ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম (আইসিএসএফ) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ কর্তৃক জনাব আবুল কালাম আযাদের বিরুদ্ধে ঘোষিত সর্বপ্রথম রায়কে স্বাগত জানাচ্ছে। জনাব আযাদ জামায়াতে ইসলামীর একজন সাবেক নেতা, যিনি ১৯৭১ সালে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও গণহত্যা সংঘটনের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে বিচারের মুখোমুখি হয়েছিলেন।
আইসিএসএফ বিশ্বব্যাপী ১৩টি ভিন্ন সংগঠন ও বিভিন্ন ব্যক্তির সমন্বয়ে ২০০৯ সালে গঠিত একটি ফোরাম, যারা ১৯৭১ সালে সংঘটিত আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারের মাধ্যমে বিচারহীনতার সংস্কৃতির অবসান, আইনের শাসন ও সুবিচার প্রতিষ্ঠা এবং ১৯৭১ সালে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্যে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নিরন্তর সক্রিয়।
আইসিএসএফ এই প্রথম রায়কে ১৯৭১ সালে সংঘটিত আন্তর্জাতিক অপরাধের পর চার দশকব্যাপী চর্চিত এক বিচারহীনতার সংস্কৃতির অবসানের প্রারম্ভচিহ্ন এবং আক্রান্ত বিচারপ্রার্থী মানুষের জন্যে আশার আলোকবর্তিকা বলে বিবেচনা করে। এই রায় আইনের শাসনকে বলিষ্ঠতর করে তুলেছে।
এই ক্রান্তিলগ্নে এসে আইসিএসএফ ১৯৭১ সালে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ও তাঁদের ত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছে, যার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে। তাঁদের ওপর চালানো পৈশাচিক অপরাধের বিচারের ধারায় এই রায় তাঁদের আত্মার জন্যে গভীর প্রশান্তি বয়ে আনবে। বিচারের জন্যে দেশের সংক্ষুব্ধ মানুষের বিরতিহীন সক্রিয়তা ও প্রচারণা শত বিপত্তির প্রাচীর পেরিয়ে এই দিনটি আমাদের উপহার দিয়েছে।
জনাব আযাদ গ্রেফতার এড়িয়ে তদন্ত চলাকালে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রস্তুতির পর্যায়ে কৌশলে পলায়ন ও দেশত্যাগ করেন। যথাযথ তদন্তের পর প্রসিকিউশন তার বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণসম্বলিত মামলা দায়ের করেন, যা ট্রাইব্যুনাল-২ বিশ্লেষণ করে আমলে নেন। অভিযুক্ত ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন ১৯৭৩’ এর অধীনে ট্রাইব্যুনাল-২ এই বিচার কার্যক্রম ‘ইন এবসেনশিয়া’ পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেন এবং অভিযুক্তের পক্ষে মামলা লড়ার জন্যে সুদক্ষ আইনজীবী নিয়োগ করেন। উন্মুক্ত আদালতে এই বিচার চলে, যেখানে ট্রাইব্যুনাল-২ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন কর্তৃক উত্থাপিত সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করেন এবং অভিযুক্তের পক্ষে তার আইনজীবী কর্তৃক উত্থাপিত যুক্তি ও প্রসিকিউশনের বিরুদ্ধে দেয়া প্রতিযুক্তি বিশ্লেষণ করেন।
মন্তব্য
বিবিসি এ সম্পর্কে লিখেছে
"Bangladesh government figures estimate more than three million people were killed during the independence war, although some researchers put the figure at between 300,000 and 500,000."
বিবিসি বলেছে "সাম রিসার্চার" । কতটুকু গ্রহনযোগ্যতা আছে এই "সাম রিসার্চার" রেফারেন্সের?
আমার কাছে রিপোর্ট যথেষ্ঠ একপেশে মনে হয়েছে । ট্রাইবুনালকে বলেছে কন্ট্রভারশিয়াল । আমি মেইল পাঠিয়েছি, দেখি কী রিপ্লাই দেয়। যদি দেয় ।
আপনারা দেখুন প্রতিবাদ পাঠানো যায় কি না ? প্রতিবাদ হওয়া জরুরী ।
ধন্যবাদ
'''''''''''
তৃপ্তি আমার অতৃপ্তি মোর
মুক্তি আমার বন্ধনডোর
বিবিসির রিপোর্ট
http://www.bbc.co.uk/news/world-asia-21118998
'''''''''''
তৃপ্তি আমার অতৃপ্তি মোর
মুক্তি আমার বন্ধনডোর
কুনখানকার যদুমদু বালছাল লেইখা পাব্লিশ করছে আর সেইডা রিসার্চ হৈয়া গেছে! আর শত শত মানুষ হেগো জানাইবো রেফারেন্স দিয়া সেইডা শুনবোই না। লেখবো কন্ট্রাভার্শাল ট্রাইবুনাল! সবাইরে খুশ রাখতে চায়! কুন চামচিকা কী কৈল সেইডাও লেখবো!
_____________________
Give Her Freedom!
রাত্রির অন্ধকার কেটে যাচ্ছে এখন সূর্য্য উঠার পালা।
মানবতাবিরোধী যদ্ধাপরাদীদের বিচার বন্ধে বাধা আসছে আসবে তবে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই।
শুভকামনা রইল।
তুহিন সরকার
বাচ্চু রাজাকার পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছে। তাকে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির ব্যবস্থা করা কি সম্ভব হবে?
বাচ্চু রাজাকার কেন পলাতক, এর জন্য কেউ দোষী সব্যস্ত হয়নি?
কিভাবে পালালো, কার দায়িত্বে ছিল? কেন গ্রেফতার করে রাখা হয়নি?
প্রশ্নগুলো খুব উত্যক্ত করছে গতকাল থেকে। বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের প্রথম রায়টি শুনেও তাই খুব বেশী খুশী হতে পারছি না।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
এই রায়ের তাৎপর্য কিন্তু রায়ের পরপরই বাচ্চুকে ঝুলাতে পারা না পারার মধ্যে নয়। আপনি যে ত্রুটির কথা নির্দেশ করলেন তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এবং এর যথাযথ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু গতকালের রায়ের মাধ্যমে জুরিসপ্রুডেন্স প্রতিষ্ঠিত হলো, যেটা জরুরি ছিলো।
ভীষণ সত্য! এর একটা আলাদা প্রতীকী তাৎপর্য আছে। স্বাধীনতা বিরোধী চক্র এতদিন অপপ্রচার চালাচ্ছিল যে, সরকার আসলে বিচার চায় না, বিচারের নামে আইওয়াশ টাইপের কিছু করবে, আসলে সরকার বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখতে আগ্রহী পলিটিকাল ক্যাপিটাল হিসেবে ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য। কিন্তু বিচারপতি নিজামির স্কাইপে কথোপকথন প্রথম প্রমাণ করে, সরকার আসলেই আন্তরিক। আর বাচ্চুর রায়টি সেই বিশ্বাসকে বাস্তব রূপই শুধু দেয়নি, সঙ্গে সামনের রায়গুলোর ব্যাপারেও আশাবাদী করে তুলছে মানুষকে। বাচ্চুর রায়টি এ কারণেই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় আমার কাছে।
বিবিসির রিপোর্টটা যথেষ্ট আপত্তিকর লেগেছে। দেখলাম বাংলাদেশি কারও লেখা। বাংলাদেশিরা অনেক জায়গাতেই নিরপেক্ষভাব দেখাতে গিয়ে এক দিকে বেশি হেলে পড়ে। এইখানেও কন্ট্রোভারসির ব্যাপারটাই বেশি হাইলাইটেড হয়ে গেছে।
শেষ পর্যন্ত বিচারের রায় হয়েছে এটা আনন্দের ব্যাপার, কিন্তু বাচ্চু রাজাকার যে সহসা শাস্তির মুখোমুখি হচ্ছে না এই কাঁটাটা গলায় বিধেই রইছে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নতুন মন্তব্য করুন