উনিশ বছরের সৌরভের এই প্রথম চাকরি আর সিলেটেও আসা প্রথমবারের মতোই। সিনিয়র কালাম ভাই খুব করে বুঝিয়ে শুনিয়ে দিয়েছেন যে এইখানে ওর কোনই সমস্যা হবে না, সবাই খুব ভালো লোক এই ব্রাঞ্চে। ওষুধের সেলসে একবার থিতু হতে পারলেই হলো। সময়াভাবে ওর থাকার ব্যবস্থাটা করে উঠতে পারেনাই কালাম ভাই। মীরাবাজারে অফিস, তাই ওকে বলে দিয়েছে কাছাকাছির মাঝেই যদি কোথায় ভাড়া পায় তবে উঠে যেতে। খাবার হোটেলের ম্যানেজারকে জিজ্ঞেস করলো সৌরভ, মীরাবাজারে কোথাও খুব সস্তা হোটেল আছে কিনা। ম্যানেজার বললো যে হোটেল না খুঁজে ওর বরং কোনও বাসায় একরুম নিয়ে ভাড়া থাকা যায় কিনা এটা দেখতে। একটা ঠিকানা বলে দিলো ম্যানেজার, কোনও এক রহিম ভিলা, ওরা নাকি সাবলেট রাখে।
একটা রিক্সা নিয়ে রওনা দিলো সৌরভ, মুখে একটু গাম্ভীর্য ধরে রাখার চেষ্টা। ওর বস, কালাম ভাই, সবাই একটু গম্ভীর ধরণের। সৌরভও চেষ্টা করছে ওর নিজের মধ্যে গাম্ভীর্য আনার। নতুন শহরে একা এসে একটু যে ভয় ভয় লাগছে না তা নয়। কিন্তু ভয় লাগলেও সেটাকে আমলে আনছে না ও। মীরাবাজারের একটা গলির মুখে এনে রিকশাওয়ালাকে ও ছেড়ে দিলো। এই গলির বাসাগুলো বেশ লম্বা লম্বা, পুরোন দালান। এইখানে ভাড়া নিশ্চয়ই কম হবে। ক্যাম্বিসের ব্যাগটা টানতে টানতে এগোল সৌরভ। একটু দ্বিধায় পড়েছে ও এখন। রিকশাওয়ালাকে একবার জিজ্ঞেস করা উচিৎ ছিলো, এই শুনশান রাস্তাটা আসলে ভালো কিনা, যদি ছিনতাইকারী লুকিয়ে থাকে কোনও অন্ধকার কোণায়?
হাটতে হাটতে চারদিকে লক্ষ্য করতে লাগলো সৌরভ। বাড়িগুলো কেমন যেন মলিন, পলেস্তারা উঠা। তাকাতে তাকাতে হঠাৎ একটা বাড়ির দিকে নজর পড়ল ওর। বাড়িটা এই রাস্তায় বেমানান, জানালা থেকে বেশ খুশিয়াল হলুদ আলো ঠিকরে পড়ছে রাস্তার উপরে। দূর থেকেই দেখলো সৌরভ যে সেই জানালায় একটা কাগজ সাঁটা, একটু এগিয়ে যেতেই বেশ বড় ফন্টে টাইপ করা লেখাগুলো পড়তে পেলো ও। “সাবলেট চাই”- পড়েই সৌরভ থমকে গেলো। এখানেই থাকা হোক না কেন। হোটেলের চেয়ে বেশ ভালো হবে। যদিও হোটেলে থাকলে একটু সুবিধা, তাস খেলার মানুষ পাওয়া যাবে, একটু আধটু নেশাও... কিন্তু কোনও এক পরিবারের মাঝে থাকতে পেলে খাবারটা নিয়ে অন্তত নিশ্চিন্ত থাকা যায়। দোনোমনা করতে করতে সৌরভ এগোল। খারাপ কী? একবার দেখেই যাক না, ভাড়া যদি বেশী হয় তাহলে রহিম ভিলা বা কোনও সস্তার হোটেলেই উঠা যাবে। জানালা দিয়ে একটু উঁকি দিলো ও, পর্দাটা একটু উড়ছে বোধহয় ফ্যানের বাতাসে, ভিতরটা একটু দেখা যায়। হলদেটে আলো জ্বলা রুমটা বোধহয় বাসাটার বসার ঘর, একপাশে একটা খাঁচায় একটা টিয়া দেখা যাচ্ছে, আর একটা বেতের সোফার সামনে ঘুমিয়ে আছে বেশ বড়সড় একটা নেড়ি কুকুর।
“নাহ, আমার পোষাবে না। ভাড়া নিশ্চয়ই অনেক বেশী হবে এইখানে।“ – এই ভেবে সৌরভ রহিম ভিলার ঠিকানাটা বের করতে গেলো পকেট থেকে। অদ্ভুত ঘটনাটা ঘটলো তখনই। সৌরভের চোখের সামনে কাগজে সাঁটা “সাবলেট চাই” লেখাটা যেন নাচানাচি করে বেড়াতে লাগলো, “সাবলেট চাই”, “সাবলেট চাই”, “সাবলেট চাই”¸“সাবলেট চাই”, “সাবলেট চাই”! প্রত্যেকটা অক্ষর যেন লেখাটা থেকে বের হয়ে এসে সৌরভকে ডাকতে লাগলো নেচে-কুঁদে। ও ভাবছিলো রাস্তা ধরে এগিয়ে সামনের গলিতে যাবে, আর এদিকে ওর পা ওকে টেনে নিয়ে এলো জানালার সামনে থেকে বাড়িটার দরজায়। আপনা আপনি হাতটা উঠে গিয়ে যেন চাপ দিলো কলিং বেলের বোতামে, ওর হাত যেন নিজের ইচ্ছায় চলছে। কলিং বেল বাজার শব্দ শুনলো সৌরভ বাড়ীর ভিতরে কোন একখান থেকে। বেল থেকে হাতটা সরিয়েও নিতে পারেনি সৌরভ এর মাঝেই দরজা খুলে গেলো!
সাধারণত কী হয়, বেল চাপলে, অন্তত পক্ষে আধ মিনিটের মাঝে কেউ দরজা খুলবে, এটাই তো হয়, তাই না? কিন্তু তার আগেই যদি কেউ দরজা খুলে দেয় তাহলে একটু কি চমকাবেন না? সৌরভও চমকে গেলো! দরজায় এক মহিলা দাঁড়িয়ে আছে, পঁয়তাল্লিশ থেকে পঞ্চাশের মাঝে বয়স হবে, হালকা বিস্কুট রঙ্গা সুতী শাড়ি পরা, লালচে মায়াবতী মুখ। “ভেতরে আসো”, মহিলা নিঃসঙ্কোচে ওকে আহবান করলেন, আর অবাক সৌরভ লক্ষ্য করলো কী এক দুর্নিবার আকর্ষণে ও কিছুতেই মহিলার ডাক এড়াতে পারছেনা। ভদ্রমহিলা সরে দাঁড়াতে ও ঢুকে পড়লো বাসার ভিতরে। পরিপাটি সাজানো বসার ঘর।
উনি দরজা আটকে দেবার পরে খুব আস্তে, যেন অজুহাত দিচ্ছে এইভাবে সৌরভ বলে উঠলো, “জানালার বিজ্ঞাপন দেখেই বেল টিপেছিলাম।“
ভদ্রমহিলা হেসে বললেন, “আমি জানি!”
“আমি সাবলেট থাকার জন্য রুম খুঁজছিলাম।“
“সব তৈরিই আছে, তোমার পছন্দ হবে।“ ভদ্রমহিলা হেসে বললেন সৌরভকে।
“আমি ভেবেছিলাম রহিম ভিলায় উঠবো” সৌরভ বললো তাকে, “কিন্তু হঠাৎই জানালায় আপনার বিজ্ঞাপনটা চোখে পড়লো। আচ্ছা, আপনার এইখানে ভাড়া কতো, আমাকে এক মাসের ভাড়াটা বলবেন দয়া করে?” এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বলে ফেললো ও।
“সকালে নাস্তা সহ একমাসের ভাড়া হবে আড়াই হাজার টাকা।“
নিজের কানকেও বিশ্বাস হচ্ছিলো না সৌরভের। কালাম ভাই বলেছিলেন সিলেট খুব পয়সাওয়ালা লোকদের শহর। সৌরভ যা ভেবেছিলো তার প্রায় অর্ধেকেরও কম চাইছেন এই ভদ্র মহিলা, তাও আবার সকালের নাস্তা সহ। ওকে ইতস্তত করতে দেখে উনি বললেন, “ভাড়া কি অনেক বেশী মনে হচ্ছে? সকালে আমি ডিম দেই নাস্তার সাথে, ডিমটা যদি না চাও তাহলে ধর বাইশশো এর মাঝে হবে তোমার জন্য।“
“না না, ঠিকই আছে, আড়াই হাজারই ভালো। আমার কোনও সমস্যা হবে না। আমি থাকবো এইখানেই।“ ভদ্রমহিলা হেসে বললেন, “আমি জানতাম। এসো খাতায় তোমার নামটা লিখে ফেলো!”
সৌরভ তখনও ইতস্তত করছিলো, এমন অভাবিত সৌভাগ্য ওর হবে, মাসে এতোগুলা টাকা বাঁচাতে পারবে এটা ও আশাও করেনাই। ভদ্রমহিলার মাঝে বেশ একটা মা মা ভাব আছে, বেশ একটা প্রিয় বন্ধুর মায়ের মতো, যারা সবার দিকে নজর রাখে, আর সব্বাইকে খুব আদর করে।
“আর কয়জন আছে এখন এই বাসায়?” এতো কম ভাড়ায় নিশ্চয় মানুষের অভাব হয়না উনার, আর চারপাশের সাজসজ্জা দেখে মনে হচ্ছে ব্যবসা ভালোই চলে।
“পুরো বাসাই খালি, আমি আর তুমি ছাড়া এইখানে এখন কেউই নাই!” মহিলা হেসে জানায়।
সৌরভ লজ্জা পায় একটু, ভদ্রমহিলার দুষ্টুমি ওকে একটু অপ্রতিভ করে দেয়। তবে যে সস্তার জায়গা, এতে মানুষজন যেরকমই হোক সৌরভের সমস্যা হবে না। সারাদিন তো ও থাকবে কাজে ব্যস্ত, রাতে বাইরে খেয়ে এসে শুধু ঘুমানোর জন্য এই বাসায় আসা।
“আমি অবশ্য সব্বাইকে ভাড়া দেই না। আমার পছন্দ না হলে এই বাসায় কাউকে থাকতে দেই না।“ একটু অন্যমনস্ক ভঙ্গিতে বললেন ভদ্রমহিলা। “তবে সবসময় সবকিছু গুছানোই থাকে, যদি তোমার মতো কাউকে পেয়ে যাই! বাবা তোমাকে আমি বলে বুঝাতে পারবোনা যে কতোটা ভালো লাগে আমার যখন দরজা খুলে তোমার মতো কাউকে দেখতে পাই, আমার এই বাসাটার জন্য একেবারে ঠিক!” ভদ্রমহিলা ততোক্ষণে করিডোর ধরে অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছিলেন, ঘুরে তাকালেন সৌরভের দিকে, পা থেকে মাথা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করলেন ওকে, তারপরে আনমনেই বললেন, “হুম, এক্কেবারে ঠিক।“
প্রায় নিঃশব্দে উনাকে অনুসরণ করলো সৌরভ, ঘুরানো সিঁড়ি বেয়ে দোতলায় এসে উনি বললেন, “দোতলায় আমি থাকি, তোমার ঘর তিনতলায়।“ তিনতলায় এসে বাম দিকের দুনম্বর দরজাটা খুলে সৌরভকে ইশারায় ডাকলেন উনি, বললেন, “এটা তোমার ঘর, দেখো পছন্দ হয় কিনা।“ সুন্দর করে গোছানো রুমটাতে ঢুকে সৌরভ তার ভাগ্যকে বিশ্বাস করতে পারছিলনা, এতো কম টাকা এরকম সুযোগ সুবিধা পাবে দেখে মনে মনে ভাগ্যকে ধন্যবাদ দিলো ও। সব ভালো যার, শেষটাও নিশ্চয়ই ভালোই হবে ওর।
ঘরটা শুধু গোছানো তাইই না, লাগোয়া বাথরুমে তোয়ালে রাখা, দরজার সামনে একজোড়া চপ্পল, খাটের উপরে কাঁথাটা আড়াআড়ি করে যেভাবে রাখা তাতে মনে হয় তারই মতো কারও অপেক্ষাতেই যেন আছে রুমটা, হাত মুখ ধুয়ে বিছানাতে উঠতেই যা একটু দেরী!
ক্যাম্বিসের বড় ব্যাগটা বিছানায় তুলে ওর বাড়িতে পরার পাজামা, টুথব্রাশ সব বের করতে শুরু করলো সৌরভ। ভদ্রমহিলা তখন জিজ্ঞেস করলেন ও রাতে খেয়েছে কিনা, দাড়িয়ে ধন্যবাদ দিলো সৌরভ, এটুকু জিজ্ঞেস করার জন্য, অন্য শহরের এতোটা আতিথ্য ও আশা করেনি কখনই। ভদ্রমহিলা, মনে মনে ততোক্ষণে তাকে খালাম্মা ডাকার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে সৌরভ, ওকে বললেন গোছানো শেষ হলেই নিচে নেমে আসতে, রেজিস্টারে সই করার জন্য। রেজিস্টারে সই না করলে পরে আর ওর নাম মনে থাকবেনা আরও কী কী হতে পারে এরকম কিছু একটা বলতে বলতে ভদ্রমহিলা নিচে নেমে গেলেন। সৌরভ খেয়ালও করলোনা সেসব। ওর মনটা বেশ ভালো নতুন শহরে এসেই এরকম একটা ডেরা খুঁজে পাওয়ায়।
কাপড় গুলো ওয়ারড্রোবে তুলে হাত মুখ ধুয়ে ও নিচে নামলো রেজিস্টারের কাজটা সেরে ফেলার জন্য। কাল আবার বেশ সকালে বের হতে হবে, যদিও ফ্যাক্টরি মনে হয় কাছেই, তাও চারপাশটা একটু ঘুরে দেখতে চায় সৌরভ। দুঃসম্পর্কের চাচার বাড়ির গ্যারেজে থেকে এতদিন কোনওরকমে টেনেটুনে লেখাপড়াটা শিখেছে ও। চাচার বাসার কাজ করতে করতে কোনোদিন নিজের ইচ্ছামতো কোথাও যেতেও পারেনাই। এই স্বাধীনতাটার পূর্ণ ব্যাবহার এবার সৌরভ করবেই!
নিচে নেমে ভদ্রমহিলার দেখা পেলোনা ও বসার ঘরটাতে, এক কোণায় একটা কাউন্টার দেখে কাছে গিয়ে রেজিস্টার খাতাটা পেলো। মোটাসোটা রুল টানা খাতা। পাতা উলটে সৌরভ দেখে তাতে আর মাত্র দুটো নামই আছে। কোনও এক খালিদ মুসতান্সীর, আর কৌস্তুভ ঝাঁ। মুসতান্সীর একবার মুনতাসীর পড়েই ফেলেছিলো ও, পরে আবার খেয়াল করে দেখলো ওর ভুলটা! আর ঝাঁ নামটা দেখেই ফিক করে হেসে দিলো সৌরভ, আর হাসতেই মনে পড়লো এই নামটা কই যেন দেখেছে ও। মনে হয় পত্রিকার পাতায়, প্রথম নামটাও কী? এরা কী বিখ্যাত কেউ কিনা মগজের কোণা আতঁপাঁতি করে খুঁজেও তার সদুত্তর পেলোনা সৌরভ। নিজের নাম আর যা যা দরকার লিখে শেষ করতে না করতেই পেছনে পায়ের শব্দ শুনে ঘুরে তাকিয়ে দেখলো একটা ট্রেতে চা আর বিস্কুট নিয়ে এসেছেন ভদ্রমহিলা।
এগিয়ে এসে বলতে গেলো, “এতো ঝামেলা করার কিছু ছিলোনা খালাম্মা।“ কিন্তু মুখ খুলতেই উনি চোখ রাঙ্গালেন, “উহু, মানা করবেনা, কোথায় কি খেয়ে এসেছো কে জানে, দুটো বিস্কুট খেলে কোনও মহাভারত অশুদ্ধ হবে না!” হেসে ফেললো সৌরভ, খাতাটা হাতে নিয়েই সোফায় এসে বসলো। চায়ে কতোটা চিনি খায় জেনে নিয়ে প্রায় জোড় করেই ওর হাতে দুটো বিস্কুট ধরিয়ে দিলেন ভদ্রমহিলা। এক কামড় খেয়েই আবার খাতাটার পাতা উল্টালো সৌরভ, নামগুলো কোথায় দেখে মনে না করতে পেরে খুব অস্বস্তি হচ্ছে ওর। থাকতে না পেরে ভদ্রমহিলাকেই জিজ্ঞেস করে বসলো সৌরভ, “আচ্ছা খালাম্মা, এইযে রেজিস্টারে দুইটা নাম আছে, খালিদ মুসতান্সীর আর কৌস্তুভ ঝাঁ এই-দুইজন কি বিখ্যাত কেউ? মানে, আমার খুব মনে হচ্ছে এদের নাম আমি কোথাও দেখেছি, কিন্তু কিছুতেই ভালো করে মনে করতে পারছিনা। আচ্ছা, খালিদ যিনি, ইনি কি সেইই যে খাওয়া নিয়ে একটা প্রতিযোগিতায়... “
“আরে না না, খালিদ খাদক হতে যাবে কেন, আমার খালিদ তো এখানে ঘুরতে এসেছিলো, কোনও এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলো মনে হয়।“ ওর কথা প্রায় থামিয়ে দিয়েই বলে উঠলেন ভদ্রমহিলা। “হুমম” বলে চায়ে চুমুক দিলো সৌরভ, ভদ্রমহিলা ওর দিকে তাকিয়ে আছে দেখে কেমন যেন অস্বস্থি হতে থাকলো ওর, আর উনার গায়ে কেমন যেন একটা গন্ধ, তীব্র না, কিন্তু কেমন যেন, গন্ধটা ঠিক কিরকম সৌরভ বলে বুঝাতে পারবেনা, বাসী ফুলের মতো, নতুন চামড়া নাকি হসপিটালের ওষুধ ওষুধ গন্ধ?
“খালিদ ছেলেটা চা খেতো প্রচুর, আর কৌস্তুভ খেতো কফি, কোনটা ভালো এ নিয়ে দুজনের কতো তর্ক!” ভদ্রমহিলা হেসে বললেন। “এই দুইজন কি অনেকদিন ছিলেন এইখানে, মাত্র কদিন আগে গেছেন?” সৌরভ তখনও মনে করার চেষ্টা করছে নামগুলো কই পড়েছে। ওর আবছা মনে পড়ছে কোনও পত্রিকায় দেখেছিলো ও, প্রথম পাতাতেই কোথায় জানি! “কদিন আগে?” উত্তর দিলেন ভদ্রমহিলা, “নাতো, ওরাতো যায়নি এখনও, এখানেই আছে! দুজনেই, তিনতলাতেই, তোমার রুমের পাশে” সৌরভ কাপটা নামিয়ে রাখলো সাবধানে, আর প্রথমবারের মতো যেন সরাসরি তাকালো ভদ্রমহিলার দিকে! তিনি হাসলেন ওর দিকে চেয়ে, জিজ্ঞেস করলেন, “তোমার বয়েস কতো, বাবা?”
“ঊনিশ”
“বাহ! ঊনিশ, এতো খুব ভালো কথা। এই বয়সটা একেবারেই পারফেক্ট। জানো, কৌস্তুভের বয়সও ঠিক ঊনিশ ছিলো, তবে ও তোমার থেকে কয়েক ইঞ্চি খাটোই হবে মনে হয়! আর ওর দাঁতগুলো মনে হয় এতো ঝকঝকে সুন্দরও ছিলোনা। তোমার দাঁতের সেটিংস খুব ভালো, কেউ তোমাকে বলেছে আগে?” জ্বলজ্বলে চোখে ভদ্রমহিলা জিজ্ঞেস করলেন সৌরভকে!
“দেখে যতটা ভালোলাগছে আসলে আমার দাঁত অতটাও ভালো না, পাড়ার ডাক্তার কাকু বিনা-পয়সায় ফিলিংস টিলিংস দিয়ে...”
“খালিদ ছেলেটা অবশ্য বয়সে বড় ছিলো, তিরিশ না একত্রিশের হবে হয়তো।“ সৌরভ যে কিছু বলেছে তার দিকে বিন্দুমাত্র খেয়াল নেই ভদ্রমহিলার, উনি নিজের মনে কথা বলেই যাচ্ছেন। “তবে জানো, না বললে আমি বিশ্বাসই করতাম না। ছেলেটার গায়ে একটা সামান্য দাগও ছিলোনা।“
“কী ছিলোনা?” অবাক হয়ে সৌরভ জিজ্ঞেস করলে ভদ্র মহিলা আবারও বললেন, “আরে খালিদের ত্বক পুরোপুরি বাচ্চাদের মতো। কী সুন্দর!” কিছুক্ষণ বিরতি গেলো এরপরে, সৌরভ আবার কাপটা হাতে নিলো, এক চুমুক খেয়ে ভাবলো এবার কী বলবে। ভাবলো যদি উনি কিছু বলেন। কিন্তু না, উনিও কী যেন ভাবছেন আনমনে। সৌরভও রুমের চারদিকে তাকিয়ে ভাবলো কী নিয়ে কথা শুরু করা যায়।
“টিয়েটা।“ শেষ পর্যন্ত বলে উঠলো ও, “জানেন, আমি শুরুতে ভেবেছিলাম এটা সত্যিকারের টিয়ে। বিশ্বাস করেন, জানালা থেকে দেখে কেউ বলবেনা এটা জীবন্ত না!”
“আগে ছিলো বাবা, আহারে, পাখিটা আমার আর বেঁচে নেই!”
“এটা স্টাফ কে করেছে, কী ভালো হয়েছে কাজটা! একেবারেই মনে হয়না এটা জ্যান্ত পাখি না!” পাখিটাকে ঘুরে ফিরে দেখতে দেখতে সৌরভ মন্তব্য করলো! কে করেছে খালাম্মা?”
“আমি করেছি” – দুই শব্দে ছোট্ট জবাব ভদ্র মহিলার।
“আপনি!”
“আমি ছাড়া আর কে? আর যমুনাকে দেখো, ওকে দেখনি? সোফার সামনে ঘুমিয়ে থাকা কুকুরটার দিকে তাকিয়ে বললেন ভদ্রমহিলা।“ সৌরভ অবাক হয়ে ভাবলো, তাইতো, এই এতক্ষণেও কুকুরটা একটুও নড়েনি! কী আশ্চর্য হাতের কাজ! ঝুঁকে পড়ে কুকুরটার গায়ে হাত রাখলো ও, ঠাণ্ডা শক্ত শরীর, লোমগুলো সরালে ধূসর কালো চামড়া দেখলেই বোঝা যায় কিছু একটা দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে!
“কী আশ্চর্য! কী ভীষণ ভালো হাতের কাজ আপনার!” সৌরভ দাঁড়িয়ে অবাক হয়ে তাকালো ভদ্রমহিলার দিকে। “কাজটা নিশ্চয়ই অনেক কঠিনও?”
“আরে না, একেবারেই না! আমার সব পোষা প্রাণীগুলো মারা গেলে আমি এভাবেই রেখে দেই ওদের, আমার কাছে। চা খাবে নাকি আরেক কাপ?” ওর চায়ের কাপটা হাতে নিয়ে ভদ্রমহিলা জিজ্ঞাসু চোখে তাকালেন ওর দিকে।
“না, থাক। আর খেলে রাতে ঘুমাতে পারবোনা।“ হেসে বললো সৌরভ। চা টা ওর ভালোও লাগেনি, কেমন যেন একটা গন্ধ চায়ে!
“রেজিস্টারে নাম ঠিকানা লিখেছোতো।“ সৌরভ হ্যাঁ বলাতে ভদ্রমহিলা হেসে যোগ করলেন। “আসলে বাবা, বয়েস হয়েছে তো, নামধাম মনে থাকে না। পরে যদি আমি তোমার নাম ভুলে যাই, তাহলে বইটা খুলে দেখে নিতে পারবো! এখনও মাঝে মাঝেই আমি ওদের নাম ভুলে যাই, ঐযে দুইটা ছেলের, খালিদ আর... আর...” “কৌস্তুভ, কৌস্তুভ ঝাঁ” মনে করিয়ে দিলো সৌরভ, “আচ্ছা, কিছু মনে করবেন যদি আমি জিজ্ঞেস করি যে ওরা দুইজন ছাড়া গত কয়েক বছরে আর কেউ আসেনি এই বাড়িতে?” একটু অবাক হয়েই জিজ্ঞেস করলো সৌরভ।
চায়ের কাপটা হাতে নিয়ে, ঘাড় একটু বায়ে হেলিয়ে, ভদ্রমহিলা ওর দিকে তাকালেন আধ খোলা চোখে, মিষ্টি হেসে বললেন,
“না বাবা, শুধু তুমিই!”
------------------------------------------------------------------------------------------------
রোল্ড ডালের গল্প সবসময়েই ভালো লাগে। তার "kiss Kiss" বইটার "The Landlady" গল্পটার অনুবাদ করার চেষ্টা করলাম। আক্ষরিক না, ভাবানুবাদ। বাংলাদেশের পটভূমীতে এনে। বহুদিন লেখা হয়না, খরা কাটানোর চেষ্টা করছি!
মন্তব্য
খালিদ মুসতান্সীর আর কৌস্তুভ ঝাঁ
ড্রাকুলার জন্মদিন উপলক্ষে জন্ম নিল নাকি গল্পটা?
facebook
হেহেহেহেহে!
অণু সখা, এতো হেসোনাগো! ওদের তো স্টাফ করেছি, তোমারে যে কী করবো!
আরও একজনকে মিস্করেছো, সৌরভ!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
অণুভাইকে লিফটে আটকে দাও।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
নট এ ব্যাড আইঢিয়া! কী এক আইঢিয়া টিউলিপজি!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
মূলগল্পের নাম গেলো কই ?? ... এটা আগেই পড়েছি।
হেহে, লিখতে ভুলে গেসিলাম। থ্যাঙ্কস, মনে করায় দেবার জন্যে।
অনুবাদ কেমন হইসে?
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
পুরাই ফাডায়ালাওন্তিস।
খালিদ আর কৌস্তুভ নামের দুই মৃতআত্মার সদ্গতি চেয়ে প্রার্থনা করে গেলাম। আর অন্যকেউ হে হে...
ডাকঘর | ছবিঘর
অন্যকেউ তো মরসেই!
শুধু নাম দুইটা এমন হইতে হবে য্যান পড়লে সহজে ভুলে না যায়, এই জন্যেই এই দুইজনরে আগে মারলাম!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
জনাব খালিদ আর কৌস্তুভ রে শেষ পর্যন্ত স্টাফড বানায়ে দিলি??
হ, দিলাম! সৌরভকেও বানানোর তালে আছি!
এরপর থেকে যার সাথে ঝগড়া হবে সবাইকেই মারি হালামু!
তুমিও সাবধানে থাকো ভাইয়া!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
এটা কী?--- 'সস্তার শেষ অবস্থা?
খরা কাটুক- ঢাকায় বরিষণের অতীব অভাব---
কড়িকাঠুরে
বন্যা চান নাকি?
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আহা, বেশ হয়েছে বালিকা। কিন্তু মনে হল শুরু হতে না হতেই শেষ হয়ে গেল।
গল্পতো এট্টুকই! আর আমি না বড় লিখতে পারি না! হাত না মানে কিবোর্ড ব্যথা করে!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
এইটা একটা কাজ করলেন????? আমি কালকে খেটেখুটে একটা তেনাদের গল্প তৈরী করলাম, ভাবছিলাম আজকে পোষ্ট দেবো। সকালে এসে দেখি একই নামের একটা গল্প!!!! এমনকি গল্পের থিমটাও। পুরা খাটনি মাঠে মারা গেছে
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
নীড়দা, আই কিঁচ্চি!
গল্পতো আমার না! রোল্ড ডালে আপনার থিম মারসে!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
কোনও এক খালিদ মুসতান্সীর, আর কৌস্তুভ ঝাঁ। এই লাইনটা খুব অমানবিক হইছে
কৌ এখন ঝাঁ চায় না! চেঁচামেচি করছে!
এমনি? অন্য লাইনগুলা?
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
অনেক আগেই বলেছি বেশি করে লিখতে, বিশেষ করে ছোটদের জন্য। পৃথিবীতে কে কার কথা শোনে
আমি নিজেই তো ছোট!
লিখটে পারি না দেখেইতো এখন অনুবাদ করা ধরসি!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ভাল লেগেছে । একটানে শেষ।
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
এই লেখায় একতারা দিয়েছে কেউ একজন? যিনি দিয়েছেন তিনি কি দয়া করে তাঁর মন্তব্যটাও দিয়ে যাবেন?
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
হ। আমিও দেখলাম।
মন্তব্য আশা করছি উনার কাছ থেকে।
ডাকঘর | ছবিঘর
বলার থাকলে নিশ্চয়ই বলতেন!
যাইহোক, এটা আমার প্রথম এক!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ভয়ানক!
ভাগ্যিস, তোমার সাথে আমার কোনো ঝগড়া নেই।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
তুমিতো ভালু!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
হ।
সেইটাই।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
উপাদেয়!
পাঁচতারা
থেঙ্কু আপামনি!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আমার কাছেও মনে হল গল্প শুরু না হতেই শেষ হয়ে গেছে।
তবে অনুবাদ ভালো হইছে।
আমি তো উল্টাপাল্টা চিন্তা করে অস্থির শেষে দেখি ডাইনী বুড়ির কেচ্ছা।
মোটামুটি বলতে পারেন গল্প পাতা ধরে ধরে না হলেও আমি কোনও সংক্ষেপ করার মাঝে যাই নাই।
হেহেহে!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
সুন্দর হয়েছে অনুবাদটা। মূল গল্পটা না-পড়লেও এটা পড়তে কোথাও আটকায় নি বলেই মনে হলো সাবলীল হয়েছে !
দুষ্ট বালিকাদের মধ্যে কতো গুণ রে !!!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ইশ! কদ্দিন বাদে দেখা রণদা!
হাহাহাহাহা! গুন না ছাই! বেগুন!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
গল্পটা আগেই পড়া ছিল, অনুবাদ ঝরঝরে, আর ভিকটিমদের নাম পুরাই অমানবিক। ভাল্লাগছে।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
আপামনি!
মোলাকাতে বিস্তারিত আলুচোনা হবে!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
পইচ্চি । ভালোইছে।
আইচ্ছা!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
অনুবাদ সেইরকম ঝরঝরে হয়েছে!!!
আমিও এইরকম একটা গল্প লিখসিলাম একবার "হামাগুড়ি" নামে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আসো
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
আহা, বন্ধুত্বপূর্ণ কুলাকুলি!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
দারুন হয়েছে অনুবাদ।
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
অনুবাদ ভালোইসে! কৌস্তভ বাদে বাকিদের সাথে তেমন পরিচয় নাই বলে নামকরণের মজা ধরতে পারি নাই। মূল গল্পের শেষটাও কি এমন?
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
গল্পটা যেমন ছিলো তেমনই রেখেছি। কৌ তো কৌই, আর বাকিদের নিয়ে কিছু না বলি!
শেষ্টা একেবারেই এমন! লাইন টু লাইণ অনুবাদ!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
সুন্দর হয়েছে অনুবাদ। গল্প আরেকটু এগোলে ভালো হতো। তবে তাতে তো আর তোমার হাত নেই।
বানানগুলো দেখে নিও। [ঈ-কার>ই-কারগুলো দেইনি]
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
গল্পে আমার হাত নাই!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
দেশীয় পটভূমিতে খুব ভালো মানায়ে গেছে। অনুবাদও ভালো হয়েছে।
ধনেপাতা! হাহা, মানায়ে গেছে দেখে মজাইলাম!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আহা, কবে যে এমন লিখতে, থুক্কু, অনুবাদ করতে পারবো!
এখনি পারবেন, নিন, কিবোর্ড নিয়ে শুরু হয়ে যান!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
চমৎকার হয়েছে!
হাহা, গল্পের শেষ তো হলোই! লেখকের উপরে তো আমার জোর খাটানোর উপায় নেই!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
লাফাং মন্তব্য!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
বেশ অনেক দিন পরে দেখলাম মন্তব্যটা। ধন্যবাদ!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
মানে কী ! গল্প শেষ করেন ৷ গল্পের আসর জমিয়ে টান টান উত্তেজনা এনে "থুক্কু আমি খেলতাম না" ঠিক হলো না এটা ৷
হাহা, গল্পের শেষ তো হলোই! লেখকের উপরে তো আমার জোর খাটানোর উপায় নেই!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
নতুন মন্তব্য করুন