ডিজিটাল ইমেজ ক্যাপচারের যমানা এত বহুল বিস্তৃত হয়েছে যে লোকজন হরদম, দমাদম ছবি তুলছে। প্রয়োজনে তুলছে, অপ্রয়োজনে তুলছে। ঘটনা দেখলে মনে হয় লোকজন ঘুম থেকে উঠে প্রথমে টাট্টিখানায় যায় না, ক্যামেরা নেয় হাতে। মিসিসিপি নদীর ওপর একটা ব্রীজ ট্যাঁসে গেছে, এবং সেই ধ্বসে পড়বার ছবি ও ক্যামেরাবন্দী। চতুর্দিকে এতো বেশী লেন্সের প্রাদুর্ভাব যে কোন মূহুর্ত, যে কোন মূহুর্তে বন্দী হতে পারে সদা সচেতন ক্যামেরার খোপে।
আরেকটা ব্যাপক কান্ড হয়ে গ্যাছে। রাশিয়া নর্থ পোলে, সমুদ্রসীমার ১৩,১০০ ফিট নিচে সমুদ্র বক্ষে পুঁতে দিয়েছে টাইটানিয়ামের ফ্ল্যাগ।
হুঁ বাবা।
মরচে ধরবে না, ভাঙ্গবে না, এমনকী ৩২০০০ ডিগ্রীতেও গলবে না। তবে ১২০০০ এর উপরে ১৫ মিনিট থাকলে মুচমুচে টাইটানিয়াম হয়ে যাবে।
মির-১ এবং মির-২ নামে দুটো মিনিসাবমেরিন গিয়েছিলো সমুদ্রতল ঠ্যাঙ্গাতে, করে এসেছে এই কান্ড। অতখানি নীচে শুধু পানির যে প্রেসার তাতে যে কোন কিছুই কোকের এলুমিনিয়াম ক্যানের মত খোলামকুচি হয়ে যেতে পারে। মির বাবাজীদের চামড়া ছিল নিকেল-স্টিল এলয়ের ৫ সেন্টিমিটার পুরু। ওদের নামকরণ গণ্ডার-১ এবং গন্ডার-২ হলে ভালো শোনাতো।
এর চেয়েও বড় খবর হচ্ছে সারা পিত্থিমির এক-চতুর্থাংশ হাইড্রোকার্বন ফুয়েল ওই নর্থ পোলের চিপায়। নর্থ পোল ঘিরে রেখেছে পাঁচটে বজ্জাত রাষ্ট্র। শালারা দুনিয়ার-১/৪ তেল-গ্যাস ভাগাভাগি করবার চক্রান্ত করছে। এর মধ্যে রাশানরা বেড়ে হারামজাদা।
রাশানদের এই এক্সপ্লোরেশানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আর্থার/আর্টার চিলিনগারভ।
জাতিসংঘের নিয়মাবলী অনুযায়ী যে কোন দেশ তার কন্টিনেন্টাল শেলভ (মহীসোপান হবে বাংলায় সম্ভবত) থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল এক্সক্লুসিভ জোন ঘোষণা করতে পারে, এবং এর পরেও আরো ১৫০ নটিক্যাল মাইল নিজের আওতায় নিতে পারে। সাকুল্যে ৩৫০ নটিক্যাল মাইল। আইনানুগভাবে কেউ যদি এই সাড়ে তিনশো নটিক্যাল মাইলের একটা স্কোয়ার হড়ফ করে, তবে তার আয়তন দাঁড়ায় ৪,২০,০০০ বর্গ কিলোমিটার। আমাদের বাংলাদেশের ২.৯ গুণ। শালারা খেয়ে ফেল্লো গোটা দুনিয়া।
নর্থ পোলের জন্যি, এই পাঁচ বদরাষ্ট্র মানে ডেনমার্ক, নরওয়ে , আমেরিকা, কানাডা, রাশিয়া এরা এইরকম হুলা-পাগলা হইয়া পড়বার কারণ আছে। ২০০৪ সালে বিজ্ঞ ব্যক্তিরা বলেছেন এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ নর্থ পোলের ক্যাপ গলে যাবে। গইলে গেলেই জাহাজ যাওয়ার পথ পরিষ্কার, বরফ গইলে গেলেই শুরু হবে তেল-গ্যাসের জন্যি সমুদ্রের নীচে খামচা-খামচি।
কথা হচ্ছি, নর্থ পোল সকলের। কোন পঞ্চপান্ডব কে ঈশ্বর বাবাজী রতি ক্রিয়ার্থে ইহা বরাদ্দ করেননি। সুতরাং সমগ্র পিত্থিমির দশ কুড়ি পান্ডব থাকতে এই বেল্লিকেরা কেন একাই ভোগ করিবে ঈশ্বরের মহান আলামত।
জাতিসংঘের এই উল্লুক মার্কা কানুন বদলানোর দরকার মনে হচ্ছি।
কি বলেন ‘সচল’ গণ ?
মন্তব্য
কতা হচ্ছে বেড়ালের গলায় ঘন্টি বাঁধবে কিডা?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ছবির এ কি হাল?
বাংগালরে এবার আপনি নর্থপোল দেখান?
-----------------------------------
'আমি ও অনন্তকাল এইখানে পরস্পর বিস্ময়ে বিঁধে আছি'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
চিল্লায় আমাগো লাভ হইবো কিডা কন? লাভ হইছে লেখাটা পইড়া, অনেক কিছু জানবার পারছি।
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
কন কি?
ইউ কে, নেদারল্যান্ডস নাই লিস্টে?
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
নতুন মন্তব্য করুন