মুম্বাইয়ে গত কয়দিনের ঘটনাকে একত্রে বলা যায়, আর্থশ্যাটারিং কিংবা পায়ের নীচের মাটি কাঁপিয়ে দেওয়া একটা ঘটনা। যদিও ভারতে গত এক বছরে উগ্রপন্থীদের হামলায় নিহতের সংখ্যা অনেক (সম্ভবত ৩৬০০)। কিন্তু তাজ এবং ওবেরয় হোটেলে ঘটে যাওয়া ঘটনা একেবারেই ভিন্ন ধাঁচের। বাসে, ট্রেনে, মার্কেট প্লেসে কিংবা উপাসনালয়ে বোমা পেতে যাওয়া কিংবা সুইসাইড বোম্বিং এর মধ্যে আততায়ীর লুক্কায়িত অপরাধবোধের ছায়া দেখা যায়। এই ধরণের আক্রমণগুলোতে সাফল্যের সম্ভাবনা নিশ্চিত করা হয় না। তারচেয়ে বেশী নিশ্চিত করা হয়, এটা কোন গোষ্ঠীর আক্রমণ সেটা। মুম্বাইয়ের এই আক্রমণে সাফল্যের সম্ভাবনাকে যতখানি নিশ্চিত করা হয়েছে, ততোখানি গুরুত্ব দেওয়া হয়নি "মুজাহেদীন" গ্রুপের নাম প্রচারে। ভারতের বাণ্যিজিক রাজধানীর নাকের ডগায় বসে, দুদিন ধরে সামরিক বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে হলে এক ক্যান্টনমেন্ট অস্ত্র দরকার। অথবা বলি এক ক্যন্টনমেন্টে মজুদকৃত অস্ত্র দরকার। কিভাবে সম্ভব ? এবং কি উদ্দেশ্যে এটা করা হলো ?
ভারতের আহমেদাবাদের ঘটনার পর থেকে একটা প্রশ্ন আমার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে, সেটা হলো এই বোমাবাজি আমাদের দেশে ব্যাপক আকারে রপ্তানী হতে আর কতোদিন বাকী ? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা পুরোন হাইকোর্ট চত্বরে এক ট্যাক্সি আরডিক্স নিয়ে যেতে খুব বেশী হাতি-ঘোড়া লাগে না।
বাংলাদেশে বোমাবাজি শুরু হয়েছে বেশ অনেক আগেই। কমিউনিস্ট পার্টির মিছিলে বোমা মারা দিয়ে শুরু হয়েছিল এই বোমা সংস্কৃতির প্রচলন। আমার এক বন্ধু তখন বলেছিলো "মরারে মাইরা কি বুঝাইতে চাইলো ?"। এরপর ক্রমাগত অনেক বোমাবাজি হয়েছে, এবং খুব স্বাভাবিকভাবেই আমি এবং আমরা আমেরিকা, ইসরায়েল, ভারত, পাকিস্তান নানবিধ তত্ত্ব
হাজির করেছি। কিন্তু মোদ্দা কথা হচ্ছে নাটের গুরু যেই হোক, নাট হচ্ছি দেশের মানুষ; আরো সহজভাবে বললে নাট হচ্ছে ধর্মান্ধ মানুষ। বিমানবন্দরের ভাস্কর্য একটা নমুনামাত্র, জঙ্গীবাদের ছোট্ট কিংন্তু তীব্র সফল একটা নমুনা। কাল যদি সেই একই দল চিৎকার করে বলে ওঠে জাতীয় যাদুঘরের বিষ্ণুমূর্তি সব ভেঙ্গে ফেলতে হবে, আমি খুব একটা অবাক হবো না।
সরকারকে এখনই মাঠে নামতে হবে। এখনই সময়। মুম্বাই যদি আমাদের চোখ খুলে দিতে না পারে তবে ছোট্ট একটা খবর। ভারতীয় একজন সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘মুম্বাই হামলার অপেরশনাল চীফ একজন বাংলাদেশী, হামলাকারীদের কয়েকজন বাংলাদেশী, কাশ্মীরি এবং ভারতীয়’। এইমাত্র সিএনএন থেকে প্রাপ্ত খবর। পায়ের নীচের জমি আলগা হচ্ছে খুব দ্রুত। মুম্বাই হতে পারে একটা সিগন্যাল আমাদের জন্যে।
মন্তব্য
ভারতীয় একজন সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘মুম্বাই হামলার অপেরশনাল চীফ একজন বাংলাদেশী, হামলাকারীদের কয়েকজন বাংলাদেশী, কাশ্মীরি এবং ভারতীয়’। এইমাত্র সিএনএন থেকে প্রাপ্ত খবর। পায়ের নীচের জমি আলগা হচ্ছে খুব দ্রুত।
হুমম ভয়াবহ দুঃসংবাদ, দুঃখজনক।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
বিবিসি বাংলা কিন্তু বাংলাদেশীদের ব্যপারে কোন নাম ঊল্লেখ করেনি।আর ঊল্লেখ করলেও অবশ্য অবাক হব না। সব কয়টি অধিবেশন শুনেছি।
ভীষন চিন্তার বিষয়।
এই সংক্রান্ত আরো একটা খবর থেকে জানা যায় ভারতীয় হিন্দু উগ্রবাদী সংস্থা অভিনব ভারত বাংলাদেশের ৫৪ জনকে ট্রেনিং দিয়েছে। কুলকার্নীর (সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা) ধরা পড়ার পরে এদের অনেকেই বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে। সুতরাং এরা এখন বাংলাদেশে ...
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
ছি ছি ছি! বলেন কি? আজকে সিয়ার্স টাওয়ারে গিয়ে ফজলুর রহমান খানের বদৌলতে আমার বুকটা ভরে উঠেছিল। আর এই খবরে মনটা চুপসে গেল।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আমাদের সরকারের ঘুম কোন কালে কারো আঁচড়ে ভাংবে বলে মনে হয়না।
_________________________________________
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ
আমি আজ চোর বটে!
নতুন মন্তব্য করুন