১.১
দুষ্ট ছিলাম আজীবন, নষ্ট ছিলাম না। মৌলিক কিছু বিধিনিষেধ আর মূল্যবোধ মাথার ভেতর খুব পোক্তভাবে ঢুকিয়ে দিয়েছিল বাবা-মা। তার উপর পড়াশুনা করেছি ক্যাথলিক স্কুলে। আমার দৌঁড় তাই উলটাপালটা দৌঁড়নো আর পিড়পিড় করে কথা বলা পর্যন্ত।
নষ্ট ছেলেপুলেদের দেখতাম মহা আনন্দে দিন কাটাচ্ছে। এরা স্যারদের পুচ্ছদেশে চকের গুঁড়ো মারতো, সহপাঠীদের বোন'দের দিকে কুনজর দিতো, ক্লাসে নোংরা বইপত্র নিয়ে আসতো। শাস্তির ভয় এদের কখনোই ছিল না। আমরা ডিটেনশনের নাম শুনেই আতঙ্কে কাঁপতাম, ওরা বেতের বাড়ি খেয়েও হিহি করে হাসতো আর নিজের মত বদমায়েশি করে যেত।
ওরা সংখ্যায় কম ছিল, বড়লোকের পোলাপান ছিল, শিক্ষক-ছাত্র নির্বিশেষে সবাই ওদের হাতে ছিল। খেলতে না পারলেও ওরাই বিভিন্ন টুর্নেমেন্ট আয়োজন করে টিম ক্যাপ্টেন হত। বাকিরা ছিল অচ্ছুৎ, খ্যাত। ওরা আমাদের সাথী ছিল না, কিন্তু কীভাবে যেন প্রতিনিধি হয়ে যেত খুঁটির জোরে। যাক যে কথা।
জানি নে কেন জানি মনে পড়ে গেল। একেবারেই কাকতাল, বিশ্বাস করুন।
১.২
ঠোঁট না নাড়িয়ে কথা বলা ছিল আমার প্রিয় দুষ্টামি গুলোর একটি। একবার ক্লাসে স্যার অংক করতে দিয়ে পায়চারি করছেন। পুরো ক্লাস জুড়ে পড়ানোর বদলে একটু আরামে সময়টা পার করে দেওয়া আর কি। অংক মিলে যাবার পর আমি মনে সুখে আড্ডা মারছি। আশপাশ দিয়ে গেলে গুমগুম আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। শিক্ষক মহাশয় ক্রমাগত আমার পাশ দিয়ে হেঁটে চলছেন। আমিও কথা বলছি, তিনিও বুঝতে পারছেন যে আমি-ই কথা বলছি। তবে ধরতে পারছেন না হাতে-নাতে।
হঠাৎ কাশি এল খুব। নেহায়েত নির্বিষ একটা কাশি দিলাম খুকখুক করে। তৎক্ষণাৎ ধুম করে এক কিল পড়লো পিঠে।
“এই ব্যাটা, বুড়া মাইনষের মত কাশোস ক্যান?”
এটাও কেন জানি মনে পড়ে গেল। কালতাল মাত্র, বিশ্বাস করুন।
(কাক কি আরো তাল খাবে?)
মন্তব্য
কথায় বলে গাছে তাল (!!!) পাকিলে তাতে কাকের কী?
কী ব্লগার? ডরাইলা?
কাকের লাইগা তাল পাকে নাকি কৎবেল?
কাউয়ারে জীবনে কুনোদিন তাল খাইতে দেখছেন মিয়া?
টিভিতে Raven দেখতেন না? মারদাঙ্গায় প্রশিক্ষিত কাক কিন্তু সব ভাঙে, সব খায়। বিশ্বাস না হয়তো কিছু ঝুনা নারিকেল রেখে দেখেন। একশ' এগারো ঠোকরে ঝাঁঝরা করে ফেলবে চোখের নিমিশে।
রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!
ইশতি ভাই, এখনকার কাশিটা বুড়োদের নয়, মরদ জোয়ানের। প্রথাগত মিডিয়া যেখানে... যাক কী বলতে চেয়েছি, তা বুঝতে পারছেন।
বেচারা স্যারের হাত নিশ্চয়ই নিশপিশ করছিল অনেকক্ষণ ধরে!
আরো আগে কাশা দরকার ছিল।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
এইত্তো বুস্তারসেন!
রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!
Drohi bhai, idaning kaler kak boro petuk. Tal to khai, tal gas'o khay!!
Rouf bhai bangla lekhar poth bole dan na aktu.
------------------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
মেশিনে অভ্র ইন্সটল করা থাকলে কাজ হওয়া উচিত।
আরেকটি পথ হল, অন্য কোন উইন্ডোতে লিখে কপি-পেস্ট করা।
রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!
খাড়ান কাকরে জিগাইয়া লই পেট ভরছে কীনা
---------------------------
থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
কাকের সাথে কথোপকথনের সময় কিন্তু পিঠে ছালা বেঁধে যাওয়া নফল ইবাদত।
রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!
আমরা স্যাররে বেহুদা কষ্ট দিলাম
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
কাক আরো তাল খাক, খাইতে থাকুক সেই আশা করি।
তাইলে আপনার কিছু কাকতাল ব্লগ পড়বার পারুম সেই আশায়!!!
--------------------------------------------------------
"আমরা ডিটেনশনের নাম শুনেই আতঙ্কে কাঁপতাম"
সত্যি কথা, কি যে ভয় পেতাম ওই সবুজ রঙের এক টুকরা কাগজটাকে।
বাবা ক্লাশ শুরুর আগেই ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন সবার আগে আমিই ডিটেনশন পাব।
সত্যিই 3 Eagles এ প্রথম ডিটেনশন আমিই পেয়েছিলাম!
বুকটা ভয়ে ঠান্ডা হয়ে যেত রে ভাই। আমি Hawks এর। প্রথম ডিটেনশন ৫-এ, সুরাইয়া ম্যাডামের ক্লাসে।
রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!
আমার অবশ্য তিন বছরে একটাই পাওয়া...সেটাও সুরাইয়া ম্যাডামের ক্লাসে!
লেখা যথারীতি অনবদ্য!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
এমনই এ কালটা -
বদলাবে কোনও কিছু কাকে খেলে তালটা?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
নাহ, আমিও সন্ন্যাসী হয়ে যাবো। সাইডে সরেন!
রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
নতুন মন্তব্য করুন