স্কুলে থাকতে শিখিয়েছিলো জড় পদার্থকে ডাকাডাকি করার দরকার হলে নাকি স্ত্রীবাচক শব্দ দিয়ে ডাকতে হয়। জড় পদার্থ যেহেতু, সেহেতু ‘জ্বী স্যার’ বলে সালাম ঠুকে দাঁড়াতে পারবেনা বলেই জানতাম, তাই জিজ্ঞেস করেছিলাম এদের ডাকাডাকি করার দরকারটা কী! বেশী প্রশ্ন করা বাচ্চাদের কেউ দেখতে পারে না, এখানেও তার ব্যতিক্রম ঘটে নাই, তাই মিনি দাবড়ানির সাথে ‘এটাই নিয়ম’ এই উত্তরেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিলো তখন! নিয়ম মানবো বলেই হয়তো তখন থেকেই আমি আমার সব স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তিকে স্ত্রীবাচক সম্বোধনের সাথে সাথে ওদের সাথে গল্পগুজব করাও শিখে গেলাম! স্কুল থেকে এসে অবশ্য এর বেশী কিছু করারও থাকতো না। সবাই ব্যস্ত থাকতো আর আমার সারাদিনের স্কুলের কতশত গল্প শোনার সময় কারো হতোইনা! তাই আমার বড় পুতুলটাকে একপাশে বসিয়ে পেন্সিল বক্স থেকে শুরু করে চাইনিজ গল্পের বইগুলোকে পর্যন্ত লাইন ধরে সাজিয়ে গল্প করতাম, গোলমরিচ গুড়ো দিয়ে ডিম সেদ্ধ আর গ্লাস ভর্তি দুধ ভাগাভাগি করে খেতাম সবার সাথেই। আঁকার খাতায় ছবি এঁকে পেনসিলটাকেই বলতাম, ‘দেখেছো, আমি আর তুমি মিলে কতো সুন্দর ছবি আঁকি?’ সেই অভ্যাস আজও আছে।
আমি অবশ্য খুব একটা একাকীত্বে ভুগিনা, এমনিতেই অফিস সেরে বাসায় ফিরে আমি আমার ডেরাটাতেই থানা গেড়ে বসে থাকি, রাতে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত, ভাই না থাকাতে এখন তার সাথে দু চারটা কথা বলার সময়টাও বেঁচে গেছে বলা যায়। তাও আমি একা না। আমার লোশনের বোতল, প্রতিদিন গোসল সেরে এসে যাকে দুটো বকা না দিলে সে মুখ খোলেই না – থেকে শুরু করে রঙের ডিব্বাটা পর্যন্ত আমার সাথে কথা বলে! সারাদিন কী কী করলাম আমি ওদেরকে বলি আর ওরাও বুঝদারের মতো মাথা নাড়ে, নিশ্চয়ই! আমি বুঝতে পারছিনা বলে কি ওরা কথা বলছে না নাকি? নিশ্চয়ই বলছে! নিশ্চয়ই! আমি কাকে কতোটা ভালোবাসি সেটাও ওরা জানে, আমি ঠিক জানি!
এমাসের বারো তারিখে সানীর জন্মদিন ছিলো, ছোটবোন বর্ষার বিশেষ বন্ধু সানী! ওর জন্য একটা রংদার কলমদানি বানিয়েছিলাম, ছেলেদের পক্ষে একটু বেশীই রংদার! বানানোর সময় মাথায় আসেনি, কিন্তু ওকেই দিবো বলে বানিয়েছি যেহেতু তাই দিয়েই দিলাম! নতুন জামা আর আমার সবচেয়ে পছন্দের লাল দুলজোড়া পরেছিলাম সেদিন, আর ওদেরকে পরলেই কেউ না কেউ জিজ্ঞেস করেই কোত্থেকে কেনা! আমি ওদের খুব ভালোবাসি! ধানমন্ডি আট নম্বরের লেকের পাশ দিয়ে রিক্সা করে আমি আর ফারিহা যখন ফিরছিলাম তখনই ঘটনাটা ঘটলো। ঘটনা না, আসলে দুর্ঘটনা, ডান দিকে দুলটা খুলে আমি ধরবার আগেই হাত ফসকে রিকশার বাইরে, রিকশা ফুল স্পিডে চলছে আর আশেপাশে এতো গাড়ী যে নামতেই পারলাম না! মন খুব খারাপ হলো, খুব! বাম কানেরটাকে হাতে নিয়ে বললাম ‘সরি’। ফারিহা বললো, ‘আপু, মন খারাপ করে না!’ তুচ্ছ কাঁচের দুল নিয়ে মন খারাপ করতে করতে বাসায় ফিরলাম, কখনও যেটা করি না সেটাই করলাম- আম্মুর কাছেও দুঃখে খানিক ঘ্যান ঘ্যান করলাম। খানিক পর পর মনে পড়তে লাগতো আমার হারিয়ে যাওয়া কাঁচের কানের দুলটার কথা! কী তুচ্ছ বিষয়েই না আমি অসীম রকমের মন খারাপ করে থাকতে পারি! কতো তুচ্ছ একটা বিষয়ে!
মন খারাপ টু বি কন্টিনিউড পর্যায়ে রেখে রাতে ঘুমালাম, পজড মন খারাপটাকে আনপজ করে অফিসেও গেলাম! যারা শুনবে তাদের সবাইকেই আমার লসের কথা জানালাম! পুরো দিন মন খারাপ ভাব নিয়ে কাজ শেষ করে বাসে উঠে বাসায় ফেরার সময় ভাড়া দিতে গিয়ে আমার ঝোলা ব্যাগে হাত দিয়ে দেখি আমার লাল দুল! অথচ গতরাতে বাসায় ফিরে ব্যাগের প্রতিটা জিনিস নামিয়ে দেখেছিলাম এই আশায় যে হয়তো কান থেকে রিকশার বাইরে না, ব্যাগে পড়েছে! তখন ছিলোনা, সত্যি বলছি, তখন ছিলোনা! আমি ওকে কতোটা ভালোবাসি জেনেই ও ফিরে এসেছে! নীল হাতির কথা মনে পড়লো তখন, নীতুর নীল হাতি।
নীতুর নীল হাতিটার মতো আমার লাল দুলটাও ফিরে এসেছে আমার কাছে, একা একা, এ আমি ঠিক জানি!
মন্তব্য
হুমায়ূন আহমেদের নীল হাতি বইটা যখন পড়ি, তখন আমি ক্লাস টুতে। আপনার লেখাটায় আবার সেইসময়ের কথা মনে পরলো।
আমি কদিন আগে আবারও রিভিশন দিলাম! খুব প্রিয় সেই সময়টা, আর খুব প্রিয় গল্পটাও!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
দিতুর(!) লাল হাতির কাহিনি ভালু পাইলাম।
পাশকথা, নীতুর বাচ্চাকালে হুয়া সাহেব গল্প লিখেছিলেন। নীতু তো এখন বড়ো হইছে, গত মাসে নাকি বিয়াশাদিও করছে। এই বিষয়ে আপ্নার কী মতামত?
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
মাইর! :।
মতামতের সাথে মাইর ফ্রি! :।
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
দোয়া করি মাঝে মাঝেই যেন আপনার দুলটুল হারায়, তাইলে বিনিময়ে এরকম কিছু লেখাটেখা বের হবে আরকি
আপনার কী হারাইলে সাহিত্যিকের পরের পর্ব আসবে সেইটা খালি একবার মুদ্রণ করে দেখেন।
লেখা ভালো লাগলো। আমার একটা পকেট ছুরি ছিলো যেটার সাথে কথা বলতাম আর এখন খালি যন্ত্রপাতির সাথে বলি।
পকেট ছুরি! ভাইরে ভাই!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ছুরি ক্ষুরধার ছিলো না।আসলে কাগজ ছাড়া মনে হয় আর কিছুই কাটা যেতো না, কিন্তু খুব শখের ছিলো
আমার অফিসের বস হারাইলে সাহিত্যিক পরের পর্ব আসবে। দেখেন ব্যাটারে গুম করতে পারেন কিনা
যান, 'সুপারি' নিলাম।
ঠিকানাটা দেন। আমি জোলাপ নিয়ে রওনা হচ্ছি।
যখনি আমার অনেক অনেক অনেক কাজ থাকবে, দুই চারডা রিপোর্টের ডেডলাইন থাকবে খুব কাছাকাছি, তখনি দেখবেন আমি আব্জাবের বন্যায় সচলায়তন ভাসায়া দিসি!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
দারুণ তো!
হেহে, তাই?
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ছেলে বেলার কথা মনে করিয়ে দিতে অসম্ভব ধন্যবাদ।
মন্তব্য করে ধন্যবাদ জানানোর জন্যেও আপনাকে ধন্যবাদ!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ভাল লাগল।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
সবুজ দ্বীপের রাজা, থুড়ি পাহাড়ের রাজা, ধন্যবাদ!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
কখনো কখনো খুব ক্ষুদ্র কিছুতে কেমন মায়া লেগে যায়
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আসলেই!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আহা! কি সুন্দর করে লিখলি তুই
ভাইয়া, তোমার মাথা ঠিক আছে তো?
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
মন ছুঁয়ে যাওয়া ব্লগরব্লগর
ধন্যবাদ!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ইউ রেড?
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
বলাই'দার একটা কালজয়ী কথার আলোকে বলি, এতো দুঃখের কথা লেখেন কেমনে! কলমের ডগা ফাইট্যা যায় না?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বেশী বেশী করে লেখেন। পড়তে ভালইতো লাগে।
তাই নাকি? নগদে মন আবার খারাপ কইরা ফেললাম!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
এম্নে কইলেন? আমি কিছু লিখতে গেলে ক্যান জানি হুদাই দুঃখ দুঃখ লেখা বাইরায়! ঃ৯
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
কখনো কখনো এমন হয়!
আশেপাশে অনেক খারাপ খবর আপু, অনেকই খারাপ খবর! গতকাল শুনলাম আমার ইউনির এক জুনিয়র মারা গেছে পিক আপের ধাক্কায়, আজকে খবরে শুনলাম আটটুকরা করা মাথাবিহীন লাশের কথা! প্রতিটা তুচ্ছ ঘটনাই আমার মন খারাপ করে দেয়, আর এইগুলোতো কতো ভয়াবহ ব্যাপার!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আম্মু আব্বু আর আমার এমন দ্বীপে বসবাস প্রত্যেকদিন। আর কী অদ্ভুত আমার একমাত্র বোন সিলেটে চাকরী নিয়ে চলে যাবার পর থেকে আমি দ্বীপে পুরো নির্বাসিত হয়ে গেছি। কারো সাথে তেমন কথা নেই। আমার এই ছোট্ট দ্বীপের সব কিছু আমার কথা শোনার জন্য আছে। আজকেই আম্মুকে বলছিলাম নিজের সাথে নিজে কথা বলি সব সময় আম্মু। আমার ভালো লাগা মন্দ লাগাটা তোমাদের আর বলতে পারি না এখন!
জানো আপু যা কিছু আমার হারিয়ে গেছে আমার কাছে আর ফিরে আসে নি। অনেক ভালোবেসেছি সব কিছুকে তাও কেন যেন আমাকে ছেড়ে চলে গেছে সব ছোটখাটো জিনিস!
উহু, কিছুই হারিয়ে যায় না আসলে। কিছুই না! কোথাও না কোথাও হারিয়ে যাওয়া সবকিছু আপনি এক এক করে ফিরে পাবেন!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
নীতুর নীল হাতিটা হবেনা; নীলুর নীল হাতি।
আমি অবশ্য বইটা পরেছিলাম ২৫/২৬ বছর আগে, বর্তমান সংস্করণে কি নাম পরিবর্তিত হয়েছে?
আই হ্যাভ গোল্ডফিশ্মেমরি! তাই ভুল হতেই পারে!
না মনে হয়! বইটা কিছুদিন আগেই পড়েছিলাম, তাও নামটা মনে পড়ছেনা!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
মন খারাপ তো তুচ্ছ বিষয়েই হয়! বড় বড় বিষয়ে মন খারাপ হবে ক্যান!
আমার একটা নীল দুল ছিলো, মানে একজোড়া। আমি এমনিতে খুব কম জুয়েলারি ব্যবহার করি, মনেও থাকে না অধিকাংশ সময়েই। এইটা পছন্দের ছিলো, বিশেষ বিশেষ দিনে-সময়ে পরতাম, জামার সাথে না মিললেও। একবার সমুদ্রে হারায়ে গেল একটা, বাতাসে চুল উড়ে পেঁচায়ে গেল, তারপর বাতাসের টানেই খুলে পড়ে গেল, একটা ছোট্ট ঢেউ এসে আমার পা ছুঁয়ে নিয়ে চলে গেল, পুরাটাই দেখলাম তাকায়ে তাকায়ে...
অন্য জিনিস খুঁজতে গিয়ে কয়দিন আগে সেই জোড়ার অন্যটাকে পেলাম হঠাৎ! রেখে দিলাম আবার যত্ন করে...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
তিনগোয়েন্দার কোনও একটাতেই যেন প্রথম পড়েছিলাম, মেয়েরা কানের দুল বা জোড়ায় পড়া হয় এরকম কিছুর একটা হারায় ফেললেও আরেকটা যত্ন করে রেখে দেয়! পরে মিলিয়ে দেখলাম আমিও তাইই করি, কোনও এক্সপ্লেনেশন নাই কিন্তু আমার দেখা প্রায় সব বন্ধুই এই একই কাজ করে!
আমরাও কমন মানুষ!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
একেকটা দুলের সাথে কতসব টুকিটাকি জড়িয়ে থাকে
পেয়ে যাওয়াটা বেশ ভাল ব্যপার, তাইলে তো মন একদম ঝলমলে তাই না?
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
আমার মন, আর লন্ডনের আকাশে বেশ মিল!
অনেকদিন পরে আমার ব্লগবাড়িতে তোমাকে দেখে খুব ভাল্লাগলো দিদি!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
মানুষের জীবনটাই আসলে এক একটা দ্বীপ। চারিদিকে আত্নীয়-স্বজন-বন্ধু পরিবেষ্টিত থেকেও যার যার একার জীবন
কাটিয়ে যেতে হয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এতো অল্প বয়সে সেটা তুমি টের পেলে কেমন করে?
ব্যাগটা কী আসলেই তুমি ঠিক মতো দেখেছিলে আগের রাতে?
--------------------------------------------------------------------------------
ভাবী, আমার বয়স তো অল্প নাগো! অনেক অনেক অনেক!
উলটে পালটে দেখেছিলাম, জানো! নো চান্স টু মিস!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
নতুন মন্তব্য করুন