আজকাল কেন যেন কিছুই লিখতে পারি না। ব্লগে প্রথম লাইন লিখতে না লিখতে মনে হয় এক কাপ গরম কফি বানিয়ে আনি তাহলে হয়ত লেখার ভাব আসবে। প্রথম প্যারাগ্রাফ শেষ হতে না হতে অনুভব করি খুব ঠাণ্ডা লাগছে রুমে হিটার চালু করি। দশ বারো মিনিট হতে না হতে মনে হয় দূর কি সব ছাইপাস লিখছি, যাই টিভিতে ফুটবল দেখি। কলিংউড আর সিডনী খেলা হচ্ছে। এক কোয়ার্টার খেলা দেখে আবার না হয় লিখতে বসব। এভাবে আমার আর ব্লগ লেখাই হয় না। একজন বিপদে সাহায্য হাত বাড়াল। উপদেশ দিল কঠিন বিষয় নিয়ে লিখতে গেলেই এমন হয় তার চেয়ে বরং আসে পাশের তুচ্ছ তুচ্ছ বিষয় নিয়ে লেখ। দেখ কেমন সুড়সুড় করে লেখা বের হচ্ছে। তাই আমিও এখন থেকে বেশি বেশি তুচ্ছ হালকা বিষয় নিয়ে লিখব ভাবছি । আজ থেকেই শুরু করি। দেখি লেখা কোথায় গিয়ে শেষ হয়।
দৈনন্দিন জীবনে ইণ্টারনেট থাকায় খুব সুবিধা হয়েছে। সারা পৃথিবীর যে কোন খবর তাক্ষনিক ভাবে জেনে যাই। সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন এমনকি রেডিও CNN, ABC, Channel 10 যে খবর দেখানো হয়নি সেই গরম খবর নেটের মাধ্যমে সবার আগে জেনে ফেলি। তারপরেও নেটে যাই শুনব তার সব কিছু কিন্তু সত্য নয়।
নেটে প্রাঙ্ক বা বোকা বানানো খুব সাধারণ ঘটনা। বিশেষ করে এপ্রিল মাসের প্রথম তারিখ কে কাকে কীভাবে বোকা বানাবে সেই জন্য সবাই উঠে পড়ে লাগে। ব্যক্তি জীবনের আমি নিজে চরম বোকা মানুষ। আমি যা শুনি সরল মনে তাই বিশ্বাস করি। যে মানুষ বছরে ৩৬৪ দিন বোকা-সোকা সে বছরের আরেকটি দিন বেশী বোকা হলে তেমন কোন ক্ষতি হয় না। কিন্তু সমস্যা হয় বুদ্ধিমান্ লোকদের। তাদের থাকে সবার সামনে বোকা হবার আশঙ্কা। দিন তারিখ ভুলে অতি চালাক মানুষেরাও মাঝে মাঝে রীতিমত এপ্রিল ফুল বনে যায়।
সবাইকে এপ্রিল মাসের বোকা বানাতে অরকুট এক দিনের জন্য তাদের সাইটের নাম পরিবর্তন করে Orkut থেকে yogurt করে ছিল। এতটা বিশ্বাসযোগ্য ভাবে যে আইআইটি থেকে পাশ করা এক ভারতীয় বন্ধু এমএসএনে বলেছিল, “ জানিস অরকূট কি করেছে?”
আমি না জানার ভান করে বলি, “ কেন, কি করেছে?”,
“অরকুট আজ থেকে তাদের সাইটের নাম অরকুট থেকে ইয়োগার্ট করে ফেলেছে।”
আমি হতাশ হয়ে বলি, “দোস্ত আজকে তারিখ কত রে?”
তবে গত বছর গুগলের প্রাঙ্ক এদের সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে । তারা সারা বিশ্বে মুক্ত ইন্টারনেট দেবার কথা বলেছিল। নিজের বাসায় বসে মুক্ত ব্রডব্যান্ড। সেখানে ছিল আপনি সাইন আপ করবেন। গুগল আপনার বাসায় একটা মডেম পাঠাবে, একটা ফাইবার কেবল পাঠাবে। আপনার যা করতে হবে তা হল আপনার টাট্টিখানার কমোডে সেই কেবল ছেড়ে দিবেন আর তাতেই আপনার কম্পিউটার ইন্টারনেট চলে আসবে। বোধবুদ্ধিসম্পন্ন যে কোন মানুষ বুঝতে পারবে এটা একটি নিছক রসিকতা। কিন্তু জাতীয় দৈনিক (ইত্তেফাকে তথ্যপ্রযুক্তি) পাতায় একজন সাংবাদিক দেখি লাল কলামে গুগলের মুক্ত ব্রডব্যান্ড দেবার খবর নিয়ে ছবি সহ বিশাল সংবাদ হয়ে গেছে। সামহোয়ার ব্লগে একজন প্রখ্যাত পণ্ডিত ব্লগার এই নিয়ে গুরু গম্ভীর পোষ্ট দিয়েছেন। মন্তব্য জবাবী লিখেছেন আমেরিকা থাকলে মডেম আসতে এক সপ্তাহ লাগতে পারে বাংলাদেশে হলে একটু সময় বেশি লাগবে। হাসতে হাসতে আমার দম বন্ধ হবার উপক্রম।
এই সব তুলনায় টুইটারে বন্ধুর স্ট্যাটাস অনেকটা বিশ্বাসযোগ্য। মজিলা সাইটে উঁকি মেরে দেখলাম আসলে বন্ধু মোটেই রসিকতা করছে না। একেবারে সিরিয়াস। একদিনে সর্বাধিক ডাউনলোডকৃত সফটওয়ার হিসেবে ফায়ারফক্স গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অর্জন করার পরিকল্পনা করছে। ফায়ারফক্স নতুন ভার্সনের মুক্তির প্রথম দিনটি “ডাউনলোড ডে” পালন করবে। প্রথম চব্বিশ ঘণ্টায় সবাইকে এক কপি করে ফায়ারফক্স ডাউনলোড করতে অনুরোধ করেছে। মজিলা বেশ রসকষ দিয়েই লিখেছে, “it’s that easy. We're not asking you to swallow a sword or to balance 30 spoons on your face, although that would be kind of awesome.” (কি বুদ্ধি। এমন বুদ্ধি মাইক্রোফট, ইয়াহু কারো আসল না কেন? আফসোস! )
জনপ্রিয় ব্রাউজার ফায়ারফক্সের ভক্ত আমি কোন কালেই ছিলাম না। সেই মোগল আমলে স্কুল জীবনে Netscape Navigator ব্যবহার করতাম। ১৯৯৯ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত অন্য সবার মত Internet Explorer। “দেখি ত কেমন ব্রাউজার” কৌতূহলী হয়ে হঠাৎ Avant Browser ডাউনলোড করেছিলাম। প্রথম দর্শনেই প্রেমে পড়ে গেলাম। সেই থেকে এখনো Avant ব্যবহার করি। ব্রাউজার নিয়মিত আপডেট করি। মাঝে মাঝেই Opera, Firefox থেকে শুরু করে এপেল সাফারি, Flock সব কিছুই ব্যবহার করেছি কিন্তু এভান্টের মত মজা আর তৃপ্তি কোথাও পাই নি।
মজিলা ফায়ারফক্স কবে বিশ্ব-রেকর্ড করতে চায় সেই দিনক্ষণ পরিষ্কার করে কিছু বলছে না। আগে তারিখ ঠিক করে তারপরে বিশ্বরেকর্ড গড়ার কথা বলাই কি উচিত না? একেবারে বলে দিলেই হয় অমুক তারিখ রিলিজ হবে আগ্রহীরা এসে ডাউনলোড করে নাও। তা নয় শুধুমাত্র তারিখ জানতেই নিজের দেশ আর মেইল ঠিকানা দিয়ে আবেদন করতে হবে। ওরা মেইল করে পরে দিনক্ষণ জানাবে। এমন অভিনব বিজ্ঞাপন পন্থা দেখে চমৎকৃত হলাম। বিশ্বের মানচিত্র দেখছি আমেরিকার থেকে প্রায় দুই শত, অষ্টেলিয়ার থেকে ৫ জন আর বাংলাদেশ থেকে এখন পর্যন্ত কেউ আবেদন করে নি।
ফায়ারফক্স নতুন ভার্সন ছাড়লেই যে ইণ্টারনেট ব্যবহারকারী সবাই চোখ বন্ধ করে ইনস্টল করা শুরু করবে না সেটা মোজিলাও জানে। আমি নিজেও কোন সফটওয়ার পিসিতে ইনষ্টল করার আগে ডাউনলোড ডটকমে খুব ভাল ভাবে সাধারণ ব্যবহারকারীদের রিভিউ পড়ে তবেই ইনষ্টল করি। আবার অনেকেই দেখি কোন কারণ ছাড়াই ভার্সন 2.0 বা 3.0 থেকে 2.0.1 বা 3.1 বা 3.0.1 নামাতে পছন্দ করে। কারণ যতই আলফা বিটা করুক প্রথম রিলিজে বাগ থাকতে বাধ্য। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেখানে নতুন মডেলের আইপড পর্যন্ত দোকানে আসার আগের দুই তিন দিন আগেই কিন্তু সেই দোকানে নতুন হরেক রকম কভার, নতুন মডেলের জন্য প্রয়োজনীয় Accessories সব কিছুই কিন্তু বাজারে চলে আসে। ব্রাউজার ব্যাপারটাও এখন অনেকটা এই রকম। স্বতন্ত্র ব্রাউজার এখন আর কেউ ব্যবহার করে না। এর সাথে ব্যবহার করি হরেক রকম প্রয়োজনীয় এ্যাডঅন। মুক্তির আগে তাই তৈরি করে রাখতে হয় তার জন্য হরেক রকম ব্রাউজার এ্যাড অন। বিভিন্ন এ্যাড অন যেমন গুগল টুলবার, স্ট্যাম্বলআপন টুলবার নানা স্ক্রিন, থিম আরো অনেক কিছু। কিন্তু এইগুলো বেশীর ভাগিত থার্ড পার্টি আপ্লিকেশন। এই সব কিছু না থাকলে শুধুমাত্র ফায়ারফক্স ভার্সন কে ব্যবহার করতে চাইবে?
একদিনে সর্বাধিকারী ডাউনলোডকৃত সফটওয়ার হিসেবে বিশ্ব-রেকর্ড মত অভিনব রেকর্ড আগে কোন দিন শুনি নি। গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে অন্তর্ভুক্ত হওয়া নিশ্চয়ই চারটি খানি কথা নয়। বিশ্ব-রেকর্ড গড়তে আগে অফিসিয়ালি আবেদন করতে হয়, গিনেজ বুক থেকে নির্বাচিত বিচারক থাকে। তারা পরীক্ষা করে দেখবে আসলে রেকর্ড হয়েছে কিনা। অনুমোদন দিলেই তবে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস থেকে অথেনটিক সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। বুঝতে পারছেন আর যাই হোক বিশ্ব-রেকর্ড গড়া বিশাল একটা ব্যাপার।
এই নিয়ে একটা মজার কাহিনী বলি। তখন সবে মাত্র এখানে এসেছি। যাই দেখি তাতেই একেবারে একেবারে মুগ্ধ। একটা গ্রামের মাঝে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছি হঠাৎ রাস্তার পাশে দেখি বড় করে লেখা পৃথিবীর সব থেকে বড় পানি টেঙ্কি। আমি আগ্রহ নিয়ে ব্যাক গিয়ার করে গাড়ি পেছন নিলাম। বিশাল সাইনবোর্ড স্পষ্ট করে লেখা Place of Interest সাইন দিয়ে তীর চিহ্ন দেওয়া এই দিকে দুই কিমি দূরে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে অন্তর্ভুক্ত পৃথিবীর সব থেকে বড় পানির টেঙ্কি। আমি আমার পাশে বসা মিশেলকে বলি চল দেইখা আসি। জীবন আর কিছু না হোক অন্তত নাতি পুঁতিকে বলতে পারব আর কিছু না পারি সব থেকে বড় পানির পৃথিবীর টেঙ্কি অন্তত দেখেছি। মিশেলের খুব একটা উৎসাহ দেখলাম না। চোখ পাকিয়ে বলল এটা দেখার কি আছে? আমি বললাম অবশ্যই আছে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বলে কথা। যাক অম্প কিছুক্ষণ গাড়ি চালিয়ে একটা ছোট ফার্মে চলে আসলাম। এখানে আর যে কোন দশটা খামার বাড়ি মতোই। বাড়ির সামনেই মাঝারি আকারের পানির টেঙ্কি। এমনকি আমাদের চট্রগ্রামে বাড়ির সামনের ডিসী হিলের পানির ট্যাঙ্কির চেয়েও ছোট। এখানেও বোর্ডে বড় করে লেখা গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে অন্তর্ভুক্ত পৃথিবীর সব থেকে বড় এবং উঁচু পানির টেঙ্কি। কিন্তু নিচে ব্র্যাকেট ছোট করে লেখা কাঠের তৈরি তিন খুঁটিওয়ালা। এবার পুর বিষয়টি পরিষ্কার হল। আমার মাথায় ঢুকছে না ইট সিমেন্ট , কনক্রিট, স্টীল এত কিছু থাকতে কাঠের পিলারে তৈরি পানির টেঙ্কি কেন বানানো দরকার? হয়ত সারা বিশ্বে এটাই একমাত্র তেপায়া কাঠের খুঁটী দিয়ে বানানো পানির টেঙ্কি সুতরাং ৫০ বিলয়ন লিটার হোক আর ৫০ লিটার হোক এটাই হবে রেকর্ড।
তাই যেহেতু এমন কোন রেকর্ড আগে হয়নি তাই ফায়ারফক্স চব্বিশ ঘণ্টায় পাঁচ মিলিয়ন কপি ডাউনলোড হলেও এটা নতুন বিশ্ব রেকর্ড পাঁচ কপি ডাঊনলোড হলেও এটা নতুন বিশ্ব রেকর্ড। মজিলাও একি সাথে ফায়ারফক্সের প্রচারণা করল আর চামতালে একটা ফাউ ফাউ বিশ্ব রেকর্ড করে ফেলল। ট্যাগ লাইন এখন আছে পুরস্কার বিজয়ী ব্রাউজার দুই দিন পড়ে নতুন ট্যাগ লাইন হবে বিশ্ব রেকর্ডধারী ব্রাউজার। হায়রে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস!
মন্তব্য
গিনেজের অনেক রেকর্ডই এরকম ছেলেমানুষি ..... ....
জাপানে বাধ্য হয়েই ব্রাউজার পাল্টাতে হয়েছিল, কারণ জাপানি অপারেটিং সিস্টেম (উইন্ডোজ) থেকে ব্রাউজারের কোন মেনু বুঝতে পারতাম না - ভাষা পরিবর্তনও করা যায় না। তবে ফায়ারফক্স চেনার পর থেকে এটাই ব্যবহার করি। নতুন করে ডাউনলোডের দরকার হবে শুধু পাইরেটেড উইন্ডোজের জন্য। আমার বাসায় চলে উবুন্টু হার্ডি হ্যারন। ওখানে বেটা ভার্সান ৩ আছেই। নিজে নিজেই আপডেট হবে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
বলেন কি পিসির ভাষাই বুঝতে পারতেন না। উইন্ডোজ জাপানী ভাষায় হবার পরো ইংরেজিতে করা যেত না? বাপরে আমরা ইংরেজী ভাষায় এত অভ্যস্ত এখন উইন্ডোজ বাংলা ভাষায় করলেও ৯৯% ব্যবহারকারী মনে হয় ইংরেজ়ীতে স্বাচ্ছন্দবোধ করবে।
_____________________________
টুইটার
আমারো কিছু কইবার ইচ্ছা করতাছে। কিন্তু কী কমু হেইডাই জানি না এখনো। তাই কিছুই কইলাম না। তয় একটু হাসি দেই ?
হা হা হা !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ব্লগ পড়েছেন তাই ধন্যবাদ
_____________________________
টুইটার
দারুন লিখেছেন!! এভান্ট এর নাম শুনলাম এই প্রথম! ইদানিং ফায়ারফক্সই ব্যবহার করি বেশী। বিশ্বরেকর্ডের নামে একটা প্রচারনা চালাচ্ছে তারা মনে হয়।
কফি খেয়ে কোন ক্রিয়েটিভ কাজ করা মুশকিল। একঘেয়ে গা-জোয়ারী কাজ করা যায় মনে হয়। নতুন কিছু মাথায় আসে না। কফি না খাওয়াই ভাল। লেখা স্টার্ট করলেন তাহলে !!
[][][][][][][][][][][][][][][][][][]
ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ, কোরো না পাখা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
বল কি তানভীর আমি কিন্তু কফিহোলিক। দিনে ১০-১২ কাপ কফি পান করি। সকালে কাজে যাওয়ার আগে স্টারবাক্সে আগে যাই কফি কিনতে।
_____________________________
টুইটার
মাউস জেসচার, মাল্টি ট্যাব, অটোফিল আর চমৎকার ইনটুইটিভ ইনটারফেস। প্রথম ব্যাবহারেই ভালবেসেফেলেছি এভান্ট ব্রাউজারকে। বছরতিনেক হতে চলল ভালবাসা কমার কোন নামগন্ধ দেখছিনা। অপরা, ফক্স, সাফারি সবই আছে ইনস্টল করা, ধুলো খায়। এমনকি আইইর সপ্তম অবতার নামানোর পর্যন্ত কোন প্রয়োজন দেখিনি। খাসা আছি, তাই থাকতে দেন।
মাননীয় অতিথি আপনার নামটা ভাই জানা হল না।
আপনি আমার মনের কথা বলেছেন এভান্ট ব্রাউজার হচ্ছে সব থেকে সেরা। সব থেকে অসাধারন লাগে যে আমার আর কখনোই কোন সাইটে আইডি পাসওয়ার্ড লিখতে হয় না। এতেই কত সময় বাচে খেয়াল করলেই অবাক হই। আবার ব্রাউজারে চাইলে সংখেপে সাইট ঠিকানা দেওয়া যায়। মনে করেন আমি http://www.sachalayatan.com লিখতে চাই সেটা না লিখে sa লিখেই সাইটে যাওয়া যায়। উপরের প্যানেলে চাইলে সাইট বাটন লিঙ্ক থাকে, এত সুন্দর ভাবে ট্যাব আসে। আবার ট্যাবে ডাবল ক্লিক করলে বন্ধ করা যায়। কত কত সময় বাঁচে। তার উপরে এভাণ্টে অনেক দ্রুত পেইজ খুলে। আইই থেকেত বটেই এমনকি অপেরা ফায়ারফক্স থেকে অনেক ফাস্ট।
_____________________________
টুইটার
অনেকদিন পর ইরতেজা! ঘুম ভাঙলো?
আভান্ট-এর নাম আমিও প্রথম শুনলাম। টেরাই মেরে দেখবো নে। তবে ফায়ারফক্সে এত বেশি অভ্যস্ত, হয়তো বদলান হবে না শেষমেষ।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
হা হা...জি ভেঙ্গেছে ঘুম।
কনফু ভাই কেমন আছেন?
আভান্ট সম্পর্কে জানতে download.com যেতে পারেন। নতূন ভার্স নটাই প্রায় এক মিনিয়নের উপর ডাউনলোড হয়েছে। ফায়ারফক্স, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের থেকে অনেক অনেক বেশী। আমিও একজনের কথায় ডাউনলোড করে ছিলাম। আমার আরো তিন চার জন বন্ধু আমার কথা শুনেই যাচাই করার জন্য ইনষ্টল করেছিল। সবাই ছিল ফায়ারফক্স অভ্যস্ত। তারা একবার ব্যবহার করার পর আর কোন দিন ফায়ারফক্স বা অন্য কোথাও ফেরত যায় নি।
_____________________________
টুইটার
শিরোনাম দেখেই আকৃষ্ট হলাম। কয়েকটা প্রশ্ন:
১. ফায়ারফক্স আগে কী ভণ্ডামি করেছে?
২. প্রচারণাকে (তা যেভাবেই হোক) ভণ্ডামি বলছেন কেন?
৩. বাজারের ৪০% দখল এখন ফায়ারফক্সের। ফায়ারফক্সই তো মানুষকে আইএর হাত থেকে মুক্তি দিয়েছে নাকি?
৪. অভান্ট আর আইএর মধ্যে পার্থক্য কী? অভান্ট তো ভিতরে ভিতরে সব আই এর সুবিধা ব্যবহার করে; ইউন্ডোজ ছাড়া কিছুতেই চলে না।
১. ফায়ারফক্স আগে কী ভণ্ডামি করেছে? ২. প্রচারণাকে (তা যেভাবেই হোক) ভণ্ডামি বলছেন কেন?
ভাইয়া এটা নিয়ে আমি আগেও পোষ্টে কিছুটা লিখেছি। লিখতে গেলে এখন আরেকটা মহাভারত হয়ে যাবে। তাও আমাদের প্রযুক্তি ফোরাম থেকে আরেকটা বিষয় জেনেছি। মোজিলা ফায়ারফক্সের একটি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম আছে। যেকোন সাইট থেকে ফায়ারফক্স + গুগল/ইয়াহু টুলবার ইত্যাদি ডাউনলোড করালে অ্যাডসেন্স থেকে আপনি ২ ডলারের পাবেন প্রতি ডাউনলোডের জন্য। মজিলা সাইটে ইতিমধ্যেই লাখ লাখ মানুষ প্লিড করেছে। এখনো দিন তারিখ দেয় নি তাই এই সংখ্যাটাও আস্তে আস্তে কিছু দিনেই আকাশ স্পর্শ করবে। প্লিড করা আগ্রহীদের মাঝে শতকরা ৩০-৩৫ ভাগ মানুষও যদি ফায়ারফক্স একসাথে ডাউনলোড করে, তাহলে তো রাতারাতি মিলিয়নেয়ার বনে যাবে ওই সাইটের অ্যাডমিনিস্ট্রেটররা! একবার ভেবে দেখুন। অল্প সময়ে বিরাট অংকের টাকা কামানোর জন্য এর চেয়ে ভালো উপায় আর কি হবে।
৩. বাজারের ৪০% দখল এখন ফায়ারফক্সের। ফায়ারফক্সই তো মানুষকে আইএর হাত থেকে মুক্তি দিয়েছে নাকি?
ফায়ারফক্স 17.76% ব্যবহার করে, ইণ্টারনেট এক্সপ্লোরারের ব্যবহারকারী 74.83%। এটা এপ্রিল মাসের তথ্য।এখানে দেখুন |
৪. অভান্ট আর আইএর মধ্যে পার্থক্য কী? অভান্ট তো ভিতরে ভিতরে সব আই এর সুবিধা ব্যবহার করে; ইউন্ডোজ ছাড়া কিছুতেই চলে না।
হ্যা ঊইন্ডোজ এক্সপি, ভিস্তা এই সবে খালি আইই, এভান্ট চলে। লিনাক্স বা উবুন্টু ব্যবহার করতে হবে ব্রাঊজার এখন পর্যন্ত একটাই। সেটা হল ফায়ারফক্স। লিনাক্স আমি ব্যবহার করি না। লিনাক্সে অনেক সফটওয়ারই চলে না। আমার কাছে সারা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সফটওয়ার হল অভ্র আর আপনার তৈরী করা আপনা বানান। এই দূইটি ছাড়া বাংলা লেখার কথা কম্পনাও করতে পারি না। আপনা বানান লিনাক্সে চলে কিন্তু অভ্র মনে হয় এখনো চলে না।
না ভাই অভান্ট আর আইএর মধ্যে খুব একটা বিশাল পার্থক্য নেই । ওরাও আইএর এর মত Trident layout engine ব্যবহার করে। তবে আইএর থেকে অনেক ফাস্ট, অনেক বেশী ফিচার, অনেক বেশী সিকিওর। নির্ভাবনায় কাজ করা যায়। আর আপনি ভাইয়া সব কিছু Customize করে আপনার নিজের মত করে নিতে পারেন। যেমন ফ্লাস দেখতে চান না, ভিডিও দেখতে চান না, বিরক্তিকর বিজ্ঞাপন দেখতে চান না। যা চান না বন্ধ করে দিতে পারেন টুলস থেকে। আর ওই যে অটো ফিল সেটাও অসাধারন। সব সাইটে নিবন্ধন করতে নাম , ঠিকানা, বয়স, ইমেইল কিছুই লিখে সময় নষ্ট করতে হয় না। সব কিছু এক বারেই ফিল আপ হয়ে যায়।
আপনাকে ধন্যবাদ আলমগীর ভাই।
_____________________________
টুইটার
http://www.w3schools.com/browsers/browsers_stats.asp
w3 ডাটা অনুসারে, ফায়ারফক্স 40%
http://www.thecounter.com/stats/2008/May/browser.php
ইন্টারনেট ডাটা অনুসারে, ফায়ারফক্স 16%
_____________________________
টুইটার
আভান্টের জন্য লাগললে বছর বছর লড়ে যাব
আভান্ট হ্ল ১০০% আইই কিন্তু প্রেজেন্টেশনগত আইইর যতরকম দুর্বলতা আছে বেশীরভাগই নাই
আমার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল, আভান্ট কখনোই একাধিক উইন্ডো খোলেনা। ফলে একশো পেজ খুললেও এক এপ্লিকেশনের ভেতরেই। ফায়ারফক্সে সেট করা থাকলেও অনেক সময় দেখা যায় তুন চারটা উইন্ডো খুলে বসে আছি। প্রত্যেকটাতেই এক দুইটা করে ট্যাব। আমি নিচের টাস্কবারে মিনিমাম উইন্ডো খোলা রাখার পক্ষপাতী।
আর যেহেতু মুখোশের তলায় সেই আইই সেজন্য সব পাতাই এক্কারে আইইর মত করেই দেখা যায়। ফলে প্রথম আলো আর যায়যায়দিন কখনোই সমস্যা নাইক্কা
তয় আজকাল সার্চইঞ্জিন বাই ডিফল্ট ইয়াহুর একটা ভুয়া কিজানি থাকে। আমি বদলায়ে গুগল করে নিসি
[সামারিঃ ফাটাফটি চিজ, মাগার এক দুই টাইমে ক্র্যাশ করনের বদভ্যাস আছে]
ফরিদ@বইমেলা
ফরিদ ভাইয়ের মন্তব্যে বিপ্লব।
_____________________________
টুইটার
হায়রে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস!
তোর কল্যানে নিরস বিষয়ের সরস উপস্থাপনা পড়লাম!
খুব ভাল লিখেছ!
**********************
কাঁশ বনের বাঘ
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
পুতুল আপু তোর ভালো লেগেছে দেখে আমারো ভালো লাগল। অনেক দিন পর তোর সাথে কথা হল। ভালো আছিস আশা করি।
_____________________________
টুইটার
ফায়ারফক্সই ব্যবহার করি সবসময়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
বিপ্রতীপ ব্লগ | ফেসবুক | আমাদের প্রযুক্তি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
ধন্যবাদ বিপ্র ভাইয়া। কেমন আছিস তুই?
_____________________________
টুইটার
কথা ছিলো হালকা বিষয় নিয়ে লিখবেন। এইটাই কি সেই হালকা লেখা? আইচ্ছা, তাই যদি হয়, তাইলে আপনার জটিল লেখাটা কেমন? (এই প্রশ্নের উত্তর লাগবে না, এমনিই প্রশ্ন করলাম আর কি!)
তবে মূল লেখা শুরু করার আগে, মানে কফি খাওয়ার আগ পর্যন্ত যা লিখছেন পইড়া খুব মজা পাইছি, মানে ততক্ষণ পর্যন্ত সব কিছু বুঝতে পারছিলাম, তারপর থেইক্কা ঘটনা প্যাঁচ খাইতে শুরু করছে, আস্তে আস্তে সব ঝাপসা হইয়া আসতে লাগলো ... আর এখন আমার চোখে ঘন কুয়াশা। আমার কী দোষ বলেন, দেশের অন্যতম সেরা দৈনিকের আইটি বিষয়ক সাংবাদিক যদি ওই কাজ করতে পারে, আমি সে তুলনায় বোধকরি মার্জনাযোগ্য অপরাধ করেছি। আপনি যে সহজবোধ্য করার জন্য যথেষ্ট সচেষ্ট ছিলেন তাতে আমার কোনো সন্দেহ নাই। সব মিলিয়ে ভালো লেগেছে বেশ।
Avant কখনো ব্যবহার করি নাই, তবে যতদুর জানি, এইটা ফ্রি হইলেও ওপেন সোর্স না। এবং css 2 এর উপরে সাপোর্ট করেনা। শুধুমাত্র Windows এ চলে - (উপায় নাই যেহেতু IE shell ইউজ কইরাই বানানো।) এইটাই আমার কাছে ব্যবহার না করার কারণ হিসাবে পর্যাপ্ত।
ফায়ারফক্স এর গুনগান বইলা শেষ করা যাবেনা (কথা সত্য!), তাই বলতেও চাই না। রাগীব ভাই যেইটা বলছে, মেমোরি খায় বেশি, তবে নতুন ভার্সনে এইটা নাকি ঠিক করা হইবেক।
ডাউনলোড ডে'র ব্যাপারে বলি, ওপেন সোর্স এবং ফ্রি একটা প্রোডাক্ট পাচ্ছি - তার বদলে এইটুকু যন্ত্রণা সহ্য করতে রাজি আছি!
---- ঘোড়সওয়ার
হাহা পড়লাম, ভাল লেখসেন
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
অপেরা, ফায়ারফক্স, সাফারি, অ্যাভান্টসহ যাবতীয় ব্রাউজার দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করে সিদ্ধান্তে এসেছি: শ্রেষ্ঠতম ব্রাউজার Maxthon (আগে নাম ছিলো MyIE)। ব্যবহার করছি দশবছরেরও বেশি সময় ধরে। Maxthon-কে বলা চলে Avant-এর অগ্রজ। এক চৈনিক প্রোগ্রামার আইই ব্যবহার করে তৈরি করেন অসাধারণ এই ব্রাউজার। অপেরা ও ফায়ারফক্সের সমস্ত সুবিধা তো আছেই এতে, উপরন্তু আছে আরও কিছু, যা নেই অন্য কোনও ব্রাউজারে। ইনস্টল করে সেটিংস-এ ঢুকে নিজের পছন্দমতো টিউন করে নিয়ে কিছু প্রয়োজনীয় প্লাগ-ইন যোগ করে নিলে আর কোনও ব্রাউজারের প্রয়োজন আপনার কখনওই হবে না। অনেকেই হয়তো Maxthon-এ নাম কখনও শোনেননি। কারণ Maxthon আসলে কখনও ফায়ারফক্সের মতো প্রচারণা পায়নি বা করেনি বা করতে পারেনি।
ডাউনলোড ডটকমে Avant-এর চেয়ে Maxthon-এর জনপ্রিয়তা কম হলেও লক্ষণীয় যে, Avant-এর এডিটরস' রেটিং এবং য়্যুজারস' রেটিং যথাক্রমে চার তারকা ও চার তারকা। আর Maxthon-এর এডিটরস' রেটিং এবং য়্যুজারস' রেটিং যথাক্রমে পাঁচ তারকা ও চার তারকা।
সবচেয়ে বড়ো কথা, Maxthon-এ আমি একসঙ্গে ১৫০টি পর্যন্ত উইন্ডো খুলে দেখেছি কোনও চাপ পড়ে না মেমোরিতে।
এবং আজ পর্যন্ত কোনও Maxthon-ব্যবহারীকে অন্য কোনও ব্রাউজারে শিফট করেতে দেখিনি।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
দ্রোহী ভাই এইটা কি হইল নতুন করে মন্তব্য করেন প্লিজ বা এডিট করেন পেইজটা এত ডান দিকে বেকে গেছে
_____________________________
টুইটার
তাহলেই বোঝেন!! শুধুমাত্র এই মন্তব্যটা ঠিকভাবে দেখার জন্য হলেও আপনার ফায়ারফক্স ব্যবহার করা উচিৎ!!!
কি মাঝি? ডরাইলা?
আমি দশ বছর হয়ে গেল ব্রাউস করছি এবং ই-বিজনেস ডেভেলপার এর কাজ করি সেও অনেককাল হল। সত্যি বলতে আমার দুটো ব্রাউসারের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য চোখে আসে না, কিছু তথ্য পাতায় দেখানো ছাড়া এদের আর কি কাজ আছে? সবই এক ... কিছুতে কিছু কিছু বাগ আছে যা একেক শ্রেণীর ব্যবহারকারীর সমস্যার সৃষ্টি করে - এটাই যা। এখন এক ডায়াল আপ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর চাহিদা আরেকজন কাস্টমার সার্ভিস সেন্টারের কর্মরতা চাকুরীজীবীর চাহিদা যে এক হবে না সেটা বলা বাহুল্য। এখন কোনটা ভাল আর কোনটা খারাপ না বলে আমার মনে হয় প্রসঙ্গ উল্লেখ করেই মাপজোখ করা ভাল ...
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
নতুন মন্তব্য করুন