ওওওওওবামা!

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি
লিখেছেন ইশতিয়াক রউফ (তারিখ: শুক্র, ০৪/০১/২০০৮ - ১০:০৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইতিহাসটা শেষ পর্যন্ত হয়েই গেল।

স্বপ্নের রাজনীতি পৃথিবীতে বিরল না। প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগান বিখ্যাত 'মর্নিং ইন অ্যামেরিকা'য় স্বপ্ন দেখেছেন ছোট্ট পাহাড়ের উপর সুন্দর সূর্যোদয়ের। অন্য প্রান্তে বাংলাদেশের পতিত স্বৈরাচার স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে পীরের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। বিপরীতে আশার রাজনীতি বিরল। প্রতিশ্রুতির রাজনীতি থাকলেও আশার রাজনীতি ছিল না।

পৃথিবীর ইতিহাসে খুব কম রাজনীতিকই স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে আদর্শের কথা বলে গেছেন। প্রতিরোধ ছিল, প্ররোচনা ছিল, প্রলোভন ছিল। রাজনীতির প্রান্তরে বহু রাজনীতিক সত্ত্বা বিসর্জন দিয়ে গেছেন। এব্রাহাম লিংকনের মত একজন মানুষ বদলে দিতে পেরেছিলেন একটা প্রজন্ম। বহুকাল পর ইলিনয় আবারো পৃথিবীর রাষ্ট্রপতির আসনের জন্য কাউকে পাঠাল। প্রথম ঝাড়ুদারের মত করেই প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ জিতলেন প্রাইমারি ইলেকশন।

যুদ্ধবাজি, টাকার খেলা, আর হুমকি-ধামকির মুখে আদর্শ আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকা যায় আজও। তৃণমূল পর্যায়ের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মানুষগুলোর নগণ্য অনুদানের টাকায় গড়ে তোলা ক্যাম্পেইনে সঙ্গী ছিল শুধু আদর্শটুকুই। ভাবতে অবাক লাগে। এযুগেও সম্ভব?

২০০২ সালে ইরাক যুদ্ধে যাবার বিপক্ষে পথে নামা একজন রাজনীতিক আজকে প্রাইমারি জিতেছেন।

বিনা প্রশ্নে শত্রু-মিত্র নির্বিশেষে ইরান-কিউবা-উত্তর কোরিয়া সহ সব দেশের সাথে খোলা মনে কথা বলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সবার কাছে নিন্দিত হবার পরেও নিজের মতে অটল থেকেও বারাক ওবামা প্রাইমারি জিতেছেন।

মাঝের নাম 'হুসেইন', বাবা মুসলিম, শেষনাম ওসামা'র কাছাকাছি, ইন্দোনেশিয়ায় শৈশব কাটানো, হাওয়াইয়ে জন্ম নেওয়া একজন ব্যক্তি ফক্স নিউজের নিরন্তর টিটকারি উতরে এগিয়ে চলা রাজনীতিক প্রাইমারি জিতেছেন।

সবদিক থেকে নীতিবান ও সহিষ্ণু থাকার পরও ডেমোক্রেটিক পার্টির সমগ্র এস্টাবলিশমেন্টের বিষোদ্গার সহ্য করে শীর্ষে বারাক ওবামা। বিল ক্লিনটনের মত কাল্ট নেতার কটাক্ষও পারেনি সাধারন মানুষের পছন্দকে নাড়াতে। কৈশরে গাঁজা খাওয়ার কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করার পরেও না।

পৃথিবীর মানুষের সমালোচনাগুলো অবশেষে পথ খুঁজে পাচ্ছে আমেরিকার শাসনকেন্দ্রে। বলা হচ্ছে বারাক ওবামা আমেরিকাকে পৃথিবীর উপহার। বলা হচ্ছে সাম্প্রতিক ইতিহাসে পৃথিবীব্যাপী আলোড়ন তোলার মত সবচেয়ে বড় ঘটনা এই প্রাইমারি ইলেকশন।

২০০৪ সালে জন কেরির ইলেকশনের সময় দেওয়া বিখ্যাত ভাষনে বলা 'দেয়ার ইজ নো রেড আমেরিকা, দেয়ার ইজ নো ব্লু আমেরিকা, দেয়ার ইজ ওনলি পার্পল আমেরিকা'র আহবান নিয়েও জেতা যায়।

অবিশ্বাস্য। অকল্পনীয়। লোমহর্ষক। আশাতীত।


মন্তব্য

থার্ড আই এর ছবি

এতো উতলা হইয়েননা ভাইজান!! সমীকরণটা মনে হয় এতটা সহজ না। আম্রিকা বলে কথা। নাটাইয়ের সুতা ছাড়ছে মাত্র, একবার গোত্তা খাইলে বক্কাট্টা হইয়্যা যাইবোগা।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

কথা সত্যি, তবে আমি আশাবাদী। জো বাইডেন মুখ ফসকে একবার আসল কথাটা বলে ফেলেছিলেন -- বারাক ওবামা প্রথম ভায়াবল কৃষ্ণাঙ্গ প্রার্থী। শুধু বর্ণের কারণে পিছিয়ে থাকার একটা বড় সম্ভাবনা ছিল। আইওয়ার মত ৯৫% শ্বেতাঙ্গ রাজ্যে ওবামার প্রাইমারি জেতা অনেক বড় ঘটনা। আমেরিকা একজন কৃষ্ণাঙ্গ রাষ্ট্রপতির জন্য তৈরি। এই অবস্থান থেকে ওবামার পতনের কারণ একজনই হতে পারে -- ওবামা স্বয়ং। শেষ পর্যন্ত নমিনেশন/প্রেসিডেন্সি যার কাছেই যাক না কেন, ওবামা এতদূর আসতে পারা বিশাল ব্যাপার। প্রার্থী হিসেবে ওবামার লাইকেবিলিটি সবার চেয়ে বেশি। দেখার ব্যাপার একটাই, এই লাইকেবিলিটিকে ইলেক্টেবিলিটিতে রূপান্তরে এই জয় কতটা সাহায্য করে।

সৌরভ এর ছবি

আমার কখনোই মনে হয় না, আমেরিকান জনমতের পক্ষে বারাক হুসেইন ওবামা কে গ্রহণ করবার মতো প্রাপ্তমনস্ক হওয়া সম্ভব।


আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

প্রার্থীর পলিসি, এথিকস, ইত্যাদি অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। শার্পটন বা জেসি জ্যাকসনের মত লোক আমার নিকটাত্মীয় হলেও ভোট পাবে না। ওবামার ক্যারিশমা অপূর্ব। দেখা যাক নিউ হ্যাম্পশায়ার কী বলে। ওখানেও এক কালে হিলারির ২০ পয়েন্টের লিড ছিল।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

আপাত: প্রাপ্তিটুকুই সেলিব্রেট করি ...

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আমি খুবই অবাক হয়েছি। চারিদিকে কেবল হিলারীর গুনগান শুনতাম! ফলাফল দেখে টাসকি।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

হিলারির সবচেয়ে বড় অ্যাসেট ছিল তাঁর পরিচিতি। ক্লিনটন নামটা সবাই জানতো। ওবামার নামও শুনেনি অনেকে আগে। পরিচিতি-পর্ব হয়ে গেলেই সমর্থক হয়ে গেছে অনেকেই। দেখা যাক এই পরিচিতি কোথায় নিয়ে যায় ওবামাকে।

ব্যাক্তিগতভাবে আমি দুইজন ডেমোক্র্যাটের ব্যাপারে খুবই সন্দিহান সব সময়ই -- হিলারি ক্লিনটন এবং জো লিবারম্যান। দুই জনই কাজে-কর্মে রিপাবলিকানদের চেয়ে এক কাঠি বেশি। লিবারম্যান তো শেষ পর্যন্ত দলই ভাঙলো। তবে লোক হিসেবে জন ম্যাকেইনকেও বেশ ভাল লাগে।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

আসলেই এক ঐতিহাসিক মুহুর্ত। প্রেসিডেন্ট কেনেডির উত্থানের সাথে তুলনা করা হচ্ছে আজকের এই বিজয়ের। অবশ্য ঠিক বিজয় বলতে চাচ্ছিনা এখনো, কারণ দিল্লী অনেক দূর। কিন্তু এটাই শুরু। ওবামা'র বিজয় ভাষণের ক্লিপ।

ওবামা বড় মাপের বক্তা, তা গত তিন বছর ধরে সবাই বলে আসছেন। উপরের বক্তৃতা থেকে কিছুটা আন্দাজ করা যায়, তবে এর থেকেও ভাল বক্তৃতা আছে তার। আমেরিকার সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ব্লগ dailykos-এ পাঠকদের অনুভূতি
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ওবামার স্পিচ যে কত শুনেছি ইউটিউবে বসে বসে! শেখার আছে অনেক কিছু। কোন কালে রাজনীতি করার ইচ্ছা আছে, এমন প্রতিটা মানুষকে আমি বলি ওবামার স্পিচ শুনতে। ভাল বক্তা প্রচুর আছে, তবে সাথে বিবেচনাবোধের সংমিশ্রনটাই আমার চোখে ওবামাকে 'সেকেন্ড কামিং অফ বিল ক্লিনটন' মনে হয়। সেই রকম তারুণ্য আর ক্যারিশমা! কিছু উদাহরণ নিচে জুড়ে দিলাম।

ওবামার জেতার পেছনে বড় কারণ হল তরুণ/নতুন ভোটারেরা। রেকর্ড সংখ্যক লোক প্রথম বার প্রাইমারিতে এসেছেন শুধু ওবামা'কে ভোট দিতে। বলা হচ্ছে সাম্প্রতিক ইতিহাসে এটা অন্যতম বৃহৎ 'পার্টি-বিল্ডিং' মুহূর্ত।

Democratic National Convention, 2004 (Part 1)

Democratic National Convention, 2004 (Part 2)

MLK Junior Day at Selma, Alabama

Jefferson Jackson Dinner

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

ইশতি, আগের বক্তৃতাগুলার ক্লিপ তুলে দেয়ার জন্যে থ্যাংক্স। ২০০৪-এ বস্টনের কনভেনশানে দেয়া বক্তৃতাটা (প্রথম দুটো ক্লিপ) আমার জীবদ্দশায় সর্বশ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক ভাষণ। ইউকেতে তখন গভীর রাত। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে যখন C-SPAN ওয়েবসাইটে গেলাম, স্পীচ দেখে ভীষণ আলোড়িত হয়েছিলাম। আমার ব্যক্তিগত ব্লগে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম সেদিন, A Star Is Born। মনে রাখা দরকার যে এই স্পীচের আগে ওবামা'র নাম কেউই জানতো না। মাত্র সাড়ে তিন বছর আগে ওবামা ছিলেন ইলিনয়ের এক অখ্যাত সাংসদ। রাজনৈতিক মানচিত্রে বোমা ফালানোর মত ইম্প্যাক্ট হয়েছিল তার সেই বস্টন বক্তৃতায়। সেদিন লিখেছিলাম যে the faithful must already be thinking of the elections of 2012 or 2016 with dreamy eyes... কিন্তু ২০০৮-এই যে ঘটনা ঘটে যাবে, কে ভেবেছিলো!
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

যদিও প্রথম ককাস জয়। যদিও ওয়াশিংটন অনেক দূর... যদিও প্রথম চারটি ককাস জেতার পরও নমিনেশন যুদ্ধে পরাজিত হতে দেখেছি প্রার্থীদের...তবুও নেতাদের নেতা ওবামাকে অভিনন্দন।
ভিডিওগুলোর জন্য অভি ও সুবিনয়কে ধন্যবাদ। দেখবো।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের অন্তত এই একটা বিষয় আছে, খুব খোলামেলা। নেপথ্যের চালবাজি আছে। কিন্তু দলের নেতা নির্বাচন থেকে শুরু করে প্রেসিডেন্ট ইলেকশন - সবকিছুতে জনগণের ইচ্ছার সরাসরি প্রতিফলনের সুযোগ আছে।
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

বজলুর রহমান এর ছবি

আমার পিতা শিশু বয়সে গ্রামের মাদ্রাসায় লেখাপড়া শুরু করেন, এবং পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজীতে প্রথম হয়ে কর্মজীবনে ঢুকেছেন। কোনদিন আমাকে নামাজ পড়তে বলেন নি। আমি জীবনে কখনো শুক্রবারের জামাতেও যাইনি। কিন্তু কোন ফর্মে প্রয়োজন হলে নিজেকে মুস্লিম লিখি। কোনদিনই মুসলিম ছিলেন না প্রতিপন্ন করতে ওবামা কি অনৈতিক মিথ্যা কথা বলছেন?
দেখুন

“I’ve always been a Christian,” said Obama, focusing on his own personal lack of practice of Islam as a child to deny any connection to Islam. But Muslims do not see practice as key. For them, that he was born to a line of Muslim males makes him born a Muslim. Further, all children born with an Arabic name based on the H-S-N trilateral root (Hussein, Hassan, and others) can be assumed to be Muslim, so they will understand Obama’s full name, Barack Hussein Obama, to proclaim him a born Muslim.

Further, family and friends considered him as a child to be Muslim. In “Obama Debunks Claim About Islamic School,” Nedra Pickler of the Associated Press wrote on January 24, 2007, that

Obama’s mother, divorced from Obama’s father, married a man from Indonesia named Lolo Soetoro, and the family relocated to the country from 1967-71. At first, Obama attended the Catholic school, Fransiskus Assisis, where documents showed he enrolled as a Muslim, the religion of his stepfather. The document required that each student choose one of five state-sanctioned religions when registering – Muslim, Hindu, Buddhist, Catholic or Protestant.

Asked about this, Obama communications director Robert Gibbs responded by indicating to Pickler that

he wasn’t sure why the document had Obama listed as a Muslim. “Senator Obama has never been a Muslim.”

Two months later, Paul Watson of the Los Angeles Times (available online in a Baltimore Sun reprint) reported that the Obama campaign had retreated from that absolute statement and instead issued a more nuanced one: “Obama has never been a practicing Muslim.” The Times looked into the matter further and learned more about his Indonesian interlude:

His former Roman Catholic and Muslim teachers, along with two people who were identified by Obama’s grade-school teacher as childhood friends, say Obama was registered by his family as a Muslim at both schools he attended. That registration meant that during the third and fourth grades, Obama learned about Islam for two hours each week in religion class.

The childhood friends say Obama sometimes went to Friday prayers at the local mosque. “We prayed but not really seriously, just following actions done by older people in the mosque,” Zulfin Adi said. “But as kids, we loved to meet our friends and went to the mosque together and played.” … Obama’s younger sister, Maya Soetoro, said in a statement released by the campaign that the family attended the mosque only “for big communal events,” not every Friday.

Recalling Obama’s time in Indonesia, the Times account contains quotes that Obama “went to the mosque,” and that he “was Muslim.”

Summarized, available evidence suggests Obama was born a Muslim to a non-practicing Muslim father and for some years had a reasonably Muslim upbringing under the auspices of his Indonesian step-father. At some point, he converted to Christianity. It appears false to state, as Obama does, “I’ve always been a Christian” and “I’ve never practiced Islam.” The campaign appears to be either ignorant or fabricating when it states that “Obama never prayed in a mosque.”
বেচারা ওবামা। একথাও তাঁকে বলতে হচ্ছে যে তিনি প্রেসিডেন্ট হলে আমেরিকান বাহিনী ব্যবহার করে পাকিস্তানের সামরিক ও আণবিক শক্তি উড়িয়ে দেবেন।

আমরা কেউ পাকিস্তানের ভক্ত নই। কিন্তু কালাপাহাড়রা বা সুবিধাবাদীরা সাধারণভাবেই বিপজ্জনক বটে।

দিগন্ত এর ছবি

"একথাও তাঁকে বলতে হচ্ছে যে তিনি প্রেসিডেন্ট হলে আমেরিকান বাহিনী ব্যবহার করে পাকিস্তানের সামরিক ও আণবিক শক্তি উড়িয়ে দেবেন।"

- এখানেই আমার প্রশ্ন। কিভাবে এটা বোঝা যাচ্ছে সে ওবামা বাধ্য হয়ে এগুলো বলছেন,স্বেচ্ছায় নন। ওবামাকে যদি আপনি নিজের মাপকাঠি দিয়ে মাপতে যান সেটা কিভাবে ঠিক ফলাফল দিতে পারে?
যাহোক শেষের পয়েন্টটা নিয়ে ভারতে জনগণ অস্বস্তিতে আছে। ওবামা পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ শুরু করলে ভারতেও তার আঁচ পড়বে। আর আমেরিকার যুদ্ধের ব্যাপারটা ইরাকের পর থেকে আর 'কল্পনাপ্রসূত' বলে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ফরেন পলিসি নিয়ে ওবামাকে অনেক গুঁতা খেতে হয়েছে বাকিদের কাছে। অনভিজ্ঞতাই ওবামার একমাত্র 'দুর্বলতা' বিবেচনা করে এই দিকে তাঁকে আক্রমণ করা হত সবচেয়ে বেশি। শুধুমাত্র ওবামা'ই ফরেন পলিসির কিছু মৌলিক ব্যাপারে খোলামেলা ভাবে নিজের মত প্রকাশ করেছেন। এই ব্যাপারটাও সেরকমই।

ওবামা বলেছিলেন যে ইরাক যুদ্ধ তাৎক্ষণিক ভাবে বন্ধ করা হবে এবং সামরিক শক্তিটুকু খরচ করা হবে পাকিস্তান-আফগানিস্তান বর্ডারে তালেবানদের মোকাবেলা করতে। যদি আল-কায়েদা পাকিস্তানের অভ্যন্তরে থাকে এবং এই তথ্য জানানোর পরও পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ কিছু না করে, তবে প্রয়োজনে ইউনিল্যাটারেলি আক্রমণ করা হবে। আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে খুব একটা ভুল মনে হয়নি কথাটা।

উল্লেখ্য যে, একমাত্র ওবামা'ই সরাসরি বলে দিয়েছেন কোনদিন, কোন অবস্থায় আণবিক বোমা ব্যবহার না করার কথা। এরকম কথার জন্য সমালোচনা শুনতে হয়েছে প্রচুর।

হযবরল এর ছবি

চমৎকার খবর নিঃসন্দেহে। কিন্তু আইওয়া'ই শেষ কথা না। পাপা বুশ আইওয়া'তে থার্ড হওয়ার পরও জিতেছিল, বিল ক্লিনটন ফার্স্ট টার্মে আইওয়া'তে ৩% ভোট পেয়েছিল। সুতরাং হোয়াইট হাউস এখনো অনেক দূর। ওবামা এবং হিলারী ডিঙিয়ে নতুন একজন উঠে আসার সম্ভাবনা নাকচ করেও দেওয়া যায় না।

পুরো বিষয়টাতেই একটা বড় নিয়ামক হবে যুদ্ধ। আমেরিকা মিডল ঈস্টে আরেকটা যুদ্ধ শুরু করতে কি আগ্রহী কিনা, সেটার উপর নির্ভর করবে অনেককিছু। আফগানিস্তান এবং ইরাক আক্রমণের পরিকল্পনা ছিলো বলেই, যেমন ফ্লোরিডা'তে আল গোর কুপোকাৎ হয়েছিল; সেরকম অনেক কিছুই হতে পারে। সুতরাং ডেমোক্র্যাট'দের থেকে নতুন কেউ উঠে আসলে যেমন অবাক হবো না, তেমনি রিপাবলিকান'দের থেকে জন ম্যাককেইন উঠে আসলেও অবাক হবার কিছু থাকবে না।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

মনে হয় না আরেকটা যুদ্ধ চায় কেউ। জন ম্যাকেইন উঠে আসার ভাল সম্ভাবনা আছে। দেখা যাক। ইরাক যুদ্ধের সমর্থক হলেও ম্যাকেইন লোক ভাল।

এখনো যে-কেউই আসতে পারে... দেখা যাক, আগামী ৪ দিনই বলে দেবে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।