অনেকদিন পর শহীদ কাদরীর "একটি উত্থান-পতনের গল্প " কবিতাটা মাথার মধ্যে ঘুরতে থাকে । আমি বুঝতে পারি আমার সময় এসেছে , একটি আত্নজীবনীমূলক ব্লগে লেখার সময় এসে পড়েছে । আগে কাদরীর কবিতাটিতে একটু চোখ বুলিয়ে নিন
একটি উত্থান-পতনের গল্প
শহীদ কাদরী
আমার বাবা প্রথমে ছিলেন একজন
শিক্ষিত সংস্কৃতিবান সম্পাদক
তারপর হলেন এক
জাঁদরেল অফিসার ;
তিনি স্বপ্নের ভেতর
টাকা নিয়ে লোফালুফি খেলতেন
টাকা নিয়ে ,
আমি তাঁর ছেলে প্রথমে হলাম বেকার ,
তারপর বেল্লিক
তারপরো বেকুব
এখন লিখি কবিতা
আমি স্বপ্নের ভেতর
নক্ষত্র নিয়ে লোফালুফি করি
নক্ষত্র নিয়ে ;
--------
-------
বাবা যখন-তখন যাকে-তাকে চপেটাঘাত করতে পারতেন ।
আমি কেবল মাঝে-মধ্যে একে-ওকে চুম্বন ছুঁড়ে মারতে পারি ,ব্যাস !
প্রবল বর্ষার দিনে বাবা
রাস্তায় জলোচ্ছ্বাস তুলে স্টুডিবেকারে ঘরে ফিরতেন,
আমি পাতলুন গুটিয়ে স্যান্ডেল হাতে
অনেক খানাখন্দে পা রেখে এভিনিউ পার হ'তে চেষ্টা করি
বাবার নাম খালেদ-ইবনে-আহমাদ কাদরী
যেন দামেস্কে তৈরী কারুকাজ-করা একটি বিশাল ভারী তরবারী,
যেন বৃটিশ আমলের এখনও-নির্ভরযোগ্য কোনো
ঝনঝন ক'রে-ওঠা ওভারব্রীজ ,
আমার নাম খুব হ্রস্ব
আমার নাম শহীদ কাদরী
ছোটো,বেঁটে - ঝোড়ো নদীতে
কাগজের নৌকার মতই পলকা
কাগজের নৌকার মতই পলকা ।
শহীদ কাদরীর এই কবিতাটা মনে হলে আমারও বাবার কথা মনে হয়। আমার বাবা মফস্বল কলেজের শিক্ষক , সাবদার রহমান সরকার । সকালে ঘুম থেকে উঠে চা খেতে বের হন ,মোড়ের চায়ের দোকানে আড্ডা বসান বন্ধুবান্ধবদের সাথে । পুরোদস্তুর ফিটফাট হয়ে মোটরবাইকে রাস্তার ধূলা উড়িয়ে কলেজে যান। ধূলারা যেন তার শত্রু ,উড়ে যাতে চায় চারপাশে । আমি তার ছেলে ইমরুল কায়েস , এখন পর্যন্ত শেখা হয় নি সাইকেলে চড়া , সাঁতারও জানি না। আমার বাবা কলেজ থেকে ফিরে বাইকে করে গ্রামে যান , নিঁখুত চাষার মত আবাদ করেন শষ্যক্ষেত্র , মাছের চাষ করেন পুকুরে , শ্যালো মেশিনের পাহারাদারকে শাসান , ক্ষেতের কৃষকরা অনিয়ম করলে কেঁপে ওঠে । অদ্ভুদ প্রাণশক্তিতে পরিপূ্র্ণ একজন মানুষ তিনি । আমি তার ছেলে , আপাদমস্তক অলস , হতাশ আর বিভ্রান্ত এক যুবক । ঘুমাই সারাদিন , বাইরে বেড়োই কম , হাঁটি আরো কম ,পা ব্যথা করে ,ঘরের এক কোণে বসে পড়া মুখস্ত করি আর ভার্চুয়াল জগতে রাজা উজীর মারি ।
বাবা অল্পবয়সে নৌবাহিনীতে ঢোকেন , পালিয়েও আসেন একসময় । পালিয়ে এসে কলেজ ঢোকেন , বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন । চ্যালেন্জ নিতে উনি ভালবাসেন। আমি তার ছেলে , আমিও পালাই । কলেজে পালাই , বিশ্ববিদ্যালয়ে পালাই ,পড়াশুনা আমার ভাল লাগে না । পালিয়ে গিয়ে কোথাও মাসখানেক থাকব এমনটা আর হয় না , পালিয়ে আবার বাড়িতেই যাই । সুবোধ ছেলের মত দুই দিন পর বাড়ি থেকে ফিরে আসি , আবার পড়া মুখস্ত করতে বসি । চ্যালেন্জ মোকাবেলায় আমার বড় ভয় । চ্যালেন্জরা যেন একেকটা বিরাটাকার বিড়াল , আমি তাদের কাছে ইঁদুরদের মত মুষড়ে পড়ি ।
আমার বাবা রাজনীতি করেন , প্রতিরাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে এগারো-বারোটায় ফেরেন । রাজনীতির মাঠে তার প্রতিপক্ষ আছে , দাঙ্গা-হাঙ্গামার ভয় আছে । আমি তার ছেলে নিতান্ত সাধারণ , দেশ-দশের নেতৃত্ব তাকে দিয়ে হবে না । আমার কোন প্রতিপক্ষ নেই । প্রতিপক্ষকে আমি ভয় পাই , কেউ প্রতিপক্ষ হতে চাইলে আমি বাঁধা দেই , আমার দাঙ্গা-হাঙ্গামার বড় ভয় । হলের গেটে কেউ মার খেলে আমি চারতলা থেকে লাইট বন্ধ করে দেখি , নিচ থেকে আসা লাঠির শব্দে আমার আমার অন্তরাত্না কেঁপে ওঠে । মারা শেষ হয়ে গেলে তারা যখন উপরে একটা মাথা দেখে আর অন্ধকারকে উদ্দেশ্য করে বলে 'এই উপরে কে দেখে ?' , আমি তখন সরে যাই , আমার মনে হয় এখনই না সরলে কেউ একজন এসে মারতে শুরু করবে আমাকে । আমি মারামারি আর হট্রগোল বড় পাই । এই আমি তেইশ বছরের যুবক ইমরুল কায়েস আপাদমস্তক ভীতু , আজন্ম কাপুরুষ ।
আমার বাবার নিয়ন্ত্রন যোগ্য মানুষের কখনও অভাব হয় না । তিনি যখন কাউকে বলেন 'যাও অমুকটা করে আস' , তখন তারা প্রবলভাবে দৌড়ায় , তাদের দৌড় দেখলে মনে হয় তারা যেন শয্যাগত প্রায় মৃত আত্নীয়ের জন্য 'ও নেগেটিভ' রক্তের খোঁজে দৌড়াচ্ছে ব্লাড ব্যাংকে । আমার এরকম নিয়ন্ত্রনযোগ্য মানুষ কখনও হয় না । আমিও যদি বলি 'যাও অমুকটা করে আস' তখন যাকে বলি সে হয় শুনতে পায় না অথবা অনেক পড়ে বলে 'কি বলেছিলে ভুলে গেছি'। আমি তাদের এরকম ভুলে যাওয়া মেনে নেই , মানুষই তো ভুলে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক ! আমার বাবার কন্ঠে যেন ইস্রাফিলের শিংগার মত আওয়াজ । একবার যখন তিনি বলেন 'না' তখন চারপাশ যেন গমগম করে উঠতে থাকে , তারাও বলতে থাকে 'না,না, কিছুতেই না ' । আমি সচরাচর না বলি না । না বলতে আমার ভয় হয় । যদি পারতপক্ষে কখনও 'না' বলি , আমার বছরময় সর্দিভেজা গলা বেয়ে উঠতে তার প্রাবল্য কমে আসে , 'হা' এর মত শোনায় খানিকটা । যারা শোনে তারা বলে "হ্যাঁ ঠিকই বলছ ,এই বিষয়টা না হওয়ার কোন কারন নেই'।
আমার বাবা রোমান্টিসিজমে বিশ্বাস করেন । যুবক বয়সে তিনি মন দেয়া নেয়া করেন যার সাথে পরিনত বয়সে তাকেই বিয়ে করেন । রোমান্টসিজমের আতিশয্যে তিনি লেখেন ডায়েরি '"শেফালী নামের মেয়েটি " । সে ডায়েরী পড়লে যে কেউ তাকে রোমান্টিক একটা উপন্যাস বলে চালিয়ে দিতে পারে । আমি তার ছেলে , পুরোটাই যান্ত্রিক ,তেইশ বছর নারীসঙ্গবিহীন , তেইশ বছর নারীস্পর্শবিহীন ,ঘড়ির কাঁটাকে সব বুঝিয়ে দেয়া যুবক। তাদের দেখলে আমার রুক্ষ কন্ঠ আরো রুক্ষ হয়ে ওঠে , হাত পা কেঁপে ওঠে ভয়ে । তাদের কেউ একজন কোন এ সময় বলে ওঠে 'ইওর ভয়েস ইজ ভেরী হার্শ' । আমার রোমান্টিসিজমে আক্রান্ত হতে বড় ভয় হয় ।
আমার বাবাকে আমার একটি প্রাচীন বটগাছ বলে মনে হয় , অনেকেই তার ছায়ায় থাকে , অনেকেই তার ছায়ায় থেকে খুশি হয় । আমার নিজস্ব কোন ছায়া নেই ,আমি কাউকে ছায়া দিতে পারি না । অন্যের ছায়ায় থাকতেই আমি অভ্যস্ত, ছায়া সরে আমি বিপদাক্রান্ত হই । পরগাছা হয়ে আমি বটগাছকে জড়িয়ে ধরতে ভালবাসি । আমার বাবা উত্তর বাংলার এক সময়কার সাহসী যুবক , বর্তমান সময়ের এক কর্মঠ আর প্রানবন্ত মানুষ । আর আমি তার ছেলে জন্ম-জন্মান্তর থেকে নুয়ে আসা মানুষ, উত্তর বাংলার এক আহত যুবক । শহীদ কাদরীর মত আমারও বলতে ইচ্ছে "আমি"-
ছোটো,বেঁটে - ঝোড়ো নদীতে
কাগজের নৌকার মতই পলকা
কাগজের নৌকার মতই পলকা ।
মন্তব্য
এই মানুষগুলো জীবন থেকে পালিয়ে বেড়ায়নি । জীবনকে বাইনারীর মতো একপেশে করে দেখেনি । তারা ভোগে এবং ত্যাগে, স্বার্থে এবং সান্নিধ্যে বড় বর্ণময় ।
আমরা আসলেই বড় একঘেয়ে,নির্জীব,পালিয়ে বেড়ানো মানুষ ।
ইমরুল আপনার গদ্য দুর্দান্ত ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
একদম একমত।
আর ইমরুল-এর গদ্য ঈর্ষণীয়!
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
কী সুন্দর করে লিখলেন।
মনে হলো নিজের কথা পড়ছি।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
খুবই ভাল লাগলো ইমরুল!
_________________________________________
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ
আমি আজ চোর বটে!
_________________________________________
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ
আমি আজ চোর বটে!
শুধু এই লেখায় মন্তব্য করার জন্য লগ ইন করলাম
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
আমিও লগ-ইন না করে পারলাম না।
আত্মোপলব্ধির এমন চমৎকার প্রকাশভঙ্গী দুর্দান্ত!
আপনার নামের প্রতি ও পূর্ণ সুবিচার করেছেন।
ইমরুল, খুবই প্রাণবন্ত আপনার লেখা। আমরা সবাই অন্য সবার চেয়ে আলাদা। আপনার হয়তো আপনার বাবার গুণাবলী নেই, কিন্তু আপনি আপনার নিজস্ব গুণে বলীয়ান।
---------------------------------------------------------------------------
If your father is a poor man, it's not your fault ; but If your father-in-Law is a poor man, it's definitely your fault.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
লেখা ভাল লেগেছে, ইমরুল ভাই । রেনেট ভাইয়ের এই মন্তব্যের পর বলার আর তেমন কিছু নাই । কৌতুক করেও কিছু বলতে পারছিনা কারন সেটাও রেনেট ভাইয়ের স্বাক্ষরে আছে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
কিন্তু শহীদ কাদরীর কবিতায় তার বাবার মাচো চরিত্রের প্রতি বিদ্রুপ প্রবল। এবং নিজেকে তাঁর বাবার বিপরীত চরিত্র হিসাবে দেখার ইগো পরিস্কার। কিন্তু আপনি যেন আপনার বাবাকে আইডিয়ালাইজ করেছেন এবং সমপরিমানে নিজেকে ডিভ্যাল্যু করেছেন। আপনার ইগো অনুপস্থিত। বৃক্ষ কি হয় -ফলেই পরিচয়। এমনও তো হতে পারে, জগত্ সংসারে আপনার বাবার 'দাপট' শিশু আপনাকে সদা সর্বদা ভীত সন্ত্রস্ত করে রেখেছিল, আপনার সত্ত্বাকে প্রস্ফুটিত হতে দেয়নি মুক্ত আকাশে বাতাসে।
আপনার বাবা ছিলেন একজন বহির্জগতের মানুষ, সবাই তো তা হয় না। বহির্জগতে ব্যর্থ যারা তাদের তো অন্তর্জগত আছে। মানুষের অন্তর্জগতেও রাজনীতি আছে, মারামারী আছে, নির্ভয়ে তাতেই অংশগ্রহণ করুন না? সেখানে মাথা ফাটলে ব্যাথা লাগে না।
+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল
+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল
"মাচো" "আইডিয়ালাইজ" "ডিভ্যাল্যু" " ইগো" এতকিছু ভেবে আসলে আমি লিখিনি। আমি শুধু দুটি বিপরীত সত্ত্বার কথা বলতে চেয়েছি । আমার নিজের কোন ইগো নেই ,থাকার কথাও কোনকালে ছিল না । শহীদ কাদরীর কবিতায় ছিল কিনা বলতে পারছি না । শহীদ কাদরীর এই কবিতাটা আমার ঘুরেফিরে কয়েকদিন থেকে মনে হওয়ার কারনে এই লেখার উৎপত্তি । এই কবিতাটি 'শহীদ কাদরীর সাথে তার বাবার' এবং 'আমার সাথে আমার বাবার' ইগোর কম্পারেটিভ অ্যানালাইসিসে কোনভাবেই ব্যবহার করিনি , করেছি এরকম একটি লেখা মাথায় আসার 'ফ্যাক্ট' হিসেবে ।
সমস্যাটা এখানেই । আমি অন্তর্জগত নয় বহির্জগতের মানুষ হতে চেয়েছিলাম ।
লেখাটা খুবই ভাল লাগলো। বিস্তারিত মন্তব্যে গেলাম না। সবকিছু আগেই সবাই বলে দিয়েছেন। আমি শুধু সহমত জ্ঞাপন করে গেলাম।
আপনার গদ্যের সাথে পরিচিত।... এটাও ভালো লাগলো।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠিগুলোর ভাষা ও জাতিগত অস্তিত্বের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও সমমর্যাদা দাবী করছি
ইমরুল, আমি সবার আগে এ লেখাটা পড়েছিলাম ------
একদম প্রথম যখন প্রকাশ হলো লেখাটা --- --- --- ---- --- ---
নিজের লেখা নিয়ে তখন অনেকটাই মগ্ন ছিলাম তাই কিছু লিখিনি -----------
আরও একটা ব্যাপার মন্তব্য পড়ে আগে থেকেই লেখা সম্পর্কে প্রভাবিত হতে চাইনি, সেদিক থেকে খুব ভালো ছিলো , কোনো মন্তব্য ছিলো না লেখাটিতে ---
আসলে----- আমি --- জুতসই বাংলা খুঁজে পাচ্ছিনা, তাই ইংরেজীতি বলি?
আই আ্যম ভেরি ডিপলি টাচড! ভেরি ভেরি ডিপলি টাচড, আপনার এই লেখা পড়ে।
আপনার হাহাকারের মাঝেও কেমন একটা সুইটনেস, মেলাঙ্কলিক সুইটনেস, যেটা আমাকে ভীষণ ভাবে স্পর্শ করেছিলো।
ভালো থাকুন। এই লেখাটির জন্য শুধু পাঁচতারা নয় ---- ----- ---
অনেক অনেক সাদা জুঁইফুলের শুভ্রতা।
শুভাশীষ।
জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা
ইমরুল, লেখাটা চমৎকার লাগলো! আপনার গদ্যের হাত সত্যিই খুব ভালো!
কোন রকম মনোবিশ্লেষণে যাবো না - যা আপনার ভেতরে ছিলো তা সুন্দর করে প্রকাশ করেছেন এবং তাইই করতে থাকুন।
শুধু - কয়েকবছর পর এই লেখাগুলোর দিকে যখন ফিরে তাকাবেন, হয়তো দেখবেন ভবিষ্যতের ঐ 'হয়ে ওঠা' আপনার জন্য এখনকার এই লেখাগুলো খুব জরুরী ছিলো
=============================
চমৎকার লেখা!! এমন একটা লেখা যেটা অনেকগুলো লেখার মধ্য থেকে খুঁজে বের করে মন্তব্য করতে ইচ্ছে করে।
------------------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
লেখাটা যে কী পরিমাণ স্পর্শ করল, বোঝাতে পারব না। অসাধারণ একটা লেখা। আমার খুবই ভাল লেগেছে। যেসব পোস্ট পড়লে মনে একদম গেঁথে যায়, দীর্ঘদিন পরেও খুঁজে বের করে পড়া যায় বারবার, এটা সেরকম একটা লেখা। আপনার লেখার মধ্যে যেন নিজেরই ছায়া খুঁজে পেলাম।
নতুন মন্তব্য করুন