প্রেসিডেন্ট বুশকে জুতা নিক্ষেপ করলেন ইরাকি সাংবাদিক! (আপডেট)

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি
লিখেছেন ইশতিয়াক রউফ (তারিখ: সোম, ১৫/১২/২০০৮ - ১:৩৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অঘোষিত ইরাক সফরের এক পর্যায়ে সাংবাদিক সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট বুশের দিকে জুতা ছুড়ে মেরেছেন একজন ইরাকি সাংবাদিক। সময় মত নিচু হয়ে যাওয়া প্রেসিডেন্ট আঘাত পাননি। ভিডিও জুড়ে দিলাম নিচে।

ইরাক যুদ্ধ অনৈতিক। প্রেসিডেন্ট বুশ ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে রাষ্ট্রনেতাদের একজন। তবুও তিনি একটি দেশের রাষ্ট্রপতি। এ-ধরণের ঘটনা অবশ্যই সমর্থনযোগ্য না। অনুগ্রহ করে কেউ ঘৃণামূলক মন্তব্য রাখবেন না।

মজা লাগলো প্রেসিডেন্টের বক্তব্য শুনে। "অল আই ক্যান সে ইজ দ্যাট ইট ইজ আ সাইজ টেন শু।"

আপডেটঃ
এবিসি নিউজের সাথে সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট বুশ হেসে উড়িয়ে দিচ্ছেন। বলছেন যে এরকমটা হতেই পারে। চীনের রাষ্ট্রপ্রধান হোয়াইট হাইজে এলে তখন প্রেস কোরের একজন চিৎকার করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। প্রতিবাদকারী এই সাংবাদিক নিজেকে এবং তাঁর আশেপাশের মানুষকে হেয় করেছেন। প্রেসিডেন্ট বুশ এ-ধরণের কোন কাজকে ইরাকের বিরুদ্ধে নিচ্ছেন না।


মন্তব্য

অভ্রনীল এর ছবি

এই মাত্র বিবিসিতে দেখলাম... দেখে পোষ্ট করতে এসে দেখি এইটা অলরেডি পোষ্ট হয়ে আছে... দেঁতো হাসি

বেচারা... ক্ষমতা ছাড়ার আগে জুতার বাড়ি খেয়ে গেল (আফসোস হইতেসে একটাও ব্যাটার গায়ে লাগলো না...)

_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

যুবরাজ এর ছবি

জুতা জোড়া আমি কিনতে চাই যে কোন মুল্যে.....

হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------

স্নিগ্ধা এর ছবি

অল আই ক্যান সে ইজ দ্যাট ইট ইজ আ সাইজ টেন শু।"

মানে লোকটার না স্পীচ রাইটার এর মত সাধারণ কথাবার্তারও একটা রাইটার রাখা উচিত!! মনে করলো বিরাট একটা রসিকতা করা হলো!!!

কোন মানসিক অবস্থা থেকে একজন সাংবাদিক আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে জুতা ছুড়ে মারতে পারে! কোন রাষ্ট্রপ্রধানকে গুলি টুলি করা বা এসাসিন করার চেষ্টা এক জিনিষ, আর তাকে জুতা ছুড়ে ঘৃণাপ্রকাশ আর এক জিনিষ - সেটুকুও বুঝে না!

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

মায়াই লাগলো ব্যাটার জন্য। এই রকম একটা লোক যে কীভাবে দুই বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হল। "ডোন্ট ওরি অ্যাবাউট ইট, প্লিজ সিট ডাউন।" বলে সম্মেলন শেষও করেছেন। এই অংশটুকু দেখে ভাল লাগলো।

স্নিগ্ধা এর ছবি

মায়াই লাগলো ব্যাটার জন্য।

ইশতিয়াক - আপনাকে আমি ওবামার ইনঅগারেশন অনুষ্ঠান থেকে ব্যান করলাম রেগে টং

আসলে থাকতে দিবো ঠিকই, কিন্তু অনুষ্ঠানে যেতে দিবো না রেগে টং

আর একটা কথা কি জানেন যে, পেনসিলভেনিয়া পর্যন্ত সব হোটেল ওইসময় বুকড? দেঁতো হাসি

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আমার বাসা থেকে সাড়ে চার ঘন্টা দুরে ওয়াশিংটন ডিসি। এক টান মেরে দেখে আসব কিনা ভাবছি। চিন্তিত

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

এনকিদু এর ছবি

বুশকে নিয়ে আমি আপাততঃ চিন্তিত নই, আমার চিন্তা সেই সাংবাদিক কে নিয়ে যিনি জুতা ছুঁড়ে মেরেছেন । সেই ভদ্রলোক কি আস্ত বাড়ি ফিরতে পেরেছিলেন ?

-----------------------------------------
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

অভ্রনীল এর ছবি

বিবিসির লিঙ্কটা এইখানে দিয়ে দিলাম। এটাতে আবার জুতা ছুড়ে মারা পর বুশের বোকা হাসিটা দেখানো হয়েছে...

_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

কী দেখাইলা মমিন! গড়াগড়ি দিয়া হাসি

আরিফ জেবতিক এর ছবি

সাংবাদিক সাহেব যদি এখনও বেঁচে থাকেন তাহলে তার দীর্ঘ জীবন কামনা করছি । অন্যথায় বেহেশত কামনা করছি ।

তার সাহসকে নতজানু শ্রদ্ধা ।

হিমু এর ছবি

যেভাবে পিটাচ্ছিলো ... তাতে মনে হয় না ভদ্রলোক খুব একটা ভালো আছেন বা থাকবেন। কিন্তু তাঁর সাহসের স্তুতি না গাইলে অপরাধ হবে। তাঁর লক্ষ্য ভ্রষ্ট হয়নি, জায়গামতোই লেগেছে। ভাই, আপনাকে আমি সশ্রদ্ধ স্যালুট জানাই। আপনি প্রকৃত বীর।


হাঁটুপানির জলদস্যু

রায়হান আবীর এর ছবি

বিশাল জোড়ে মারছিল দেখা যায়। লাগলে মাথায় আলু ফুটে যেতো।

সাংবাদিক সাহেব (বিপ্লব)

=============================

স্নিগ্ধা এর ছবি

সত্যি - বুশকে নিয়ে মাথা ঘামাতে গিয়ে আসল মানুষটাকেই কিছু বলা হয় নি - সাংবাদিক ভদ্রলোকের জন্য শুভেচ্ছা, শ্রদ্ধা, শুভকামনা ......

খেকশিয়াল এর ছবি

ব্যাপক মজা পাইলাম !! গড়াগড়ি দিয়া হাসি

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আহ্ আর কয়টা দিন অপেক্ষা করতে পারল না! এর কনসিকিউয়েন্স কি হবে ভাবছি।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অতিথি লেখক এর ছবি

মোটে ও ভালো লাগে নাই।

-

একথা বলার পর আমাকে জোতা মাইরেন না আবার!

যুধিষ্ঠির এর ছবি

ইরাক যুদ্ধ অনৈতিক। প্রেসিডেন্ট বুশ ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে রাষ্ট্রনেতাদের একজন। তবুও তিনি একটি দেশের রাষ্ট্রপতি। এ-ধরণের ঘটনা অবশ্যই সমর্থনযোগ্য না। অনুগ্রহ করে কেউ ঘৃণামূলক মন্তব্য রাখবেন না।

সর্বাংশে সহমত।

এই লোক দারুণ সাহসী না হয় চরম নির্বোধ। অথবা দুটোই। তবে আমি এই লোকের সাহসকে শ্রদ্ধা বা প্রশংসা জানাতে পারলাম না।

এনকিদু এর ছবি

বোকারাই সাধারনত বিরাট সাহসের কাজ গুলো করে থাকে । অথবা ঘুরিয়ে বললে সাহসীরাই সাধারনত বিরাট বোকামী গুলো করে বসে দেঁতো হাসি

-----------------------------------------
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

বুশকে জুতাও মারা উচিত নয়, চাবুকও মারা উচিত না। এই সহিংসতা কোন সমাধান আনবে না। উচিত ছিল তাঁকে ইমপিচ করার। সুযোগ পেয়েও ডেমোক্রেটরা করে নাই। মেরুদন্ডহীনের মত কুঁই-কুঁই করে গেছে। সেটাই বড় সমস্যা।

বুশ এসেছিলেন রাষ্ট্রপতি হিসেবে। ক্ষমতা থেকে নেমে যাবার পর এলে তাঁকে জুতা মেরে ব্যক্তিগত ঝাল মেটানো যেতো। এখানে এই কাজটি করা নির্বুদ্ধিতা কারণ, এই যুদ্ধ/অনাচার/পাপাচার থামাতে হলে "অফিস অফ দ্য প্রেসিডেন্ট অফ দ্য ইউনাইটেড স্টেটস অফ অ্যামেরিকা"র মাধ্যমেই করতে হবে।

যেমনটা আগেও লিখেছি। সবকিছুর পর রেগে বেরিয়ে না গিয়ে বুশ তাঁর বিখ্যাত হাসিটিই দিয়েছেন। সবাইকে শান্ত হয়ে বসতে বলেছেন, বলেছেন এটা কোন ব্যাপার না, ঠাট্টা করে বলেছেন এটা ১০" সাইজের জুতা। এই ছোট্ট উদারতাটুকুর কারণে কিন্তু দিনের শেষে প্রেসিডেন্ট বুশই জিতলেন। অন্তত আমার হিসেবে তেমনটাই বলে।

পশ্চিমাদের কাছ থেকে এই পিটলা বদমায়েশিটা শেখা দরকার আমাদের। পূর্বের লোকেরা অনেক বেশি রগচটা। এদের ভালমানুষীটা গোপন, আর রাগটা খুব বেশি প্রকাশ্য। পশ্চিম এই দিকে অনেক আলাদা।

উদাহরণ দেই। প্রেসিডেন্ট বুশ স্মরণকালের যেকোন প্রেসিডেন্টের চেয়ে বেশি সাহায্য করছেন ওবামা'র ট্রানজিশন টিমকে। নিজের দলের ভুলগুলোও অন্ধভাবে সমর্থন করছেন না। দৃষ্টির সামনে এটুকুই। ওদিকে তিনি দৃষ্টির আড়ালে এমন সব জায়গায় লোক নিয়োগ দিচ্ছেন যেখানে ওবামা'র কিছু নেই। গুরুত্বপূর্ণ অনেক পদে বুশেরই নিয়োগ দেওয়া লোকজন নিয়ে ওবামাকে দেশ পরিচালনা করতে হবে এক-দুই বছর।

দিগন্ত এর ছবি

পশ্চিমাদের কাছ থেকে এই পিটলা বদমায়েশিটা শেখা দরকার আমাদের। পূর্বের লোকেরা অনেক বেশি রগচটা। এদের ভালমানুষীটা গোপন, আর রাগটা খুব বেশি প্রকাশ্য। পশ্চিম এই দিকে অনেক আলাদা।

দেখেন এটা দুই দিকেই সত্য। পূর্বে লোকে যেমন চট করেই রাগ দেখায়, তেমন লোকে রাগ না দেখালে পাত্তাও দেয় না। পশ্চিমে লোকে মিচকে বদমায়েশি করে হিটব্যাক করে, আর যাকে আঘাত করে সে চটপট টেরও পায়, পুর্বের মত গণ্ডারের চামড়া নিয়ে বসে থাকে না। এই কারণেই পূর্বের মন্ত্রীরা কোনোদিনও পদত্যাগ করে না, পশ্চিমে করে।


হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

দুইটা জিনিষ-
১. সেই সাংবাদিককে বাংলাদেশের গ্রামে নিয়ে গিয়ে মার্বেল খেলায় প্র্যাকটিস করানো উচিৎ। হালায় দুই দুইবার মিস করে ক্যামনে? পুরাই একটা মাল হালায়।

২. বুশরে যতোটা আবাল মনে করছিলাম আসলে তিনি ততোটা আবাল নন। বেশ ভালোই রিফ্লেকশন (শব্দটাতো এটাই নাকি!) আছে তাঁর। নাইলে এতো কাছ থেকে এতো জোরে আর অতর্কিত জুতাক্রমনের সামনে দু'বারই বেশ ভালো ডাইভ দিয়েছেন কীভাবে! তাঁরে কার্টলী এমব্রোসের বিরুদ্ধে ব্যাটিং-এ নামানো যায় নিঃসন্দেহে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

হিমু এর ছবি

মানীর মান আল্লায় রাখছে, কী বলিস হাসি ?

রিফ্লেক্স অ্যাকশনে বুশ বেশ দক্ষ, বোঝা গেলো। সম্ভবত ঘরে প্রচুর প্র্যাকটিস করতে হয়। লরা বুশ হয়তো মাঝে মাঝে কলাটামূলাটাকচুটা ছুঁড়ে মারে ... ।


হাঁটুপানির জলদস্যু

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ভালো বলছিস।
কে জানে অন্য কোনো জিনিষও হয়তো ছুঁড়ে মারে লরা ম্যাডাম! বয়স তো আর কম হলো না কাকুর, আর কতো! চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

সাংবাদিক শহরের লোক হলেও বুশ বাবাজী কিন্তু গেরামের পোলা। এক্কেরে ক্ষেত থেকে উঠে আসা রাখাল বালক। কথা-বার্তার অবস্থায় দেখেন না? সেই জন্যই পার পেয়ে গেছে।

হিমু এর ছবি

আমি ভাবছি জুতা মুখে এসে লাগলে বুশ কী বলতো।


হাঁটুপানির জলদস্যু

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- "ভালোবাসিয়া সখা করিয়াছো মোরে জুতোদান!" কিংবা
"জুতো মারিয়া সখা করিয়াছো মোরে মহান" - এইটাই বলতেন তিনি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

প্রফাইল এর ছবি

প্রেসিডেন্ট হলেও সে যে আসলে কুকুর তা একজন নির্বোধও বুঝতে পারবেন এ কথাটি শুনলে: "অল আই ক্যান সে ইজ দ্যাট ইট ইজ আ সাইজ টেন শু।"

কুকুর যে আসলেই জুতো চেনে সে প্রবাদ একেবারে মিলে গেল যে!

হাসান মোরশেদ এর ছবি

হাতের কাছে গোলাম আজম কিংবা '৭১ এর কোন পাকি জেনারেল'কে পেলে আমরা কি করতাম?
ব্যক্তি আমি আমার ভীরুতা নিয়ে হয়তো কিছুই করতে পারতাম না ।কিন্তু কেউ যদি ঐ প্রজাতির কুকুরকে নির্মুল করতে পারে আমি শ্রদ্ধায় অবনত হবো । নির্মুল করতে না পারুক , কেউ যদি তার ন্যায্য ক্ষোভ যে কোন প্রকারে প্রকাশ করে তাকে অন্ততঃ সমর্থন না জানানোর আমার কোন সুযোগ নেই ।

আর প্রেসিডেন্ট! হিটলার ও অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলো ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

নির্বাক এর ছবি

২০০% ভাগ একমত। হাসান ভাই, ধন্যবাদ আপনার এই মুল্যবান কথাটুকুর জন্য।

_________________________________________
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ
আমি আজ চোর বটে!

জিজ্ঞাসু এর ছবি

খারাপ হলেও প্রেসিডেন্টকে জুতা মারা সমর্থনযোগ্য না মানলাম। কিন্তু একটা জাতির উপর নয়মাস যুদ্ধের চিহ্ন কতবছর পর্যন্ত বয়ে বেড়াতে হচ্ছে এবং হবে? পাঁচ বছর যুদ্ধের দগদগে ক্ষত নিয়ে একটা সমাজ কতটা যন্ত্রণার মধ্যে থাকলে এমন নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে একজন সাংবাদিক এমন অবিমৃষ্যকারিতার সাথে প্রতিবাদ করতে পারে! আমি বিশ্বাস করি সে নিজের চেয়ে দেশকে অনেক ভালবাসে। সে কারো সম্মান পাওয়ার জন্য এটা করেনি নিঃসন্দেহে। সম্মান নয় তখনই তার উপর উত্তম মধ্যম শুরু হয়েছিল। প্রতিবাদের ভাষা যাই হোক প্রতিবাদ করে সে মানুষ পরিচয়কে তুলে ধরেছে। হয়তো সে প্রত্যক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত কেউ, হয়তো না।

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

অবনীল এর ছবি

ইউটিউবে একজন কমেন্ট করেছে - 'দ্যাট গাই শুড হ্যাভ হিজ নেইম প্রিন্টেড অন ইরাকি মানি'। হাহাহাহাহাহা।

___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

তিনি একটি দেশের রাষ্ট্রপতি- এই বাক্যটায় যতটুকু সন্মান... সেই সন্মানটুকু তিনি নিজে রাখেন নাই। তার সন্মান রাখার দায় আমাদের না।

রাষ্ট্রপতি বলেই তার সাতখুন মাফ হয়ে যায় না। তারই মনে রাখা উচিত ছিলো যে তিনি রাষ্ট্রপতি... খুনি না।

জানি এই জুতো ছুড়েঁ মারাটা কোনো সমাধান না। অগুণতি ইরাকির রক্তের বিপরীতে হয়তো কিছুই নয়... কিন্তু এটাই কখনো কখনো বড় হয়ে দাঁড়ায়। সেই সাংবাদিকের ক্ষমতা নেই বুশের বিচার করার, তার যতটুকু সামর্থ তা তিনি করেছেন, জীবন বাজী রেখেই করেছেন। তাকে অবশ্যই শ্রদ্ধা। তার বোকামীকেও শ্রদ্ধা...

তার মতো বোকা মানুষ এই বিশ্বে এখন অনেক দরকার... খুব জরুরী ভিত্তিতে দরকার... দরকার আমাদের এই দেশটাতেও...

সেই বোকা মানুষটার প্রতি স্যালুট...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

স্পর্শ এর ছবি

তার মতো বোকা মানুষ এই বিশ্বে এখন অনেক দরকার... খুব জরুরী ভিত্তিতে দরকার... দরকার আমাদের এই দেশটাতেও...

নজরুল ভাই আপনি একেবারে আমার মনের কথা গুলো বলে দিয়েছেন। চলুক

....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

নির্বাক এর ছবি

চলুক

_________________________________________
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ
আমি আজ চোর বটে!

যুবরাজ এর ছবি

নজরুল ভাইয়ের সাথে সহমত। এই লোকটার জন্য আফগানিস্তানে বিয়ে বাড়ীতে নববধু সহ অনেক নিরীহ মানুষ মারা গিয়েছিল। এই লোকটার গোয়ার্তুমির জন্য ইরাকে আজ ঘরে ঘরে কান্না। এই লোকটার জন্য পৃথিবী আজ আরো বেশী অনিরাপদ। আমি এই আহাম্মককে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বলতে নারাজ।

হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

নজরুল ভাইয়ের সাথে সম্পূর্ণ একমত। বোকা মানুষটাকে আমিও স্যালুট জানালাম।


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

আরিফ জেবতিক এর ছবি

কিন্তু ঐ জুতা জোড়ার কী হলো ? সেটা কি সাংবাদিককে ফেরত দেয়া হয়েছে । ??

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

যত দেখি তত ভালো লাগে... চোখ টিপি

কীর্তিনাশা এর ছবি

সাংবাদিকের প্রতি শুভকামনা রইলো।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

স্পর্শ এর ছবি

নিলামে ওই জুতো জোড়ার কত দাম উঠবে সেটা ভাবছি! চিন্তিত
আর কোন ভাবে যদি জুতো ব্রান্ডের নাম প্রকাশ পেয়ে যায়। তাইলে তো কোম্পানি পগার পার!!
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

এনকিদু এর ছবি

হ্যাঁ , এই মন্দার যুগেও মারাত্মক ব্যবসা করবে দেঁতো হাসি

-----------------------------------------
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

গৌতম এর ছবি

কাউকেই জুতা মারা সমর্থন করা যায় না। কিন্তু এটুকু ভাবা দরকার- অত্যাচার কোন পর্যায়ে গেলে একজন মধ্যবিত্ত শিক্ষিত ব্যক্তি ক্ষমতাধর আরেকটি দেশের প্রেসিডেন্টকে জুতা মারতে সাহস পায়!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষানবিস এর ছবি

জুতামারাকে (বিপ্লব)
কারণ জুতা মেরেছেন একজন ইরাকী। ইরাকী জনগণের বুশের দিকে জুতা মারার অধিকার আছে।
আর ব্যাপারটা ইতিহাস হয়ে থাকল। আম্রিকার মানুষের আজীবন মনে থাকবে।

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

ইরাকী জনগণের বুশের দিকে জুতা মারার অধিকার আছে।

হাসান মোর্শেদ তো বলেই ফেলেছেন। আমি তখন ম্যাট্রিক দিয়েছি। গোলাম আযম বগুড়ায় আসে সেসময়। প্রথমবার ঠেকায় ছাত্র-শ্রমিকরা। দ্বিতীয়বার পারা যায়নি। তার গাড়ি যখন আমাদের বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে যায়, তখন আমার মনে হয়েছিল কেউ কি নেই যে তার গাড়ির নীচে বোমা বেঁধে শুয়ে পড়তে পারে? কেউ ছিল না। কিন্তু একাত্তরে তারা ছিল।

ইরাকি ঐ সাংবাদিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে বিশ্বের সকল নিপীড়িত জাতির-শ্রেণীর-ব্যক্তির হয়ে বিরাট মর্যাদাকর কাজ করেছেন। তাঁকে আমাদের অক্ষমতার সমান ও বিপরীত অভিনন্দন। জুতা মেরে বিজয় হয় না, কিন্তু নিপীড়িত এভাবেই তার নিজের আত্মসম্মান রক্ষা করে, তার জাতির মনে সাহস যোগায় এবং মানুষ যে রয়ে যায়, তার প্রমাণ দেয়।

আমার মনে পড়ে, এই ব্লগেই আমরা অনেকে নিজামীদের জুতা-গু-গুলি ইত্যাদি মারার কথা তুলেছিলাম। নিজামী বাংলাদেশের রাজাকার আর বুশ বিশ্ব-হানাদার। (যদিও জানি, সে সামরিক-কর্পোরেট স্ট্যাবলিশমেন্টের পুতুল মাত্র) কোনো অধিকারবাদী ডিসকোর্স কোনো লিবারেল মূল্যবোধ তাকে মানুষ হিসেবে সনাক্ত করতে পারে না, পারা উচিত না। বিশ্বের সকল ঘৃণা তার জন্য প্রাপ্য।
আমি তাকে ঘৃণ্য জীব হিসেবে গালি দেওয়ার অধিকার চাইছি, যেমনটা একাত্তর সালে কামরুল ইসলামরা ইয়াহিয়ার ছবি এঁকে পোস্টার ছাপিয়ে জানান দিয়েছিলেন, ‌'এই জানোয়ারকে হত্যা করতে হবে'।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

আরেকটি প্রশ্ন: বুশকে ইমপিচ করার দায় মার্কিন সিনেটের। সেটা গেল, কিন্তু একজন দেশপ্রেমিক ইরাকির কী করা উচিত যখন বুশ গংদের যে কেউ তার দেশ দখল করে, দেশটার দেড় মিলিয়ন মানুষ হত্যা করে, সেখানকার রাস্ট্র ও সমাজকে এক শতাব্দী পিছিয়ে দিয়ে তারপর তাদেরই সামনে গণতন্ত্র শেখানোর ছবক দিতে থাকে? হাততালি দেয়া উচিত, কিংবা এক ফুলের টোকা???

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

দিগন্ত এর ছবি

গাধা বুশকে একা দোষ দিয়ে কি লাভ জানি না, আমার তো মনে হয় আমাদের চেনাজানা অধিকাংশই যদি পৃথিবীর একমাত্র সুপারপাওয়ারের সর্বক্ষমতার অধিকারী হতেন, হয়ত একই ধরণের কিছু কাজ করতেন। বর্তমান পৃথিবীর যা অবস্থা, একজন সুপারহিউম্যান ছাড়া একমেরু বিশ্বে মেরুক্ষমতার অধিকারীর পক্ষে ঠিকঠাক সিদ্ধান্ত নেওয়া খুব শক্ত। আর প্রতিটা সিদ্ধান্তের 'দাম' এত বেশী ... মূল্য চোকাতে গিয়ে পরের সিদ্ধান্তটা বাঁধা হয়ে যায়।

বুশকে গালি দিতে দিতে মাঝে মাঝে ভাবি, এই লোকটাই হয়ত বোকা বোকা কিছু সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এই মেরুক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের শুরুটা করে দিয়ে গেছে। সময়ই তা বলে দেবে ...

তবে এই ইরাকি যা করেছেন সেটা তার দিক থেকে সঠিক তো বটেই।


হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

বজলুর রহমান এর ছবি

তবুও তিনি একটি দেশের রাষ্ট্রপতি। এ-ধরণের ঘটনা অবশ্যই সমর্থনযোগ্য না। অনুগ্রহ করে কেউ ঘৃণামূলক মন্তব্য রাখবেন না।

তাহলে তো ইয়াহইয়াহ ও হিটলার সম্পর্কেও বিরুপ মন্তব্য করা যাবে না। আমেরিকার লোকই যখন একবাক্যে এঁকে নিকৃষ্টতম রাষ্ট্রনায়ক বলচেন, আমরা এই জেনোসাইডাল বদমাশকে শুধু হাসাহাসি করেই বিদায় জানাব ?

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ঠিক তাই ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

কনফুসিয়াস এর ছবি

জুতা মারা সমাধান কে বললো? ঐ লোকটা সমাধানের জন্যে জুতা মারেনি, মেরেছে নিজের ক্ষোভ কমাতে। আমি এতে দোষের কিছু দেখি না।
কিন্তু সাংবাদিকের বর্তমান অবস্থার আপডেট জানা দরকার বলে মনে হচ্ছে।

-----------------------------------
মানুষ এত বড় যে ,
আপনি যদি 'মানুষ ' শব্দটি একবার উচ্চারণ করেন
যদি অন্তর থেকে করেন উচ্চারণ
যদি বোঝেন এবং উচ্চারণ করেন ' মানুষ' -
তো আপনি কাঁদবেন!

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

অন্যায়ের প্রতিবাদ তো করতেই হবে। এই সাংবাদিক নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেভাবে ইরাকিদের প্রতি যে অন্যায় করা হয়েছে, তার প্রতিবাদ করছে, সেজন্য তাকে কুর্ণিশ। জেল থেকে বেঁচে ফিরতে পারলে তাকে বাংলাদেশ ক্রিকেট টীমের ফিলডিং কোচের অফার দেয়া হোক।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

নিঝুম এর ছবি

তার মতো বোকা মানুষ এই বিশ্বে এখন অনেক দরকার... খুব জরুরী ভিত্তিতে দরকার... দরকার আমাদের এই দেশটাতেও...

--------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

আসাদ [অতিথি] এর ছবি

তার মতো বোকা মানুষ এই বিশ্বে এখন অনেক দরকার... খুব জরুরী ভিত্তিতে দরকার... দরকার আমাদের এই দেশটাতেও...

খুবই দরকারী কথা ---
আসলে এই রকম বোকা মানুষ এই দেশেও ছিল --- যারা জিন্নাহর সামনে "No No" বলে হট্টগোল করার সাহস দেখিয়েছিল। এখনো নিশ্চই আছে --- নইলে এই ব্লগায়তন সচল হল কি করে ---

ইরাক যেদিন স্বাধীন হবে সেদিন এই মুক্তিযোদ্ধার নাম ও ইরাকের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে --- যেমন থাকবে লাখ লাখ শহীদ ইরাকীর নাম।

এনকিদু এর ছবি

আজকে ঐ সাংবাদিক ভদ্রলোকের বেশ কিছু ভিডিও ক্লিপ দেখেছি টিভিতে । সুদর্শন সুস্বাস্থ্যবান এক যুবক । টিভিতে যা শুনলাম, ইরাকে মার্কিন সেনাদের অবস্থান দীর্ঘায়নের ঘোষণা করা মাত্রই সাংবাদিক প্রথম জুতা ছুঁড়ে মারেন ।

-----------------------------------------
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

আসাদ [অতিথি] এর ছবি

কি চমতকার কন্ট্রাস্ট ---

http://www.cbsnews.com/stories/2008/12/15/terror/main4668327.shtml

এই জুতা বাড়ি খাওয়া গালে চুমা খাইতেও এত আনন্দ!

তবে লোকটা নিমক এর তত্ব বোঝে --- নিমকহারাম না হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।