পাহাড়ি নারী কবে তার অধিকার পাবে

ইলিরা দেওয়ান এর ছবি
লিখেছেন ইলিরা দেওয়ান [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ০১/১০/২০০৯ - ১১:২৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাংলাদেশসহ উপমহাদেশজুড়ে পিতৃতন্ত্রের যে রকম বিস্তৃতি তা থেকে বাংলাদেশের পাহাড়ি সমাজব্যবস্থাও বেশি দূরে সরে যেতে পারেনি। এখানেও নারীকে অবদমিত করে রাখার প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ নানা প্রবণতা লক্ষণীয়। তবে বাংলাদেশের অপরাপর সমাজব্যবস্থা থেকে পাহাড়ি সমাজব্যবস্থা কিছুটা উদার। যেমন, পাহাড়ি সমাজে পর্দাপ্রথা নেই এবং নারীর শ্রমের ওপর কোনো অলিখিত বিধিনিষেধ নেই। পাহাড়ি নারীরা তুলনামূলক অনেক বেশি স্বাধীনতা ভোগ করে অর্থাৎ চলাফেরায় স্বাধীন। তবে অধিকারের প্রশ্নে গতানুগতিক পুরুষতান্ত্রিক ধারাই লক্ষণীয়।

১৯৯৭ সালের ৮ মার্চ বাংলাদশে প্রথমবারের মতো জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা ঘোষিত হয়। এটি বাংলাদেশের নারীদের জন্য নিঃসন্দেহে অগ্রগতির একটি মাইলফলক ছিল। জোট সরকারের আমলে এ নীতিমালায় নেতিবাচক সংশোধনী আনা হয়। ২০০৮ সালের ৮ মার্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকার আরেকটি জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ঘোষণা করে। এতেও আদিবাসী নারীদের বিষয়টি বরাবরের মতোই উপেক্ষিত রয়ে গেছে।

পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় নারীকে সব সময় অধীনতার প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের ৮০ শতাংশের বেশি নারী ঘরের বাইরে কাজ করে। তা সত্ত্বেও সম্পদের ওপর পাহাড়ি নারীদের অধিকার না থাকায় পুরুষের চেয়ে নারীরা অনেক পিছিয়ে। পাহাড়ি সমাজের প্রচলিত উত্তরাধিকার প্রথায় পুত্রসন্তানই সম্পদের একক অধিকারী হিসেবে গণ্য হয়। প্রথাগত আইনের মাধ্যমে নারীদের এ অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। ফলে সম্পত্তির ওপর নারীর মালিকানার বিষয়টি পরিবারের পুরুষের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। কেবল দান বা উইলের মাধ্যমে নারীরা সম্পত্তির অধিকার লাভ করতে পারে। স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রী অধিকার লাভ করতে পারে। তবে অপুত্রক অবস্থায় অন্য কোথাও বিয়ে হলে সে প্রয়াত স্বামীর সম্পত্তির ওপর অধিকার হারায়।

পাহাড়ি নারীদের আরেকটি বিষয়ে আইনগত ভিত্তি থাকা খুবই জরুরি। তা হলো বিবাহ নিবন্ধন। বিয়ের লিখিত কোনো দলিল না থাকায় পারিবারিক কোনো ঝামেলায় জড়ালে তারা আর রাষ্ট্রীয় আইনের সহযোগিতা নিতে পারে না। বর্তমান সময়ে এসে এ বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে।

ঐতিহ্যবাহী প্রথার ক্ষেত্রেও আমরা দেখি নারীকে কীভাবে অবদমিত করে রাখা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন সার্কেলের প্রধানেরা পুরুষ এবং উত্তরাধিকার সূত্রে কেবল পুরুষেরাই উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচিত হয়। এ ছাড়া মৌজাপ্রধান (হেডম্যান), গ্রামপ্রধান (কার্বারি) প্রভৃতি পদও পুরুষকেন্দ্রিক। তবে বর্তমানে এর ব্যতিক্রমও কোথাও কোথাও দেখা যাচ্ছে। রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর মৌজা ও শুকরছড়ি মৌজা এবং খাগড়াছড়ি জেলার ১৯৬ নম্বর মাটিরাঙা মৌজার প্রধান হিসেবে তিনজন নারী এখনো দতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

অতীতেও দেখা যায়, ১৮৩২ সালে চাকমা রাজা ধরম বক্স খাঁর মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী কালিন্দী রানী দক্ষতার সঙ্গে রাজ্য শাসন করেছিলেন তিন দশক। প্রথম দিকে ব্রিটিশরা রাজ্য শাসনের ভার তাঁর হাতে তুলে দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে রানী এর বিরুদ্ধে আপিল করেন। অবশেষে ১৮৪৪ সালে রানী আইনগতভাবে রাজ্য শাসনের কর্তৃত্ব অর্জন করেন। এ সময় তাঁকে ক্যাপ্টেন লুইনের মতো ঝানু কূটকৌশলীসহ অনেক বড় সমস্যাকে কঠোর হাতে মোকাবিলা করতে হয়েছে। [সূত্র: চাকমা জাতির ইতিবৃত্ত, বিরাজ মোহন দেওয়ান]
অর্থাৎ রাজনীতি ও নীতিনির্ধারণেও নারীরা যে সাবলীল ও দক্ষতা অতীতেও প্রমাণিত হয়েছে।

প্রশাসনিক কাঠামোয় পাহাড়ি নারীর অবস্থান: পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রশাসনিক কাঠামোর অন্যতম প্রধান ক্ষত্র হচ্ছে 'পার্বত্য জেলা পরিষদ' ও 'আঞ্চলিক পরিষদ'। এ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদে নারীর ক্ষমতায়নের সুযোগ রয়েছে। ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোয় ১৯৯৮ সালে সংশোধনী আনা হয়। সংশোধনীর মাধ্যমে জেলা পরিষদগুলোয় তিনজন নারী সদস্য অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে, যাঁদের দুজন পাহাড়ি এবং একজন বাঙালি হবেন। জেলা পরিষদ আইনের ধারা ১৬(ক)-তে অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ গঠনের বিধান রাখা হয়েছে।
১৯৮৯ সালের পর জেলা পরিষদগুলোয় আর কোনো নির্বাচন না হওয়ায় ১৯৯৭ সাল থেকে অন্তর্বর্তীকালীন আইন জারির মাধ্যমে আজ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ দ্বারা জেলা পরিষদগুলো পরিচালিত হয়ে আসছে।

অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদে দীর্ঘ একযুগ ধরে কোনো নারী প্রতিনিধিত্ব নেই। ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় নারীর প্রতিনিধিত্বের বিষয়টি উপেতি রয়ে গেছে। বর্তমানে যেখানে নারীর মতায়নের বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব পাচ্ছে, সেখানে পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থানীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থায় নারীর মতায়নকে স্থবির করে রেখে দেওয়া হয়েছে। অনুরূপভাবে আঞ্চলিক পরিষদেও তিনজন নারী প্রতিনিধির বিধান আছে। তবে তাঁদের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য নয়।

জাতীয় সংসদে মহিলাদের জন্য ৪৫টি সংরক্ষিত আসন রাখা হয়েছে। সেখানেও আইনগতভাবে আদিবাসী নারীদের জন্য কোনো কোটা রাখা হয়নি। তবে এবার একজন আদিবাসী নারীকে মনোনিত বা পরোক্ষভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। কিন্তু এখানে প্রশ্ন থেকে যায়, মনোনীত নারী সাংসদ আদিবাসী নারীদের প্রতিনিধিত্ব কতটুকু করতে পারবেন। একটি বিষয় মনে রাখা দরকার, শুধু সংখ্যালঘুদের ভোট পাওয়ার জন্য নয়; বরং সংসদে এমন আদিবাসী নারী প্রতিনিধি থাকা উচিত, যাঁরা আদিবাসী নারীদের স্বার্থ সংসদে তুলে ধরে তাদের নিরাপত্তা ও ক্ষমতায়নকে নিশ্চিত করতে পারবেন।

সবশেষে আমাদের এ কথা মনে রাখতে হবে যে, পার্বত্য চট্টগ্রামে নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রকে প্রসারিত করতে হলে স্থানীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথাগত ব্যবস্থায় নারীর উত্তরাধিকার নিশ্চিত করতে সামাজিক আইনে যেমন পরিবর্তন আনা জরুরি, তেমনি নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিবাহ নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা দরকার। বর্তমান সময়ে এসে এ বিষয়গুলোকে গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে।

এখন সময় এসেছে পাহাড়ি আদিবাসী নারীদের সম্পত্তির উত্তরাধিকার এবং প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোয় নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার।
iliradewan@ইয়াহু ডট কম


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

একটা আর একটার চেয়ে উত্তম! খুবই সুন্দর লিখেছেন। বিয়ের রেজিস্ট্রেশন আপনাদের সমাজে সামজিক সমস্যা না থাকলে এটাতে মনে সরকার আপত্তি করবেনা, কিছুদিন আগে হিন্ধুদের বিয়ে নিয়ে ও সরকার এই ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলো দেখেছিলাম পত্রিকাতে। সংরক্ষিত আসন আসলে লোক দেখানোই থেকে গেছে , কারন এখানে আমি এইবার মমতাজ (লোক শিল্পী) কে দেখে অনেকটা আশ্চর্য হয়ে গেছি। তিনি আমাদের দেশের সন্মানিত নারী নেত্রী হয়ে দেশের কি করছেন বুঝতে পারছি না।
ক্ষমতা যদি নামকা ওয়াস্তে দেওয়া হয় তাহলে সে ক্ষমতার দরকার নেই। আপনাদের আসলে সামনে আস্তে হবে আরো অনেক বেশি এবং সবচেয়ে বড় সহযোগীতার হাত বাড়াতে হবে সরকারকে। পার্বত্য এলাকা আমাদের দেশের জন্য গুরুত্ব পূর্ণ আর তাই এই এলাকার মানুষদের ও আমাদের কাতারে নিয়ে আসতে হবে। সংরক্ষিত আসনের নারী সাংসদের যেহেতু ক্ষমতা নাই তাই আপনাদের ভেতরের কাউকেই এগিয়ে এসে পূর্নাংগ আসনে প্রতিদ্বন্দীতা করতে হবে। অনেক কষ্ট করেছেন আর একটু করেন আমাদের সযোগীতা আপনাদের পাশে থাকবে সব দিক দিয়ে। নারীর মুক্তি দরকার নয় শুধু সময়ের চাহিদা এখন।

আবারো সুন্দর লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ, অনেক তথ্য বহুল লেখা। আশা করছি আরো অনেক আসবে।

গরীব
সাউথ কোরিয়া

ইলিরা দেওয়ান [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ, সাউথ কোরিয়া।
আমি আপাতত দেশের বাইরে আছি এবং খুবই ব্যস্ত থাকার কারণে হয়ত আপনাদের সাথে নিয়মিত মতবিনিময় করা সম্ভব হবেনা। তাই আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
ইলিরা

স্নিগ্ধা এর ছবি

লেখাটা ভালো লাগলো। কয়েকটা ব্যাপারে প্রশ্ন জাগলো -

পাহাড়ি সমাজের প্রচলিত উত্তরাধিকার প্রথায় পুত্রসন্তানই সম্পদের একক অধিকারী হিসেবে গণ্য হয়। প্রথাগত আইনের মাধ্যমে নারীদের এ অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। ফলে সম্পত্তির ওপর নারীর মালিকানার বিষয়টি পরিবারের পুরুষের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। কেবল দান বা উইলের মাধ্যমে নারীরা সম্পত্তির অধিকার লাভ করতে পারে। স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রী অধিকার লাভ করতে পারে। তবে অপুত্রক অবস্থায় অন্য কোথাও বিয়ে হলে সে প্রয়াত স্বামীর সম্পত্তির ওপর অধিকার হারায়।

এর মানে কি এই যে, নারীর সম্পত্তি উত্তরাধিকারের আইনগত অধিকার আছে, কিন্তু 'প্রথা'র কারণে সেটা পুরুষের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর নির্ভরশীল হয়ে রয়েছে? নাকি, স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রীকে (অথবা, বাবার মৃত্যুর পর মেয়েকে) সম্পত্তি পেতে হলে আগে থেকেই স্বামীর দান বা উইল করা থাকতে হয়?


কিন্তু এখানে প্রশ্ন থেকে যায়, মনোনীত নারী সাংসদ আদিবাসী নারীদের প্রতিনিধিত্ব কতটুকু করতে পারবেন।

কিন্তু, এছাড়া জাতিগত বা সংসদীয় পর্যায়ে আর উপায়ই বা কী? যিনি
সংসদে আসবেন তাঁর ক্রেডিবিলিটি বা সততার ওপর এটা নির্ভর করবে না?
জেলা পরিষদে নির্বাচিত নারী প্রতিনিধি থাকলে, এবং তাঁদের মধ্যে থেকে সাংসদ হিসেবে কেউ নির্বাচিত হয়ে গেলে সেটা ভালো হতো, তবে তারপরও ঐ ঝুঁকিটা থেকেই যায় কিন্তু।

আপনি, এবং আরো যারা পার্বত্য নারী (আসলে সামগ্রিকভাবে পার্বত্য অধিবাসী) নিয়ে লেখেন, তাদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা বোধ করি। নিজের দেশের এই মানুষগুলো বা তাঁদের রীতিনীতি সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতাম না - আপনাদের লেখা থেকে সেগুলো জানতে পারি।

যেমন, বিয়ের আইনী রেজিস্ট্রেশনের অনুপস্থিতি - এটার কি চল নেই, নাকি রেজিস্ট্রেশন করার আইনগত ভিত্তিই নেই?

ইলিরা দেওয়ান [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ, স্নিগ্ধা, লেখার সাড়া দেয়ার জন্য। আমাদের পাহাড়ি সমাজ ব্যবস্থায় প্রথাগত ব্যবস্থাটায় সামাজিক আইন। এ আইনে নারীর সম্পত্তির উপর কোন অধিকার নেই। পিতা জীবিত থাকাকালীন যদি উইল করে যান যে, তার কন্যাকে তিনি সম্পত্তির এত অংশ দান কবুলিয়ত করে গেলেন, তবেই কন্যা সন্তান সম্পত্তি পাবে। সুতরাং বিষয়টি অনেকটা পুরুষের ইচ্ছা অনিচ্ছার উপর নির্ভরশীল।
আর নারী সাংসদদের বিষয়ে যে কথাটি বলতে চেয়েছি তা হল, সংসদে শুধু অলংকার হিসেবে নয়, গঠনমূলক ভূমিকা থাকাটা জরুরী।
আর বিবাহ রেজিস্ট্রির বিষয়টি পাহাড়ি সমাজে চল নেই। সামাজিকভাবে জেন্টেল এগ্রিমেন্টের মাধ্যমে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। বিবাহ বিচ্ছেদ খুবই কম, তবে রেজিস্ট্রি না থাকাতে বিক্ষিপ্ত ঘটনাসমূহে পাহাড়ি নারীরা জাতীয় আইনের সহযোগিতা নিতে পারেনা।

স্বাধীন এর ছবি

সুন্দর লিখেছেন। আদিবাসীরা প্রায় সব দেশেই উপেক্ষিত হয়েছে। তবে সময়ের পরিবর্তন হয়েছে। আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার মত দেশে সবাই এখন তাদের অতীত কর্মের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে, এবং আদিবাসীদের অধিকারের জন্য প্রয়োজনীয় আইন করছে। আপনি লিখে যান, একদিন আপনারাই পারবেন এ দেশে আদিবাসীদের অধিকার বাস্তবায়ন করতে। সাথে আছি সবসময়।

ইলিরা দেওয়ান [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ স্বাধীন।
আমরাও আশাবাদী, আমরাই পারবো আমাদের (পাহাড়িদের) অধিকার আদায় করে নিতে।

অতিথি লেখক এর ছবি

আদিবাসীরা কথা বলতে গেলে মাইনরিটি বলে আগে পাত্তা দেয়া হত না। কিন্তু আমাদের সবাইকেই বুঝতে হবে এরা আমাদের জাতিসত্তার একটি অংশ। এদের নিজেদের সংস্কৃতি কে লালন-পালন তথা যথাযথ সম্মান দিতে হবে আমাদের। আমাদের মনে রাখতে হবে পাহাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে কোন লাভ হবেনা, বরং এদের সাথে আলোচনায় বসে এদের সমস্যার সমাধান করতে হবে।

ধন্যবাদ সুন্দর একটি ব্লগ লিখার জন্য।

জিবরান মাহমুদ

ইলিরা দেওয়ান [অতিথি] এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ জিবরান মাহমুদ।
আমি আশাবাদী, আপনাদের সাথে পেলে ব্লগের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের ইস্যু নিয়ে অন্যদেরও আমরা সচেতন করতে পারবো।
আমি দেশের বাইরে আছি, তাই নিয়মিত মতবিনিময় করতে না পারার জন্য দুঃখিত।
ইলিরা

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

বর্ষা এর ছবি

ভালো লেখা, অনেক ইস্যু উঠে এসেছে। আচ্ছা, নারী ও সম্পত্তি র ব্যাপারে রেস্ট অফ দ্যা বাংলাদেশের আইন কি প্রযোজ্য নয়?
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।