সুমনার হার্টের অসুখের কথা আত্মীয়স্বজনদের সবাই জানেন, তাই খুব সাবধানে, যেন চমকে না যান এইভাবে সুমনাকে তার স্বামীর মৃত্যুসংবাদ জানানো হলো।
হুট করে এরকম দুঃসংবাদ পেলে অনেকেই যেমন পাথরের মতো শক্ত হয়ে যায়, কিছু বুঝে উঠে পারেনা সাথে সাথে, মিসেস সুমনার ক্ষেত্রে এরকম কিছুই হলো না। খবর শুনেই উনি ডুকরে উঠলেন, বিভ্রান্ত, দিক-ভ্রষ্ট বন্য পশুর অসহায় এক কান্না, বোনকে জড়িয়ে ধরে, সে দৃশ্য দেখে যে কারও চোখের কোল ভিজে উঠবে! কান্নার দমকটা কমলে নিজেকে একটু সামলে নিয়ে ছাদের ঘরে গেলেন সুমনা, একা, কাউকে সাথে আসতে দিলেন না, উনি কিছুক্ষণ একা থাকতে চান!
দরজাটা খুলে রেখে নিজের বড় আরামকেদারাতে বসে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন সুমনা। গভীর বিষাদ মানুষকে খুব সহজেই শারীরিক ও মানসিক ভাবে ক্লান্ত করে ফেলে!
ছাদটা বেশ বড়, ছাদের রেলিং এর বাইরে থেকে বাড়ির পাশের গাছের মাথা দেখা যায়, গাছগুলোতে নতুন পাতা এসেছে, কচি সবুজ পাতা বসন্তের মৃদু বাতাসে দোলা খাচ্ছে। গতকাল রাতের অসময়ের বৃষ্টির রেশটা এখনও পাওয়া যাচ্ছে একটু একটু। সবজীর ভ্যানওয়ালার হাঁকডাকও শোনা যাচ্ছে মনে হয় রাস্তার মোড় থেকে, দূরে কেউ গান গাইছে, হয়তো রোজ সকালে রেওয়াজ করা মেয়েটার অভ্যাস, আগে কখনও খেয়াল করে শুনে দেখেননি সুমনা। আশপাশ থেকে নানারকম পাখির ডাকও শোনা যাচ্ছে, চারপাশে এতকিছু হয়, কখনও ঠাহর করে দেখার ফুরসৎ পাননি বলেই হয়তো আজ এতো অবাক হচ্ছেন তিনি।
আকাশে এখনও মেঘের আনাগোনা, একটার উপরে আরেকটা মেঘ জমে জমে না জানে কয়তলা উঁচু হয়েছে ভেবে আনমনে একটু হাসলেন সুমনা। আরামকেদারার আরাম করে ঘাড় হেলিয়ে বসে আছেন তিনি, অনেকক্ষণ ধরে একই ভাবে, মাঝে মাঝেই কান্নার রেশটা টের পাওয়া যাচ্ছে, হালকা হেঁচকি আসছে এখনও। কেঁপে উঠছেন তিনি, যেভাবে খেলনা চেয়ে না পাওয়া ছোট্ট বাচ্চাটা ঘুমের মাঝেও কেঁদে উঠে!
সুমনার বয়েস খুব বেশী না, শান্ত ফর্সা মুখে ছোট ছোট কিছু কাকের পায়ের ছাপ পড়েছে, তাতে তাকে যতটা বয়স্ক লাগে তার চেয়ে অনেক বেশী পরিচয় পাওয়া যায় তার মানসিক দৃঢ়তার। কিন্তু এখন যে দৃষ্টিটা তার চোখে, বহুদূরের দিকে তাকিয়ে আছেন যেন তিনি, ভাবলেশহীন সে চোখদুটো দেখে মনে হবে কি যেন এক গভীর ভাবনায় ডুবে আছেন তিনি, চারপাশের দিকে বিন্দুমাত্র মনোযোগ না দিয়ে।
হঠাৎ দেখলেন কিছু একটা ছুটে আসছে তার দিকে, খুব আবছা রহস্যময় কিছু একটা, তিনি ভয় পেয়ে গেলেন! আকাশের এক কোণ থেকে কিছু একটা তীব্র গতিতে তার দিকে ছুটে আসছে টের পাচ্ছেন সুমনা, এগিয়ে আসছে আশেপাশের, শব্দ, গন্ধ, রংগুলো ছাপিয়ে কেবল তারই দিকে!
সুমনার ভিতরটা কেঁপে উঠলো, অদ্ভুতভাবে! তিনি আচ্ছন্ন হয়ে গেলেন পুরোপুরি। তিনি প্রস্তুত ছিলেন না, তাই হঠাৎ এই ধাক্কায় চমকে গেলেন, নিজেকে আটকে রাখতেও পারলেন না কোনোভাবে! অস্ফুটে তার মুখ থেকে একটা শব্দ বেরিয়ে এলো, ‘আহ!’ আগের শূন্য দৃষ্টি আর স্তব্ধ ভাবটুকু মিলিয়ে গেলো আস্তে আস্তে। খুব আস্তে তার মাথায় যেন অক্ষর সাজিয়ে একটি লেখা ফুটে উঠলো, ‘স্বাধীনতা!’ চোখ উজ্জ্বল হয়ে আসলো, নিঃশ্বাস স্বাভাবিক হতেও সময় লাগলো না খুব বেশী। প্রতিটা হৃৎস্পন্দনের সাথে সাথে শান্ত আর সংযত হয়ে উঠলেন সুমনা।
ঠাণ্ডা মাথায় ভাবতে গেলে যা হয়েছে তা কোনও স্বাভাবিক মানুষ কারও জন্য চায় না। মিজান সাহেবের লাশ পাওয়া গেলে সুমনার অনেক কষ্ট হবে তা সত্যি, তবে যে মানুষটা তাকে কোনোদিন ভালোবাসেনি, তার ঠাণ্ডা, ফ্যাকাসে মৃত মুখ সুমনার মধ্যে এর বেশী কোনও অনুভূতি নিয়ে আসবে বলে মনে হয় না। সেই শীতলতাটুকু এড়িয়ে গেলে সামনের যে শান্ত, সুস্থির একলা থাকার আনন্দটা তিনি উপভোগ করবেন তা ভেবে তার খারাপ লাগাটুকু কমে গেলো।
আর কারও জন্য আর তাকে এখন বাঁচতে হবে না, তিনি শুধু নিজের জন্যেই বাঁচবেন! কারও সুখ দুঃখের খেয়াল আর রাখতে হবে না সুমনাকে, কারও সূক্ষ্মভাবে চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্তকে নিজের বলেও মানতে হবে না। ব্যাপারটা আনন্দের তো অবশ্যই, তাই না?
তারপরেও সুমনা মিজান সাহেবকে ভালোবাসতেন, মাঝে মাঝেই। এই ব্যাপারটা হয়তো এতোগুলো বছর একসাথে থাকার ফলেই তৈরি হয়েছিলো, হয়তোবা না। কে জানে! কিন্তু এখন এই সব কিছু থেকে তিনি মুক্ত!
এদিকে সেলিনা ছাদের ঘরের দরজার পাশে দাঁড়িয়ে ভেতরে কি হচ্ছে বোঝার চেষ্টা করছিলেন। একসময় আর থাকতে না পেরে সুমনাকে ডাকলেন, ‘আপা, দরজা খোল, এরকম করিস না, শরীর খারাপ করবে, প্লিজ দরজা খোল!’
না, সুমনার শরীর খারাপ করবে না। নিজের মধ্যে যে প্রাণপ্রাচুর্য টের পাচ্ছেন সুমনা তাতে আর যাই হোক, তিমি অসুস্থ হবেন না!
সামনের দিনগুলো শুধুই তার একার, গরমের দিন হোক বা শীতের, কেউ তাতে ভাগ বসাতে আসবেনা। সুমনা আরও অনেকদিন বাঁচতে চান, আরও অনেক দিন!
সেলিনার জোরাজুরিতে একসময় দরজা খুলতে বাধ্য হলেন সুমনা। উজ্জ্বল চোখে ফুরফুরে মন নিয়ে ঘর থেকে বের হলেন তিনি, খুব বড় কোনও প্রতিযোগিতা জিতে এসেছেন মনে হচ্ছে তার, বোনের হাত ধরে সিঁড়ি ঘরের দিকে এগোলেন তিনি। উদ্বিগ্ন রকিব সাহেব দাঁড়িয়ে আছেন তখনও সিঁড়ির নীচে।
সামনের দরজায় শব্দ শুনে সবাই ফিরে তাকালেন। মিজান সাহেব দরজা ঠেলে ঢুকছেন, দীর্ঘ যাত্রায় ক্লান্ত চেহারা, হাতে বড় ওভার নাইট ব্যাগ আর ছাতা। দুর্ঘটনার জায়গা থেকে বেশ দূরে ছিলেন তিনি, এমনকি দুর্ঘটনার খবরটা পর্যন্ত জানেন না মিজান সাহেব। খুব সামান্য সময়ের জন্য ট্রেন মিস করায় ভাড়া গাড়িতেই রওনা হয়েছিলেন উনি, আর স্বভাব বশতই সে খবরটুকু বাসায় জানানোর প্রয়োজন বোধ করেন নাই। সেলিনার তীক্ষ্ণ চিৎকারে অবাক মিজান সাহেবের সামনে দিয়েই দৌড়ে সিঁড়িতে উঠলেন রকিব সাহেব!
ডাক্তার এসে মৃত্যুর কারণ বললেন শক! মিজান সাহেবের হঠাৎ ফিরে আসা সুমনার দুর্বল হার্ট সয়ে উঠতে পারেনাই। প্রচণ্ড খুশিতেও মানুষ নাকি অনেক সময় মারা যায়!
--------------------
আমার অনুবাদের শুরু সচলায়তনেই, একসময় অনুবাদের গুরুও সচলায়তন থেকেই পেয়ে যাই। সন্ন্যাসী- সমবয়সী না হলেও বন্ধু, আমার সবচেয়ে প্রিয় বইগুলোর একটা, 'থ্রি কমরেডস' এর অনুবাদকও তিনি। আর আমার জন্য, কিভাবে আরও ভালো অনুবাদ করা যায় তার শিক্ষকও বলা চলে। খারাপ লাগে এখন, কোনও গল্প অনুবাদ করবো ভাবলেই, করেই সাথেসাথে দেখানোর আর কেউ থাকলো না।
মূল গল্পটা কেট শ্যোপার, 'স্টোরি অফ অ্যান আওয়ার'। আমার ভাবানুবাদ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটকে মাথায় রেখে।
http://americanliterature.com/author/kate-chopin/short-story/the-story-of-an-hour
মন্তব্য
অনুবাদ ভাল লাগছে।
বিবাহিত লোকজন এইসব গল্পের সাথে ভাল রিলেট করতে পারে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ধনেপাতা।
এখন তুমিও তো বিবাহিত মিয়া!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আমার ভাল লেগেছে। অনুবাদের মাথা ধরা ভাবটা নেই।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
ধন্যবাদ আপু। আরও ভালো করার মতো কোনও সাজেশন থাকলে জানাবেন!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ক্যাটেগরির অনুবাদ লেখাটা চোখ এড়িয়ে গিয়েছিলো। গল্পের শেষে উল্লেখ না থাকলে ধরতেই পারতামনা এটা অনুবাদ গল্প।
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
চেষ্টা সফল হয়েছে তাহলে!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
১০০%
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
দুঃখের গল্প। কিন্তু সুমনার ফুরফুরে মনে ঘরে ঢুকা আর সাথেসাথে মিজান সাহেবের দরজা ঠেলে ঘরে ঢুকার দৃশ্যটার জায়গাতে আসতেই খ্যাক করে হাসি পেয়ে গেল। কি করবো, সর্যি!
****************************************
আগেত্থেইকাই জানতাম আপ্নে লুক ভালুনা!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
খুব বেশি ভালো ছিল। গল্পে একদম ডুবে গিয়েছিলাম।
অনেক ধন্যবাদ!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
শেষ বাক্য!!!!!! অনুবাদ মোর দ্যান সার্থক।
...............................................................
“আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস”
অসংখ্য ধন্যবাদ!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
কল্যাণ হউক!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
অনুবাদ বেশ ঝরঝরে ছিল। শেষটুকু পড়ে মনে হলো গল্পের এই থিমটা আমার মাথায়ও ছিল একটা বাস্তব ঘটনার অভিজ্ঞতার ফসল হিসেবে। আরো অনুবাদের কাজ করতে পারেন।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ধন্যবাদ নীড়দা, আমার পছন্দের বিষয়ই অনুবাদ!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
সাবলীল অনুবাদ বালিকা । মাঝি ভাইয়ের মত আমারও ঐ জায়গাতে হাসি পাইলো যে
হ, কি আয়রনি!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ভালৈছে
অজ্ঞাতবাস
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ঝরঝরে আনুবাদ। তবে একটা ব্যাপার বুঝলামনা যেটা হলো এটা যেহেতু অনুবাদ, কোন এ্যাডাপটেশান বা মূল কাহিনীর ছায়া অবলম্বনে লিখিত কিছু না, চরিত্রের মূল নামগুলো কেন দেশি নামে বদলে দিলেন। অনুবাদে কি এটা করা যায়?
রাজিব মাহমুদ
এটা ভাবানুবাদ, সেটা গল্পের শেষে বলা আছে। আর এই গল্পটা বিদেশী, আমি অনুবাদ করেছি মূল ভাবটা ঠিক রেখে সবাইকে বাংলাদেশে নিয়ে এসে। বাংলাদেশী মানুষের গল্পে দেশী নামই তো থাকবে তাই না?
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
নতুন মন্তব্য করুন