আমার গোল্ডফিশ মেমরি। মানুষের নাম চেহারা মনে থাকে না। দেখা যায় চেহারা দেখে চিনেছি কিন্তু কিছুতেই নাম মনে আসছেনা। কার সাথে কোথায় পরিচয় সেটাও মনে করতে পারিনা। দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে টাইপ কিছু হলে লজ্জায় পড়ে যাই, ডাকবো কিভাবে, নামই তো মনে নাই! আর যেখানে যার সাথে পরিচয় তার বাইরে অন্য কোনও পরিস্থিতিতে দেখা হলে আপনি নিশ্চিত থাকেন আপনাকে আমি চিনতে পারবো না। কখনও পারিনাই, দুই একজন স্পেশাল কেইস ছাড়া মনে হয় কখনই পারবো না।
এদিক সেদিক দেখা হতে থাকে, বিভিন্ন আড্ডায়, কারো বাসার দাওয়াতে। ওর লেইম জোকে কখনও হাসি, কখনও বিরক্ত হই, বিরক্তি প্রকাশ করে ফেলি, ঝগড়া হয়, ওর সাথে হাতাহাতি করার সাহস হয়না দেখে শুধু মনে হয় সেটা বাকি থাকে। আবার পরের আড্ডায় হাসি হাসি মুখ নিয়ে আবারও তর্ক করি! সচলে ওর ট্যাগ-লাইন, ‘ঝাউবনে লুকানো যায় না!’ দেখে একবার ওকে মেসেজ দিয়েছিলাম, ‘ঝাউবনতো দূরে থাক, তোমার যে সাইজ, সুন্দরবনের তুমি লুকাতে পারবানা! সেই নিয়ে কতো ঝগড়া, রাগারাগি!
যে টেলিকমে চাকরি করে আমি সেই সার্ভিসেরই বিরক্ত ভোক্তা দেখে ওর ফোন নাম্বার জোগাড় করি একবার, এক নাছোড়বান্দা বদলোকের হাত থেকে রেহাই পেতে। সিমনকে জানাই ফোনে, এক ঘণ্টার মাঝে ও ফোন করে বলে যে সেই বদকে সে শায়েস্তা করে দিয়েছে, আর ঠিকই সেই বদের ফোন আর আসেনা। এরকম একবার না, বহুবার হয়েছে, শুধু আমার না, আমার এক বান্ধবীর জন্যেও কম করেনাই সিমন। কিন্তু ফেসবুকে মেসেজে সবসময় কথা হলেও ওকে তালিকায় যোগ করিনাই তখনও, ঐযে, লাভ হেট রিলেশনশিপ!
এরপরে একদিন তৃষিয়াপুর বাসায় যাবার কথা আমাদের। আমরা ক’জনে একটা আড্ডা থেকে উঠবো উঠবো করছি, তখন হঠাৎ সবাইই দেখি হুড়মুড়িয়ে জুড়ে গেলো আমাদের দলে, রাতের খাবারে টান পড়েনি যদিও সেদিন, কিন্তু সেদিন সে ব্যাটা একটা বড় দুষ্টুমি করেছিলো আমার সাথে, সেলফোন টেবিলে রেখে কেন যেন উঠেছিলাম, আমার কলার টিউন সেট করে দিলো মমতাজের বিকট এক গানে, তখনতো আর বুঝিনি, বুঝলাম পরদিন, যখন অফিসের এক ক্লায়েন্ট ফোন করে হেসে গড়াগড়ি খেয়ে আমাকে বললো যে কি কলার টিউন লাগাইসেন! সেদিন চরম চেতসিলাম, অনেক অনেক বেশী। মাত্রাছাড়া বকেছিলাম সিমনকে। আবার পরের আড্ডাতেই, অ্যাজ ইউজুয়াল, সব ঠিক!
এরকম দিন যাচ্ছিলো। ফোনের সার্ভিসে কোনও ঝামেলা হলে ওকে ফোন করি, সিমন ঠিক করে দেয়। কোনও দাওয়াতে বা আড্ডায় আজাইরা কারণে ওর সাথে তর্ক লাগে, ওকে দুনিয়া তুলে অপমান করি, ও আমাকে আছাড় মারবে এই ইচ্ছা পোষণ করে, আবার পরের আড্ডাতেই দুইজনে ফালতু কোনও ঠাট্টায় দাঁত কেলিয়ে হাসি।
এরপরে পুরানো ঢাকায় এক হন্টন আড্ডায় ওর বান্ধবীকে প্রথম দেখা, সিমনের সাথে যেমন প্রতি আড্ডায় একটা মারামারি অবস্থা তৈরি হতো ঠিক তার উলটা অবস্থা হলো ওর বান্ধবীকে দেখে, কি অসম্ভব সুন্দর একটা মেয়ে, দেখলেই মন ভালো হয়ে যায় ধরণের, যাকে দেখেই মনে হয় এর মনের মধ্যে যা কিছু আছে সব ভালো, সব পজিটিভ! আমরা দুই বান্ধবী সেদিন ফিসফাস করেছিলাম, মাশাল্লাহ, এতো ভালো মেয়েটাকে পেলো কোথায় সিমন! সেই সন্ধ্যায় আবার পুরানো ঢাকায় সিমনের চাচার বাসায় চা নাস্তা খেলাম আমরা, মনে মনে বুঝলাম কিপটা ছেলেটার হাত খুলছে! সেদিন রাতেই ওকে এসেমেস করলাম, কনগ্র্যাচুলেশন জানিয়ে, আর জানালাম কতো ভালো লেগেছে আমাদের ওর বান্ধবীকে, সে ব্যাটা প্রত্যুত্তরে এমন একটা লেইম জোক মারলো যে মুহূর্তেই আমি রেগে টং!
ওর বিয়ের সময়ে সিমন খুব চেয়েছিলো যেন ওর বউকে বিয়ের মেহেদি দিয়ে দেই, দিতে পারিনাই, সময়াভাবে। এমনকি বিয়েতেও যেতে পারিনাই, অফিসের ঝামেলাতে। বিয়ের দিন সন্ধ্যায় ফোন করেছিলো আমাকে সিমন, হলুদে আসিনাই, বিয়ে যেন মিস না হয় এই কথা বলতে, যেতে পারবোনা দেখে খুব খারাপ লেগেছিলো তখন। তাই যখন শুনলাম ওর মেয়ে হয়েছে, তখন আর দেরী করিনাই, সাথে সাথেই বাচ্চাটাকে দেখতে চলে গেছি অফিস-টফিস ফেলে। তান্তা বুড়িটাকে কোল থেকেই নামাতে ইচ্ছা করছিলোনা সেদিন, সিমনকে বললাম যে ওর বউকে দেখে বিশ্বাস হয়, কিন্তু ওকে দেখে কে বলবে এইটা ওর পিচ্চি? কিছু আইডিয়া দিলাম পিচ্চিকে নিয়ে, ছবি তোলার, কিছু জিনিস বানানোর, সিমন বললো আমাকে করে দিতে, ইজি কাজে বিজি আমার সেগুলোর সময় হয়নাই আর! এরপরে যখনই দেখা হতো তখনই মনে করিয়ে দিতো সিমন, সেইগুলোর কথা, কিন্তু সেইযে, বাঙ্গালীর তিন নম্বর হাত, অজুহাত তৈরিই থাকতো আমার! সবসময়!
ফেসবুকের এক খাদ্য-প্রিয় গ্রুপের পুরানো ঢাকার এক দোকানে আড্ডা ছিলো একটা, সেখানে খাওয়াদাওয়া সেরে আমরা ফিরলাম এক খোলা ট্রাকে করে, সেদিন সিমনকে বলেছিলাম, ‘ভাই আমার সামনে দাড়া, বাতাস আটকায় যাবে, ট্রাক থেকে পড়বোনা তাহলে!’ এইভাবে বাতাস, ঝড়ো হাওয়া, মানুষের ভিড় ঠেলে বের হওয়া এইসব কাজে সিমনকে সামনে নিয়ে এসেছি বহুবার, সিমন আমাদের চীনের প্রাচীর হয়ে থাকে যেকোনো দরকারে!
ওদের বিয়ের একবছর পূর্তিতে গিয়েছিলাম কিছুদিন আগে, তখনও একবার খোঁচা দিলো যে আমি ওর বউকে মেহেদি দিয়ে দেইনি বলে, আমিও পালটা খোঁচা দিয়ে উত্তর দিয়েছিলাম, সবসময়ের মতোই! শাহবাগে একদিন আমি সিমন আর মিতু ফিরেছিলাম একসাথে, রাস্তায় খেয়েদেয়ে দুইজনে মিলে আমাকে বাসায় নামিয়েও দিয়ে গেছে। সেদিন ওকে এসেমেস দিয়েছিলাম যে বউ তো তোমাকে শুধরে দিয়েছে দেখি, আজকাল তুমি খাবারেরও বিল দাও! এরকম প্রতি আড্ডায় ঝগড়া মারামারি, কথা কাটাকাটি কম হয়নাই সবার সাথে, এখনও ফেসবুকে ফ্রেন্ড-লিস্টে সিমন নাই আমার, সত্যি কথা বলতে যেভাবে ফোনে আর ফেসবুকের মেসেজেই যোগাযোগ হয় সেখানে এই কথাটা মাথাতেও থাকে না।
২৫ তারিখ সন্ধ্যাতে বসুন্ধরা সিটির কোরিয়ান রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলাম আমরা কয়জন, সেদিন সিমনকে ডাকার কথা মনে হলেও ডাকা হয়নাই। সাড়ে আটটার দিকে বাসায় ফিরে দেখি নেটের কানেকশন নাই, মেজাজ খারাপ করে ফেলুদার একটা সিনেমা দেখছিলাম, তখন ছোটবোন বর্ষার ফোন, বললো যে নূপুর আপু নাকি স্ট্যাটাস দিয়েছে ফেসবুকে, সিমনের অ্যাকসিডেন্ট নিয়ে, বুকের মধ্যে কেমন করে উঠলো, ফোন দিয়ে জানলাম সিমনের দুর্ঘটনাটা খুব খারাপ ধরনের, কিছুই পজিটিভ বলা যাচ্ছেনা। সত্যি কথা বলতে তখন প্রথমেই মনে আসলো তান্তার কথা, নিচে নেমে আম্মুকে বললাম আমার বন্ধু সিমন হসপিটালে, আমাকে যেতে হবে। আমি হসপিটাল ভয় পাই, ছোটবোন জয়ী যখন হলি ফ্যামিলিতে ছিলো অনেকদিন তখনও ওকে দেখতে যাইনি, ফয়সাল ভাইকেও না, কিন্তু তখন আসলে এসব কিছুই চিন্তা মনে আসেনাই, শুধু মনে হচ্ছিলো যে আমার যেতে হবে, গিয়ে ঘোড়ার ডিম কি করবো তা জানিনা, আমি তো আর ডাক্তার না, কিন্তু আমাকে যেতেই হবে! গত দুইদিনে আমি যতক্ষণ হাসপাতালে ছিলাম, এই জীবনে এতো সময় হাসপাতালে কখনই থাকিনি আমি, সত্যি!
পর পর দুইরাত ভয়ে আমার ঘুম হয়নাই, কি রকম ভয় বোঝানো যাবেনা, একটা দমবন্ধ করা অনুভূতি। চারদিকে কতো সড়ক দুর্ঘটনা হয়, সামান্য হাহুতাশ করে ভুলে যাই, আসলে নিজের উপরে না আসলে কখনই উপলব্ধি করা যায়না ভয়াবহতাটুকু। আমি কোনও ধর্মে বিশ্বাসী না, তাও কতবার বলেছিযে খোদা, আর যাইহোক সিমনকে নিয়ে যেওনা, ওকে বাঁচাও খোদা, তার ইয়ত্তা নেই। আজকে নিজের জ্বর বলে হাসপাতালে যেতে পারিনাই, সকাল ছয়টা থেকে লোকজনকে জাগিয়ে খোঁজ নিয়েছি সিমনের। আজকে ওর অবস্থা গত দুইদিনের চেয়ে ভালো। একটু আগে ডাক্তার ব্রিফিং দিয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে সিমনের। শরীরের তাপমাত্রা একটু বেশি আছে। সেটা এ অবস্থায় স্বাভাবিক। ভেন্টিলেটরের সাপোর্ট ২০%-এর মতো লাগছে। বাকিটা নিজেই সামলে নিচ্ছে। আপাতত চিন্তা আছে পাঁজড়ের ইনজুরি নিয়ে। এর বাইরে কালকের তুলনায় অবস্থা যথেষ্টই ভালো বলতে হবে। আপাতত রক্ত লাগছে না আর।
এখন একটু শান্ত লাগছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা এভাবে কাটলে বিপদ ছাড়বে আশা করি। আমাদের সিমন আমাদেরই থাকছে। আমাদের ভাই, বন্ধু, সহযোদ্ধা বিশালদেহী সিমন, পরের কোনও আড্ডায় আবারও ও সব খাবার খেয়ে ফেলার হুমকি দিবে, কিন্তু এবারে আমরা রাগ করবোনা, মেয়েদের গ্রুপ ছবির মাঝখানে দুই হাত ছড়িয়ে গাঁক গাঁক করে পোজ দিয়ে ছবির বারোটা বাজাবে, ভুল সময়ে চরম ফালতু সব জোক করবে, কিন্তু রাগ দেখিয়ে ঝগড়া না, এবারে আমরা গলা ফাটিয়ে হাসবো, সেই হাসির ফাঁকে আমাদের চোখে দুই ফোঁটা পানি আসবে, সে কান্না দুঃখের না, আনন্দের, আমরা সবাই সেই চোখের পানিটুকু একে অপরের থেকে লুকিয়ে মুছে ফেলবো, এটা আমরা সবাইই জানি!
মন্তব্য
সিমনকে নিয়ে এরকম আমাদের সবারই যে কত স্মৃতি রয়েছে, তা বলে শেষ করা যাবে না।
গতকাল হাসপাতালে তান্তাকে দেখলাম। কত হাসিখুশি। কান্না চাপতে পারিনি।
হুম পান্থদা, কতো আজব আজব স্মৃতিতে ঠেলেঠুলে জায়গা করে নিয়েছে সিমনটা! তান্তার কথা আর কি বলবো!
তবে আশা রাখো। সিমন কোথাও যাচ্ছেনা!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আহ, কত যে স্মৃতি... মানুষটা অচিরেই আমাদের মধ্যে ফিরে আসবে এবং আরও অনেক অনেক স্মৃতির জন্ম দিবে, এটাই শুধু বলতে পারি।
সেটাই আশা করছি!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
গত দুই দিন ধরে সবার ফেসবুক আপডেট দেখছি। এক্সিডেন্টের খবরটাও দেখেছি প্রায় সাথে সাথেই। এই নিয়ে কাউকে কিছু বলি নাই। বলার কথাও না, কারণ তিনি আমার পরিচিত নন। তবুও যেহেতু আমার ফ্রেন্ডলিস্টের অনেকেই সচলকেন্দ্রিক তাই শাহেনশা সিমন এর আপডেট বারবার ভেসে উঠেছে ফেসবুকের দেয়ালে। মনটা বিষণ্ণ থেকে ভারী হয়ে উঠে বারবার...
ফিরে আসেন সহ-সচল সিমন। ফিরে আসেন প্রিয়জনদের মাঝে...
ডাকঘর | ছবিঘর
তাপস, আশা হারাবেন না ভাই, আশা করে আছি সিমন কদিন বাদে এইখানে মন্তব্য করবে, আর জানি, এটাই সত্যি হবে। বিশ্বাস করেন, সত্যি হবে!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
লেখার শিরোনামটা কেমন যেন মুচড়ে দেয়! এই লেখাগুলো থেকেই জানতে পারছি, কি প্রানবন্ত একটি মানুষ!
কেমন যেন হাপ ছেড়ে বাঁচার মত অনুভূতি হল যখন জানলাম 'সিমন কোথাও যাচ্ছে না' বা 'আমাদের সিমন আমাদেরই থাকছে'।
সিমন বোধহয় এবারও লুকোতে পারবে না। সচল পরিবারের ভাই-বোনেরা তাকে ফিরিয়ে আনবেই।
আমেন!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ঠিক হয়ে আসবে মামুর বুটা, হবেই
facebook
হ, হবেই!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আশা হারাবেন না!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
সচলে টুকটাক লিখি ইদানিং। সর্বভুকেও উঁকি দিয়ে যাই। প্রাণবন্ত সবাইকে দেখে আমারও একটা আড্ডায় শামিল হতে বড় ইচ্ছে করে! এর মাঝে সিমন ভাইকে বিভিন্ন ছবিতে দেখে চিনে নিয়েছি। মনে মনে অনেকের মতন তাকেও আপন করতে সময় লাগেনি। এইবার বিদেশ থেকে দেশে চলে যাচ্ছি একবারে। ভেবেছিলাম সবার সাথে দেখা করব। এই লম্বা বিশালদেহি মানুষটির সাথেও দেখা হবে, এই ভাবনাটা পেয়ে বসেছিল। সিমন ভাই নাকি একজন যোদ্ধা। সবাই বলেছেন যমের দুয়ারে খিল দেয়া নাকি উনার স্বভাব! সিমন ভাইয়ের সাথে আমার দেখা হবেই। কেউ উনাকে কেড়ে নিতে পারবেনা। এই আশায় অনেকের মতন আমিও দিন গুনছি।
চিন্তা করবেন না, আশা রাখুন, আমরা সবাই একদিন নিশ্চই আড্ডা দিবো!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
এই যুদ্ধে সিমনকে জয়ী হতেই হবে।
কোনও সন্দেহ নাই তাতে আপু!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
এই চরম বদলুক্টা কয়দিন পর ফিরে এসে আমাদের যাবতীয় আবেগপূর্ণ পোস্ট আর ফেবু স্ট্যাটাস পড়ে ঠা ঠা করে হাসবে আর ক্ষ্যাপাবে।
আর বিচ্ছিরি জোক করবে আর আমরা খেপার বদলে হা হা করে হাসবো!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
তাই যেন হয়!
তাইই হবে! আশা ছাড়িনাই!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
হাসপাতালে তান্তাকে দেখে আমি আসলেই চোখের পানি আটকাতে পারি নি। ওর খিলখিল হাসি! নূপুরপুর সাথে দুষ্টামী! সব কেমন যেন চোখে ভাসে আমার। মাত্র একবার দেখা হয়েছে অণু ভাইয়ার সাথে আড্ডার দিন তবু আমার খুব প্রিয় মানুষ হয়ে গেছে। আমি কাউকে দেখতে কোথাও যাই না। আসলে যেতে পারি না। তবু রাতে খবর পাবার সাথে সাথে আনিস ভাইকে বলেছিলাম কাল যাবার পথে যেভাবে হোক আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যেও! দেখা হলে কিভাবে করে ৬০ হাজার টাকা ফোন বিল ফাঁকি দিয়েছিলো সেটা বলার কথা ছিলো! ৪৮ ঘণ্টা হতে আর কত দেরি?!
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
আর বেশী দেরী নাই, চিন্তা করবেন না। দোয়া করুন!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আজ দুপুরে দেখতে গিয়েছিলাম। দূর থেকে নিঃশব্দে জিজ্ঞেস করলাম, 'কেমন আছেন', মনে হলো যেন প্রত্যুত্তরে অস্ফুটে বললেন, 'ভাল আছি'। অপেক্ষা করে আছি স্পষ্ট উচ্চারনে এই শব্দযুগল শোনার আশায়।
আর বেশীদিন না ভাইয়া, আশা করি কিছুদিনের মাঝেই সিমন উঠে দাঁড়াবে!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আর পারি না রে। এত কষ্ট!
খেয়াদি ধৈর্য্য ধরো! সব ঠিক হয়ে যাবে! একটু সময় লাগবে হয়তো কিন্তু আশা ছেড়োনা!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
সিমন দ্রুত সুস্থ উঠবেন, এই কামনা করি।
-দুর্জয় সাব্বির
হ! সুস্থ হয়ে উঠবেই!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
সিমন ভাই এর খবরটা জানার পর খেকে লক্ষ্য রাখছি এখানে আপডেটের জন্যে। মন এত্তো খারাপ শোনার পর থেকে .. কিছু বলতেও ইচ্ছে করেনি.. ... আমার বিশ্বাস তান্তা-কে বাবা ছাড়া বড় হতে হবে না। দ্রুত ফিরে আসবে তার বাবা হেঁটে হেঁটে তার কাছে।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
হ্যারে ভাই, তান্তার জন্য ও থাকবে! থাকবেই!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
এই কয়দিন ধরে কষ্ট, ভয় আর আশা - এই তিনধরণের মিশ্র অনুভুতি কাজ করছিল।
আর এখন যোগ হয়েছে এক ধরনের ক্ষোভ। সেই বাসের হেলপার বা ড্রাইভার, কেউ কি গ্রেফতার হয়েছে?
জিডি করা হয়েছিলো, এর পরে কি হয়েছে জানতে যাইনি।
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
সিমন নামের অহেতুক লম্বা আর খামোখা হাসিমুখ ছেলেটাকে আমিও যে ভালোবাসি সেটা আগে কোনোদিন বুঝিনি। গতকাল ওর আপডেট-এর দিকে চোখ রাখতে রাখতে কখন যে ভোর চারটা বেজে গেলো টেরও পাইনি। ওর ফেসবুক একাউন্টে গিয়ে পাখির বাচ্চার মতো মিষ্টি তান্তার ছবিটা দেখেই বুকটা কেমন হুহু করে উঠলো। আমার অস্থিরতা লক্ষ্য করে কন্যা নদী বললো--সিমনকে নিয়ে একটা কিছু লেখো। তাহলে মনটা হয়তো হালকা হবে ভেবে লিখেওছিলাম। কিন্তু ফেসবুকে ওটা আপলোড করার পর থেকে আরো বেশি বিষণ্ণ হয়ে পড়েছিলাম। সিমনকে চেনে না এমন কতোজন যে এসে শুভ কামনা জানালো!
তোমার লেখাটা খুবই হৃদয়ছোঁয়া হয়েছে সায়কা। তোমরা সচলের ছেলেমেয়েগুলো এতো শয়তান যে তোমাদের ভালো না বেসে পারা যায় না।
সিমন তুমি তাড়াতাড়ি আসো। এখানে একটা কমেন্ট করে যাও বন্ধু
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
করবে ভাইয়া, দোয়া করো ওর জন্য!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
সেরে উঠুন সিমন। ফিরে আসুন সবার ভালবাসায়।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
আমাদের সবার এতো প্রার্থনা আশা করি বিফলে যাবে না!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
সিমনকে ফিরে আসতেই হবে-
আশা রাখেন, দোয়া করেন ওর জন্য!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
সিমন সুস্থ হয়ে ফিরে আসো--এইটুকুই চাওয়া---আর কিছু নয়--
দাদা দোয়া করো!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
'তবে আশা রাখো। সিমন কোথাও যাচ্ছেনা!'
আশা রাখছি। সিমন শাহেনশাহ এর মতই ফিরে আসবেন।
আসবেই, ফর শিওর!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
সিমনের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
আশা করি খুব দ্রুতই সিমন আমাদের কাছে ফিরে আসবে!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
সেরে উঠুন শাহেনশা। প্লিজ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
খুবই খারাপ লাগছে এই দুঃসংবাদ শুনে। উনাকে আমি চিনতাম অন্য একটা টেলকোতে কাজ করার সুবাদে। ব্লগেও চিনি। কিন্তু জানতাম না যে উনিই সেই মানুষ। আজকে এভাবে পরিচয়টা জানতে হল! খুব হাসি খুশি ভালো ব্যবহারের মানুষ উনি। আমাদের অফিসে এসে মিটিং ও করেছেন। উনার দ্রুত এবং সম্পূর্ণ সুস্থতার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি।
খুব অস্বস্তিকর সময় কাটাচ্ছি।
শুধু আশাবাদী হওয়া ছাড়া আর কী বা করার আছে?
উনার সর্বশেষ খবর কেউ কি একটু জানাবেন??
২৯ মে, বিকাল ৫:৩০
১. লিকুইড খাবার দেয়া হয়েছে শরীর নিতে পারে কি না দেখার জন্য
২. কিডনীতে attack হয়ে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে হয়নি। ভাল খবর এটা।
বাকি সব আগের মতই। রক্ত আপাতত লাগছেনা
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আমার ছাত্রজীবনের এক বন্ধুকেও এভাবে বাসের হেল্পার চলন্ত বাসে উঠার সময় ভিতর থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছিল। আমরা দুজনেই বাসে ঊঠছিলাম - আমি আগে উঠে গিয়েছি আর ও আমার পিছন পিছন এসে উঠার আগেই বাস ছেড়ে দিয়েছে। দৌড়ে চলন্ত বাসের দরজার রেলিং ধরে ও শুন্যে উঠে পাদানির কিনারায় পায়ের অগ্রভাগটা প্রায় রেখেছে কি রাখেনি, এই অবস্থায় নামেন-নামেন বলতে বলতে হেল্পারের ধাক্কা। সাথে সাথে দ্রুতগামী বাসের রেলিং থেকে একটা হাত ছুটে যায় আর অন্য হাতটাও পিছলে বেরিয়ে যাচ্ছিল চোখের সামনে। ঝুলন্ত শরীরটাও খানিকটা ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিল। এই অবস্থায় দরজার কাছে দাঁড়িয়ে থাকায় আমি কোন চিন্তা না করেই ওর পিছলাতে থাকা অন্য হাতটা খপ্ করে ধরে ফেলি রিফ্লেক্স একশনে, আর আমাদের পরম সৌভাগ্য - আমার বন্ধুটিও সে যাত্রা কিভাবে যেন পতন সামলে নেয়।
এখন ভাবি, কি হত যদি সেদিন আমি ওকে ধরতে না পারতাম বা ও সামলাতে না পারত? আমার বন্ধুটি এখন তার নিজের পেশায় একজন লব্ধপ্রতিষ্ঠ বিশেষজ্ঞ ও পরিচিত স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ত্ব। তিনটি চমৎকার কন্যাসন্তানের গর্বিত পিতা। আমাদের বন্ধুত্বও আজও আগের মতই উষ্ণ ও অটুট। শাহেনশা সিমনের দুর্ঘটনার খবরটি পড়েই আঁতকে উঠে প্রথমেই আমার বন্ধুর সেদিনের কথাটা মনে পড়ে গিয়েছিল অনেক দিন পরে। কি পরিমান ভয় পেয়েছিলাম সেদিন সেই মুহূর্তে, আজ আর তা বলে বোঝানো সম্ভব না। শুধু কোন এক অদৃশ্য সত্তার কাছে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছি আমাদের বন্ধুত্বটা আজও অটুট আছে বলে, আমার জীবনটা আরও দরিদ্র হয়ে যায়নি বলে! (প্রিয় আত্নীয়-পরিজন-বন্ধুরাই তো জীবনের আসল প্রাচুর্য, তাই না?)
শাহেনশা সিমন ও তাঁর আত্নীয়-পরিজন-বন্ধুদের জন্যেও তাই অন্তরের অন্তঃস্থল থেকেই প্রার্থনা করি, তাদের বন্ধুত্ব ও ভালবাসাও যেন অটুট থাকে সুদীর্ঘকাল, বিকশিত হয় নিরবচ্ছিন্ন ভাবে। তিনি যেন তার প্রিয়জনদের মাঝে আগের চেয়েও জোরদার ভাবে ফিরে এসে নিজের ও তাদের জীবন আরও প্রাচুর্যময় করে তুলতে থাকেন।
****************************************
এন্টনী ভাই এর সর্বশেষ স্ট্যাটাসঃ
সিমনের চিকিৎসা ও এ ব্যাপারে কিছু তথ্য জানিয়ে রাখছি। আপনারা নিজ নিজ বন্ধুদের জানিয়ে রাখলে সুবিধা হয়
১। এই মুহূর্তে চিকিৎসার আর্থিক দিক টি দেখছে সিমনের চাকুরীরর কোম্পানি "এয়ারটেল"। পরিবারের পক্ষ থেকে এরকম কিছু চাওয়া হলে আপনারা প্রাথমিকভাবে আমার কাছ থেকেই জানবেন
২। রক্ত এই মুহূর্তে একসাথে অনেক লাগছেনা। কিন্ত ২-৪ ব্যাগ মাঝে মাঝেই ডাক্তারদের নির্দেশিত মুহূর্তে লাগছে। এই প্রক্রিয়া হয়তো আগামী এক মাস বা তারো বেশি সময় চলতে পারে। সহযোগীতার অনুরোধ রাখছি।
৩। প্রতিদিন বিকেলে ৫:৩০-৬:০০ টার দিকে ডাক্তার সিমনের বিগত ২৪ ঘন্টার উপরে সামগ্রিক তথ্য দেন। পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা কি জানলাম তা ফেসবুকে এবং উপস্থিত যারা থাকেন তাদের জানাই। আপনারা ঐ সময়ে মূলত আপডেট পাবেন। কেউ যদি এসে সরাসরি জানতে চান, অনুরোধ করছি আপনারা আপনাদের সারকেলের ১-২ জন কে পাঠাবেন যাতে তিনি আপনাদের সবাইকে জানিয়ে দিতে পারেন
৪। সিমনের সাথে ডাক্তারের নির্দেশনায় কাউকেই দেখা করতে দেয়া যাচ্ছেনা। বিশেষ ব্যবস্থায় শুধু পরিবারের ৩-৪ সদস্য দেখা করেন। আমাদের খারাপ লাগে আপনাদের মানা করতে। কিন্ত সিমনের ভালর জন্যই এটুকু মেনে নিতে অনুরোধ জানাচ্ছি
৫। এখনো পর্যন্ত পারিবারিক সিদ্ধান্ত, চিকিৎসা দেশেই চালিয়ে যাওয়ার। ডাক্তার রা এখনো আশাবাদী।
৬। এটা অনেক দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসা। প্রতিদিন হয়তো নতুন খবর, ভাল খবর পাওয়া যাবেনা।
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ঠিক দুই বছর আগে এভাবে এক দুর্ঘটনায় রাস্তার পাশে, খাদে পড়েছিলাম। সেদিন মরেও যেতে পারতাম।
এখনও বেঁচে আছি- ভাবতেই অবাক লাগে ভীষণ।
সিমন সেরে উঠবেন----
নতুন মন্তব্য করুন