বা, বাংলা কম্পিউটিং এর বিল গেটস পারবেন না তা ভাবাই বোকামি।
বরং আইনপত্র, দলিল দস্তাবেজ ঘেটে নিশ্চিত হতে হবে কাগুর পক্ষে আইন কতোটা শক্ত।
লেআউট বা লিখন পদ্ধতি এই সেন্সে কাগুর বিজয় কতোটা মৌলিকতার দাবি রাখে। আর তার ব্যতিক্রমে ইউনিজয়ের মতো লেআউট কতোটা ভালনারেবল। সে তার লেআউটকে লিখন পদ্ধতিও বলছে।
কাগু যে প্যাঁচ খেলার ধান্ধাতে আছে তা হলো:
লেআউট হুবহু বা কাছাকাছি হতে পারবেনা। j তে 'ক' হয় কিনা অলরেডী তুষার প্রশ্ন করেছেন।
আর হচ্ছে, লিংক বা হসন্ত ক্যারেক্টার g তে থাকবে কিনা। অল্পপ্রাণ আর মহাপ্রাণ অক্ষর একই বাটনে থাকবে কিনা। কঠিন উকিল পেলেই এসব কথা দিয়ে মামলা জেতার চেষ্টা চালাবে।
আর প্যাটেন্ট প্রচলিত থাকলে প্রফেশনালরা বিজয় ছাড়া অন্য কিছুতে লিখতে পারবেনা বা চাইবেনা। বাস্তব আর আবেগ যেহেতু ভিন্ন তাই এসব ব্যাপারে সম্মিলিত ভাবনা প্রয়োজন।
আপনার কথাগুলো যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে। তবে স্ট্রাটেজিকাল ব্যাপারে ওপেন ফোরামে আলোচনা না করাই শ্রেয় বলে মনে করি। অন্তত মন্তব্যগুলো সেক্ষেত্রে রেস্ট্রিকটেড করে দিতে হবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশের জনক হিসেবে স্বঘোষিত কাগু তথাকথিত আই.টি. বিশেষজ্ঞ হিসেবেও তেমন স্মার্টনেস দেখাতে পারেননি। বরং নিজের মূর্খতা প্রকাশ করে নিজেকে জোকার হিসেবে প্রমাণ করেছেন। তবে ব্যবসায়ী হিসেবে ওনাকে স্মার্ট না ভাবার কোনো কারণ দেখি না ... ... নাইলে সেই আসকি আমলের সফটওয়্যার নিয়ে অন্যের গবেষণাকর্মকে নিজের বলে পেটেন্ট করে এ্যাত ব্যবসা চালাতে পারতো না।
এই পোস্টটি একটি অন্তসারশূণ্য লেখা পত্রিকায় প্রকাশিত দেখে তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে লেখা হয়েছে। কাগুর লাফালাফি নিয়ে কিছু বলা হয়নি। তবে মন্তব্যগুলোতে প্রাসঙ্গিকভাবেই সেগুলো এসে গেছে।
রেস্ট্রিকটেড
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
আব্দুন নুর তুষারকে আইটি সেক্টরে বিশেষজ্ঞ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে দেখে মনে হচ্ছে কোন বিষয়ে কিছুই না জেনে নিজেকে বিশেষজ্ঞ হিসাবে জাহির করার জন্য বাংলাদেশের চাইতে সুবিধাজনক জায়গা কোথাও নাই।
আমি আজ থেকে নিজেকে "ছাগুর পোঁদে ঘোড়ার ইনজেকশনের উপকারিতা" বিষয়ে একমাত্র জীবিত বিশেষজ্ঞ হিসাবে ঘোষণা করলাম।
আপনি যাতে দীর্ঘকাল এই বিশেষজ্ঞের পদ অলঙ্কারায়িত করতে পারেন, আল্লাহ আপনার হায়াৎ দরাজ করুন।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
দ্রোহী ভাই। আপনার বিশেষজ্ঞ পদটি একটু পাল্টে নেন। এখানে "ছাগুর পোদে" না হয়ে "কাগুর পোদে" হলে ভালো হয়।
কাগুরে নিয়া ফান কইরেন না। কাগু গরীব মানুষ। ওনার ইনসুলিন কেনার পয়সা নাই। কাগুর জন্য আমার প্রাণ কান্দে।
______________________________________
ভাষা উন্মুক্ত হবেই | লিনলিপি
______________________________________
লীন
এখনকার সম্পাদকরা ঠিক প্রচলিত অর্থে সম্পাদনা করেন না। বলা ভালো, নানামুখী যোগাযোগ করতে গিয়ে তাঁরা সম্পাদনা করার সময় পান না। যদি কোনো বিষয়ে খুব স্পর্শকাতর ইস্যু নিয়ে লেখা আসে বা পত্রিকা অফিসের কারো লিখতে হয়, তাহলে তিনি কেবল সেটি দেখে দেন।
শুনলে হয়তো অবাক হতে পারেন, অনেক পত্রিকা অফিসের বিভাগীয় সম্পাদকদের মূল দায়িত্ব থাকে লেখকদের সাথে যোগাযোগ করে লেখা সংগ্রহ করা। সম্পাদনার চেয়ে যোগাযোগ-দক্ষতা সেখানে মুখ্য।
অফটপিক: ওই থিমটা ইনস্টল হয়েছে সফলভাবে। এবং, যা ভেবেছিলাম, ওটা দেখিয়ে একজনকে উবুন্টুতে আগ্রহী করতে পেরেছি। আজকেই তার ল্যাপিতে উবুন্টু ইনস্টল করে দিয়েছি, আপনার দেয়া সিডিটা থেকেই।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আচ্ছা ... সম্পাদক ব্যাপারে কিছু জ্ঞান বৃদ্ধি ঘটলো ...
অফটপিক:
জেনে ভালো লাগলো।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
পত্রিকাগুলার বিজ্ঞান বিষয়ক পাতার বিভাগীয় সম্পাদকের বিরুদ্ধে আমার ঘোর অভিযোগ রয়েছে, যে তারা যাচাই না করেই অনেক কিছু ছাপিয়ে ফেলেন, কেবল মুখরোচক সংবাদ হলেই।
একবার আলু পেপারের বিজ্ঞান সাময়িকীতে এক কলেজ ছাত্রের আবিষ্কৃত প্রযুক্তির কথা ফলাও করে লেখা হলো, সে গরুর ঘানি টানা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রক্রিয়া বের করেছে। তার দাবি অনুসারে একটা গরুই নাকি ঘানি টেনে ( যার সাথে অনেক গিয়ার দিয়ে জেনারেটর যুক্ত করা আছে) প্রায় ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে ঐ গিয়ারের বদৌলতে। আর কিছু না হোক স্রেফ শক্তির অনিত্য সূত্র আর নিউটনের গতিসূত্র দিয়ে হিসেব করলেই বের হয়ে যাবে যে ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরি করতে হলে ঐ গরু বেচারাকে সুপারম্যানের মত সেকেন্ডে অন্তত ১০ বার পুরা পৃথিবী চক্কর দিতে হবে। তবে প্রতিবেদকের ভাষায় এই মেধাবী ছাত্র বিজ্ঞানের সূত্রকে ভুল প্রমান করে বাংলাদেশের মত গরীব দেশের জন্য বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা করেছে... হেন তেন নানান স্তুতি, দু সপ্তাহ পর দেখি আলু পেপার এই দেশের গর্ব বিজ্ঞানীকে কি একটা পুরষ্কার (আর্থিক অনুদানসহ) ও দিয়ে দিল।
বাংলাদেশে সম্পাদক হতে এখন কোন জ্ঞান লাগে না। পাব্লিক কি খাবে এই সেন্স থাকলেই হয়। সচল লেখকেরা পাব্লিক খাওইন্যা টাইপ লেখা পাঠান, ঠিকই ছাপা হবে।
প্রতিবাদ করে চিঠি দিয়েছিলাম বিজ্ঞানের হিসাব নিকাশ সহ, মনে হয় টয়লেট পেপার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
বছর পাঁচেক আগে একটি মাঝারি সার্কুলেশনের দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পাতার বিভাগীয় সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলাম। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, আপনার বক্তব্যের সাথে দ্বিমত করার কোনোই কারণ নেই। তবে উপরের নির্দেশেও অনেক লেখা বিভাগীয় সম্পাদকদের ছাপতে হয়।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
পাথরকুচি পাতা থেকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ছাড়া ইঞ্জিন, এগুলিও যোগ করেন। পত্রিকার পাতায় হরস্কোপ সেকশনে রাখা উচিত এগুলি।
- পাদু এবং হাগু থেকে গ্যাস তৈরীর অমিয় সম্ভাবনার কথা কেউ কয় না ক্যা?
এই খাতের তৈরী গ্যাসে মাশাল্লা জীবনেও টান পড়বো না। বিদ্যুৎ উৎপাদনে যতো খুশি ততো খরচ করে, চুরিদারি করেও এনশাল্লা ইউরোপ আম্রিকায় আমরা এই গ্যাস রপ্তানি করতে পারুম।
আমি চিন্তা কর্তাছি একটা বিশেষ ধরণের সিলিন্ডার ডিজাইন করুম। যেটা হবে বহনযোগ্য। রাস্তাঘাটে ঈমানের সাথে পাদ এলে সেই সিলিন্ডারের ডালা খুলে জায়গামতো ফিট করে ফটাশ করে পাদ দিয়ে আবার সেই ডালা বন্ধ করে রাখলেই হবে। গ্যাস রিজার্ভ হয়ে যাবে। পরে এই রকম শত শত, হাজার হাজার সিলিন্ডার ভর্তি গ্যাস নানা কাজে লাগানো যাবে। আছেন কোনো দরদী ভাইবেরাদর, আমার গুবেষণায় অর্থ যোগান দিবেন!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ব্যাপক হাসালেন, বোন। তবে, 'শক্তির অনিত্য সূত্র'টা কী? 'শক্তির নিত্যতা সূত্র' বলে একটা কথা জানতাম ছোটবেলায়। :?
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
"Theory of conservation of energy" এর বাংলা মনে পড়ছিলো না, তাই নিজেই একটা অনুবাদ করে নিয়েছিলাম। আসল শব্দগুচ্ছ টা মনে করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
ব্লগ লিখে পোস্ট করবো কীভাবে? প্রিভিউতে ক্লিক করবো, নাকি সংরক্ষণে ক্লিক করবো?
সংরক্ষণে ক্লিক করেন। একটা মেসেজ আসবে তখন, সেটা খুব মন দিয়ে পড়ে দেখবেন।
ধন্যবাদ। সংরক্ষণে ক্লিক করলে কোনো মেসেজ বক্স আসছে না। মেইন পেইজ আসছে, সেখানে একটা সবুজ হেডলাইনে লেখা - আপনার ব্লগটি তৈরী হয়েছে। কোথায় তৈরী হয়েছে, তা কোথাও দেখা যাচ্ছে না।
আপনি এই পোস্টটা মন দিয়ে পড়ুন। এখানে কিছু প্রশ্নের উত্তর পাবেন। আরো কিছু প্রশ্নের উত্তর পাবেন এখানে।
নতুন মন্তব্য করুন