কিছুদিন হলো কিছু লিখতে পারছিনা। হুড়মুড় করে অনেক গুলো কথা আসে মনে আবার সাথে সাথে না লিখলে মিনিট কয়েক বাদেই সব হাপিশ! কী মুশকিলরে বাবা! ভাব দেখে মনে হয় কী যেন এক লেখক হয়েছি যে আমার মহাসমারোহে রাইটার্স ব্লক হচ্ছে! আজ ভাবলাম কী আছে জীবনে একখান আব্জাব আজ লিখেই ছাড়বো! মিনিট বিশেক কিবোর্ড ধরে ধস্তাধস্তির পর আর পারছিনা বাবা! নিজেকে আজকের মতো ক্ষান্তই দিলাম!
***
ছোটবেলাটা আমার অন্য দশটা মেয়ের মতো কাটেনি বললে ভুল হবে না। কেউ আমাকে কখনও শেখায়নি তেলাপোকা দেখলে ভয় পেতে হবে, দুঃখ পেলে ভেউ ভেউ করে কাঁদতে হবে, দুনিয়ার সকলে বিরুদ্ধে আর অন্য সকলে কাছে দিনরাত্রি নালিশ করে বেড়াতে হবে, কাউকে মারা যাবে না, সর্দারি করা যাবে না, ইত্যাদি ইত্যাদি! তাই আমার বেড়ে উঠাটা ছিলো বেশ একটা যাকে বলে উদ্ভুট্টি কাণ্ড! তেলাপোকা দেখলে সবাই হুটোপুটি করে পালাতো আর ওটাকে থেঁতলে চ্যাপ্টা না বানালে আমার শান্তি হতো না। সে এক ঘেন্নাকর আউট কাম! তবে ভয় পেতাম বোলতাকে! সেইরকম! বোলতাদের সাথে আমার আমার এক বিশেষ হিস্টরি ছিলো কিনা!
পিচ্চিকালে আমি বেশ একটা রাজাগজা ভাব নিয়ে চলতাম! প্রথম দেখাতেই যাকে তাকে তুমি বলে ভাব জমিয়ে নানারকম আবদার থেকে শুরু করে পছন্দসই কাজ না হলে হুমকি ধামকি দেয়াতেও পিছপা হতাম না কখনই। এই অভ্যাস এখনও বহালতবিয়তে বর্তমান। নানাভাই এর সাথে ভয়ে কেউ কথা বলতো না আর আমি তাকে তুমি তুমি করে দিব্যি তার থেকে ছবি আঁকিয়ে নিতাম পছন্দ মতো! বড় চাচাকে সবাই যমের মতো ভয় পেতো আর আমি তার বাড়িতে গিয়ে হুকুম করতাম ‘চাচা আমাকে ঘাড়ে তোল!’ বইমেলাতে রিটন ভাইকে পিছন থেকে অ্যামবুশ করে কাতুকুতু দেবার কথা কেউ ভাববে? আমি তাও ছাড়িনাই!
আর পাড়ায় দাপটের কথা আর না বলি। পাঁচ বছর বয়স হতেই দিকপাল মাস্তান বনে গেলাম বলা চলে। পাড়ার ছেলেদের সাথে পাল্লা দিয়ে খেলা আর কারও কথা পছন্দ না হলে তাকে কিল-চড়-খামচি মারা বেশ একটা অভ্যাসে দাড়িয়ে গিয়েছিলো তখন। আর সেই ছেলেগুলোই বা কেন আমাকে এতো পাত্তা দিতো কে জানে! স্কুলেও একই অবস্থা। যখন আমি ক্লাস ওয়ানে পড়ি তখন মোটামুটি নিয়মে দাঁড়িয়ে গেছে যে সপ্তাহে অন্তত দুইদিন প্রিন্সিপালের অফিসে আমার ডাক পড়বে পাতি দুষ্টামির জন্য আর একদিন বড় দুষ্টামির জন্য। কিন্তু শাস্তি সামান্য ডিটেনশন ছাড়া কখনই পেতে হয়নাই বলা চলে। সেই ছোট্টবেলা থেকে স্কুলে ছিলাম, একই পাড়ায় বাসা, সব শিক্ষক-শিক্ষিকার বাসা আশেপাশেই, সে জন্যে কী না জানিনা, কিন্তু প্রত্যেকেই ভীষণ আদর করতো! আদর করতো স্কুলের পিওন-বুয়ারাও। মনে আছে ক্লাস টুতে থাকতে যখন দোতলা থেকে লাফ দিয়ে নিচে নামতে গিয়ে পায়ে পেরেক গাঁথলাম সেদিন তীরের বেগে ছুটে এসে বিহারী বুয়া আমাকে কোলে নিয়ে বাসায় ডাক্তার মামার কাছে নিয়ে গিয়েছিলো। মামা যখন অ্যানেস্থেশিয়া ছাড়াই সাঁড়াশী দিয়ে টেনে আমার পা থেকে পেরেক বের করছে তখন আমার চাইতে বেশী কেঁদেছিল বুয়া। স্কুল শেষে কলেজেও তাই, বারান্দা থেকে কার্নিশে নেমে আম পাড়ছি একদিন আর নিচে তাকিয়ে দেখি সিস্টার পলিন ড্যাবড্যাব করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে! পড়বিতো পড় শুধু মালি না, মালীর মালিকের ঘাড়ে বললেই বেশী মানানশয়ী হয়!
***
আমার বেড়ে উঠায় সমাজের কোনও হাত ছিলোনা! কেউ কখনও বলেনাই আমাকে এটা করোনা ওটা করোনা- তুমি না মেয়ে- তোমার এসব করা মানায় না- হ্যানত্যান ইত্যাকার বাজে প্যাঁচাল কেউ কখনই পাড়েনাই আমার সাথে! কিংবা কেউ বললেও আমি পাত্তা দেইনাই কখনই! তাতে দুরকম ফল হয়েছে একসাথে। বুঝতে শিখেছি কার কথায় কান দিতে হয় আর কারটা এড়িয়ে গেলেও চলে, আর ঠিক-ভুল সম্পর্কের ধারণাটায় ছেলে-মেয়ে লেবেল পড়েনাই কোনওসময়েই!
আমাদের ছেলেবেলাটা অন্যরকম ছিলো। আমার জীবনে ‘কারও মতো না, চেষ্টা করতে হয় নিজের মতো নিজেকে গড়ে তোলার!’ শেখার আগে আমি অনেকের মতোই হতে চেয়েছি। ছবিতে ভ্যালেন্টিনা তেরেসকোভাকে দেখে ইচ্ছা হয়েছিলো নভোচারী হবার, বেগম রোকেয়াকে নারীশিক্ষা নিয়ে তার যুদ্ধের জন্য মনে মনে প্রায়ই গালমন্দ করলেও সবসময় মুগ্ধ হয়েছি তার ধৈর্য দেখে আর নিজের মতকে প্রতিষ্ঠা করার প্রেরণা যুগিয়েছেন তিনিই। প্রীতিলতার কাহিনী যখন পড়েছিলাম বইয়ে, তখন অত ছোট লেখায় মন ভরেনি, বিশ্বকোষে খুঁজে উনার ইতিহাস যখন পেলাম তার পর থেকে আড়াল থেকেই যেন আমাকে সাহস দিয়ে এসেছেন তিনি, সবসময়, সর্বক্ষেত্রে! মারি কুরি যা পেরেছেন তা পারবোনা কখনও জানি তবে খুব ইচ্ছা হতো গবেষক হবার। স্কুলে থাকতে উদ্ভুট্টি সব এক্সপেরিমেন্টের জোড়ে নাম বাগিয়ে নিয়েছিলাম দিশাদিশচন্দ্র, ইচ্ছা ছিলো বিজ্ঞান নিয়েই পড়ার। না পেরেছি উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো ফলাফল করতে না পারলাম জোর করে বিজ্ঞানের ছাউনীতলে থাকতে। হেরে যাওয়ার শুরু এখান থেকেই।
জোয়ান অফ আর্কের জন্য আমার সবসময়েই দুঃখ হতো, এখন নিজের জন্যেও হয়। দেশরক্ষার পর ডাইনী নাম দিয়ে পুড়িয়ে মারলে কেমন লাগে কখনই জানা হবে না হয়তো, কিন্তু নিজের সমস্ত স্বপ্নকে সমস্ত আকাঙ্ক্ষাকে একে একে তিল তিল করে হারিয়ে যেতে দেখলে বোধকরি যে হতাশার জন্ম হয় তার তোড়ও কম কিছু না!
আমরা যাদের গল্প শুনে বড় হয়েছি তাদেরকে হয়তো আজকে শিশুরা চিনতেও পারবেনা। এরা এদের নাম শুনেনি, এরা আমাদের ইতিহাসও জানে না, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার শুধুই এখন সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের ইতিহাস অংশের একটা প্যারাগ্রাফ! জোয়ান অফ আর্ককে এরা তখনই চিনবে যখন কোনও কম্পিউটার গেইম তৈরী হবে তার বীরত্ব গাঁথা নিয়ে। আজকালকার দুনিয়া বড্ড বেশী লেনদেন চিনে গেছে, এখনকার মাদার তেরেসার বা ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলেরা যদি টিপটপ সুন্দরী ফ্যাশন সচেতন না হয় তবে জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে একজন কমবয়েসির মনোযোগ আকর্ষণে সহজেই হেরে যাবে কোনও উঠতি পপ সিঙ্গারের কাছে!
আমরা চামড়ার দাম জেনে বড় হইনি, আমাদের শিখানো হয়েছিলো মানুষের চেহারা শুধুই চামড়ার উপরের ব্যাপার, দাম দিতে হয় মাথার, হৃদয়ের। এখন প্রতিটা মুহূর্তই আমাকে উপলব্ধি করায় – কতোটা ভুল শিখেছিলাম!
মন্তব্য
চলুক।
চলবে!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
নারে বুড়ি, ভুল শিখি নি। আমি সব মানুষের সাথেই কথা বলি-কালো ফর্সা কোন ব্যপার না। তুই আসলে অনেক সরল রে! পাগলি!
হ! আমার মাতাখ্রাপ!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
এই কিছুদিন ধরে আবার এই ধরনের চিন্তা সুযোগসন্ধানী হয়ে উঠছে খুব, আবার হাঁপ ধরে যাচ্ছে .. এর মধ্যে এই লেখা আপু! এই (কোটেড) আপাদমস্তক মিথ্যে কথাটা নিজের উপর চাপতে দিলেই মিথ্যেরা জয়যুক্ত হয়ে যাবে।
.. এবং দাম দিতে হয় আবেগ, অনুভূতি আর সরলতার .. বাকি সব তুচ্ছ হোক .. একটা গান শোনাই
http://www.youtube.com/watch?v=NhBWcZeueZY
মিথ্যারাই জয়যুক্ত হয়, মিথ্যারাই জয়যুক্ত হবে! আশা করে লাভ নেই! আর হতাশ হলে জীবনের কীইবা বাকি থাকে বলেন!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
কিছু কিছু যায়গায় কথা না বলাটাই হয়তো ভাল। কথায় বলে প্রকাশ করার ক্ষমতা থাকেনা সবার। আমারো নেই। শুধু মন খারাপকরা ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।
আমি আজকাল শুধুশুধুই মনখারাপ করি, আর শুধুশুধুই আশেপাশের সবার মন খারাপ করে দেই! মি ব্যাড! ভেরি ব্যাড!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
অনেক সুন্দর লিখেছেন।
বেশ ভাল লেগেছে।
এরকম লিখতে চাইনাইরে ভাই, সত্যি! কিন্তু আমার নিজের খালাতো মামাতো ভাইবোনেরাই দেখি আমার এই প্রিয় মানুষগুলার কাউরে চিনেনা! কী যে খারাপ লাগে!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
স্লিপিং বিউটি সাহেব, আপনাকে ধন্যবাদ!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
চাকরিজীবন দুষ্ট বালিকাদেরকে থুত্থুরেতে পাল্টায়া দেয় মনে হইতাসে। গা ঝাড়া দিয়া উইঠা ভালো হয়া যাও!
লেখা ভালু পাইসি, পেসিমিজমের গাঁট্টিটা বাদ্দিয়া। আর, লেখার প্রথম লাইন নিশ্চয়ই আমার ইন্সপিরেশনে আসছে, এক কেজি ধইন্যাপাতা বেশি দিবা!
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
বেকার জীবনের চেয়ে চাকরি ভালো রে, কাজে ব্যস্ত থাকা যায়!
দিমুনা, কেড়ে নে পারলে!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
মনে রাখার মত উক্তি।
পোস্ট ভালো লাগল।
পাঁচ তারা।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
ধন্যবাদ! আমাকে যে শিখিয়েছিলো তার মুখেই এখন মাঝে মাঝে অন্য কথা শুনি! হয়তো সেও হতাশাবাদী, বা তার হতাশাটাই আমার মধ্যে ঢুকে গেছে!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
লেখা ভালৈসে! তয় ইদানিং তোর মেজাজ খারাপের ফ্রিকোয়েন্সি আরো বাড়সে মনে হয়।
হ! বয়েস হইয়া গেসে মনয়!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
এতবড় কাজ মাত্র একটি পেরেক গেঁথেই সারা...!
শয়তানি কি আর এই একটা!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
সবার উপলব্ধি হোক।
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
যতোই যা বলেন, হবে না!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
কিছুই ভুল শিখ নাই।
facebook
সেই আশাতেই আছি!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
বাহ্, সুন্দর লেখা ! তবে হতাশ হওয়ার কোন কারণ নেই। কারণ প্রতিকূলতা জীবনের চিরায়ত লক্ষণ। সেকালেও ছিলো, একালেও আছে। চেহারা আর চেতনাটা পাল্টেছে কেবল। এটাই সময়ের দাগ !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
দাগী সময়গুলো কিন্তু একটা চিহ্ণ রেখে যায় রণদা! সেটা তোলা যায় না!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
কালো-কুচ্ছিত চেহারা নিয়েও আমি ওই কথাটাকে ঠিক বলে জানি, সায়কা। বাইরের চেহারা তো শুধু চেনাজানার আগে বা শুরুর কয়েকটা দিনে ম্যাটার করে, তারপর?
যদিও কষ্টটা বুঝতে পারলাম, তবু লেখা ভাল্লাগসে।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
শিপু, জানি তুমি বুঝতে পারবা। বিশ্বাস করতে পারবানা গেলো কিছুদিন ধরে কতো কী শুনছি!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আমিও হেরে গিয়েছি ( হেরে গিয়ে কান্নাকাটির ইমো হবে এখানে)
অন্নেক আশা ছিল 'স্নাইপার' হব। মহিলা 'জেমস বন্ড' হব। পোড়া কপাল!
লেখাটা মনে নাড়া দেয়ার মত। কিছু কিছু বাক্য মনে দাগ কেটে গেছে। টু থাম্বস্ আপ! (ইমো কাজ করে না ক্যান্ আজকে?!)
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ইশ! কী জোশ হতো! ক্যান স্নাইপার হলেন না, ক্যান ক্যান ক্যান? [হাত পা ছুড়ে কান্নাকাটির ইমো হপে! ]
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ভাল লাগা একটি লেখা।
খারাপ লেগেছিলো বলে লিখেছিলাম! :চ
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
চমৎকার। তবে হাল ছেড়ো না বন্ধু, বরং কন্ঠ ছাড়ো জোরে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআ!
[কন্ঠ ছাড়লাম! জোরে!]
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
কি জানি একটা জ্ঞানের কথা মনে আসছিলো বলবো ভাবলাম , এখন ভুলে গেছি
লেখা চমৎকার
উহু! জ্ঞান দিবেন বলসিলেন এখন জ্ঞান দ্যান! জ্ঞান না দিয়ে আপ্নে কোত্থাও যাইতারবেন না! :।
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
সৌরভকে সেকেন্ড করলুম
ডিজিএম! :।
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
এত্ত সুন্দর লেখো কিভাবে ।। অন্নেক ভালো হয়েছে
খাইসে! মাইয়াটা পাগল হয়ে গেছে!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আমিও ছেলেবেলায় যা শিখেছি বড় হয়ে দেখি সব ভুল।
তুমি আর আমি মনয় একই জিনিস শিখিনাই!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
মন খারাপ কেন রে তোর?
লেখাটার পরতে পরতে মন-খারাপি সুবাস ছড়ানো।
আমি নিজেও মন-খারাপ করে ফেলি এইসব জিনিস নিয়ে---কিন্তু একটা জিনিস জানিস? এখনো অনেক অনেক আশায়-বুক-বাঁধার মতন মানুষ আছেন। তোর শৈশবের প্রিয় মানুষগুলোকে এখনকার শিশুরা চেনেনা বলে দুঃখ করিস? তার চেয়ে বরং আয় ওদের চিনিয়ে দিই---ওদের কথা গল্প করে শোনা। জানিয়ে দে কেন ঐ মানুষগুলো তোর মনে এত দাগ কেটেছিলেন--দেখবি অন্যেরাও তোর কথা শুনতে পাবে---
আসল কথাটা হল--বুকের মাঝে আশা পুষে রাখিস সকল সময়ে
অনেক অনেক ভাল থাকিস।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
না শুনতে শুনতে ওদের শোনার কানটাই নষ্ট হয়ে গেছে ভাইয়া! কোনওকিছুই এখন আর দাগ কাটেনা ওদের মনে!
তুমি অনেক অনেক ভালো থাকো!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
দিশা,
'এই কথাটা ধরে রাখিস,
মুক্তি তোরে পেতেই হবে।'
আশা নিয়েই বেঁচে থাকি আমরা।
চিন্তার কিছু নাই।
অনি আপু!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
‘কারও মতো না, চেষ্টা করতে হয় নিজের মতো নিজেকে গড়ে তোলার!’-
এটা বুঝতে পারলেই সব ঠিক।
এখনকার পিচ্চিরা বোধ হয় এ শিক্ষা নিয়েই জন্মায়- ওখানেই সমস্যা। 'আমি'-টা গড়ে ওঠার আগেই 'নিজের' খুঁজতে গিয়ে বেচারারা অনেক কিছুই হারিয়ে বসে। কী যে হারালো সেটা নিয়ে তাদের চিন্তা নেই, ওরা বোধ হয় ভালই আছে টম আর জেরির বদলে পোকেমন ডোরেমনদের নিয়ে।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
মর্ম ভাইজান, আমরা বুঝি, কিন্তু এখনকার পিচ্চিরা মায়ের পেট থেকেই বেশী জ্ঞান নিয়ে বেরোয় বলেই মনে হয় সব কিছু গুছিয়ে বুঝে না। যা বুঝে তা হয় বেশী বুঝে, নাহলে বুঝেই না!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
কি সুন্দর করে বলতে পারে মানুষ। তাও নাকি লেখারা পথ খুঁজে পায়না। এইটা একটা কথা !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
উফফ!
তোমার লেখা কই?
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
নতুন মন্তব্য করুন