অবাক হতেও ভুলে গেলাম যখন দেখলাম এক যুবকের সামান্য একটা ফেসবুক পোস্টে ট্যাগড হওয়া নিয়ে রামুতে তুলকালাম হতে দেখলাম। আগুন লাগানো ঘরগুলোর ছবি দেখেও ঠিক বিশ্বাস হতে চাচ্ছিলো না। খুব মনে হচ্ছিলো কোথাও একটা ভুল হচ্ছে। এরকমতো হতেই পারে না। মানুষ এরকম বেকুবের মতো কাজ করে কিকরে? নিশ্চয়ই এটা ঝামেলা লাগানোর জন্য ছড়ানো খবর। পরে বুঝলাম বেকুব আসলে আমিই। দুপুর হতে হতে ফেসবুক, বিডিনিউজ২৪ এ ছেয়ে গেলো ছবিতে। পোড়ানো ঘরবাড়ির টিনের চালের ছবি, জ্বলজ্বলে গনগনে আগুনের ছবি, আয়েশে শুয়ে থাকা গৌতম বুদ্ধের শান্তি ভঙ্গের ছবি! আমার দাগী চোখ মানুষ খুঁজে বেড়াচ্ছিলো, পোড়া ঝলসানো লাশ হয়ে থাকা মানুষ, নির্জীব, অসহায়, দুই হাত তুলে আকাশের দিকে চেয়ে থাকা মানুষ! পেলাম না। কোনও মানুষের ছবি চোখে পড়লাম না। খুব আস্তে করে শব্দ নাকরে চেপে রাখা শ্বাস ছাড়লাম তখন। এখনও আশা আছে, ধর্মের নামে আমরা নরমাংস খেতে শুরু করিনি তাহলে এখনও, হালাল ভাবে জবাই করে ঘর পোড়ার আগুনে গ্রিল্ড নরমাংস এখনও তাহলে পাতে উঠেনি আমাদের!
আর একটু সময় যেতেই সেই ঘোরও কেটে গেলো, আমাদের নিরামিষ পাতে বৃদ্ধা বুচি শর্মা তার গাট্টি বোঁচকা নিয়ে উঠে পড়লেন। অনাহার কাটলো। রাগ হচ্ছিলো, অসম্ভব ভীষণ উন্মাতাল ক্রোধ! পিপলস রিপাবলিক অফ বাংলাদেশের একজন ম্যাঙ্গো পিপল হবার রাগ! যার কথার কোনও দাম নাই, সে যদি চিৎকার করে সেইসব ঈশ্বরের কুকুরগুলোকে থামতে বলে তারা যে বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা করবেনা এটা জানতে পারার রাগ! অফিসে এসির বাতাসে হিম হিম ঠাণ্ডায় অটবির স্যুইভেল চেয়ারে দোল খেতে খেতে ফেসবুকে শুরু স্ট্যাটাসে হুংকার দিতে পারা একজন মিয়ানো, পোঁতানো ধর্মনিরপেক্ষ বাঙ্গালী হবার রাগ। এর বেশী আমার কীইবা করা আছে? পারবো আমি চাঁটগার সেই অজঃপাড়াগাঁয়ের ঘরহারা মায়ের দুটো বাচ্চাকে কোলে তুলে এক বেলা খাবার দিতে? নাকি পারবো আমি কক্সবাজারের সেই নরপশুগুলোকে আরও দু’চারটা ঘর পোড়ানো থেকে থামাতে? বড় বড় কথা বলা ছাড়া আমি কিছুই পারবোনা আসলে। নিজের এই হিপোক্রিসির বালতি ভরা পানিতে মুখ ডুবিয়ে আমার শুধু মরে যেতে ইচ্ছা করে। শুধুই মরে যেতে ইচ্ছা করে।
তবে আমার একটা ভুল হচ্ছে এইখানে মনে হয়। এই দেশে, এইখানে আমি কিন্তু ম্যাঙ্গো পিপল না। আমাকে শুধুমুধু ম্যাঙ্গো পিপল মনে করে ছোট করার চেষ্টা করবেন না যেন। আমার অনুভূতি এতে আঘাত প্রাপ্ত হয়। খুব ভালো করে মনে রাখুন, আমি এইখানে সংখ্যাগুরু। আঠেরো কোটির দেশে আমার ঝোলাতেই বেশী মানুষ আঁটে। ধর্মনিরপেক্ষ ইসলামিক দেশ বাংলাদেশে খবরদার আপনি যেন আমাকে আমার সাধারণত্ব বোঝাতে যাবেন না যেন! খবরদার!
আমার জন্মের সময়েই আমার বুদ্ধিমান বাবামা আমার এই উপকারটুকু করে দিয়েছেন। উনারা যদি দুনিয়ার হাজার হাজার ধর্মের মাঝখান থেকে একমাত্র সঠিক ধর্মে ভাগ্যক্রমে না জন্মাতেন তাহলে আমার কী হতো? জয়তু আব্বু আম্মু, তোমাদের ধন্যবাদ!
তখন থেকে এইসব ভাবছি। সংখ্যাগুরু আর সংখ্যালঘু। মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। এক পিঠের সাথে আরেক পিঠের তফাৎ স্বর্গ আর নরকের মতো। একই রাস্তায় পাশাপাশি ধাক্কাধাক্কি করে চলা মানুষও সংখ্যালঘুর গা বাঁচিয়ে চলে। প্রমাণ পেয়েছি, বেশ অনেকবার। একবার বাসে পারলে গায়ে হাত দিয়ে কথা বলে এরকম একজন মাদ্রাসার চাঁদা কালেক্টরের ঘ্যান ঘ্যান থেকে বাঁচতে মিষ্টি হেসে বলেছিলাম, “আমি হিন্দু”, যে দ্রুততার সাথে নাউজুবিল্লাহ বলে উনি আমার পাশ থেকে সরে গিয়েছিলেন তাতে আর যাই হোক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ছিটেফোঁটাও ছিলোনা এটা জোর দিয়ে বলাই যায়।
তারপর খানিক আগে ভাবতে বসলাম আচ্ছা, যদি এইদেশে শুধু আমরাই আমরাই মানে ঐযে গুরুপাক সংখ্যাগুরুরাই থাকতাম, তাহলে কী কী মিস হতো। মানে এককথায় আমার জীবনের নানা প্রেক্ষিতে সংখ্যালঘুরা কিভাবে আছেন এই বিষয়ক রচনা ভাবছিলাম আরকী। ভাবতে গিয়ে আঁতকে উঠলাম, আরে আম্মুর পেট থেকে টেনে হিঁচড়ে আমাকে বের করেছেন যিনি তিনিতো কোনও এক শ্রীমতী, মোসাম্মাৎ তো না। ছিঃ ছিঃ ছিঃ! আমার প্রথম বন্ধু, সাড়ে তিনবছর বয়েসে, ইউই – সে মেয়েতো বৌদ্ধ, ধুৎ! আমার নাক-কান-গলার চিকিৎসক – ডঃ প্রাণগোপাল, হায় হায় এইখানেও মেরে দিলো! স্কুলের আয়া, যিনি রোজ আমাকে বাসায় পৌঁছে দিতেন, তিনিও শ্রীমতী গোত্রের! হায়াল্লা! নাচ শিখতাম বাদলদার কাছে, আবৃত্তির হাতেখড়ি –রবীশংকর মৈত্র! ছিঃ! অঙ্ক শিখালেন যেন কে? চিত্তরঞ্জন বাবু, আর বিজ্ঞান? অঞ্জন কুমার সরকার, ধুররর! পদার্থবিজ্ঞান - দীনেশ স্যার, রসায়ন - বিমান স্যার! আরে, একটা বিষয়কেও দেখি বাঁচানো যাচ্ছেনা!
তার মানে শুধু যদি এই দেশটা আমরা আমরাই থাকতাম তাহলে বোধহয় আমার আর আমি হয়ে উঠা হতো না! ধর্মের নামে জীবনটাকেও টুকরো টুকরো ভাগ করে বাদ দিয়ে দিতে হতো! তাহলে তখন পা ভেঙ্গে যখন পড়ে ছিলাম তখন অঞ্জন স্যারের কোলে চড়ে হাসপাতালে যাওয়া হতো না, হয়তো পঙ্গু হয়ে থাকতাম। তবে, সে একই কথা, শারীরিক আর মানসিক পঙ্গুত্ব, সেতো একরকমই, তাই না?
প্রবচন গুচ্ছে হুমায়ুন আজাদ বলেছিলেন,
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি। কিন্তু ওরা তাকে চালায় ধর্মের নামে।“
আসলেই, আমরা আগে মানুষ ছিলাম। সাধারণ, খেটে খাওয়া, সরল-সোজা মানুষ! পশুর মতো খুবলে, খামচে কড়মড়িয়ে ছিঁড়তাম না আমাদেরই স্বজাতিকে! আমাদের এখন পদোন্নতি হয়েছে, ধার্মিক আমরা এখন, হালাল করে নরমাংস খাই!
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
খুব এলোমেলো লাগছে! খুব এলোমেলো! ক’দিন বাদে পূজা, নাড়ু খেতে বন্ধুর বাড়ি যেতে আমার লজ্জা হবে না?
মন্তব্য
ধর্মান্ধতা নিপাত যাক।
[যদিও এই একুশ শতকে এসে উল্টোটাই হচ্ছে]
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমি ভাবসিলাম আমরা একটা ট্রাঞ্জিশন পিরিয়ডে আছি। ধার্মিকতা থেকে আস্তে ধীরে নিধার্মিক হবো!
কোথায় কী!
এখন যতো তাড়াতাড়ি পারি দেশ থেকে বেরোতে চাই!
আফগানিস্থান বা পাকিস্তানে পরিণত বাংলাদেশে থাকার কোনও খায়েশ নাই আমার!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
বার্থ ইজ অ্যান অ্যাকসিডেন্ট। একটু এদিক সেদিক হলেই মন্দিরে আগুন লাগানো লোকটি মসজিদে আর্বি দুয়াদরুদ পড়ার বদলে সেই মন্দিরের খাদেম হতে পারত। হতেই পারত।
এই সহজ কথাটাই অনেক মানুষকে বোঝানো যায় না। সে মুসলমান কারন তার পিতা মুসলমান ছিল। ব্যস, এই তো। আর কি কারণ আছে? একগাদা মুসলমান মিলে একগাদা বৌদ্ধের পিছনে লাগা আর কিছু রহমান মিলে কিছু আলমের পিছনে লাগার মধ্যে আমি কোন পার্থক্য পাইনা। ধর্ম নিজের পদবীর মতই পিতার উপহারমাত্র।
বড় খারাপ লাগে বোনডি। রামছাগলে ভরে গেল দেশ।
..................................................................
#Banshibir.
ভীষণ ভীষণ সত্যি কথা !
কথা সত্যি ভাইয়া! এই কথাটা যেদিন প্রথম আমি আমার মা কে বলি সেদিন আম্মু খুব রেগে গিয়েছিলো, পরে ভেবে চিনতে আমাকে এসে বলে যে ঠিকই বলেছিস। আম্মু আজকাল আমার বন্ধুদের ধর্ম আর জিজ্ঞেস করে না। অন্তত নিজের বাসার মানুষগুলোকে বুঝাতে পারছি যে মানুষ কে ধর্ম না, নিজস্বতা দিয়ে বিচার করতে হয়!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
# ''প্রয়োজন নেই কবিতার স্নিগ্ধতা/ কবিতা তোমায় দিলাম আজকে ছুটি ... ''
# '' লজ্জা ঘৃণা রাগের পরে এটাও যদি থাকে, এটাই দেবো তোমায় আর এই শহরটাকে ... '' এই শহর কোন একটা সীনামায় নয়। এই শহরের সীমা কদ্দুর জানিনা
ডাকঘর | ছবিঘর
আপনি কী বলেছেন বুঝতে পারিনি, সত্যি!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ব্যাপার না। তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছুই বলা ছিল না। একটা সুকান্ত ভটচাজ এর লাইন আর আরেকটা কবীর সুমনের লাইন
ডাকঘর | ছবিঘর
আমারে নিরক্ষর ধরে ন্যান! চিন্তারিনাই!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
''আমারে নিরক্ষর ধরে ন্যান!'' --- আচ্ছা আমি কি এমন কিছু বলেছি যার থেকে এই জিনিষটা আপনার প্রতীয়মান হল? আমি তো জাস্ট দুটো লাইন বলেছিলাম। আপনি বলেছিলেন বুঝেন নি তাই আমি বললাম এই তো এদের লাইন। আপনি আপনার পোস্টে অনেক কথা বলে প্রতিবাদ জানিয়ে ছিলেন আর আমি সেই স্রোতেই নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে এই দুই লাইন দিয়ে গেলাম। একটা আপনার প্রকাশ ছিল আর আরেকটা আমার। এই তো ব্যস। তাই বলে 'নিরক্ষর' কথাটা বললেন। না বললেও পারতেন এভাবে
০২
থাক। আর কথা না বাড়াই। চারিদিকে অনেক অশান্তি। দুটো লাইন নিয়ে আজইরা ক্যাচাল দিয়ে কি লাভ বলেন
ডাকঘর | ছবিঘর
ঠিক! আসলে কেউ বুঝতেছে না, এরা আস্তে আস্তে এমন অবস্থায় নেবে যখন কোন শিক্ষার দরকার হবে না, হোলি বুকেই সব আছে- চিকিৎসা হবে ফুঁ দিয়ে। তখন তাই কারো শ্রীমান-শ্রীমতিদের দরকার পড়বে না। সারা বিশ্বের সাথে কোন সম্পর্ক থাকবে না- থাকবে শুধু তালেবান-ধর্মান্ধ-হিংস্র একদল পশু। যারা মুসলিম তারা তখন এদের সাথে যোগ দিতে হবে নাইলে তারা ছিঁড়ে খুঁড়ে খাবে।
এই ঘটনা সারা বিশ্বের কাছে কত ছোট করে দিচ্ছে সেটা কেউ বোঝে? এই ঘটনা ইসলামকে কত ছোট করছে সবার কাছে এরা কেউ বোঝে?
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
নাহ, এরা কেউ বুঝেনা। শান্তির ধর্ম ইসলাম বলে এরা কাফিরদের মুণ্ডচ্ছেদ করবার খেলায় নামে তাই প্রকাশ্যেই!
আর হোলি বুকের কথা বলছো? শিক্ষিত মানুষেরাই কতোশতো উদ্ভট কথা বলে তা যদি দেখতে! এই কদিন অফিসে সবার খুব জ্বর হচ্ছিলো, তারপরে পর পর তিনচারজনের ডেঙ্গু ধরা পড়লো, বোঝা গেলো ডেঙ্গু মশাদের উৎপাত বেড়েছে ধারেকাছে, কিন্তু মশা নিধনের স্বাভাবিক পদ্ধতি না, এক কলিগ পরামর্শ দিলো ঝাড়ফঁক করে অফিস বন্ধনের। বুঝ অবস্থা!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
লেখাটা পড়ে মন খারাপ হল আবারো---
আমি চাই আমার মন খারাপ হোক।
এই নখ-দন্তহীন নপুংসক অস্তিত্বের কোন বৌদ্ধ মন্দির বাঁচানোর শক্তি নেই, শক্তি নেই নিহত আশাগুলোর পাশে গিয়ে দাঁড়ানোর--আছে শুধু আদিগন্ত বিস্তৃত ক্লীবত্ব, ধ্বজভঙ্গ মনুষ্যত্বের লেবাস পরানো সুশীল কায়া---
আমি তাই চাই অন্তত মন খারাপ হোক, চাই আমাদের সবার মন খারাপ হোক--
আমি চাই সবাই যেন মন খারাপ করতে করতে এক সময় বুঝে যায় আমাদের জীবনের গভীরতর, নিবিড়তর ব্যধিটির কথা---
সবাই যেন বুঝতে পারে একবিংশ শতকে দাঁড়িয়েও কত অবলীলায় নিজের বোধ-জ্ঞান জিম্মা রেখেছি শতাব্দী প্রাচীন শৃংখলের কাছে।
অণুর লেখাতে মন্তব্য করতে গিয়ে লিখেছিলাম আজকের এই পৃথিবীতে সংখ্যালঘু যদি কিছু থাকে তবে সেটা হল মানুষ।
হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান হবার আগে আমাদের সবার মানুষ হবার প্রয়োজন ছিল।
প্রয়োজনটা এখন আরো বেশি--
আজকে ল্যাবে এক ইরানি কথা শুনায় গেলো কালকে হয়তো যেই পাকিডারে খোঁচায়তাম সেও কথা শুনাবে! লজ্জায় মাথা নত হয়ে আসছে! আর কোনদিনই বলতে পারবোনা আমার দেশ এক ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশে!
মন খারাপ না ভাইয়া, করতে হবে মেজাজ খারাপ! শুধু মন খারাপ করে বসে থাকলে কিছুই করে উঠতে পারবোনা বিশ্বাস করো! শুধু একবার যদি জ্বলে উঠতে পারি, তা রাগেই হোক -তাহলে অন্তত এই অন্যায় গুলো হয়তো বন্ধ করতে পারবো!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
বেশিরভাগ মানুষেরই আপনার মত একই অনুভূতি হচ্ছে ।
oparazita99@gmail.com
আমার আশেপাশের মানুষগুলো অন্তত নিজের হিপোক্রিসিটাকে নিজে লেবেল করতে শিখুক হিপোক্রিসি বলে, আপাতত তাহলেও একটু উন্নতি হয়েছে বলে মানবো!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
এইসব লেখায় ভাল লেখা খারাপ লেখা এসব বলতে ইচ্ছা করে না। এইসব লেখা আমাদের লিখতে হয় এটাই তো সবচেয়ে বড় লজ্জার কথা!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আমাদের লজ্জাও যে খুব বেশী তাতো না কবি, আমাদের বেশীরভাগের লজ্জাই এই একটা দুটো লেখা দিয়েই সীমাবদ্ধ! খুব তড়পাবো কিছুদিন, তারপরে শান্ত হয়ে যাবো! এই লজ্জায় আখেরে কোনও কাজ হয়না!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
"অসহায় জাতি মরিছে ডুবিয়া জানেনা সন্তরণ
কাণ্ডারী আজ দেখিব তোমার মাতৃ মুক্তিপণ!
হিন্দু না ওরা মুসলিম ওই জিজ্ঞাসে কোন জন?
কাণ্ডারী বল ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মার।"
আমরা সজাগ থাকলে পুরো দেশটাকে পশুদের হাত থেকে বাঁচানো এখনো সম্ভব।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
কিভাবে? বলেন।
আমার প্রাথমিক পরিকল্পনা হচ্ছে, এই ঘটনায় দায়ীদের এবং নীরব থেকে প্রশ্রয় দাতাদের (প্রশাসন) পরিচয় খুঁজে বের করা। প্রতিটা সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনাকে প্রকাশ্যে তুলে আনা।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
পরিচয় জানতে পারবে, এমনকি কট ইন একশন ছবিও দেখবে জাতীয় দৈনিকে, কিন্তু আঙ্গুলও তোলা যাবে না এদের বিরুদ্ধে! বাস্তবতা মনে হয় এটাই!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
মেকি ধর্মান্ধদের আস্ফালনেই প্রাণ আজকাল ওষ্ঠাগত!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
গত ২/৩ দিন আগেই এখানে অন্য দেশের মেয়েদের কাছে গর্ব করে বলেছিলাম বাংলাদেশ আর যাই হোক পাকিস্তান/আফগানিস্তান না। এর পরেই এই ঘটনা। ক্ষোভে আর দুঃখে কি করব কিছুই বুঝতে পারছি না। কিছুই করতেও পারছি না আমার অজুহাত আমি দেশে নেই। সবারই হয়তো কিছু না কিছু অজুহাত আছে কিন্তু আর কতদিন।
ইমা
বাঙ্গালী আজকাল তাদের তিননম্বর হাতের ব্যাবহারে আর লজ্জাবোধ করে না!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। পরিকল্পিত একটা হামলা। কোরআনের অবমাননা একটা ছুতামাত্র।
ছুতো হোক আর যা হোক, বিচ্ছিন্ন বা পরিকল্পিত, মানুষ হিসেবে আমরা কোথায় গিয়ে দাড়াচ্ছি ভাবতে এখন ঘেন্না হয়!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
খুব অসহায় লাগে এই সময়গুলোতে। আশেপাশের অধিকাংশ মানুষকে দেখি এটা ধর্মান্ধদের কাজ এটুকু বলেই ঢুকে যায় নিজের জগতে। কোথায় কে কি মুভি বানাল সেটা নিয়ে এই দেশে যত প্রতিবাদ হয়, নিজের পড়শিকে পুড়িয়ে মারা নিয়ে হয় না, কেন হবে? অধিকাংশ মানুষ তো গায়েই লাগায় না এসব। কেন লাগাবে? ওরা কি মুসলমান? মানুষকে মানুষ হিসেবে বিচার না করে ধর্ম দিয়ে বিচার করতে যে ধর্ম শিখিয়েছে সেই ধর্ম তো অনেক আগেই ব্যর্থ হয়ে গেছে। বাচ্চা জন্মের পর থেকেই তো এই দেশে একটু একটু করে ধর্মান্ধতা ঢুকানো হয়, এক নাম রাখা নিয়েই যা হয়। আমাকে অযুত নিযুত বার শুনতে হয়েছে আমার নামটাতো মুসলমান নাম না,শিক্ষিত লোকজনের মুখেই। কি অদ্ভুত? নামের মধ্যেও হিন্দু মুসলমান খ্রিস্টান !
এই সব ঘটনা গুলোর সময় মনে পরে সেই সব মানুষগুলোকে যারা আমাকে শিক্ষা দিয়েছে, বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছে , দুঃখের দিনগুলিতে পাশে দাঁড়িয়েছে, কিন্তু শুধু মাত্র জন্মসুত্রে তারা বিধর্মী, এদেশে কপাল দোষে সংখ্যালঘু। আর আশেপাশের হাজারো কুরুচিপূর্ণ মানুষ যাদের নীচতা দেখে আমার আতংকে শিউরে উঠতে হয় প্রায়ই, যাদের অনেককে দেখেই ক্ষোভ হয় কেন এদের একজন হয়ে জন্মালাম, তারা নাকি আমার স্বজাতি, আমার স্বধর্মের !!! আমার তো নিজেকেই সংখ্যালঘু মনে হয় সবসময়।
অসহ্য লাগছে সবকিছু। নষ্ট ভ্রষ্ট রামছাগলে দেশটা ভরে যাচ্ছে।
পিতৃপ্রদত্ত ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়িটা অতি প্রকট! শৈশব থেকে মস্তিষ্কে একটা জিনিস ঠুকে ঠুকে ঢুকানো হয় মনে হয়, এ মুসলমান, আমাদের হালাল বন্ধু, এ হিন্দু, মালাউন ইন শর্ট, এ খ্রিস্টান, মাকরুহ ধরণের মানুষ, আরে মহানবী খেরেস্তান বিয়ে করেছিলো না?
জাত পাত ধর্ম রঙ এর কতো বিচার, কতই রঙ্গ!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ব্লগবাড়িতে স্বাগতম।
ধন্যবাদ স্যাম!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
পড়লাম। অনেকক্ষণ চুপ করে বসে থাকলাম। কিছু একটা বলা উচিৎ কিন্তু কি বলবো?
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
তাও কিছু বলো ভাইয়া!
আমরা যদি না জাগি তো ক্যাম্নে সকাল হবে!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
বড় নাজুক দেশের মানুষের অনুভূতি, তাতে হালকা আঘাত দিলেই মৌচাক ভাঙ্গা মৌমাছিদের মতো ক্ষিপ্ত হয়ে যায় এরা।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
সবচেয়ে অদ্ভূত কথা হলো মৌলবাদী না, আমাদের চারপাশের বুদ্ধিমান শিক্ষিত মানুষগুলোর মানসিকতা খুব বুঝতে পারছি আজকাল। গা রি রি করে উঠে মাঝে মাঝে এদের কথা শুনলে!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
এরা সবাই ছুপা রুস্তম !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
মাঝে মাঝে এদের আসল রূপটা খুব প্রকট হয়ে যায়! এই হলো এদের বিপদ!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
মনটা বড়ই বিষণ্ণ। কিছু আর বলতে ইচ্ছা হচ্ছেনা। তবে আশা জাগছে এই প্রজন্মের একাংশের প্রতিক্রিয়ায়।
এই প্রজন্ম বড়ই হিপোক্রিট প্রৌঢ় ভাবনা। তারা দেশ নিয়ে অনেক বড় বড় কথা বলে কিন্তু যখন দেখে যে আসলে তার কিছু করার নেই তখন নিজেকে বাঁচাতে দেশ থেকে পালায়। আমিও সেই পথই নিবো হয়তো!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
অনেকদিন পরে লিখলে। দুঃসময়ে...
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
লিখতে পারছিনা অনেকদিন! সেদিন আসলে সহ্য করতে পারছিলাম না আর। সচলের পাতা খুলে একটানে লিখে ফেললাম। খুব কম মানুষইতো এই কথাগুলা বুঝে ভাইয়া!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আসলেও পারছি না।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
বাস্তবতা!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আমার বাংলাদেশে এমন ঘটনা ঘটবে এটা যে আমার নিজের জন্য কত লজ্জার, কত কষ্টের। মুভিতে, বইয়ে সাম্প্রদায়িকতার যে বিভীষিকা দেখেছি, মিয়ানমারে রোহিংগা নিধনের সময় যা দেখেছি, কখনো ভাবিনি আমার নিজের দেশেও তা দেখতে হবে।
কিন্তু মনে আর একটা প্রশ্ন জাগে। আজকে আপনার যারা সোচ্চার, রোহিংগা নিধনের সময় কেউ কোন কথা কেন বলেননি? তখন আপনাদের একবারেও মনে হয়নি ওদের আশ্রয় দিতে না পারে আপনারা লজ্জিত? তখন আপনারা কেউ কলমের আচড়ে একটি শব্দ ও লিখেননি কেন?? মানবতা কি শুধু পূর্ব তিমুরের জন্য, হিন্দু আর বৌদ্ধদের জন্য? কাশ্মিরের জন্য, ফিলিস্তিনের জন্য, রোহিংগা মুসলিমদের জন্য মানবতা নয়??
তবে শেষ কথা একটাই ধর্মান্ধতা নিপাত যাক।
আপনার কাছে প্রথম প্রশ্ন, মিয়ানমারে রোহিংগা নিধনের কী দেখেছেন আপনি? আপনি কি মিয়ানমারে কর্মরত ছিলেন?
বাংলাদেশ দুই দশক ধরে কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে আসছে। আপনি কি জানেন যে ক্যাম্পের ভেতরে আর বাইরে এই রোহিঙ্গাদের অনেকেই মানবেতর জীবন যাপন করে? কখনও কি এদের নিরাপদ রিপ্যাট্রিয়েশনের দাবি তুলেছেন? রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া হয় কক্সবাজারের ঘনবসতিপূর্ণ অনুন্নত এলাকায়, যেখানে স্থানীয়রাই ঠিকমতো জীবিকার সংস্থান করতে গিয়ে হিমসিম খায়। আপনি বৈঠকখানায় বসে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় না দেয়ার লজ্জায় গোয়া লাল করে ঘুরে বেড়ান যখন, তখন সামান্য লজ্জা কি হয় না যে ঐ বিপন্ন রোহিঙ্গাদের অন্তত একজনকে আপনি নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে কক্সবাজারের স্থানীয় মানুষদের ভার লাঘব করছেন না ভেবে?
রোহিঙ্গাদের দুঃখে আপনি জামাকাপড় ভিজিয়ে ফেলছেন যখন, তখন পরিষ্কার করে ঝেড়েকেশে বলেন, আপনার মাথাব্যথা কি মনুষ্যত্বের জন্য না মুসলমানের জন্য। যদি মনুষ্যত্বের জন্য হয়, তাহলে বার্মার উত্তরে চীন যখন খৃষ্টান কাচিনদের রামঠাপ দিয়ে বার্মায় মৃত্যুর মুখে ফেরত পাঠায় [খবর পড়ে কিছু শেখেন], আপনার বহ্নিশিখাটা কোন গোবরের আগায় জ্বালায় বসে থাকেন? আর যদি মুসলমানের জন্য হয়, তাহলে খালি কাশ্মির আর ফিলিস্তিনে মুসলমান না দেখে কেন সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধে নিহত শয়ে শয়ে মুসলমানকে নিয়ে আপনার কোনো মাথাব্যথা নাই? সেখানে মুসলমান মুসলমানকে জানে মারছে বলে? নাকি খালি অন্য ধর্মের মানুষের হাতে মুসলমান আহত নিহত হলেই আপনার মানবতা কুড়কুড়ায়?
কাশ্মির ফিলিস্তিন বার্মার মুসলমানরা বাংলাদেশের নাগরিক না, সেই কারণেই হয়তো এখানে তাদের নিয়ে মানুষের মাথাব্যথা কম। দুনিয়ার কোণায় কোণায় কোন মুসলমান কার হাতে রামঠাপ খাচ্ছে, সেই হিসাব রেখে মুখ খোলার চেয়ে নিজের দেশে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস নিয়ে সরব হওয়া আমরা বেশি জরুরি মনে করি। আপনার যদি কাশ্মির আর ফিলিস্তিনের মুসলমানের জন্য চোখে পানি না আটকায়, আপনি একটা গোছানো পোস্ট লিখে ফেলেন। আমরা পড়ে দেখি।
কালকে বুয়েটের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য মানববন্ধন আহব্বান করে যে গ্রুপটা খোলা হয়েছিল খোমাখাতায়, সেখানেও একজনকে ঠিক এভাবেই নাকিকান্না কাঁদতে দেখলাম। তখন বলার ইচ্ছা ছিলো, হাজার হাজার নিরপরাধ মুসলমান নাগরিক যখন সিরিয়ার সরকারের হাতে মৃত্যুবরণ করে, ইরান যখন সরকারের মদদের জন্য অস্ত্র আর রিপাবলিকান গার্ড পাঠায় তখন এদের মানবতার মশাল কই থাকে? বুয়েটের এক ছাগু দেখলাম বলতেছে, তারা ব্যানার করবে সকল মজলুম মানুষের জন্য, তারা রোহিঙ্গাদের জন্য যেমন প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়াইছে একইভাবে এবারেও দাঁড়াবে। কিন্তু এদের কাউরে সিরিয়ার গণহত্যার জন্য কোথাও দাঁড়ানো তো দুরে থাক কথাও বলতে শুনলাম না। এইসব মানুষের কাছে সকল মুসলমান এক জাতি, এরা মনে করে আরবের মুসলমানরা এদের আপন ভাই মনে করে। সারা দুনিয়ার ইসলাম ধর্মালম্বীরা একই পতাকার নিচে !! মানসিক বৈকল্য দেখতে হলে এদের থেকে ভালো আর কি উদাহরণ আছে?
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আপনার কাছে প্রথম প্রশ্ন, মিয়ানমারে রোহিংগা নিধনের কী দেখেছেন আপনি? আপনি কি মিয়ানমারে কর্মরত ছিলেন?
-- না, আমি মিয়ানমারে কর্মরত ছিলাম না। কিন্তু বিবিসি সিএনএন এর নিউজে দেখেছি।
বাংলাদেশ দুই দশক ধরে কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে আসছে। আপনি কি জানেন যে ক্যাম্পের ভেতরে আর বাইরে এই রোহিঙ্গাদের অনেকেই মানবেতর জীবন যাপন করে? কখনও কি এদের নিরাপদ রিপ্যাট্রিয়েশনের দাবি তুলেছেন? রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া হয় কক্সবাজারের ঘনবসতিপূর্ণ অনুন্নত এলাকায়, যেখানে স্থানীয়রাই ঠিকমতো জীবিকার সংস্থান করতে গিয়ে হিমসিম খায়।
-- আশা করি আপনি দ্য পিয়ানিস্ট, লাইফ ইজ বিউটিফুল, ব্ল্যাকবুক, দ্য বয় ইন দি স্ট্রাইপড পাজামা বা এই টাইপের একটি মুভি হলেও দেখেছেন। জীবন বাচানোটাই সে সময় সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত আমাদের ঠিকই আশ্রয় দিয়েছিল। তাদের বিশাল দরিদ্র জনগনের কথা ভেবে মুখ ফিরিয়ে নেয়নি। জীবিকার সংস্থান করতে গিয়ে হিমসিম খাওয়ার চেয়ে জীবন বাচানোর জন্য সাগরে ভেসে থাকা অনেক বেশি গুরুতর। রোহিংগাদের আশ্রয় না দেয়াতে আমার লজ্জা হয়, লজ্জা হয় কক্সবাজারে জীবিকার সংস্থান করতে গিয়ে হিমসিম খাওয়া মানুষগুলোর জন্য কিছু করতে না পেরেও। নিজেকে সান্তনা দেই এই বলে যে প্রতিদিন বা প্রতি সপ্তাহে না হলেও প্রতি মাসে অন্তত ঢাকার একজন মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারি।
আমি আমার লিখাতে একটিও বাজে শব্দ ব্যবহার করিনি। সুতরাং কেউ আমার কথার জবাবে অশালীন শব্দ ব্যবহার করবে এটা কাম্য নয়। আপনার ভুল স্বীকার করা উচিত।
আমার কথার শুরুতেই আমি বলেছি আমি লজ্জিত আমার দেশে এমন ঘটনা ঘটায়। যে ঘটনা কোন মুসলমানের সাথে ঘটেনি, ঘটেছে বৌদ্ধদের সাথে। এরপরেও আপনি কিভাবে বলেন "আপনার মাথাব্যথা কি মনুষ্যত্বের জন্য না মুসলমানের জন্য"? আমি মানুষকে মানুষ পরিচয়েই দেখি, ধর্ম পরিচয়ে নয়।
আমার নিক নিয়ে যে বাজে কথাটা বললেন এটা কি উচিত হল??? আমি তো কোন বাজে কথা বলিনি। আপনি কেন বলবেন????
খালি অন্য ধর্মের মানুষের হাতে মুসলমান আহত নিহত হলেই আমার মানবতা কুড়কুড়ায় না। আবারো বলতে হচ্ছে যে আমার কাছে কারো পরিচয় সে মানুষ, তার ধর্ম নয়। সে রোহিংগা হোক, সিরিয়ার মুসলমান হোক, বা চিনের খৃষ্টান কাচিন হোক, সবাই আমার জন্য সমান। কিন্তু সচলায়তনে এদের কারো জন্যেই ঝড় ওঠেনা, আমার প্রিয় লেখকরা তখন একটি শব্দ লিখারও সময় পাননা। সুতরাং আমার কাছে মনে হয়েছে মানবতা একতরফা হয়ে গেছে এখানে।
কাশ্মির ফিলিস্তিন বার্মার মুসলমানরা বাংলাদেশের নাগরিক না, সেই কারণেই হয়তো এখানে তাদের নিয়ে মানুষের মাথাব্যথা কম।
-- এই একটি কথাই হতে পারতো আমার প্রশ্নের জবাব। আজে বাজে শব্দ বলার কোন দরকার ছিলোনা।
আমি লেখক না, পাঠক। আর আজকে যাদের জন্য এই পোস্টে লিখা তারা মুসলমান না, এটা ভালো করেই জানেন।
বহ্নিশিখা-- ভাইরে/ভৈনরে, সেই রোহিঙ্গা ইস্যুতে একই নাকিকান্না কেন কাঁদছেন? মায়ানমারের মানুষদের আশ্রয় দিতে না পারাটা দুঃখজনক। কিন্তু একটা রাষ্ট্রের তো সিলেক্টেড কিছু বাধ্যবাধকতা আছে নাকি? দেখতে হবে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে দাড়িয়ে বাংলাদেশ আসলেই কি সক্ষম ছিল এই শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে? এই নিয়ে এখানে অনেক কথা হয়েছে। এরপর না হয় ক্যাচাল পিটতে আসবেন। আরও পড়েন। রোহিঙ্গাদের নিয়ে কেন উদ্বেগ হচ্ছে
০২
এই কথা বলেই আসল কথা বলে দিয়েছেন এবং আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন যে আপনার আসল মতলব কি। প্রথমত একটা দেশের আম মানুষ নিজের দেশের মানুষের কথা ভাববে নাকি? আমি ভালো না থাকলে কোথায় থেকে বিশ্বমানবতা আসবে? মুসলিমদের জন্য আপনার উদারতা দেখে প্রীত হলাম। কিন্তু ভাইডি/বোনডি তা দেখাতে গিয়ে ল্যাজটা দেখা গেলে তো বিপদ, তাই না ? সুতরাং একটু সামালকে
ডাকঘর | ছবিঘর
নাকিকান্না কাঁদছিনা। একটা দেশের আম মানুষ নিজের দেশের মানুষের কথা ভাববে স্বাভাবিক। কিন্তু মরতে বসা মানুষের জন্যে দুইটা কথা লিখতে পারবেনা এটা অস্বাভাবিক।
মায়ানমারের মানুষদের আশ্রয় দিতে না পারাটা দুঃখজনক। কিন্তু একটা রাষ্ট্রের তো সিলেক্টেড কিছু বাধ্যবাধকতা আছে নাকি? দেখতে হবে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে দাড়িয়ে বাংলাদেশ আসলেই কি সক্ষম ছিল এই শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে?
- এইযে আপনি দুঃখজনক বললেন, কথা কিন্তু শেষ। আজকে সচলায়তনের পাতায় যে তিনটি লিখা রামু নিয়ে, তাদের কেউই রোহিংগা নিয়ে কিছু লিখেননি। আমি এটাই বলেছি- মানুষ হিসেবে নিজের বিবেকের কাছে আমাদের লজ্জিত হবার কথা ছিল। আশ্রয় না দিলেন, সহমর্মিতা দেখাতে পারতেন তো?
আজকে রামু নিয়ে লিখেছেন বলেই কি যা হয়েছে তার দায় মোছা যাবে? তা কিন্তু না। কিন্তু আপনি যে প্রতিবাদ করলেন কোন একভাবে, এটাই অনেক কিছু।
আপনাকে বোঝাতে না পারলে সেটা আমার ব্যর্থতা। আমার আসল মতলব খুব সরল। মানুষ সে যে ধর্মেরই হোকনা কেন, সহমর্মিতা পাবার অধিকার সবারই সমান।
ক্যাচাল করার কোন ইচ্ছা আমার ছিলোনা। যা বলেছি যুক্তি দিয়েই বলেছি, আপনাকে বোঝহ
রামু নিয়ে লেখার আগে রোহিঙ্গা নিয়ে 'লিখা' ( ওটা লেখা, লিখা নয় ) লিখতে হবে এটা কেমনতর কথা? তাহলে তো এমন যে আপনি বড় বাসায় থাকেন আর আমি কুঁড়ে ঘরে সুতরাং আমাকে আগে বড় বাড়ি বানাতে হবে এরপর আপনার সাথে এসে কথা বলতে পারব। কেননা আমার বড় বাসা নেই সুতরাং আমি বড় বাসার মানুষদের সাথে কথা বলার অযোগ্য।
আর কে বলেছে কি বলেছে কোথায় কে প্রতিবাদ করেনি করেছে এটা রেফারেন্স দিয়ে বলুন। দেখেন আমি লিঙ্ক দিয়েছি অনেকগুলো ওগুলি ঘেঁটে দেখুন আগে
০২
কিসের দায় ? কোথাকার দায়? বাংলাদেশ কিংবা এই পোস্টের লেখক এর কোন কোন দায় ছিল রোহিঙ্গাদের প্রতি? কবে ছিল এবং কেন ছিল সেটা আগে বলেন? কিংবা রোহিঙ্গাদের প্রতি কার কি মানসিকতা ছিল এবং আছে এটা জানলেন কি করে? বাংলাদেশ অনেকভাবে সহমর্মিতা দেখিয়েছে রোহিঙ্গাদের প্রতি। দশকের পর দশক এদের আশ্রয় দিয়েছে। এইবারেও এদের খাবার, ঔষধ সহ অনেক প্রয়োজনীয় উপাদান সরবরাহ করেছে। এটা সহমর্মিতা নয়? এটা কি তাহলে?
০৩
হে হে হে, সে জানতাম ধর্মের ত্যানা এখানে ঢুকাবেনই ঢুকাবেন। ছাগুদের শেষ দৌড় ওখানেই থাকে। আমি যদি বলি বকরূপী ধার্মিক সহমর্মিতা পাবার যোগ্য নয় তাহলে? আর রোহিঙ্গাদের ব্যাপারেই আপনাদের ধর্মীয় অনুভূতি এত উছলে উঠে কেন? এত পিছলা কেন আপনাদের অনুভূতি?
০৪
আসল কথায় আসেন। একটা সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে করা পোস্টে এসে আপনি রোহিঙ্গা ধরে এনেছেন। এনেছেন ধর্মীয় অনুভূতির ফিচেল আতলামি। আর বলছেন যুক্তি দিয়ে বলেছেন? ফাত্রামি আর ইতরামির একটা লিমিট থাকা চাই বুঝলেন। সবাইকে আপনার মুমিন বেরাদার মনে করলে তো মুশকিল
ডাকঘর | ছবিঘর
আপনার মতো পিয়ানিস্ট দেখে জীবন বাঁচানোর পরিস্থিতি বোঝা লোকজন যখন কথায় কথায় রোহিঙ্গাদের সাথে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের শরণার্থীদের ভারতে আশ্রয় নেয়ার তুলনা দেয়, তখন বাজে কথাগুলো ধামাচাপা দেয়ার ইচ্ছা চলে যায়। মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্রিপুরা প্রদেশের জনসংখ্যা ছিলো পনেরো লক্ষ। আর তারা শরণার্থী আশ্রয় দিয়েছিলো সতেরো লক্ষ। আপনি আজকে কক্সবাজারের মানুষের ঘাড়ে রোহিঙ্গাদের চাপিয়ে দিয়ে নিজে হালকা ফুরফুরা মেজাজে যেমন অন্যের লজ্জার মাপ গজফিতা নিয়ে মাপতে আসেন, ত্রিপুরার জনগণের নিজের বাড়িতে শরণার্থী আশ্রয় দেয়ার ব্যাপারটা কায়দা করে চেপে যান। যান না, একটা রোহিঙ্গা পরিবারকে নিয়ে আসেন না টেকনাফ থেকে, এনে নিজের বাসায় আশ্রয় দেন। আর না পারলে মুক্তিযুদ্ধকালীন দেশত্যাগের সাথে ফালতু তুলনা চোদানো বন্ধ রাখেন। কাঠবলদের মতো দুইটার তুলনা টাইনেন না।
সাগরে ভেসে থাকা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিলে মিয়ানমারের জান্তা যে আরো হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে আরাকান থেকে বিতাড়িত করতে উৎসাহিত হতো, সেটা আপনার মতো বয় ইন দ্য স্ট্রাইপড পাজামা দেখে গুরুতর পরিস্থিতি বুঝতে শেখা মানুষদের বুদ্ধিতে ধরবে না। বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর পর কি মিয়ানমারে রোহিঙ্গা-অরোহিঙ্গা সংঘর্ষ কনটিনিউ করেছে? করেনি। কারণ বার্মিজ প্রশাসন বুঝেছে, তারা নব্বই দশকের মতো গণহারে রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশের ঘাড়ে চাপাতে পারবে না। আর নিজের বাড়ির বৈঠকখানায় গদির উপর পাছা রেখে কক্সবাজারের স্থানীয়দের জীবিকার সমস্যার চেয়ে রোহিঙ্গাদের সাগরে স্ট্র্যান্ডেড হওয়ার সমস্যা বেশি গুরুতর, এইরকম আহ্লাদি ফতোয়া চোদানো খুব সহজ। পারলে এইটা কক্সবাজারে গিয়ে স্থানীয়দের সামনে বইলেন। যাওয়ার আগে পিঠে ছালা বাইন্ধা যায়েন। আছেন সুখে, ফু দিলে বাজে। আবারও বলি, রোহিঙ্গাদের জন্য যদি বেশি জ্বলে, টেকনাফ গিয়ে একটা রোহিঙ্গা ফ্যামিলিরে নিজের বাসায় এনে তোলেন। তারপর আশ্রয় না দেওয়া লজ্জা নিয়ে লেকচার মারাইতে থাকেন। আপনার মহানুভবতাকাম চরিতার্থের দায় কক্সবাজারের হতদরিদ্রদের ঘাড়ে নাহয় না-ই চাপালেন।
আপনি আপনার লেখায় অশালীন শব্দ ব্যবহার করেন নাই, কিন্তু আপনার বক্তব্যটাই মাত্রাছাড়া অশালীন। নিজে কী বাল ফেলছেন সে্টার খবর নাই, আসছেন আপনার কাশ্মিরি ফিলিস্তিনি রোহিঙ্গা ছাপানো ফিতা দিয়ে আমাদের লজ্জার দৈর্ঘ্যপ্রস্থ মাপতে।
আপনার কাছে মানুষের পরিচয় যদি খালি মানুষ হয়, তাহলে খালি কাশ্মিরি ফিলিস্তিনি রোহিঙ্গাদের জন্য কানলেন কেন? আপনার মানবতা তো চরম দুর্গন্ধময়ভাবে মুসলমানকেন্দ্রিক। আরো পরিষ্কার করে বললে, অমুসলিমের হাতে বিপন্ন মুসলমানকেন্দ্রিক। এক পাকিস্তানে প্রতি মাসে যত মুসলমান মসজিদে বোমা গ্রেনেড গুলি হামলায় মরে, গোটা ফিলিস্তিন আর কাশ্মিরে এক বছরে তত লোক মরে না। কিন্তু আপনি এবং আপনার মতো আরো হাফউইট, মানুষের বিপদ নিয়ে যাদের শিক্ষা কতোগুলি হলিউডি সিনেমা দেখে, তারা বাল ছিঁড়ে আঁটি বান্ধে খালি কাশ্মিরি ফিলিস্তিনি রোহিঙ্গা নিয়ে। কাশ্মিরি ফিলিস্তিনি রোহিঙ্গাদের চোদার টাইম আমাদের নাই। আপনার থাকলে, ইউ গো অন।
আফ্রিকার অঞ্চলগুলো বাদ দিলেন কেন হিমুদা? মানবতার বহ্নিশিখা জ্বালাইতে হেরে সুদানে পাঠানো দরকার। এই শ্রেনীর মানবতাবাদীদের দরদ দেখানোর দেশ খালি তিনটা-
১.আরাকান (রোহিঙ্গা)
২.ভারত (কাশ্মির, গুজরাট,আসাম)
৩.ফিলিস্তিন
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
সুদানিদের নিয়ে কিছু বললে ঘ্যানঘ্যান করতো বাজে কথা বললেন কেন অ্যা অ্যা অ্যা। সেজন্য সুদান বাদ।
এইসব উৎকৃষ্ট স্যাম্পল জাদুঘরে দরকার। এরা আসলেই ছুপা রুস্তম এক একজন।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
যে আজেবাজে শব্দের ব্যবহার ছাড়া কথা বলতে জানেনা, তার সাথে কথা বলাই মূর্খতা।
আপনি একজন স্ট্যান্ডার্ড মূর্খই। কাজেই আপসোস নিয়েন না।
আর যে আজেবাজে বাহানা দেখায় তার সাথে কথা বলা কি? বইলা যান ভাই, দোহাই লাগে আপনার।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
হে বহ্নিশিখা, কুশ্চেন। আমার নিজের লোকের মারা যাওয়ার খবরের সাথে রোহিঙ্গা কাশ্মিরী ফিলিস্তিনি ইত্যাদি বিদেশির তুলনা কেনু? হোয়াই?
..................................................................
#Banshibir.
কারন রোহিংগারা আমাদের কাছে আশ্রয় চাইছিলো মরণের হাত থেকে বাচার জন্য। আর বাকিদের কথা চলে এসেছে কারন মানবতা সবার জন্যেই সমান হওয়া উচিত। মিডিয়া বলেন বা বিশ্ব জনমত সবকিছুই কেমন যেন একতরফা লাগে, সবাই যেন আমার নিজের দলের(ধর্ম, জাতি, বর্ণ) বাইরে সবকিছুই বর্জনীয়, অন্য দলের বেলায় চোখে ঠুলি পরে চলার নীতি অনুসরন করে। আজকে সচলায়তনে রথী-মহারথী লেখকেরা ঝাপিয়ে পড়েছেন, আমিও সমর্থন করি এটা। কিন্তু রোহিংগারা যখন মরনাপন্ন হয়ে আমাদের দেশের সীমানায় এসে আশ্রয় চাইলো, তখন ওনারা কেউ একটা মানবতার শব্দ উচ্চারণ করলেননা, এটাই আমার কাছে খারাপ লেগেছে।
আপনার উপর নাই ভুবনের ভার।
..................................................................
#Banshibir.
রোহিঙ্গাদের নিয়ে সচলে যখন লেখা হইছে তখন আপনে এসে আপনার মতামত জানাইছেন? আপনে দেখছেন লেখা হইছে কি হয় নাই? লেখার ধরণ পছন্দ না হইলে ঐ লেখায় সেইটা জানাইতে পারেন নাই? নাকি এখন আন্দাজের উপরে মানবতা দেখাইতে আসছেন?
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আজকে যারা এই বিষয়ে লিখেছেন তাদের সবার ব্লগ আমি দেখেছি। রোহিংগাদের নিয়ে কারোরই কোন লিখা নেই।
কারণ রোহিঙ্গাদের আমরা বাল দিয়েও পুঁছি না। এইবার আপনি গত দুই দশকে এইদেশে গ্যাঁট হয়ে বসা রোহিঙ্গাদের নিরাপদ রিপ্যাট্রিয়েশন নিয়ে কী লিখেছেন/বলেছেন/করেছেন, অনুগ্রহ করে তার একটা সংক্ষিপ্ত ফিরিস্তি দেন। আমরাও আপনাকে গজফিতা দিয়ে মেপে দেখতে ইচ্ছুক।
রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রসঙ্গে বাংলাদেশের অবস্থান
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, জঙ্গি তৎপরতা এবং বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগজনক একটি পরিস্থিতি
যেইভাবে দুনিয়ার বাকি দেশগুলোতে মানবতা দেখানোর কথা আপনাদের মনে থাকেনা, সেরকমভাবে এই লেখা দুটো আপনার চোখ এড়ায়। "একচোখা"- একটা শব্দ আছে বাংলায় শুনছেন কখনো?
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আজকে সচলায়তনের পাতায় এই নিয়ে তিনটি লিখা এই বিষয়ে। তারেক অনু, সবুজ পাহাড়ের রাজা আর এই লিখাটা। এবং ওনারা কেউই রোহিংগা বিষয়ে লিখেননি। আমি সেই কথাটাই বলেছি। এর জবাবে বল্লেই হোত রোহিংগা বিদেশি ইস্যু। ওরা আমাদের সীমানায় এসে মরলেও আমাদের খারাপ লাগেনা। ব্যস আমার প্রশ্নের জবাব আমি পেয়ে যেতাম।
একচোখা শব্দ শুনেছিলাম তো বটেই, এখানে পরিচয়ও পাচ্ছি। সচলায়তনের ৩ নম্বর নীতি অনুযায়ি অশিষ্ট মন্তব্য থেকে সদস্যদের বিরত থাকার কথা ছিল।
শোনেন, পিছলাইয়েন না। এরকম পিছলামি এইখানে অনেক দেখা আছে। আপনে বলছেন "সচলের রথী-মহারথীরা" কেউ রোহিঙ্গা বিষয়ে কিছু লেখে নাই, আপনারে পরপর দুইটা লেখার লিঙ্ক দেয়া হইছে, তাতে দীর্ঘ আলোচনা হইছে, সব ধরনের মতামত সেখানে আছে। আপনে সেখানে আইসা আপনার মানবতা দেখান নাই, ভালো কথা, আজাইরা কথা ঘুরান কেন? আমাদের সীমানায় কেউ আইসা মরে নাই, ফালতু কথা কমান, জীবনে এইসব কইরা আর যাই হোক চায়ের দোকানে দুই-দশটা বাহবা ছাড়া আর কিছুই পাইবেন না। সত্যিটা চোখ খুইলা দেখেন, স্যাম যখন আপনারে বললো রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে ফেরৎ যাওয়ার পরে কেউ মরছে কিনা আপনে বললেন আপনে জানেন না। কিন্তু এর আগে আপনে অনেকক্ষণ লাফাইলেন রোহিঙ্গা/ফিলিস্তিন/কাশ্মির নিয়া। কেন তখন একবার এই তথ্যটা দেইখা আসেন নাই কেন? এখন প্রশ্ন করাতে মনে পড়ল?
রোহিঙ্গারা মরছে কিনা পরে আসি, আগে কন এইযে রোহিঙ্গারা দেশে আইসা এতো আকাম কুকাম করে তার কোন হিসাব আছে আপনার কাছে? রোহিঙ্গাদের জামাই আদর কইরা দেশে আনবো তারপরে আমার গলাতেই তারা ছুরি চালাইবো আর আপনে মানবতা দেখাইবেন? শিষ্টাচার শেখান না? ডাকাতের সাথে আপনে যাইয়া শিষ্ঠাচার কইরা আসেন, জ্যান্ত ফিরলে মানবতার কোর্স করুম আপনার কাছে।
দুইটা লেখা পড়ার তো জোর নাই, খালি খোঁচা মাইরা খালাস। সচলে নিজের দেশের মানুষ মরলে তিনটা কেন তিনশ লেখা আসবে আপনার কাছে জিগাইয়া আসবে? রোহিঙ্গা ইস্যুতে ত্যানা অনেক পেঁচাইছে আপনার মতো পাবলিকরা, তাদের জন্য ঐ দ্বিতীয় লেখাটা দেয়া হইছে। আর এইবার রামুতেও রোহিঙ্গাদের হাত ছিলো খবরে আসছে, সেইটা চোখে পড়ে নাই? নাকি মানবতার চোখের জলে চোখ ঝাপসা তাই খালি রোহিঙ্গা দেখেন বাকি জিনিস ফিল্টার হয়?
একচোখা তাও তো কিছু দেখে, আপনার মতো মানুষ অন্ধ। এরা চোখের সামনেও কিছু দেখেনা।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আপনি তো কোনো প্রশ্ন করতে আসেন নাই। আপনি আসছেন রোহিঙ্গা ইস্যুতে না লেখাটাকে লজ্জাজনক প্রমাণ করে খোঁটা দিতে। রোহিঙ্গারা বৌদ্ধ সন্ন্যাসিনীকে গ্যাং রেপ করে খুন করে দাঙ্গা বাধানোর পর পাল্টা মার সহ্য করতে না পেরে বর্ডারের এইপাশে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজবে, আর আমরা তাদের জন্য দুই ফোটা চোখের জল ফেলতে ফেলতে তহবন সিক্ত করে যাবো, এই ছিলো আপনার আবদার। নিজের দেশে সিডর আর আইলার পর হাজার হাজার মরণাপন্ন মানুষ দক্ষিণবঙ্গ ছেড়ে ঢাকা শহরে এসেছে, সমবেদনা জানিয়ে কিছু বলেছেন/লিখেছেন/করেছেন কি? রোহিঙ্গাদের দুঃখে নাকের পানি চোখের পানি এক করে এখন আসছেন সমবেদনার কারেন্সি চালু করতে। আপনার সমবেদনার ইতিহাস যদি রোহিঙ্গা ইস্যু থেকেই শুরু হয়, আপনার জন্য সমবেদনা রইলো।
রোহিঙ্গা বিদেশী ইস্যু আপনি জানতেন না?
..................................................................
#Banshibir.
হে বহ্নিশিখা, কুশ্চেন। রোহিঙ্গা নিয়ে আমাদের লিখতে হবে ক্যান? বার্মিজ ব্লগে কি চিটাগাং নিয়ে লিখা পাওয়া যায়?
রোহিঙ্গা একটি বিদেশী ইস্যু, কতবার বুঝিয়ে বললে ঐটার সাথে আমার চট্টগ্রামের ঘটনা মেলানো বন্ধ করবেন?
..................................................................
#Banshibir.
আমি বার্মিজ ভাষা জানিনা, ওদেশের ব্লগ ও পড়িনি। আর রামুর নিপীড়িতরা বার্মাতে আশ্রয় ও চায়নি।
আমার দেশের সীমানায় মরনাপন্ন মানুষ এসে আশ্রয় চাইছে, আশ্রয় দিতে পারলামনা ভাল কথা, কিন্তু ওদের কষ্টে আমরা সামান্য কষ্ট তো পেতে পারতাম, এই পোস্টের মত একটা লিখা দিতে পারতাম। সমবেদনা জানাতে পারতাম, ওদের ওপর হওয়া অত্যাচারের প্রতিবাদ করতে পারতাম।
বিদেশি ঘটনা বলেই কি আমরা মুখ ফিরিয়ে নেই??? আমরা কি আমাদের দেশের বাইরের কোন ঘটনা নিয়েই কথা বলিনা???
বার্মিজ ভাষাটা শিখে ফেলুন। বিশ্বমানবতাবাদীর নানাবিধ ভাষা জানা জরুরী, নইলে যাদের জন্য পেট পুড়ছে তাদের সাথে কথা কইতে অসুবিধে।
দেখুন আপনি একজন নিছক বোকা মানুষ। অন্য সম্ভাবনাও আছে তবে সেটি আপনার ফেভারে যাবেনা, তাই বাদ দেই। রোহিংগা তো একদিনে মাটি ফুঁড়ে উদয় হয়নি, তারা নিয়মিতই আসছে। তারা কিন্তু ফিরে যাবার চেষ্টা করছেনা, তারা চাচ্ছে এখানেই থেকে যেতে।
আপনার মত মহৎহৃদয় মানুষের তাতে অসুবিধা হবার কথা নয়, দ্য মোর দ্য মেরিয়ার তাই না? দেখেন ভাই, আমরা ছোট একটা দেশ ষোল কোটি মানুষ। আমাদের নিজেদের আদ্ধেক লোকই ভালো করে খেতে পায়না, বছরের পর বছর ক্যাম্প খুলে শরনার্থী আশ্রয় দেবার মত বিলাসিতা আমাদের সাজে? এটি আন্তর্জাতিক সমস্যা, আমরা ইয়োরোপ আমেরিকা নই যে আমাদের ফেলে ছড়িয়ে রাখার মত টাকা আছে।
আমার দেশের নিজের মানুষ অবশ্যই আগে। সবার আগে। এইটেও বুঝিয়ে দিতে হলে তো সমস্যা।
..................................................................
#Banshibir.
রোহিঙ্গারা এখন বাংলাদেশী নাগরিকত্ব চায়, চায় তাদের বাংলাদেশের পাসপোর্ট দেয়া হোক। তারা চায় এদেশের সরকার তাদের স্বীকৃতি দিক। এই খবর বহ্নিশিখার ঠিক কি কি জ্বালায় দিলো জানতে মন চায়।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
নাগরিকত্ব পাবার সুনির্দিষ্ট পন্থা আছে। চাইলেই নাগরিকত্ব পৃথিবীর কোথাও পাওয়া যায়না। দুনিয়া বহ্নিশিখা ম্যাডামের মত উদার হৃদয় নয়।
..................................................................
#Banshibir.
ম্যাডাম কিনা সন্দেহ আছে।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
(ঘ্যাঁস ঘ্যাঁস করে মাথা চুল্কানোর ইমো)
..................................................................
#Banshibir.
নাগরিকত্ব না দেন মিয়া, নাগরিকত্ব না দেয়ার দুঃখে কাইন্দা জারেজার তো অন্তত হৈতারেন?
উইকেন্ডে রান্না করুম ভাবতেসি হিম্ভাই। পিঁয়াজ কাটার সুমায় কান্দুমনি।
..................................................................
#Banshibir.
আপনি রোহিঙ্গা, কাশ্মিরী আর ফিলিস্তিনি, এই তিন সর্ট বাদে পৃথিবীর যে কোনো মরণাপন্ন মানুষের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে একটা পোস্ট লিখে উদাহরণ তৈরি করতে পারেন কিন্তু। আপনাকে দেখে হয়তো অনেকে শিখবে। আপনার সমবেদনা আর প্রতিবাদের দৌড়ও আমরা দেখতে পেতাম।
আপনি এক কাজ করুন। এই সব ব্লগের লিংকে ক্লিক করা টেকনিক্যালি অনেক কঠিন হওয়ার কথা আপনার জন্য। একটা সহজ ইন্টারনেট শিক্ষা বই কিনে পড়ে ফেলেন। আপনার কমেন্টের জবাবে দুই/তিন বার রোহিঙ্গা ইস্যুতে সচলে লেখাগুলোর লিংক দেয়ার পরেও একই কান্না কেঁদে যাচ্ছেন। এখান থেকে সিদ্ধান্তে আসলাম, আপনি লিংকে ক্লিক করতে জানেন না। আগে এটুকু শিখুন, তারপর মানবতা ইত্যাদি বড় বড় জিনিস শিখতে এবং শিখাতে আসবেন।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
পীর সাহেবের হক কুশ্চেন।
facebook
bonhishikha - এবার তাদের আশ্রয় না দেয়ার কিন্তু মানবিক সাহায্য দিয়ে ফেরত পাঠানোর কারনগুলো একটু চেস্টা করলেই জানতে পারবেন - আপনার মন্তব্যটা পছন্দ হয় নাই।
আমাকে কি একটা তথ্য দিতে পারবেন- ফেরত পাঠানোর পর কতজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছিল?
কারণগুলো আমি জানি। আমি বলতে চেয়েছি মিডিয়ার একতরফা নীতির কথা, যেটা থেকে আমার মতে সচলায়তনের আজকের লেখকরাও আলাদা হয়ে ওঠেননি। যেহেতু তিনজনের ২ জনই আমার প্রিয় লেখক, তাই ব্যাপারটা মানতে আমার কষ্ট হয়েছে। সেজন্যে লেখিকাকে প্রশ্নগুলো করা।
আপনাকে তথ্যটি দিতে পারলামনা বলে দুক্ষিত। দেখুন গুগল পারে কিনা।
[how many rohingya died after bangladesh push back them]
লিন্ক আসছেনা।
পরেরবার তথ্য যাচাই করে এসে ফোড়ন কাটার অনুরোধ থাকল।
..................................................................
#Banshibir.
আপনি মুখে চুষনি নিয়ে বসেছিলেন কেন? আপনি একটা পোস্ট লিখলেই পারতেন? আর আবারও বলি, এই যে কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা গত কুড়ি বছর ধরে বাংলাদেশে গ্যাঁট হয়ে বসে আছে, এদের নিরাপদ রিপ্যাট্রিয়েশনের জন্য আপনি গত কুড়ি বছরে কয়বার আওয়াজ তুলেছেন?
কী সর্বনাশ! অফিসে খুব কাজ ছিলো আর অফিসের পরে দাওয়াতে গিয়েছিলাম বলে সচলে আসা হয়নাই! একদিনে কতোকিছু ঘটে গেলো!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ঘটনা জানার পর, ছবিগুলো দেখার পর অসহ্য কষ্ট হচ্ছিল। আর যারা ঐ ভয়াবহ কষ্ট সরাসরি পেয়েছেন, ভিক্টিমাইজড্ হয়েছেন, তাদের কষ্ট কী অপরিসীম একবার ভেবে দেখুন !
এক বন্ধুর কাছ থেকে সামান্য তথ্য পেয়েছি এ হতভাগ্যদের পাশে দাঁড়াবার ব্যাপারে। হুবহু তা উল্লেখ করছিঃ
আগামী বৃহস্পতিবার রাতে আমাদের ১ম টিম রওনা দিচ্ছে রামুর উদ্দেশ্যে, সাথে নিয়ে যাচ্ছে শার্ট, টি-শার্ট, লুঙ্গি, শাড়ি, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পরনের চীবর, বিস্কুট, চিড়া, ঔষধসহ আরও অনেক কিছু...চাইলে আপনিও অংশ নিতে পারেন আমাদের সাথে...ত্রাণ পাঠাতে পরেন আমাদের মাধ্যমে অথবা সরাসরি ওদের হাতেই পৌঁছে দিতে পারেন আমাদের সাথে গিয়ে...
বিস্তারিত জানতে কল করুন অথবা এসএমএস পাঠান: 01671460761 এই নাম্বারেঃ
অনুদান দিতে পারেন নিচের ব্যাংক একাউন্ট নাম্বারে:
ATTRABIT
1111070003674
Eastern Bank Limited
Shamoly Branch
Dhaka
আমার বন্ধুটি এখান থেকে https://www.facebook.com/biswajit.barua ঐ তথ্য তার দেয়ালে শেয়ার করেছে।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
দেখলাম এই এতোদিন পরে। ফেসবুকে শেয়ার করে দেয়া যাবে আপু? তাহলে ভালো হতো!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
দুষ্ট বালিকা,
এই কথাগুলি আমাকে ভাবিয়ে তুলছে। কেন আমরা এত অসহিষ্ণু হয়ে যাচ্ছি? এমন কি এই লেখায় একজন পাঠকের মন্তব্যে এতটা প্রতিক্রিয়া না দেখালে কি চলতো না?
দুষ্ট বালিকা, লেখাটা আমার মন কেড়ে নিয়েছে। শুভেচ্ছা রইল।
সাইফ শহীদ
অসুস্থ ছিলাম, এর মাঝে অফিস করতে হয়েছে, এই এতোসব ঝামেলায় এই কয়দিন আসা হয়নি এই তল্লাটে। এসে আর সব মন্তব্য পড়ে বেশ অবাক হলাম!
ধন্যবাদ ভাইয়া!
পুনঃ সমস্ত মন্তব্য পড়ে অবশ্য মনে হয়েছে যে হিমুভাই, পীর ভাই, স্যাম এরা যেভাবে বহ্নিশিখাকে চেপে ধরেছেন তা ইনার অবস্থান বিচারে ঠিকই ছিলো!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
নতুন মন্তব্য করুন