‘আমি যেন এই সবুজ জামাটা বিকেলে না দেখি তোমার গায়ে। না, খবরদার কমলা গেঞ্জিটা পড়বা না তাই বলে। নীল শার্ট দিলাম যে, কালো চেক-চেক…’
না, ভাববো না। ঘুমাবো আমি! বাজুক আড়াইটা। জ্বলুক বাতি। উঠবো না। কোন চিন্তা আসতে দেবো না মাথায়। তোমার চিন্তাও না। ছেড়ে দাও, প্লিজ। চলে যাও। আমি অ্যাক্যুস্টিকের টুং-টাং শুনতে শুনতে ঘুমাই। নাম কী এটার? শুনেছি বলে তো মনে পড়ছে না। সত্তরের ঘরের হতেই হবে। আহ, কমিউনিকে। নিউজ? নাহ, শুনি নি আগে। না, ঘুমাবো আমি। দেখবো না কিছু। খুলবো না চোখ। খুঁজবো না লিরিক।
‘শি টেল হিম দ্যাট হি’জ ক্রেইজি। ইয়েস শি’জ সেয়িং লিসেন, বেবি। আই’ম ইয়োর ওয়াইফ। ইয়াহ শি টেল হিম দ্যাট হি’জ ক্রেইজি ফর গ্যাম্বলিং উইথ হিজ লাইফ…’
কিছু শুনছি না আমি। কোন খুঁত ধরছি না। আর ধরি না খুঁত। আর বলে না কেউ স্থির হতে। আর কেউ ভ্রুকূটি করে না শিশুতোষ দুরন্তপনায়। না, আমি কোন মুখ ভেসে আসতে দেবো না। ঘুমাবো আমি। কত রাত ঘুমাই না! না, দেখবো না আমি । উহু, হাসলেও দেখবো না। আমার জন্য হাসলেও না।
‘হি স্টিকস টু হিজ গানস। হি টেকস দ্য রোড অ্যাজ ইট কামস। ইট টেকস দ্য শাইন অফ হিজ শুজ। হি সে ইটস এ শেম…’
আমার জন্য হাসলেও দেখবো না? সেই যে হাসিটা, কত্তদিন দেখি না। না! হাসি থাকুক! রাগ দেখবো না। বদলায় না কেন চেহারাটা? এটা দেখবো না। আমি যেমন চাই, তেমনটাই কেন হয় না?
‘না, সব শেষ। আরো অনেক আগেই।’
না, এসব কেন? আমি ঘুমাবো। প্লিজ! চাইনা ভাবতে। কোন কিছুই না। না, দেখতে চাই না। না, এই চেহারা না। কান্না দেখবো না। না, রাগও না। হাসিটা চলে গেল কোথায় যেন। ধুর, কী সব ভাবছি এসব। ঘুমাবো আমি। আমি কিছু দেখছি না। দেখতে পারি না। আমার চোখ বন্ধ। সব অন্ধকার। না, কেউ নেই। আমি একা এখানে। বেড়ার ভেতর একশ’ ভেড়া। একটা ছুটলো। ঐ যে আরেকটা।
‘ঘর থেকে বের হবার আগে আয়নার দিকে একবার তাকাতে এত কষ্ট কেন তোমার? গালের অবস্থা শুকিয়ে কাঠ, একটা ক্রিমও নাই ঘরে? দাঁড়াও! দেখুক যে দেখার! ’
দরকারের সময় ভেড়াগুলো কোথায় গেল সব? না, আমি দেখবো না। আমি কিছু দেখবো না। ঘুমাবো। আলো জ্বললে তো প্রেত কাছে আসার কথা না। না, আমি নিজের মনেও কিছু দেখছি না। অন্ধকার, সব অন্ধকার। আর সব মনের ভুল। ভুল কি শুধুই মনের? উফ, নাহ, সব মনের ভুল। চুপ! সব চুপ! ঐ যে ভেড়া! সাতানব্বই… পঁয়ষট্টি… আটাশ…
মন্তব্য
ধন্যবাদ।
অর্থ বুঝা নিয়া আগের পর্বের মতই। আপাতত এক্সপ্রেশনের গতিতে মুগ্ধ।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
প্রতি-মন্তব্যও তাহলে আগের মতই!
আমিও মন্তব্য করতে পারছিনা। খালি ভাবছি আমার অন্যতম প্রিয় ব্লগারের হঠাৎ কী হল!
ব্লগারের কী হল? মার্কেজের এরেন্দিরা থেকে বলি: ইউলিসিস একবার এসে ওর মাকে বলল, সে কোনো কাঁচ ধরলেই সেটা নাকি নীল হয়ে যায়। তখন ওর মা সাংঘাতিক অভ্যস্ত ভঙ্গিতে বলল, ওও, তুই নির্ঘাত প্রেমে পড়েছিস।
ইউলিসিস এরেন্দিরার প্রেমে পড়েছিল, ইশতিয়াক কার?
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
মহাশয়, এই মৌনচিত্রের সমস্যাটা প্রেমে পড়া না, প্রেম পালিয়ে যাওয়া!
নতুন মন্তব্য করুন