জীবনের একদম গোড়ার দিকে আমরা শিখি, 'অ'-তে অজগর আসছে তেড়ে, 'আ'-তে আমটি আমি খাব পেড়ে... কিন্তু যেটা কেউ কখনও ভেবে দেখিনি, তা হলো—'অ' এর পরে 'আ'-তে এসেই আমরা সবচেয়ে বড় বিদ্যার সন্ধান পেয়ে যাই। 'আম' পেড়ে খাবার কথা বলা থাকলেও, আমটা গাছের মালিককে জিজ্ঞেস করে পেড়ে খেতে হবে কিনা, তা কিন্তু বলা হয়নি। আর সেই শিক্ষায় দীক্ষিত হয়েই, জীবনের নানা অংশে বিভিন্ন জনের ভাগের আম খুব সুন্দরভাবে লম্বা লাঠি দিয়ে পেড়ে আমরা খেয়ে ফেলছি অবলীলায়!
মধ্য পঞ্চাশের পাগলা বাবলু কথাগুলো হাত পা নেড়ে যখন বললেন, তখন হেসে ফেললেও এর সত্যতা জানি বলেই হাসিটা আপনা আপনিই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সেকেন্ডের মাঝেই। যাই হোক, বিভিন্ন সময়ে অনেকবারই ইনিয়ে বিনিয়ে বলেছি যে আমার অনার্স ফাইনাল চলছে। গতকাল একটা পরীক্ষাও ছিল। পরীক্ষার কারণে, দু’রাত আগে রনি ভাইয়া [আসরার চৌধুরী, প্রভাষক, অর্থনীতি বিভাগ, জাবি] যখন আমাকে ডেইলি স্টারের স্টার ক্যাম্পাসের সৌজন্যে প্রথম 'মিউজিক্যাল আড্ডা'র কথা জানালেন, তখন ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সময়ে কুলাবে না ভেবে ভাইয়াকে বলেছিলাম পরের মাসের অনুষ্ঠানের জন্য আমার নাম জমা দিতে। কাকতালীয়ভাবে বিকেল পাঁচটার কিছু পরে মানিক মিয়া পার হয়ে যখন গানের তালে তালে মাথা দুলিয়ে বাসায় যাচ্ছি, তখন ভাইয়া ফোন করে জানালেন চিকন চিকন রাস্তাঘাটে আজদাহা গাড়িঘোড়ার জন্য সৃষ্ট যানজটে গায়ক বন্দী, আর তাই আমি যদি চাই তাহলে তখনও আসতে পারি। এরপরে আমাকে আর পায় কে? দৌড়ে বাসায় বইখাতা রেখে, আব্বুকে বলে, হাঁটাপথে রিক্সা নিয়ে জেনেটিক প্লাজায় হাজির হলাম, ‘ওমনি বুকস’ আর ‘স্টার ক্যাম্পাসে’র সৌজন্যে আয়োজিত এই আড্ডায়!
তার আধা ঘণ্টা পরে এলেন পাগলা বাবলু, তাঁর দল নিয়ে। সবকিছু গুছিয়ে বসে গান শুরু করলেন যখন, তখন এক মুহুর্তের মাঝেই ‘ওমনি বুকস অ্যান্ড মিউজিকে’র গন্ডি পেরিয়ে তার সুর আর কথা সৃষ্টি করল একেবারেই অনন্য একটা আবহ! আমি বাউল গান খুব বেশি শুনিনি, সুযোগ হয়নি তেমন ভাবে জানারও। লালনের গান শুনেছি মাঝেসাঝে, আর বইমেলায় বের হওয়া সমগ্রটা উল্টে-পাল্টে দেখা হলেও খুব একটা পড়া হয়ে উঠেনি। তাই পাগলা বাবলুর গায়কী আর ঢং আমি অন্য কারও সাথে তুলনা করতে পারব না। মুগ্ধ আমি গান শুনতে শুনতে হঠাৎ লক্ষ্য করলাম, গুরুজী তাঁর গানের বিভিন্ন লাইনে মীড়ের কাজ করছেন অদ্ভুত ভাবে। গান শেষ হলে জিজ্ঞেস করে জানলাম তাঁর মার্গ সঙ্গীত শেখা আছে, অনেক ধরনের গান গেয়েই তিনি থিতু হয়েছেন সাঁইজীর গানে। প্রতিটা গানের শুরু বা শেষে তিনি গানের অর্থ বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন সুন্দর ভাবে।
এরই মাঝে একটা খুব ভাল খবর শোনালেন তিনি। তিনি বললেন, জোট সরকার একটা ভাল কাজ করে গিয়েছিল আর বর্তমান সরকার সেটাকে পূর্ণতা দিয়েছে—ইউনেস্কো আর ইউএনডিপি-র সাথে মিলে বাংলাদেশ একটা কর্মসূচী হাতে নিয়েছে, যার নাম 'অ্যাকশন প্ল্যান ফর সেভিং বাউল সংস'[i]। এই কর্মসূচীর আওতায় সব বাউল গান যোগাড় করে তার স্বরলিপি লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে বই আকারে প্রকাশের জন্য। বাংলাদেশ থেকে যে দু'জন বাউলকে 'বাউল গুরু' উপাধি দেয়া হয়েছে, তারমাঝে দ্বিতীয় জন পাগলা বাবলু। গত ক'মাস ধরে কুষ্টিয়ায় তিনি প্রশিক্ষণ দিয়েছেন ১২০জন শিল্পীর, যাদের কণ্ঠে বাউলের বিভিন্ন গান রেকর্ড করা হবে সিডি আকারে বিশ্বব্যাপী ছাড়ার জন্য।
টানা দু'ঘন্টা ব্যাপী ১০-১১টা গানের পর স্বল্প সময়ের চা বিরতি পার করে শুনলাম, আরও ৪টা গান গাওয়া হবে। সময়টা কোনদিক দিয়ে যে কেটে গেল, বুঝতেই পারলাম না!
পাগলা বাবলু তাঁর তিনজন সহযোগী—মোহাম্মদ ইব্রাহীম, মোহাম্মদ রুবেল এবং শ্রী অরুপ শীলকে নিয়ে লালনের সাধনা করছেন গত দশ বছর ধরে। লালন তাঁর চিন্তাচেতনায় তারও তিরিশ বছর আগে থেকেই। ফরিদপুরে জন্ম নেয়া এই বাউলের জীবনের কেন্দ্রস্থলে আছেন তাঁর মা। মা-ই তাঁকে গান ভালবাসতে শিখিয়েছেন, মায়ের কাছেই হাতেখড়ি তাঁর সঙ্গীত জীবনের, উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের আশ্চর্য দখলের কারণও তাঁর মা জননীই। এমনকি লালনের কাছে নিজেকে সমর্পন করেছেন মায়ের কথাতেই। মায়ের প্রতি তাঁর ভালবাসা প্রকাশ পেয়েছে তাঁর বিভিন্ন কথায়। মাকে নিয়ে বলতে গিয়ে, 'নিঘুম বিচারে সত্য তাই গেল জানা, মায়ে ভজি লয় বাপের ঠিকানা' লালনের দুটো লাইন গেয়ে উঠে বললেন, সন্তানের আসল পরিচয় দেয় তাঁর মা, মানুষ শুধুই পিতৃপরিচয় চেয়ে মাকে ছোট করে। গান গাইতে গাইতে লালনের গানের গভীরতা এবং গানের বক্তব্য বিশ্লেষণ করেছেন খুব সুন্দরভাবে। মানুষের মনের বিভিন্ন ভাবগুলোকে লালন তাঁর গানে কি চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন, তাঁর গানের অন্তর্নিহিত অর্থ কতভাবে বিশ্লেষণ করা যায় তা জানিয়েছেন গানের ফাকে ফাকে। পাগলা বাবলুর মতে পৃথিবীর সব মানুষ যদি 'সত্য বল, সুপথে চল, ওরে আমার মন' এই একটা গানকে নিজের প্রাণে ঠাঁই দিতে পারত তবে আমাদের এই সাধের পৃথিবীটা বাসযোগ্য হত হয়ত আরেকটু বেশিই।
যে গানগুলো শুনলামঃ
'খেপারে তুই না জেনে তোর আপন খবর যাবি কোথায়?' এই গানের শুরুতে তিঁনি ব্যাখ্যা করলেন দেহতত্ত্ব, লালন যা দিয়ে বুঝিয়েছেন মানুষের ছয় লতিফা[রিপু] কে, বলেছেন নিজের মাঝে নিজেকে খুঁজতে। নিজেকে যে বুঝে পায়না তার জগতে অর্থবোধক কিইবা আছে?
'খুঁজলে জনম, ঘর মেলেনা'
'জানতে আদম'
'এখন আর কাঁদলে কি হবে?'
ভবিষ্যতের ভাবনা না ভেবে যে অজানায় ঝাঁপ দেয়, নিজের ভুলের কথা ভেবে পরে কাঁদলেই বা কি হবে?
'জাত গেল, জাত গেল বলে [সত্য পথে কেউ নাই আজি]'
'মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি'
'আন কথা নিয়ে, মান করা ভাল না'
ফরিদা পারভীনের গুরুজী মোকসেদ আলী সাঁইয়ের গান।
'যে ঘরে সাঁই বাস করে।'
পুরুষ ও নারী তৈরী করে সংসার। তা টিকিয়ে রাখার দায়ীত্ব বর্তায় দু'জনের উপরেই। অন্যের ভুলত্রুটির দিকে আঙ্গুল না তুলে যে নিজের দোষস্বীকার করে নিজেকে শুধরে নিতে চেষ্টা করে তার পক্ষেই সম্ভব সংসারজীবন মধুময় করে তোলা।
'জানাতো হলনা ঘরের খবর পরের খবরে'
এটিএন বাংলার জন্যে তৈরী এক নাটকে গুরুজী অভিনয় করেছিলেন, সেখানে তিঁনি গেয়েছিলেন এই গানটি। গানের মাঝে মাঝেই তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন পুরো গানটির অর্থ। যে মানুষ নিজের ধর্ম বুঝেনা সে অপরের ধর্মে শ্রদ্ধা করে কিকরে?
'সত্য বল, সুপথে চল'
এসময় তিনি লালনের গান আর রবীন্দ্র সঙ্গীত এই দুই নিয়ে আলোচনা করেছেন কিছু্ক্ষণ।
'তিন পাগলে হল মেলা'
একজনের অনুরোধে গাওয়া।
'অ - অনুমান, আ - আত্মার সনে'
ক্ষ্যাপা রাজ গোসাইয়ের পুরো গানটিই স্বরবর্ণের প্রতি অক্ষর নিয়ে। এই গানের শুরুতেই এই লকখার প্রথমের কথাগুলো বলেন বাউল গুরু।
'বল স্বরূপ কোথায় আমার সাধন বাড়ি'
'তারে ধরতে পারলে মন বেড়ি দিতাম পাখির পায়ে, খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়'
একনজরে পাগলা বাবলুঃ
গুরুঃ খোদাবক্স সাঁইজী
পিতাঃ সরকারী চাকুরে
মাঃ গৃহিনী, তাঁর প্রেরণাতেই গানে পাগলা বাবলুর আত্মমগ্নতা।
বাড়িঃ ফরিদপুর, যদিও গত ৪০টা বছর কেটেছে কুষ্টিয়াতে।
সরকার তাঁকে দিয়েছে 'বাউল গুরু' নামের সম্মান।
শিষ্যা নাহিদ।
তাঁর দলঃ
মোহাম্মদ ইব্রাহীমঃ বাড়ি কুমিল্লা, বাজানঃ বাঁশি
মোহাম্মদ রুবেলঃ বাড়ি মুন্সিগঞ্জ, বাজানঃ মন্দিরা
শ্রী অরুপ শীলঃ বাড়ি ফরিদপুর, বাজানঃ দোতারা।
[আমি ক্ষমাপ্রার্থী, যদি কোনও ভুল হয়ে থাকে লেখায় বা তথ্যে, পাগলা বাবলুর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলাম লেখার আগে কয়েকবার, কিন্তু সংযোগ পাওয়া গেলনা।তাইই যে গানগুলোর ব্যাখ্যা দিতে পারিনি ভুলোমনের কারনে তা দেয়া গেলনা।
বিডিআর ভাই এবং স্পর্শকে অনেক ধন্যবাদ তাদের সাহায্যের জন্য। বিশেষ করে সচলে লেখা নিয়ে আজ যে তথ্যগুলো দিয়েছেন মামুন ভাইজান তা আমি নিজে বের করে কখনও পড়তাম বলে মনে হয়না।
ফ্লিকারে আমার ফটোস্ট্রীমে আরও ছবি আর আরও ভিডিও আছে ইউটিউবে আমার একাউন্টে। বাকি ভিডিওগুলোর অবস্থা করুণ কারণ সেগুলো ধারণ করা হয়েছে মোবাইলে। তাড়াহুড়ায় ক্যামেরার বাড়তি ব্যাটারী ও মেমরী কার্ড নেয়া হয়নি, ব্যাটারীতে পর্যাপ্ত চার্জ না থাকায় মাঝপথেই ক্যামেরা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ক্যামেরায় করা আর ৪টি ভিডিওর আকার অনেক বড় হওয়ায় আপলোডানো গেলনা, কেন জানি টিভিসি দিয়ে কনভার্টও করা যাচ্ছেনা।]
মন্তব্য
ভালো লাগছে শুনে। বাউল গানের ভালো কালেকশন নেই। যখন খুব শুনতে ইচ্ছে হয় খুঁজে পাই না।
অনেক ধন্যবাদ। মাঝে মাঝে আমারও ইচ্ছা করে শুনতে কিন্তু একই কারণে শোনা হয়না। আশা করি অখন্ড লালন গীতি এর সিডি বের হলে সংগ্রহে রাখতে পারব।
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
লেখকের অনুরোধ মোতাবেক লেখার রঙ বদলে কালো করে দেওয়া হল।
অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ আবারও।
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
-
গানের অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করবার জন্য গানের ইতিহাসটুকু জানা জরুরী। সেই বক্তব্যগুলোর কিছু সারমর্মের দাবি জানিয়ে গেলাম। মার্গীয় সংগীত শিখে লালন গাওয়া, সাঁইয়ের গান সংরক্ষণে অগ্রগতি ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা, লালনের জীবনদর্শন, ইত্যাদি নিয়ে পাগলা বাবলু কী বলেছেন, জানতে চাই। লেখায় শিল্পীর একটা রূপকল্প উঠে এসেছে। ভালো লাগলো ব্যাপারটা। আরেকটু বিস্তারিত লিখলে লেখা আরও দুর্দান্ত হতো।
তবে, এই ব্যাপারে বালিকার নিজস্ব মতামত নিয়ে লেখারও প্রত্যাশা ব্যক্ত করে গেলাম। আমি জানি বালিকা ব্যাপক মাত্রায় বই পড়ে। পড়ুয়াদের লেখায় অন্য রকম একটা গতি থাকে। প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলো অধমের বন্ধু মনওয়ার/সিরাত। বালিকা, আসল ভাণ্ডার খুলো এবার।
ইউটিউবের লিংকটা ভুল। ঠিক লিংক পোস্টায় দিয়ো।
ধন্যবাদ! বালিকা সম্ভবত বড় হয়ে যাচ্ছে!
আসলে লালন, তাঁর জীবন দর্শন, তাঁর গান এই বিষয়ে খুব বেশি জ্ঞ্যান নেই আমার, অর্জনের চেষ্টা চলছে। [পরীক্ষাটা শুধু শেষ হোক!] গুরুজীর সাথে কথা হল ফোনে খানিকক্ষণ আগে। তাঁর ব্যস্ততার মাঝে তিনি জানালেন তাঁর সম্পর্কে আরও কিছু জিনিস, যা আমি নিচে যোগ করব একটু পরে। ধন্যবাদ, তবে বেশি বড় হয়ে যাচ্ছিল দেখে অনেক কিছু বাদ দিয়েছি, নয়ত পাগলা বাবলুকে নিয়ে আরও কিছু উল্লেখ করতাম।
আশা রাখছি নিজস্ব মতামত জানানোর মত জ্ঞ্যান অর্জন করতে পারব শীঘ্রই। তখন যোগ করব নাহয়। ধন্যবাদ,তবে বালিকার ভান্ডারে যা আছে তার সব শেয়ারের যোগ্য না... [রূপকথা কেইইবা পড়ে আজকাল!]
http://www.youtube.com/profile?user=jrisaika&view=videos আশা করি এই লিঙ্কটা কাজ করবে।
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
বড় হয়ে যাওয়াই তো ভালো। জোর করে শিশু বা বুড়ো কোনোটাই থাকা ভালো না। আমি এই মুদ্রার দুই পিঠ সম্পর্কেই জানি।
জ্ঞ্যান > জ্ঞান [ধরে দেবো বলেও অনেক দিন বানান শুধরে দেই না, তবে এটা বড় ভুল। বড় হচ্ছো... ;)]
নিচের অংশটা পড়ে আরও ভালো ভাবে জানলাম। লেখার সময় বড় হয়ে যাওয়ার চিন্তা করা ঠিক না। আমি নিজেও করে বসি কখনও কখনও, কিন্তু কাজটা ঠিক না। যেটুকু লিখলে লেখাটা "সম্পূর্ণ" হয়, সেটুকুই লিখবা। মাঝামাঝি কিছু না। সমাপ্তির খোঁজেই পাঠক পুরোটা পড়বে।
পুরো জ্ঞান কেউই অর্জন করে সারতে পারে না। জ্ঞান অর্জিত হয় গ্রহণ-বর্জনের মধ্যে দিয়ে। যেটুকু জানো, সেটাই গুছিয়ে লিখে ফেলো। সেটা থেকে কেউ শিখবে, কেউ ত্রুটি ধরে দেবে, কেউ সাথে আরও কিছু জুড়ে দেবে। এভাবেই হবে। লিখে ফেলো। কাউকে তো প্রথম পদক্ষেপটা নিতে হবে।
রূপকথা লিখতে পারলে বসে বসে কী করছো এখনও? রূপকথা লেখার মত লোক তো নেইই বলতে গেলে এখন। শিশুতোষ লেখার জনয তো সেই কবে থেকে চিৎকার করে যাচ্ছি!!
জনয --> জন্য
(এই ভুলটা মনে হয় অভ্রের কারণে, না? )
অভ্রতে কিন্তু 'y' চেপেও য-ফলা দেয়া যায় বেশিরভাগ শব্দেই...
আইজ বহুদিন পরে পাইসি ইশ্তি রে
ব্যাটা, আইজ যাইবা কই??
জনয---->জন্য
ভুলটা ধরে দিয়ে কী যে আনন্দ পেলাম---আহা আহা---
যৌথ আক্রমণে সম্পূর্ণ ধরাশায়ী হয়ে গেলাম! আজকে অভ্রর একদিন কি আমার এক দিন! ঝাঁপিয়ে পড়তে হচ্ছে অভ্রর উপর!
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ অভ্র কোনো অল্প বয়সী বালক নয়, আমিও হাড্ডিভাঙা গায়ক নই।
সতর্কীকরণ পড়ে হাহাপগে!
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
জোর করে হচ্ছিনা ভাইয়া, আজিব ঘটনাবলির প্রেক্ষাপটে ধরাম করেই বড় হয়ে যাচ্ছি। দড়ি বেশি টানলে কি হয় তাতো জানই...
জ্ঞান বানানের কারণ স্বল্পজ্ঞান নয়, সেই পুরান পাপী চ্যাট। সেখানে গিয়ান লেখতে লেখতে আপনা আপনিই একটা য়-ফলা চলে আসে।
লেখালেখি নিয়ে কি আর বলব। আমার লেখালেখির নমুনা বাথরুম সিঙ্গারের গানের চেয়েও খারাপ। রূপকথা লিখতে পারলেতো হইতোই! সে প্রগতি প্রকাশনির লোভনীয় বইগুলোর ভিতরের গল্পের মত গল্প লিখতে পারলে আমি কি জানি কি করেই ফেলতাম। ঠাকুরমার ঝুলিই কি কম?... আমি সেসব গোগ্রাসে গিলি। এছাড়া আর কিছুই পারিনা।
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
দুষ্ট বালিকা দেখছি একেবারে মার্গীয় ব্যাপারে ঢুকে পড়ল!
ভালো লাগলো। পাগলা বাবলু সম্পর্কে একটু জানাশোনা হলো!
হুমমম, এই ব্যাপারে আমার বিরাট আগ্রহ। যদি পুরাপুরি ভাবে শিখতে পারতাম, ইশ!
ধন্যবাদ। তার সম্বন্ধে আরও কিছু তথ্য যোগ করছি নিচে।
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ভালো লাগলো। বাউল গানের মাঝে একটা মাদকতা আছে, আমার ভালো লাগে।
ধন্যবাদ। হুমমম, আর গানের কথাগুলো হৃদয়স্পর্শী বলেই বোধহয় অন্যরকম একটা আবহ তৈরী হয়!
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
পাগলা বাবলুর গান শুনতে মঞ্চায়।
বালিকা লেখায় আপনাকে অনেক অনেক
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ভিডিও লিঙ্ক দেয়া আছে, ইচ্ছা হলে শুনতে পারেন। তবে একটা বাদে বাকিগুলার কোয়ালিটি খুব খারাপ।
অনেক ধন্যবাদ!
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
লালন ফকির আমার ভাব আর ভাবনার চাষাবাদের জমিনে একটা কাকতাড়ুয়া, ফসল বিনাশী দুষ্ট কাকদের তিনি তাড়িয়ে দিয়েছেন অনেক আগেই। তাই তিনি আমার গুরু। তিনি মানুষকে কী দিয়েছেন সেই বর্ণনায় নাহয় নাই গেলাম, তবে তার কাজের একটা বিরাট ব্যাপার হল তিনি মানুষকে প্রশ্ন করতে শিখিয়েছেন, যে কথা কইতে মানা সেই কথা তিনি বলে গেছেন। উনি একজন প্রকৃত সাধক(আমার আপক্ষিক বিশ্বাসে অন্তত)! ধন্যবাদ লেখাটার জন্য। দারুন লাগল গানটা। আমার তো এখানে মেম্বারশিপ নাই, তাই তোমার থলেতে ভার্চুয়াল পাচখানা তারা দিয়ে দিলুম।
ধন্যবাদ ভাইয়া। হুমমম... ভাল বলেছিস!
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
লালন সম্পর্কে একেবারে নিজের মনের কথা।
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
হুমমম...
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
http://www.youtube.com/profile?user=jrisaika&view=videos
এটা কাজ করবে আশা করি।
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
লেখাটা ভালো লেগেছে।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, ভাইজান।
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ভালো লাগলো লেখাটা। ধন্যবাদ ভিডিওগুলোর জন্য
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
পাগলা বাবলুঃ
প্রথম স্টেজ পারফর্মেন্সঃ ৮ বছর বয়েসে নজরুল গীতি - আমার যাবার সময় হল।
মুক্তিযোদ্ধা, তখন তার বয়েস ১৫, পড়েন নবম শ্রেণীতে।
লালন সাধনা শুরুঃ ১৯৭৪ সাল থেকে।
বাংলাদেশের সব টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হয়েছে তার গানের অনুষ্ঠান।
তিঁনি কর্মরত আছেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীতে প্রশিক্ষক হিসেবে।
অংশগ্রহন করছেন দেশ বিদেশের নানা অনুষ্ঠানে। সার্ক সম্মেলনে দিল্লীতে গান গেয়েছেন, জাপানে Folk Festival এ যোগদান করেছেন।
এলবাম তিনটি,
(*) 'পঞ্চম' - মিউজিক ভিশন
(*) 'কি জাদু করিলা' - লেজার ভিশন
(*) 'ত্রিভুবন' - লালন দলের নিজস্ব মাল্টিমিডিয়া কোম্পানী সৌজন্যে।
অন্যান্যঃ
ফরিদপুরে তৈরী করেছেন 'লালন নগর' যেখানে ৯৫০ জন বাউল সংযুক্ত আছেন।
ফরিদপুরে তাঁর তৈরী 'লালন পরিষদ' শুধু মাত্র সাঁইজীর গান চর্চাই করেনা, বরং সামাজিক নানা কাজে সাহায্য সহযোগীতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সবসময় এগিয়ে।
তিঁনি এখন পর্যন্ত ১৯৫ জন পতিতাকে ফিরিয়ে এনেছেন স্বাভাবিক জীবনে।
ব্যাক্তিগত জীবনঃ
বিবাহিত। সন্তান তিনজন। দুই ছেলে, এক মেয়ে।
তাঁর দলঃ মূলত সাত জনের। উপরে উল্লেখিত চার জন তাঁর শিক্ষানবীশ এখনও।
তাঁর কথাঃ
তাঁর আশা এই যে তিনি লালনের গানে সুরের বিকৃতি রোধ করতে পারবেন। তাঁর ইচচছা চছে যে তিনি বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় লালনের গান পৌছে দিতে পারবেন। যদি কেউ তাঁর কাছে সাঁইজীর গান শিখতে চায় তাহলে তিঁনি শিখাবেন একদম বিনা পয়সায়। মানুষের কাছে সাঁইজীর জীবনাদর্শ পৌছে দেয়া তাঁর একান্ত ইচ্ছা। তাঁর মতে দেশে দুই ধরনের চাষ হওয়া প্রয়োজন, কৃষি ক্ষেত্রে চাষ আর লালনের ধর্মাদর্শ চাষ, এই দুই চাষ দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে তাঁর ঐশ্বর্য দেখাতে পারে।
* আরেকজন 'বাউল গুরু' খেতাব প্রাপ্ত কুষ্টিয়ার করিম শাহ। এই খেতাব দিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী ও সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়।
* কর্মসূচীর নাম ভুল হয়েছিল, সঠিকটি হবে 'অ্যাকশন প্ল্যান ফর সেফ গাইডিং বাউল সংস'।
সকলকে অনেক ধন্যবাদ।
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
অফটপিক: আমার অন্য একটা লেখায় বলেছিলাম- অজগরটি আসছে তেড়ে-জাতীয় বাক্য শিশুদের না শেখানোই ভালো। এমনিতেই সাপের প্রতি ভয় জন্মগত, তারপর শিশুকালে এ ধরনের বাক্য শেখালে এটা স্থায়ী রূপ পেয়ে যায়, সাপের প্রতি ঘৃণা ও ঘেন্না সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হয়। তখন অবশ্য অনেকে বলেছিলেন বিষয়টা এতো সরলীকরণ না করতে!
আম খাওয়ার বিষয়টিও এরকম। শিশুদের বইয়ের কিছু জিনিস সচেতনভাবে বদলে দিলে এই অসঙ্গতিগুলো থাকে না।
মূল টপিক: লেখাটা ভালো লেগেছে। আপনার নিজের বিশ্লেষণও ঢুকিয়ে দিবেন আরেকটু বেশি করে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
কথা সত্য! এর চেয়ে বরং আপেল, বল, চাউমিন বেশি আকর্ষণীয়!
হুমমম! আমরা আসলে এভাবে ভাবিইনা আবার কেউ চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেও মানতে চাইনা সহজে।
ধন্যবাদ! আসলে এই বিষয়ে মতামত দেবার মত পরিপক্ক বলে ভাবিনি নিজেকে তাই গায়কের কথা আর তার ভাষাতেই বিশ্লেষণ করেছি।
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য!
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ভালো লেখা, ছোটবেলায় বাউল গান শুনলে বিরক্তি লাগত; এখন ঘোর লাগে। লালন এর বেশির ভাগ গানের অর্থই বুঝি না, একটা আড়াল সবসময়েই থেকে যায়। এই বাউলের নাম আগে কখনো শুনিনি।
অফটপিকঃ দুজন বাউল গুরুর প্রথম জন কে ???
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
অনেক ধন্যবাদ। হুমমম। ঘোরের কথাটা সত্যি। তন্ময় হয়ে যখন গান শুনছিলাম তখন ডেইলি স্টারের ফটোগ্রাফার নাকি আমার খানদুই ছবি তুলেছে, অথচ আমি টেরই পাইনি!
আমিও আগে শুনিনি। অবশ্য আমি সিনেমা আর বইয়ের বাইরে লালন গীতির খোঁজ করিওনি কখনও।
অ.ট.: আরেকজন 'বাউল গুরু' খেতাব প্রাপ্ত কুষ্টিয়ার করিম শাহ। এই খেতাব দিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী ও সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়।
এই তথ্যগুলো আগে যোগ করতে পারিনি। গুরুর সাথে কথা বলে তারপরে যোগ করেছি।
ধন্যবাদ আবারও।
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আপনার এই লেখা মনে হয় পড়তে পারবো (ইশতির মন্তব্য দ্রষ্টব্য, আমি একটু সেকেলে কিনা..)
প্রথম প্যারাটা বেশ লাগলো। সময় করে পড়ে মন্তব্য দিয়ে যাবো একসময়।
চেষ্টা করবেন। ধন্যবাদ।
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
বাউল গানের ভালো সংগ্রহ সুলভ নয়। ঐতিহ্যকে ধরে রাখার এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়।
গুরুকে সাধুবাদ
#ওসিরিস
অনেক ধন্যবাদ ওসিরিস!
[আপনার নিকটা আমাকে বেশ অবাক করল! ]
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
অবাক কেন আপু????
#ওসিরিস
বালিকা, লেখাটা আসলেই অনেক ভালো লাগল।
তোমার অন্যান্য লেখা থেকেও কিন্তু একদমই আলাদা।
বড় হওয়া সবসময় খারাপ না কিন্তু। আরো বড় হও, আরো দারুণ দারুণ লেখা দাও। আমি তো রূপকথা ভীষণ পছন্দ করি, সচলায়তনে আরো অনেকেই আছেন যারাও পছন্দ করেন বলেই জানি। নির্ভাবনায় লিখে যাও নিজের মতো করে, বিভিন্ন ঘরানার লেখা। বাকিটা পাঠকের উপরই ছেড়ে দাও।
এতক্ষণে আসলা ভাইজান? অনেক ধন্যবাদ! তবে তুমি না থাকলে এতক্ষণে যে কয়টা বকা খাইতাম আল্লাহ মালুম!
চেষ্টা করব। দোয়া রাইখো, কাল মনে হয় আমার খবর আছে/ আই হ্যাভ নিউজ টুমরো!
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
বেশি ভদ্রতা করলেই কিন্তু মাইর!
খবর কি খবরের কাগজে নাকি পরীক্ষার খাতায়?
হাহাহাহাহা... অভদ্রতা শুরু করলে কিন্তু ভাইয়া পরে বকা দিতে পারবানা...
পরীক্ষার খাতায়... এখনও একটা বাক্যও পড়িনাই। মনে হয় ক্রিয়েটিভ রাইটিং ফলাতে হবে!
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
বকা দেয়া জায়েজ আছে, কিন্তু ভদ্রতা কঠিনভাবে নিষিদ্ধ
আরে ব্যাপার নাহ্, আশা করি কাল ভাল 'নিউজ' হবে। বেশি চিন্তায়ো না। যেটুকু পারো, মাথা ঠান্ডা রাইখা পইড়া যাও। তবে আপাতত লগ আউট করলে ভালো হইতো না?
জ্বী আইচ্ছা জনাব। মাইনা চলার চেষ্টা করুমনে।
গতকাল ধরাম করে লাইন চলে গিয়েছিল। উপর্যুপরি বজ্রপাতের দরুন মনে হয়।
আর আজকের সব খবর ভালা না হলেও একটা খবর চরম... আমাকে আর কেউ শুধুমাত্র এইচ.এস.সি পাশ বলতে পারবেনা...
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
বালিকা,
লেখাটা ভাল লাগল।
তোমার বাকী লেখাগুলো থেকে একেবারেই আলাদা। কেন জানি মনে হচ্ছে---এই টাইপের লেখাতেই তোমার ক্ষমতা সবচেয়ে খোলতাই হয়।
কিন্তু তার মানে অবশ্য এই নয় যে তোমাকে এই টাইপের লেখাই লিখতে হবে সব সময়। তুমি লিখবে সেইটাই---যেটা লিখে তুমি আনন্দ পাও, স্বস্তি পাও।
এইসব উপদেশমূলক কচকচানি বন্ধ রেখে তোমার লেখায় ফেরৎ যাই।
লালনের 'জাত গেল জাত গেল বলে' গানটির প্রসঙ্গে তুমি লিখেছ যে 'সত্য পথে কেউ নাই আজি'----আসলেই কী এইটা হবে? আমি যতদূর জানি, কথাটা ছিল, 'সত্য পথে কেউ নয় রাজী--'
অবশ্য আমার ভুলও হতে পারে---তুমি একটু চেক করে নিও
পরীক্ষার জন্যে শুভ কামনা রইল...
লাইনটা আসলে "সত্য কাজে কেউ নয় রাজি" হবে। ফরিদা পারভীন গেয়েছেন এভাবেই। "লালনসমগ্র" দেখেও কনফার্ম করলাম।
ধন্যবাদ যুধিষ্ঠির দা।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া, জ্ঞানের স্বল্পতা ভুলটার কারণ। আমি নাদান বলেই ভুলটা হয়েছে। ভবিষ্যতে খেয়াল রাখব।
আবারও ধন্যবাদ!
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ওরে দুষ্টু, তোমার নিক তো পাল্টাইতে হবে, দুষ্টামি ছাড়া লেখা!! শিষ্ট বালিকার লেখাটা মহা-ফাটাফাটি হইসে, অনেক কিছু জানতে পারলাম। ফাকতালে ভিডিও দেখলাম, লেখায়
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ধইন্যাপাতা ভাইয়া...
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ভালই হইসে। সম্পূর্ণ অন্য ধাঁচের লেখা পেলাম তোমার থেকে।
--------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------
ধন্যবাদ, রঙ বদলাতে ভালই লাগে...
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
অভিনন্দন বালিকা।
অনেক ধন্যবাদ! [কিন্তু কেন?]
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
পাগলা বাবলু সর্ম্পকে জানলাম। অনেক ধন্যবাদ। এখন ঘুমাইতে যাই, সকালে অফিস.....
আপনাকেও ধন্যবাদ! ঘুম আনন্দময় হউক!
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
বাউল গানগুলো যেন কিভাবে হারিয়ে যাচ্ছে। এখনও সময় আছে; আমাদের এই ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখার কর্তব্য আমাদেরই।
______________________________________
তুমি আমাকে চিনোই বা কতটুকু?
______________________________________
লীন
তাও ভাগ্য, দেরীতে হলেও টনক তো নড়েছে আমাদের।
---------------------
নামে কি'বা আসে যায়...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
দুষ্ট বালিকা আসলেই ব্যাপক দুষ্ট... তাই না?!
http://img35.imageshack.us/img35/9803/starcampus.jpg
মজার বা দুঃখের ব্যাপার হলো লেখাটা ছাপা হবার খবর জানলেও আমার নিজেরই দেখা হয়নি...
ট্র্যাক করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া... ভালো থাকুন...
---------------------
নামে কি'বা আসে যায়...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
মজার বা দুঃখের ব্যাপার হলো লেখাটা ছাপা হবার খবর জানলেও আমার নিজেরই দেখা হয়নি...
ট্র্যাক করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া... ভালো থাকুন...
---------------------
নামে কি'বা আসে যায়...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
মজার বা দুঃখের ব্যাপার হলো লেখাটা ছাপা হবার খবর জানলেও আমার নিজেরই দেখা হয়নি...
ট্র্যাক করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া... ভালো থাকুন...
---------------------
নামে কি'বা আসে যায়...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
নিচের লিঙ্কটিতে অনেক ভালো পুরানো বাংলা গানের সংগ্রহ আছে।
http://www.priyobondhu.com/bn/groups/viewgroup/47-বাংলার+গান
নতুন মন্তব্য করুন