প্রথম অধ্যায়
অনেকদিন পরে একদিন আমরা এই ঘটনাটা নিয়ে আলোচনা করছিলাম। তখন আমার মনে হয়েছিলো, ইউয়েলই সব ঝামেলার মূলে। কিন্তু জেমের মতে এই ঘটনার শুরু আরও আগে থেকে! ও আমার চার বছরের বড়, বুদ্ধিতেও কম না! জেম বললো, ডিল যেবার এসেছিলো, সেবারের গ্রীষ্মে বু র্যাডলিকে খেপানোর প্ল্যানটাই আছে এই সব কিছুর পেছনে!
আরও ভাবতে গিয়ে আমার মনে হলো, আসলে অ্যান্ড্রু জ্যাকসনই সবকিছুর হোতা! জেনারেল জ্যাকসন যদি ক্রিকদেরকে তাড়িয়ে ঝর্ণা পর্যন্ত না নিয়ে আসতো, সায়মন ফিঞ্চকে কেউ ঠেলেও অ্যালাবামা পর্যন্ত নিয়ে আসতে পারতো না তখন! আর তাহলে আমরাই বা এখন কোথায় থাকতাম? এই নিয়ে তর্ক লাগলো ঠিকই, কিন্তু এখন যেহেতু আমরা বড় হয়ে গেছি, তাই ব্যাপারটা হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ালো না। তার বদলে আমরা বাবাকেই জিজ্ঞেস করলাম। অ্যাটিকাস, আমাদের বাবা, বললেন যে, আমরা দু'জনেই নাকি ঠিক!
ঐতিহাসিক হেস্টিংস-এর যুদ্ধ নিয়ে আমাদের পরিবারের খুব বড় একটি লজ্জার ব্যাপার ছিলো। দক্ষিণের মানুষ হয়েও হেস্টিংস-এর যুদ্ধের কোনও পক্ষেই আমরা যোগই দিইনি! বড়াই করার মতো আমাদের ছিলো শুধু কর্নওয়েলের সায়মন ফিঞ্চ। ফাঁদ পেতে ফারওয়ালা পশু ধরা বা কবিরাজি ওষুধ বানানো, সব কাজের কাজীই সে! ভীষণ ধার্মিকও ছিলো সায়মন। তবে তার ধার্মিকতা আটকে যেত কেবল দান-খয়রাতে এসে। সে ব্যাপারে হাত খোলার মানুষ সায়মন ফিঞ্চ একেবারেই ছিলো না!
সায়মন যখন ইংল্যান্ডে ছিলো, তখন উদারপন্থী মেথডিস্টদের কাজকর্মে সে বিরক্ত হতো খুব। অবশ্য সে নিজেও মেথডিস্ট ছিলো। আটলান্টিক পার হয়ে ফিলাডেলফিয়া, জ্যামাইকা তারপরে মোবাইল কাউন্টি পার হয়ে সেইন্ট স্টিফেনস পর্যন্ত কাজ করার অভিজ্ঞতাও ছিলো তার!
জন ওয়েসলির তৈরি করা মেথডিস্টদের নিয়মনীতি মাথায় রেখে কবিরাজি ব্যবসা করেই সায়মন বিশাল বড়লোক হয়। সব সময় সে ভাবনায় থাকতো কখন কি পাপ করে বসে, আর এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় তার দিন কাটতো। একসময় অবশ্য গুরুর আদেশ ভুলে সায়মন তিনজন দাস কিনে ফেলেন। তাদের খাটিয়ে অ্যালাব্যামা নদীর পাড়ে, সেইন্ট স্টিফেনস থেকে মোটামুটি চল্লিশ মাইল দূরে বড়সড় একটা বাড়িও তুলে। সেন্ট স্টিফেনে ফিরেন সায়মন এরপর মাত্র একবারই, তাও নিজের জন্য একজন গৃহিণী জুটিয়ে নিতে! তাদের অনেকগুলো মেয়ে হয়, সংসারে বেশ সচ্ছলতাও আসে। সায়মন অনেক বয়স পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন, ধনী হিসেবে বেশ প্রতিপত্তি নিয়ে।
সায়মনের পরিবারের ছেলেদের জন্য স্বাভাবিক ছিলো পায়ের উপরে পা তুলে জমিদারী স্টাইলে জীবনযাপন করা। তাদের সম্পদের অভাব ছিলো না একেবারেই। আশেপাশের বিশাল বড়লোক এস্টেটের মতো না হলেও, ফিঞ্চ ল্যান্ডিং এ সব পাওয়া যেতো, সওওওব! শুধু বরফ, ময়দা, আর জামাকাপড় ছাড়া, সেগুলো বেনিয়ারা নিয়ে আসতো মোবাইল কাউন্টি থেকে।
সায়মন বেঁচে থাকলে দেশের উত্তর আর দক্ষিণের মধ্যে রাজনৈতিক ঝামেলা দেখে অবশ্যই খুব বিরক্ত হতো। এই ঝামেলায় তার উত্তরসূরিরা সব হারায়, শুধু তাদের জমিটুকু ছাড়া। বিংশ শতাব্দীর শুরু পর্যন্ত ফিঞ্চ পুরুষেরা থাকতোও ওখানেই। তারপরে আমার বাবা, অ্যাটিকাস ফিঞ্চ সব নিয়ম ভেঙ্গে আইন পড়তে চলে গেলো মন্টগোমারি, আর আমাদের ছোট চাচা গেলো বোস্টন, ডাক্তারি পড়তে। আমাদের ফুপু অ্যালেক্সান্দ্রাই ছিলো একমাত্র ফিঞ্চ যে আগলে রাখলো তাদের পৈত্রিক বসতবাড়ি। ফুপু যাকে বিয়ে করলেন তিনিও অত্যন্ত অলস মানুষ। সারাদিন নদীর পাশে হ্যামকে শুয়ে শুয়ে নদীতে পেতে রাখা জালে মাছ পড়লো কিনা এটা ভাবাই ছিলো তার কাজ।
আইন পড়া শেষে বাবা যখন আদালতে কাজ করতে শুরু করলেন, তখন তিনি মেকম এ ফিরে প্র্যাকটিস শুরু করেন। আমাদের শহর মেকম, ফিঞ্চ ল্যান্ডিং থেকে মোটামুটি ২০ মাইল দূরে, ছিলো মেকম কাউন্টির প্রশাসনিক সদর। অ্যাটিকাসের ছোট্ট অফিসটা ছিলো আদালত বিল্ডিং এই। অফিসে কেবল ছিলো একটা হ্যাট র্যাক, একটা পিকদানি, একটা চেকার বোর্ড আর একটা অ্যালাব্যামার আইনের একটা নিখুঁত কপি।
অ্যাটিকাসের প্রথম দুই মক্কেলই অ্যালাব্যামার জেলে ফাঁসী হওয়া শেষ কয়েদি। তাদের দুইজনকে বাবা অনেক বুঝিয়েছিল যেন তারা সেকেন্ড ডিগ্রি খুনের দায় স্বীকার করে আদালতে ক্ষমা প্রার্থনা করে। তাহলে জেল হলেও প্রাণে তো অন্তত বাঁচবে! কিন্তু সেই দুই ভাই ছিলো আবার হ্যাভারফোর্ড পরিবারের। পুরো মেকম কাউন্টি জুড়ে এদের বিশেষ পরিচিত নিরেট মূর্খ হিসেবে।
এরা এতোটাই গবেট যে তিনজন সাক্ষীর সামনে দুইজনে মিলে মেকম এর সবচেয়ে ভালো কামারকে মেরে ফেলে। তাও আবার সামান্য একটা মাদী ঘোড়াকে আটকে রাখা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির কারণে। নিজেদের পক্ষে তাদের সাফাই একটাই, সেই ব্যাটার এটাই ভবিতব্য ছিলো। হ্যাভারফোর্ডদের সাথে লাগতে আসার ফল কখনও ভালো হয়না। নিজেদের সামাজিক অবস্থান নিয়ে তাদের গর্ব এতোটাই বেশী ছিলো যে অ্যাটিকাস বার বার বলার পরেও তার খুনের দায় অস্বীকার করে। তারপরে যা হবার তাইই হয়। অ্যাটিকাসের করার কিছুই ছিলো না, আদালতে দাঁড়িয়ে তার দুই মক্কেলকে জেলে নিয়ে যাওয়া দেখা ছাড়া। এই ঘটনার পর থেকেই ফৌজদারি আইনের প্রতি অ্যাটিকাসের বিতৃষ্ণা চলে আসে।
মেকমে প্রথম পাঁচ বছর আমার বাবার খুব কষ্টের ছিলো। একটু সচ্ছলতা আসার পর থেকে অ্যাটিকাস ছোট চাচাকে পড়ার খরচ দিতে শুরু করে। জন হেইল ফিঞ্চ, আমাদের ছোটকা, অ্যাটিকাসের চেয়ে দশ বছরের ছোট ছিলো। বাবা বা ছোটকা কেউই বাপের জমিদারী ভেঙ্গে খাওয়ার পক্ষপাতী ছিলো না। তাই ছোটকা কিছুটা স্বনির্ভর হবার পরে অ্যাটিকাসের উপরে চাপ কমে যায় অনেকটা।
এই শহরটা অ্যাটিকাসের খুব পছন্দের। জায়গাটা তাকে জলদিই আপন করে নেয়, এখানে সবাই সবাইকে খুব ভালো করেই চেনে। আর সায়মন ফিঞ্চের বংশধর বলে এই শহরের প্রায় সবাই কোনও না কোনও ভাবে অ্যাটিকাসের আত্মীয়। মেকম বেশ পুরনো শহর, যখন আমি জন্মাই তখনকার মেকমকে আসলে বলা যায় একটা ক্লান্ত বুড়ো শহর। বৃষ্টির সময় রাস্তাগুলো ভরে যায় লালচে কাদায়, দুইপাশে ভরে থাকে অযত্নে বেড়ে উঠা ঘাসে। আর আদালত ভবনটা দেখলে মনে হয় ঘাড় গুজে বসে আছে শহরের একেবারে মধ্যে।
গরমের সময়টা খুব বিচ্ছিরি ছিলো আমাদের ওখানে, লোমশ কালো কুকুরগুলো বিশাল ওকগাছটার তলায় বসে মাছি তাড়াতো, হাঁপাতে হাঁপাতে! কড়া মাঢ় দেওয়া অফিস্যারদের শার্টের কলার ঘামে ভিজে কুঁচকে যেত সকাল নয়টার মধ্যেই, রান্নাবান্না শেষ করে দুপুরের মধ্যেই গোসল করে ফেলা গৃহিনীরা রাতের মধ্যে পাউডারের মন্ড হয়ে বসে থাকতো।
তখন সময়টাও ছিলো খুব আলস্য ধরানো, মানুষজন আস্তে ধীরে ঘুরে ফিরে বাজার করতো, খানিক আড্ডা দিতো স্কয়ারে বসে, চব্বিশ ঘন্টার দিনটা তাতে মনে হতো আরও লম্বা! কারও কোথাও যাবার জায়গাও ছিলো না,দামী কিছু কেনার পয়সাও ছিলো না, কাউন্টির বাইরে হাওয়া খেতে যাবার মতো কোনও জায়গাও নাই, তাই কোনও তাড়াহুড়োও ছিলো না বলা যায়! কিন্তু আমরা মানুষ হিসেবে আশাবাদী ছিলাম।
আমাদের বাড়িটা ছিলো শহরের পুরোনো আবাসিক এলাকায়, অ্যাটিকাস, জেম আর আমি, আমাদের ছোট্ট সংসার। আর আমাদের দেখাশোনার জন্য ছিলো ক্যালপুর্নিয়া। একা বাবা আমাদের বড় করছিলেন, কিন্তু এ নিয়ে আমাদের মনে কোনও দুঃখ ছিলো না কখনও। বাবা আমাদের সাথে খেলতো, আমাদের গল্প পড়ে শোনাতো, আর এমন ব্যাবহার করতো যেন আমরা তার সমান বড় মানুষ! আর আমাদের ক্যালপুর্নিয়া ছিলো একজন আজব মানুষ! খ্যাংরা কাঠির মতো শুকনো, চোখে কম দেখতো বলে সবসময় ভুরু কুঁচকে তাকাতো, হাতগুলো ছিলো যেন দরজার পাল্লা, আর সেরকমই শক্ত! সারাক্ষণ আমার পেছনে লেগে থাকতো, রান্নাঘরে ঢুকতে দিতো না! আমি কেন জেমের মতো ভদ্র না এই নিয়ে আমার কানের পোকা নাড়িয়ে দিতো! আরে বাবা, জেম তো আমার চেয়ে বয়সে বড়, এই ছোট্ট জিনিসটা ক্যালের কখনও মনেই থাকতো না। আমি কোথাও খেলা শুরু করলেই ও আমাকে বাড়িতে ডেকে পাঠাবে এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নাই! আমাদের মধ্যে সারাক্ষণ যুদ্ধ লেগে থাকতো যার নিশ্চিত বিজয়ী সবসময়েই ক্যাল! আর তার কারণ আর কেউ নয়, অ্যাটিকাস! বাবা সবসময়েই ক্যালের পক্ষ নিবে। সেই জেমের জন্ম থেকে ক্যাল আমাদের বাড়িতে আছে, আর আমাকে তো প্রায় জন্ম থেকেই বকে চলেছে বলা যায়।
মা যখন মারা যায় আমার বয়স তখন মাত্র দুই, তাই মায়ের কোনও স্মৃতিই আমার নেই বলা যায়। মা ছিলো মন্টোগোমারির গ্রাহাম পরিবারের, বাবা-মায়ের পরিচয় হয় তখন যখন অ্যাটিকাস প্রথম সরকারী পক্ষের উকিল নির্বাচিত হয়। বাবা মায়ের চেয়ে প্রায় পনেরো বছরের বড় ছিলো! বিয়ের প্রথম বছরেই জেম জন্মায়, আর আমি আসি তার চার বছর পরে। আমার জন্মের দুই বছর পরেই হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হয়ে মা মারা যায়। মায়ের পরিবারের প্রায় সবারই নাকি হার্ট দুর্বল ছিলো। আমি আসলে মাকে মনেও করতে পারি না জেমের মতো। জেমের তো মাকে পরিস্কার মনে আছে। কখনও কখনও আমাদের খেলার মাঝখান থেকে দীর্ঘশ্বাস ফেলে জেম উঠে যায়, গ্যারাজের পিছনে গিয়ে একা একা খেলে। এরকম সময়ে আমি পারতপক্ষে ওর কাছে ঘেঁষি না।
জেম যখন প্রায় দশ বছরের আর আমি ছয়, তখন আমাদের গ্রীষ্মের খেলাধূলার সীমা ছিলো মিসেস হেনরি লাফায়েট ডুবোসের বাড়ি পর্যন্ত। মিসেস ডুবোসের বাড়ি ছিলো আমাদের দুই বাসা পরে উত্তরে, যতদূর পর্যন্ত ক্যাল ডাকলে আমরা শুনতে পাই। র্যাডলিদের বাড়িটা ছিলো দক্ষিনে, আমাদের তিন বাসা পরে। আমরা কখনই ক্যালের সীমা পার হতাম না, র্যাডলির বাড়িটা ভুতুড়ে ছিলো, ওটার ধারে কাছে যাবার কথা চিন্তাও করা যেতোনা, আর মিসেস ডুবোস ছিলো পুরাই নরক!
সেই গ্রীষ্মেই ডিল আমাদের এলাকায় বেড়াতে এলো!
(চলবে)
--------------------------------------------
শুভ নববর্ষ!
গত বছরটা আমাদের দিয়েছে যেমন অনেক কিছু তেমন কেড়েও নিতে ছাড়েনি। আশা করা যায় এই নতুন বছরের ব্যালেন্স শিটে প্রাপ্তির পাল্লা ভারী থাকবে।
হারপার লী এর 'টু কিল এ মকিংবার্ড' আমার সবচেয়ে প্রিয় বই। খুব আপসোস ছিলো এর অনুবাদ পড়তে পারিনাই বলে। কিছুদিন আগে আমার ছোট বোনকে পড়তে দিলাম বইটা, দুদিন বাদে বই নিয়ে এসে সে অনুযোগ করলো যে বইয়ের ভাষা খুব খটমটে, পড়ে ও কিছু বুঝছেনা। ওকে নিয়ে কয়েক পাতা অনুবাদ করে পড়ে বুঝিয়ে দিতে গিয়ে ভাবলাম লিখে ফেলি, তারপরে জুন ভাই এর সাথে আলোচনা করে সাহস করে একদিন শুরু করে দিলাম। তারপর যা বুঝলাম তা হলো, এতোদিন ছোটখাটো গল্প অনুবাদ করেছি কেবল, এই বই অনুবাদ করতে হলে অনেক রিসার্চ প্রয়োজন, অনেক বাক্যের মানে বুঝতেও কষ্ট হচ্ছিলো খুব। বহু কিছু পড়েটড়ে এই যা দাঁড় করিয়েছি। পড়ে জানান যে আর এই ছোট্ট মাথাটা ঘামাবো নাকি!
মন্তব্য
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
বছরের প্রথম দিনেই ইটা মারলেন? পারলেন ভাই?
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
কামারুমুক্ত নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
(আবার কামারুর মত সময় নেবেন না যেন)
তাত্তারি পরের পর্ব দ্যান, নাইলে তালগাছ মারুম।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
সামনের সপ্তাহেই পরের পর্ব দিতে পারবো আশা করি!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
দারুণ! একদম ঝরঝরে। সেবাপ্রকাশনীর ক্লাসিক অনুবাদগুলোর মত। লরা ইংগলস ওয়াইল্ডারের বই এর স্বাদ পাচ্ছিলাম যেন শুরুর এই অংশটাতে।
দ্রুত পরের পর্ব ছাড়বা। বেশিদিন যেন দেরী করা না লাগে।
অনুবাদ শুরুতে কষ্ট হয় খুব। আরো দুয়েক চ্যাপ্টার পর দেখবা অভ্যাস হয়ে যাবে। বসলেই কয়েক পাতা করে ফেলতে পারবা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ভাল্লাগলো! সেবার অনুবাদের জুড়ি নেই, এটা যদি তার ধারেকাছেও যায় তাহলেও খুব খুশী হবো!
৭ দিন দিয়েছি নিজেকে ডেডলাইন!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ঘামানোর জন্য ছোটো মাথাই উত্তম তাই অবশ্যই ঘামাবেন। খুব ভালো লেগেছে পড়তে।
নতুন বছর ভালো কাটুক।
স্বয়ম
ধন্যবাদ স্বয়ম, শুভ নববর্ষ!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
দুই বছর পরে লিখলে। এইভাবে যদি দুই বছর পর পর যদি একটা করে পর্ব আসে তাহলে এই জীবনে এই বই পড়ে শেষ করতে পারবো না
লেখা ভালো লাগলো।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লেখা হতোনা ভাইয়া! আসলে ইচ্ছা এই যেন এই এত্তো সুন্দর বইটা সবাই সহজে পড়তে পারে!
যদি কোনও ফিডব্যাক থাকে যে আরও ভালো কিভাবে করা যায়, প্লিজ দিও!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
পরের পর্ব আসুক বালিকা!
আসবে আপু, আশা আছে!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
বাহ, দারুণ ঝরঝরে লাগলো। দ্রুত নামতে থাকুক একেক পর্ব। সাত দিন দেওয়া যাবে না, তিন দিন পরপর চাই।
থেঙ্কু ভাইয়া!
তিনদিনের ডেডলাইন নিতে পারবো কিনা জানিনাগো, তবে চেষ্টা করবোই!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
বইটা অনেক বার শুরু করি করি করেও করা হয় নাই। অনুবাদ দিয়েই শুরু করলাম। এইটা থামাইলে কিন্তু খবরাছে।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আচ্ছা বাবা, থামাবোনা। বইটা কিন্তু বেশ বড়, তাই পোস্টের সংখ্যাও বেশীই হবে। তখন কিন্তু মাইরোনা!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
অকা মারব না।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
বেশ চলুক!
দোয়া রাইখেন।
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
অনুবাদ একটা থ্যাংক্সলেস জব।
শুরু করাটাই সাহসের কাজ। শুরু করেছেন, অভিন্দন। শেষ ও করবেন নিশ্চিত।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
মোরশেদ ভাই, অনেক ধন্যবাদ।
শেষ করার আশা রাখি!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
খুব সুন্দর ঝরঝরে অনুবাদ। পুরোটা পাবো, প্রবলভাবে এই আশা রাখছি।
নূতন বছরের শুভেচ্ছা!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ধন্যবাদ লহমা দা/দি (বহুদিন এইপানে আনাগোনা নেই বলে স্ত্রী-পুরুষ গুলিয়ে খেয়েছি! )
আশা করি। আজ-কাল-পরশুর মাঝেই একখান পাবেন হয়তো!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
দা/ দি দুইটাই
লহমা দা/দি, মিতুল কই?
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
বন্ধ করিস না। আমি এই বই পড়িনাই। অনুবাদ পড়ুম।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
এইডা কি কইলা! এখন তোমার দিন তারিখ আসার আগে দেখি এইটা শেষ করা লাগবে! সব্বোনাশ! এইটা বাপ-মায়ের পড়ার জন্য খুব সুন্দর একটা বই। অ্যাটিকাসের পরিবার বড় বেশীই কিউট!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
বাহ। পরের পর্ব কই? এক পর্ব দিয়ে দুই সপ্তাহ ধরে চা খেলে চলবে?
চা খেয়ে খেয়ে আলসার বানিয়ে ফেললাম বলতে পারো!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
মুভিটা দেখেছি কিন্তু আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে এক্ষনি বইটা পড়ি। আপনার অনুবাদ কবে শেষ হবে???
দোয়া রাইখেন, দুইবছরে যখন হইলোনা তখন আর কি কমু!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
সুন্দর
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
নতুন মন্তব্য করুন