কমোড দেখেননি এমন লোক খুঁজে পাওয়া বাংলাদেশে অসম্ভব নয়। আর কমোডের ব্যবহার কিভাবে করতে হয় জানেন না সেরকম লোকেরও অভাব নাই দেশে। তবে কমোড সঠিকভাবে ব্যবহারের তরিকা জানেনা বিদেশেও এরকম লোক পাওয়া যায় বলেই মনে হয়। না না প্রবাসী বাঙালী না, একেবারে প্রথম বিশ্বের আসল এবং খাঁটি বিদেশীর কথাই বলছি। সেজন্যই জাপানে টয়লেটের দরজার ভেতরের দিকে কিংবা কমোডের ঢাকনার উপরে, অথবা টয়লেটের ভেতরে এমন কোন জায়গায় - যেখানে সহজে চোখে পড়ে: এই ছবির মত নির্দেশাবলী দেখতে পাওয়া যায়।
কমোড ব্যবহার না জানা কোন অপরাধ নয়। মায়ের পেট থেকে কেউ এটা ব্যবহার শিখে আসে না, বরং এই জীবনে কোনো না কোনো সময় শিখেছে সবাই। শেখার আগেই এর মুখোমুখি হলে ওজু করার মত সিরিয়াস কাহিনী জন্ম নিতে পারে। আবার "হোটেলে ত্যাগের জায়গা খুঁজে না পেয়ে মোজার মধ্য ইয়ে করে সেটা ছুড়ে বাইরে ফেলতে গিয়ে চলন্ত/ঘুরন্ত ফ্যানে আটকানো এবং দেয়ালে ডিজাইন' -- এই টাইপের গন্ধযুক্ত কাহিনীও জন্ম নিতে পারে; কিংবা, চড়ে বসে পা পিছলে ভেতরে পড়ে যাওয়া, চড়তে গিয়ে কমোড ভেঙ্গে ফেলা, চড়তে সফল কিন্তু এইম করতে বিফল -- এই ধরণের বিদঘুটে কাহিনী ঘটাও অস্বাভাবিক নয়। তাই আমাদের কমোড ওয়ালা টয়লেটের মধ্যেও এমন সচিত্র ব্যবহার বিধি স্টিকি করা বাস্তবসম্মত চিন্তা। বিশেষত যে সকল জায়গায় কিছু ব্যবহারকারী কাছে কমোড নতুন বস্তু হতে পারে সেখানে এরকম শিক্ষনীয় নির্দেশাবলী লাগানো বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে। এই মুহুর্তেই এমন জায়গার উদাহরণ মনে পড়ছে: মাঝরাতে কিংবা দুপুরে খাওয়া দাওয়া করানোর জন্য দুরপাল্লার বাস থামে এমন হোটেল/রেস্টুরেন্টে, বড় বড় শপিং সেন্টারের টয়লেট, বিভিন্ন জেলা শহরে আবাসিক হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট।
নতুন কাউকে এক কথায় কমোডের ব্যবহারের তরিকা জানাতে চাইলে এক কথায় বলা যায়, ছোট বাচ্চাদের টয়লেট করার জন্য যেমনভাবে ওদের পটি ব্যবহার করানো হয়, কমোডে বড়রা ওভাবেই কাজ করে। জাপানের এয়ারপোর্টগুলোতে কিংবা শপিং সেন্টারে কোনো কোনো পাবলিক টয়লেটের ভেতরে কিভাবে কমোড ব্যবহার করতে হবে সেটার একটা হাইজিন গাইডলাইনও দেয়া থাকতো। যেমন কোথাও কোথাও পাশে এন্টিসেপ্টিক জেল দেয়া থাকতো। সেই জেল একটা টিস্যূ পেপারে নিয়ে কমোডের সিটটা মুছে তারপর ব্যবহার করার নির্দেশাবলী দেয়া দেখেছি। আবার কোথাও পাশের ঝুলানো জায়গা থেকে কমোডের সিটের উপর দেয়ার জন্য আতিকায় মালা আকৃতির টিস্যূ দেয়া থাকতো। বসার সময় সরাসরি সিটের উপর না বসে টিস্যূ বিছিয়ে বসতে হয়, আর কাজ শেষে ওটাও ফ্লাস করে বাই বাই করতে হয়। এতে চর্মরোগ বা অন্য কোনো ধরণের ইনফেকশন কমোডের রিমের মাধ্যমে একজন থেকে আরেকজনে ছড়িয়ে পড়া রোধ হতে পারে। দেশেও সবসময় কমোড, বিশেষত অফিসে বা শপিং বা অন্য কোথাকার বারোয়ারী কমোড ব্যবহারের সময় ওর সিট বরাবর টিস্যূ পেপার বিছিয়ে নেই সকলে।
কেউ কেউ বলেন কমোডের ভেতরের পানি ছিটকে এসে গায়ে লাগে যেটা আপত্তিজনক। এটা ঠেকানোর বুদ্ধি পেয়েছিলাম আমার বসের কাছ থেকে। উনি কাজ শুরুর আগে সিট বরাবর টিস্যূ বিছানোর পর কিছু টিস্যূ আবার কমোডের পানিতে ফেলেন। এতে পরবর্তীতে পানি ছিটকে আসতে পারে না।
চরম উন্নত দেশ জাপানে এধরণের নির্দেশাবলী দেখে অবাক হলেও কারণটা জানলে অতটা অবাক হবেন না। জাপানে সাধারণত সবজায়গাতেই প্যান জাতীয় টয়লেট ব্যবহৃত হয়। তবে সেই প্যান বলতে আমাদের দেশে বহুল ব্যবহৃত প্যান বুঝলে ভুল হবে। জাপানীরা সব দিকেই ইউনিক। তাই প্যানগুলো এবং এটা ব্যবহারের তরিকাও ইউনিক (কমোডনামা-১ এ লিখেছিলাম কিছুটা)। দেখুন নিচের ছবি আর নির্দেশাবলী দেখে এটার অভিনবত্ব কিছুটা আঁচ করতে পারেন কি না।
এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কেন ওখানে কমোড ব্যবহারের নির্দেশাবলী জরুরী হতে পারে। তবে আমাদের দেশেই সাধারণ প্যান জাতীয় টয়লেট ব্যবহারের মূল কারণ বা রহস্য অনেকেরই অজানা, যা ফিল্ড লেভেলে কাজ করতে গিয়ে ভালভাবেই টের পেয়েছিলাম। আবার এমন কাহিনীও জানি, যে চাচা মিয়াকে স্যানিটারী ল্যাট্রিন ব্যবহারের কথা জিজ্ঞেস করতেই ভাবের উত্তর "এ্যাঁ! আমারে কি অত বোকা পাইছো যে এ্যাত সুন্দর বনজঙ্গল ছেড়ে ঐ ঘুপচির মধ্যে ইয়ে করতে ঢুকবো!' কাহিনী তো এখানেই শেষ না, আমার কাজের সুপারভাইজার অত্যন্ত উচ্চশিক্ষিত এবং ভাল ছাত্র ছিলেন। কিন্তু উনিই আমি জয়েন করার কিছুদিন আগে এক বাসায় গিয়ে টয়লেটের পাইপে পানি জমে আছে দেখে সেটা লাঠি দিয়ে গুতিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছিলেন!! অবশ্য এতে ওনার দোষ খোঁজা ঠিক না, কারণ বাসার টয়লেটের প্যানের পাইপের নিচের দিকে যে পানি জমা থাকে, সাধারণত: কেউই সেটা তদন্ত করে দেখে না, আর স্কুল বা কলেজ লেভেলে সকলের পাঠ্য কোনো বই পুস্তকেও স্যানিটারী ল্যাট্রিন কেন স্যানিটারী বা স্বাস্থ্য সম্মত সেটার ব্যাখ্যা দেখেছি বলে মনে পড়ছে না।
খোলা জায়গায় ইয়ে করলে সেটা দুর্গন্ধের জন্য যেমন অস্বাস্থ্যকর তেমনি এটা থেকে বিভিন্ন পোকামাকড়, কিংবা পশুপাখি বা সরাসরি কোন মাধ্যমে ক্ষতিকর অসুখ বিসুখ সৃষ্টিকারী জীবানু অন্য মানুষকে সরাসরি বা খাবার সংক্রমিত করে অসুস্থ করতে পারে। তাই খোলা জায়গার বদলে গর্ত করে সেখানে ইয়ে করলে কিছুটা রক্ষা। এতে পশু বা সরাসরি আক্রান্ত হওয়ার (পায়ের তলায় পরা, হোঁচট বা পিছলিয়ে এর উপর পতিত হওয়া ইত্যাদি আরকি) সম্ভাবনা বিলীন হয়ে যায়। কিন্তু তা সত্বেও পোকামাকড় (মাছি ইত্যাদি) সেখান থেকে জীবানুবাহক হতেই পারে, আর দুর্গন্ধের কথাও সহজে ভুলে থাকা মুশকিল। তাই এর হাত থেকে রক্ষার জন্য অত্যন্ত সহজ একটা পদ্ধতি হল পানি'র তালা বা ওয়াটার সিল। যার মূল অংশ হল ইংরেজী U অক্ষরের মত আকৃতির একটা পাইপ যাতে পানি ভর্তি করা থাকে। এর এক দিক ইয়ে করার দিকে আর আরেকদিক থাকে মলমূত্র জমা হওয়ার স্বাস্থ্যসম্মত গর্তে। স্বাস্থ্যসম্মত গর্ত হল এমন এক গর্ত যেখান থেকে পোকামাকড় বের হওয়ার কোন রাস্তা থাকে না ফলে ওগুলো মলমূত্রের জীবানু বহন করে এসে ভিলেনগিরী করতে পারে না। ঐ গর্তের গন্ধ এবং অন্য গ্যাস বের হওয়ার জন্য একটা লম্বা পাইপ দেয়া থাকে যার মাথা অনেক উঁচুতে থাকে এবং সেদিক দিয়ে পোকার আসা যাওয়া ঠেকাতে মশারী দেয়া থাকে, বৃষ্টির পানি আসা আটকানোর ব্যবস্থা থাকে। কাজেই ঐ পথে বাতাস ছাড়া কিছু আসা যাওয়া করতে পারে না।
তাহলে মলমূত্র এই গর্তে ঢোকে কিভাবে? উত্তর হল ডুব সাঁতার দিয়ে। ঐযে ওয়াটার সিল আছে সেটার একপাশে ইয়ে এসে পানিতে পড়ে তারপর এদিক থেকে আরও পানি ঢাললে তার ধাক্কায় ময়লাটা U এর নিচের দিকে ডুব দিয়ে অপর বাহু দিয়ে বের হয়ে গর্তের মধ্যে পরে। কিন্তু যতই ডুব সাঁতার দিক, স্বাভাবিক অবস্থায় এর মধ্যের পানি শুকানোর কোনো উপায় নাই। ফলে ইধারকা মাল উধার করতে ডুব সাঁতার ছাড়া উপায় নাই। আমরা পানি ঢেলে বা ফ্লাশ করে ইধারকা মাল (মল) উধার করলেও উধারের পোকামাকড় ডাইভ দিয়ে ডুব সাতারের পর ইধার আসতে তেমন একটা উৎসাহ কিংবা সাহস পায়না, তাই পোকামাকড় পুরাপুরিই ভিলেনী করার সুযোগবঞ্চিত থাকে। আর উধারের গন্ধও ইধারে আসা ঠেকিয়ে দেয়া হয় এভাবে। নিচের ছবিটা দেখলে অতি পরিচিত প্যানের মধ্যে সেই ওয়াটার সিলের ব্যবহারটা বুঝতে পারা সহজ হবে।
তবে আমরা যতই নিচু প্যানওয়ালা টয়লেটে অভ্যস্থ হই না কেন কমোড অনেক বেশি আরামদায়ক, কারণ এতে প্যান পদ্ধতির মত হাটু মুড়ে বসতে হয় না। তাইতো হতদরিদ্রদেরকেও কম বাজেটে কমোড বানানোর তরিকা জানিয়ে বই পত্তর পাওয়া যায়। নিচের ছবিগুলো একটা বই থেকে নেয়া। দেখছেন কারবার, ওখানে কিন্তু এই টয়লেটগুলোর নিচে ওয়াটার সিল (বা ট্র্যাপ / Trap) নাই। তবে এরকম করে কমোড বানিয়ে সেখানে ইচ্ছা করলেই লাগিয়ে নেয়া যায়।
উপরের ছবিগুলো আফ্রিকা মহাদেশের কোন এক দেশের একটা প্রজেক্টের ছবি। আমাদের দেশে ঝোপ ছেড়ে ছোট ঘরে ঢুকতে চায়না - এমন ব্যক্তি আছে তা তো আগেই বলেছি। আবার অনেকেই কমোডের পটি সিস্টেমের সুখের চেয়ে আগের পরিচিত পদ্ধতি ব্যবহার করতে চায়। এখন উভয় পক্ষকে খুশি রাখার জন্য এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের প্রচেষ্টার অন্ত নাই। তাইতো নিচের ছবির মত হাইব্রীড সিস্টেম বানিয়েছে। প্যান আর কমোড দুই ধরণের ব্যবহারকারীই এটাতে ত্যাগের সুখ লাভ করতে পারবেন!
আমি জাপানে যেই এ্যাপার্টমেন্টে থাকতাম ওখানকার কমোড ছিল নিচের ছবির মত। পানির কল বা স্প্রে না থাকলে কি হবে, হাত ধোয়ার জায়গা আছে!! টেকনোলজি হিসেবে চিন্তা করলে এটা আহামরি কিছু না। ফ্লাশ করার পর ভালভ খুলে গিয়ে পানি ভেতরেই পরতো, সেটাকেই অতিরিক্ত পাইপ যুক্ত করে বাইরে নিয়ে আসা হয়েছে।
টিস্যূ পেপার দিয়ে আমার হয় না, তাই টয়লেটে ব্যবহারের জন্য গোছলখানা থেকে একটা লম্বা পাইপ দিয়ে স্প্রে (হ্যান্ড শাওয়ার) লাগিয়ে নিয়েছিলাম। দেশের কমোডের সাথে হ্যান্ড শাওয়ার কিংবা বদনার ব্যবস্থা থাকে, যেটা জাপানে খুব মিস করতাম। আমার ধারণা আরো অনেক লোকই এই ব্যাপারটা মিস করতো, তাই অতীতে বিডেট বা বিডে নামক ধৌতকরার এক প্রকার কমোড মূল কমোডের পাশাপাশি ব্যবহার ব্যবহার করা হয়। এটা মূলত ফরাসী আবিষ্কার, তবে বাংলাদেশেও দুই এক জন এমন সিস্টেম করেছে এমন কথা শুনি ডেভেলপারদের কাছ থেকে।
না না ভয় পাওয়ার কিছু নাই। এক জায়গায় ত্যাগ করে আরেক জায়গায় উঠে এসে ধৌত করতে হবে না। বর্তমানে একেবারে মনমত টু-ইন-ওয়ান বিডে টয়লেট পাওয়া যাচ্ছে। সত্যি বলতে কি এই বিডেগুলো আমি এখনও খুব মিস করি। বেশি ব্যাখ্যার দরকার নাই ছবি দেখেন। কাজ শেষে সুইচ টিপলেই একটা পাইপ বের হয়ে গরম পানির ধারা দিবে। এই পানির গতি, তাপমাত্রা কিংবা নজেলের প্রকৃতি সবই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
সাধারণ কমোডের উপরের সিটটাকে পাল্টিয়ে নিয়ে ওটাকেই এই ধরণের বিডে টয়লেটে পরিবর্তন করা যায়। এটা লাগাতে ফ্লাশ ট্যাংকের জন্য থাকা পানির লাইন আর একটা ইলেক্ট্রিক পাওয়ার লাইন লাগবে।
২০০১ সালে সুইজারল্যান্ডে একবার ইউরোপের খ্যাতনামা Geberit কম্পানির কারখানায় যাওয়ার সুযোগ হয়েছিলো শিক্ষা সফরে। সেখানে প্রথম এই রকম অত্যাধুনিক বিডে দেখেছিলাম। তবে ব্যবহার করার সুযোগ হয়েছে আরো কয়েকবছর পরে জাপানে। জাপানে উল্টা প্যান দেখে যা কিছুই ভাবেন না কেন, সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা সবচেয়ে বড় বাথরুম ফিটিংস কারখানা Toto কিন্তু জাপান থেকেই যাত্রা শুরু করেছিলো (১৯১৭ সালে)।
ছবি সংগ্রহের সূত্রসমূহ:
http://www.asianjoke.com/wp-content/uploads/2009/07/japanese-toilet-signs-and-rules-in-japan.jpg
http://farm5.static.flickr.com/4114/4916207630_96026d602e_o.jpg
http://dadsprimalscream.files.wordpress.com/2011/03/japanese-toilet.jpg
http://dadsprimalscream.files.wordpress.com/2011/03/toilet.jpg
http://www.mikesblender.com/how%20to%20use%20japanese%20toilet.jpg
http://www.spaciousplanet.com/images/world/thumbnails/japanese-bidet12726607892591.jpeg
http://gallerydejavu.com/wp-content/uploads/2011/10/japanese-toilet.jpg
http://en.wikipedia.org/wiki/Bidet
http://donkeymon.net/donkeymon/images/galleries/Life%20in%20Japan/05-toilet.jpg
http://www.toddswanderings.com/wp-content/uploads/2010/12/Japanese-Toilet.jpg
http://www.ecosanres.org/pdf_files/ToiletsThatMakeCompost.pdf
http://en.wikipedia.org/wiki/Flush_toilet
http://outsiderjapan.pbworks.com/f/1297364772/Bidet2.jpg
http://www.terrylove.com/fh.htm
http://helid.digicollection.org/en/d/Jh0210e/3.3.6.html
http://www.totousa.com/WhyTOTO/AboutTOTO/History.aspx
http://green-living-made-easy.com/toto-toilets.html
মন্তব্য
ভাই এই সিরিয়াস পোস্ট পড়েও তো হাসি থামাইতে পারতেসিনা
ত্যাগের আনন্দ বড় আনন্দ। হয়ত অবচেতন মন সেই আনন্দটাকেই সামনে নিয়ে এসেছে
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
একটা নতুন টয়লেট ডিজাইন করতে হবে, যেটাতে বিভিন্ন সাউন্ড এফেক্ট থাকবে। বড়সড় কনট্রিবিউশন করে ফেললে নারীকণ্ঠে শীৎকার, কিংবা হাততালির শব্দ, কিংবা "আমি অকৃতী অধম তাই বলে মোরে কম করে কিছু দাওনি" বেজে উঠবে। ফ্লাশে চাপ দিলে বেজে উঠবে অলিভিয়ার সেই অমর গান, "ও পানি রে পানি তুই দুষ্টু জানি তোর ছোঁয়াতে যৌবনে মোর লাগলো শিহরণ ... লাগলো শিহরণ ... লাগলো শিহরণ ..."।
নেক্সট সদ্যজাত কোম্পানির সফল উদোক্তার জন্য আইডিয়া
আরেকটা গান আছে: ধন্যবাদ ভালই দিয়া গেলেন (মাকসুদ)
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
এই আইডিয়া আসলেই জটিল! কারণ কেউ কমোডের উপর চাঁদাবাজি/পলিটিক্স করবে না। সবাইকেই তো ত্যাগ করতে হয় নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালিয়ে যাবেন হিম্ভাই।
জাপানে কিছু টয়লেটে শব্দের ব্যবহার আছে বৈকী। মেয়েরা টয়লেট ব্যবহারের সময় যাতে অতি ব্যক্তিগত অনিচ্ছাকৃত শব্দ বাইরে থেকে কেউ শুনতে না পায়, সেজন্য কৃত্তিম ফ্লাশের শব্দ প্রায় সর্বক্ষণ বাজানোর ব্যবস্থা থাকে। ফ্লাশের সজোর শব্দের আড়ালে ভেতরের যাবতীয় বিস্ফোরণ চাপা পড়ে যাওয়ায় কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগীও দ্বিধাহীনচিত্তে বিপুল বিক্রমে প্রয়াস চালাতে পারেন। জাপানের প্রায় সব ধরনের টয়লেটই ব্যবহার করে মজা পেয়েছি।
চমত্কার আইডিয়া ... কম হলে এরকম আওয়াজ এর ব্যাবস্থা থাকতে পারে "আরও দাও, মোরে আরও দাও"...
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ওরে বাবা এত ফ্যাঁকড়া! খুব তথ্যপূর্ণ জরুরী পোস্ট! কিন্তু জাপানী কমোড দেখে বেশ খানিকক্ষণ হাসলাম আপন মনে।
এখন ঘটনা হচ্ছে জাপান যাবার জন্য দুই হাত তুলেই আছি, কিন্তু ত্যাগে এত ভেজাল হলে তো মনে হচ্ছে বন না হয় সমুদ্রেই যেতে হয়, কি করা যায় ! সেই সাথে শুনেছি ফুজিয়ামা আরোহণের পথে টয়লেট খুবই ব্যয়বহুল ! কি যে করি এখন?
facebook
ফুজিয়ামা যাওয়ার পথে যদি টয়লেট পেয়েই যায় তাহলে আর কী করা ... একটু না হয় খরচ করলেনই।
এয়ারপোর্টে পাশাপাশি ৩ বা ৪ টা টয়লেট থাকলে একটা সাধারণত বিডে থাকে। দরজার উপরেই সিম্বল দেয়া থাকে। আর তা না পেলে কিংবা অন্য জায়গাগুলোতে আশে পাশে ডিজ্যাবল্ডদের টয়লেট খুঁজে নেবেন। এগুলোতে সাধারণত পানির ব্যবস্থা থাকে নাহলে বিডে থাকে।
বোতল সিস্টেমের কথা নিশ্চয়ই এ্যাত ভ্রমনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন আপনাকে বলতে হবে না
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
বোতল সিস্টেমের একটা ঘটনা শেয়ার করি
এক বড়ভাই যাত্রাপথে ত্যাগ করার পরে পানির অভাবে কোক এর বোতল দিয়ে কাজ সেরা ছিলেন।। তারপর বাকি পথ খালি ছুপাক ছাপাক সাউন্ড পাওয়া গেছে উনার আসে পাশে।
তাই বোতলে যেন খাটি পানি থাকে সেটা দেখে নেয়া জরুরি
হিম্ভাই এর মত আমিও একখানা ডিজাইন করতে চাই।
তয় আমার ডিজাইনে ত্যাগের কষ্ট বুঝাইতে কষ্ট কইরা ত্যাগ করনের উপায় থাকবে।
লেখা মজারু ও শজারু (শিক্ষামুলক-আপনে আমাগো আব্দুন নূর তুষার) হইছে।
ত্যাগের আবার কষ্ট কিরে ব্যাটা, ত্যাগেই তো প্রকৃত সুখ!
ফ্রান্সে আরব অভিবাসী রেস্টুরেন্ট বা শপিং মলগুলোতে দেখেছি নীচু একটা কমোড যেটাকে ওরা বলে টার্কিশ টয়লেট, ইয়ে করা খুবই ঝামেলার ব্যাপার, আধ ঘন্টা ট্রাই করে একবার তাই রণে ভঙ্গ দিয়ে চলে আসতে হয়েছিল। তবে জটিলতার দিক দিয়ে জাপানী টয়লেটের ধারে কাছে কেউ নেই। সামুরাই ভঙ্গীতে বসতে হবে কাজ করতে গেলে, তারপর পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও আছে। হাই কমোডই সহজ এবং সর্বোত্তম মনে হয়েছে, যদিও ব্যাপারটা আপেক্ষিক। সুন্দর লেখাটার জন্য ধন্যবাদ শামীম ভাইকে।
হুঁ এক্কেবারে খাটি কথা --- সামুরাই ভঙ্গি!
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
শুচিবায় গ্রস্থদের জন্যই বোধহয় এইটা মাত্র ৬,৩৯০ ডলার!!
'গণজরুরী' বিষয়ক লেখায় পঞ্চতারা।
love the life you live. live the life you love.
ত্যাগের সুখ বড় সুখ এটা গোপাল ভাড় রাজাকে প্রমাণ করিয়ে দিয়েছিলেন, আর - ত্যাগ একটা খরচান্ত ব্যাপার প্রমাণের জন্যই ... ...
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
দক্ষিন এশিয়ায় হাই কমোড ব্যবহারে অনেকের অনীহার ব্যাপারটা শুধু ব্যবহারবিধি সংক্রান্ত অজ্ঞতার কারনে নয় - আজন্ম অভ্যাস বা সংস্কৃতির কারনেও বটে। প্যান-টাইপ টয়লেটে অভ্যস্ত মানুষের ব্যাপক অস্বস্তি হয় হাই কমোড ব্যবহারে - এবং সেটা শুধু পানি ছিটকে আসা বা ঐ জাতীয় কারনে নয় কেবল। তাদের চিরাচরিত অভ্যাস থেকে এতে বসার ভিন্নতর ভঙ্গিমাটাও এখানে গুরত্বপূর্ণ। আপাতদৃষ্টিতে সহজতর মনে হলেও, এতে খাপ খাইয়ে নিতে অনভ্যস্তদের আসলে কিন্তু যথেষ্ট সময় লাগে - যা অনেকেই নিতান্ত বাধ্য না হলে খরচ করতে চান না। তাই এই অঞ্চলের অফিস-আদালত-রেস্টুরেন্ট-হাসপাতাল-স্টেশন-বন্দর এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইত্যাদিতেও অনেক সময়েই হাই কমোডের রিমে জুতা-স্যান্ডেলের দাগ দেখা যায়।
মনে আছে, অনেক আগে আমার এক আত্নীয় ছিলেন যিনি অন্য এক জেলায় থাকতেন কিন্তু প্রায়ই ঢাকা আসতেন। আর ঢাকায় আসলে প্রথম প্রথম আমাদের বাসাতেই উঠতেন, অন্য কোথাও ওঠার মত জায়গা ছিল না তখন তার। আমাদের বাসাতে তার জন্য ছিল অবারিত দ্বার এবং তিনি ছিলেন সর্বদাই সুস্বাগত ও সমাদৃত। অথচ এই আত্নীয়ই কিছুদিন পর তার চরম অসুবিধা সত্ত্বেও ঢাকায় আসলে আমাদের বাসায় থাকা বন্ধ করে দিলেন। পরে অনেক কষ্ট করে জানতে পারলাম তাঁর আমাদেরকে এহেন বয়কট করার পেছনে নাটের গুরু হচ্ছেন আমাদের ভিলেন-শিরোমণি হাই কমোড!
আমার নিজের কথাই বলতে পারি। আজন্ম হাই কমোডেই অভ্যস্ত। মনে আছে কোয়েটা আর কান্দাহারের মধ্যবর্তী জনশুন্য পাথুরে পাহাড়ি নো-ম্যান্সল্যান্ডে বেগ পাওয়াতে ফ্ল্যাশ লাগানো হাই কমোডের অভাবে প্রায় মাথা খারাপ হয়ে গেছিল। অথচ আমিই স্কুলে থাকতে ২-৩ বছরের জন্য চিটাগাঙের স্কুল হোস্টেলে থাকা অবস্থায় প্যানে অভ্যস্ত হয়ে পড়ি (বাধ্য হয়েই)। পরে বাড়ি ফিরে আসলে আবার আগের সিস্টেমে নিজেকে রি-ওরিয়েন্ট করতে বেশ সময় লেগেছে।
আমার মনে আমাদের দেশে সচিত্র নির্দেশাবলী দিয়ে খুব একটা কাজ হবে না। যারা হাই কমোডের উপরে 'চড়ে' বসতে (দুদিকের রিমে পা রেখে) স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন - তারা চড়েই বসবেন। কোন নির্দেশাবলীই তাদের এই কার্যে ঠেকাতে পারবে না। অন্যভাবে বললে, তারা কমোডকেই প্যান বানিয়ে নিবেন (অন্তত যতদিন না তাদের গৃহে দীর্ঘ চর্চিত অভ্যাস ও সংস্কৃতি বদলাচ্ছে)। এর একটা সমাধান হলো বকচ্ছপ টাইপের হাইব্রীড পদ্ধতি যার কথা আপনি বলেছেন। এই চীজ আমি দিল্লীতেও দেখেছি এবং প্রথম প্রথম এনিয়ে হেসে খুন হয়েছি। কিন্তু এটাও শেষমেশ কতটা কার্যকরী তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। পাব্লিক প্লেসের টয়লেটে বকচ্ছপ টাইপের হাইব্রীড পদ্ধতিতে চড়ে-বসনেওয়ালাদের কারনে কমোডের রিম ও রিমস্থ পা-দানি এতই নোংরা হয়ে থাকে যে, হাই কমোড ব্যবহারকারীদের পক্ষে ওটা ব্যবহার করা আর সম্ভব হয় না। সিট-কভার (রিঙ) দিয়ে, যদি তা আদৌ থাকে, ঐ নোংরা পুরো কভার হয় না। দিল্লীতে অন্তত এমনটাই দেখেছি।
আপনার কথাগুলো খুবই যুক্তিপূর্ণ। তবে দ্রোহী ভাইয়ের মত বলি "হাগার কষ্ট বড় কষ্ট'। নিজের বাসায় তো নিজের মনমতই অপশন থাকবে। কিন্তু বাইরে গিয়ে অপরিচিত পরিবেশে বেগ পেলে সেখানকার অপশনটা ঠিকভাবে ব্যবহার জানাটাও জরুরী।
ইউনিভার্সিটির ৪র্থ বছরে বন্ধুরা মিলে রাঙামাটি, কক্সবাজার ট্যূরের প্রথম স্টপেজ ছিল চট্টগ্রাম। ওখানে একজন ক্লাসমেটের বাবার হোটেল স্টেশনের পাশেই। ঠিক হল ওখানে ফ্রেশ হয়ে তারপর বহদ্দারহাট থেকে কাপ্তাইয়ের বাস ধরবো, এরপর ইঞ্জিন নৌকায় রাঙামাটি। সেখানে হোটেলের চমৎকার কমোডের রিমে জুতা স্যান্ডেলের দাগ পরিষ্কার করতে আমার যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিলো, আর অন্যের ভুলে যাওয়া ফ্লাশ করতে খুব একটা ভাল লাগে না কখনই (ওয়াক)। কিন্তু নিজের ভেতরে থাকা ত্যাগের বেগ এ্যাতই ছিল যে, সবকিছুই করেছিলাম --- যদিও সেই সময়ে কমোডের সাথে কদাচিৎ দেখাসাক্ষাত হত, কিন্তু তাই বলে দেখলে চড়ে বসার মত অবস্থায় ছিলাম না।
সঠিক ব্যবহার জানা তাই আমার পরে অন্য যে ব্যবহার করবে তার সুবিধার জন্য বেশি জরুরী। আমার ধারণা ওখানে যারা রিমে স্যান্ডেলের দাগ ফেলেছিল তারা কমোডের সঠিক ব্যবহার তরিকা জানতো না। এরকম উপদ্রবের জায়গায় পরীক্ষামূলকভাবে সচিত্র ব্যবহার পদ্ধতি লাগিয়ে ধারণা পরীক্ষা করা যেতে পারে । কোনো থিসিস গ্রুপকে এই কাজে লাগানো যায়
হাইব্রীড পদ্ধতিটা আসলেই নোংরা ব্যাপারটা এড়ানো যাবে না বলেই আমারও ধারণা ছিল। তবে উইকিতে এটার ছবি দেখে বড়ই মজা পেয়েছিলাম। :)
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
শিক্ষণীয় পোস্ট। উইলবার ভায়ার মতো যদি হাতে-কলমে দেখিয়ে দিতেন আরো ভালো হতো
হাগার কষ্ট বড় কষ্ট!
তানভীর ভাইয়ের দেয়া ভিডিওর সম্পুরক অংশ:
আমার খুব ইচ্ছা করে পশ্চিমারা আমাদের টয়লেট সম্পর্কে কি ধারণা পোষন করে সেটা জানতে।
অতিথি।
জাপানি টয়লেটে ত্যাগ করে এখানে একটা পশ্চিমা রিয়্যাকশন পড়তে পারেন।
http://www.mikesblender.com/indexblog122.htm
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
জনগুরুত্বপূর্ণ পোস্ট
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
বেসিননামাও লিখে ফেলেন বস। অনেক মারদাঙ্গা খানদানি জায়গায় দেখেছি লোকজন বেসিনে পা তুলে অজু করে। নিজে পাকসাফ হয়ে বেসিনটাকে ছারখার করে রেখে তৃপ্ত হাসিমুখে নামাজ আদায় করতে চলে যায়।
কথা সইত্য, পানি থাকতে কুলুপ টাইপের বস্তু দিয়ে জায়গা নোংরা করা, আর বেসিনে ঠ্যাং দেয়া মানুষ দেখেছি; তবে ওগুলোর ইমপ্যাক্ট, টয়লেটের তুলনায় নিতান্তই শিশু। এগুলো ছাড়াও বেসিন নিয়ে লেখার মত বেশ কিছু জিনিষ মাথায় আছে। তবে সেগুলো লেখার ইচ্ছা বা উৎসাহ বীজ থেকে অঙ্কুরোদগম হয়ে গাছ হতে সময় লাগবে ...
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
আমার পাকি ফ্লাটমেটগুলা এই কাজ করে। মনে হয় ধরে থাবড়া দেই।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পোস্ট
কমোড নিয়ে যে পোস্ট লেখা যায়, না দেখতে বিশ্বাস করতাম না। অবিশ্বাস্য ঠেকলেও পড়ে মজা পেয়েছি।
তানভীর আর দ্রোহী ভাইডির দেয়া ভিডিওগুলোও কিন্তু সেইরকম!
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
বাপ্রে কমোড নিয়ে এত কিছু
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
বহুত কিছু শিখলাম।
চরম
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
হাইকমোডে বসা সুবিধাজনক...কিন্তু আমাদের যেই অভ্যাস তাতে হোটেল, অফিস বা পাব্লিক জায়গা (যেখানে আছে) তে অস্বস্তি লাগে। কেননা টিস্যু দিয়ে বসলেও রীম কতটা হাইজেনিক থাকে তা নিয়ে সন্দেহ আছে। আর, একটা ব্যাপার আমার মনে হয়, শৌচকর্ম শেষে বদনা-পানি আর হাত দিয়ে পশ্চাতদেশ ধোয়া হাই কমোডে তুলনামূলক কঠিন প্যানের চাইতে। এবং হাইকমোডের সাথে বদনা সিস্টেম আমাদের এইখানে অনেক দেখেছি। অবশ্য তা অনেকটা অভ্যাসের ব্যাপার। আসলে সমস্যা হইলো, যেই ব্যবহার করে...মনে করে এইডা ওয়ান টাইম ইউজ এর মাল। পরে আরেকজনের যে অসুবিধা হতে পারে, তা খেয়ালে থাকে না।
আর এই কারণে নিতান্ত বাধ্য না হইলে বাইরের টয়লেট ব্যবহার করি না।
অতীত
নিতান্ত বাধ্য না হলে বাইরে টয়লেট ব্যবহার না করাই উত্তম। কিন্তু মৃত্যুর মত প্রকৃতিও অনেক সময় না বলে কয়ে ডাক দেয়। এই অমোঘ ডাক এ সাড়া দেয়ার আগে আমি কয়েক প্রস্থ টিস্যু পেপার কমোডের উপরে দিয়ে দেই।
অতিথি
আমাদের বাসায় প্যানআলা এবং কমোডআলা দুই ধরনের টয়লেটই আছে, ফলাফল স্বরুপ দুইভাবেই অভ্যাস্ত। এই পোস্ট ও কমেন্ট গুলা পঠন করে মনে হচ্ছে বেশ উন্নতমানের অভ্যাস রপ্ত করিয়াছি
তয় http://3.bp.blogspot.com/-d8onJ6ub8pg/Tu0LCSDxS4I/AAAAAAAABKs/VIKTMGjsylM/s1600/Bidet2.jpg এই ছবিখানা দেখে ভয় হইতেছে, এত জোরে পানি আসলে তো পশ্চাৎদেশের সাথে প্যান্ট-শার্টও ভিজে যেতে পারে মনে হচ্ছে
পানি বন্ধ না করে সিট ছেড়ে উঠা যাবে না। মনের ভুলেও অমন করার সুযোগ কম।
আর সিটের মধ্যে প্রেশার সেন্সর থাকে। উঠলেই ফ্লাশ হয়ে যায় অটোমেটিক।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
এক বন্ধু গান বানিয়েছিলো... "মন খুলে আজ হাগবো বলে মাঠে গিয়েছি, চার দেয়ালের মধ্যে আমি অনেক হেগেছি"....
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
একটু সংশোধনী... কবি এখানে ''মন খুলে'' না বলে মনে হয় অন্য কিছু খোলার কথা বলে থাকবেন!!
এটি নিঃসন্দেহে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান ও ব্যক্তিগত মূল্যায়নে জাপানের আধুনিক বিদেত টয়লেটগুলো (মূল পোস্টে সর্বশেষ তিনটি ছবিতে প্রদর্শিত) আমাদের জন্য সবচেয়ে স্বাস্থসম্মত, সুবিধাজনক ও আরামদায়ক। আমরা যারা কেবলমাত্র টয়লেট পেপার ব্যবহারে অভ্যস্ত নই, বরং পানি ব্যবহার করতে চাই তাদের জন্য এটি আদর্শ। শীতকালে ব্যবহারের সুবিধার্থে এতে বসার আসন ও ব্যবহৃত পানির উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা রয়েছে। শেষ থেকে দ্বিতীয় ছবিতে দেখানো বোতামগুলোর মধ্যে স্প্রে-তে চাপ দিলেই পানি অব্যার্থভাবে প্রয়োজনীয় গতিতে যথার্থস্থানে স্প্রে হয়ে পরিষ্কার করে দেবে। পানি বেরোতেই থাকবে যতক্ষণ না সন্তষ্ট হয়ে "স্টপ" বোতাবে চাপ দেওয়া হয়। পানির গতি কম-বেশী করা যায় "-" বা "+" চেপে। লেডিস টয়লেট এবং ছেলে-মেয়েদের কমন টয়লেটগুলোতে মূলতঃ মেয়েদের প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য বিশেষ স্প্রে যুক্ত করা থাকে। গোলাপী বৃত্ত্বের ভেতর "বিদেত" লেখা বোতাম চেপে এই সুবিধা নেয়া যায়। হাত মোটেই না ভিজিয়েই এই টয়লেট থেকে সম্পুর্ন পরিষ্কার হয়ে বের হওয়া সম্ভব। সাম্প্রতিক কালে যারা দীর্ঘদিন জাপানে থেকে দেশে ফিরে গেছেন তাদের অনেকেই এই টয়লেট মিস করেন। অনেকে নিজ বাড়িতে এই স্বয়ংক্রীয় টয়লেট স্থাপম করতে চান। বাংলাদেশে এই টয়লেট কেনার বা স্থাপনের কোন উপায় লেখক বা কোন পাঠকের জানা থাকলে, জানালে বাধিত হব।
অসাধারন! অসাধারন! এ কমোডনামার কিচ্ছা
বসতে পারি যেন এ কমোডে এটাই মনের ইচ্ছা!
#দারুন, ভাইয়া...
জাপানীরা কত্ত জ্ঞানী... নিরাপদে, সুশৃঙ্খলভাবে হাগা জন্য কমোড এর প্রভূত উন্নতি সাধন করে ফেলেছে।
কত কি জানার আছে বাকি!!! অতি জনগুরুত্বপূর্ণ লেখার জন্য সাধুবাদ।
টয়লেট নিয়ে বিচিত্রায় মজার কিছু ঘটনা পড়েছিলাম অনেক দিন আগে। ঘটনাগুলো কমোড সংক্রান্ত নয়। তবে আমাদের দেশের টয়লেটের ইতিহাসের সাথে সম্পৃক্ত বলা যায়। সেখানে টাট্টি (পায়খানা) বিদ্রোহ নামে অতি বিশেষ ধরণের বিদ্রোহের পরিচয় পাওয়া যায়। প্রথম ঘটনাটি চট্টগ্রামের। চট্টগ্রামের কমিশনার মি. কারকুড ছিলেন সম্ভবত দেশের প্রথম পৌরসভার চেয়ারম্যান। দায়িত্বপ্রাপ্ত হবার পর তার হঠাৎ খেয়াল চাপলো চট্টগ্রামের স্থানীয় লোকজনের পয়ঃনিষ্কাষণ ব্যবস্থা অত্যন্ত আপত্তিকর। তিনি ঘোষণা দিলেন নির্ধারিত স্থানের বাইরে কেউ মলমুত্র ত্যাগ করতে পারবে না। করলে জরিমানা ও শাস্তি। শহরের চার কোনায় চারটি বাঁশের তৈরী গনশৌচাগার স্থাপনের হুকুম দিলেন তিনি। এমনকি বাড়ীর পর্দানশীল মহিলাদেরকেও লাইন দিয়ে গনশৌচাগারে সামিল হবার আদেশ জারী হল। গনশৌচাগারের ময়লা পরিষ্কার করার জন্য বিহার থেকে দলে দলে মেথর আমদানী হলো। শুধু তাই নয় একই সাথে লেট্রিন ট্যাক্স নামে নতুন একটা কর ব্যবস্থা চালু হলো।
এরকম বেতমিজ আইনের কথা শুনে নগরবাসী ক্ষেপে গেল। একেতো নগরবাসীর কাছে পৌরসভা ব্যাপারটা অচেনা। তার উপর ওই গনশৌচাগার চালু করে মানুষের ইজ্জত সম্মানের উপর হামলা করা হয়েছে। মরার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে লেট্রিন ট্যাক্স নামক আজব জিনিস চাপিয়ে দিয়ে নাগরিক সমাজ আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠল।
সেসময় শহর এলাকায় হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায়কে এধরনের টাট্টি ব্যবহারের বিপক্ষে উস্কে দেয়া হয় এই বলে যে, একই ছোট্ট ঘরে সবাইকে পায়খানার জন্য প্রবেশ করিয়ে ব্রিটিশ কতৃপক্ষ তাদের ধর্মনাশের পাঁয়তারা করছে। যে মানুষগুলো সিপাহী বিদ্রোহের মতো ভারতবর্ষ কাঁপানো ঘটনায় চুপ ছিল, তারা এই ল্যাট্রিন ট্যাক্স ঘটনায় মশাল হাতে রাস্তায় নেমে এল। অচিরেই কটকট শব্দে আগুন জ্বলে উঠলো মুলী বাঁশের তৈরী স্থাপনায়। ফলে সেই সময় টাট্টি স্থাপনের উদ্দেশ্য পুরোপুরিই ব্যর্থ হয়। এই ঘটনা চট্টগ্রামের টাট্টি বিদ্রোহ হিসেবে পরিচিত।
টাট্টি নিয়ে অন্য একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল বাকল্যান্ডের আমলে। ১৮৬৪ সালে ঢাকা শহর রক্ষায় বাকল্যান্ড বাঁধ তৈরি করা শুরু হয়। প্রথম বছর নরথব্রুক হল থেকে ওয়াইজ ঘাট পর্যন্ত কাজ হয়। এসময় বাঁধ এলাকা প্রাতঃকালীন ভ্রমণের জন্য অত্যন্ত উপভোগ্য ছিল। লেডী বাকল্যান্ড সকালে ভ্রমণে বেরিয়ে দেখেন ওপারে সার বেঁধে বঙ্গ সন্তান প্রাকৃতিক কর্ম সারছে। এখবর পৌঁছে গেলো বাকল্যান্ডের কানে। তিনি পেয়াদা পাঠিয়ে জনগনকে এহেন নির্লজ্জ কর্ম হতে বিরত রাখতে প্রয়াসি হলেন। ফল হল উলটো। বাঁধা দেবার পর নাকি লেডীর ভ্রমণের সময় ওপারে প্রাকৃতিক কর্ম সারার হিরিক পড়ে গেলো।
কারকুড! কি বিচিত্র এই দেশ!
--------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ...
ভালো হেগে যদি সুখ নাহি, তবে ক্যানোওওওওও, তবে ক্যানো মিছে ভালো হাগাআআআআআ ♪♫
হাগব নাআআ হাগব নাআআ... অমন করে টাট্টি ঘরে হাগব না... পারি যদি... খোলা মাঠে গঞ্জে ঘাটে হাগব সদাই... নাআআআ...
বিমানের টয়লেট এবং পানি ও টিস্যু ব্যবহার সম্পর্কে কিছু যোগ করা যেতে পারে। বিদেশগামী শ্রমিকভাইদের তো কাজে লাগবেই, প্রথমবার বিমানে চড়ছেন যারা তাদেরও বেশ উপকার হতে পারে।
ওগুলোতে কখনও বড় কাজ করার ইচ্ছা বা বেগ চাপেনি। তাই অভিজ্ঞতা কম ... ...
জাপানের এয়ারপোর্টে দেখতাম বোর্ডিং/ওয়েটিং লাউঞ্জে টিভিতে বিদেশে গিয়ে কী কী আদব কায়দা মানতে হয় সেগুলো দেখাতে থাকে। এখানেও ইমিগ্রেশনের পর থেকে উলালা উলালা চ্যানেল বাদ দিয়ে সেরকম শিক্ষা/সচেতনতামূলক বিষয় থাকতে পারে। আর ইমিগ্রেশনের আগে থাকা উচিত এপাশে কোন কাজের পর কোনটা করতে হবে সেটার শিক্ষামূলক প্রদর্শনী।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
জাপানী প্যান দেখে আমার শুয়ে শুয়ে হাগু করার বহুদিনের শখটা মেটানোর একটা মিটিমিটি আলো দেখতে পাচ্ছি।
উনপঞ্চাশ হাজার আট'শ ইয়েনে বাংলা কতো টাকা হয় শামীম ভাই? টাকা জমানো শুরু করতে হবে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গ্যাদা বাচ্চা আর শয্যাশায়ী অসুস্থ বৃদ্ধ ছাড়া শুয়ে শুয়ে এই কাজ করে না কেউ। ঠিক্না .... ....
টাকা আর ইয়েন সমান সমান ধরে হিসাব করেন আপাতত।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
ইতালীতে একবার সহযাত্রী একজন বিডে ব্যবহার প্রণালী শিখে যেয়ে পরে ব্যবহারের সময় অতিরিক্ত গরম পানির ধারায় অস্থির হয়ে কাপড় ছাড়াই দৌড়ে বেরুয়েছিলেন।
...........................
Every Picture Tells a Story
বাজে অভিজ্ঞতা নিঃসন্দেহে। তবে দৌড়ে বের হওয়ার দরকার ছিল না বোধহয় ...
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
অবস্থা এরকম বেগতিক হলে খেলব না।
আচ্ছা, জাপানি বুড়ারা এই সামুরাই পজিশনে বসে ত্যাগ করে কেমনে? এভাবে খেলতে গেলে তো মলের সাথে প্রাণও ত্যাগ হয়ে যাওয়ার কথা, বুড়া বয়সে এত কষ্ট কিভাবে সহ্য হয়......
এক হাগার জন্য এত ব্যাবস্থা। গুরু আপনাকে স্যালুট ।
আর হাগার জ্বালা বোধ হয় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জ্বালা... হায় হায়
ডাকঘর | ছবিঘর
এত কিছু! আগে জানতাম না। ধন্যবাদ
এখন তো কমোড দেখলেই ডর লাগবে!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কয় কি!
আজকে বিডিনিউজ২৪ এ টেকনোলজিতে টয়লেট নিয়ে ফীচার এসেছে:
টয়লেট দেবতাকে তুষ্ট করতে...
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
(কমোডনামা-৩)
আরে এগুলা কোন ব্যাপারই না। একটা কমোডরে ২৪ ক্যারেট সোনা বা হীরা-মতি-পান্না-চুনি দিয়ে পুরান আমলের রাজা-বাদশারাও মুড়ায় দিতে পারত ইচ্ছা করলে। দিতও হয়তো। নতুনত্ব কিছু নাই।
কিন্তু চিন্তা করেন আপনি হাগতে হাগতে গাড়ি চালাচ্ছেন, চালাতে চালাতে হাগছেন আর আপনার হাগুর জোরেই, অর্থাৎ আপনার একান্ত ব্যক্তিগত 'হাগু পাওয়ারেই" সেই গাড়ি চলছে। কত্ত সুবিধা! কত্ত জ্বালানিসাশ্রয়ী! কি বৈপ্লবিক আবিষ্কার!! সোলার-উইণ্ড-কোল্ড ফিউশন সব বাতিলের ঝুড়িতে চলে যাবে।
হ্যাঁ, জাপানের বিশ্বখ্যাত 'টোটো' কোম্পানি এমন একটা ফিউচারিস্টিক মোটরসাইকেল বাজারে নিয়ে এসেছে। ধরেন আপনি ঢাকা থেকে চিটাগাং যাচ্ছেন এই বাইকে। পথে কোন সুবিধামত টয়লেট পাইলেন না। কুনো অসুবিদা নাই - চলন্ত ও বসন্ত অবস্থাতেই ছেড়ে দেন। ব্যস্, কেল্লা ফতে! সব অটোমেটিক!
আবার ধরেন, এখন আপনি চিটাগাং থেকে বান্দরবান পৌঁচেছেন। তারপর সদর থেকে থানচি যাচ্ছেন বা রুমা বাজার থেকে বগালেক যাচ্ছেন একই বাইকে। হঠাৎ পথিমধ্যে ত্যাল শেষ! অথচ ধারে কাছে কোন ফিলিং স্টেশন নাই। এখন কি করবেন??! আপনার অনভ্যস্ত ভারিক্কি শরীলটা নিয়ে কঠিন পাহাড়ি পথ বেয়ে হেঁটে হেঁটে সুদূর থানচি বা বগাতে পৌঁছাবেন? নাকি একই পদ্ধতিতে ফিরেই যাবেন? না - কোনটাই পারবেন না আপনি। স্রেফ মরেই যাবেন!
না না - ডরিয়ে মাৎ! কুনো ভয় নাই! জাপানের বিশ্ববিখ্যাত টোটো কোম্পানি এর মোক্ষম সমাধান নিয়ে এগিয়ে এসেছে আপনার মত এ্যাডভেঞ্চারাস ফিউচারিস্টিক মানুষের জন্যই। তো কি করবেন আপনি? কিচ্ছু না - স্রেফ স্ট্রেইট হেগে দেবেন । এমনকি মোটরসাইকেল থেকে নামতেও হবে না!
হ্যাঁ, যেখানে বসে বাইকটা চালাচ্ছিলেন সেইখানে বসে বসেই, সেই পথেই। সব অটোমেটিক!
ব্যস্! এবার দেখেন আপনার বাইক ক্যামনে একটা কাশি আর গা-ঝাড়া দিয়ে উঠে পঙ্ক্ষীরাজের মত দৌঁড়ায়। আপনার 'হাগু পাওয়ার' থেকে 'বায়োগ্যাস', আর বায়োগ্যাস তথা বায়োফুয়েল থেকে বাইক-পাওয়ার। চিন্তা করেন, আপনার ব্যক্তিগত জীবনরক্ষা ছাড়াও সবাই এটা ব্যবহার করলে আমাদের গরীব দেশের জ্বালানি খাতে কি বিশাল সাশ্রয় ঘটবে, দেশের অর্থনীতিতে কি বিশাল অবদান রাখবে - বিশেষ করে তেল বাদ দিয়ে পুরো রাস্তাই যদি আপনি আপনার (এবং সবাই) শিট পাওয়ার দিয়েই চালাতে পারেন!!! সেক্ষত্রে একটু কষ্ট করতে হতে পারে অবশ্য (কারন একটু পরে পরেই...), কিন্তু দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এটা কোন ব্যাপারই না।
কি বিশ্বাস হচ্ছে না উপরে যা বললাম ? ভাবছেন কোন রকম অরুচিকর বিশ্রী ফিচলামি করছি ? না রে ভাই, সেই বয়স আর নাই! (দীর্ঘশ্বাসের ইমো)
তো আমার কথা যদি নেহাতই বিশ্বাস না হয়, তবে বিশ্ববিখ্যাত CNET কোম্পানির রিভিউটাই দেখেন বরং। এরা তো আর ফাত্রামি করার লোক না। এরা যদ্দুর জানি মাইক্রোসফট-গুগুল টাইপেরই একটা বিশ্ববিখ্যাত কোম্পানি। অনেক কিছুর সাথে বিভিন্ন ধরনের কাটিং এজ ইলেকট্রনিক গ্যাজেট/প্রোডাক্ট ইত্যাদির রিভিউ করা এদের একটা আন্তর্জাতিক মান ও খ্যাতিসম্পন্ন স্পেশালটি।
রিভিউটা ভাল করে পড়বেন। বেশি বড় না। ২-৩ মিনিটের বেশি লাগবে না। আরেকটু ভাল করে জানতে চাইলে Spoon & Tamago-র সাইটে দেখতে পারেন এরপরে। তারপর দেশের বৃহত্তর স্বার্থে বা আপনি যদি কিনতে আগ্রহী হন তাহলে এই অভিনব মোটরসাইকেলের বিস্তারিত স্পেসিফিকেশন জানতে cnet-এর ঐ লেখার মধ্যে দেয়া "Toilet Bike Neo" বা স্পুন এন্ড টামাগোর লেখাতে "Toilet Bike Neo Project" শীর্ষক লিঙ্কটা ফলো করতে পারেন। এটা অবশ্য টোটোর অন্যতম নিজস্ব জাপানি সাইটের, তবে ওখানে যেতে যেতেই গুগুল আপনাকে সেটা চমৎকার অটো-ট্রান্সলেট করে দিবে। টোটোর 'এবাউট' পাতাটা পড়ে দেখতে পারেন।
যাহোক, আমি শুধু ভাবছি টোটো কবে এরকম একটা বাস (bus) বের করবে। দরকার হলে সব যাত্রী মিলে ফুয়েলিং করবে। সেই বাসের ভিত্তিতে আমরা ঢাকায় 'বাস র্যাপিড ট্রান্সিট'-ও চালু করতে পারব। ব্যস্, ম্যাস জ্বালানিসাশ্রয়ের সাথে সাথে ঢাকার ট্রাফিক সমস্যারও সমাধান হয়ে যাবে। বাংলাদেশ অবশেষে সত্যি সোনার বাংলায় পরিণত হবে।
****************************************
পাঠকের সুবিধার্থে ছবিটাও দিয়ে দিলাম;
তবে কথা হল: ঐ নিও সিট হিসেবে ব্যবহৃত কমোডটা কোন আসল কমোড নয়। এটা বায়োগ্যাসে চলা বাইক। কমোডটাকে টোটোর পরিবেশ সচেতনতা প্রচারের সিম্বল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। টোটো কম্পানি নিজেরা কোনরকম বায়োগ্যাস বা মটরবাইক প্রস্তুত করে না।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
লেখাটা পড়ে খুব ভালো লাগলো | অত্যন্ত সময়োপযোগী | সময়ের সাথে বদলে যায় আমাদের রীতিনীতি গুলো | সব পরিবর্তন যে সটিক পরিবর্তন তা কিন্তু নয় | লেখকের এই সুন্দর লেখা তে তাই ফুটে উঠেছে | প্রযুক্তি জড়িয়ে রয়েছে সমাজ ও সংস্কৃতির সাথে | এর টানাপুরণে সমাজ এর রূপ পরিবর্তন হয় | কিন্তু সমস্যা হয় থখন, যখন, এক সামাজিক প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট প্রযুক্তি কে অন্য সমাজে ফেলে দেওয়া হয়, নিছক বাজারীকরণের জন্য | কমোড culture - কে মন্দ বলছি না | তবে হা, এটা তো সত্যি যে কমোড- এ জলের অপব্যবহার হয় | অপব্যবহার হয় কাগজের | প্রযুক্তি যদি শুধুই অনুকরনীয় হয়, তবে ভাবার যথেষ্ট কারণ রয়েছে |
কমোডে জলের অপব্যবহারের কথাটা বোধগম্য হল না।
ফ্লাশের পানির কাজ শুধু ময়লাটাকে ওয়াটার সিল পার করানোই নয়। বরং প্রায় আনুভূমিক পাইপ দিয়ে ঠেলে নিয়ে যাওয়ার কাজও করতে হয় একে। শুধু ওয়াটার সিল পার করানোর পানি দিলে দেখা যাবে ওয়াটার সিলের ঠিক বাইরের পাইপে ময়লা জমে আছে কিন্তু পানি চলে গিয়েছে - যেটা কাম্য নয়। কাজেই কমোড হোক বা প্যান, pour flush technologyতে যথেষ্ট পরিমান পানি ব্যবহার করতে হবেই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
শামীম, আমি আপনার সাথে একমত |
আমার বলার উদ্দেশ্য ছিল যে আমাদের পুরনো অনেক রীতি নীতি বেশ environment friendly ছিল | এখন আমরা অনেক প্রযুক্তি আমদানি করছি যা energy intensive |
ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর করে এমন জিনিস নিয়ে লিখবার জন্য ।
অনেক ধন্যবাদ। আমি বিডেট সম্পর্কে জানতে চাই। এটি কোথায় পাওয়া যায় এবং দাম কেমন পরে?
নতুন মন্তব্য করুন