জন্মদিনের শুভেচ্ছা!
ক্যাটেগরি:
আম্মুর স্টিলের আলমারির এক কোনে দুনিয়ার জিনিস পত্রের সেরকম বিশাল এক গাঁট্টি ছিলো। তাতে উলের নকশার প্যাটার্ন থেকে শুরু করে পোকায় খাওয়া আশুতোষের বই, হাফ প্যান্ট-ল্যাঙট পরা মামাদের পিচ্চিবেলার ছবি, সৌমি ভাইয়ার উলের হাতমোজা, নানা ভাইয়ের হোমিও প্যাথেটিক ওষুধের ফাইল, কিচ্ছু বাদ ছিলোনা। সেসবের ভিড়ে আম্মুর একটা সার্টিফিকেট খুঁজে পেয়েছিলাম।
তখন আমার বয়েসও কম, ইস্কুলবেলার কথা। অবাক হয়েছিলাম এই দেখে যে আম্মুর জন্মদিন লেখা পয়লা জানুয়ারি, আমার জানা জন্মদিনের সাথে বিস্তর গড়মিল। আম্মুর সাথে সবসময়েই একটু খিটমিট লেগে থাকে আমার, আর মহিলা মোটেও হাসিমুখে থাকতেন না তখন, তাই তাকে জিজ্ঞেস করার সাহস না পেয়ে বুয়েট পড়ুয়া মেজো-মামাকে জিজ্ঞেস করলাম। মামা বিজ্ঞের হাসি হেসে বললও, "বোকলু, জানিস না, বাংলাদেশের ৩৫ ভাগ মানুষের জন্মদিন পয়লা জানুয়ারি। এটা সরকারি জন্মদিন। এখন যা, আমি কাজ করি!" সোজা আদ্ধেকখানা চাঁদ দিয়ে বিদায় করে দিলো মামা। আকাশপাতাল ভেবেও এই নিয়মটার আগা-মাথা কিছু বুঝলাম না। পরের দিন স্কুলে জিজ্ঞেস করলাম টিচারকে যে সরকারি জন্মদিন পয়লা জানুয়ারি এর মানে কী! টিচার হেসে বললেন যে আমাদের দেশের অনেক মানুষেরই আসল জন্মদিন জানা থাকে না, তাই তারা যখন কোনও কাজে কোনও কাগজ পূরণ করে তখন সুবিধার জন্য জন্মদিন লিখে পয়লা জানুয়ারি, তাতে হিসেবের সুবিধা হয়!
আমার তখন একগাল মাছি! এইসব কী কথা বলে মানুষ! জন্মদিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারখানা মানুষের মনে না থাকে ক্যামনে? প্রতিবার দেখি খালেদা জিয়ার জন্মদিন আর শেখ মুজিবের মৃত্যু দিন নিয়ে সাপে নেউলে লড়াই হয়, আর কিছু মানুষ নাকি জন্মদিন জানেই না! ইশ! তাদের মনে নিশ্চয়ই অনেক দুঃখ! সেই অচেনা মানুষগুলোর দুঃখে অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম, মনে আছে। আর আজকাল নিজের জন্মদিনও মনে থাকে না, কেউ উপহারও দেয়না-জন্মদিন মনে রেখে আর লাভ কী?
কিভাবে কিভাবে বছরগুলো পার হয়ে যায়, ক্যালেন্ডারের পাতা উলটাতে উল্টাতে হঠাৎ দেখা দেয় নতুন বছর। সেই একই দেশ, একই মানুষ, একই সংসারে রোজকার নিয়মেই সকালে চা হয়, দুপুরে হয়তো পোস্তবাটা দিয়ে খুব করে কষানো মুরগির মাংস, বিকেলে হিং এর খাস্তা কচুরি, রাত্তিরে মাছ ভাত, সেই একই নিয়ম। শুধু ফি বছর হাতে কড়া পড়ে আরও, চোখের ছানিটা আরেকটু ঘন হয়, বলিরেখাগুলো গায়ে গায়ে লাগিয়ে আড়মোড়া ভাঙ্গে। সেই আগেকার নিয়মেই পরিবারগুলোর মাঝে আদানপ্রদান হয় মানুষের, খান পরিবারের মেয়ে নিজেকে পরিচিতি দেয় চৌধুরী পরিবারের বউ হিসেবে আর তালুকদারদের বড় ছেলেকে হয়তো পরিবারের সদয়রা পরম মমতায় নামিয়ে আসে কবরে। তারপরে একদিন হুট করেই ঘুম থেকে উঠে সবাই দেখে নতুন বছর এসে গেছে, পুরানো ক্যালেন্ডার বদল করতে হয় নিয়ম করে পাঠাতে হয় পরিচিতদের ক্ষুদে-বার্তা। একরাতের মাঝেই বয়স বেড়ে যায় পাক্কা এক বছর।
গেলবছরে বদলে গেলো অনেক কিছুই। প্রথম আলোর বদলে যাউ বদলে দাউ-শীর্ষক বদলানো না। সাধারণ অসাধারণ মিলিয়ে আরও অনেক কিছুই। বোনের বিয়ে, ভাবীর বাচ্চা, পিচ্চি বোনের প্রেম, প্রিয় বান্ধবীর বিয়ে, আরেকজনের ডিভোর্স, ছোট বোনের ক্যান্সার, প্রথম চাকরি, ভাইএর মেডিক্যালে সুযোগ পাওয়া, সব মিলিয়ে অনেক অনেক অনেক খবর। ঘটনাবহুল বছরটাতে কী হারিয়েছি আর কী পেয়েছি তার সাধারন হিসেব মিলানো সম্ভব না। জীবনের ব্যালেন্স শিটে আর যাইই চলুক, ট্রায়াল অ্যান্ড এরর পদ্ধতি খাটেনা কোনওভাবেই।
গতকাল রাতে এই আমাদের ঢাকাতেও বেশ ধুমধাম করেই নতুন বছরের বরণ হলো দেখলাম। রাত দুইটা পর্যন্ত চিৎকার চেঁচামেচি-হইহুল্লোড়-বাজী-পটকা ফুটানো। একটা পর্যায়ে গিয়ে আমার উফারেরও সাধ্য হচ্ছিলোনা সেই শব্দকে বিন্দুমাত্র ম্লান করে দেবার। মনে হলো, বাবারা বছরের প্রথম প্রহরে যদি এই হয় তাহলে তোমাদের নিয়ে বছর পার করার চিন্তাতেও ভয় লাগছে এখন, অনেক হইসে, এখন ঘুম যাও! ভবি ভুলে না, নতুন রক্ত, গরম রক্ত-এরা বোধহয় সামান্য পরিবর্তনেই টগবগ করে ফুটে। বুড়োদের দলে নাম লেখানো- দশটা ছ’টার নিয়মের মাঝে পরে যাওয়া এই আমাদের মনে হয় আজকাল আর কিছুতেই উত্তেজনা হয় না। নিউ ইয়ারে বাজী ফুটানো-লং ড্রাইভে যাওয়া- ছেলেবন্ধু নিয়ে ক্যাফে/রেস্টুর্যান্টে ঘাড় বাকা করে সেলফোনে ছবি তোলা- ভর দুপুরে দুদ্দাড় দৌড়ে এসে বিএফসিতে ঢুকে “এসিইইই” বলে চেঁচানোর সময়গুলোকে এখন কেমন যেন গত জন্মের কথা মনে হয়। এই জন্মের আমার সকালে উঠেই প্রথম চিন্তা হয় আজ বাস পাবো কিনা, মনে করে দুপুরের খাবার গুছিয়ে নিয়ে বের হতে হয় সাত সকালেই, আর বিকেল হতেই চিন্তা থাকে আজ বাসায় কখন যাবো, আর বাসায় গেলেই চার দেয়ালের রুমটাকে ছেড়ে আর বের হতে ইচ্ছা করে না-আলসেমি না, এটা রক্ত শীতল হবার লক্ষণ। ছুটির দিনগুলোতে মনে হয় আজ আরেকটা বেশী ঘুমাই-ঘর থেকে বের হতে ইচ্ছা করে না। এই নিয়মের মাঝে নিজেকে ফেলার ইচ্ছা ছিলো না কখনই। গত বছরেও ইচ্ছা ছিলো বিয়ে করার, যেটা এ বছরে উবে গেছে বেমালুম। এখন শুধু বের হতে ইচ্ছা করে, এই রুটিন থেকে, জীবন থেকে, দেশ থেকে, পারলে গ্যালাক্সি থেকেই! দুই চারটা ছবি আঁকা/ গ্লাস পেইন্ট করা/ সিনেমা দেখার মাঝে জীবন আটকে রাখতে আর ইচ্ছা করে না। ধর্মের শিকল, চাকরীর শিকল, পরিবারের শিকল, আত্মীয়তার শিকল আর ভালোলাগে না। কৌপিন ধারী সন্ন্যাসী না হতে পারি, সংসারে এক সন্ন্যাসীনি হয়েই নাহয় তাক লাগিয়ে দিবো একদিন সবার! আই প্রমিস!
ওহ, আর সরকারী জন্মদিন ধারীরা, শুভ জন্মদিন। ভালো লাগুক আর না লাগুক জন্মদিন একটা যখন পেয়েই গেছেন তখন নাহয় কিংস এর একখানা ব্লুবেরি চিজকেক এর ট্রিট দিয়েই ফেলেন, আমরাও একটু আনন্দ করি, কী বলেন?
- দুষ্ট বালিকা এর ব্লগ
- ৬৩৫বার পঠিত
মন্তব্য
সচলে কিছু লেখকের নিয়মিত লেখা উচিত। তুমি তাদের একজন। তাতে সচলটা সচল থাকে। নতুনরা উৎসাহ পায়। আর দিনে-দুদিনে একটা লেখা দেয়া তোমার পক্ষে মোটেই কষ্টের নয়, সেটা জানি।
লেখোনা কেন?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
হেহে রতন্দা, তুমি পাগলকে সাঁকো নাড়াতে মানা কইরোনা, তুলকালাম হয়ে যাবে!
মাঝে একটা গল্প লিখেছিলাম, অনেক অনেক অনেক দুঃখের, যেরকম আমি লিখি আর কী! বেক বন্ধুর ধমক খেয়ে সেটা আর শেষ করা হয়নাই।
আজকে হঠাৎ অফিসে এসে দেখলাম কাজের প্রেশার একটু কম, আব্জাব লিখতে ইচ্ছাও হলো, লাঞ্চ করে এসে চা খেতে খেতে সচলের উইন্ডোতেই লিখে পোস্টায় ফেললাম। টাইপো, প্যারা ব্রেক গন্ডগোল হয়ে গেছে এখন দেখতে পাচ্ছি। ঠিক করতে হবে।
আবারও ধন্যবাদ। তোমার মতো দুই চারটা ভাই আছে বলেই আসলে জীবনটাকে এরকম মনে হয়!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
কেমনে কি!!! প্রতিটা পয়েন্ট মিলল কিভাবে আমার সাথে আপনার? নতুন বছরের শুভেচ্ছা, অনেক ভাল থাকুন।
http://www.youtube.com/watch?v=IYsrKDSKzWg&feature=player_embedded
হাহাহাহাহা! ওটা আনতাবড়ি মিলে গেছে!
আপনিও ভালো থাকুন সবসময়।
সিজন্স ইন দা সান এর সবগুলো ভার্সন ভালো লাগে!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
দুষ্ট বালিকাকে ধন্যবাদ জন্মদিনে উইশ করার জন্য। আমার নিজের জন্মদিন ও সার্টিফিকেটে পয়লা জানুয়ারী। আমি যাতে সর্বোচ্চবার বিসিএস দিতে পারি এইজন্য আমার মামাজান আমার জন্মদিনের দিন-তারিখ সব এলোমেলো করে দিয়েছেন।বারবার বিসিএসে ফেল করা মামার বিশাল ইচ্ছে ছিল আমাকে নিয়ে।তার সব ইচ্ছায় পানি ঢেলে দিয়ে বিসিএস এর কাছ ও মাড়ায়নি আমি।
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
বন্দনা,
যাদের জন্মদিন ১লা জানুয়ারি না অথচ যাদের বিসিএস ক্যাডার হবার আজন্ম শখ(আমার না) ,তারা কি করবে ?
এরে আমাকে আবার কি জিজ্ঞেস করলেন রিমাপু, আমি নিজে তো কিছছু ই করিনাই, আমিতো ভিক্টিম!
পয়লা জানুয়ারী না করে ও বয়স কমানো যায় বছর পরিবর্তন করে, তারা এটা ট্রাই করে দেখতে পারেন। তবে এখন তো জন্মের সাথেসাথে নিবন্ধন, এখনকার বাচ্চাদের কোন চান্সই থাক্লোনা। ও আপনাকে হাচলত্তের শুভেচ্ছা।
হ! এখনকার বাচ্চাদের ব্যাপারটাই ভালাইসে। দুইবছর একবছর কমানো মানুষ দেখতে দেখতে আমি মহা বিরক্ত। এমনকি আমার নিজেরও একই অবস্থা! :|
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
যাক বাবা আপনি শুধু এক দুই বছর কমানো দেখতে দেখতে বিরক্ত,আমার বয়স এক্লাফে তিনবছর কমায়ে দেয়া হয়সে।
এহহে! তিন বছর? তিইইইইইন বছর? খ্রাপ খ্রাপ!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
লাফাং মন্তব্য আই সো হেইট!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
অনুভূতিগুলোর পরিপূর্ণ বহিঃপ্রকাশ ।
আপনার জন্মদিনে কেউ গিফট পাঠায় না । তাড়াতাড়ি বলেন তারিখটা । গিফট রেডি করছি । নতুন বছরের শুভেচ্ছা ।
জন্মদিন আসতে আসতে বছর প্রায় শেষ হয়ে যাবে!
পরিপূর্ণ বহিপ্রকাশ কি? নিজের কাছে এখনও অসম্পূর্ণ লাগছে!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
দুষ্ট বালিকার লেখা নিয়মিত চাই।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
দুষ্ট বালিকার নিয়মিত লেখার ধৈর্য্য নাই!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আপনার নামটা অদ্ভুত। এর মানে কি আসলে? আপনি ছন্দোবদ্ধ শব্দের সাথে সাথে আপনার কবিতায় আর কী যোগ করেন? সাউন্ড এফেক্ট?
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আমি কবি টবি কিছু না। কবিতা টবিতা হয় না। আমার কবিতা যা কিছু আসে সব মাথার মধ্যেই আটকা থাকে, কল্পনাতে, একদম 3D, আর যারা কবিতা লেখে তারা 3D কল্পনাগুলারে 2D কাগজে আটকায়ে ফেলতে পারে। এই জন্যে সব আসল কবি হইল দ্বিমাত্রিক কবি, এই জন্য আলাদা করে বলা লাগে না। আর আমি হইলাম গিয়া ত্রিমাত্রিক কবি
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ভালোই বললেন।
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ওই কাজটাই মোটামুটি ভাল পারি। আমি ভালই বলি
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
এ বছরে তোমার বিয়ে করার ইচ্ছাটা আবার জাগুক! আমিন!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
হ! কারণ আমাদের বিয়ে খাওয়ার ইচ্ছা কখনো মরে না
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
নিজে বিয়ে করে ফেলো প্লিজ, আমাকে করতে বলোনা! খুনোখুনি হয়ে যাবে!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
গৌদা, ইতা কিতা কইলা!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
গৌদা নামটা পছন্দ হইছে! 'গোদা' হইলে আরো ভালো হইত! এই বদলুক আমারে জীবনে সভ্য নামে ডাকেনাই
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
পালের গোদাই ডাকি বরং!
অসভ্য নাম কি এখানে উচ্চারনযোগ্য? 
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
বহুতদিন পরে তোমার লেখা পাইলাম, সব সিরিয়াস জিনিসপাত্তির ভিত্রে তোমার এই আব্জাব পইড়া মজাই লাগলো। বুয়েটে আমার এক রুমমেটের জন্মদিন ছিল পয়লা জানুয়ারি, সে মোটামুটি কনভিন্সড যে ঐটা আসলেই তার জন্মদিন, আমরা চেষ্টা কইরাও তার মনে সন্দেহ ঢুকাইতে পারসি বলে মনে হয়না
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
হেহে, পারবানা। যেমন আমাকেও কখনও কেউ বিশ্বাস করাতে পারে নাই যে আমাকে ডাস্টবিনে কুড়ায় পাইসিলো সবাই!
তবে আমার ছোট ভাই এর জন্মদিন আসলেই ৩১শে ডিসেম্বর আর এক বান্ধবীর ছোট ভাই এর জন্মদিন পয়লা জানুয়ারী। দুইজনের নামও আবার এক।
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
অনেকদিন ভালো দাওয়াত খাওয়া হয়না, দেশের বাইরে থাকলে এই ঝামেলা, তাই দুষ্টু বালিকার বিয়ের দুষ্টু ইচ্ছেটা আবার জেগে উঠুক, এই কামনা করি ....
সেই সুযোগে আমার দাওয়াত খাওয়া হয় এই আর কি 
( নিজেকে নিজেই বেশরমের মতো নিমন্ত্রিত বানিয়ে বললাম 
)...
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
জ্বেনা। এতো সুখ আপনার কপালে সইবেনা!
আমি মোটেও বিয়ে করতে চাই না। আর যদি কখনও করিও আপনারা দা'বাত পাবেন্না! 
আমার বন্ধুরাও না! 
সবাইকে দাওয়াত দিতে গেলে আমাকে স্টেডিয়াম ভাড়া করতে হবে! 
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
দাওয়াত না দিয়েই বিয়ে করার এই প্ল্যান এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাই, অন্যরা যোগ দিলে "খাওয়া-দাওয়া" কর্মসূচির ডাক দিয়ে আন্দোলনে নতুন মাত্র যোগ করতে পারি ...
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
যত খুশি মাত্রা যোগ করেন।
যে বিয়ে করতেই চায়না তার থেকে দাওয়াত আদায় করেন ক্যাম্নে দেখুম্নে! 
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ভীষণ সুইট একটা লেখা
ডাকঘর | ছবিঘর
উহু, চিনি দেইনাই!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
তবুও কেনু মিষ্টি লাগল। কন তো দেখি
ডাকঘর | ছবিঘর
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
যতই আলসি থাকুক, নিয়মিত লেখা আসুক
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
চেষ্টা করুম!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ছোট্ট একটা সাধ জেগেছে, কোন এক সচলের বিয়ে খাওয়ার। ভাই, আপনারা যেই বিয়ে করেন না কেন, আমাকে প্লিজ মনে করে দাওয়াত দিয়েন। ভালো গিফট দিব কথা দিলাম।
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
বংগবন্ধু এখনও তোমার কাছে শুধুই শেখ মুজিব!
...........................
Every Picture Tells a Story
নাহ, ব্যাপারটা এরকম না। হাতে যা এসেছে লিখে ফেলেছি। এভাবে ভাবি নাই!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
হে হে, ৩০শে ( এই যেমন ৩০শে এপ্রিল, ৩০শে নবেম্বর, ইত্যদি) যাদের জর্মদিন, তেনাদের নিয়ে কিছু লেখলেন্না ! অধমের সেই অবস্তা। এদ্দিনে শেষ বয়সে পেলাম আমার আসল জর্মদিন ২২শে অক্টোবর। তাহলে এটা করেছিল কে? পুরনো সহপাঠি থেকে জেনেছি - জানো না ঐ মেট্রিকের ফরম ফিলাপের সময় কেরাণী মাষ্টার। তিনি অবশ্য সর্বজন শ্রদ্ধেয় ছিলেন। কিন্তু তিনি যে কেন আমার চে িতন/সাড়ে তিন বছরের বড়দের আমার নিচে নামিয়ে দিয়েছিলেন, সেটাই আক্ষেপ !
কী করবো বলেন? পয়লা জানুয়ারির পোস্টে ক্যাম্নে আপনার জর্মদিনের কথা কই?
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
এই পয়লা জানুয়ারীতে রাউন্ড আপ করার গিরিংগিতে পড়ে ভিসার কাগজপত্রে আম্মা তার এক বোনকে বাদ দিয়ে দিছে। এক খালার জন্ম ছিল ৬৬এর অগাস্ট এ। তার পরের জনের ৬৮ এর এপ্রিল বা এরকম সময়ে। সার্টফিকেটে প্রথমজনের বয়স পালটে হয়ে গেছে ১/১/৬৮ আরেকজন রয়ে গেছে ৬৮ এর এপ্রিলেই। কাজেই আমেরিকান ভিসার কাগজে ভাই বোন্দের লিস্টে আম্মা নিজের বোনকে অস্বীকার গেছে।
একিভাবে বাংলা সন থেকে ইংরেজিতে কনভার্ট হওয়ার সময় বড়খালার বয়স কাগজপত্রে ৮ বছর কমে সেজ খালা হয়ে গেছে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
আপনার মন্তব্যটা পড়ে হাসতেই আছি!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
এই পোস্টে কমেন্ট করতে গিয়ে ক্রমাগত ধরা খেয়ে খেয়ে মিজাজ বিলা হইসে। আপাতত থাম্বস আপ দেখায় গেলাম। আর কিছু বলার ধজ্জি নাই।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ধজ্জি হলে বলে যেও!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আহারে! আপনি কই থাকেন?
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
সরকারি জন্মদিনের ডামাডোলে সত্যিকার জন্মদিনওয়ালাদের শুভেচ্ছা জানাতে ভুলে গেছি এই বছরে...
বিষণ্ণ লেখা কেন?
শুভেচ্ছার ব্যাপারটা আসলে চিরন্তন। সময়মতো জানাতে না পারলেও এখন জানায় দাও ভাইয়া!
অভ্যাস খারাপ আর বিষন্নতা একটি বাজে অসুখ!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
বেশ লিখেছেন তো!
এদিকে আমার উলটো বয়স বাড়িয়ে দিয়েছিলো, যাতে মেট্রিকুলেশন সাঙ্গ করেই বাড়ির পাশের প্রাইমারীতে ঢুকে যেতে পারি...!!!
আর এখন......হায়রে কপাল!!!
অ্যা?
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
বাহ! লেখাটা চমৎকার লাগলো।
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
বাহ , চুইট লেখা
সচলে এত ভালো লেখক আছে, এরা নিয়মিত লেখে না কেন । Why? Why ? Why this kolaberi ...
হুম! সচলের ভালো লেখকেরা নিয়মিত লেখেনা বলেই মাঝেসাঝে আমরা লিখে তাদের অভাব সবাইকে মনে করিয়ে দেই!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
হাহাহাহা এইতো আরেকজন লিখেছে
আমার এক বন্ধুর জন্মদিন আসলেই পয়লা জানুয়ারি। বেচারা মহা সমস্যায় থাকে এই জন্যে।
আর শেষের আগের প্যারাটা আমার 'আনরিলিজড' লেখা থেকে হুবহু কপি পেস্ট করলা কিভাবে?
এইটা কি ঠিক? এই সেনটেন্সগুলো তো আমার লেখার কথা ছিলো, একটু অন্যভাবে অবশ্য।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
তোমার লেখা ক'নে?
আমার এক ছোট ভাইয়েরও!
হাহাহাহহাআহ! আমিতো ভাবছি তোমার লোহার রড হাতে এক রাতে শহরে বেরোনো নিয়ে একটা গল্প ফেঁদে বসবো!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
লেখা আপাতত মাথার মধ্যেই আছে আরকি
আমি বলেছিলাম না আমি আজকাল প্রফেশনার প্লট ব্যবসায়ী হয়ে গেছি। শুরু করে দাও হে। কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের এক জোছনা রাতে এক লোক পা টেনে টেনে মিরপুর রোডে হেঁটে যাচ্ছে। এক হাতে একটা লোহার রড। ম্লান আলোয় ধুঁকছে একটা একাকী ল্যাম্পপোস্ট। আবছা লম্বা একটা ছায়া পড়েছে কালো পিচে।
উরে! এই পর্যন্ত ভেবেই তো কেমন ভয়ভয় লেগে গেলো।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
আজকাল মানুষের মনের ছায়া পড়ে আকাশেও। কালচে রঙ্গা আকাশে ছাড়া ছাড়া ধূসর মেঘের ইতস্তত ওড়াওড়ি দেখে তন্ময়ের তাইই মনে হলো। এতোদিনের পরিকল্পনার পরেও হাতের রডটাকে মনে হলো কয়েক মন ওজনের। কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের রাতটাতে কাসার থালার মতো এক চাঁদ! বেহিসেবি মেঘেরাও ম্লান করতে পারছেনা তার স্নিগ্ধ আলোর ছটাকে!
তন্ময় পা টেনে টেনে মিরপুর রোড ধরে হেঁটে যাচ্ছে। আবছা হলদেটে আলো নিয়ে ধুঁকছে একটা একাকী একটা ল্যাম্পপোস্ট। লম্বাটে ছায়াটাকে একটু মনোযোগ দিয়ে দেখলে বুঝতে পারা যায় যে মানুষটার পিছনে ভাঙ্গা একটা পা নিয়ে হেঁচড়ে আসছে একটা কুকুরও। কালো পিচের রাস্তায় দুটো ছায়া মিলেমিশে একাকার!
তারপর?...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
চমৎকার।
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
পড়েছিলাম শুরুতেই, কিন্তু বলবার তেমন কিছু নেই তাই বলা হয়নি। ছোটকালে অনেক আগ্রহ তৈরির টুকিটাকি ব্যাপার ছিলো, এখন কেন জানি নতুনত্ব নেই। শুধুই একটা বছরের হিসেব রাখার সুবিধার্থে ফিরে, বা সামনে তাকানো। গেল বছরে বাকির খাতার হিসেব মেলেনি, নতুন বছরে এমন কিছু নতুন আশা নেই। ব্যস্ততায় শেষ হওয়া বছর, ব্যস্ততায় শুরু... ব্যস্ততা জিনিসটা ভালো, ফাঁকা জায়গাগুলো ভরে দেয়া যায়। চলতে থাকাটাই ভালো, থামলেই সমস্যা। চলুক... সমস্যা কী!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
চমৎকার হয়েছে। মায়াদের দেশ থেকে মায়াময় শুভেচ্ছা।
facebook
অণুর কথায় জবাব দিমুনা!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ঘুম থেকে উঠেই কথা রাখতে চলে এলাম, দেখেছো।
জন্মদিনের কথায় বলি, আমার জন্মদিনটা এট লিস্ট ঠিক আছে, বয়স যদিও কমানো। আর আমার দুই বোন এক বছরের ছোটবড়, ওদের একসাথে ভর্তি করাতে জমজ বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আম্মু যদিও চেয়েছিল বড় ছোট বুঝাতে কয়েকমাসের ব্যাবধান রাখতে, আব্বু তখন নিরীহভাবে জানতে চেয়েছিল লোকের কাছে এই সায়েন্স মিরাকল ব্যাখ্যা করবে কিভাবে।
আবার আমার বড়বোনের আসল জন্মদিন ষোলই ডিসেম্বঅর হলেও কি জন্য দুজনকেই ক্রিসমাসে জন্মদিন ঠিক করে দেওয়া হয়েছে, তাও জানা নেই। আমার মেজো বোন নিজেও বলে, ষোলই ডিসেম্বর হলে তো একজনেরটা ঠিক থাকত।
ওর আবার অনেক দুঃখ। আব্বু খুব ভুলোমনা। তো বড়বোনের জন্মদিন ষোলই ডিসেম্বর বলে ওরটা কেউ ভোলে না, আর আমি তার কয়েকদিন বলে সবাই মনেই রাখে যে ওর পরেই আমারটা আসছে। কিন্তু মেজো বোনেরটা আসতে আসতে আব্বু ভুলেই যায়। একবার ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেছে আব্বু ওকে, ডাক্তার বয়স জিজ্ঞেস করেছে, আব্বুর মনে করতে কষ্ট হচ্ছে দেখে ডাক্তার জন্মদিন জানতে চাইলো। আব্বু আমার বোনের দিকে তাকায় অসহায় গলায় জানতে চাইলো, তোমার জন্মদিন যেন কবে মা? বোন আমার ঠান্ডা গলায় উত্তর দিল, কালকে।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
ইশ আমি দেখতেই পাইনাই যে তুমি মন্তব্য করেছো!
আমাএর জন্মদিনও ঠিক আছে। বয়েস আমারও কমানো!
খালুর কথা শুনে মজা পেলাম। আমার বাবারও একই অবস্থা ছিলো। আমাদের দুই ভাইবোনের নাম মএ রাখতে পারতোনা, আর কে কোন স্কুল বা ক্লাসে পড়ি তাও না, আব্বু একটা কাগজে এইসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি লিখে পকেটে রেখে দিতো! বুঝ অবস্থা!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
লাইক, লাইক, লাইক...
নতুন মন্তব্য করুন