১.
আজ সত্যজিতের জন্মদিন।
ব্যস্ততা কমেনি তিল পরিমাণ। তবু শুধু এটুকু লেখার জন্য ব্লগে পোস্টানো। হাজার টুকরায় ছড়িয়ে থাকা জীবনের এক একটা দিন কেটে যাচ্ছে এমনি এমনি। হোমওয়ার্ক, অ্যাসাইনমেন্ট, প্রোজেক্ট, আর পরীক্ষার ভারে চিড়ে-চ্যাপ্টা অবস্থা। সিমেস্টারের জঘন্যতম সময়টা কাটছে। শেষ কবে রান্না হয়েছে ঘরে, খেয়াল নেই। নুডুলস, চিপস, আর ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের উপর চলছে দুনিয়া। ঘুমের অপর নাম বিলাসিতা, চায়ের অপর নাম জীবন। বেশ অনেক দিন হয় পাখির ডাক না শুনে ঘুমানো হয়না। কিছু পাখি ঠিক ৬ টা নাগাদ ডাকে। এরপর কিছুক্ষণের বিরতি। আধা ঘন্টা মত পরে পরের দফা ডাকাডাকি শুরু হয়। মাঝের সময়টা আমি গুনগুনাই। আহা কী আনন্দ আকাশে-বাতাসে, শাখে শাখে পাখি ডাকে, কত শোভা চারিপাশে। এরপর দ্বিতীয় দফার ডাকাডাকি শুনতে শুনতে ঢুলে পড়ি ঘুমে।
বাসের জন্য বসে ছিলাম। রাত জেগে গুল-তাপ্পি মেরে প্রোজেক্ট রিপোর্ট দাঁড় করিয়েছি কোন রকমে। পাতা উল্টাতে উল্টাতে ভাবছিলাম, আমার হাত দিয়ে বের হওয়া কাজগুলো অযত্ন নয়তো অসম্পূর্ণতায় ভোগে। যা-কিছুই করি না কেন, সব খানেই এই এক সমস্যা। একবার দেখলে দ্বিতীয়বার দেখতে ইচ্ছে করে না। একবার পড়ে সারতেই ঘাম ছুটে যায়, দ্বিতীয়বার পড়ার তো প্রশ্নই ওঠে না। এমন সময় বাজ পড়ার মত করেই মনে পড়ে গেল, আজ সত্যজিতের জন্মদিন! আহা রে, যদি সত্যজিতের মত লিখতে পারতাম।
২.
১৯৯২ সালটা খুব মনে পড়ে। ইমরান খানের বছর। ওয়াসিম আকরামের বছর। ইমরানের অবসরের পর শচীনাসক্ত হবার বছর। তবু ১৯৯২-কে সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে সত্যজিতের মারা যাবার বছর হিসেবে। রাতের খাবার খাচ্ছিলাম। ১০টার ইংরেজি সংবাদে সত্যজিৎ মারা যাবার খবর দেখলাম। মাত্রই কিছুদিন আগে টিনটোরেত্তোর যীশু কিনেছিলাম। চুরি যাওয়া চিত্রকলা খুঁজের বের করবে-করবে করছে ফেলুদা। পড়তে পড়তেই খাচ্ছিলাম। সেই বইটা হাতে নিয়েই পুরো রাত কেঁদেছিলাম। ২৩ এপ্রিল, ১৯৯২।
মায়ের খুব শখ ছিল ছবি আঁকা শেখাবে। কালে নানার মত ডাক্তার বানানোর ইচ্ছা। ছবি আঁকার হাত থাকলে পরে হয়তো বায়োলজিতে সাপ-ব্যাঙ আঁকতে কষ্ট কম হবে, এই ছিল চিন্তা। আমি শুধু এক কোণায় বসে নদী, বাড়ি, কলা গাছ, আর দিগন্তে ডুবে যাওয়া সূর্য আঁকতাম। আমার গুণের নমুনা দেখেই হয়তো দুই দুইটা আর্ট স্কুল ব্যবসা গুটিয়ে উঠে গেছিলো। ভূতের গলি মসজিদের সামনের ডাস্টবিনের সামনে দিয়ে প্যাঁক-কাদা পাড়িয়ে আর্ট স্কুলে যেতে হত না। এই বিষম আনন্দের পাশেই ছিল সাদা কাগজ পেলেই সত্যজিতের মত করে স্কেচ করার চেষ্টা। চোখা একটা থুতনি, একটু বাম দিকে স্পষ্ট সিঁথি, পরিপাটি চুল, আর পোর্ট্রেইট ফুটিয়ে ওঠানোর জন্য অদ্ভুত সুন্দর ছায়ার কাজ। আন্তরিক চেষ্টা ছিল, পারলাম না।
৩.
সত্যজিতের প্রথম বই নানা কিনে দিয়েছিল। অ্যাডিনয়েড গ্লেন্ডে অপারেশনের আমি তখন হাসপাতালে গড়াচ্ছি। নানা এসে বললো, তার ছাত্রের দোকান থেকে একটা চাচা চৌধুরী আর একটা সত্যজিৎ এনেছে আমার জন্য। পাঠক সমাবেশের সাথে সেই থেকেই পরিচয়। সেই দিনগুলোর নস্টালজিয়া থেকেই অনেক দিন পর নানাকে ফোন করলাম। চিরাচরিত সূচনা। নানা, আমি অভি। শরীর কেমন? নানার জবাব, শরীর বাদামি, পাঁচ ফুট পাঁচ ইঞ্চি। হেসে গড়াগড়ি দিলাম, লিভারপুল-চেলসি নিয়ে কথা বললাম। সত্যজিতের কথা কেন যেন মুখে আসলো না। একেবারে অচেনা-অজানা একটা মানুষ এত প্রভাব রাখতে পারে, ভাবতে অবাক লাগছিল নিজেরই।
সোনার কেল্লা অনেক পরে হাতে পেয়েছি। আমার শুরু ছিল মনে হয় কৈলাসে কেলেঙ্কারি দিয়ে। এরপর কখনো রয়েল বেঙ্গল রহস্য পড়ে ভয়ে কেঁপেছি, কখনো প্রফেসর শঙ্কুর মত কাল্পনিক অ্যানাইহিলেটর গান দেগেছি ডানে-বামে, কখনো তাড়িণীখুড়োর গল্পের মত ডুয়েল লড়েছি লখনৌয়ে। আহ, সেই সব দিনগুলি। প্রজন্মের পর প্রজন্মকে এভাবে কলমের খোঁচায় স্বপ্ন দেখানোর মত স্রষ্টা আর ক’জন আসবে কে জানে।
৪.
পাইলট, পুলিশ অফিসার, আইসক্রিম-ওয়ালা থেকে ফায়ার-ফাইটার হয়ে রোমান্টিক স্বপ্নগুলো এসে চলচ্চিত্রকার হওয়ায় এসে ঠেকেছে। বেশি বয়সে এসে এই ভূত মাথায় ঢুকবার কারণ শুধু এবং শুধুই সত্যজিৎ। বহুদিন পর এই সেদিন আবার বৃষ্টিতে ভিজলাম। জানালার পাশে বসে কাজ করছিলাম। আলোর ঝলকানি, বিকট শব্দে বাজ পড়ার আওয়াজ, আর বড় বড় ফোঁটায় বৃষ্টিপাত। মুহূর্তেই দৌঁড়ে রাস্তায় নেমে গেলাম। ব্যাগ-বই-ছাতা-জামা দিয়ে সবাই মাথা ঢাকছে, আর আমি স্রোতের বিপরীতে হেঁটে যাচ্ছি খালি পায়ে, টুটা-ফাটা টি-শার্ট পড়ে। গাছের নাচ, বাতাসের ডাক, আর আকাশের হাঁক শুনতে শুনতে মনে হচ্ছিল, ইন্টারস্টেটটার জায়গায় যদি একটা ধোঁয়া উড়িয়ে ছুটে যাওয়া ট্রেন থাকতো!
ঘরে ফিরে ভেজা শরীরেই বসে পড়লাম কম্পিউটারের সামনে। খুঁজে-পেতে বের করলাম অপুর সংসার। নিত্যদিন চোখে ভাসা দৃশ্য দুটো বের করে দেখলাম। সদ্যবিবাহিত অপু রাতে বৌয়ের আঁচল জামায় বেঁধে রেখেছে, ওদিকে চোখ খুলে অপু দেখে সিগারেটের প্যাকেটে লেখা, প্রতিদিন একটা করে, কথা দিয়েছো। চামড়ার আতিশয্য এড়িয়ে অনুভূতির গভীরতা কী দুর্দান্ত প্রকাশ। অন্য দৃশ্যটি ছেলের সাথে অপুর পুনর্মিলনের। বড় বড় চোখ করে নিগৃহীত পুত্রের নিষ্পাপ প্রশ্ন, বাবা কাকে বলে?
এক একটা দিন এভাবেই মনে পড়ে সত্যজিৎকে। আজ সেই সত্যজিতের জন্মদিন।
ছবিঃ উইকিপিডিয়া
মন্তব্য
শুভ জন্মদিন গুরু।
অভি - ইশ্! এমন করে যদি লিখতে পারতাম!
কি মাঝি? ডরাইলা?
গুরু আসলেই। সত্যজিতের মত প্রাঞ্জল, ঝরঝরে লেখা আর পড়িনি। যেমন সৃজনশীল কাহিনী, তেমনি ছবি-ছড়া-গান-ধাঁধা মিলিয়ে তৈরি করা একটি পরিপূর্ণ আবেশ। কমপ্লিট প্রেজেন্টেশন একদম। এরকম প্রতিভা শতবর্ষেও একটা করে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।
বিশেষ করে সত্যজিতের স্কেচ্ । জাষ্ট কয়েকটা রেখাই পুরো ক্যারেকটারটিকে যে কি করে ফুটিয়ে তুলতেন......অসাধরন!
সময় স্বল্পতায় নুডুলস, চিপস আর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই দিয়ে দিন চললেও লেখা কিন্তু পাকা হাতে হয়েছে। গুরুর জন্মদিনে ফাটাফাটি লেখা নামাইছেন। (বিপ্লব)
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
ধন্যবাদ। আপনাকেও আগাম জন্মদিনের শুভেচ্ছা। ব্যাপক কম্পিটিশন কিন্তু আপনার। হিটলার থেকে সত্যজিৎ-রবীন্দ্রনাথ হয়ে লারা-শচীন পর্যন্ত সব আপনার রাশির মানুষ!
বহুতদিন পর পাওয়া গেল আপনার লেখা।
ব্যস্ততা কমলে নিয়মিত লিখবেন নিশ্চয়ই!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
নিঃস্বার্থ বন্ধুত্ব দেবো। কিন্তু কী পাবো তার বদলে?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
ইচ্ছে আছে ষোল আনা। অনেক ভাল লেখা পড়েছি এই ক'দিনে। দেনা শোধের জন্য হলেও কিছু লিখতে হবে। সামার আসছে, সময় তো এমনিতেই কাটবে না!!
এক একটা দিন এভাবেই মনে পড়ে সত্যজিৎকে। আজ সেই সত্যজিতের জন্মদিন।....খুব সুন্দর লিখেছেন।
প্রণতি সত্যজিত রায়।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
ধন্যবাদ। দেশে বিভিন্ন ঘরে শেলফে শেলফে সত্যজিতের বই রাখা থাকতো, যাতে যেকোন ঘরে বসে হাত বাড়িয়ে টুক্ করে কিছু একটা পড়ে নেওয়া যায়। অসামান্য একটা মানুষ...
- লেখাটার প্রকাশভঙি পছন্দ হয়েছে।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধন্যবাদ।
শুভ জন্মদিন গুরু
ধন্যবাদ ইশতিয়াক ভাই পোষ্টের জন্য
লেখাটা দারুণ... ছেলেবেলায় নামিয়ে নিলেন... আদতেই... সত্যজিত এক পিসই জন্মায়...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এই মানুষটা না থাকলে কী যে হইত!
দারুণ লিখেছেন ইশতিয়াক ভাই।
আর কী বলব?
আপাতত ফুল মার্কস।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
চমৎকার লেখা। মন ছুঁয়ে গেলো।
বসের জন্মদিনে একটা কিছু লিখবার ইচ্ছা ছিলো। হাজার ব্যস্ততায় আর লেখা হলো না।
কিন্তু আপনার এই লেখাটা পড়ে দুঃখ মুছে গেছে পুরোপুরি। খু-উ-উব সুন্দর লিখেছেন!
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
চমৎকার একাট লেখা।
শুভ জন্মদিন।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
সহৃদয় মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। উইকির পেজটা দেখে ভাল লাগলো বেশ। সময় হলে কিছু তথ্য যোগ করে দেবার ইচ্ছা রইলো। একদিকে আমার আফসোস, যৌবনে সত্যজিতের সিনেমার জন্য প্রতীক্ষা করার অনুভূতিটা পাইনি। অন্যদিকে অনেক আনন্দিত বোধ করি ফেলুদার একের পর এক বই বের হবার অপেক্ষা করতে পারার জন্য। এই লোকটা না থাকলে আসলেই উঠতি বয়সের ছেলেপুলেদের বেহাল অবস্থা হত।
ধন্যি মশাই ,আপনার নাকের স্মরণশক্তি।
আমার স্মরণশক্তি প্রতারণা না করলে এটা সম্ভবত জয বাবা ফেলুনাথেরলালমোহন গাঙ্গুলির সংলাপ্।
ভাবা যায় না এত চমৎকার করে কেউ লিখতে পারেন!
গল্পের ভেতর দিয়ে যে কত কিছু জানা যেত!
একমাত্র সত্যজিতের পক্ষেই সম্ভব।
শ্রদ্ধাঞ্জলি।।।
ভাল লাগার সাবলীল প্রকাশ দারুণ লাগলো।
আসলেই এরকম একজন জিনিয়াস কালেভদ্রে জন্মায়।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
খুব সুন্দর লাগল লেখাটা। সত্যজিৎ যে আমার কত প্রিয় একজন ব্যক্তিত্ব তা বুঝিয়ে বলতে পারতাম না। অসম্ভব প্রাঞ্জল, গতিশীল কিন্তু হৃদয়গ্রাহী লেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
গুরু কে সালাম!
মাঝে মাঝে বিস্ময় জাগে, একটা মানুষ এতো কাজ একসাথে করতে পারে কীভাবে? তাঁকে দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে একেক সময় অনেকগুলো কাজ হাতে নিই, কিছুক্ষণ যেতে না যেতেই হতোদ্যম হয়ে সবগুলোই ঝেড়ে ফেলি। তিনি ঝাড়তে জানতেন না। আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের সাথে তিনি এখানেই নিজেকে আলাদা করে তুলেছেন।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ...ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
খুব সুন্দর লিখেছেন, আর আপনার নানার শরীর কেমন এর জবাব শুনে খুব হাসি পেল
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
ধন্যবাদ আবারো। আমার নানার মত মজার মানুষ বিরল। গল্পের ভান্ডার পুরা। তার কাহিনী আরেকদিন...
পাগলা ট্যালেন্ট, রায় বাবাজি!
সত্যজিৎ-এর বিশাল ব্যাপ্তিকে আমরা বাঙালিরা মনে হয় ঠিকভাবে বুঝতেই পারি না ! অথচ আমাদের অহঙ্কারের কতো বিশাল জায়গা তিনি !
ইশতিয়াক ভাই, আপনার লেখাটা আসলেই চমৎকার হয়েছে। শুভকামনা।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
একটা মানুষের কল্পনাশক্তি কতটা লাগামছাড়া হতে পারে, সেটা সত্যজিত না পড়লে/দেখলে কল্পনাও করা যায় না । একটা লোক কিভাবে একইসাথে তাড়িনীখুড়ো, শঙ্কু, ফেলুদা, মাস্টারপিস সব ছোটগল্প কিংবা 'অরণ্যের দিনরাত্রি'র মত ছবি অনায়াসে নামিয়ে ফেলে, সেটা এখনো আমার মাথায় ঢুকে না । ব্যাটা যে কেন মরে গেল ....
এই অসাধারণ লেখাটা গত বছরও পড়েছিলাম, কমেন্ট করা হয় নাই ।
>>
ছায়ালীন
offroad ডট shahan অ্যাট gmail ডট com
লেখাটা পড়ে ঠিক নিজের কথা বলছি বলে মনে হলো! ধন্যবাদ ভাইয়া!
-----------------------------------------------------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে আমার প্রাণের কাছে চলে আসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে; সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
অসাধারন এই লেখাটি এবছর পড়া হল।
যোগ করে দিলাম,
Satyajit Ray Receives Oscar
http://www.youtube.com/watch?v=AgXPStRWmsY
ইশতিয়াক, তোমার লেখাটা আসলেই চমৎকার হয়েছে। শুভকামনা
এম. এম. আর. জালাল
"ফিরে দেখুন একাত্তর ঘুরে দাঁড়াক বাংলাদেশ।"
এম. এম. আর. জালাল
"ফিরে দেখুন একাত্তর ঘুরে দাঁড়াক বাংলাদেশ।"
ভালো লেখা বারেবারে পড়তে হয়!
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
ইসসস! কত্ত স্মৃতি মনে পরে গেল। ক্লাস থ্রি তে বিদেশ চলে যাওয়া কাজিনের সম্মৃদ্ধ সত্যজিৎ সংগ্রহ এর নাগাল পেলাম। তারপর থেকে ভাত ঘুমের বদলে ফেলুদা আর শঙ্কুর সাথে কত যে দুপুর কাটালাম। বই পড়ার নেশার শুরু সেখান থেকে, আব্বা মাস শেষে নিউমার্কেটে নওরোজ কিতাবিস্তানে নিয়ে যেতেন, ১০০টাকা বরাদ্দ হতো বই বা পেন্সিল কলম কেনার জন্য। টিনটিন আর ফেলুদার একটা যুদ্ধ হতো আমার সঙ্গে বাড়ি যাবার জন্য।
১৯৯২ এর এপ্রিলে সত্যজিতের জন্মদিন আর অস্কার প্রাপ্তি উপলক্ষ্যে বিটিভি সপ্তাহ ব্যাপী সত্যজিতের সিনেমা দেখিয়েছিল রাত ১০টার সংবাদের পর। তখনো রাত জাগাটা রপ্ত হয়নি, তাই পুচকি আমার জন্যও এক কাপ চা বরাদ্দ হয়েছিল যাতে রাত জাগতে পারি সিনেমা দেখার জন্য। আধা ঘুমে আধা জাগরণে দেখেছিলাম "পথের পাচালী, গুপী গাইন বাঘা বাইন, হীরক রাজার দেশে"।
পারফেকশনিস্ট লোক! তার সাথে যারা কাজ করত তাদেরকে তিনি স্টিভ জবসের মত ব্যাপক যন্ত্রণা দিতেন মনে হয়।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
ছোট গল্পগুলো-সিনেমা এর মেকিং-বইয়ের স্কেচ-তাজ্জব লাগে এখনো।
নতুন মন্তব্য করুন