প্রবাসের কথোপকথন - ১৪

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি
লিখেছেন ইশতিয়াক রউফ (তারিখ: শুক্র, ৩০/০৫/২০০৮ - ১২:০০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“এই রাস্তাই তো? দেখো তো আবার, ম্যাপের সাথে কিন্তু মিলে না। ম্যাপে যেখানে বললো, সেখানে কিছুই নাই।”
এই রাস্তাই নিয়ে যাবে। আগের বার ইন্ডিয়ানাপোলিস থেকে এই রাস্তা দিয়েই এসেছিলাম। আসার পথে বুঝি নাই, তবে যাওয়ার সময় তো একটা রাস্তা একদম সোজা এসে ইন্টারস্টেটে মিশেছিল পারডু ক্যাম্পাস থেকে। গুগুলের দেখানো রাস্তাটা যেন কেমন বদখদ ছিল।

“ঐ তো, এক্সিট দেখা যায়। লেখা আছে পারডু ইউনিভার্সিটির রাস্তা।”
এটাই হবে। নিয়ে নেন। আমি এই রাস্তা দিয়ে ফিরি নাই অবশ্য। ইলিনয় থেকে এসেছিলাম। অন্য রাস্তা ছিল সেটা। খুবই বীভৎস অভিজ্ঞতা অবশ্য। ওয়াবাশ নদীর পরে বামে যেতে হত। আমি বেকুবের মত আগের রাস্তা নিয়ে ফেলেছিলাম। কোথায় যে গিয়ে হাজির হলাম এরপর! ফিরতি রাস্তা খুঁজে না পেয়ে ভাইকে ফোন দিয়ে বললাম গুগুল ম্যাপ দেখে উদ্ধার করতে। ওকে পাশের রাস্তার নাম বললাম, বলে যে গুগুলে নাকি ঐ জায়গার কোন ইনফরমেশন নাই। চারদিকে তো শুধু ভূট্টা ক্ষেত। এর মধ্যে আমি সত্তর মাইল বেগে টানলাম গাড়ি। মিনিট দশেক চলার পর একটা রাস্তার নাম পাওয়া গেল গুগুলে। সেই থেকে আমি চেনা রাস্তার বাইরে চালাই না আমেরিকান মিডওয়েস্টে।

“এই কথা আগে বলবা না? তাহলে তো ভোর চারটার সময় পারডু ক্যাম্পাস দেখতে আসি না।”
ব্যাপার না। কী আছে দুনিয়ায়! এই দেশে গাড়ি, ফোন, আর ক্রেডিট কার্ড সাথে থাকলে কিছু লাগে না। হারালেও ভয় নাই। আর এই এলাকায় হারানোর হলে ভরদুপুরেও হারানো যায়।

“ক্ষুধা লাগসে, কিছু খাওয়া দরকার। সামনে কোন ম্যাকডোনাল্ডস দেখলে বলো তো।”
রাস্তায় তো রাস্তার নামই দেখছি না, খাবার দোকান দূরের কথা। আচ্ছা, ম্যাপে বলছে যে স্টেট রাউট ২৮ নিতে হবে। দেখছি না কোন দিকে। ডানে ওয়ানওয়ে, বামে ডেড এন্ড, সোজাই চলেন। ঐ যে একটা হাসপাতাল আছে। ওখানে জিজ্ঞেস করি গিয়ে। আপনি থাকেন, আমি জেনে আসি।

“কাজ হল?”
নাহ, অযথা দরজা ধাক্কায় চলে আসলাম। কাউকে দেখলাম না ভিতরে। মনে হয় অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া দরজা খুলবে না। আজিব জায়গায় আসলাম।

“ঐ যে একটা হোয়াইট ক্যাসল দেখা যাচ্ছে। ওখানেই আট-দশটা বার্গার খেয়ে ফেলি গিয়ে।”
বলেন কী? আট-দশটা বার্গার? গাড়ির জানালা খুলে চালাতে হবে তাহলে অযথা। বাদ দেওয়া যায় না? ম্যাকডোনাল্ডসই মেরে দেই আরেকটু কষ্ট করে। সাইজে ছোট হলেই বেশি খেতে হবে এমন কথা নাই তো। সে যাকগে, আমার পেটের ইঁদুরটা নাচতে নাচতে ঘুমায় গেছে। ওখান থেকে রাস্তার ব্যাপারেও জেনে নেওয়া যাবে।

“কী খাবেন? রাত তো অনেক হল, বেড়াতে বেরিয়েছেন বুঝি? কতগুলো বার্গার দেবো?”
ঢালতে থাকেন খাবার। আমরা চারজন আছি। আপাতত জনপ্রতি চারটা করে বার্গার দেন। লাগলে পরে আবার নেবো নাহয়। কোক নেই তো পেপসিই দেন। ইয়েস, অ্যান্ড বিওয়্যার অফ দ্য এলিফ্যান্ট দ্যাটস উইথ আস। আরে আরে তেড়ে আসার কী হল? তুমি একটু স্বাস্থবান দেখেই তো আমি ইয়ার্কি করি। ইটস ওকে, হি প্রমিসড হি উড লিভ দ্য কিচেন অ্যালোন।

“তুমি তো খুব মিন। কাম হিয়ার সুইটি। এসো আদর করে দেই তোমাকে।”
ইয়া, আই’ম শিওর হি কুড ইউজ সাম লাভ, ইট ওয়াজন্ট দ্য বেস্ট অফ এক্সপিরিয়েন্সেস ফর হিম টু রাইড উইথ মি। লাভ নাই চোখ রাঙায়। যাও গিয়ে মোটির আদর খাও। এত সহজে ছেড়ে দিবো ভাবসিলা? আসল পরিকল্পনা তো এটাই ছিল। খাওয়া নিয়ে ক্ষেপানো তো পুরনো হয়ে গেছে।

“ইজ দেয়ার এনিথিং এলস আই ক্যান হেল্প ইউ উইথ হোয়াইল শি টেকস দ্য অর্ডার?”
হু, পারেন। বিশাল সাহায্য দরকার একটা। আমরা রাস্তা হারিয়ে এখানে এসে পড়েছি। এসেছি ভার্জিনিয়া টেক থেকে। হ্যাঁ, ঐ গোলাগুলির ইউনিভার্সিটি। সবাই ভাল আছে এখন, থ্যাঙ্ক ইউ। যাচ্ছিলাম শিকাগো। কনসার্ট দেখতে। পথে ভাবলাম পারডু ইউনিভার্সিটি দেখে যাই। মাঝপথে প্ল্যান তো, তাই ম্যাপ নিয়ে বের হইনি। এই ভোররাতে তাই অন্ধের মত পথ হাতড়াচ্ছি ভূট্টা ক্ষেতের মাঝে।

“তোমাদের তো দেখি হ্যারল্ড অ্যান্ড কুমারের মত অবস্থা।”
বলতে পারো। গোয়িং টু হোয়াইট ক্যাসল। আমিও বুঝতে পারছি না পুরোটা। জাস্ট প্লে অ্যালং। বুঝার ভান কর। আমি নিজেও মুভিটা দেখি নাই এখনও, তবে জানি যে একটা ইন্ডিয়ান আর একটা চাইনিজ কী সব যেন করে। এটাও না চিনতে আরও বেকুবের মত দেখাবে। হ্যারল্ড অ্যান্ড কুমার, অফিস স্পেস, নেপোলিয়ন ডায়নামাইট, ন্যাশনাল ল্যাম্পুন, ইত্যাদি হল এই দেশের কাল্ট ফেভারিট। প্রতিটাতেই কিছু না কিছু বাঁদরামো করে বেড়ায় কিছু পোলাপান। এখানে এগুলো নিয়ে না জানা খুবই খেতু ব্যাপার। বুঝো আর না বুঝো, বুঝদারের মত একটা হাসি ধরে রাখো মুখে।

“এখান থেকে বের হয়ে স্টেট রোড ২৬ পাবে, তারপর সাউথ স্ট্রিট। যেতে যেতে ইউএস ৫২ পার করবে, একটা হাসপাতাল পার করবে, মেইন স্ট্রিটের উপর একটা লিকার স্টোর পার করবে। ঠিক পথে থাকলে এগুলো পরপর পাবে সব।”
ঠিক আছে। মদের দোকান পর্যন্ত যেতে পারবো। হাসপাতালটা তো চোখে পড়েছেই। আচ্ছা, তারপর কলাম্বিয়া স্ট্রিট আর কোর্ট হাউসও পার করবো। এরপর?

“এরপর হাতের ডানে ট্রিপল এক্স পড়বে। ওটাকে ফেলে কিছুদূর এগোলেই তোমার চেনা রাস্তা পাবে।”
হু, এরপর হয়তো ওয়াবাশ খুঁজে পাবো। ঐ দিকটা কিছু কিছু মনে আছে এখনও। একটু আপহিল রাস্তা, পুরনো বাড়ি, চার্চ। সব মিলিয়ে পুরনো ঘরানার বেশ ছিমছাম জায়গা। বার্গারগুলো শেষ করেই রওনা দিচ্ছি। বাই দ্য ওয়ে, ট্রিপল এক্স কি একটা অ্যাডাল্ট বুকস্টোর?

“নো, ইটস আ বার্গার জয়েন্ট। থ্যাঙ্কস ফর কামিং। ওহ ইউ আর সো লাইক হ্যারল্ড অ্যান্ড কুমার।”
ইয়ে, মানে, আচ্ছা ঠিক আছে। চলেন ভাই তাড়াতাড়ি, বেইজ্জতি প্রশ্ন করে ফেলেছি। এই বামে দিয়ে বের হন। সামনের গাড়িটার লাইসেন্স প্লেটে লেখা আছে, ইন গড উই ট্রাস্ট। আমেরিকা তো না, যেন জেরুজালেমে আছি। ২০০৪ এর ইলেকশনের পর একটা কার্টুন দেখেছিলাম। সেটায় নিউ ইয়র্ক আর ক্যালিফোর্নিয়াকে ক্যানাডার সাথে যোগ করে লেখা, ইউনাইটেড স্টেটস অফ ক্যানাডা। বাদবাকি স্টেটগুলোকে লাল রং করে বড় করে লেখা, জেরুজাল্যান্ড।

“এই গানটার ভলিউম একটু বাড়িয়ে দে তো রে। এটার বেজ অসাধারণ।”
বাজনা ভাল, কিন্তু কানে লাগে খুব। আমি এককালে বেজ সহ্য করতে পারতাম না। কেমন যেন লাগতো। ইন্টারমিডিয়েটে থাকতে ধরে-বেঁধে আমাকে সেট দ্য কন্ট্রোলস ফর দ্য হার্ট অফ দ্য সান শুনানো হয়েছিল। ওটা শুনে বুঝেছিলাম বেজ কী জিনিস।

“শোন, বেজ হল মা-বাপের মত। না থাকলে বুঝা যায় কী জিনিস।”
দামী কথা রে, বহুত দামী কথা। যাক, কালকে রাতটা কোন রকমে পার করা গেল তবু। আবার ক্ষুধা লেগে গেছে। এই বেলায়ও কি ফাস্ট ফুড খাবেন, নাকি ভাল কোথাও বসবেন?

“ভাল কোথাও বসি। একটু লিকার খেতে পারলে ভাল হত। ঐ যে সামনে একটা রেস্তোরাঁ আছে। জো’স বার অ্যান্ড গ্রিল। চল ওখানেই যাই।”
আমি কোক নিবো। জীবনে তো অ্যালকোহল ছুঁইনি এখনও। অবশ্য, জীবনের অনেক কিছুই তো ঠিক মত যায়নি। যা হয় হবে, নিয়েই ফেলি একটা। নিয়ম কী খাওয়ার? আমি তো জানি না তেমন কিছু একটা।

“মদ খেলে সব সময় নিচের থেকে উপরে উঠবা। আগে বিয়ার, পরে ককটেল বা ওয়াইন। উলটা করতে নাই। তাহলে মাথা ধরবে। একটা লং আইল্যান্ড আইসড টি নিতে পারো। আমার বেশ ভাল লাগে ওটা। বেশি জোরে টেনো না শুরুতেই। একটু চেখে দেখো কেমন লাগে।”
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

- এনকিদু

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লাগল
-উলুম্বুশ

দ্রোহী এর ছবি

বিসমিল্লাহ বলে মদ খাও? দেশে যাও বুঝবা।

হ্যারল্ড এন্ড কুমার প্রথমটা দেখেছি অনেকদিন আগে। আমার কাছে ভালই লেগেছে। দ্বিতীয়টা সবে মুক্তি পেল। কদিন যাক, দেখে নিবো।


কি মাঝি? ডরাইলা?

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আমি প্রথমটা কিছুটা দেরিতে দেখেছি। দ্বিতীয়টা ৩ বার ডাউনলোড করেছি এই নিয়ে। বদের দল দেড় গিগাবাইটের পর্ন তুলে দিয়ে রেখেছে "হ্যারল্ড অ্যান্ড কুমার" নামে। অতঃপর দুঃখভারাক্রান্ত মনে ডিলিট মেরে নতুন ডাউনলোড...

স্নিগ্ধা এর ছবি

লং আইল্যান্ড আইস্‌ টী আমারো খুব পছন্দের, আর বিভিন্ন মানুষজনের বেড়ানোর কাহিনী পড়ে বুঝছি খুব শিগগীরই কোথাও যেতেই হবে - মন খারাপ

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

মাত্র ফিরলাম নিউ ইংল্যান্ড এলাকায় ৮ দিন কাটিয়ে। সামনের সপ্তাহে ডিসি যাবো। আপনি তো মনে হয় ঐ দিকেই, হয়ে যাবে নাকি এক রাউন্ড?

ধুসর গোধূলি এর ছবি
মুশফিকা মুমু এর ছবি

বাহ! ভাল বিসমিল্লাহ বলে মদ শুরু খাইছে আস্তাগফিরুল্লাহ বলে শুরু করলে আরো ভালো হত না? খাইছে এরপর কি হোলো ....
হ্যারোল্ড এন্ড কুমার শুনেছি খুব হাসির, এখনও দেখা হয়নি
-------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আস্তাগফিরুল্লাহ তো খাবার পর বলার কথা! বিয়ার সয় না আমার। বীভৎস। ওটায় চুমুক পড়লে নিয়মিত আস্তাগফিরুল্লাহ বলতাম আমি। এর পরের কাহিণী অফলাইনে বলতে হবে। চোখ টিপি

হ্যারল্ড অ্যান্ড কুমার ভাল মুভি। দেখা যায়।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

"কুমারত্ব" হারালেন শেষমেষ? হাসি

আরেকটা কথা। ‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍শুধু বিসমিল্লাহ বললেই হবে না। গোঁফে লাগলেও মদ হারাম হয়ে যায়। আপনার অবশ্য সেই ভয় নেই (অন্তত ছবি দেখে তা-ই জানি)।

আরও একটা কথা। মদ খেয়ে শেষে আলহামদুলিল্লাহ বলা সুন্নত চোখ টিপি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

যা বলেন, গুরু। আপনার উপদেশমালা পরীক্ষা করে দেখার তরিকা তো অধম বান্দার নেই (গ্যালন গ্যালন ভদকা খেয়েও হুঁশে থাকা)। বরং উপাদেয় পানীয়ের তালিকা দিন, যাতে আমার মত লোকজন কালেভদ্রে দুই চুমুক দিয়ে দেখতে পারে। "ইডিয়ট'স গাইড টু মিক্সড ড্রিংকস" জাতীয় কিছু আর কি!

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

অনেকদিন পর দেখা পাওয়া গেলো। লেখাও। হাসি

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

তাৎক্ষণিক জঞ্জাল! নিউ ইংল্যান্ড বেড়াতে বেড়াতে মিডওয়েস্টের বেড়ানোর সাথে তুলনা করছিলাম। তখনই লেখা টুকিটাকি।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ধর্ম নিয়া আমার কোনও শাখা, সমস্যা বা সম্ভাবনা নাই... তবে এক্কেবারে ছোটবেলায় শিখায়া দেওয়া কিছু ব্যাপার আমার মধ্যে রয়া গেছে... এবং তার মধ্যে অন্যতম হইলো এই বিসমিল্লাহ্... খাওনের আগে অনায়াসে এই শব্দটা আমার মুখে চইলা আসে... (তবে মনে মনে)। এবং আমি বোধহয় কখনই এই শব্দ বিহীন পান করি নাই...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ওয়েলকাম টু দ্য ক্লাব... দেঁতো হাসি

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

বিসমিল্লাহ...

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

অনেকদিন পরে..। একটানে পড়ে ফেললাম। এখন আপনার লেখা পড়ে একটু একটু বুঝতে পারি। হা হা ...

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

"যাক, কেউ তো তবু বুঝলো আমাকে!" চোখ টিপি

ইরতেজা এর ছবি

বিসমিল্লাহ রাহমানির রাহিম

_____________________________
টুইটার

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।