আর একবার যদি ঘৃণা কর
এই শেষবার বলে রাখলাম
কেউই রেহাই পাবেনা তোমরা
শরীরে আমার ক্যান্সার কোষ,এইডস এর জীবানু
রক্তকে দূষিত করবো আমি তোমাদের।
আর একবার যদি ঘৃণা কর
বলে রাখছি আমি শহরের বিষাক্ত বায়ুকে
স্তরে স্তরে সাজানো মৃত্তিকাকে
থরে থরে বিছানো গোলাপ আর
অদম্য উৎসাহে লালিত গৃহপালিত জন্তুদের
নিমিষে অনস্তিত্ব দেখবে তোমরা নিজেদের ।
আর একবার যদি ঘৃণা কর
কথা ছাড়াই কেড়ে নেব সব
সবুজ ধানক্ষেত ,হলুদ রঙা ধানের শীষ
চাক ভেঙে তুলে নেব মধু
গাভীর ওলান থেকে মুছে দেব দুধের গন্ধ
আর্দ্র সকালে ঘাস থেকে তুলে নেব শিশির।
আর একবার যদি ঘৃণা কর
কিছুই রেহাই দেবনা তোমাদের
চিত্রিত হরিণের গা থেকে তুলে নেব চামড়া
-জুতা বানাব
জল থেকে তুলে নেব ছায়া
দরিদ্র চিত্রকরের মতো ফেরী করব বাজারে।
ভরা পদ্মার রুপালি ইলিশ আর
গৃহপালিত পাখিদের জড়ানো তন্তু
সবই খেয়ে ফেলব নাস্তার টেবিলে
তোমাদর খাদ্যযন্ত্রের প্রতিটি উপাদান
একেকটি এঁটো হয়ে থাকবে আমার ।
অথচ আর যদি একবার ভালবাস
হাতে আমার লেবুপাতার গন্ধ
সুগন্ধ বিলোতে আপত্তি নেই আমার
বস্তুত সুগন্ধ মাত্রই ছড়াতে ভালবাসে।
-------------------------------------------------
সুগন্ধ মাত্রই ছড়াতে ভালবাসে
মন্তব্য
নোট: নিজের ব্লগে প্রকাশিত এপ্রিল ৩, ২০০৮ - http://vagabond08.blogspot.com/2008/04/blog-post_5004.html
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
মুর্শেদ ভাই, আমার অ্যাভাটারটা আপনি ব্যবহার করেন
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ভাল্লাগছে।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
তোমার এই কবতাটা আমার খুব পছন্দের ।
কবিতার ভাষা ভালো। তবে অনেক যুগ আগের লেখা মনে হচ্ছে।
এ সময়ের কবিতাগুলো আপনার মনে হয় পড়া নেই। দেশী কবিতা ভালো না লাগলে বিদেশের কবিতা পড়ে দেখুন, অনুভূতির প্রকাশটা এখন একটু অন্যরকম হয়ে গেছে।
আর সবচেয়ে বড় কথা হলো লিখতে থাকুন। সমালোচকদের কাছে এই কবিতা কখনোই হয়ত মানদন্ড পেরুবে না। কিন্তু অগণিত পাঠকের কারো না কারো কাছে এটিতো ভালো লাগতেই পারে। তাই হাল না ছেড়ে লিখতে থাকুন একের পর এক।
মূর্তালা রামাত
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
নতুন মন্তব্য করুন